পুলিশ কর্মকর্তা পপির মানবিক কর্মকাণ্ড দেখে উপস্থিত যাত্রীরা মুগ্ধ। অনেকের মতে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের নিজ হাতে সেবা দিয়ে তিনি পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন।
মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে আজিমপুর-গাজীপুর রুটে চলাচলকার একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা কয়েকটি গাড়িকে প্রচণ্ডবেগে ধাক্কা দেয়, এতে অন্তত ৮-১০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা পুলিশের নারী কর্মকর্তা পপি এগিয়ে আসেন, তিনি নিজে ড্রাইভ করে বাসটিকে সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন। আহতদের নিজ হাতে সেবা দিতে থাকেন। পুলিশ কর্মকর্তা পপির এই কর্মকাণ্ড সেখানে উপস্থিত থাকা কয়েকজন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধারণ করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়ার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তার এই কাজকে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

সেখান থেকে মটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে শহরের নিউ মার্কেটস্থ শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে পৌছে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদ্য কারামুক্ত জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান। এসময় তিনি বলেন, “স্বাধীনতা দিবসের জনসভায় এমপি রবির নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছিলো। এমপি রবি সাতক্ষীরায় যুবলীগকে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এমপি রবি কখনো আওয়ামীলীগের লোক হতে পারে না। সে আওয়ামীলীগের লোক হলে যুবলীগের ছেলেদের বুকে কোপ মারতে পারতো না। আমাকে রাজনৈতিকভাবে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে এমপি রবি। আমার পরিবারের একটি ব্যক্তিও আওয়ামীলীগের বাইরে অন্য কোন দলের রাজনীতি করে না। আমার বড় ভাই একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। তিনি শ্রমিকলীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক। আমি ১৯৮২ সাল থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্রলীগ, যুবলীগের রাজনীতি করে আসছি। ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় এমপি রবি’র ভাই মহি আলম স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে ছাত্রসমাজের হয়ে আমাদের ছাত্রলীগ যুবলীগের মিছিলে হামলা চালিয়েছিলো। ১৯৯০, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৭-০৮ সালের আন্দোলনের সময় কোথায় ছিলো এমপি রবি ও তার ভাইয়েরা? আমরা রাজপথে থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার জন্য জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছি। আর আজ এমপি রবি আমাকে যুবলীগ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। আমি তাকে দুইশত বছর সময় দিলাম পারলে আমাকে যুবলীগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখাক। আপনারা সবাই জানেন, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের জনসভায় আমি যখন বক্তব্য রাখছিলাম তখন এমপি রবির হুকুমে আমর উপর আক্রমণ করা হয়। অথচ কি নির্লজ্জ্ব, কি বেহায়া আমার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মিথ্যা মামলা করেছে। আমার সাতক্ষীরা জেলার যুবলীগের সকল নেতাকর্মী যারা আমাকে মুক্ত করার জন্য মিছিল করেছেন, মিটিং করেছেন তাদের সকলের প্রতি চিরকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা প্রত্যেকে নিজ নিজ এলাকায় যুবলীগকে আরো সংগঠিত করুন। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করার জন্য যুবলীগকে কাজ করতে হবে। সাতক্ষীরায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রী তাকেই মনোনয়ন দেবেন যিনি নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন, জনগণের পাশে আছেন। জনবিচ্ছিন্ন কাউকে নেত্রী আর মনোনয়ন দেবেন না।”
