সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

বাড়ি কিংবা স্থাপনা তৈরিতে কাঠের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। স্থাপনা নির্মাণে কাঠ ব্যবহার করতে ২০১০ সালে জাপান সরকার তো রীতিমতো আইন পাশ করেছিল। কিন্তু সেটি শুধু তিন তলার ভবনের চেয়ে ছোট স্থাপনার ক্ষেত্রে।

জাপান ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। সারাবছরই ভূমিকম্প হয় দেশটিতে। কিন্তু এত ঝুঁকি সত্ত্বেও কাঠ দিয়েই ৭০ তলা ভবন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে সুমিতোমা ফরেস্টি নামের জাপানের একটি কোম্পানি। ২০৪১ সালে কোম্পানিটির ৩৫০ বছর পূর্তি হবে। তার আগেই তৈরি হবে সেই আকাশছোঁয়া ভবন।

ভবনটি নির্মাণে এক লাখ ৮০ হাজার কিউবিক মিটার কাঠ ব্যবহার করা হবে। যাতে ৮ হাজার ঘর থাকে। প্রত্যেক ঘরে থাকবে গাছ আর বারান্দায় থাকবে পাতাবাহার।

সুমিতোমা ফরেস্টি নামের ওই কোম্পানি বলেছে, ‘ভবনটি নির্মাণে স্টিল ব্যবহার করা হবে। তবে সেটি ১০ শতাংশের বেশি নয়। ভবনের থাম তৈরিতে এ স্টিল ব্যবহার করা হবে যা ভূমিকম্প হতে এটিকে রক্ষা করবে। ‘ সূত্র: বিবিসি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মিউনিখে নিজেদের মাঠে তুর্কী ক্লাব বেসিকতাসের বিপক্ষে গোল উৎসব করেছে বায়ার্ন। ম্যাচ শুরুর ১৬ মিনিটেই লাল কার্ড পায় বেসিকতাস।

এদিন সময় থমাস মুলারকে ডি বক্সের সামনে রুখতে গিয়ে ফেলে দেন বেসিকতাসের দোমাগোজ ভিদা। রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান তাকে। বাকি সময় দশজনের বেসিকতাসকে নিয়ে ছেলেখেলা খেলেছে বায়ার্ন।

৪৩ থেকে ৮৮ মিনিটের মধ্যে পাঁচ-পাঁচবার তুরস্কের ক্লাবটির জালে বল জড়িয়েছে হেইঙ্কেসের শিষ্যরা। তাতে ৫-০ গোলে বেসিকতাসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল জার্মান জায়ান্টরা।

১৬ মিনিটেই ব্লাক ঈগলরা দশজনের দলে পরিণত হলেও ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ এরিনায় ৪৩ মিনিটের আগে জালের নাগাল পায়নি বায়ার্ন। এ সময় বামপ্রান্ত থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান কিংসলে কোমান। ততোক্ষণে ডি বক্সের মধ্যে জটলা পাকিয়ে যায়। জটলার মধ্যে বল বাড়িয়ে দেন কোমান। বল পেয়ে যান ডেভিড আলবা। তিনি কাট করে বল দেন থমাস মুলারকে। মুলার বল পেয়েই ঘুরে শট নেন। বল গোলরক্ষের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে গিয়ে জালে আশ্রয় নেয়। প্রথমার্ধে এই একটি গোলই হয়।

বিরতির পর ৫২ মিনিটে কিংসলে কোমান গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এ সময় রবার্ত লেভানডোস্কির বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গোল পান কোমান। ৬৬ মিনিটে মুলার তার জোড়া গোল পূর্ণ করলে বায়ার্ন এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে। এ সময় আরিয়েন রোবেনের কাছ থেকে বল পেয়ে যান জশুয়া কিমিচ। তিনি ডানপ্রান্ত থেকে উঁচু করে বল বাড়িয়ে দেন আগে থেকেই গোলমুখে থাকা মুলারকে। উড়ে আসা বলে পা লাগিয়ে জালে পাঠান আনমার্ক মুলার।

পরের গল্পটুকু শুধুই পোলিশ তারকা রবার্ত লেভানডোস্কির। ৭৯ মিনিটে লেভানডোস্কি তার প্রথম গোলটি করেন। এ সময় ম্যাট হামেলস ২০ গজ দূর থেকে জোরালো শট নেন। তার শট ফিরিয়ে দেন বেসিকতাসের গোলরক্ষক ফাবরি। বল গোলরক্ষের একটু সামনে পরে। গোলরক্ষক যতোক্ষণে উঠে দাঁড়ান তার আগেই দৌড়ে গিয়ে শট নিয়ে বলকে তার গন্তব্যে পাঠান লেভানডোস্কি (৪-০)। ৮৮ মিনিটে থমাস মুলারের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন পোল্যান্ডের এই তারকা। তাতে ৫-০ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাভারিয়ানরা।

১৪ মার্চ ফিরতি লেগে বেসিকতাদের মাঠ ভোডাফোন এরিনায় খেলতে যাবে বায়ার্ন। সেমিফাইনালে যেতে হলে ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে বায়ার্নের বিপক্ষে ৬-০ গোলে জিততে হবে তুরস্কের ক্লাবটিকে। যা শুধু কঠিনই নয়, অসম্ভবও বটে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ঢালিউডের আলোচিত জুটি শাকিব খান-অপু দম্পতির বিচ্ছেদটা অনুমিতই ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে লোকচক্ষু ফাঁকি দিয়ে সংসার করে গেছেন। একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন জুটি হিসেবে। পর্দায় তাদের রসায়ন দেখে বিমোহিত দর্শকদের খুব কম অংশই টের পেয়েছিলেন পর্দার পেছনে তাদের ঘরকন্নার কথা। সুখের এ সংসারে ঝড় উঠে গত বছরের মাঝামাঝি। অপু বিয়ের খবর প্রকাশ করে দেন, একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়কে সবার সামনে নিয়ে আসেন।

এরপর শাকিব-অপুর সংসারের ভেতরকার একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সবার সামনে বেরিয়ে আসতে থাকে। পাল্লা দিয়ে সম্পর্কও খারাপ হতে থাকে তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক। পরস্পরকে দোষারোপ করা শুরু করেন তারা। বিয়ের খবর প্রকাশ করে দেয়াতেই অপুর ওপর বেশি ক্ষিপ্ত হন অপুর। বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর খুব কমই তারা মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু গণমাধ্যমের বরাতে তারা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এবং তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন।

তারপরও ভক্তদের আশা ছিল সব ভুলে তারা এক হবেন। কিন্তু সে আশাও ধূলিস্যাৎ হয় ২২ নভেম্বর অপুকে পাঠানো শাকিবের তালাকনামার মধ্য দিয়ে। গত ডিসেম্বরে এফডিসিতে শাকিবকে বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের দেয়া সম্মাননা গ্রহণ করেন অপু। সেসময় শাকিবের জন্য দোয়াও চেয়েছিলেন। এজন্য ধারণা করা হচ্ছিল, তাদের বরফ বোধ গলতে শুরু করেছে। কিন্তু তা হয়নি। তাদের মধ্যকার সম্পর্কের বরফ আরও জমাট বেঁধেছে। প্রায় এক বছর শাকিব-অপুর বিয়ে, দেনমোহরসহ নানা বিতর্কে শোবিজপাড়া সরগরম ছিল। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি যার যবনিকাপাত ঘটছে। আগামীকালই আনুষ্ঠানিক ঘটছে শাকিব-অপুর সংসারের।বিয়ে নিয়ে যেসব বিতর্ক হয় শাকিব-অপুকে নিয়ে:

বিয়ের তারিখ
শাকিব-অপুর বিয়ের তারিখ নিয়েও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় শাকিবকে ভালোবেসে ধর্মান্তরিত হয়ে ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ের করেন অপু। কিন্তু তাকে পাঠানো তালাকনামায় বিয়ের তারিখ হিসেবে শাকিব লিখেছেন ১৬ মার্চ।

দেনমোহর বিতর্ক
শাকিব বলেছেন, অপুর সঙ্গে তার বিয়ের দেনমোহর ৭ লাখ ১ টাকা। অপু বলেছেন, দেনমোহরের পরিমাণ ছিলো ১ কোটি ৭ লাখ টাকা! তবে কেউ এখনো কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

কাজী নিয়ে বিতর্ক
অপু জানান, তাদের বিয়ের কাজী শাকিবের পরিচিত। শাকিবের গ্রামের বাড়ি থেকে ওই কাজীকে আনা হয়। কিন্তু শাকিব বলেছেন, বিয়ের কাজী অপুর পরিচিত।

বয়ফ্রেন্ড বিতর্ক
গণমাধ্যমে শাকিব দাবি করেছেন, অপু বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কলকাতায় ঘুরতে গেছেন। কিন্তু অপু বিশ্বাস বলেছেন, যারা বয়ফ্রেন্ডের খবর প্রকাশ করেছে তারা মানসিকভাবে অসুস্থ।

তালা বিতর্ক
অপুর সঙ্গে তিক্ততা শুরু হলেও সন্তান জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেছেন শাকিব। তবে এ নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক। গত নভেম্বরে শাকিব দাবি করেন, জয়ের সঙ্গে তিনি দেখা করতে গিয়ে দেখেন অপুর বাসায় তালা। অপু গৃহকর্মীর কাছে সন্তান রেখে বিদেশ চলে গেছেন।

এ নিয়ে পাল্টা হিসেবে অপু বলেছেন, ‘তালা দেয়া ছিল না। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল।’ ঘরে গৃহকর্মীর কাছে নয়, নিজের বোনের কাছে সন্তানকে রেখে গেছেন। তার কাছে তালার চাবিও ছিল!

সন্তানকে নিয়ে বিতর্ক
এটাই শাকিব-অপু দম্পতিকে নিয়ে সর্বশেষ বিতর্ক। গত রবিবার রাতে দেশে ফিরে সোমবার রাতেই শাকিব উড়াল দেন অস্ট্রেলিয়ায়। যাওয়ার আগে গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েক দিন ধরে বাচ্চাটার জন্য মনটা খুব কাঁদছিল। তাই তাড়াহুড়ো করে অল্প সময় নিয়ে জয়কে দেখতে এসেছি। কিন্তু মনে বড় কষ্ট নিয়ে ফিরে যাচ্ছি। অপু বাচ্চাটাকে দেখতে দিল না আমাকে।

এর জবাবে অপু বলেছেন, ছেলেকে দেখতে চেয়ে শাকিব কোনো যোগাযোগই করেননি। শাকিবের কোনো কল আসেনি। তার কোনো লোকও আমাকে কল দেয়নি।আমাকে এসএমএসও করেনি। আদৌ শাকিব বাচ্চাকে দেখতে চেয়েছে কী না তাও জানি না।

অপু আরও জানান, তালাকনামা পাঠানোর পর আর জয়ের সঙ্গে দেখা করেননি শাকিব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পৃথিবীর যে স্থানে ৬ হাজার বছর ধরে আগুন জ্বলছে!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার একটি পরিত্যক্ত শহর সেন্ট্রালিয়ার একটি ভূগর্ভস্থ কয়লাখনিকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ‘সাইলেন্ট হিল’ নামের একটি ভিডিও গেম। পরবর্তীতে চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয় একে ঘিরে।

সেন্ট্রালিয়ার ওই কয়লাখনির গ্যাসের আগুন বিগত ৫৩ বছর ধরে জ্বলছে। যা অনেকটা আপেক্ষিক মনে হবে। কিন্তু যখন আপনি জানবেন যে একই ধরনের আগুন অস্ট্রেলিয়ায় একটি স্থানে ৬ হাজার বছর ধরে জ্বলছে তখন সেটাকে আর আপেক্ষিক মনে হবে না! ইউরোপীয়দের মহাদেশ আবিষ্কারের আগে থেকে এই আগুন জ্বলছে!

স্থানটির অবস্থান অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস এর মাউন্ট উইংগেনের বার্নিং মাউন্টেইনের (জ্বলন্ত পর্বত) ভূ-অভ্যন্তরে। যদিও ওই জায়গায় প্রথম কিভাবে এই আগুনের সৃষ্টি হয়েছিল তা অজানাই রয়ে গেছে এখনো। এর রহস্য উদঘাটনও সম্ভব হয়নি।

তবে ওই অঞ্চলের ঐতিহাসিক সম্প্রদায় ওয়ানারুয়াহ এর লোকজনের মতামত অনুসারে, আদিবাসী মানুষেরা হাজার হাজার বছর ধরে তাদের উষ্ণতার জন্য, রান্না-বান্নার জন্য এবং যন্ত্রপাতি তৈরির জন্য এই আগুন ব্যবহার করে আসছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
একাধিক বিয়ের অনুষ্ঠান। তাই কর্ণাটকের মহীশূরের ললিত মহল প্যালেসের প্রায় সব ক’টি ঘরই ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। আর সেজন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ঘর দিতে পারল না ঐতিহ্যবাহী ওই হোটেল। বাধ্য হয়ে প্রশাসন মোদী এবং তার সফর সঙ্গীদের জন্য প্রথম পছন্দের হোটেল ছেড়ে অন্যত্র ব্যবস্থা করে।
সোমবার কর্নাটকের হাসন জেলার শ্রাবণবেলগোলায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বেশ কয়েকটি দলীয় কর্মসূচিও ছিল। তাই মহীশূরের ললিত মহল প্যালেসে প্রধানমন্ত্রীর থাকার ব্যবস্থা করতে চেয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু তাতে বিপত্তি বাধে।
হোটেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অধিকাংশ ঘরই অগ্রিম ভাড়া হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য। আর যে তিনটি কক্ষ আছে তা কোনোভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাল না। আনন্দবাজার পত্রিকা
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ৩৯১ কর্মকর্তা

প্রশাসনে সিনিয়র সহকারী সচিব ও সমমর্যাদার ৩৯১ কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার গভীর রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়েছে।

পদোন্নতিপ্রাপ্তদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। নতুন উপসচিবদের পদায়ন করে আদেশ জারি করা হয়নি।

তিন স্তরে পদোন্নতির গুঞ্জনের মধ্যে সর্বশেষ গত ২১ ডিসেম্বর যুগ্ম-সচিব পদে ১৯৩ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল। এর আগে ১১ ডিসেম্বর অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পান ১২৮ যুগ্মসচিব।

তবে উপ-সচিব পদে এর আগে বড় ধরনের পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল গত বছরের ২৩ এপ্রিল। ওই সময় ২৬৭ কর্মকর্তা উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন।

উপসচিব থেকে উপরের পদগুলো সরকারের পদ হিসেবে গণ্য করা হয়। এবার প্রশাসন ক্যাডার থেকে এ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ২৮৬ জন কর্মকর্তা। অন্যান্য ক্যাডার থেকে উপসচিব হয়েছেন ১০৫ জন কর্মকর্তা।

‘সরকারের উপসচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’ অনুযায়ী উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ২৫ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নিতে হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘প্রশাসনে উপসচিব পদে এমনিতেই নিয়মিত পদের চেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মকর্তা রয়েছেন। তার উপর আবার নতুন করে পদোন্নতি দেয়া হলো। এতে প্রশাসনে আরো বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পদোন্নতির পর উপসচিবের সংখ্যা হলো এক হাজার ৭৪৫ জন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘উপসচিবের নিয়মিত পদ সাড়ে আটশ’র মতো।’

পদোন্নতিপ্রাপ্তদের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় একুশের প্রথম প্রহরে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শহিদদের স্মরণ

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: একুশের প্রথম প্রহরে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহিদ বেদীতে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করেছে।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলা দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালায় পুলিশ। এতে শহীদ হন রফিক, জব্বার, বরকত, শফিউরসহ নাম না জানা আরো অনেকে। পাকিস্তান শাসনামল থেকেই দিনটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে আসছে বাঙালিরা। ভাষার দাবিতে বিশ্বের প্রথম কোনো জাতি জীবন দেওয়ায় ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর একটি সভায় ১৮৮টি রাষ্ট্রে সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সাল থেকে সারা বিশ্বে দিবসটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করছে বিভিন্ন ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী। দিবসটি উদ্যাপনের লক্ষ্যে মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিন¤্র শ্রদ্ধায় ভাষা শহিদদের স্মরণ করতে প্রভাতফেরি লক্ষ্য করা যায়। এরপর বুধবার রাত ১২ টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের শহিদ বেদীতে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

শহিদ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন সাতক্ষীরা-০২ ও সাতক্ষীরা-০১ আসনের সংসদ সদস্যদ্বয় যথাক্রমে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার মো.সাজ্জাদুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন প্রমুখ। এরপর দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে শহিদ মিনারের বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন রাজনীতিক, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, ছাত্রসহ সকল শ্রেণি-পেশা ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ।

মনোরম আল্পনাআঁকা শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে খালি পায়ে ভিড় করেন তারা। পর্যায়ক্রমে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন- সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগ, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাব, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, জেলা শ্রমিক লীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, জেলা কৃষক লীগ, দৈনিক পত্রদূত, দৈনিক দৃষ্টিপাত, দৈনিক যুগেরবার্তা, দৈনিক কালের চিত্র, দৈনিক দক্ষিণের মশাল, ডেইলি সাতক্ষীরা, ভয়েস অব সাতক্ষীরা, সম্মিলিত সাংবাদিক এ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ, সাতক্ষীরা নার্সিং ইনস্টিটিউট, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ, দিবা-নৈশ কলেজ, ছফুরননেছা মহিলা কলেজ, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ, জেলা কারাগার, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি, জেলা জাতীয় পার্টি, জেলা জাতীয় যুব সংহতি, জাতীয় ছাত্র সমাজ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, জেলা কৃষকলীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জেলা আইনজীবী সমিতি, সাতক্ষীরা পৌরসভা, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরা, চেম্বার অব কমার্স, রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, নবজীবন ইনস্টিটিউট, সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি, সাতক্ষীরা আহছানিয়া আদর্শ আলিম মাদ্রাসা, সাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস্, সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতি, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), জেলা শিল্পকলা একাডেমী, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন, সাতক্ষীরা শিশু একাডেমি, নলকুড়া নাট্য গোষ্ঠী, বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ, সাতক্ষীরা ‘ল’ কলেজ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ, বর্ণমালা একাডেমি, দীপালোক একাডেমী, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, নলকুড়া তরুণ সংঘ, সাতক্ষীরা অন লাইন প্রেসক্লাব, জেলা মিনিবাস মালিক সমিতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এড. এন্তাজ আলী স্মৃতি সংসদ, ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখা, জেলা মন্দির সমিতি, পৌর শ্রমিকলীগ, মটর সাইকেল চালক এসোসিয়েশন, জেলা মাহিন্দ্রা থ্রি হুইলার চালকলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠন এবং সর্বস্তরের নাগরিকেরা ফুল দিয়ে বায়ান্নর ভাষাশহীদদের স্মরণ করেন। মাইকে বাজতে থাকে অমর একুশের গানের করুণ সুর ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি। ধারাভাষ্যকারেরা অবিরাম কবিতার পক্তিমালা আবৃত্তি করেন। ঘোষণা মঞ্চে দায়িত্ব পালন করেন তৈয়েব হাসান বাবু, শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন, শামীমা পারভীন রতœা, ও আবু আফ্ফান রোজ বাবু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভাষাশহীদদের স্মরণ করার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরেই শুরু হয়েছে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। গোটা জাতি ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মধ্যরাতে ছুটে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

খালি পায়ে প্রভাতফেরি আর মুখে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গান। সেই প্রভাতফেরি গিয়ে মিলবে শহীদ মিনারের পাদদেশে।

রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তারপরই বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুজনই সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে নিয়েও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। পরে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা বাংলা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

মধ্যরাতে শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘিরে সাধারণ মানুষের ঢল নামে।

১৯৫২ সালের এই দিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠীর চোখ-রাঙানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে।

মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

মাতৃভাষা আন্দোলনের ৬৬ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২১ ফেব্রুয়ারি শোকাবহ হলেও এর যে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় পৃথিবীর বুকে অনন্য। কারণ বিশ্বে এ যাবৎকালে একমাত্র বাঙালি জাতিই ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা (ইউনেসকো) ১৯৯৯ সালে মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest