সর্বশেষ সংবাদ-
আলিপুরে জামায়াতের নির্বাচনী পথ সভাআমাকে নমিনি করার পরে নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে ঝাপিয়ে পড়েছে: কাজী আলাউদ্দীনদেবহাটায় ফার্মাসিস্ট ও টেকনোলজিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে পদযাত্রা : উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠনের দাবিসাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন সমিতির কঠোর হুশিয়ারীসাতক্ষীরায় শিশু-যুব ও স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালাশ্যামনগরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক সুন্দরবনের ত্রাস সাইফুলসাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠন

সবার চোখ আদালতের দিকে

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন বিচারক। এ মামলায় খালেদা জিয়া প্রধান আসামি হওয়ায় কী রায় হচ্ছে তা জানার আগ্রহ সবার। তিনি খালাস পাবেন, নাকি দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে যাবেন, জানার জন্য সবার দৃষ্টি আদালতের দিকে। খালেদা-তারেকের বিরুদ্ধে থাকা এ মামলার রায় নিয়ে নানা প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে সবখানে। আইনাঙ্গনও এ আলোচনার বাইরে নেই। রাষ্ট্রপক্ষ ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে দাবি করলেও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মন্তব্য এর পুরোপুরি বিপরীত।

মামলাটি সম্পর্কে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আইনজীবীরা বলছেন, এ মামলায় দণ্ডবিধি ও দুদক আইনের ধারা দুটোই রয়েছে। দণ্ডবিধির অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড। তবে সাজা এক বছরের নিচে হলে আপিলের শর্তে বিবাদী তাত্ক্ষণিক জামিনের আবেদনে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী মত দিচ্ছেন তারা। যে যাই বলুক, ৮ ফেব্রুয়ারিই মিলবে এসব প্রশ্নের উত্তর।

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলাটি সংবেদনশীল। আমরা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। এখন রায়ের অপেক্ষা। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি অনুযায়ী অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন এবং দুর্নীতির ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে। আমরা বিচারাধীন বিষয়ে খুব বেশি কথা বলতে চাই না।’ এক বছরের কম সাজা হলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হবে, নাকি তিনি সেই মুহূর্তে জামিন চাইতে পারবেন— এমন প্রশ্নে আইনজীবী কাজল বলেন, ‘যদি এক বছরের কম সাজা হয় তবে আপিলের শর্তে তিনি তাত্ক্ষণিক জামিন চাইতে পারবেন।’ সেই জামিনের আবেদন যে আদালত রায় দেবে সেখানেই করা যাবে, নাকি কারাগারে গিয়ে করতে হবে— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, ওই আদালতেই তাত্ক্ষণিকভাবে বিবাদী তা করতে পারবেন।’

এদিকে মামলাটির বিচার প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ দুর্নীতি বা দণ্ডবিধির কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি বলে আবার দাবি করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আদালতে দুর্নীতির মামলার যে ধারা, সেটি বা দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা কোনোটিই প্রমাণিত হয়নি। আমরা আশাবাদী তিনি (খালেদা জিয়া) খালাস পাবেন।’ এদিকে ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ ও আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা, তা যদি প্রমাণিত হয়, তার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন এবং সর্বনিম্ন ১৪ বছরের জেল। আদালত নিজ বিবেচনায় ভিন্ন দণ্ড দিতে পারে কিন্তু সর্বনিম্নের বাইরে যাওয়ার কোনো বিধান নেই। দুর্নীতি মামলায় যদি এক বছরের নিচে সাজা হয় তাহলেও খালেদা জিয়াকে কারাগারে গিয়েই আপিল করতে হবে।’ কোনো মামলায় এক বছর বা তার কম সময়ের শাস্তি হলে আপিল করার শর্তে জামিন পাওয়ার সুযোগ আছে কিনা এবং তা ওই আদালতেই তাত্ক্ষণিক করা যাবে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে সাজা এক বছর হওয়ার সুযোগ একেবারেই নেই। জামিন চাইতে হলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে গিয়ে আপিল করতে হবে।’

সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২)(ঘ) উপ-অনুচ্ছেদে সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে বলা আছে। এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে’ তাহলে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অযোগ্য হবেন। সংবিধানের এ ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়া দণ্ডিত হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে আইনজীবীদের ভিন্নমত পাওয়া গেছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ কতটুকু— সে ব্যাপারে জানতে চাইলে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘ফৌজদারি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হলে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি সাংবিধানিক বার (বাধা) রয়েছে। ন্যূনতম দুই বছর দণ্ডপ্রাপ্ত হলে এবং এরপর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’ হাই কোর্ট যদি সাজা স্থগিত করে এবং আসামিকে জামিন দেয়, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা— জানতে চাইলে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সাজা স্থগিত করলে তো সাজা বাতিল হলো না। সাজা খাটা হলো না। সে ক্ষেত্রে পারবেন না।’

তবে ড. শাহ্দীন মালিক এ বিষয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি যদ্দুর জানি, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি এখনো সেটেল হয়নি। কোনো রায়ে নেই, আবার আইনও হয়নি। অনেক আগে একটি রায়ে বিচারপতি জয়নাল আবেদীন বলেছিলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আর বিচারপতি খায়রুল হক বলেছেন পারবেন না। বিষয়টি সুরাহার জন্য তৃতীয় কোনো বেঞ্চে যায়নি।’

এদিকে রায়ে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারেই যেতে হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তার গুলশানের বাড়িকে ‘সাবজেল’ ঘোষণা করা হতে পারে এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও এখন তা হচ্ছে না। মঙ্গলবার পুলিশের ওপর হামলার পর চূড়ান্ত পর্যায়ে হার্ডলাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এমনটি জানিয়েছে। ১০ বছর আগে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করা হয় মামলায়। এ ছাড়া তার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও এ মামলার আসামি। বিদেশে অর্থ পাচারের দায়ে সাত বছর কারাদণ্ডের রায় মাথায় নিয়ে তারেক রহমান পালিয়ে আছেন দেশের বাইরে। এ মামলায়ও তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। মামলার ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়া জামিনে রয়েছেন। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ রয়েছেন কারাগারে। আর তারেক ছাড়াও সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় ৩৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জনকে আদালতে উপস্থাপন করে। তাদের জবানবন্দি উপস্থাপনের পর আসামিপক্ষ জেরা করেছে। এরপর আসামিপক্ষও তাদের পক্ষে সাফাই সাক্ষী উপস্থাপন করেছে আদালতে। গত বছর ২০ ডিসেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। এদিন খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। দণ্ডবিধির ৪০৯, ১০৯ এবং দুদক আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তি প্রার্থনা করেন তিনি। এরপর ২১, ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর এবং ৩, ৪, ১০, ১১ ও ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় প্রতিদিনই খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সব মিলিয়ে ২৩৬ কার্যদিবস শুনানির পর মামলাটির রায়ের দিন ঠিক হলো।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সেন্সর বোর্ডে যাচ্ছে ‘বিজলী’

সেন্সর বোর্ডের জন্য প্রস্তুত চলচ্চিত্র ‘বিজলী’। চলতি সপ্তাহেই সেন্সর বোর্ডে ছবিটি জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ছবির নায়িকা ও প্রযোজক ববি। ছবিটি পরিচালনা করছেন ইফতেখার চৌধুরী। ছবিতে ববির সঙ্গে অভিনয় করেছেন কলকাতার রণবীর।

নায়িকা ববি বলেন, ‘আমরা ছবির কাজ শেষ করেছি, চলতি সপ্তাহে ছবিটি সেন্সর বোর্ডে জমা দিতে পারব। কাজটি শেষ করতে পেরে ভালো লাগছে। দর্শক ছবিটি পছন্দ করলে সামনে আরো ছবি নির্মাণ করব।’

দর্শকদের ধন্যবাদ দিয়ে ববি বলেন, ‘আমি এই ছবির জন্য গত একটা বছর অনেক কষ্ট করেছি। বিশ্ব মানের একটি ছবি নির্মাণ করার জন্য যত চেষ্টা, আমরা সব করেছি।

অবশ্য এরই মধ্যে তার ফলও পেয়েছি। কারণ, ছবির একটি গান রিলিজ করা হয়েছে ইউটিউবে। প্রকাশের পর দর্শকদের আগ্রহ আর প্রশংসা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমি চেলেঞ্জ করে বলতে পারি ছবিটিও সবার পছন্দ হবে।

ছবিটি কেন বিশ্ব মানের মনে হলো জানতে চাইলে ববি বলেন, ‘আমি চলচ্চিত্র যতটা বুঝি তা হলো, একটি সিক্যুয়েন্স বাস্তব সম্মতভাবে ক্যামেরায় ধারণ করা। দেখে যেন মনে হয় এটা গল্প বা সিনেমা নয়। সেক্ষেত্রে আমার দেশে ছবি করতে গেলে শিল্পী প্রযুক্তি, সময়, বাজেট যেকোনো একটার অভাবে কোনো রকমভাবে বা কিছুটা ফাঁকি দিয়ে শুটিং করি। এ কারণে ছবিটি পরিপূর্ণ হয় না। আমি আমার ছবিতে সব কিছু পরিপূর্ণ দিয়েছি। এতে বাজেট বেশি লেগেছে, সময় বেশি লেগেছে। তবে ছবিটা নিখুঁত হয়েছে।

ছবিতে ববি ও নবাগত নায়ক রণবীর ছাড়াও অভিনয় করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, আহমেদ রুবেল, শতাব্দী রায় প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে ববির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ববস্টার থেকে। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন ভারতের পেলে ভট্টাচার্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হলুদ খেলে বৃদ্ধি পায় যে শারীরবৃত্তীয় ক্ষমতা

রান্না হোক কিংবা অন্যান্য কাজে, হলুদের গুণাগুণ কখনই অগ্রাহ্য করা যাবে না। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময়েও ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই হলুদ। এছাড়া আয়ুর্বেদিক জগতেও বেশ সুনাম আছে এই জিনিসটির।

এখানেই শেষ নয়, গবেষণা বলছে, স্মৃতিভ্রমকেও নাকি দূর করার ক্ষমতা রাখে হলুদ। নিয়মিত হলুদ খেলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। এছাড়া যাদের ভুলে যাওয়ার রোগ রয়েছে, তাদের স্মৃতিশক্তি বেড়ে যায়।

প্রায়শই বিভিন্ন জিনিস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে ৫০–৯০ বছর বয়সী এমন ৪০ জনের ওপরে চালানো হয় সমীক্ষা। ৪০ জনের মধ্যে ২০ জনকে প্রতিদিন ৯০ মিলিগ্রাম হলুদ খাওয়ানো হয়। ১৮ মাস পর দেখা যায়, যে ২০ জন নিয়মিত হলুদ খেয়েছেন তারা মানসিকভাবে অনেকটাই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।

এমনকী স্মৃতিশক্তিও আগের তুলনায় অনেক ভাল হয়েছে। এরপরই বেশ কয়েকজন অ্যালঝাইমার্স রোগীদের ওপরে পরীক্ষা করেও সুফল পান গবেষকরা। তারপরই তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, সত্যিই হলুদ খেলে দূর হতে পারে স্মৃতিভ্রম। তবে একদিনেই ফল পাবেন না। নিয়মিত বেশ কিছুদিন ধরে হলুদ খেতে হবে। ‌‌

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চীনকে চাপে রাখতে সুড়ঙ্গ তৈরির পরিকল্পনায় ভারত

নতুন করে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট ঠিক করেছে ভারত সরকার। আর সেই বাজেটেই চীনকে আরও চাপে রাখতে রয়েছে নতুন পরিকল্পনা।

গত বছরের শেষেই ডোকা লা সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনার মধ্যে সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভারত সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানের সাহায্য চীন একটি বিশেষ করিডরও তৈরি করছে। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই চাপে ছিল ভারত। কিন্তু সেই চাপ কাটিয়েই এবার নতুন করে অরুণাচল সীমান্তে সুড়ঙ্গ তৈরি করার কথা ভেবেছে ভারত।

বাজেট ঘোষণার সময়ই অরুণ জেটলি সেই ঘোষণাই করলেন। জানিয়ে দিলেন সেলা পাসের নীচ দিয়ে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করা হবে। যে পথ দিয়ে দীর্ঘ পথ অনেক সহজে অতিক্রম করতে পারবে সেনা। ফলে স্বাভাবিক ভাবে সীমান্তে কোনও ঝামেলা বাধলে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকেও দ্রুত উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে।

যদিও, ডোকা লা সীমন্তে ঝামেলা হওয়ার পরেই দু’‌দেশের প্রশাসনের মধ্যে একাধিক আলোচনা হয়েছে। বরফও কিছুটা গলেছে। এখন অরুণাচল সীমন্তে আর চাপা উত্তেজনা নেই। কিন্তু তবুও ভারত চীনের সীমান্ত নিয়ে আগে থেকেও প্রস্তুত থাকতে চাইছে ভারত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুলিশ সোর্সের চোখ তুলে নিল মাদক ব্যবসায়ীরা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কুতুবপুর এলাকায় মাসুদ পারভেজ নামে ডিবি পুলিশের এক সোর্সের ডান চোখ উপড়ে ফেলেছে মাদক বিক্রেতারা। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুতুবপুরের শরীফবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, মাসুদ পারভেজ ফতুল্লা মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছে। কয়েক মাস আগে পারভেজের দেয়া তথ্যে কুতুবপুরের চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা রহমানের ভাই সজলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর থেকে মাদক বিক্রেতা রহমান ও তার সহযোগীরা সোর্স পারভেজের উপর ক্ষিপ্ত ছিল। শুক্রবার পারভেজের কাছে তথ্য ছিল যে, আকন গলিতে বড় ধরনের মাদকের চালান আসছে। সংবাদটি জেলা ডিবি পুলিশের এসআই রবি চৌহানকে দিয়েছিল পারভেজ।

শুক্রবার সকাল থেকে পারভেজ আকন গলিতে অবস্থান করছিল। শনিবার রাত ৮টার দিকে আকন গলিতে মাদক বিক্রেতা রহমান, এনামুল, আকবর ও লিখনসহ ৭/৮ জন পারভেজকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এরপর তারা পারভেজকে মারধর করে। এক পর্যায়ে পারভেজকে মাটিতে ফেলে তার ডান চোখ উপড়ে ফেলে মাদক ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টার (অপারেশন) মুজিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে একজন অফিসার পাঠানো হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্লাস্টিক সার্জারি করেছেন যেসব বলিউড অভিনেত্রী!

ইশ্বর যা দেননি, তা দিয়েছেন ডাক্তররা। বলিউডের বেশ কয়েকজন নায়িকাদের সৌন্দর্য নিয়ে এই কথাটা ইন্ডাস্ট্রিতে খুব প্রচলিত। বলা হচ্ছে বলিউড অভিনেত্রীদের প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে চেহারা পরিবর্তনের কথা। প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে অভিনেত্রীর আগের ও এখনকার ছবির অনেক ফারাক। এক নজরে দেখে নিন-

১. শ্রীদেবী:

বলিউডের চিরকালীন সৌন্দর্য্যের মুখ তিনি। কিন্তু তাঁর সুন্দর নাকটা নাকি প্লাস্টিক সার্জারির দান।

২. ঐশ্বরিয়া রায়:

নিখুঁত সুন্দরী হিসেবেই বলিউড তাঁকে পরিচয় দেয়। কিন্তু ঐশ্বর্যার এই নিখুঁত সৌন্দর্য নাকি ডাক্তারদের দান।

৩. প্রিয়াঙ্কা চোপড়া: সুন্দর নাক, ঠোঁট সব কিছুই প্লাস্টিক সার্জারির দান।

৪. শিল্পা শেঠি:
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত লাস্যময়ীর খেতাবটা তাঁরই দখলে। তবে প্লাস্টিক সার্জারিতে মুখের অবয়ব পুরোদস্তুর যেন বদলে ফেলেছেন শিল্পা। আবেদনময়ী রূপ থেকে বরং তাতে এখন ভারতীয় নারীর সারল্যই বেশি, সবই চিকিৎসকের কৃতিত্ব!

৫. শ্রুতি হাসান:

বলিউডের সৌন্দর্যের দক্ষিণা বাতাস তিনি। কমল হাসানের মেয়ের সৌন্দর্যের পাগল ভক্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু শ্রুতির আগের ছবিই প্রমাণ করে কোথাও না কোথাও বড় ধরনের একটা ম্যাজিক কাজ করেছে, যাতে তিনি পারফেক্ট লুক পেয়েছেন। বলাই বাহুল্য সেটা প্লাস্টিক সার্জারি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকিস্তানে সেনাঘাঁটিতে হামলায় ১১ সেনা নিহত

পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে একটি সেনাঘাঁটিতে তালেবানের আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১১ সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১৩ জন।

ডন অনলাইন জানায়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সোয়াত উপত্যাকার ওই সেনাঘাঁটিতে ভলিবল খেলছিলেন সেনারা। তখনোই আত্মঘাতী হামলাটি চালানো হয়। এ সময় সেখানে বেসামরিক নাগরিকও উপস্থিত ছিলেন।

হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে হামলার দায়ভার স্বীকার করেছে তেহরিক ই তালেবান। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী খাকান আব্বাসি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রকাশ্যে দীপিকা ও প্রিয়াঙ্কার ঝগড়া! ভাইরাল ভিডিও

দীপিকা ও প্রিয়াঙ্কার মধ্যে যে একটা অদৃশ্য লড়াই রয়েছে, একথা বি-টাউনে কান পাতলেই শোনা যায়। অভিনয় দক্ষতার দিক থেকে তারা যে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী সেকথা আর নতুন করে বলার কিছু নেই।

তবে শুটিং চলাকালে বলিউডের এই দুই শীর্ষ অভিনেত্রী যে এভাবে প্রকাশ্যে ঝগড়া করতে পারেন, সেকথা হয়ত কেউ ভাবতেও পারেন না। তবে এমনটাই ঘটেছে। দু’বছর আগে সঞ্জয়লীলা বনশালি ‘বাজিরাও মস্তানি’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় দুই অভিনেত্রী ঝগড়ার ভিডিও সম্প্রতি নতুন করে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়েছে।

বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তবে একথা সত্যি। ভিডিওতে দেখা গেছে ‘বাজিরাও মস্তানি’ ‘পিঙ্গা’গানের শুটিংয়ের সময় একে অপরের উল্টো দিকে মুখ করে বসে ঝগড়া করছেন। এমনকি ঝগড়া জের এতটাই যে দীপিকা প্রিয়াঙ্কাকে ছুরি দেখাতেও দ্বিধা করলেন না।

তবে না, এসবই ঘটেছে নেহাতই মজা করেই। ‘বাজিরাও মস্তানি’তে দুই সতীনের যে ঝগড়া দেখানো হয়েছে সেটাই পর্দায় তুলে ধরার আগে কিছুটা মজা-মশকরা করছিলেন দিপ্পি ও পিগি চপস। তারপরই আবার শুরু করে দিলেন পিঙ্গা গানের শুটিং।

ভিডিওতে ‘পিঙ্গা’ গানটির শুটিংয়ের পুরো দৃশ্যটিও দেখা গেছে, যে কীভাবে এই কঠিন নাচটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন দীপিকা ও প্রিয়াঙ্কা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest