সর্বশেষ সংবাদ-
পুনরায় সচল বৈছাআ, অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেন সাতক্ষীরার আহ্বায়কজাতীয়তাবাদী সাইবার দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাসাতক্ষীরায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পরিচিতি সভাসীমান্ত প্রেস কাবের সভাপতি ইমন – সম্পাদক লিংকন,সাতক্ষীরায় জেলা তাঁতীদলের সভাপতি রিপন – সম্পাদক সাহেব আলীআশাশুনিতে এক রাতে ৪ দোকানে দুঃসাহসীক চুরিসাতক্ষীরা সদরে বাঁশদহা সমাজকল্যাণ পরিষদের অফিস উদ্বোধনউত্তর-পশ্চিম কাটিয়া জামে মসজিদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা : প্রতিবাদে মানববন্ধনআশাশুনিতে কিশোরীকে অপহরনের অভিযোগ: ৮ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশশ্যামনগরে কিশোর কিশোরী-যুবদের নিয়ে ফুটবল ম্যাচ ও গ্রামীণ খেলাধুলা  

শ্যামনগরে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন

শ্যামনগর ব্যুরো : বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অর্জন বিষয়ক কার্যক্রমকে মানুষের মধ্যে তুলে ধরবার লক্ষ্য নিয়ে সরকারি উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় তিনদিনের উন্নয়ন মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। একইভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বৃহস্পতিবার সকালে বর্ণাঢ্য র‌্যালির মাধ্যমে এ মেলার সূচনা হয়। বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অর্জন বিষয়ক উন্নয়ন মেলা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ৯:১৫ মিনিটে এ উপলক্ষে একটি র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য বক্তব্য দেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) এস এম মহসিন উল মুলক, সরকারি মহসিন কলেজের সভাপতি তন্ময় সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম জহুরুল হায়দার বাবু,মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল সহ প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা ,২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা আরো বলেন দেশের ক্রমবর্ধমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে গণতন্ত্রের মানসকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, রূপকল্প বাস্তবায়ন ও মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের জন্য বাংলাদেশকে আর ২০২১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। ক্রমাগত উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে অল্প দিনের মধ্যেই দেশ পূর্ণাঙ্গ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবে। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উন্নয়ন মেলায় বিভিন্ন সরকারি বিভাগ ও বেসরকারি সংস্থার ৩৬ টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে। ওইসব স্টলে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যানার, ফেস্টুন, মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকা-ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।এছাড়া মেলা উপলক্ষে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বিতর্ক ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাটকেলঘাটায় কপোতাক্ষের মাটি কেটে ইট তৈরির অভিযোগ

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : প্রকাশ্যে কপোতাক্ষের ভেড়িবাঁধের মাটি কেটে ইট তৈরি করে অভিযোগ উঠেছে মেসার্স ফারাহ্ ব্রিকসের বিরুদ্ধে। সরজমিনে যেয়ে দেখাযায় পাটকেলঘাটা কাটাখালী নামক স্হান হতে ফারাহ্ ব্রীকসে কর্মরত আচিমতলা গ্রামের কিয়ামুদ্দিন মোড়লের পুত্র শহিদুল মোড়ল(৪৫)এর নেতৃত্বে কপোতাক্ষের ভেড়ীবাধের মাটি কেটে ট্রলিকরে মেসার্স ফারাহ্ ব্রীকস ইট ভাটায় নেওয়া হচ্ছে।
তথ্যনুসন্ধানে জানাযায় পাটকেলঘাটা-মাগুরা সড়কের আচিমতলা নামক স্থানে গ্রামের জনবসতি ও কৃষিজমির মাঝে যুগিপুকুরিয়া গ্রামের মৃত খোকা মোড়লের পুত্র রেজাউল ইসলাম বাবু মেসার্স ফারাহ্ ব্রীকস নামে অবৈধ ভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছে। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একাধিক বার কপোতাক্ষের পাড়ে জলাবদ্ধ রক্ষাবাঁধের মাটি কর্ত্তন না করার জন্য নোটিশ এবং গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে, কিন্তু তার পরও সে নির্দ্দেশ মানা হচ্ছেনা। কাটাখালী স্থানে নদীর ভেড়িবাধের মাটি কাটার সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা উক্ত স্থানীয় উপস্থিত হয়ে স্থানীয় তহশীলদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোনে জানান কিন্তু দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। এর আগেও বহুবার লক্ষ লক্ষ ঘনফুট মাটি কপোতাক্ষের পাড় হতে কেটে নেওয়া হয়েছে বলে এলাকা বাসি জানান, এবং এ কাজ বন্ধকরার জন্য এর আগেও গণদরখাস্ত দিয়েছেন। অনুসন্ধানে দেখাগেছে ইটভাটাটির বৈধকোন কাগজপত্র নাই নাই জেলা প্রশাসনের অনুমোদন।
জেলা প্রশাসনের জুডিসিয়াল মুন্সিখানার প্রধান সহকারী মোশারফ হোসেন জানান মেসার্স ফারাহ্ ব্রিকস মালিক বিগত ২০১৪ ইঃ সনে একবার অনুমোদন নিয়েছিলেন কিন্তু পরবর্তীকালে আর নবায়ন করেন নাই। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্হাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী জনবসতি, গ্রামীণ সড়ক ও কৃষি জমির মধ্যে কোন ভাবেই ইটভাটা গড়ে তোলা যাবেনা। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর এর ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া অবৈধ ভাবে কার্য্যক্রম পরিচালনা কারিদের জের জরিমানার পাশাপাশি সকল মালামাল জব্দপূূর্বক বাজেয়াপ্ত করার বিধান থাকলেও এ ক্ষেত্রে সেটা প্রয়োগ হচ্ছেনা। স্থানীয় বাসিন্দা কাটাখালী গ্রামের আজিজুর রহমান, সাজ্জাত শেখ সহ অনন্য অনেকের অভিযোগ এভাবে আর কতদিন চলবে ইটভাটার চিমনির কালো ধোয়ায় ফসলের এবং ফল ফুলুরির উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে ট্রলিতে করে মাটি পরিবহণের কারণে গ্রামের রাস্তাগুলার বেহালদশা হয়েছে, ধুলাবালিতে এলাকায় বসবাসের অনুপয়োগী পরিবেশ বিরাজ করছে। বৃষ্টির সময় রাস্হাঘাটের অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এ অবস্থার অবসান দাবি করেছেন এলাকাবাসি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের নির্বাচন ২১ জানুয়ারি

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে রিপোর্টার্স ক্লাব হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। রিপোটার্স ক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহ সভাপতি আইয়ুব হোসেন রানার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রিপোর্টার্স ক্লাবের সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে আগামী ২১ জানুয়ারি’ ১৮ইং তারিখে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সহ সভাপতি আকাশ হোসেন, সেক্রেটারি সোহরাব হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ বাদশা, অর্থ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক প্রভাষক মোখলেছুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক এম এম নূর আলম, নির্বাহী সদস্য প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আলমিন হোসেন ছট্টু, উত্তম কুমার দাস, সত্যরঞ্জন সরকার, বাপন মিত্র, তপন রায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় আগামীর লক্ষ্য বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদের একান্ত প্রচেষ্টায় বৃহষ্পতিবার সকাল ১০ টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালির মধ্য দিয়ে ৩দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। র‌্যালিটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরে দেবহাটা উপজেলা মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন ঘোষণার পরে দুপুর ১২ টায় উপজেলা মুক্ত মঞ্চে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান সরকারের আমলে গত ৩ বছর যাবৎ এই উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেবহাটা উপজেলা পরিষদের সহযোগীতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার একান্ত প্রচেষ্টায় একটু বড় আকারের এই উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন ও দেবহাটা উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম। দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, উপজেলা আঃলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক, প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পাল প্রমুখ। এসময় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত কার্যক্রম বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জনে সরকারের সাফল্য প্রচার এবং এসডিজি কার্যক্রমে জনগনকে উদ্বুদ্ধ করা এবং শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে জনগনের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ন। তাই উন্নয়নে সকলের অর্জনসমূহের উদযাপন এবং আগামীর লক্ষ্য বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই উন্নয়ন মেলা উদযাপন করা হচ্ছে। এবারের মেলায় সরকারী বেসরকারী মোট ৫১টি প্রতিষ্টার স্টল প্রদর্শন করছে। এদের মধ্য থেকে সেরা স্টল নির্বাচন ছাড়াও প্রতিটি স্টলকে পুরষ্কার প্রদান করা হবে বলে ইউএনও জানান। তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌছানোর লক্ষ্যে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আইপিএলের বাজারে ‘বড় চমক’ রশিদ খান

আইপিএলের বাজারে তিনি হতে চলেছেন বড় চমক। তার পিছনে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা মোটা টাকাই খরচ করবেন। তিনি আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান।

আফগানিস্তানের জাতীয় দলের বিশ্বস্ত সৈনিক। বয়স মাত্র ১৯ বছর। বিশ্ব টি-২০তে তার দারুণ চাহিদা। সে বিগ ব্যাশ লিগ হোক বা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। গত বছর আইপিএলে ৬ লাখ ডলার দাম উঠেছিল এই রশিদের।

ইতিমধ্যে বিশ্বের সেরা টি-২০ লিগে নিজেকে প্রমাণ করেছেন রশিদ। সপ্তম বিগ ব্যাশ লিগে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলেছেন তিনি। ছ’টি বিবিএল ম্যাচে রশিদ মোট ১১টি উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু এর থেকেও বড় বিষয় হল কোনও ওভারে তিনি ছ’রানের বেশি দেননি। মাসের শেষেই আইপিএলের নিলাম। তার আগে রশিদের এই পারফরম্যান্স ফ্র্যা়ঞ্চাইজিদের মাথায় থাকবে। গত বছর খেলেছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে।

অস্ট্রেলিয়ায় ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় রশিদ। সদ্য টেস্ট খেলার স্বীকৃতি পেয়েছে দল। আফগানিস্তানের জাতীয় দলে যে বিশ্বমানের ট্যালেন্ট রয়েছে তাও একাধিকবার প্রমাণ করেছেন রশিদরা। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত একটা দেশ থেকে এভাবে উঠে আসাটা সহজ ছিল না। কিন্তু রশিদরা পেরেছেন। আর সেই অশান্তির জীবনকে ছাপিয়ে দেশকে ক্রিকেট খেলেই সম্মান এনে দিতে চান তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোর থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাটুরিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাসির হোসেন জানান, মধ্যরাতের পর থেকে ঘন কুয়াশায় ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে যায়। এতে করে নৌরুটে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে ভোর পৌনে ৪টা থেকে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

এসময় মাঝ নদীতে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে আটকা পড়ে ৪টি ফেরি। এছাড়া পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ১০টি এবং দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দুইটি ফেরি যানবাহন ও যাত্রী বোঝাই করে নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ককটেল ও রামদাসহআটক ৫

দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা থানা পুলিশ ককটেল ও রামদা সহ নাশকতার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে আটককৃত ৫ জন ছাড়াও বাকি ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪০/৫০ জনের নামে দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি দায়ের করেছেন দেবহাটা থানার এসআই আব্দুস সামাদ। মামলা নং- ০৩, তাং- ১১-০১-১৮ ইং। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দেবহাটা উপজেলা মাঝ পারুলিয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে রমজান আলী (৪৩), সুশীলগাতী গ্রামের মৃত ইয়াদ আলী খাঁনের ছেলে রাশেদ আলী খাঁন (৪৫), একই গ্রামের জবেদ আলী খাঁনের ছেলে আইয়ুব আলী খাঁন (১৬), দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাই এর ছেলে বুলবুল আহমেদ (৩৮) ও একই গ্রামের মৃত দ্বীন আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৫) সহ ১৮ জন নামীয় সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪০/৫০ জন আসামি নাশকতা করার উদ্দ্যেশ্যে দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে সমবেত হয়। এসময় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে ৫টি ককটেল, ১টি রামদাসহ লাটিসোটা উদ্ধার করা হয়। আটক কৃতদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নজিরবিহীন রেকর্ডের দিন আজ; টানা ৯ বছর ক্ষমতায় শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের চার বছর পূর্তি আজ। বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে সব সূচকে অগ্রগতি, সাফল্য আর উন্নয়নের নিশান উড়িয়ে টানা ক্ষমতার নয় বছর পূর্ণ করল শেখ হাসিনার সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে সরকার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে। সব সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ। নজিরবিহীন এ সাফল্যের যাত্রা শুরু হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মধ্য দিয়ে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ১২ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

টানা নয় বছরে সরকার পরিচালনার সফলতা-ব্যর্থতার খেরোখাতায় যে লাইনটি সবার আগে উঠে এসেছে তা হচ্ছে— দেশের রাজনীতিসহ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই। নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। এ সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুত্তি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন দেশের ভিতরে-বাইরে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত হয়েছে বিশ্বদরবারে। কথিত তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র, চিকিত্সার দায়িত্বও নেয়। সবকিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে। তবে মাঠের বিরোধী দল বিএনপিকে রাজপথে সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়া, গুম-খুন এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সরকারকে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে। সূত্রমতে, আগামী ডিসেম্বরে জনগণের কাছে ভোটের জন্য যেতে হবে। টানা নয় বছরের শাসনামলের ইতিবাচক কী পুঁজি নিয়ে দেশবাসীর কাছে ভোট চাইবে, ক্ষমতায় থাকার ম্যান্ডেট চাইবে? সে প্রশ্নটি কখনো সরবে, কখনো নীরবে আলোচিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানায়, টানা নয় বছরের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ ও সরকারের সাফল্যগুলোই প্রধান হাতিয়ার হবে জাতীয় নির্বাচনের। এ বছরই সরকারের অগ্রাধিকার জনবান্ধব প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হবে। নিজস্ব অর্থায়নে করা দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হবে এ বছর। দোতলা এই সেতুর কাজ ইতিমধ্যে ৫২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। উত্তরা থেকে পল্লবী হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল প্রকল্প দৃশ্যমান হতে চলেছে। রাজধানীকে যানজটমুক্ত করতে ২২ হাজার কোটি টাকার বড় প্রকল্পটি দৃশ্যমান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন ২৫ জানুয়ারি। পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলছে জোরগতিতে। ঢাকা-জয়দেবপুর চার লেনের ৫১ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ২৬ ভাগ। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের কাজ শেষ পর্যায়ে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কারণে কোনো বাধাই উন্নয়নের গতিপথ রোধ করতে পারেনি। বর্তমান সরকারের আমলে প্রবৃদ্ধি ৫.৫৭ থেকে ৭.২৮ শতাংশে উন্নীত। মাথাপিছু আয় ৮৪৩ থেকে ১৬১০ মার্কিন ডলার, বিনিয়োগ ২৬.২৫ শতাংশ থেকে ৩০. ২৭ শতাংশ, রপ্তানি ১৬.২৩ থেকে ৩৪.৮৫ বিলিয়ন ডলার, রেমিটেন্স ১০.৯৯ থেকে ১২.৭৭ বিলিয়ন ডলার, রিজার্ভ ১০.৭৫ থেকে ৩৩.৪১ বিলিয়ন ডলার এবং এডিপি ২৮৫ বিলিয়ন টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০৭ বিলিয়ন টাকা। বিদ্যুৎ উত্পাদন বেড়েছে ৮৫ ভাগ। বিএনপি-জামায়াতের রেখে যাওয়া ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন থেকে বাড়িয়ে এখন ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন হচ্ছে। সূত্রমতে, নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ ও মেট্রোরেল প্রকল্প সরকারের অগ্রাধিকার ও জনবান্ধব উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হবে এ বছর।

সরকারের গত নয় বছরের মেয়াদে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সাফল্য রয়েছে অনেক। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সিপিএ (কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন) চেয়ারপারসন এবং সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ছিল দেশের এবং সরকারের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক এ দুটি সংগঠনের জাতীয় সম্মেলনও বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে বাংলাদেশের আয়তনের সমপরিমাণ সামুদ্রিক এলাকা আদায় করা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণেই। একইভাবে ভারতের সঙ্গে ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে। ২০১৭ সালের শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ এক অনন্য উচ্চতার শিখরে আরোহণ : ৭ মার্চের ভাষণ এখন বিশ্বের। নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করেছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া হার্ভার্ড ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে করা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘দ্য গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্টে রাষ্ট্রক্ষমতায় নারীর অবস্থান বিবেচনায় সবাইকে পেছনে ফেলে বিশ্বের এক নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয়-খাওয়ানোর ব্যবস্থা করায় বিশ্ব গণমাধ্যম ‘বিশ্ব মানবতার জননী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে সুনাম বেড়েছে।

প্রথম থেকেই সঠিক পথে চলায় বর্তমান সরকারের কাছ থেকে মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে দেশকে বিশ্বসভায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ-শান্তিময় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন— এমন আশায় বুক বেঁধেছে দেশের মানুষ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সেগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকার। কৃষি, খাদ্য, ভূমি উন্নয়নে ইশতেহার অনুযায়ী উত্পাদন বাড়াচ্ছে সরকার। বছরে খাদ্যশস্য উত্পাদন প্রায় ৪ কোটি মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। মিঠা পানির মাছ উত্পাদনে বাংলাদেশ চতুর্থ এবং সবজি উত্পাদনে তৃতীয়। বর্তমানে চতুর্থ চাল উত্পাদনকারী দেশ বাংলাদেশ। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক সাফল্য এসেছে বর্তমানে। ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে। ২০২১ সালে মানুষের গড় আয়ু ৭২ ধরা হলেও এখনই সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন হয়েছে। স্বাস্থ্য কার্ড সেবা চালু হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্যতম ঘোষণা ছিল দারিদ্র্য দূরীকরণ। ২০২১ সালের মধ্যে সহস্রাব্ধ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দারিদ্র্যের অনুপাত ১৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ধরা হয়েছিল। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে দারিদ্র্য হ্রাসের হার ১.৭’র উপরে নিয়ে যেতে পেরেছে সরকার। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ সরকার। শুরু থেকেই সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইউনিয়ন পরিষদ তথ্যকেন্দ্রগুলোকে ডিজিটাল সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছে। সারা দেশে স্কুল-কলেজে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম করা হয়েছে। ভূমি ব্যবস্থাপনা, টেন্ডারসহ নানা কাজে ই-সেবা চালু করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কানেক্টিং ডিজিটাল বাংলাদেশ, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্নমেন্ট এবং আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন— এই চার স্তম্ভকে ঘিরেই পরিচালিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কার্যক্রম। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় সরকারের এই চার বছর একেবারে শুভকর ছিল না। জঙ্গি হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার যে অশুভ ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, বাস্তবে ঘটেছে ঠিক তার উল্টো। ওই হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বিশ্বের তাবৎ বড় দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। এরপর শক্ত হাতে হামলাকারী জঙ্গিসহ তাদের মাস্টারমাইন্ডদের নিধন করে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতেও সক্ষম হয় ক্ষমতাসীন সরকার। এর পর বাকি সময়ে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ আর সব সূচকে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার মিছিল আর থামেনি, বরং আরও এগিয়ে যাচ্ছে। কেমন গেল এই তিন বছর? অনেক বিচক্ষণ ব্যক্তি, দল ও গোষ্ঠী বলেছিল, ২০১৪ সালের নির্বাচন হলে কী হবে, শেখ হাসিনার সরকার এই দফায় এক বছরও টিকবে না। কিন্তু শত বাধা-বিপত্তি ও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার সরকার শুধু টিকেই যায়নি, এই চার বছরে দেশকে অগ্রগতির পথে অনেকদূর নিয়ে গেছে। শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, শেখ হাসিনাকে অনেকেই উন্নয়নশীল দেশের ‘উন্নয়নের রোল মডেল নেতা’ হিসেবেও মনে করেন। গত বছর সরকারবিরোধী জোরালো কোনো আন্দোলন ছিল না, ছিল না রাজপথে রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষ। তবে আগামীর পথ কুসুমাস্তীর্ণ নাও হতে পারে। তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সরকারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান চ্যালেঞ্জই হচ্ছে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিজ দলের চেন অব কমান্ড ঠিক রেখে দলকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা আনা। কুমিল্লা ও রংপুর সিটি নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটির উপনির্বাচনসহ আরও পাঁচ সিটিতে জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিতে হবে। সরকারের চার বছরের মূল্যায়ন করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এবারের চার বছর এবং গত পাঁচ বছরে সরকারের বড় সাফল্য অর্থনীতিতে গতিশীলতা এসেছে। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। দারিদ্র্য সীমার হার ২০ ভাগের নিচে নেমে এসেছে। হতদরিদ্রের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষার বিস্তৃতি বেড়েছে। সাক্ষরতার হার বেড়েছে। দেশের অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৩৪টি দেশের মধ্যে ১৭তম অবস্থানে বাংলাদেশ। নারীর ক্ষমতায়নে এক নম্বরে বাংলাদেশ। সব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণেই। আগামীতে চ্যালেঞ্জ কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, টানা নয় বছরে সরকারের যে উন্নয়ন হয়েছে, সেগুলোকে ধরে রেখে আগামীতে দলকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনা। নির্বাচনের সময় কখনো কখনো অস্থিরতা পরিবেশ তৈরি হয়, সেগুলোও শক্তভাবে মোকাবিলা করা সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest