সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

সেই ডিআইজি মিজানকে এবার দুদকে তলব

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে আগামী ৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে তলব করা হয়েছে।

বুধবার দুদক থেকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে মিজানুর রহমানকে আগামী ৩ মে সকাল সাড়ে ৯টায় দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

মিজানুরকে যথাসময়ে দুদক কার্যালয়ে হাজির হওয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য আইজিপি বরাবর অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।

জানা গেছে, নামেবেনামে ডিআইজি মিজানের শতকোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ আছে দুদকের কাছে। সেই অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে ১০ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীর স্বাক্ষরে বিভিন্ন সংস্থায় আয়ের বিষয়ে জানতে তথ্য এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা ও বরিশাল জেলা রেজিস্ট্রার, বিআরটিএ, রাজউক, রিহ্যাবসহ সংশ্লিষ্ট অফিসে চিঠি দেয়া হয়েছিল।

এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য হাতে আসায় ডিইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে তলব করা হয়েছে।

এর আগেও ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করেছিল দুদক। কিন্তু তখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগটি নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তবে এবার নতুন করে অনুসন্ধানে তার চাকরি জীবনে যাবতীয় আয়-ব্যয়, এনবিআরে দেয়া সম্পদের তথ্য, নারীঘটিত বিষয়ে অর্থ খরচের পেছনে টাকার উৎস, বিদেশে পরিবার-পরিজনের জন্য পাঠানো অর্থসহ পুরো বিষয়টি অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়েছে।

ডিআইজি মিজান ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।

দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানুরের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনেরও অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রমাণ পায় পুলিশের তদন্ত কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।

সর্বশেষ ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকা প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তুলেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ঢাবি ছাত্রীকে হত্যার দায়ে ঢাবি ছাত্র স্বামীর যাবজ্জীবন

আসাদুজ্জামান: স্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী মাশহুদা সুলতানাকে হত্যার দায়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র স্বামী আবদুল কুদ্দুসকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন। আসামি আব্দুল কুদ্দুস এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাজা প্রাপ্ত আসামি আব্দুল কুদ্দুস (২৫) খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার শ্রকিন্ঠপুর গ্রামের মৃত মহিউদ্দীন সরদারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের মৃত শাহসূফী আহম্মদ মাও. মোঃ এলাহি বক্সের মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী মাসহুদা সুলতানা ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র আব্দুল কুদ্দুস ২০১২ সালের প্রথম দিকে দুইজন দুজনকে ভালাবেসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী আব্দুল কুদ্দুস অন্য আর একটি মেয়ের সাথে প্রেম ঘটিত ব্যাপারে জড়িয়ে পড়েন। স্বামীর এই অনৈতিক কর্মকান্ডে তার স্ত্রী প্রায়ই বাধা দিতেন। এক পর্যায়ে ২০১২ সালেরর ২২ জুন রাতে আব্দুল কুদ্দুস তার শ্বশুর বাড়ি সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের পীর বাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রী মাসহুদার সাথে এই বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় আব্দুল কুদ্দসের শ্বাশুড়ি তার মেয়েকে নিয়ে আলাদা রুমে ঘুমাতে যান। গভীর রাতে আব্দুল কুদ্দুস তার স্ত্রীকে মোবাইলে তার রুমে ডেকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় ওড়না ও গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ভোরে তিনি ফজরের নামাজ আদায়ের কথা বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর সকালে ঘাতক কুদ্দুস সাতক্ষীরা সদর থানায় আত্মসমর্পণ করে পুলিশকে জানান তিনি তার স্ত্রী মাশহুদাকে হত্যা করেছেন। কুদ্দুস পরে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দেন।
নিহত মাসহুদার চাচা আব্দুল্লাহিল গালিব বাদী হয়ে আসামী আব্দুল কুদ্দুসের নামে সদর থানায় ওই দিনই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হাসান ওই বছরের ১৫ আগষ্ট দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামীর নামে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলার নথি ও ১২ জন স্বাক্ষীর জবানবন্দি দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে বিচারক আজ বুধবার দুপুরে এ মামলার আসামী আব্দুল কুদ্দুসকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস কারাদ্বন্ড প্রদান করেন।
এ মামলায় আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. আবু বক্কর ছিদ্দিক। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সাবেক পিপি এড. এসএম হায়দার আলী ও এপিপি এড. দাশ কার্ত্তিক চন্দ্র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জামিন পেলেন সাতক্ষীরা যুবলীগের আহবায়ক মান্নান

জামিন পেয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতে মান্নানের জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ পৌর আওয়ামীলীগের সভায় জেলা যুবলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায়্এক পক্ষের দায়েরকৃত মামলায় মান্নান কে আটক করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি জেল হাজতে ছিলেন।
—বিস্তারিত আসছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভিটামিন ডি-এর উপকারিতা
আমাদের শরীরের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদানের মধ্যে একটি হলো ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি-এর অভাবে শিশুদের রিকেটস (হাড় বাঁকা), অস্টিও মেলাশিয়া, বয়স্কদের হাড় ক্ষয় ইত্যাদি হয়ে থাকে। ভিটামিন ডি সূর্যের আলোক রশ্মির উপস্থিতিতে মানবদেহের চর্মে উৎপন্ন হয়। এছাড়া ভোজ্য তেল, দুগ্ধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য, বিভিন্ন মাছের তেল, ডিমের কুসুম, মাখন, ঘি, চর্বি ও মাংসে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি অস্থি ও দাঁতের কাঠামো গঠন করে।
অন্ত্রে ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়ায়, রক্ত প্রবাহে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন ডি আগামী প্রজন্মের (শিশুদের) ভ্রূণ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর অভাবে শিশুদের হাড় নরম হয়ে যায় ও বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
পায়ের হাড় ধনুকের মত বেঁকে যায়, হাত ও পায়ে অস্থিসন্ধি বা গিট ফুলে যায়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণ বিঘ্ন ঘটে, থাইরয়েড গ্রন্থির কাজের পরিবর্তন ঘটে, অস্থি দুর্বল ও কাঠিন্য কমে যায়। ফলে হালকা আঘাতে অস্থি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভিটামিন ডি-এর অভাব প্রতিরোধ করতে শিশুকে প্রতিদিন ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। পাশাপাশি শিশুকে কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের নরম আলোয় বিশেষ করে সকাল ও বিকাল বেলা খেলাধুলা করতে দিতে হবে। এছাড়া শিশুদের পাশাপাশি বড়দের সূর্যের আলোয় প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট থাকতে হবে ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। উপরোক্ত কোন লক্ষণ দেখা গেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে পুলিশের অভিযানে ৩৭ মাওবাদী নিহত
ভারতে পুলিশের অভিযানে অন্তত ৩৭ মাওবাদী নিহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আরো কিছু মৃতদেহ উদ্ধার করায় মৃতের সংখ্যা বাড়ে। গত রবিবার এবং সোমবার মহারাষ্ট্রে দুই দিন ধরে মাওবাদীবিরোধী অভিযান চালায় পুলিশ। খবর রয়টার্স ও এনডিটিভি’র
মাওবাদী দমনের লক্ষ্যে গড়চিরোলি পুলিশ মহারাষ্ট্রের তারগাঁও গ্রামে অভিযান শুরু করে। পুলিশের কাছে খবর ছিল, তারগাঁও এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে বেশ কিছু মাওবাদী। খবর পেয়েই অভিযানে নামে সি-৬০ নামের একটি বিশেষ দল। সি-৬০ মূলত মাওবাদী দমন অভিযানে প্রশিক্ষিত বাহিনী।
রবিবারের অভিযানে চার ঘণ্টা ধরে পুলিশ ও মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। এতে নারীসহ ১৬ মাওবাদী নিহত হয়। ওই অভিযান সফল হওয়ার পর সোমবার গভীর রাতে ফের অভিযান শুরু হয়। কর্নসুর জঙ্গলে প্রায় ৯০ মিনিট পুলিশের সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই চলতে থাকে। ইন্দ্রাবতী নদী দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশ গুলি চালালে অনেক মাওবাদীর মৃতদেহ নদীতে পড়ে যায়। সোমবার এবং গতকালও মৃতদেহ পানিতে ভেসে ওঠে।
গড়চিরোলির পুলিশ কর্মকর্তা প্রশান্ত দিবাতি বলেছেন, সোমবার এবং মঙ্গলবার আমরা ১৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। সোমবার রাতে পুলিশের গুলিতে আরো ৬ জন নিহত হয়।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবশেষে কালিগঞ্জ থানার বিতর্কিত ওসি সুবীর দত্ত স্টান্ড রিলিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানার বিতর্কিত ওসি সুবীর দত্তকে স্টান্ড রিলিজ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই কালিগঞ্জ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) রাজীব হোসেনের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন সুবীর দত্ত।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানা এলাকায় বি এন পি কিংবা জামাত শিবির নয়, পুলিশ আতংকে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন একালাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দিন মুজুরও। চাহিদা মত চাঁদার টাকা না দিতে পেরে দীর্ঘদিন বাড়িছাড়া রয়েছের অনেকে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতিসহ একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ- অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা আর চাঁদাবাজ অফিসার ইনচার্জ সুবীর দত্ত। যার কারণে উপজেলা এলাকায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্দ ছিলেন।
কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ. লীগের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের স্বাক্ষরিত স্বরাস্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিআইজি বরাবর দায়ের করা অভিযোগে জানা গেছে, থানা অফিসার ইনচার্জ কালিগঞ্জ থানায় (১১/১১/২০১৭) যোগদানের পর থেকে এলাকার নিরীহ মানুষদের তুলে নিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া, মাদক ব্যবসায়ীর প্রাধান্য দেওয়া, সন্ত্রাসীদের পরিবর্তে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের ধরে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো ও জনগণের প্রয়োজনে কাজে না আসাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন।
অভিযোগ আছে, ওসি সুবীর অবৈধ ও অনৈতিকভাবে থানা এলাকার প্রায় তিন শতাধিক ধনি ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ওসির বাসায় রেখে চাপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে। অভিযোগের সাথে ভুক্তভোগীদের নামের তালিকাও গণমাধ্যমের কাছে এসেছে।
এমনিভাবে কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস.এম নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ ইউপি সদস্য ডালিম স্বরাস্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডি আই জিসহ বিভিন্ন দপ্তরে সুবীর দত্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে একাধিক তদন্ত সম্পন্ন হয়। একপর্যায়ে থানার উপ-পরিদর্শক প্রকাশ ও ইস্রাফিলকে ক্লোজড করা হয়ে। কিন্তু বিতর্কিত ওসি সুবীর দত্তসহ জড়িতদের অপসারণে দাবি অব্যাহত থাকায় মঙ্গলবার তাকে স্টান্ড রিলিজ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডিআইজি মিজানের হুমকিতে ৪ মাস গৃহবন্দী এক সংবাদ পাঠিকার পরিবার

অনলাইন ডেস্ক: পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিয়ে লুকাতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নারী নির্যাতনের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছিল পুলিশের তদন্ত কমিটি। তাঁকে ঢাকা মহানগর পুলিশ থেকে প্রত্যাহারও করা হয়েছিল। কিন্তু থামানো যায়নি। এবার তাঁর বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকা প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তুলেছেন।
ওই সংবাদ পাঠিকা প্রথমে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রত্যাহার হওয়া অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান মুঠেফোনে তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। তিনি বাড়ির বাইরে বের হলে তাঁকে হেনস্থা করবেন ও অশ্লীল ছবি তৈরি করে প্রচার করবেন। ১০ এপ্রিল তিনি তাঁর নামে খোলা একটি ফেসবুক পেজের কথা জানতে পারেন। তিনি দেখতে পান, ওই পেজটি তাঁর নামে খোলা এবং সেখানে তাঁর ছবির সঙ্গে অশ্লীল ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগে সংবাদ পাঠিকা অভিযোগ জানিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন।
জানতে চাইলে, বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মঙ্গলবার বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগও তদন্তে যুক্ত হয়েছে। তাঁরা মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন কি না, জানতে চাইলে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখছে।
ঘটনার শিকার ওই গণমাধ্যমকর্মী বলেন, এর আগেও প্রত্যাহার হওয়া অতিরিক্ত কমিশনার তাঁকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করেছেন। তাঁর আশঙ্কা, মিজানুর রহমান প্রভাব খাটিয়ে তাঁর ও তাঁর স্বামীর মুঠোফোন নম্বর অনুসরণ করেন। তাঁর স্বামীও এর আগে সাভার থানায় জিডি করেছেন। কথা বলার সময় ওই গণমাধ্যমকর্মী অনবরত কাঁদছিলেন। তিনি বলছিলেন, মিজানুর রহমানের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ওঠা-বসা রয়েছে। এর আগে টিভি চ্যানেলের গাড়িতে করে বাড়ি ফেরার সময় হাতিরঝিলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন। মিজানুর রহমান তাঁকে ফোন করে ৬৪ টুকরো করে ফেলার হুমকি দিয়েছেন, বলেছেন তাঁর মাথা জিরো পয়েন্টে ঝুলিয়ে রাখবেন। প্রাণভয়ে তিনি ও তাঁর স্বামী গত চার মাস ঘরবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। একমাত্র সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পারছেন না।
মিজানুর রহমান ওই সংবাদ পাঠিকার কাছ থেকে কী চান জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিজানুর একজন বিকৃত রুচির মানুষ। তিনি নানা ছলছুতোয় নারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়েন ও তাঁর ইচ্ছামতো চলতে বাধ্য করেন। মিজানুর তাঁকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন ওই নারী।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে মিজানুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর কোনো বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
এর আগে মরিয়ম আক্তার ইকো নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে বিয়ের অভিযোগ করেন। গত ৮ জানুয়ারি পুলিশ সদর দপ্তর মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পুলিশ সদর দপ্তর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মইনুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার শাহাবুদ্দীন কোরেশী ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মিয়া মাসুদ হোসেন। কমিটি মিজানুরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ পায় বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাকে সম্মান জানাতে ইন্দোনেশিয়ার স্কুলে অসাধারণ রীতি

ধর্মগ্রন্থ বলছে, মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহস্ত। কিন্তু অনেক সন্তানই আছেন যারা মাকে একটা সময়ে যথাযথ সম্মান দেওয়া তো দূরের কথা, রীতিমত অবজ্ঞা করেন। আর এর জন্য দায়ী ধর্মীয় ও মানবিক শিক্ষার অভাব। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালাবাসার শিক্ষাটা শৈশবেই শিশুর মগজে-মননে-অভ্যাসে গেঁথে দেওয়া উচিত।

মায়ের প্রতি সম্মান জানাতে ইন্দোনেশিয়ার একটি স্কুলে পালন করা হয় অসাধারণ এক রীতি। ওই স্কুলে প্রতিবছর বাধ্যতামূলকভাবে একটি অন্যরকম দিন পালন করা হয়। ওইদিন সব ছাত্র-ছাত্রীর মা-কে স্কুলে আমন্ত্রণ জানানো হয়। স্কুলের মাঠে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সব ছাত্রকে নির্দেশ দেওয়া হয় নিজেদের মায়ের দুই পা পানি দিয়ে পরিস্কার করে মুছে দিতে। ছাত্ররা যত্নের সঙ্গে সেই নির্দেশ পালন করে।

কিন্তু কেন এই কর্মসূচি? কারণ, ইন্দোনেশিয়ার ছাত্রদের জীবনের প্রথম পর্ব থেকেই শেখানো হয়-ভবিষ্যত জীবনে তারা যেন বাবা-মায়ের যত্ন নিতে ভুল না করে। এর মাধ্যমে দেশটির শিশুদের বার্তা দেওয়া হয়-‘মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহস্ত।’ এটা ইসলাম ধর্মের বাণী।
ওই রীতির মাধ্যমে শুধু মায়ের প্রতি নয় একজন নারীর প্রতিও বাল্যকাল থেকে শ্রদ্ধাবোধ তৈরী হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন অনেকেই।

ইন্দোনেশিয়ার স্কুলের এই রীতি হায়দরাবাদ মিশন স্কুলেও পালন হয় বলে জানা গেছে।

ইসলামের খলিফা হযরত আলী বলেছেন, ‘যে মা তোমাকে কথা বলা শিখিয়েছেন তাঁর সাথে তীক্ষ্ণ ভাষায় কথা বলো না।’

আসুন, সুন্দর মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলি, মাকে ভালোবাসি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest