সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণসাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভাসাতক্ষীরায় কায়পুত্র সম্প্রদায়ের ভ‚মি সংক্রান্ত বিষয়ে এ্যাডভোকেসি সভাবিএনপির কানাডা পশ্চিম শাখা শাখার সাধারণ সম্পাদক হলেন সাতক্ষীরার মুজিবর রহমান

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে ছয় খাবার

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বড়ই বিব্রতকর। নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে কাজে দেয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে কিছু খাবারের নাম জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি।

১. তরমুজ

তরমুজের মধ্যে অনেক আঁশ নেই, তবে এর মধ্যে ৯২ ভাগ পানি রয়েছে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। তরমুজের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি কোষকে সুরক্ষা দেয়। এ ছাড়া তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও লাইকোপেন। এগুলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষতি রাখতে কাজ করে।

২. ওটমিল

ওটমিলের মধ্যে রয়েছে আঁশ। ওটস অনেক পানি শোষণ করে। এটি হজমে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমায়। ওটমিল আপনার কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রনের চাহিদা পূরণে অনেকটাই সাহায্য করে।

৩. কাঠবাদাম

কাঠবাদাম আপনি সালাদ বা ডেজার্টের সঙ্গে খেতে পারেন। এই খাবারটিও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে অনেকটাই কাজে দেয়।

৪. দই

দই হজম পদ্ধতিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। দই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

৫. পানি

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে পানি বেশ উপকারী। এ ছাড়া তরল খাবার, যেমন—স্যুপ, ফলের রস ইত্যাদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে খেতে পারেন।

৬. পপকর্ন

পপকর্ন সাধারণত আমরা সিনেমা দেখার সময়ই বেশি খাই। এর মধ্যে লবণ ও মাখন না যোগ করা হলে এটি একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস। তবে আপনি হয়তো জানেন না এর মধ্যে অনেক আঁশও রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আই অ্যাম দ্য বেস্ট : গেইল

আবার নিজেকে টি-টোয়েন্টির সেরা ব্যাটসম্যান বললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। রংপুর রাইডার্সের হয়ে প্রথমবারের মতো বিপিএলের শিরোপা জেতার পর গেইল বলেন, আই অ্যাম দ্য বেস্ট।

হার্ডহিটার এই ব্যাটসম্যানের কল্যাণে এবার শিরোপা জিতেছে রংপুর। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড় মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাই তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি গেইল। তিনি মাশরাফির অসাধারণ নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেছেন।

খেলা শেষে আগামী বছর বিপিএলে খেলতে আসবেন কি না প্রশ্ন করলে গেইল বলেন, ইনশাল্লাহ, আগামী বছরও আপনাদের বিনোদন দিতে আসব। এবার টুর্নামেন্ট ভালো হয়েছে।

ভালো বলবেনই না বা কেন। এবারের বিপিএলের প্লেয়ার অব ম্যাচ ও প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট যে গেছে তাঁর ঝুঁড়িতে।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দারুণ আরেকটি রেকর্ড গড়েন গেইল। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে হার-না-মানা ১৪৬ রানের একটি ইনিংস খেলেন তিনি। যাতে রেকর্ড ১৮টি ছক্কার মার রয়েছে। শুধু আন্তর্জাতিক ম্যাচেই নয়, যে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজ আসরেও এটি একটি রেকর্ড।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এদিন গেইল এতটাই বেপরোয়া ব্যাটিং করেছেন, কোনো বোলারই পার পায়নি তাঁর হাত থকে। তাঁর এই ইনিংসে যেন ছিল ছক্কার বৃষ্টি। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বোলারদের একরকম শাসন করেছেন তিনি।

শুধু তাই নয়, প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিপিএলে ছক্কার সেঞ্চুরি করেছেন গেইল। ২৬ ইনিংসে তাঁর ছক্কার মার ১০৭টি। ৫৪ ইনিংসে ৪৭ ছক্কায় দুইয়ে সাব্বির রহমান।

গেইলের এই রেকর্ডের ওপর ভর করে তাঁর দল রংপুর রাইডার্স এদিন ফাইনালে গড়েছে বিশাল সংগ্রহ। নির্ধারিত ওভারে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে গড়ে ২০৬ রানের বিশাল সংগ্রহ।

এ ছাড়া হাফ সেঞ্চুরি করেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ৪৩ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন এই কিউই ব্যাটসম্যান। ম্যাককালাম রয়েসয়ে খেললেও গেইল ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। ১৮ ছক্কায় ৬৯ বলে ১৪৬ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাইকগাছায় নানা সমস্যায় জর্জরিত পাবলিক লাইব্রেরি ও যাদুঘর

কৃষ্ণ রায়, পাইকগাছা, খুলনা : দক্ষিণ খুলনার ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা পাবলিক লাইব্রেরি ও যাদুঘরটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। জনবল, অবকাঠামো সংস্কার, আসবাবপত্র ও বই সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় পাঠক শূূূন্য হয়ে পড়েছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় এর কোন অভিভাবক নেই।
খুলনার পাইকগাছা সদরে ১৯৮৫ সালে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম. বাবর আলী পাবলিক লাইব্রেরি ও যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন। যার প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয় শহিদ এম, এ গফুর মিলনায়তনের একটি কক্ষে। ১৯৮৫ সালে ৭ মার্চ প্রতিষ্ঠানের নামীয় সম্পত্তিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৮৭ সালে ডিসেম্বরে তৎকালীন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. নুরুল ইসলাম ৭২-৩০ ফুটের ২ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ভবনের কাজ উদ্বোধন করেন। ১টি কক্ষ লাইব্রেরি ও আর ১টি যাদুঘর বা সংগ্রহ শালা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। লাইব্রেরিটি পরিচালনার জন্য ১৯৮৮ সালে কল্লোল কুমার মল্লিককে গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৯১ সালে জাতীয় বেতন স্কেলে বেতনভাতা পান। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি পৌরসভা নিয়ন্ত্রণে নেয়। পৌরসভার বাজেটে লাইব্রেরির জন্য বাজেট ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে লাইব্রেরির অনুকুলে কোন বরাদ্দ থাকে না। অবকাঠামো সংস্কারের অভাবে লাইব্রেরি ভবনটি ধসে ধসে পড়ছে। বর্তমানে লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে নতুন বই সংযোজন করা হয় না এবং রয়েছে কয়েকটি ভাংগা চেয়ার, টেবিল ও আলমারী। ৫টি জাতীয়, ৩টি আঞ্চলিক দৈনিক, ১টি সাপ্তাহিক ও ১টি মাসিক পত্রিকা থাকলেয় বর্তমান রয়েছে মাত্র তিনটি। বইয়ের সংখ্যা ৫,৩৯১টি, থেকে বর্তমান আছে দু-তিনশ, মত। বর্র্তমান পাঠকের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কুঠায়। এক সময় প্রতিদিন পাঠকের সর্বনিম্ন আগমন ছিল ১৬০/১৮০জন। আজীবন সদস্য ১৪৬, সাধারণ সদস্য ছিল ১৫৫ জন। বর্তমান কোন সদস্য আছে কিনা তাঅনেকেই জানেনা। যাদুঘর ও সংগ্রহ শালায় রয়েছে বিশ্ববরণ্যে বিজ্ঞানী পি.সি. রায়ের তৎকালীন বৃটিশ সরকার কর্তৃৃক স্যার উপাধি পাওয়ার তরবারী, তার পড়ার টেবিল, পূজায় ব্যবহৃত ২টি খড়গ, বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা, সাহিত্যিক স্বহস্তে লেখা পত্র। রায় সাহেব ললিনী কান্ড রায় চৌধুরীর তরবারী, রায় সাহেব বিনোদবিহারী সাধুর পবিত্র গীতা, ব্যবহৃত ভৈজষপত্র। ১৫০ বছরের পুরানো তিমি মাছের কংকাল, ২০০টি দেশের মুদ্রা, মোঘল আমলের মুদ্রা, স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহৃত কামানের সেল, মংলা বন্দরে নিক্ষেপকৃত ৪০গ গ মর্টারের সেল, গুলি বাক্সসহ ইত্যাদি।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় তথ্য ও প্রযুক্তি দিবস পালিত

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে জাতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় র‌্যালিটি ইউএনওর নেতৃত্বে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আ ’লীগের সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পাল, প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বর্তমান সরকারের ডিজিটাল চিন্তার সুফল সম্পর্কে আলোকপাত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা মোতাবেক সেবা এখন মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে গেছে। এখন ঘরে বসেই আমরা পৃথিবী সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারি ঠিক তেমনি আমাদের অনেক কাজ আমরা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে পারি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটার আলমগীর সার্জারি ও অকুপেশনাল থেরাপি সেবা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা উপজেলার আজিজপুর গ্রামের আমজাদ আলীর পুত্র এবং এক সন্তানের জনক আলমগীর হোসেন। পেশায় একজন দিনমজুর। সিলেটের একটি ইটের ভাটায় কাজ করতেন। অর্জিত অর্থে মা-বাবা ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে ৫ জনের সংসার কোনরকমে চলে যেত। কিন্তু হঠাৎ একটি দুর্ঘটনায় তার ডান হাত ক্ষতিগ্রস্থ হয়। একদিন কর্মস্থল থেকে বাড়ীতে ফেরার পথে বাসের জানালার কাচ ভেঙ্গে ডান হাতের উপর পড়লে হাতের নার্ভ ও রক্তনালী কেটে যায়। তৎক্ষণাত তিনি নিকটস্থ হাসপাতাল (শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল) যান। সেখানকার ডাক্তার তার হাতের অপারেশন বাবদ ১ লক্ষ টাকা নতুবা হাত কেটে ফেলার কথা বলেন। তার পরিবার নিজেদের শেষ সম্বল বলতে সামান্য এক খন্ড ফসলি জমি বিক্রি করে আলমগীরের হাতের অপারেশন করান।
এখানেই শেষ নয়। অপারেশনের পরবর্তীতে তার ডান হাতের জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়ার হাতের নখে রক্ত চলাচল অভাবজনিত কারণে হাত ব্যবহার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। এ অবস্থা দেখে তিনি খুলনা হাসপাতালের ডাক্তার দেখান। সেখানকার ডাক্তার তার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পুনরায় অপারেশনের জন্য ঢাকা জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানকার ডাক্তার অপারেশন বাবদ ৩০ হাজার টাকার কথা বলেন। পাশাপাশি অপারেশনের পূর্বে হাতের অবস্থা উন্নতির জন্য থেরাপি নিতে বলেন। কিন্তু এতটাকা আলমগীরের পক্ষে বহন করা সম্ভব না হওয়ায় বাড়িতে ফিরে আসে। তবে, আলমগীর আগে থেকেই জানতেন ডিআরআরএ’র হাদিপুর থেরাপি চিকিৎসার কথা। তাই বাড়ীতে আসার পর সেখানে যোগাযোগ করেন। তিনি সেখান থেকে তাকে রেফার হয়ে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের থেরাপি ইউনিটে। এই সেন্টার থেকে হাতের জন্য নিয়মিত থেরাপি সেবা নিতেন। সেখানকার দায়িত্বরত থেরাপিস্ট তার হাতের অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে যেতে বলেন। কিন্তু অপারেশনের খরচ অনেক বেশী হওয়ায় তার পক্ষে এটা ছিল প্রায় অসম্ভব। পরবর্তীতে ডিআরআরএ এর পিআইএইচআরএস প্রকল্পের আওতায় আর্থিক সহায়তায় গত ৮ ই ডিসেম্বর ২০১৬ ঢাকার পঙ্গু হাসপাতাল থেকে অপারেশন করানো হয়। অপারেশন পরবর্তীতে স্বাভাবিক পেশগত জীবনে ফেরত আসার জন্য আলমগীরকে দেবহাটা উপজেলা হেল্থ কমপ্লেক্স থেকে অকুপেশনাল থেরাপি দেওয়া হয়েছে। আলমগীর বর্তমানে তার হাত দিয়ে দৈনন্দিন ব্যক্তিগত কাজ করতে পারছে। আলমগীর বে-সরকারি সংস্থা ডিআরআরএ’র পক্ষ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে সকল প্রচেষ্টা ও সহযোগীতা প্রদান করায় প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এবিষয়টি নিয়ে ডিআরআরএ’র জেলা ম্যানেজার আবুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু আলমগীর নয় দেশের বিভিন্ন প্রন্তে তাদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষকে বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সাতক্ষীরার সদর হাসপাতালে, দেবহাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সপ্তাহে ৬দিন দক্ষ থেরাপিস্ট দিয়ে সেবা এবং অসহায় রুগীদের জন্য ঔষধ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এতে অনেকে নতুনভাবে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাইকগাছা-কয়রার গাংরখী নদী সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করলেন এমপি নূরুল হক

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : পাইকগাছা-কয়রা দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী আলোচিত শালিকখালী (গাংরখী) নদী নতুন বছরের প্রথম থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করেছেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক। তিনি মঙ্গলবার বিকালে দক্ষিণ কুমখালী বি,বি, বালিকা বিদ্যালয় মাঠে গড়ইখালী ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নবাসী গাংরখী নদী উন্মুক্ত করার দাবীতে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি বক্তৃতায় এ ঘোষণা দেন। এমপি নূরুল হক বলেন, এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল গাংরখী নদী বছরের পর বছর ইজারা নিয়ে অবৈধ নেট-পাটা দিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। ইজারাদার ও তার লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে দুই উপজেলার সাধারণ মানুষ। ভবিষ্যতে এলাকার মানুষ যাতে ইজারাদার কর্তৃক নির্যাতিত না হয় এবং এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত হয় এ জন্য আগামীতে গাংরখী নদী আর ইজারা দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে ইজারা বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ে উপ-আনুষ্ঠানিক পত্র দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে এমপি বলেন, আগামী বছরের প্রথম থেকে অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ গাংরখী নদী জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, আওয়ামীলীগনেতা আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম, মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও কয়রা উপজেলা আ ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সরদার, আ ’লীগনেতা গাজী মিজানুর রহমান, আলহাজ্ব মুনছুর আলী গাজী, গোলাম রব্বানী, এসএম আয়ুব আলী, মহাশিষ সরদার, বিএম শফি, আক্তার হোসেন গাইন, কৃষ্ণ মন্ডল, আব্দুস সাত্তার, অবনীষ সরদার, দীলিপ কুমার সানা, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, জেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম মশিয়ার রহমান।
উল্লেখ্য, পাইকগাছা ও কয়রার গড়ইখালী ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী ৭২ একর আয়তনের শালিকখালী (গাংরখী) বদ্ধ নদী ইজারাদার কামরুল গাইন গত ৭ বছর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিরোপা উঠল মাশরাফির হাতেই

সাকিব-মাশরাফিতে আজ বিভক্ত ছিল গোটা দেশ। কাউকেই হারতে দেখতে রাজি ছিলেন না সমর্থকরা। তবে খেলার নিয়মে তো একজন হারবেই। আজ পরাজিতের দলে সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের দল ঢাকা ডায়নামাইটসকে হারিয়ে বিপিএলের পঞ্চম আসরের শিরোপা জিতলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির এটি চতুর্থ শিরোপা। এর আগে অধিনায়ক হিসেবে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সকে দুবার ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে একবার বিপিএলের শিরোপা জেতান মাশরাফি।

মিরপুরের ফাইনালে আজ টস জিতেছিলেন সাকিব আর হাসান। টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন ঢাকার অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাটিং করে মাত্র এক উইকেটে ২০৬ রান তোলে রংপুর রাইডার্স। জবাবে ১৪৯ রানে শেষ হয়ে যায় ঢাকার ইনিংস। ৫৭ রানের জয় নিয়ে এবারের শিরোপা জিতল দেশের সর্ব-উত্তরের দলটি।

২০৭ রান তাড়া করে জেতাটা ঢাকার উইকেটে এভারেস্ট জয়ের চেয়ে কম কিছু নয়। সেটা করতে গিয়ে ম্যাচের শুরুতেই লড়াই থেকে ছিটকে যায় ঢাকা। প্রথম দুই ওভারে মেহেদী মারুফ ও জো ডেনলিকে হারায় দলটি। চতুর্থ ওভারে এভিন লুইস ও পঞ্চম ওভারে কাইরন পোলার্ডকে হারিয়ে পরাজয়টা নিশ্চিত হয়ে যায় ঢাকার।

সাকিব আল হাসান ও জহুরুল ইসলাম ঢাকার হয়ে প্রাণান্ত লড়েন। তবে ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কিছু করতে পারেননি তাঁরা। জহুরুল ইসলাম ৫০, সাকিব ২৬, লুইস ১৪ ও নারাইন করেন ১৪ রান। রংপুরের হয়ে সোহাগ গাজী, উদানা ও অপু নেন দুটি করে উইকেট। এ ছাড়া মাশরাফি ও রুবেল নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে গেইলের ১৪৬ ও ম্যাককালামের ৫১ রানে ভর করে ২০৬ রান তোলে রংপুর রাইডার্স। ব্যাটিং শুরু করে রংপুরের শুরুটা ভালো হয়নি। দ্বিতীয় ওভারে জনসন চার্লসকে ফিরিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। প্রথম কয়েকটা ওভার দেখে শুনে খেলেন গেইল ও ম্যাককালাম। প্রথম ৫ ওভারে রংপুর তোলে ২২ রান।

ষষ্ঠ ওভারে হাত খোলেন গেইল। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ওভারে তিনটি ছয় মারেন গেইল ও ম্যাককালাম। এরপর আর থামেননি এই দুজন। একাদশতম ওভারে অর্ধশতক পূর্ণ করেন গেইল। ৩৩ বল লাগে গেইলের হাফ সেঞ্চুরি করতে। এরপর চার-ছয়ের ঝড় তুলে ১৭তম ওভারে বিপিএলের পঞ্চম শতকটি তুলে নেন তিনি।

অন্যপ্রান্ত হাফ সেঞ্চুরি করেন ম্যাককালাম। ৪৩ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন এই কিউই ব্যাটসম্যান। ম্যাককালাম রয়েসয়ে খেললেও গেইল ছিলেন অতিপ্রাকৃত। এই ইনিংসে ১৮টি ছয় মারেন তিনি। ৬৯ বলে ১৪৬ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন এই ক্যারিবীয় জায়ান্ট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীরা দেশ ও জাতির শত্রু – এমপি রবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদরের মাছখোলা সাকলা মহাশশ্নান নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ও মহাশ^শ্নান কালি পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে প্রধান অতিথি হিসেবে ফলক উন্মোচন করে মাছখোলা সাকলা মহাশশ্নান নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। মাছখোলা সাকলা মহাশশ্নান কমিটির সভাপতি সুশীল দাশের সভাপতিত্বে মহাশশ্নান কালি পুজার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ^াসী। এদেশে হিন্দু মুসলীম মিলে মিশে একসাথে বসবাস করে আসছে। এদেশে সকলের সমান অধিকার আছে। আপনারা এদেশে বসবাস করবেন। এ মাটি আপনাদের । এমাটি ছেড়ে কখনও অন্য দেশে যাবেননা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীরা দেশ ও জাতির শত্রু।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য এস.এম রেজাউল ইসলাম, জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘ জেলা শাখার সভাপতি বিশ^নাথ ঘোষ, গৌষ্ঠ বিহারী, রঘুজিৎ গুহ, যুবলীগ নেতা শেখ শফি উদ্দিন সফি, ইউপি সদস্য ফজলুল হক মতি, মাছখোলা সাকলা মহাশ^শ্নান সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিব বিশ^াস ও মহাশ^শ্নান কালি পুজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব বাসু দেব দাশ প্রমুখ। এর আগে এমপি রবি মাছখোলা বাজার আদর্শ যুব সংঘের উদ্যোগে মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুমন অধিকারী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest