সর্বশেষ সংবাদ-
চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

রাশিয়ায় বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৫

অনলাইন ডেস্ক:
রাশিয়ার একটি চার্চে বন্দুকধারীর হামলায় কমপেক্ষ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন এক নারী, দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত চারজন।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানায়, কিজলার শহরের চার্চটিতে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রার্থনা শেষে বের হওয়ার সময় বন্দুকধারী অতর্কিতে গুলি ছোড়া শুরু করে। পরে পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারী নিহত হন। যদিও তাঁর পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের শহর কিজলারে মূলত নানা সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস। তবে অন্য সম্প্রদায়ের চেয়ে এখানে মুসলিমদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে ১১৫৬ জনকে নিয়োগ

চাকরি ডেস্ক:
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরাধীন চতুর্থ এইচপিএনএসপি অন্তর্ভুক্ত কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) অপারেশন প্ল্যানের আওতায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। মোট এক হাজার ১৫৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে চাকরির মেয়াদ (জানুয়ারি-২০১৭ থেকে জুন-২০২২) সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
পদের নাম : কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)
যোগ্যতা: উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে কম্পিউটার পরিচালনায় বেশ দক্ষতা থাকতে হবে। বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা http://www.communityclinic.gov.bd/ ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের সময়সীমা: আগামী ১২ মার্চ-২০১৮ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাইগ্রেনে হৃদরোগের ঝুঁকি

জীবন যাপন:
খুব একটা পাত্তা না দিয়ে হুটহাট ওষুধ খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। দিনের পর দিন মোড়ের দোকানের ওষুধেই ভরসা করি আমরা। কিন্তু গবেষণা বলছে, মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার মতো গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
ডেনমার্কের আরহুস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, বিশ্বে প্রায় একশ কোটি মানুষ মাইগ্রেনের ব্যথ্যায় ভোগেন।
মাথাব্যথায় আমারা হরহামেশাই ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে থাকি। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব ওষুধ খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও রক্তনালী ব্লক হয়ে যেতে পারে।
মাইগ্রেনে আক্রান্ত নারী-পুরুষ উভয়েই একই ঝুঁকিতে থাকেন। ডেনমার্কে পরিচালিত একটি গবেষণা অনু্যায়ী এক হাজার জন মাইগ্রেনের রোগীর মধ্যে ২৫জনের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা থাকে। আর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা তৈরি হয় অন্তত ৪৫জনের।
কাজেই যখন তখন অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন।
মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে যা করতে পারেন-
• ঘরের লাইট বন্ধ করে ঘুমান।
• আইস প্যাক অথবা হিট প্যাক কপালে লাগান।
• ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় যেমন চা, কফি খাওয়া যেতে পারে।
• ঘুমানোর রুটিন অনুসরণ করুন। প্রতিদিন একই সময় ঘুমান এবং একই সময় উঠুন।
• বেশিক্ষণ ক্ষুধা নিয়ে থাকবেন না
• চিজ, চকলেট, অ্যালকোহল জাতীয় খাবার মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ায়।
যেকোনো ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

‘বসন্ত, তুমি এসেছ হেথায়, বুঝি হল পথ ভুল। এলে যদি তবে জীর্ণ শাখায়, একটি ফোটাও ফুল’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ’র উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার সকালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ্বাস সুদেব কুমারের সভাপতিত্বে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ’র উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সরকারি মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সরকারী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুকুমার দাশ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ-২০১৭ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক মো. আমানউল্লাহ আল হাদী, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এসএম আফজাল হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক জিয়াউর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক মহাদেব চন্দ্র সিংহ, অধ্যাপক আবু হাশেম, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক শাহিনুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আবুল কালাম আযাদ, প্রভাষক মফিজুল ইসলাম, নিগার সুলতানা, মাহমুদা খাতুন, অরুণাংশ কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।

বক্তারা বলেন- সাহিত্য ও সাংস্কৃতি সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সাহিত্য সাংস্কৃতির উন্নয়ন ছাড়া কোন জাতি সামনের দিকে এগিতে যেতে পারে না। জাতিকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে হলে নিজস্ব সাংস্কৃতিকে লালন করতে হবে।

প্রতিযোগিতায় ক্বেরাত, গীতা পাঠ, দেশাত্ববোধক গান, ভক্তিগীতি, কবিতা আবৃত্তি (বাংলা), জ্ঞান জিজ্ঞাসা, নজরুল ও রবীন্দ্র সংগীত, বিতর্ক (বাংলা ও ইংরেজি), আধুনিক গান, একক ও দলীয় অভিনয় ইভেন্টে শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফুর্তভাবে অংশ নেয়।

সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অধ্যাপক আনম গাওছার রেজা।

উল্লেখ্য, আগামি ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ’র সমাপনী ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, উপাধ্যক্ষ এসএম আফজাল হোসেন। সমগ্র অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সকলের স্ববান্ধব উপস্থিত হওয়ার জন্য জানিয়েছেন আহবায়ক মো. আমানউল্লাহ আল হাদী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আঞ্চলিক ও জেলা শিক্ষা দপ্তর অনিয়মে ভরা

অনলাইন ডেস্ক: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীনস্থ আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসে চলছে মিলেমিশে অনিয়ম-হয়রানি। এই অফিসের উপ-পরিচালক থেকে শুরু করে শিক্ষা অফিসার, অফিস সহকারি, স্টেনোটাইপিস্ট এমনকি নৈশ প্রহরীও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিসহ নানা কাজে হয়রানি করছেন শিক্ষক-কর্মচারীদের। দেশের চারটি আঞ্চলিক কার্যালয় এবং ৩৮টি জেলা শিক্ষা অফিসে নানা অনিয়ম, হয়রানির ভয় দেখিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এসব দপ্তরের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। একটি দায়িত্বশীল তদন্তকারী সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানোর পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রনালয় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে।

উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান গতকাল রবিবার বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনেককে বদলি করা হয়েছে। আরো করা হবে। তথ্য অনুযায়ী, অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বদলি কোন শাস্তি হতে পারে না। বদলি চাকরির একটি অংশ। অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত, বিভাগীয় মামলা এবং অভিযোগ গুরুতর হলে চাকরিচ্যুতির ব্যবস্থা আইনে থাকলেও, সে ব্যবস্থা কেনো নেওয়া হচ্ছে না সে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল খালেক। দীর্ঘদিন ধরে এমপিও কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত তিনি। অন্যায়ভাবে তিনি অনেকের এমপিওভুক্তির ফাইল আটকে রেখেছেন। কাগজপত্র ঠিক থাকা স্বত্ত্বেও হয়রানির উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইলের এক শিক্ষকের কাগজপত্রে ভুল ধরার চেষ্টা করেন এই কর্মকর্তারা। তদন্তকারী ওই সংস্থা আব্দুল খালেকের অনিয়মের সত্যতার প্রমাণ পায়। টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা খানম এবং অফিস সহকারি আব্দুল আজিজও অনিয়মে জড়িত বলে তদন্তে উঠে এসেছে। নেত্রকোনা সদরের শিক্ষা অফিসার আব্দুল বাতেন শাহ সুলতান ডিগ্রী কলেজের এক শিক্ষকের কাছ অনিয়মিত সুবিধা নিয়েছেন। অথচ অন্যায্য দাবি না মানায় ওই শিক্ষকের এমপিওভুক্তির সুপারিশ করেনি আঞ্চলিক কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা। নেত্রকোনার লেঙ্গুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছ অন্যায্য সুবিধা নিয়েছেন নেত্রকোনার কলমাকান্দার শিক্ষা অফিসার আব্দুল ওয়াজেদ।

জামালপুরের একটি স্কুলের সহকারি গ্রন্থাগারিক তাকে এমপিওভুক্ত করতে সুবিধা দিয়েছেন ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালককে। এছাড়া স্টেনোটাইপিস্ট আবুল কালাম আজাদ এবং নৈশ প্রহরী নুর হোসেনকেও তিনি সুবিধা দিয়েছেন বলে প্রমাণ মিলেছে।

জামালপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আফরোজা বেগম, অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর মোমিনুল ইসলামকে সুবিধা দিয়েছেন জামালপুরের একটি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক।

কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন। তদন্ত সংস্থার তথ্য মতে, এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করলেও বিভিন্ন অযুহাতে তিনি শিক্ষকদের হয়রানি করেন, অনেক ক্ষেত্রে দরখাস্ত বাতিল করেন। এখান থেকে রক্ষা পেতে আবেদনকারীদের অবৈধ সুবিধা দিতে হচ্ছে।

তদন্ত সংস্থার তথ্যমতে, একই রকম অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ফেনী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ওয়ালীউল্লাহ, ফেনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল আমিন, ছাগলনাইয়ার শিক্ষা অফিসার এ কে এম আলী জিন্নাহ, পরশুরাম উপজেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল করিম, ফুলগাজীর মো:এনামুল হক, সোনাগাজীর আল আমিন, দাগনভুয়ার দেওয়ান মো: জাহাঙ্গীর ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের শিক্ষা অফিসার সভ্রত রায়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শারমীন ফেরদৌস চৌধুরী এমপিওভুক্তির জন্য গোপন সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। এই সিন্ডিকেটে রয়েছে অফিস সহকারি আজিজ ও আওয়াল। অবৈধ সুবিধার জন্য দরকষাকষি করেন।

অভিন্ন অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর শিক্ষা অফিসার সামছুল কবির, তানোরের শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম, বোয়ালিয়ার শিক্ষা অফিসার জাহিদ হোসেন, কম্পিউটার অপারেটর উজ্জ্বল, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী আব্দুল মুকিমের বিরুদ্ধে। রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোস্তাক হাবিবের অনিয়মের সহযোগী ড্রাইভার মহব্বত। ভোলা জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রাণ গোপাল দে, চরফ্যাশন উপজেলার শিক্ষা অফিসার সামালগীর, চট্টগ্রামের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হুদা সিদ্দিকীর বিরুদ্ধেও আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

শ্রম, অর্থ ও সময় বাঁচানোর পাশাপাশি দুর্নীতি কমানোর লক্ষ্যে বিকেন্দ্রীকরণ করে অনলাইনে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু করে শিক্ষামন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এমপিওভুক্তির কাজ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ প্রশাসনের ৯টি আঞ্চলিক কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের হাতে ছেড়ে দেয়। এরপর থেকেই শুরু হয় অনিয়ম, দুর্নীতি ও শিক্ষক হয়রানি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাকার রাজপথে ভিআইপি লেন প্রস্তাব নাকচ

অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিআইপি) ও সেবা সংস্থার গাড়ির জন্য রাজধানী ঢাকার রাজপথে পৃথক লেন রাখার প্রস্তাব নাকচ হয়ে গেছে। ভিআইপি লেনের প্রস্তাবটি ছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের। তারা প্রস্তাবটি পাঠিয়েছিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় মতামত চেয়েছিল ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) কাছে। আর ডিটিসিএ এ বিষয়ে নেতিবাচক অবস্থান তুলে ধরে মতামত দেওয়ায় প্রস্তাবটি মূলত এখানেই থেমে গেছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ডিটিসিএ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

‘ভিআইপিদের জন্য ঢাকায় আলাদা লেনের প্রস্তাব’ শিরোনামে গত ৫ ফেব্রুয়ারি কালের কণ্ঠে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। ওই দিনই মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদসচিবের কাছে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে ওই দিন থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সভা-সমাবেশে প্রস্তাবটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। টিআইবি, সুজনসহ বিভিন্ন সংস্থাও এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করার পক্ষে জোরালো মত প্রকাশ করে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও এমন ভিআইপি সংস্কৃতির বিপক্ষে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জরুরি সেবা সংস্থার গাড়ির জন্য আলাদা লেন করা যেতে পারে; ভিআইপিদের গাড়ি চলাচলের জন্য নয়। আমি মনে করি, ধীরে ধীরে দৃঢ়তার সঙ্গে ভিআইপি সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত।

জানা গেছে, ডিটিসিএ বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ (রাজউক) বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে মতামত চূড়ান্ত করে। পরে তা ৬ ফেব্রুয়ারি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল রবিবার আলাপকালে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আহাম্মদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডিটিসিএ থেকে আমরা আমাদের মতামত মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

ডিটিসিএ-এর পক্ষ থেকে মতামত দিতে গিয়ে ঢাকার সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা বা আরএসটিপির সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, তাতে ঢাকায় পাঁচটি মেট্রো রেল ও দুটি রুটে বিআরটি (দ্রুত বাস চলাচল পদ্ধতি), তিনটি বৃত্তাকার সড়ক, আটটি রেডিয়াল সড়ক, ছয়টি এক্সপ্রেসওয়ে, বাস নেটওয়ার্ক পুনর্গঠন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সুপারিশ করা হয়েছে। তাতে আলাদা লেনের সুপারিশ করা হয়নি। এ ছাড়া ডিআইটিএস, এসটিপি, ডিএইচইউটিএস—এসব সমীক্ষায়ও আলাদা লেনের সুপারিশ নেই।

ডিটিসিএ কর্তৃপক্ষ তাদের মতামতে বলেছে, সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা বা আরএসটিপির সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করলে যানজট কমবে। পৃথক লেনের প্রয়োজনীয়তাও হ্রাস পাবে। মেট্রো রেল, বিআরটি, ঢাকা উড়াল সড়কসহ যানজট নিরসনের জন্য মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে। এ অবস্থায় আলাদা লেনে যানজট বাড়বে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফোরজি চালু হচ্ছে আজ

ফোরজি চালু হচ্ছে আজ

কর্তৃক Daily Satkhira

বহুল প্রতীক্ষিত চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক তথা ফোরজি আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চালু হচ্ছে। এ দিন সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ফোরজি চালুর অনুমোদন পাওয়া গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের শীর্ষ নির্বাহীদের হাতে লাইসেন্স তুলে দেওয়া হবে। লাইসেন্স পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফোরজি চালু হবে বলে জানা গেছে। লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদও এ সময় উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
লাইসেন্স পাওয়ার পরপরই মোবাইলফোন অপারেটরগুলো ফোরজি সেবা চালু করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি আগেই জানিয়েছেন, তারা এক হাতে লাইসেন্স নেবেন, অন্য হাতে ফোরজি চালু করবেন। রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, লাইসেন্স পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ফোরজি সেবা চালু করবে রবি। বাংলালিংককের প্রধান নির্বাহী এরিক অস গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, আগামীকাল (সোমবার) ফোরজি সেবা চালুর জন্য আমরা আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছি।
জানা গেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে লাইসেন্স গ্রহণের পরপরই ফোরজি সেবা চালু করবে বাংলালিংক। যদিও ১৩ ফেব্রুয়ারি তরঙ্গ নিলামের পরপরই অপারেটরটি জানিয়েছিল ২১ ফেব্রুয়ারি অপারেটরটি ফোরজি চালু করবে। সে সময় লাইসেন্স হস্তান্তরের কথা ছিল ২০ ফেব্রুয়ারি। বিটিআরসি লাইসেন্স প্রদানের তারিখ একদিন এগিয়ে আনলে অপারেটরটিও তাদের আগের ঘোষণা থেকে সরে এসে লাইসেন্স গ্রহণের পরপরই ফোরজি সেবা চালুর বিষয়টি ঘোষণা দেয়। অপারেটরটি ফোরজি সেবা চালুর প্রথম দিনেই ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটের বিশেষ কিছু এলাকায় এ সেবা চালু করবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইলফোন অপারেটরও যেকোনও সময় ফোরজি সেবা চালু করবে বলে জানা গেছে। তবে একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানাচ্ছে, ফোরজি সেবা চালুর জন্য এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয় টেলিটক। অবকাঠামো তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে ফোরজি চালুর আগেই গত কয়েকদিন ধরে মোবাইলফোনের নেটওয়ার্কে খুবই সমস্যা হচ্ছে। নেটওয়ার্ক না থাকা, ঘন ঘন কলড্রপ হওয়া, কথা শোনা না যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে বেশি। এসব ঘটনা প্রযুক্তির রূপান্তরের জন্য ঘটছে নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে ফোরজি উপযোগিতা বোঝানোর জন্য করা হচ্ছে তার কোনও উত্তর মেলেনি। কেউই নিজেকে উদ্ধৃত করে কথা বলতেও রাজি হননি। তবে এক মোবাইলফোন অপারেটরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এক প্রযুক্তি থেকে অন্য প্রযুক্তিতে প্রবেশের সময় এ ধরনের ঝামেলা হতে পারে। তবে তা দ্রুত সমাধানও হয়ে যাবে।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ঘোষণা দেয়, নতুন বছরে দেশবাসীর জন্য উপহার হতে যাচ্ছে ফোরজি। এই সেবার সংশোধিত গাইডলাইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পরেই এ ঘোষণা আসে।
লং টার্ম ইভোল্যুশনকে (এলটিই) চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক বা ফোরজি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই নেটওয়ার্কে সেকেন্ডে ২ মেগাবাইট থেকে ৪০ মেগাবাইট পর্যন্ত গতিতে তথ্য আদান-প্রদান করা যাবে। ফোরজি হলো ইন্টারনেট গতির ক্ষেত্রে বড় একটি পর্যায়। তাত্ত্বিকভাবে এর ডাউনলোড গতি ১০০ এমবিপিএস থেকে ১ জিবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে।
অন্যদিকে যে নেটওয়ার্ক সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০০ কিলোবাইট তথ্য স্থানান্তর করতে পারে সেটাই থ্রিজি নেটওয়ার্ক। থ্রিজিতে অনলাইন টিভি, হাই ডেফিনেশন ভিডিও, ভিডিও কলিং, ভিডিও গেমসগুলো ডেভেলপ হয়েছে। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, একজন থ্রিজি ব্যবহারকারী ইন্টারন্টে সেকেন্ডে ১৪ মেগাবাইট গতি পেলে তিনিই ফোরজিতে ১ জিবিপিএস পর্যন্ত গতি পাবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রশ্ন ফাঁসের হাটে এবার ফলাফল বিক্রির টোপ !

অনলাইন ডেস্ক: ‘যারা মাধ্যমিকে রেজাল্ট খারাপ করবা আমার সাথে যোগাযোগ কর। ১০০% সিউর দিয়ে পাশ বা গোল্ডেন করিয়ে দিব। কোনো ঝামেলা হবে না। ১৫ তারিখ থেকে বোর্ড খাতা হস্থান্তর করা হবে। so যত তাড়াতাড়ি possible আমার সাথে meet কর। চাইলে তোমার পিতা-মাতা নিয়ে আমার বাসায় এসে কথা বলতে পার। তুমি চাইলে আমরাই তোমাদের বাসায় এসে তোমার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলব।’ SADMAN CHOUDHURY BAPPY আইডি থেকে গত শনিবার দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া নোটের অংশবিশেষ এটি। এত দিন ধরে যারা ফাঁস করা প্রশ্নের ব্যবসা করেছে তাদেরই অনেকে এখন ডালায় করে ফল বিক্রির মতো মাধ্যমিকের ‘ফল বিক্রি’ করছে। নিশ্চিত গোল্ডেন, জিপিএ ৫ বা ফেল বিষয়ে উত্তীর্ণ করার প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র, কেউ কেউ অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপিও হাতিয়ে নিচ্ছে। তারপর বলা হচ্ছে, ‘টাকা দাও, না হলে ফেল করিয়ে দেব।’ এ ধরনের প্রতারণার ব্যাপারে বোর্ড কর্তৃপক্ষ সাবধান করে দিলেও অনেক পরীক্ষার্থী এই ফাঁদে পা দিচ্ছে।

বেশ কয়েকজন প্রতারকসহ একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে প্রতারণার আদ্যোপান্ত। প্রতারকদের এসব স্ট্যাটাসের (ফোন নম্বরসহ) কপি সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ০১৭৯২৭৩৫৮৬২ নাম্বার দিয়ে ‘MD Rakib Khan’, ০১৭১৭৮৩৭০৬৭ নাম্বার দিয়ে ‘Bord Quasan Rujulte’, ০১৮৫০১৫৯৫০২ ও ০১৭৮৩২৮৫৬৯৪ নাম্বার দিয়ে ‘Md. Al-Amin Islam’সহ আরো অনেকে ফল পরিবর্তন করিয়ে দেওয়ার লোভ দেখাচ্ছিল। এ ফোন নাম্বারগুলোতে কথা বলে প্রতারণার বিষয়ে সুনিশ্চিত হওয়া গেছে। এসব নাম্বার দিয়ে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র বিক্রি করারও অনেক প্রমাণ রয়েছে ফেসবুকে। Sudu Tomar Opekkay আইডি থেকে PSC JSC SSC HSC Degree Honours Masters Admission Test BCS Job Question Out গ্রুপে লেখা হয়, ‘পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তন করে পাস করে দেওয়া হবে। যারা ভালো পরীক্ষা দিছ, একটুর জন্য জিপিএ ৫ পাবা না, তারাও নিজের ইচ্ছামতো রেজাল্ট পরিবর্তন করতে পারবা। কারণ যারা বোর্ডে কাজ করে তারা এই কাজ টাকার মাধ্যমে করে দিতে পারে। কিছু শর্ত মেনে চললে তা সম্ভব। গোল্ডেন A+ জিপিএ ৫=৫০০০ টাকা, A ৪০০০ টাকা, শুধু পাস ৩০০০ টাকা। যোগাযোগ ০১৮৩২১৭০৬০২।’ গতকাল সন্ধ্যায় এই নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে একজন নিজেকে চট্টগ্রামের বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে বলেন, সিলেটের এক বন্ধুর মাধ্যমে তিনি এ কাজ করছেন।

BD Exam Helper আইডি থেকে গতকাল SSC ALL BOARD QUESTION OUT GROUP 2017 2018 SHAN AHOMED গ্রুপে লেখা হয় : ‘আপনি কি এসএসসি ২০১৮ এর রেজাল্ট পরিবর্তন এর কাজ করাবেন? আমরা ৪ বছর ধরে এই কাজে আছি। যারা রেজাল্ট এর আগেই কাজ দিয়ে রাখে তাদের রেজাল্ট সরাসরি বোর্ড থেকে পরিবর্তন করে দেই। কারণ রেজাল্ট হয়ে যাওয়ার পর আর কোনোভাবেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়! আমরা সরাসরি খাতার নাম্বার চেঞ্জ করিয়ে কাজ করে দেই! তাই কোনো রকম সমস্যা থাকে না। খরচ : গোল্ডেন এ+ ৭০০০ টাকা (গড়ে ৯০ মার্কস) ও এ+ ৫০০০ টাকা (গড়ে ৮০ মার্কস)। সব বিষয়ে গড়ে ৯৫ মার্কস চাইলে ৮০০০ টাকা। ৩ ভাগের ১ ভাগ টাকা পেমেন্ট করে কাজ দিতে হবে।’

মো. মাহাবুর হাসান আইডি থেকে ০১৭১০২৫৮৩৪৭ নাম্বারসহ দেওয়া স্ট্যাটাস ধরে গতকাল দুপুরেই কথা বলেন প্রতিবেদক। ‘মাহাবুর’ রাখঢাক ছাড়াই বলেন ১৮ হাজার টাকা দিলে তিনি ‘গোল্ডেন’ পাইয়ে দেবেন। এ জন্য আগে প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও বাবার আইডি কার্ডের কপি দিতে হবে। অনেকে ১০ হাজার টাকায় পরিবর্তন করাচ্ছে বললে উত্তর দেওয়া হয়, ‘তাহলে যাও, টাকা দাও আর বাঁশ খাও। আমার কাজ জেনুইন, তাই টাকা বেশি।’ পরে প্রতিবেদক নিজের পেশাগত পরিচয় দিলে ওই প্রান্ত থেকে ফোন কেটে দেওয়া হয়। মাহাবুর বিজ্ঞাপনী স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘এসএসসি ও এইচএসসি বিগত চার বছর হতে রেজাল্ট চেন্জ করে আসছি। এখন বুকিং চলছে, যারা যারা রেজাল্ট চেন্জ করতে চাও তারা যোগাযোগ কর। ফোন ০১৭১০২৫৮৩৪৭। [বি: দ্র: এ রকম অনেক পোস্ট ফেসবুকে পাবা কিন্তু তোমরা আমার গ্রুপ ব্যতীত যদি অন্য কোথাও যোগাযোগ কর তাহলে এটুকু বলব যে বাঁশ খেতে হইবে।’

MD Rakib Khan-এর সঙ্গে কথা হয় আরো দুই দিন আগে। ব্যক্তিটি নিজেকে ঢাকা বোর্ডের চাকরিজীবী পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘তুমি যেই ফল চাও আমার অপারেটর অনলাইনে তা দেখিয়ে দেবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নথিপত্রের কোনো ডাটাই পরিবর্তন করা সম্ভব নয় এবং পরীক্ষার্থীকে এই ঝুঁকি মেনে নিয়েই ‘কাজ’ করাতে হবে।

এদিকে নাম গোপন রাখার শর্তে একজন পরীক্ষার্থী বলেছে, সেসহ কয়েকজন ‘Mithil Anjum Shawon’-এর প্রলোভনে পড়ে তার ইনবক্সে প্রবেশপত্র দেয় কিছু টাকায় ফল পরিবর্তন করা যাবে এ আশায়। ‘শাওন’ পাঁচ হাজার টাকা দাবি করছে, যেই সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী অপারগতার কথা বলেছে, তাকে ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী বারবার এ প্রতিবেদককে বলছিল, ‘ভাইয়া, ও কি সত্যিই ফেল করাতে পারবে?’

‘মিথিল’-এর ব্যবহৃত ০১৮১৫৭৮৭২০৩ ফোন নম্বরে গতকাল সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ বারবার এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘সামনে বাড়েন।’ এর আগে জেএসসির ফল পরিবর্তন করিয়ে দেওয়ার একাধিক প্রলোভনমূলক স্ট্যাটাসে ‘মিথিল’ ফোন নম্বরটি ব্যবহার করেন। তাঁকে প্রবেশপত্রর কপি দিয়ে এখন ভয়ে আছে এমন একজন পরীক্ষার্থী বলে, এই নম্বরেই মিথিল টাকা নেয় বিকাশে। ‘মিথিল’ PSC JSC SSC HSC Exam Helping Center গ্রুপে লিখেন, ‘যে সকল ছাত্র/ছাত্রীরা এইবার ংংপ পরীক্ষা দিচ্ছো তাদের জন্য সু-খবর। যাদের ২/৩ সাবজেক্ট-এ খারাপ হয়েছে। ফেল অথবা A+ আসবে না। অল্পের জন্য A+ ছুটে যেতে পারে। সম্পূর্ণ রেজাল্ট টাকে A+ বা Golden করে নিতে এখনে আমার সাথে যোগাযোগ করুন। (সময় সীমিত) অফিশিয়াল ভাবে রেজাল্ট চেঞ্জ করা হবে, পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হবে না। সকল বোর্ডের কাজ করা হচ্ছে। ৬ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।’

মাধ্যমিকের গণিতের প্রশ্ন লাগলে ০১৭২৬৯৬৫২০২ নাম্বারে যোগাযোগ করতে কয়েক দিন আগে ‘শরিফা আক্তার লিজা’ ও ঝধষরস কযধহ আইডি থেকে বিজ্ঞাপনী স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। Salim Khan গতকাল Psc Jsc Ssc Hsc All Exam 100% Out Question & Suggestion গ্রুপে লিখেন, ‘ফেলকে পাস বা রেজাল্ট পরিবর্তন করতে দ্রুত ০১৭২৬৯৬৫২০২ নাম্বারে যোগাযোগ করো।’

আরো যেসব আইডি থেকে ফল বিক্রির প্রলোভন দেখানো হচ্ছে : PSC JSC SSC HSC Exam Helping Cente পাবলিক গ্রুপে বেপরোয়াভাবে ‘ফল বাণিজ্য’র চেষ্টা চলছে। গ্রুপটি পরীক্ষার্থীদের কাছেও জনপ্রিয়। গতকাল এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত সদস্য দেখাচ্ছিল এক লাখ ১৮ হাজার ৯৭৮। গত তিন চার দিন এখানে নজর রেখে যে আইডিগুলোকে ফল বাণিজ্যে বেপরোয়া দেখা গেছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে Ovizet Ray-ফোন ০১৮৪০৫৭৬৩৪১, Niloy Ahmed-ফোন ০১৯৯৮৬৭১৬৪০, Tuhin Rahman ০১৭৭২৭৭৩৪৭২, Naimur Rahman Durjoy ০১৯৯৬০২০৬২৪। এই গ্রুপে ফোন নম্বর উল্লেখ না করে যারা ফল পরিবর্তনের ফাঁদ পাতছে তাদের আইডির মধ্যে আরো আছে Sk Raja, Sk Moshfiqur Khan, Nuruzzaman Nishan, Tanisha Jahan Mim, রিয়াদ সোহান, WaSan Ahmed, Sohel Rana, Samim Islam, Sudu Tomar Opekkay ও Amar Bhin Deshi Tara।

এ ছাড়া Ripon Hasan, ফোন ০১৭৬১১০৯০০৯, PSC JSC SSC HSC ALL BOARD QUESTIONS 100% COMMON গ্রুপে, Nirob Akash ফোন +৬০১১২০৫৩০৩৯৯, SSC HSC All Exam Question 2018 গ্রুপে, Anup Saha, ফোন ০১৭৯৬১৭২১৭৬, PSC JSC SSC HSC All Board Real Question 100% Real Help Line গ্রুপে, Honey Raj, ফোন ০১৭৭৪০৮৭০২০, SSC Question 2018 গ্রুপে স্ট্যাটাস দেওয়া হচ্ছিল ফল পরিবর্তনের প্রলোভন দেখিয়ে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহ্জাহান মাহমুদ বলেন, ‘মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন ফাঁসের মতো অপরাধ যারা করছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে তাদের দেওয়া ফোন নম্বর ধরে খোঁজার কোনো অনুরোধ শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের করেনি। তবে কিছু ফেসবুক আইডি, পেজ ও গ্রুপ বন্ধ করতে আমাদের বলা হয়েছে। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি।’ তিনি আরো বলেন, আর যারা এসব অপরাধ করছে তাদের ধরে শাস্তি দেওয়ার দায়িত্বটি আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, ‘অনলাইনে নানা রকম ঘোষণা দিয়ে যারা বিভ্রান্ত করছে তাদের বেশির ভাগই ফেইক। এর মধ্যে যেগুলোর লিংক পাওয়া যাচ্ছে, সেসব সূত্র ধরে আমরা এগোচ্ছি।’ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, যারা অনলাইনে নানা রকম প্রচারণা চালিয়ে প্রশ্ন ফাঁসসহ পরীক্ষা জালিয়াতি করছে, তারা পরস্পর সংযুক্ত। সবাই মিলেমিশেই অপরাধটি করছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest