সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

গরমে যে কারণে খাবেন তরমুজ

তীব্র গরমে তরমুজের কাটতি থাকে চরমে। এছাড়াও তরমুজের রয়েছে নানাবিক স্বাস্থ্য গুণ। উপরে সবুজ আর ভেতরে টকটকে লাল রসালো এই মিষ্টি ফলটির জুস খুবই সুস্বাদু। তরমুজের ৯০ শতাংশই পানি। ফলে এটি খেলে গরমে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। এটি ইলেক্ট্রোলাইট এর বিশাল উৎস। যা হাইড্রেটেড থাকতে সহায়তা করে। শুধু তাই নয়, ঘামের সাথে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া খনিজ পূরণ করে ইলেক্ট্রোলাইট। এটি সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়।

পানিশূন্যতা দূর করে : তরমুজে প্রচুর পরিমাণ পানি আছে। গরমের সময় যখন ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায় তখন তরমুজ খেলে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয়। ফলে শরীর থাকে সুস্থ ও সতেজ।

চোখ ভালো রাখে : তরমুজে আছে ক্যারোটিনয়েড। আর তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে চোখ ভালো থাকে এবং চোখের নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্যারোটিনয়েড রাতকানা প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

শারীরিক শক্তি বাড়ায়: টেক্সা এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির গবষেণায় প্রমাণিত যে যারা শারীরিক শক্তির দিক থেকে দুর্বল তাদের জন্য তরমুজ প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এই ফল শারীরিক শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্রেন স্ট্রোক কী, কাদের বেশি হয়?

সাধারণ পর্যায়ে অনেকে ব্রেন স্ট্রোক আর হার্ট অ্যাটাককে একই বিষয় মনে করে গুলিয়ে ফেলেন। বাস্তবে কিন্তু তা নয়। আসুন প্রথমে জেনে নিই ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণগুলো কি কি-

• হাত-পায়ে অবশ ভাব
• জুতোর ফিতে বাঁধতে সমস্যা
• মুখের অসাড়তা, কথা জড়িয়ে যাওয়া
• বেসামাল হাঁটা-চলা
• ঘাড়ে-মাথায় যন্ত্রণা, বমি, সংজ্ঞা হারানো

স্ট্রোক বিষয়ে শারীরবিদদের ব্যাখ্যা : হৃদযন্ত্রের ধমনীতে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হলে হার্ট অ্যাটাক হয়। আর মস্তিষ্কে রক্তের জোগান কমলে হয় ব্রেন স্ট্রোক। কোনো ধমনী আচমকা ছিঁড়ে গেলে মস্তিষ্কে রক্তপাত হয়। এই ‘সেরিব্রাল হেমারেজ’ই ব্রেন স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।

কখনো দেখা যায় কোনো কারণে ধমনী সরু হয়ে মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এর ফলেও ব্রেন স্ট্রোক হতে পারে, ডাক্তারি পরিভাষায় এর নাম ‘সেরিব্রাল থ্রম্বোসিস’।

সেরিব্রাল হেমারেজ বা থ্রম্বোসিস- কোনোটাই কিন্তু একেবারে জানান না-দিয়ে আচম্বিতে আসে না। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, দুটি ক্ষেত্রেই বেশ ক’দিন আগে থেকে ধমনীতে রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়। আর নিয়মিত রক্তচাপ মাপলেই ধরা পড়ে, শরীরের ভেতরে কোথাও না-কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছে। তবে বিপদের সেই ‘ইঙ্গিত’কে গুরুত্ব না-দেওয়ার প্রবণতাটাই চিকিৎসকদের বেশি ভাবাচ্ছে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রোগী, রোগীদের পরিজন ও অচিকিৎসক কর্মীদের ওপরে একটি ‘স্ট্রোক সচেতনতা’ সমীক্ষা চালিয়েছিলেন স্নায়ুরোগের চিকিৎসকেরা। দেখা গিয়েছে, ৬০%-৬৮% মানুষের ধারণা, স্ট্রোক হয় শুধু বুকে (অর্থাৎ হৃদযন্ত্রে) হয়। বুক ব্যথা করে। ওঁরা জানেনই না যে, এর সঙ্গে মস্তিষ্কেরও যোগাযোগ থাকতে পারে।
এ ছাড়া নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজির নিউরোমেডিসিনের চিকিৎসকেরা পাঁচ বছর ধরে বারুইপুরের রামনগরে ২০ হাজার মানুষের ওপর সাধারণ স্নায়ুরোগ সম্পর্কে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। সমীক্ষকদের অন্যতম চিকিৎসক শঙ্করপ্রসাদ সাহার আক্ষেপ, ‘স্ট্রোক জিনিসটা কী, সেটা কোথায়, কেন হয়, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মাত্র ২০%! স্ট্রোকের হার কমানোর পথে এটাই তো সবচেয়ে বড় বাধা।’

অপরদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৯ হাজার স্ট্রোক-আক্রান্তকে নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে ‘স্ট্রোক ফাউন্ডেশন অব বেঙ্গল’। তাদের রিপোর্ট ইন্দোরে ‘ইন্ডিয়ান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন কংগ্রেস’-এর বার্ষিক অধিবেশনে পেশ হয়েছে। সমীক্ষকদের অন্যতম চিকিৎসক দীপেশ মণ্ডল জানান, পশ্চিমবঙ্গে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাঁদের ৫০% সে সম্পর্কে জ্ঞাত নন। যাঁরা জানেন, তাঁদের অর্ধেক আবার চিকিৎসাই করান না, কিংবা নিয়মিত ওষুধ খান না। ফলে স্ট্রোক নিঃশব্দে থাবা বসায়।

স্ট্রোক সম্পর্কে মানুষের এ হেন ‘অজ্ঞানতা’ই মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন চিকিৎসক নিখিল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে আচমকা কারো ঘাড়ে-হাতে যন্ত্রণা শুরু হলে লোকে ভেবে ফেলবে, শোওয়ার দোষ! মাথা ব্যথা করলে মনে করবে এসিড। হাত-পা ঝিনঝিন করে অবশ হতে লাগলে ভাববে বাত। কিছুতেই ভাবতে পারবে না যে, এগুলো স্ট্রোকেরও লক্ষণ হতে পারে!’

স্নায়ুরোগ-চিকিৎসক পরিমল ত্রিপাঠীর বক্তব্য, ‘উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত হেল্থ চেক-আপ জরুরি। কিন্তু এখানকার অধিকাংশ মানুষ উদাসীন। মধ্যবিত্তদের কাছে হেল্থ চেক-আপ মানে বিলাসিতা। অথচ এটা করলে ফি বছর প্রায় ১০ লাখ লোক স্ট্রোক এড়াতে পারেন।’

বস্তুত হু-র রিপোর্ট অনুযায়ী ব্রেন স্ট্রোকের আক্রমণ-হার এখন ‘সিক্স-ইন-ওয়ান’। অর্থাৎ সারা বিশ্বে যেখানেই হোক, ছয়টি মানুষ যদি একত্রিত হন, দেখা যাবে, তাঁদের একজন না-একজন জীবনে কখনো না-কখনো এই রোগের কবলে পড়েছেন, বা পড়তে পারেন!

ধূমপান নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য
বিশেষজ্ঞদের মতে ধূমপান শুধু স্ট্রোকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তাই নয়, ধূমপায়ীদের কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি ২০০০ ভাগ, ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি ১২০০০ ভাগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ ভাগ বেশি বলে তথ্য দিয়েছেন। তবে আশার কথা হচ্ছে যাদের নীরব স্ট্রোক হয়েছে তারা যদি ধূমপান ছেড়ে দেন তবে স্ট্রোকের তীব্রতা কমতে সহায়ক হতে পারে।

আসুন জেনে নেই স্ট্রোক আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের কাদের বেশি

•  যাদের রক্তচাপ ১২০/৮০-এর চেয়ে বেশি

•  ধূমপায়ী

• যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে এবং রাতে ঘুমের সমস্যা হয়। এ ছাড়া যাদের রক্তে হোমোসিসটিনের মাত্রা বেড়ে যায়।

• যাদের হিপের পরিমাপ কোমরের পরিমাপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং রক্তে সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিনের মাত্রা বেশি।

• যাদের দৈনিক ২০ মিনিট সাঁতার কাটা অথবা দৌঁড়ানোর অভ্যাস নেই।

• যারা মদ্যপান করেন।

• যাদের পিতা-মাতা বা ভাই-বোন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন।

• এমন ব্যক্তি যিনি মাসে একবারও মাছ খান সবজিও শস্যকণা কম আহার করেন এবং যিনি খাবারে বাড়তি লবণ খান।
• নিয়মিত দাঁতের যত্ন-পরিচর্যা করেন না।

• যারা মুক্ত বাতাসে ভ্রমণ করেন না। যাদের আলসার আছে। যারা অবিবাহিত। যারা বেশি হতাশায় ভোগেন এবং যারা রাগ-ক্রোধ সংবরণ করতে পারেন না।

এ বিষয়গুলো জানার পর দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর হোন, যেসব প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা আপনার নিজের কাছেই আছে সেগুলো প্রয়োগ করুন আর প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হলো। স্ট্রোক প্রতিরোধে প্রয়োজনে অনুসরণ করুন।

• নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা
• চিকিৎসকের পরামর্শে নির্দেশিত ওষুধ-পথ্য নিয়মিত গ্রহণ
• নিয়ম করে হাঁটা
• দৈনিক খাদ্যাভ্যাসে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন
• ওজন নিয়ন্ত্রণ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নবাব জুটির চালবাজি

নবাব জুটির চালবাজি

কর্তৃক Daily Satkhira

দুজনের প্রথম ছবি ‘নবাব’ পেয়েছিল সুপারহিটের তকমা। কাল মুক্তি পাবে এই জুটির ‘চালবাজ’। শাকিব খান-শুভশ্রী গাঙ্গুলি জুটির চালবাজি নিয়ে লিখেছেন সুদীপ কুমার দীপ

‘চালবাজ’ নিয়ে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি শাকিব-শুভশ্রীকে। পহেলা বৈশাখে দুই বাংলায় একসঙ্গে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এই ছবি। বাংলাদেশের ‘চলচ্চিত্র পরিবার’-এর আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত মুক্তি দিতে পারেননি প্রযোজক। অগত্যা ভারতেও এই ছবির মুক্তি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়। এক সপ্তাহ পর কাল বাংলাদেশে মুক্তি পাবে।

লন্ডনে এই ছবির প্রথম লটের শুটিংয়েই বেঁধেছিল গণ্ডগোল। কলকাতার কলাকুশলীদের বকেয়া আদায়ের আন্দোলনের মুখে আটকে যায় শুটিং। শুটিং না করেই ইউনিট নিয়ে লন্ডন ছাড়তে বাধ্য হয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজ। এক মাস ধরে চলে সেই ঝামেলা। তখন অন্য কোনো ছবির শিডিউল না থাকায় শাকিবকে বেকারই বসে থাকতে হয়েছিল। পরে যখন শুটিং শুরু হলো তখনো বিপদ পিছু ছাড়েনি। অসুস্থ হয়ে লন্ডনের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্য করতে গিয়ে আঘাতও পান তিনি। ‘ভালো কিছু একটা হবে’—এই আশায় সব সহ্য করেছিলেন শাকিব। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের এক সপ্তাহ পর বাংলাদেশে মুক্তি পেলে ‘চালবাজ’ কি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাবে? কারণ তত দিনে এখানকার অনেক দর্শকই ছবির পাইরেটেড কপি দেখে নেবে! “ছবিটি নিয়ে অনেক রাজনীতি হলো। অথচ তাঁরা একবারও ভাবলেন না ছবি খরায় থাকা হলগুলোর কথা। পহেলা বৈশাখে ছবিটি মুক্তি পেলে হুমড়ি খেয়ে পড়ত দর্শক। হল মালিকরাও কিছু টাকা পেতেন। কিন্তু সেটা হতে দিল না চলচ্চিত্রেরই কিছু লোক। জানি না ছবিটি এখন দর্শকরা কতটুকু গ্রহণ করবে! আমি ভরসা হারাচ্ছি না। ভালো লাগার মতো অনেক কিছুই আছে ছবিটিতে। বিশেষ করে কমেডি এবং অ্যাকশন দৃশ্যগুলো দারুণ। লোকেশনও চোখে আরাম দেবে। শুভশ্রীর সঙ্গে ‘নবাব’ যেভাবে দর্শক লুফে নিয়েছিল, আশা করছি ‘চালবাজ’ ছবিটিও সেভাবে লুফে নেবে”, বললেন শাকিব।

শাকিবের সঙ্গে কাজ করাটা বেশ উপভোগ করেন শুভশ্রী। জীবনে নাকি শাকিবের মতো ঠাণ্ডা প্রকৃতির মানুষ দেখেননি—‘এক শটা কথা বলার পর একটা উত্তর পাই। কাজ ছাড়া কিছুই বোঝে না শাকিব। এত বড় একজন স্টার। চারপাশে ভিড় লেগেই থাকে। অথচ ওর কোনো অহংকার নেই। ওর সঙ্গে কাজ করার মজাই আলাদা। বাড়তি কোনো চাপ থাকে না।’

২০ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের শতাধিক হলে মুক্তি পায় ‘চালবাজ’। শুভশ্রী বলেন, ‘সেখানকার দর্শকরা দারুণ পছন্দ করেছে ছবিটি। প্রচারণায় যেখানেই গেছি, সবাই শাকিবের কথা জিজ্ঞেস করেছে। শুটিং থাকায় ও আসতে পারেনি। শাকিব এখানে নতুন। মাত্র দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ভক্ত-দর্শক তৈরি করে ফেলেছে এখানে।’

দীর্ঘ এক মাস পর ২১ এপ্রিল দেশে ফিরেছেন শাকিব। বিশ্রামেই থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাসায় রীতিমতো প্রযোজকদের লাইন। কেউ নতুন ছবি করতে চান, আবার কেউ আটকে থাকা ছবির শুটিং শেষ করতে চান। পারিশ্রমিক ৭০ লাখ টাকা হাঁকিয়েও পার পাচ্ছেন না। বললেন নিজের মুখেই, “সিদ্ধান্ত নিয়েছি বেছে বেছে ছবি করব। ভাবলাম পারিশ্রমিক বাড়ালে হয়তো অনেকে সরে দাঁড়াবেন। লাভ হলো না। যাঁকেই ‘না’ করি, তিনিই পরে বদনাম রটান। বুঝে উঠতে পারছি না আমার কী করা উচিত!”

শাকিব প্রযোজিত একটি ছবিতে অভিনয়ের কথা শুভশ্রীর। সেটির খবর জানতে চাইলে শাকিব বলেন, “এখন চলছে গল্প লেখা। শুভশ্রীর সঙ্গে কথা হয়ে আছে। এখন দেখা যাক কবে থেকে শুরু করা যায়! তবে সব কিছু নির্ভর করছে ‘চালবাজ’ ছবির সাফল্যের ওপর।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয়তাবাদের সমালোচনায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরোঁ জাতীয়তাবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদের সমালোচনা করেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে তিনি আরো বলেন, এ ধরনের নীতি বৈশ্বিক সমৃদ্ধির জন্য হুমকি।

বিবিসি জানায়, এ ধরনের বক্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ যে এজেন্ডা রয়েছে, তার সমালোচনা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

ম্যাকরোঁ বিশ্ব বাণিজ্য, ইরান ও পরিবেশ ইস্যুতে তাঁর দ্বিমতের কথা উল্লেখ করেন। কংগ্রেসে তাঁকে তিন মিনিটের স্ট্যান্ডিং ওভেশন (দাঁড়িয়ে সম্মান জানানো) দেওয়া হয়।

ম্যাকরোঁ যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যে অলঙ্ঘনীয় বন্ধের প্রশংসা করে উভয় দেশের ‘স্বাধীনতা, সহিষ্ণুতা ও সমান অধিকার’ বিষয়ে কথা বলেন।

ম্যাকরোঁ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে জোরদার সম্পর্ক তৈরি করেছেন এবং তিনি প্রথম বিদেশি রাষ্ট্রনেতা যিনি ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে রাষ্ট্রীয় সফর করলেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, দুই নেতা বিষয়ে একমত নন।

ম্যাকরোঁ বলেন, ভয় থেকে বাঁচতে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও জাতীয়তাবাদ সাময়িকভাবে কাজে লাগতে পারে। তবে বিশ্বের জন্য দরজা বন্ধ করে দিলে এর ক্রমবিকাশ বন্ধ হবে না। এর ফলে নাগরিকদের ভয়ভীতি নিভে যাবে না, বরং আরো স্ফূলিঙ্গ আকারে আসতে পারে।

ফরাসি নেতা বলেন, ‘চরম জাতীয়তাবাদের যে কাজ সহিংস হওয়া, তা আমরা হতে দেব না। আরো সমৃদ্ধির আশা থাকা এই পৃথিবীকে আমরা অস্থির হতে দেব না।’

ম্যাকরোঁ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রই জোটবদ্ধতা উদ্ভাবন করেছে এবং এখন একুশ শতকের জন্য সেটাকে নতুন করে নিয়ে আসতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

গতকাল বুধবার সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সাতক্ষীরা সুন্দরবন আদিবাসী মূন্ডা সংস্থা (সামস্) এর আয়োজনে শ্যামনগর উপজেলা সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সীগঞ্জ, আটুলিয়া, ঈশ্বরীপুর, শ্যামনগর সদর, রমজান নগর, কৈখালী ইউনিয়নে বসবাসকারী আদিবাসী মুন্ডা, রাজবংশী, মাহাতু জনগোষ্ঠর অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক এক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থানীয় পর্যায়ে আদিবাসীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, ভাষা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চা, জীবিকা/পেশা, উপসনালয় সুরক্ষা, কবর স্থানের জন্য জায়গা বরাদ্দ, মৌলিক-মানবিক সমস্যা, আদিবাসী প্রত্যয়নপত্র, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচী, সুপেয় পানি, সরকার প্রদত্ত কৃষি ও মৎস ভিত্তিক প্রণোদনা, ভূমি, চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো উপজেলা প্রশাসনের নিকট উপস্থাপন করা হয়।

এ ছাড়াও আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় ৭ দফা দাবী- সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের কোটা ভিত্তিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা; আদিবাসীদের ভূমি বিষয়ক রাষ্ট্রীয় প্রজাস্বত্ত্ব আইন ১৯৫০ এর ৯৭ ধারা যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; উপজেলা ও জেলা ভিত্তিক আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য গৃহিত নীতি নির্ধারণ কর্মসূচীতে আদিবাসী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা; আাদিবাসীদের জীবনধারাকে সরাসরি প্রভাবিত করে এমন সকল ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আদিবাসী জনগোষ্ঠির মতামত গ্রহণ করা; আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বৈচিত্রতার সাথে যথাযথসঙ্গতি বিধানের জন্য উন্নয়ণ নীতি গ্রহণ করা, আদিবাসী নারী, শিশু ও তরুণদের গুরুত্ব প্রদান করে আদিবাসীদের উন্নয়নে বাস্তবধর্মী কার্যক্রম গ্রহণ করা; সরকার কর্র্তৃক প্রদত্ত স্থানীয় সরকারের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা; আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে উপজেলা ভিত্তিক আদিবাসী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা; উত্থাপন করা হয়।

সনাক সভাপতি কিশোরী মোহন সরকার এর সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্যে আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক পরামর্শ সভা আয়োজনের প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সনাক সদস্য কল্যাণ ব্যানাজি বলেন, আদিবাসিরা প্রথম এই সুন্দরবন অঞ্চলে কৃষি ভিত্তিক চাষাবাদ শুরু করে। কিন্তু এখন তারা আজ নানা মস্যায় জর্জরিত।’ তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ অঞ্চলের আদিবাসীদের জীবন মান উন্নয়নে ভূমিসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে উপজেলা প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। শুভেচ্ছা বক্তব্যে সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস্)’র সভাপতি গোপাল কৃষ্ণ মুন্ডা আদিবাসি ভায়া ও সংস্কৃতি রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ কামরুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী অফিসার,শ্যামনগর। প্রধান অতিথি বলেন,“বাংলাদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেক জটিলতা আছে। আদিবাসীরাও এর বাইরে নয়। তারা যেসব খাস জমিতে আছেন অনেক ক্ষেত্রেই এগুলো নিয়ে বিভিন্ন আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তারপরও আশার কথা হচ্ছে আদিবাসী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে সরকারের ম্যান্ডেট বাস্তবায়ন করাই আমাদের দায়িত্ব।” তিনি আদিবাসীদের ভূমি, সুপেয় পানি, কবর স্থান, আদিবাসী প্রত্যায়নপত্র প্রদান এবং আদিবাসীদের উন্নয়নের মূল ধারায় যুক্ত করতে জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তি, মৎস, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগী পালন প্রশিক্ষণ, ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষা সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরণ করার বিষয়ে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সামস্ এর নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণ পদ মুন্ড। অন্যান্যে মাঝে বক্তব্য রাখেন সনাক সহ-সভাপতি মো. তৈয়েব হাসান, সনাক সদস্য প্রফেসর আব্দুল হামিদ। এসময় সনাক সদস্য ড. দিলারা বেগম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, সামস্ সহ-সভাপতি রাম প্রসাদ মুন্ডা, সামস্ এর প্রোগ্রাম অফিসার দিপংকর বিশ^াস এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চলনা করেন টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার আবুল ফজল মো. আহাদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বেনাপোলে বাংলাদেশি ১৮ তরুণী ও ১ শিশুকে ফেরত দিল ভারত

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি: ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশী ১৮ তরুনী ও ১ শিশুকে পাচারের দুই থেকে তিন বছর পর বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ফেরত পাঠিয়েছেন ভারত সরকার। বুধবার ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বিশেষ ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ফেরত বাংলাদেশিরা হলেন, আয়েশা (২৭) স্বপ্না (২৪) সুলতানা (২২) রিনা (২৩) রুমা (২০) শান্তা (১৬) রুপা (১৫) হালিমা (২০) নাজমা (২৪) মারিয়া (১৭) হালিমা বেগম (১৬) ইতি (১৫) রিক্তা (১৭) আশা (২২) নাছিমা (১৭) আদুরী (২৩) ডলি (২৮) রিনা (২৫) ও শিশু আব্দুল্লাহ (২)

ফেরত আসাদের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল, বরিশাল, পিরোজপুর, বাগেরহাট, যশোর , সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার বিভিন্ন গ্রামে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এরা সীমান্তের বিভিন্ন পথ দিয়ে গত ২ থেকে ৩ বছর আগে ভারতে পাচার হয়। ভারতের মোম্বাই শহরে এরা বাসাবাড়ির কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি শেল্টার হোমে আশ্রয় নেয়। এরপর দুদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় চিঠি চালাচালির এক পর্যায় তাদের বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দিয়ে ফেরত দিয়েছে ভারত সরকার।

রাইটস যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিদ আহম্মেদ জানান, দুই থেকে তিন বছর আগে পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে এরা দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে যায়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে অদালতে সোপর্দ করে। সেখান থেকে ভারতের রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের কাছে রাখে। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ক্রমে ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় তাদের ফেরত আনা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদ একমত

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একমত। সেই অনুযায়ী তারা কাজ করছে। এরই প্রতিফলন হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপর্যায়ের একটি দল বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদ একমত। আগে তো এটি নিয়ে কথাই বলা যেতো না। এখন তারা সবাই মিলে আসছে। এটি একটি বিরাট ফরোয়ার্ড মুভমেন্ট।’
প্রসঙ্গত, ১৫-সদস্য বিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদের ১০ জন স্থায়ী প্রতিনিধি ও পাঁচ জন উপস্থায়ী প্রতিনিধিসহ ৩০ জনের একটি দল প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করবে।
এই প্রসঙ্গে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘অস্থায়ী নয় সদস্যের স্থায়ী প্রতিনিধি ও যুক্তরাজ্যের স্থায়ী প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফরে আসবেন।’
নিরাপত্তা পরিষদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে, এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রথম অবস্থা থেকে পরিবর্তন কিছুটা এসেছে। আগে যেমন মনে হয়েছে, তারা আরও বেশি গঠনমূলক হতে পারতো বা কিছুটা দূরত্ব রেখে বক্তব্য দিচ্ছে কিন্তু এখন তারা অনেক বেশি গঠনমূলক। বিষয়টি কাছ থেকে দেখছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে চীন এখন অনেক বেশি গঠনমূলক। চীনের প্রথম দিকের বক্তব্য যে রকম ছিল, সেই অবস্থান থেকে তারা সরে এসেছে।’
নিরাপত্তা পরিষদের এই সফরের জন্য মিয়ানমার যে রাজি হয়েছে, এখানে বেইজিংয়ের প্রভাবের প্রতিফলন দেখা যায় বলে মনে করেন রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে কী আশা করে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের আশা হচ্ছে, তারা সরেজমিনে দেখবে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলবে, তারা কিভাবে ফেরত যেতে চায়, সেটি বুঝে নিয়ে তারপর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে তাদের সুবিধা হবে, এ বিষয়গুলো মিয়ানমারের অবস্থান জানার জন্য। এরপর নিরাপত্তা পরিষদ কোনও সিদ্ধান্ত নিলে এর আলোকে তারা নেবে।’
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে কী জানাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা কিভাবে নিরাপদে ফেরত যেতে পারে, তাদের টেকসই জীবনযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, এই বিষয়টির ওপর জোর দেব। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বা অন্য বিষয়গুলো মিয়ানমার সরকারের বিষয়। আমরা চাইবো প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যেন সুন্দরভাবে শুরু হয়, টেকসইভাবে হয়। এই লোকগুলো যেন বারবার ফেরত না আসে।’ তিনি বলেন, ‘প্রত্যাবাসন-প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা পরিষদের দিকনির্দেশনার দরকার আছে। মূল কাজটি মাঠপর্যায়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ অন্যরা করবে কিন্তু দিকনির্দেশনা, সুপারভিশন ও কাস্টডিয়াশিপ এগুলো যদি মিয়ানমারের কাছ থেকে আসে, তবে মিয়ানমারের পক্ষে গড়িমসি করা অসুবিধা হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শার্শায় সড়ক গুলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাক্টর
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি : শার্শার মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মরন যান ট্রাক্টর, আলমসাধু, নছিমন, ইঞ্জিন ভ্যান। মরছে নিরহ মানুষ। পকেট ভারি করছে প্রভাবশালী ও প্রশাসনের অসাধু ব্যক্তিরা। প্রতিবাদ করলেই জীবন নাশের হুমকি।
শার্শার গ্রাম গঞ্জ থেকে শুরু করে শহর বাজারের সকল স্থানে এখন যন্ত্রদানব ট্রাক্টর, নম্বর বিহীন হুইলার, মান্ধ্যাত্মা আমলের ট্রাক, ট্রলি, আলম সাধু ও নছিমন। যা রয়েছে প্রভাবশালীদের কব্জায়। চালকের লাইসেন্স তো দুরের কথা চালানোর নেই কোন অভিজ্ঞতা। ট্রাকের ফিটনেস না থাকলেও চলছে হুড়মুড়িয়ে।
গ্রামের রাস্তা গুলি চিকন তাই কি হয়েছে ? দানবের মত চলছেই ও চালাচ্ছে। কাচা রাস্তুা গুলি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে দেদার্ছে করছে মাটি-বালু বহন। যার ফলে কাচা রাস্তা গুলি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা এ সকল সড়ক গুলিতে চললেও তাদের থামানোর ব্যবস্থা নিচ্ছেই না বলে অভিযোগ উঠেছে।
আবার অনেকে অভিযোগ করে বলছে, প্রশাসনের দারে ঘুরেও কোন ফল হয়নি। বরং প্রভাবশালীদের হুমকিতে চুপসে যেতে হয়েছে। তবে কোন কোন স্থানে প্রশাসন কতৃক জরিমানার কথা শোনা গেলেও মাটি বালি উত্তোলন বন্ধ হয়নি। বরং প্রভাবশালীরা বীর দর্পে আগের চেয়ে বহু গুনে এ সব মরন যান সড়কে নামিয়ে মাটি বালি তুলে ভূমীর শ্রেণী পরিবর্তন করে চলেছে। ফলে ভুমীর নব্যতা বৃদ্ধি পেয়ে ফসল ফলানোর ক্ষমতা হারাচ্ছে চাষী জমি। চাষী জমির পাশ দিয়ে বালি মাটি বহনের ফলে ধুলা মাটি উড়ে পড়ছে ফসলের উপর। যার ফলে জমির ফলন ব্যাপকহারে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভূমীর শ্রেণী পরিবর্তনে সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কে শোনে কার কথা। আর কেই বা করে তদারকি। এ যেন মঘের মুলুকে পরিনত হয়েছে।
ট্রাক্টর-ট্রলি, হুইলার, আলমসাধু মহাসড়কে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এ যন্ত্রদানব গুলির চালকরা তা মানছেই না। বরং নতুন করে বিষ ফোড়া হয়ে দেখা দিয়েছে ইঞ্জিন চালিত ভ্যান। তিন চাকার এ ইঞ্জিন চালিত ভ্যান গুলির দ্রুত গতির ফলে মহা সড়ক গুলিতে প্রতিদিন দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে।
এ দিকে মহা সড়কের পার্শবর্তী এলাকা গুলিতে গড়ে উঠছে ইটের ভাটা সহ মিল কারখানা। সড়কের পাশে গর্ত খানা বুজিয়ে করা হচ্ছে রাস্তা নির্মান। মাটি বালি বহনের ফলে সড়কে পড়ছে তা। যার ফলে সড়কের প্রতিদিন রাস্তায় ধুলার স্তর জমছে। যান চলাচলের সময় ধুলা ওড়ে। একটু বৃষ্টি হলেই দুর্ঘটনা বেড়ে যায় বহুগুনে। তখন মৃত্যুর মিছিলে পরিনত হয় সড়ক গুলো। যার ইতিহাস জন্ম দিয়েছিল ২০১৭ সালের গ্রীস্ম মৌসুমে। এক রাতে গুটি গুটি বৃষ্টির ফলে নাভারন-সাতক্ষিরা সড়কের কুচেমুড়া নামক স্থানে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যায়। সে রাতে ৬জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল কর্দময় পিচ্ছিল এ সড়ক।
নাভারন-বেনাপোল ও নাভারন-বাগআঁচড়া মহা সড়কে প্রতিদিন ২শতাধিক ট্রাক্টর, হুইলার, পুরাতন ট্রাক চলছে। যাদের চালক গুলির নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স। এ সব যন্ত্রদানবের নেই কোন রেজিট্রেশন। ফলে আনাড়ী চালকারা প্রতিদিনই ঘটাচ্ছে দুর্ঘটনা। মরছে নিরীহ মানুষ, হচ্ছে পঙ্গু।
গত ১০ মার্চ এ বালি বহনকারী ট্রাকের দুর্ঘটনার শিকার হয়ে জীবন দিতে হল বাগআঁচড়ার দুই স্কুল ছাত্রীকে। প্রতিবাদ করতে পারেনি কেউ। কারন ট্রাকটি ছিল প্রভাবশালীদের এবং আর তাদের সাথেই মাসিক চুক্তিতেই এ ট্রাক গুলিকে সড়কে দাপিয়ে বেড়ানোর ইজারা দিয়েছে বলে প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তারাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
এখনই যদি এ যন্ত্রদানবকে থামানো না যায় তাহলে মৃত্যুর মিছিলে পরিনত হবে এ দুটি মহাসড়ক। সন্তান হারাবে পিতা-মাতা। মেধাবী শিক্ষার্থী হারা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি। শোকের মিছিলে পরিনত হবে সড়ক গুলি। চাষী তার ভূমীতে ফসল ফলানোর ক্ষমতা হারাবে। ভূমীতে ঘটবে শ্রেণী পরিবর্তন।
অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের সাথে বিশেষ চুক্তির ফলে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ট্রাক্টর সমিতির কাছ থেকে মাসিক ১২শ’ টাকার বিনিময়ে মাসোহারা নিয়ে প্রভাবশালীরা প্রশাসনের মুখে কুলুপ এটে দিচ্ছে। যার ফলে সড়ক গুলিতে মৃত্যুর মিছিল বাড়তে আছেই।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest