সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

‘যে ভাষায় এখন মাত্র তিনজন কথা বলেন’
পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ মানুষ বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত ১১টি ভাষাতে কথা বলেন। আবার এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানে কয়েকশ ভাষা প্রচলিত। উদাহরণ হিসেবে পাপুয়া নিউগিনি ও ইন্দোনেশিয়ার কথা বলা যায়। পাপুয়া নিউগিনিতে ৮৫০টিরও বেশি ভাষা রয়েছে আর ইন্দোনেশিয়ার রয়েছে ৬৭০টি ভাষা। এই সব ভাষার অনেকগুলিই আবার পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত।
তবে পৃথিবীতে এমন কিছু ভাষা রয়েছে যেটি কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বংশ পরম্পরায় এই ভাষা টিকে থাকে। কিন্তু যখন বংশধররা বিলুপ্ত হয়ে যায় তখন তাদের সেই ভাষাও বিলুপ্ত   হয়ে যায়। বাস্ক, উস্কারার মতো অনেক ভাষা বক্তার অভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
এবার বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে উত্তর পাকিস্তানের দুর্গম, পাহাড়ি অঞ্চলের ‘বাদেশি ভাষা’। ইন্দো-ইরানিয়ান এই ভাষাটি অনেক বছর ধরে শুধু উত্তর পাকিস্তানের একটি গোষ্ঠীর মুখেই টিকে আছে। এখন সেই ভাষায় কথা বলার জন্য বেঁচে আছেন মাত্র তিন জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই তিন জনের যে কোনো দুই জনের মৃত্যু হলেই পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে ‘বাদেশি ভাষা’।-বিবিসি
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শরিকদের আসনে দৃষ্টি আওয়ামী লীগের

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলসহ মিত্রদের ছেড়ে দেওয়া আসনগুলো ফিরে পেতে তৎপর আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হলে মিত্র দলগুলোর প্রার্থীরা বিএনপির কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হবেন—এই যুক্তিতে তাঁরা কিছু আসন ফিরে পেতে চান। এ নিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ে জোর লবিং বা তদবির করছেন সংশ্লিষ্ট আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরাও মনে করছেন, বিএনপি এলে নির্বাচন হবে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে ৫ জানুয়ারির মতো মিত্রদের ঢালাওভাবে আসন ছেড়ে দেওয়া হবে না। এবার আসনওয়ারি যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, মিত্র দলগুলোর এমপিদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দূরত্ব ততই বাড়ছে। এর প্রভাব আগামী নির্বাচনে পড়বে বলেও আশঙ্কা উভয় পক্ষের। বর্তমান জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫০টিতে জাপা ও ১৪ দলসহ মিত্রদের প্রতিনিধি রয়েছেন। এর মধ্যে জাপা ৩৪, ওয়ার্কার্স পার্টি ৬, জাসদ ৫, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন ২ এবং বিএনএফের ১টি আসন রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘প্রথমত দেখতে হবে নির্বাচনটা কেমন হবে। বিএনপি এলে এক রকম আর না এলে আরেক রকম নির্বাচন হবে। তবে এবার আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আসনওয়ারি শক্তিশালী প্রার্থী মনোনীত করা। যদি কোনো আসনে ১৪ দলের শরিকদের শক্তিশালী প্রার্থী থাকে তাহলে তিনি মনোনয়ন পাবেন। অবস্থান ভালো না হলে পাবেন না।’ জাতীয় পার্টির প্রশ্নে তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টি এককভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘যাঁরা রাজনীতি করেন তাঁরা দলের কাছে মনোনয়ন চাইতেই পারেন। জাতীয় পার্টি একটি জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক দল। তার ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতা আছে। প্রস্তুতিও রয়েছে। নির্বাচনটা কিভাবে হবে, জোটবদ্ধ না এককভাবে সেটা পরিস্থিতি বলে দেবে।’ তবে তার ধারণা সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন জোটবদ্ধভাবেই হবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, দলের একক সিদ্ধান্ত অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। জোটের রাজনীতি আদর্শিক ও দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই হয়ে থাকে। তাই নির্বাচনী জোটে সব সময় দলের শক্তি বিবেচনায় নেওয়া মুখ্য নয়। তিনি দাবি করেন, তাঁর দলের এমপিরা সরকারের উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিয়েছেন। মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে এটা বিবেচনায় আসা উচিত।

৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর। এবার এ আসনে দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় তৎপর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, বগুড়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মন্টু প্রমুখ।

ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শফিক বলেন, দলের বৃহৎ স্বার্থে এ আসনটি ফিরিয়ে নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, স্থানীয় এমপি জাতীয় পার্টির হওয়ায় তাঁর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সম্পর্ক নেই। তাই দলের নেতাকর্মীদের আশা, বগুড়া আর আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়ে না থাকুক।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমর বলেন, ‘তাঁরা ভিন্ন দল করেন, তাঁরা তাঁদের দল আওয়ামী লীগের কাছে দাবিও জানাতে পারে। তবে আসন ভাগাভাগির সময় এখনো আসেনি। সময় এলে দেখা যাবে।’

সাতক্ষীরা-১ আসনের এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির মুস্তফা লুৎফু ল্লাহ। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন তালা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম। পরে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কারণে তাঁকে সরে দাঁড়াতে হয়। এবার এ আসনে নুরুল ইসলাম ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দাবিদার সাবেক এমপি শেখ মজিবুর রহমান, প্রবীণ নেতা বি এম নজরুল ইসলাম, কলারোয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন প্রমুখ।

নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বরাবরই এ আসনটি আওয়ামী লীগের। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হলে এখানে নৌকার বিকল্প নেই। ওয়ার্কার্স পার্টির তেমন কোনো ভোট নেই এ আসনে। ওই দলের এমপি থাকায় গত চার বছরে আমরা উন্নয়নবঞ্চিত হয়েছি। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় এমপি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, ‘আমরা এমপিত্ব করার জন্য রাজনীতি করি না, রাজনীতি করার জন্য এমপিত্ব করি। আওয়ামী লীগ যদি মনে করে, এ দেশে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার জন্য তারাই যথেষ্ট তাহলে ১৪ দল ভেঙে দিতে পারে। এতে মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে আর কোনো সমস্যা থাকল না।’ এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দেখিয়ে দিতে পারি কী কী উন্নয়ন হয়েছে।’

ঢাকা-৪ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। নবম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এ আসনের এমপি ছিলেন। সানজিদা খানম ছাড়াও এবার এ আসনে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগ সভাপতির সাবেক এপিএস ড. আওলাদ হোসেন। তিনি বলেন, এ আসনটি অত্যন্ত অবহেলিত। শ্যামপুর ও কদমতলী নিয়ে গঠিত এই নির্বাচনী এলাকায় শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা বলে কোনো কথা নেই, সব সময় জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। বর্তমান এমপি এলাকার কোনো উন্নয়ন করেননি। এ দুই থানার মানুষের চিকিৎসার জন্য একটা ক্লিনিক পর্যন্ত নেই। ড. আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আবার জোটের প্রার্থী দিলে আমরা জনগণের কাছে যেতে পারব না। তাই এর পুনরাবৃত্তি চাই না।’

স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা দাবি করেন, স্বাধীনতার পর এ অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন তিনি করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাড়ে তিন শ এমপির মধ্যে একমাত্র আমি এলাকায় সমবণ্টন করে কাজ করে আসছি। ৫০০ কম্বল পেলে আগে আওয়ামী লীগের কর্মীদের ২৫০ দিয়ে থাকি। অতএব আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’

ময়মনসিং-৭ আসনের এমপি জাতীয় পার্টির এম এ হান্নান মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কারাগারে আছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান সাবেক এমপি রুহুল আমিন মাদানী ও রেজা আলী। রুহুল আমিন মাদানী বলেন, ‘আসনটি সব সময় আওয়ামী লীগের। এখানে জাতীয় পার্টি তৃতীয় অবস্থানেও নেই। তাই আসনটি আওয়ামী লীগেরই থাকা উচিত।’

পঞ্চগড়-১ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের (আম্বিয়া) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান। এ আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের মজাহারুল হক প্রধান। তিনি বলেন, ‘আসনটি আওয়ামী লীগের। জোটের কারণে এবং আমার নেত্রীর নির্দেশে গতবার ছাড় দিয়েছি। এবার ছাড় দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

এমপি নাজমুল হক প্রধান বলেন, ‘আমরা জোটের শরিক দল। তাই জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে সিট দাবি করব। সে ক্ষেত্রে জোট হলে ভালো। না হলে যেহেতু রাজনীতি করি এবং বর্তমানে এমপি তাই আমাকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতেই হবে।’
সূত্র: কালের কণ্ঠ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ধুলিহর প্রতিনিধি: সদর উপজেলার ৯নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা, নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছে।
ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলীপ কুমার মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন কাজী মাওলানা রওশন আলম ও গীতা পাঠ করেন প্রাক্তন শিক্ষক শ্যামা প্রসাদ বসু।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এস,এম শওকাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান আলী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল ও ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু।

এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান সরদার, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম মাগরেব, সাংগঠনিক সম্পাদক অজিয়ার রহমান, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন লিটন, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক শাহাদাৎ হোসেন রাজ, ব্রহ্মরাজপুর ১নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মহিতোষ, ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী, ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস সাত্তার, ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি হুমায়ন কবির, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, ৭নং ওয়ার্ডের মোঃ আব্দুর রশিদ সরদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি মেম্বার কুরবান আলী, সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল আহাদ, ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি ঠাকুর দাশ, সাধারণ সম্পাদক সুনিল কুমার গাইন প্রমূখ।

সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এস,এম শওকাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান আলী ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আ’লীগের নিলীপ কুমার মল্লিক, নুর ইসলাম মাগরেব, শেখ আব্দুস ছালাম ও অজিয়ার রহমানের সদস্য নবায়নের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের জন্য ২টি করে সদস্য বই বিতরণ করেন।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রেজাউল করিম মিঠু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সোমালিয়ায় দু দফা আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকজন জঙ্গিও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

পরবর্তীতে তাদের অন্তত পাঁচ জনকে গুলি করে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।

ইতোমধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করেছে পূর্ব আফ্রিকার জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাব।

মোগাদিসুতে অন্তত দুটি হামলা একসঙ্গে চালানো হয়। একটি হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি চেকপোস্টে আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। অপর হামলায় রাষ্ট্রপতি ভবনে সশস্ত্র জঙ্গিরা হামলা চালায়।

গতকাল শুক্রবার দেশটির রাজধানী মোগাদিসুতে প্রেসিডেন্টের বাস ভবনের সামনের একটি রেস্টুরেন্টে রাখা গাড়িতে এ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

সোমালিয়া পুলিশ বলেছে রেস্টুরেন্টের ভেতরে আরো অন্তত ২০ জনকে জিম্মি রেখেছেন তারা। এছাড়া দ্বিতীয় বোমাটি প্রেসিডেন্টের বাস ভবনের সামনে বিস্ফোরিত হয়।

গোটা ভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ। উদ্ধার কাজ চলছে।

সোমালিয়ার পুলিশ অফিসার মেজর মোহাম্মেদ আহমেদ জানিয়েছেন ‘আমাদের ধারণা এটি আত্মঘাতী বোমা হামলা।

সূত্র : আল জাজিরা ও বিবিসি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আ. লীগে ফের আলোচনায় কাউয়া

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফের আলোচনায় এসেছে ‘কাউয়া’। রাজধানীসহ জেলা-উপজেলায় এত দিন দলের ভিতরে লুকিয়ে থাকা ও ক্ষমতার ক্রিম খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট কাউয়া তাড়াতে ব্যস্ত তৃণমূল আওয়ামী লীগ।

ঢাকার মোহাম্মদপুর ও টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কাউয়ামুক্ত আওয়ামী লীগ চেয়ে বিলবোর্ড ও পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীদের ‘কাউয়া’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন তারা। গত বছর ২২ মার্চ সিলেটে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় সংগঠনে ‘কাউয়া’ ঢুকছে বলে মন্তব্য করেছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বছর শেষ না হতেই আবারও আলোচনায় এসেছে কাউয়া। তবে এবার কেউ মন্তব্য করেননি, যেসব জায়গায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটি গঠনের কাজ চলছে সেসব জায়গায় যেন উড়ে এসে জুড়ে বসাদের স্থান দেওয়া না হয় সেজন্য পোস্টার ও বিলবোর্ডের মাধ্যমে সোচ্চার হচ্ছেন দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতা নিজ এলাকায় ভিত্তি মজবুত করতে জামায়াত নেতাদের ফুলের মালা দিয়ে আওয়ামী লীগে বরণ করে নেন। কারও কারও বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগও উঠেছিল। গত ১০ বছরে শুধু জামায়াতই নয়, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতারা আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এদের অনেকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতা হত্যা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

তারা স্থানীয় এমপি-মন্ত্রী ও নেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে মামলা থেকে বাঁচতে নৌকায় চড়েন। এরাই মূলত কাউয়া বা হাইব্রিড নামে পরিচিত। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ‘দাঁড় কাউয়ামুক্ত মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ চাই’ লেখাসংবলিত একটি বিলবোর্ডের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নতুন আলোচনায় আসে ‘কাউয়া’। ২১ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রাতের অন্ধকারে উপজেলা শহরের দোকানে, স্কুল-কলেজের দেয়ালের সামনে একটি পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘কাউয়ামুক্ত টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন চাই, কাউয়া করে কা কা দলের বাজে বারো টা’। লেখাটির ডান পাশেই বিশাল একটি দাঁড়কাকের ছবি। তৃণমূল আওয়ামী লীগের ব্যানারে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই ব্যানার লাগাল তা নিয়ে শহরজুড়ে চলছে আলোচনা। পোস্টারগুলো জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কেউ কেউ বলছেন, আওয়ামী লীগের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরাই এমন ছবি লাগিয়েছেন।

ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা বলছেন, যাদের কাউয়া বোঝানো হয়, তাদের কোনো এলাকা নেই, কর্মী নেই। কোনো কর্মীর দায়িত্ব কিংবা খবর এরা রাখে না। তারা সবসময় সরকারি দলের লোক। ক্ষমতায় আসার পর কিছু নেতার হাত ধরে সরকারি দলে ভিড়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। দুঃসময়ের কর্মীরা এদের দাপটে এমপি-মন্ত্রীদের পাশে ভিড়তে পারেন না। আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি শ্রেণি আছে, যারা সবসময়ই সরকারি দলের লোক। সে কারণেই ক্ষমতাসীন দলে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বাড়ে। আর এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। আগামীতেও ক্ষমতায় আসার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে কাউয়া নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন তৃণমূলের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা।

দলীয় সূত্রমতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কিছু এমপি-মন্ত্রী ও নেতা নিজ নিজ এলাকায় নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করছেন। নিজের দল ভারী করতে তারা বিএনপি-জামায়াতের হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিকে দলে ভেড়াতে ‘কাউয়া’ বানিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদেও বসাচ্ছেন। সেই প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত। উড়ে এসে জুড়ে বসা নেতারা এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করছেন না। বিগত সময়ে যারা বিএনপি-জামায়াতের হামলা-মামলাসহ নানা অত্যাচার সহ্য করেছেন তারা এখন যেন বিরোধী দলে। একদা যেসব ‘কাউয়া’র হাতে নির্যাতিত হয়েছেন তারাই এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশীদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এক দশক ধরে ক্ষমতায় আছে এবং খুব ভালো অবস্থানে আছে। অন্য যেসব রাজনৈতিক দল আছে, তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে। চাওয়া-পাওয়ার জন্য যারা রাজনীতি করে তারা মনে করে যেহেতু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে এবং আগামীতেও আসার সম্ভাবনা রয়েছে, সে কারণে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া নিরাপদ। আর যদি তারা দেখত এই সরকারের আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেই, তাহলে তারা কেটে পড়ত। ’ তিনি বলেন, ‘দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। কাজেই অনুপ্রবেশকারীরা দলের নীতিনির্ধারককে প্রভাবিত করবে এমন সুযোগ নেই। তবে ভিতরে থেকে অপকর্ম বা আওয়ামী লীগের আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ড করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে। এ বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে। কেউ যদি আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে দলে ভেড়েন তাহলে তাকে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে তারা আওয়ামী লীগের আদর্শে বিশ্বাসী। কিন্তু আসার সঙ্গে সঙ্গে দলের পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে তাদের পদ-পদবি দিয়ে দেওয়া হলে সর্বনাশ ডেকে আনবে। দলের লক্ষ্য-আদর্শের পরিপন্থী হবে। যারা দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তারা হতাশ ও আহত হবেন। ’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘ক্ষমতার সঙ্গে কাউয়া ঢুকে যায়। আর কিছু কিছু নেতা দল ভারী করতে কাউয়াদের নাম লিস্টের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন। কিছু এমপি-মন্ত্রী ও নেতা দল ভারী করতে বা বিশেষ সুবিধা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছেন এমন ব্যক্তিকেও দলে স্থান দিয়েছেন। এসব কাউয়া বা হাইব্রিড নেতা সময় বুঝে নিজের স্বার্থ উদ্ধারে কাজ করছেন। এসব হাইব্রিডের জন্য আওয়ামী লীগের নিবেদিত নেতা-কর্মীরা দলে কোণঠাসা। এখন বিভিন্ন ইউনিটিতে কমিটি গঠনের কাজ চলছে। এসব কমিটিতে যেন অনুপ্রবেশকারীর স্থান না হয় সেজন্য কাউয়ামুক্ত আওয়ামী লীগ চেয়ে বিলবোর্ড ও পোস্টার করেছে বলে মনে করছি। ’

শুধু আওয়ামী লীগই নয়, কাউয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে ২০-দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যেও। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘দাঁড় কাউয়ামুক্ত মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ চাই’ শিরোনামে একটি সংবাদ শেয়ার করে রাজনীতিবিদদের কাউয়া থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি লেখেন, ‘শুধু কাউয়া নয়, এখানে স্যুট পরা কাউয়া, পাঞ্জাবি পরা কাউয়াও আছে। এদের কোনো এলাকা নেই, কর্মী নেই। কোনো কর্মীর দায়িত্ব কিংবা খবর এরা রাখে না। কোনো কর্মীর বিপদে এরা দাঁড়ায় না, একটা টাকাও খরচ করে না। এরা জীবনে একটা মেম্বার নির্বাচনও করে নাই বা করার যোগ্যতাও নাই। এরা কেবল বিভিন্ন টকশোতে তত্ত্ব, দর্শন আর পরিসংখ্যান দিতে থাকে। এদের রাজনীতি অনেকখানি বই পড়ে সাইকেল চালানো শেখার মতোন। এরা ছোট ছোট দলে ঘুরে বেড়ায় আর সরকারি কিছু কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে খাতির রাখে। কীভাবে একটা মনোনয়ন পাওয়া যায় সেটাই একমাত্র উদ্দেশ্য। এরা গণজাগরণের সময় সামনে থেকে গলা ফাটায় কিন্তু গণজাগরণ যখন ধাওয়া খায় তখন এরা পালায়। এরা হেফাজত ইসলামের বিরুদ্ধে সোচ্চার কিন্তু সরকার যখন হেফাজতের সঙ্গে মিটিং করে এরা নিশ্চুপ। এরাই প্রকৃত হাইব্রিড… ডিজিটাল হাইব্রিড। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের এদের কাছ থেকে সাবধান থাকা উচিত। ’

মোহাম্মদপুর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, দলে অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের দীর্ঘদিনের ঘোষণা ছিল। এবার মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও এ দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। তারা ব্যানার-ফেস্টুন করে অনুপ্রবেশকারীদের দলে না নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ সড়কের শঙ্কর আবাসিক এলাকার বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের সামনে ৩০ ফুটেরও বেশি দৈর্ঘ্যের বিলবোর্ডটি সাঁটানো হয়েছে। ‘দাঁড় কাউয়ামুক্ত মোহাম্মপুর থানা আওয়ামী লীগ চাই’ লেখাটির ডান পাশেই বিশাল একটি দাঁড়কাকের ছবি দেওয়া হয়েছে। এরপর ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত হয়েছেন।

বিস্তারিত আসছে…

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল) তৃতীয় আসরের তৃতীয় ম্যাচে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে চমক দেখিয়েছেন মুস্তাফিজ। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় মাঠে নেমেছিল শোয়েব মালিকের মুলতান সুলতানস এবং ব্র্যান্ডন ম্যাককালামের লাহোর কালান্দার্স।

এই ম্যাচে মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে যখল লাহোর কালান্দার্সের বোলারদের অসহায়ত্ব দেখা যাচ্ছিল ঠিক তখনই ম্যাচের পাল কিছুটা নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দেন মুস্তাফিজ। দলের প্রত্যেক বোলার ওভারপ্রতি ছয়ের বেশি রান করে রান খরচ করলেও কৃপণতার পরিচয় দেন বাঁহাতি এ পেসার।

শুধু রানের চাকাই ধরে রাখেননি বরং অধিনায়ক যখন যে অবস্থাতে তাকে আক্রমণে এনেছে, সে অবস্থাতেই ব্রেকথ্রু দিয়ে দলকে আবারও লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনতে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন।   নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে মুলতান সুলতানস ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান সংগ্রহ করলেও, ওভার প্রতি ৫.৫০ ইকোনমি রেটে রান দিয়ে ২২ রান দিয়ে মূল্যবান দুটি উইকেট শিকার করেন তিনি।

মুস্তাফিজের নির্ধারিত ৪ ওভারের মধ্যে ছিল না কোনো ওয়াইড কিংবা নো বল। তাছাড়া তার করা ২৪ বলের মধ্যে ১৪টিই ছিল ডট বল। নিঃসন্দেহে এটি একই সাথে তার এবং দলের জন্য অনেকটা স্বস্তিদায়ক ব্যাপার ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

চীন, রাশিয়া, সৌদি আরব ও তুরস্ক। মূলত এই চার বন্ধুর আপত্তিতে ‘সন্ত্রাসে আর্থিক মদদদাতা’ তকমা থেকে আপাতত বেঁচে গেল পাকিস্তান।

তবে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসে সব ধরনের মদদ দেওয়া বন্ধ করতে তিন মাস সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।

প্যারিসে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জোরদার চেষ্টা চালিয়েছিল, যাতে সন্ত্রাসে আর্থিক মদতদাতা রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের নাম নজরদারি-তালিকায় তোলা যায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে এই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ অনেকটাই সাজিয়ে দিয়েছিল ভারত।

কিন্তু গত কাল চীন-রাশিয়ার নেতৃত্বে তাদের বন্ধু দেশগুলি দেশ বেঁকে বসায় আপাতত তিন মাসের রক্ষাকবচ আদায় করে নিতে পেয়েছে পাকিস্তান। যা খারিজ করতে আজ সম্মেলনের শেষ দিনেও চেষ্টা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এফএটিএফের সদস্যদের মধ্যে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, রাষ্ট্রপুঞ্জ, ইউরোপীয় কমিশনের শীর্ষ কর্তারা রয়েছেন। ফলে তালিকায় নাম উঠলে এই সংস্থাগুলি মুখ ফিরিয়ে নেবে, এমন একটা আশঙ্কা পাকিস্তানের ছিলই। শেষ পর্যন্ত গোটা ঘটনাপ্রবাহকে নিজেদের ‘জয়’ হিসেবেই দেখাচ্ছে ইসলামাবাদ।

কিন্তু দিল্লিও বিষয়টিকে ব্যর্থতা হিসেবে ভাবতে রাজি নয়।

ভারতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের বক্তব্য, পাকিস্তানি আর্থিক মদদপুষ্ট সন্ত্রাস বন্ধ করতে গত এক বছরের সুপরিকল্পিত চেষ্টার পরে অনেকটাই এগোনো গিয়েছে। প্যারিসে পাকিস্তানকে নজরদারি-তালিকায় তোলার সুযোগ ছিল ঠিকই। কিন্তু এমন চেষ্টায় সাফল্যও সচরাচর খুব চটজলদি আসে না।

দিল্লির মতে, পাকিস্তানকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে মাত্র। এর মধ্যে ইসলামাবাদকে তথ্যপ্রমাণ-সহ প্যারিসের নজরদার গোষ্ঠীকে আশ্বস্ত করতে হবে যে, তারা সন্ত্রাসে টাকা জোগাচ্ছে না। ‘কাজ করে দেখানোর’ চাপ থাকবে পাকিস্তানের উপরে।

দিল্লির কর্তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, প্যারিস সম্মেলনের ঠিক আগেই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে লস্কর প্রধান হাফিজ সাঈদকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান।

সূত্র: দ্য ন্যাশন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest