সর্বশেষ সংবাদ-
আলিপুরে জামায়াতের নির্বাচনী পথ সভাআমাকে নমিনি করার পরে নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে ঝাপিয়ে পড়েছে: কাজী আলাউদ্দীনদেবহাটায় ফার্মাসিস্ট ও টেকনোলজিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে পদযাত্রা : উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠনের দাবিসাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন সমিতির কঠোর হুশিয়ারীসাতক্ষীরায় শিশু-যুব ও স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালাশ্যামনগরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক সুন্দরবনের ত্রাস সাইফুলসাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠন

দাপুটে মুমিনুলের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ড্র

ড্রেসিংরুমে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মুখটা পান্ডুরের মত দেখাচ্ছিল। তার সাজানো ছকেই যে চট্টগ্রাম টেস্টের চারটা দিন কেটে গিয়েছিল! আর তো বাকি মাত্র একটা দিন। এই একটা দিনও যদি পরিকল্পনা মতো এগোয়, তাহলে ঐতিহাসিক এক টেস্ট জয় হয়ে যাবে তার জন্য; কিন্তু হাথুরুসিংহে কী ঘূর্ণাক্ষরেও ভাবতে পেরেছিলেন, তারই হাতে বার বার উপেক্ষিত হতে থাকা মুমিনুল হক নামের এক লিটল বয়, টেস্ট ম্যাচটা বাঁচিয়ে দেবে!

মুমিনুল প্রথম ইনিংসে না হয় নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছিলেন। তাই বলে দ্বিতীয় ইনিংসেও! কিংবা লিটন দাসের মত ব্যাটসম্যান, প্রথম ইনিংসে যে বোকার মত বল ছাড়তে গিয়ে বোল্ড হয়েছিল প্রথম বলেই, সেই কি না হাথুরুর সাজানো বাগান তছনছ করে দেবেন! সব শেষে তারা পারলেন। পারলেন ম্যাচটাকে বাঁচিয়ে দিতে। বীরের মত লড়াই করে শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র করলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ৩০৭ রান। দিনের খেলা প্রায় ১৭ ওভার বাকি থাকতে যখন দেখা গেলো আর কারও জয়ের সম্ভাবনা নেই, তখন ম্যাচ সমাপ্তির আহ্বানই জানালেন দু’দলের দুই অধিনায়ক। আম্পায়াররাও ম্যাচ অমিমাংসিতভাবে শেষ করার ঘোষণা দিলেন।

ক্রিকেট এ কারণেই তো গৌরবময় অনিশ্চিয়তার খেলা। শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত যে খেলা নিয়ে আগাম কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। চতুর্থদিন শেষ বিকেলে পাকা ফলের মত টপাটপ তিন উইকেটের পতন ঘটলে বাংলাদেশ শিবিরে হারের শঙ্কা জেগেছিল ঠিক; কিন্তু ছোট শরীরে বিশাল হৃদয়ের অধিকারী মুমিনুল হক যেন ধনুভঙ্গ পণ করেই শেষ দিন ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছিলেন। নিজের উজ্জীবিত হওয়ার মন্ত্রটা তিনি শুনিয়ে দিয়েছিলেন সঙ্গী লিটন কুমার দাসকেও। তাদের দু’জনের পরিকল্পনাই ছিল যেন, হাথুরুর সাজানো বাগান নষ্ট করে দেয়া।

সে কাজে তারা পুরোপুরি সফল। ১৮০ রানের অতিমানবীয় জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কার হাতের মুঠো থেকে ম্যাচটি পুরোপুরি বের করে নিয়ে আসলেন তারা দু’জন। একই টেস্টের দুই ইনিংসে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে গৌরবময় সেঞ্চুরি উপহার দিলেন লিটল মাস্টার মুমিনুল হক। সঙ্গে লিটন কুমার দাস খেললেন অমিত সাহসী একটি ইনিংস। আক্ষেপ তার জন্য। নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটার ঠিক ৬ রান আগেই আউট হয়ে গেলেন; তবে ব্যাক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলীয় অর্জণকেই রাঙিয়ে দিলেন তিনি। তার ৯৪ রানের এই ইনিংসটি বাংলাদেশের ম্যাচ বাঁচানোর ক্ষেত্রে কম ভূমিকা রাখেনি।

প্রথম ইনিংসে ৫১৩ রান করেও ২০০ রানে পিছিয়ে পড়তে হলো লঙ্কানদের ৭১৩ রানের কারণে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কান স্পিনারদের খুব হিসেবি বোলিং আর টাইট ফিল্ডিংয়ের কারণে দলের বাটিং স্তম্ভ বলে পরিচিত তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস কিংবা মুশফিকুর রহীমের উইকেট হারানোর পর ৫ম দিনটাকে বাংলাদেশের জন্য মনে হচ্ছিল বিশাল লম্বা একটি দিন।

১১৯ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শেষ করে বাংলাদেশ। হাতে মাত্র ৭টি উইকেট। ক্রিজে আশার প্রদীপ হয়ে জ্বলছিলেন কেবল মুমিনুল হক। তখন তার রান ১৮। পঞ্চমদিন ব্যাট করতে হবে রঙ্গনা হেরাথের মত বিশ্বের অন্যতম সেরা বাঁ-হাতি স্লো অর্থোডক্স স্পিনারকে মোকাবেলা করতে হবে। যে কি না এমন পরিস্থিতিতে বার বার প্রতিপক্ষের সামনে ভয়ঙ্কর রূপে হাজির হন। তারওপর বাংলাদেশ শিবিরে মুমিনুলছাড়া আর কোনো বাম হাতি ব্যাটসম্যান ছিল না। সবাই ডানহাতি। ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের নামনে বাম হাতি স্পিনার দারুণ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন।

সেই হেরাথ, সান্দাকান, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দিলরুয়ান পেরেরা, লাহিরু কুমারা, কুশল মেন্ডিস কিংবা সুরঙ্গা লাকমালদের চারদিকে খেলে ১৮০ রানের বিশাল জুটি গড়রলেন মুমিনুল আর লিটন কুমার দাস। ১০৫ রান করে মুমিনুল যখন আউট হলেন, তখন দলীয় রান ২৬১অ। ততক্ষণে লঙ্কানদের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। তখন শুধু লক্ষ্য ছিল কতটা নিরাপদ দুরত্বে যাওয়া যায়।

লিটন কুমার ভুলটা করলেন হেরাথের বলে বিগ শট খেলে সেঞ্চুরির ইচ্ছা করার কারণে। মিড অফে তার বলটা উঠে গেলে দিলরুয়ান পেরেরা দৌড়ে এসে সেটা তালুবন্দী করলেন। দলকে বাঁচালেও নিজে বাঁচতে পারলেন না। সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দুরে থাকতে সাজঘরে ফিরে গেলেন।

সারাদিনে খুব কষ্টকর হলেও লঙ্কান বোলারদের সাফল্য ছিল মাত্র এই দুটি উইকেট। বাকি সময়টা অনায়াসে পার করে দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তারা দু’জন মিলে ২৮ রানের জুটি গড়লেও সেটাও ছিল খুব মূল্যবান। কারণ, একটা জুটি ভাঙলে বাংলাদেশের যে উইকেট পড়ার মড়ক লাগে, সেটা হতে দিলেন না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এবং মোসাদ্দেক সৈকত। ২৮ রান করে মাহমুদউল্লাহ এবং ৮ রান করে উইকেটে টিকে ছিলেন সৈকত।

লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সফল রঙ্গনা হেরাথই বেশি। ৮০ রান দিয়ে যে তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট! ১টি করে উইকেট নিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দিলরুয়ান পেরেরা এবং লক্ষ্মণ সান্দাকান।

এর আগে টেস্টের প্রথম দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিলো ৫১৩ রান। সর্বোচ্চ ১৭৬ রান করেছিলেন মুমিনুল হক। ৯২ রান করে আউট হন মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন অপরাজিত ৮৩। তামিম ইকবাল করেছিলেন ৫২ রান। জবাব দিতে নেমে অসাধারণ ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কাও। তারা ৯ উইকেটে ৭১৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ১৯৬ রান করেন কুশল মেন্ডিস। ১৭৩ রান করে আউট হন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ১০৯ রান করেন রোশেনা সিলভা। ৮৭ রান করেন দিনেশ চান্ডিমাল। ৬২ রান করেন নিরোশান ডিকভেলা।

২০০ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারিয়ে করে ৩০৭ রান। ১০৫ রান করে আউট হন মুমিনুল হক। ৯৪ রান করেন লিটন দাস এবং ৪১ রান করেন ইমরুল কায়েস। দুই ইনিংস মিলে ২৮১ রান করার কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে লিটল মাস্টার মুমিনুল হকের হাতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বিএনপি-জামায়াতের ১০ নেতা-কর্মীসহ আটক ৩৬

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরায় পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের ১০ নেতা-কর্মীসহ ৩৬ জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ১৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জন, কলারোয়া থানা ৫ জন, তালা থানা ২ জন, কালিগঞ্জ থানা ৫ জন, শ্যামনগর থানা ৭ জন, আশাশুনি থানা ৫ জন, দেবহাটা থানা ৪ ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় সপ্তাহ ব্যাপী পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৮ উদ্বোধন

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : ‘‘পাসপোর্ট নাগরিক অধিকার-নিঃস্বার্থ সেবাই অঙ্গিকার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সপ্তাহ ব্যাপি পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৮ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস চত্বরে সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের আয়োজনে সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক এ.কে.এম আবু সাঈদ এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে সপ্তাহ ব্যাপি পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৮ এর উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। এসময় তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সততা ও নিষ্ঠার সাথে ব্যাপক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস জেলা প্রশাসন, সনাক ও টিআইবি’র আয়োজনে সাতক্ষীরাতে অনুষ্ঠিতব্য তথ্য মেলা-২০১৭ এ পাসপোর্ট গ্রহীতাদের সর্বাত্তক সেবা দিয়ে সেরা স্টল হিসাবে প্রথম পুরস্কার পায় এবং জেলার উন্নয়ন মেলা-২০১৮ এ সর্বাত্তক সেবা দিয়ে সেরা স্টল হিসাবে দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, এ প্রতিষ্ঠানটি সততা ও নিষ্ঠার সাথে ব্যাপক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে আমি গোপনে লোক পাঠিয়ে দেখেছি এখানে সততার সাথে সর্বাত্তক সেবা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, অনলাইন সেবা চালুর ফলে পাসপোর্ট ও ভিসা পেতে ভোগান্তি অনেকাংশে কমে এসেছে। পুলিশ ভেরিফিকেশন অনলাইনে চালু হলে এক্ষেত্রেও হয়রানি থাকবে না। তিনি কোনো ধরনের হয়রানি না করে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে নাগরিকসেবা প্রদানের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এন.এস.আই) সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও দৈনিক প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যাণার্জি। এসময় জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও অসংখ্য পাসপোর্ট গ্রহীতা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্ষুধা-দরিদ্র নির্মূলের মত জঙ্গি দমনেও শেখ হাসিনা সরকার সফল -জার্মানীতে এমপি রবি

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: বিশ্ব সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠন ওয়ার্ল্ড এন্টি টেরোরিজম ওরগানাইজেশন এর আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জার্মানীর হেসেন প্রদেশের রাজধানী ভিসবাডেনে এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমন্ত্রিত অতিথি জার্মানী সফররত সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, সন্ত্রাস দমন সহ দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে জার্মান সরকারের অবদান বাংলাদেশ সরকার কৃতজ্ঞতার সাথে স্বরণ করেন। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় অন্তরায় হল সন্ত্রাস। সময়ের সাথে সাথে সন্ত্রাসের ব্যাপকতা ও তীব্রতা দুই-ই বেড়েছে। সন্ত্রাসবাদ কোনো একক বা বিচ্ছিন্ন সমস্যা নয়। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় এখন সময় হয়েছে একযোগে কাজ করার। জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে শক্ত হাতে, ক্ষুধা ও দরিদ্র নির্মূলে সফল ঠিক তেমনি জঙ্গি দমনেও সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। সন্ত্রাসবাদ আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত এক দশকে সংঘর্ষের তীব্রতা এবং সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে এবং ছড়িয়ে পড়েছে, সমাজ ধ্বংস হয়েছে এবং সমগ্র অঞ্চলে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করেছে। গত বছর ১০০টির ও বেশি দেশে কমপক্ষে ১১ হাজার সন্ত্রাসী হামলা ঘটেছে, যার ফলে ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু এবং ৩৩ হাজার লোক আহত হয়েছে। বিশ্বায়নের এই যুগে একটি রাষ্ট্রের ব্যর্থতা দ্রুত তার প্রতিবেশীদের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে এবং অনেকদূর অতিক্রম করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্যের ডাক দিতে হবে। আমাদের সবার নীতি প্রণয়ন একতা, সংহতি এবং সহযোগিতা বাড়াতে হবে অর্থাৎ্ একতাবদ্ধ হতে হবে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থার সহযোগিতা আরো জোরদার করার একটি জরুরি প্রয়োজন রয়েছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে এখনও কোনো ঐকমত্য নেই। কার্যকরী সন্ত্রাসবিরোধী পন্থা হিসেবে টেকসই কাউন্টার-টেরোরিজম ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।’ এসময় সবধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জার্মানীর হেসেন প্রদেশের পার্লামেন্টের সদস্যরা।
মতবিনিময় সভায় ভিসবাডেন এর সি ডি ইউ এর সাধারণ সম্পাদক ও এমপি মানফ্রিড পেন্টস ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রাদেশিক পার্লামেন্ট এর সদস্য আলেকজান্ডার বাওয়ার বলেন, সন্ত্রাস দমনে শেখ হাসিনা সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অনেক দেশের জন্যেই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মহসিন হায়দার মনি, সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান খসরু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাগির খান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক মিসেস সাবরা খান। পরে জার্মানীতে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি সড়ক ও প্রতিকৃতি নির্মাণের ও দাবি জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা মর্নিং সান প্রি ক্যাডেট স্কুলে চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাতক্ষীরা শহরের মর্নিং সান প্রি ক্যাডেট স্কুলে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাতের যে কোন সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্কুল সুত্রে জানাগেছে।
স্কুলের প্রিন্সিপাল শেখ আমিনুর রহমান কাজল জানান, আমরা প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার বিকালে স্কুলে যাবতীয় কাজ কর্ম শেষে স্কুলে তালা লাগিয়ে চলে যায়। রোববার সকালে স্কুলে এসে দেখি স্কুলের অফিস রুমের তালার আংটা কাটা, স্কুলের কম্পিউটারটির খোলা, টেবিলের ড্রায়ার খোলা। তিনি দাবি করে বলেন, রাতের কোন এক সময় অজ্ঞাত চোর স্কুলে প্রবেশ করে ড্রায়ারে রাখা কিছু নগদ টাকা কম্পিউটারের মূল্যবান যন্ত্রাংশ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা পুরস্কার নিয়ে যায়। একই রাতে স্কুলের পাশের বাড়ির গেটের তালা কেটেছে বলে তিনি জানান। এতে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার ক্ষতি হয়ে বলে তিনি দাবি করেন। এঘটনায় সদর থানার এস আই রকিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে সম্প্রতি সাতক্ষীরা শহরের চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় প্রতি রাতেই শহরের কোন কোন স্থানে চুরির ঘটনা ঘটছে বলে শহরবাসীর দাবি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার লেভান্তের বিপক্ষেও রিয়ালের হোঁচট

চলতি মৌসুমটা মোটেও ভালো যাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদের। আর সেই ধারাবাহিতকাতেই সর্বশেষ লেভান্তের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে হোঁচট খেল জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।

শনিবার লা লিগার নিচের সারির দল লেভান্তের মাঠ স্তাদিও সিউইদাদ ডি ভ্যালেন্সিয়ায় আতিথিয়েতা নিতে যায় রিয়াল। তবে দু’বার এগিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হল না। ম্যাচের ১১ মিনিটে অবশ্য এগিয়ে যায় রিয়াল। অধিনায়ক সার্জিও রামোসের লিগে ৫০তম গোলে লিড পায় দলটি। তবে ৪২ মিনিটে প্রতিপক্ষের ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার এমানুয়েল বোয়েটাংয়ের গোলে সমতা পায় স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামা ইসকো ৮১ মিনিটে গোল করে ফের দলকে এগিয়ে দেন। কিন্তু নির্ধারিত সমেয়র এক মিনিট আগে জামপাওলো পাজ্জিনি গোল করলে শেষ হয়ে যায় রিয়ালের আশা।

এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মৌসুমের প্রথম লেগেও ঘরের মাঠে ড্র করেছিল রিয়াল।

লিগে ২১ ম্যাচে এই নিয়ে ষষ্ঠ ড্র করা রিয়াল ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে চতুর্থ স্থানে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা-উপজেলায় সতর্ক থাকার নির্দেশনা আওয়ামী লীগের

সব জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীকে সবসময় সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশনা পাঠিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত শনিবার পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা শনিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দলটির নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী নির্বাচনী কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন, নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের ট্রনিংয়ের জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা, বিএনপি ও জামায়াত জোটের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও গণবিরোধী রাজনীতির বিরুদ্ধে জনগণকে সজাগ, সতর্ক করা এবং সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম আরও জোরদার করার নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

ওবায়দুল কাদেরের পাঠানো চিঠিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্যও তাগিদ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, একাদশ সংসদ নির্বাচন নিকটে চলে এসেছে, ফলে এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করা যাবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পৃথিবীকে পরমাণু যুদ্ধ থেকে বাঁচিয়েছিলেন যিনি

১৯৮৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। মস্কো থেকে ১০০ কিলোমিটার পশ্চিমে সামরিক কমান্ডো সেন্টারে ডিউটি শিফট পরিবতর্ন হয় রাতে। সোভিয়েত বিমান বাহিনীর অফিসার ৪৪ বছর বয়সী লেফটেনেন্ট কর্নেল স্তানিসলাভ পেত্রোভের রাতের ডিউটি শুরু হয়। পেত্রোভ ছিল তখনকার প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন ‘ইউনিয়ন অব সোভিয়েত সোস্যালিস্ট রিপাবলিক’ (ইউএসএসআর)-এর মধ্যে চলছিল ঠাণ্ডা লড়াই (কোল্ড ওয়ার)।উভয় দেশের নেতৃত্বে ভাগ হয়ে পড়ে গোটা দুনিয়া।

৩৪ বছর আগের ওই রাতে পেত্রোভ দায়িত্ব বুঝে নেন।দায়িত্ব নিয়ে তিনি সামরিক কেন্দ্রের বৃহৎ পর্যবেক্ষণ যন্ত্রটিতে চোখ রাখেন।যেটি ছিল সুপার কম্পিউটার পরিচালিত।৪টি গোয়েন্দা উপগ্রহ কেন্দ্র থেকে পাঠানো তথ্য প্রদর্শন করত সেটি। যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মহাসাগর অঞ্চলের তথ্য দেখা যেত ওই কম্পিউটারে।

পেত্রোভ দায়িত্ব নেয়ার ১৫ মিনিট পরেই কম্পিউটার সংকেত দিতে শুরু করে। ইলেক্ট্রিক মানচিত্রে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার উদ্দেশ্যে মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। স্যাটেলাইটের পাঠানো সংকেতে দেখা যায়, নিক্ষিপ্ত মিসাইল পরমাণু অস্ত্র বহন করছে। যুক্তরাষ্ট্রের নবম সামরিক বেজ থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

সঙ্গে সঙ্গে পেত্রোভ সোভিয়েত নেতাদের কাছে সেই সংকেত পাঠিয়ে দেয়। সংকেত পাঠানো হয় ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের কাছে। দ্রুততার সঙ্গে ঊর্ধ্বতন মহল থেকে পেত্রোভকে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়।

তখন পেত্রোভের অধীনে প্রায় ১০০ কমান্ডার ছিল। সবাই ইলেক্ট্রিক মানচিত্রে দেখতে পান, রাশিয়ার দিকে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।সেকেন্ডে ৭ দশমিক ৮ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি মাত্র ৪০ মিনিটের মধ্যে মস্কোতে আঘাত হানবে।

কম্পিউটারে হামলার সর্বোচ্চ হুমকিমূলক সংকেত দেখাতে থাকে। অনেক কমান্ডারের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়। কিন্তু পেত্রোভ ছিলেন ধীর-স্থির।

এর ৪ সপ্তাহ আগে সোভিয়েত ২৬৯ জন যাত্রীসহ দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান নামিয়ে নেয়। যার মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান ছিল। বিমানটি অবৈধভাবে সোভিয়েত সীমানায় প্রবেশ করে।

তার কিছুদিন পর সোভিয়েত সশস্ত্র অবস্থায় আফগানিস্তানে শতাধিক সৈন্য পাঠায়। এসব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েতের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছিল। এ সময়ের পরিস্থিতি হামলার আশংকাও অমূলক ছিল না।

ঊর্ধ্বতন মহল থেকে পেত্রোভকে ফোন করে পাল্টা পরমাণু হামলার জন্য চাপ দেয়া হয়। পরমাণু বোমা হামলার জন্য পুরো টিম প্রস্তুত রয়েছে। লাল বোতামটি চাপা মাত্রই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ হবে পাল্টা পরমাণু বোমা।

সামরিক বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য ও কর্মকর্তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তারা সবাই পেত্রোভের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছে। পেত্রোভ নির্দেশ দিলে ১ বা ২ সেকেন্ডের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে পরমাণু বোমাবাহী মিসাইল ছুটতে শুরু করবে।

এমন সময় পেত্রোভ খেয়াল করেন,কম্পিউটার যে সংকেত দেখাচ্ছে সেখানে উড়ন্ত মিসাইলের সংকেত দেখা যাচ্ছে না। একইসঙ্গে মিসাইলের পেছনের অংশ বোঝা যাচ্ছে না।

তিনি তখন দেখেতে পান যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু বোমা প্রতিরোধী কোনো ব্যবস্থা কার্যকর করেছে এমন কোনো সংকেতও দেখা যাচ্ছে না।তখনই কম্পিউটারের দেখানো তথ্য নিয়ে তার সন্দেহ হয়।

তার মনে হয়, যদি যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করে তাহলে পাল্টা পরমাণু বোমা থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা প্রস্তুত করবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা প্রস্তুত করেনি।

অন্যদিকে সোভিয়েতের ভূমিভিত্তিক রাডারে কোনো সংকেত ধরা পড়েনি। যখনই তিনি বুঝতে পারেন পরমাণু হামলা হয়নি এবং পাল্টা হামলা না করাটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।

পেত্রোভ বলেন, আমি বুঝতে পারি কম্পিউটারে দেখানো সিগন্যাল ভুল। তখন আমি চিৎকার দিয়ে উঠি এবং বলতে থাকি এটি সম্পূর্ণ ভুল সংকেত, ভুল সংকেত। তখন আমি সিদ্ধান্ত নেই, কম্পিউটারকে বিশ্বাস করা যাবে না।

কিছুক্ষণ পর তারা কম্পিউটারের সমস্যা শনাক্ত করতে পারে বলে তৎকালীন সোভিয়েত বিমান বাহিনীর প্রধান কর্নেল জেনারেল উরি ভেটিনসেভ রাশিয়ার একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন।

এ নিয়ে পরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্ত করে ওই কম্পিউটারে আরো কিছু সমস্যা শনাক্ত করে।

তদন্তে এও ধরা পড়ে, সূর্যের আলোর প্রতিফলনের কারণে সোভিয়েত স্যাটেলাইটে ভুল বার্তা পাঠাচ্ছে। যখন সূর্যের আলো থেকে স্যাটেলাইটটি অন্ধকারের মধ্যে পড়তে শুরু করে তখনকার ওই পরিবর্তনের সংকেতকে স্যাটেলাইটে মিসাইল হামলার সংকেত হিসেবে দেখাচ্ছে।

পেত্রোভ ১৯৮৪ সালে অবসরে যান। এরপর তিনি একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ৭৭ বছর বয়সে ২০১৭ সালের ১৭ মে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

পেত্রোভের এই সিদ্ধান্তের গল্প ১৯৯১ সালে প্রথম পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। কিন্তু এর জন্য রাশিয়ায় পেত্রোভকে কোনো পুরস্কৃত করা হয়নি। বরং অনেকে তাকে সন্দেহের চোখে দেখতে থাকে।

তবে ২০০৬ সালে নিউইয়র্কভিত্তিক যুদ্ধবিরোধী সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ওয়ার্ল্ড সিটিজেন’ থেকে পেত্রোভভকে ১৯৮৩ সালের ওই সিদ্ধান্তের জন্য পুরস্কৃত করে।

২০১৪ সালে ড্যানিশ চলচ্চিত্রকার পিটার এ্যান্থোনি তাকে নিয়ে ‘দ্যা ম্যান হু সেভ না ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করে, যেটি পুরস্কৃত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest