সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

আরাফাত হোসেন লিটন: “ধান লাগিয়ে ক্ষেতে যদি ডাল পুতে দাও, পাখি বসে ধরে খাবে মাজরা পোকার ছাও” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দেবহাটায় বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ধানের ক্ষেতে পার্চিং উৎস এবং কৃষকদের মাঝে ডালের বীজ ও ফেরোমন ট্রাফের উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে সখিপুর ইউনিয়নের মাঘরী ব্লকে উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা শাহজাহান আলী, প্রভাষক শেখ শরিফুল ইসলাম পলাশ, দেবহাটা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহাদ আলী খান, মোস্তফা আহম্মেদ, মনিরুল ইসলাম, জিএম আল-মামুন, আহম্মদ সাঈদ, ইব্রাহিম খলিল, আফজাল হোসেন, আলাউর রহমান, জাহিদুর রহমানসহ মাঘরী ব্লকের কৃষকরা। এসময় বোরো ধানের ক্ষেতে যেয়ে পার্চিং অথ্যাৎ পাখি বসার জন্য ধানের খেতে গাছের ডাল বা অন্য উপকরণ ব্যবহার করে বিষমুক্ত প্রকৃতিক উপায়ে ফসলের ক্ষতিকর পোকা দমন করার উপায় বাস্তবে দেখান অতিথিরা। এছাড়া রাজস্ব খাতের বাজেটের আওতায় প্রদর্শনীর জন্য ৮৪জন কৃষকের মাঝে ৮ কেজি হারে মুগের ডাল এবং বিষমুক্ত কুমড়া জাতীয় ফসল উৎপাদন করতে ফেরোমন ট্রাফের বক্স ও লিওর বিতরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আরাফাত হোসেন লিটন: সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাধীন ৪ নং নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আস্কারপুর কেন্দ্রীয় আলিমীয়া কল্যাণ সংস্থার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ৩৩ তম ইসলামী মহা সম্মেলন ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার হতে শুরু হচ্ছে। আলহাজ্জ আলিম বক্স শাহ্ ওয়ার্ছি প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্রীয় আলিমীয়া কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে ২২, ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ খ্রি. এবং ১০, ১১ ও ১২ ফাল্গুন ১৪২৪ বঙ্গাব্দ রোজ বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার ৩ দিন ব্যাপি ইসলামী মহাসম্মেলনের প্রথম দিন বাদ ফজর হতে আছর পর্যন্ত পবিত্র তেলোয়াতে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া। বাদ মাগরিব হতে জেকের আসকার ও মিলাদ মাহফিল। ১ম দিন বৃহস্পতিবার যে সমস্ত আলেম পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে তাফসির পেশ করবেন তারা হলেন- মুফতি মুহাদ্দেস হযরতে মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম পাটান (খতিব, কুতুববাগ শাহী জামে মসজিদ, ঢাকা), হযরত শাহসুফী আবু আইয়ুব আনসারী (সাতক্ষীরা), ক্বারী মো. আলাউদ্দীন (খতিব, গান্ধুলিয়া জামে মসজিদ, মৌতলা) ও হযরত মাওলানা মো. আঃ মোমিন (নলতা শরীফ, সাতক্ষীরা)। ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১১ফাল্গুন শুক্রবার দিবা -রাত্র ওয়াজ মাহফিল, হামদ ও নাত। মাহফিলে আলোচনা রাখবেন -আলহাজ্জ মাওলানা আ ন ম মাসুদ হোসাইন আল ক্বাদরী ( খতিব, ইমাম হোসাইন ইবনে আলী রা: জামে মসজিদ এবং নির্বাহী সচীব আহালে সুন্নাত আল জামাত, ঢাকা), হযরত মাওলানা মো. আশরাফুল ইসলাম (খতিব, কালিগঞ্জ থানা জামে মসজিদ, সাতক্ষীরা ), পীরে তরিকাত মুফতি আবু সাফুয়ান মো. আশরাফুল ওয়াদুদ (কামিল, হাদিস ,ফিকাহ, তাফসীর প্রথম শ্রেণি ও খতিব, শাহেস্তানগর গাউছিয়া জামে মসজিদ ) সহ অন্যান্য ওলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখবেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১২ ফাল্গুন শনিবার বাদ ফজর হতে সকাল ৯টার মধ্যে আখেরী মোনাজাত। সকাল ১০টার পর নলতা শরীফে হজরত শাহসুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এঁর পাক রওজা শরীফ জিয়ারত ও চাদর পেশ। উক্ত ইসলামী মহাসম্মেলনে উপস্থিত হয়ে দো’জাহানের অশেষ নেকী হাসেলের জন্য অত্র সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামী মহা সম্মেলন উদযাপন কমিটির আহব্য়াক আলহাজ্জ মো. আকদাছ হোসেন মন্টু সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় স্বাধীনতা বিরোধী বই বাজারজাত বন্ধে শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতা বিরোধী বই ক্রয়, বিক্রয় ও বাজারজাত না করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ১৯ ফেব্র“য়ারি ০৫.৪৪.৮৭০০.০১০.৫৪০.১৮ নং স্মারকে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ জাকির হোসেন এক নির্দেশ দেন। নির্দেশে তিনি উল্লেখ করেছেন, সম্প্রতি কিছু অসাধু পুস্তক প্রকাশন মহান স্বাধীণতা বিরোধী পুস্তক প্রকাশপূর্বখ বাজারজাতকরনের মাধ্যমে দেশের ছাত্র সমাজ/জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। দেশ, জাতি ও ছাত্রসমাজের বৃহত্তর স্বার্থে কতিপয় অসাধু পুস্তক প্রকাশক/ ব্যবসায়ীদের এ ধরনের অপচেষ্টা রোধ করা প্রয়োজন। যে কারণে জেলা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে মহান স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী কোন ধরনের বই ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে প্রচলন করতে না পারে সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৩০ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতি, চাকরিবিধি লঙ্ঘনসহ একই প্রতিষ্ঠানে বহু বছর ধরে কর্মরত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই কর্মকর্তাদের বদলির নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তবে এখনও মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে নির্দেশনাটি প্রকাশ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানান গেছে।

এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ বলেন, ‘অনেক কর্মকর্তা দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতির নানান অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে তাদের বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তার আলোকে মঙ্গলবার তালিকাভুক্ত কর্মকর্তাদের বদলির নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বদলির প্রক্রিয়ায় আরও প্রায় ২০ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তাদেরও বদলির নির্দেশনা জারি করা হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখার উপ-পরিচালক মোস্তফা কামাল, বেসরকারি কলেজ শাখার উপ-পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, এস এম কামাল হায়দারসহ ১২ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দুজন কর্মকর্তা, এনসিটিবির চারজনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ১২জন কর্মকর্তা রয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, এসব কর্মকর্তার মূল পদ সরকারি কলেজগুলোতে হলেও প্রভাব খাটিয়ে তারা বছরের পর বছর প্রশাসনিক পদ আঁকড়ে ছিলেন। অনেকেই গড়ে তুলেন বাণিজ্য সিন্ডিকেট।

একইভাবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার, কলেজ পরিদর্শক ড. মো. আশফাকুস সালেহীন, বিদ্যালয় পরিদর্শক এটিএম মইনুল হোসেনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এনসিটিবির উৎপাদন নিয়ন্ত্রক আবদুল মজিদ, মোখলেছুর রহমান, মোছাব্বির হোসেন, মনির হোসেনসহ অন্তত ২০ জনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ডিআইএর সিদ্দিকুর রহমান, কাউছার হোসেন, এনামুল হকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। শিগগিরই এসব কর্মকর্তাদেরও বদলি করা হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, এনসিটিবিতে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকার বই ছাপার কাজে কমিশন হাতিয়ে রাতারাতি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন অনেক কর্মকর্তা। বোর্ডে তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমতি, কেন্দ্র স্থাপন, কেনাকাটায় বড় ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ডিআইএ কর্মকর্তারা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনের নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। সম্প্রতি একজন কর্মকর্তা ঘুষসহ দুদকের অভিযানে আটক হন। মাউশির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমপিওভুক্তিসহ বিভিন্ন কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অনৈতিক সুবিধা নিতেই বছরের পর বছর সেখানে ‘খুঁটি’ গেড়েছেন অনেক কর্মকর্তা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হাজার মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া ২১ ফেব্রুয়ারি !

দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে এমন কিছু লোকজন যোগ দিচ্ছে যারা শুধু দলীয় নয়- স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনের মতো গর্বিত ইতিহাসকে গুলিয়ে ফেলছেন।

এমনই একটি ব্যানার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ‘আওয়ামী লীগ’ নেতার নাম সম্বলিত ওই ব্যানারে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসগঠনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

ভাষা শহীদদের স্মরণ করে ওই ব্যানারে লেখা হয়েছে, ‘হে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি হাজারো মা বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে শহীদ দিবস আমি ই তোমায় ভুলিতে পারি। ব্যানারের ডানপাশে নিচের দিকে একটি ছবিসহ সৌজন্যে- ফিরোজ পাটোয়ারি লেখা রয়েছে। ব্যানারের নিচে ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।’

বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ইতিহাস নিয়ে এরকম ‘উল্টাপাল্টা’ ব্যানার ব্যবহারকারী ও প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন সোশ্যাল এক্টিভিস্টরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আগামী বছর থেকে দেশের সব পাবলিক পরীক্ষায় নতুন পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাবলিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে এসএসসি ও এইচএসসিসহ সব পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ধারাবাহিকতায় উদ্বিগ্ন দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ। একই সঙ্গে সমালোচনার মুখে পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে করণীয় ঠিক করতে সচিবালয়ে বৈঠকে বসেন স্বারষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়কমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন। তিনি জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে আগামী বছর প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণের নতুন পদ্ধতির কথা।

শিক্ষাসচিব বলেন, ‘আমি আশা করছি আগামী এসএসসি পরীক্ষা থেকে নতুন কোনো ব্যবস্থাপনায় অবশ্যই সরকারকে যেতে হবে এবং যাবে। সেজন্য আমার কাছে অনেকেই পরিকল্পনা, বিভিন্ন প্রস্তাব করছেন। আমি নিজেও সে বিষয়ে কাজ করছি রাতদিন। আমার হাতে এ মুহূর্তে অনেক প্রস্তাব আছে। সেটি বিশেষজ্ঞদের সামনে আমরা নিয়ে যাব। তাদের সমর্থন নিয়ে আমরা একটা পর্যায়ে যাব। একটা প্রশ্নব্যাংক করার ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছে।’

সোহরাব হোসাইন আরো বলেন, ‘এমন কোনো পথ আবিষ্কার করা প্রয়োজন যেখানে প্রশ্নপত্র ছাপাও হবে না বিতরণও হবে না ফাঁসেরও প্রশ্ন আসবে না।’

প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হবে কি না সে ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সুপারিশ পেলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষাসচিব।

চলমান এসএসসি পরীক্ষার বেশ কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য বিভিন্ন বিভাগের অসহযোগিতা, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রনহীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ছয়টি কারণ শনাক্ত করা হয় বৈঠকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

অনূর্ধ্ব ১৯ দল থেকে বাদ পড়ে হতাশায় আত্মহত্যা করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার আমির হানিফের ছেলে। মঙ্গলবার গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। খবর পাকিস্তানের সামা টিভির।

এদিকে, ছেলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তানের হয়ে পাঁচটি ওয়ানডে খেলা হানিফ। তিনি ছেলের মৃত্যুর জন্য অনূর্ধ্ব ১৯ দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কোচেদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। অন্য কারও সন্তানের যাতে এই পরিণতি না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্যও কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন হানিফ।

জানা গেছে, গত জানুয়ারিতে লাহোরে অনূর্ধ্ব ১৯ টুর্নামেন্টে করাচির হয়ে খেলেছিলেন জায়রাব। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইনজুরির কারণে সেখান থেকেই তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এবং সুস্থ হলে দলে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু পরে বয়স বেশি দেখিয়ে জায়রাবকে বাদ দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রশ্ন ফাঁসের ৬টি বড় কারণ তুলে ধরলেন শিক্ষামন্ত্রী

চলমান এসএসসি পরীক্ষায় ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় প্রয়োজনীয় করণীয় নির্ধারণে মঙ্গলবার বিকালে দুই মন্ত্রী এবং ছয় সচিবকে নিয়ে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ২ ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বৈঠকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে লিখিত পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করতে হলে এর উৎস এবং পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতির ত্রুটিসমূহ চিহ্নিত করা প্রয়োজন উল্লেখ করে ওই পর্যবেক্ষণে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ৬টি বড় ক্ষেত্রের কথা বলা হয়। সেগুলো হলো।

১. বিজি প্রেসে প্রশ্ন কম্পোজ এডিট, প্রিন্ট ও প্যাকেজিং পর্যায়ে প্রায় ২৫০ জনের মতে কর্মী প্রশ্ন দেখতে পারে। তারা প্রশ্ন কপি করতে না পারলেও তার স্মৃতিতে ধারণ করা অসম্ভব ব্যাপার নয়। তিন/চারজনের একটি পুরো গ্রুপের পক্ষে এভাবে প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব হতে পারে।

২. নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে ট্রেজারি বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে প্রশ্ন গ্রহণ করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অনেক কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না মর্মে অভিযোগ রয়েছে।

৩. অতিরিক্ত কেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার ব্যবস্থাপনা করার মতো পর্যাপ্ত জনবল নেই। তাছাড়া ভেন্যুগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মূল কেন্দ্র থেকে দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত। ফলে ৩০ মিনিট সময়ের অধিক পূর্বে কেন্দ্র সচিবরা প্রশ্ন খুলতে বাধ্য হচ্ছেন।

৪. পরীক্ষার্থী কিংবা পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্তদের স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। গুটিকয়েক শিক্ষক-কর্মচারীর কারণে গোটা প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে পড়েছে।

৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস কারীদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীরা তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। এটা পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ১৫ দিন পূর্ব হতে করা সম্ভব হলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। গোয়েন্দা সংস্থার লোকবল, অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত স্বল্পতার কারণে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নজরদাবি করা সম্ভব হচ্ছে না মর্মে প্রতীয়মান হয়। দুষ্কৃতকারীদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার ও শস্তির প্রদান করতে না পারায় অন্যরাও অপরাধ করতে ভয় পাচ্ছে না।

৬. বিটিআরসি কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন আপলোডকারীদের চিহ্নিত করতে দেখা যাচ্ছে না এবং সন্দেহজনক একাউন্ট বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest