ছিনতাইয়ের সময় পুলিশকে ধরে পিটুনি, ছেড়ে দিলেন ওসি!

ন্যাশনাল ডেস্ক : বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় আবদুর রব শেখ নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পুলিশের এক সদস্য ২০ হাজার টাকা ছিনতাই করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় জনতা ছিনতাইয়ের সময় শাহনেওয়াজ নামের পুলিশের ওই কনস্টেবলকে হাতেনাতে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
মঙ্গলবার রাত সোয়া নয়টার দিকে উপজেলার খুলনা-মোংলা মহাসড়কের যুগীখালী সেতুর পাশে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ শাহনেওয়াজকে ছেড়ে দিয়েছে।
শাহনেওয়াজ পিরোজপুর জেলা পুলিশ লাইনে কনস্টেবল পদে কর্মরত। তাঁর বাড়ি খুলনার লবণচরা এলাকার। প্রায় চার মাস আগেও উপজেলার টাউন নওয়াপাড়া এলাকায় ছিনতাইয়ের সময় পুলিশ সদস্য শাহনেওয়াজ ধরা পড়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাছ ব্যবসায়ী আবদুর রব শেখ বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লখপুর গ্রামের আলী আকবর শেখের ছেলে। ছিনতাইয়ের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মঙ্গলবার রাত সোয়া নয়টার দিকে আবদুর রব কাটাখালী এলাকা থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে এসে দুই ব্যক্তি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর পথরোধ করে। পরে তাঁর কাছে মাদকদ্রব্য আছে দাবি করে দেহ তল্লাশি করে। কিন্তু মাদকদ্রব্য না পেয়ে ওই দুই ব্যক্তি তাঁর কাছে থাকা ১৯ হাজারের বেশি টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আবদুর রব ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করলে স্থানীয় বস্তির অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ ছুটে গিয়ে একজনকে আটক করে পিটুনি দেয়। মোটরসাইকেল নিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর সহযোগী টাকা নিয়ে দ্রুত খুলনার রূপসার দিকে পালিয়ে যায়। পরে আটক ব্যক্তিকে কাটাখালী হাইওয়ে থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশ তাঁকে ফকিরহাট থানায় হস্তান্তর করে।
কাটাখালী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল শেখ বলেন, মঙ্গলবার রাতে ছিনতাই করার সময় স্থানীয় লোকজনের হাতে পিটুনির শিকার শাহনেওয়াজ নামের এক ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাঁকে ফকিরহাট থানার এসআই স্বপনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহিদ শেখ বলেন, ‘আপনি যা জানতে চেয়েছেন, তার সবই ঠিক আছে। ওটা ভুল বোঝাবুঝি। স্থানীয় ফকিরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী ইয়াছিনসহ অন্য সাংবাদিকেরা উপস্থিত থেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছেন। মাছ ব্যবসায়ী আবদুর রবের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে আর লেখালেখি করার কী আছে। এ ছাড়া বিষয়টি মানবিক, তাই আমি শাহনেওয়াজকে ছেড়ে দিয়েছি।’
ফকিরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী ইয়াছিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি কোনো মীমাংসায় ছিলাম না। খবর পেয়ে থানায় গিয়েছি। সেখানে গিয়ে শুনি, আবদুর রব নামের যে মাছ ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই হয়েছে, তিনি কোনো অভিযোগ করেননি। এ কারণে থানার ওসি সাহেব পুলিশ সদস্য শাহনেওয়াজকে ছেড়ে দিয়েছেন। এর বেশি কিছু জানা নেই।’
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফুটফুটে শিশুটিকে ফেলে গেলেন এক নারী!

ন্যাশনাল ডেস্ক : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ফুটফুটে এক শিশুকে রেখে চলে গেছেন এক নারী। প্রায় দুই বছর বয়সী ছেলেশিশুটি কথা বলতে পারছে না। বুধবার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে একটি টিকিট কাউন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর রহমান বলেন, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মধ্যবয়সী এক নারী শিশুটিকে কোলে নিয়ে কোটচাঁদপুর বাস কাউন্টারের সামনে আসেন। সেখানে বেঞ্চে শিশুটিকে বসিয়ে রেখে ব্যাগ আনার কথা বলে চলে যান। যাওয়ার সময় সেখানে থাকা অপেক্ষমাণ অন্য যাত্রীদের ‘বাচ্চাটা দেখবেন, আমি ব্যাগ নিয়ে আসি’ বলে ওই নারী চলে যান। কিন্তু আর আসেননি। বেশ কিছুক্ষণ পর শিশুটি কান্নাকাটি করতে থাকে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত যাত্রীরাও শিশুটিকে ফেলে যেতে পারছিলেন না। এ সময় কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়া (নদীপাড়া) এলাকার শ্রমিকনেতা রবিউল ইসলাম শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। বর্তমানে শিশুটি তাঁর হেফাজতেই রয়েছে।
রবিউল ইসলাম বলেন, শিশুটির অভিভাবকের সন্ধান পেলে তাঁদের কাছে তাকে তুলে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, শিশুটিকে আপাতত কারও হেফাজতে রেখে দিলে ভালো হয়। পাশাপাশি সবাই মিলে অভিভাবকদের খোঁজ করে শিশুটিকে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোকেয়া হলে হেরোইন খেয়ে ঢুকে, পিটুনি খেয়ে বের হলেন!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হল থেকে হেরোইনসেবী এক যুবককে আটক করেছেন প্রক্টর টিমের সদস্যরা। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

আজ বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আটক যুবকের নাম এখনো জানা যায়নি। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়।

নাম প্রকাশ না করার সর্তে প্রক্টর টিমের এক সদস্য বলেন, ‘ওই যুবক নেশা করেন। তিনি হেরোইন খেয়ে আজ সন্ধ্যার পর রোকেয়া হলে ঢুকে পড়েন। ছাত্রীরা তাঁকে হালকা পিটুনি দেন। পরে আমরা তাঁকে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সাহেব আলীর কাছে দেই। ওই যুবক তাঁর নাম বলেননি।’

এ বিষয়ে এসআই সাহেব আলী বলেন, ‘ওই যুবক হেরোইন খেয়ে রোকেয়া হলের পূর্বপাশ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে প্রক্টর টিমের সদস্যরা তাঁকে ধরে আমার কাছে দেন।’

এসআই সাহেব আলী আরো বলেন, ‘ওই যুবককে মারধর করা হয়েছে। আমরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাচ্ছি। তাঁকে কোনোকিছু জিজ্ঞেস করা হলে উত্তর দেননি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ এর মতবিনিময়

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) সাতক্ষীরা জেলা শাখার পক্ষ থেকে সাতক্ষীরার নবাগত পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ মতবিনিময় করেন স্বাশিপ নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন,স্বাশিপ’র সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি প্রভাষক এম.সুশান্ত, সহ-সভাপতি লায়লা পারভীন সেজুতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মীম সাইফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক শেখ শরিফুল ইসলাম, সদর সাধারণ সম্পাদক সহপ্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, প্রভাষক ফিরোজ কবির মিলন, মাস্টার সায়ফুল্লাহ, পার্থ সারথী ঘোষ, প্রভাষক জি এম জাহাঙ্গীর, নির্মল চন্দ্র বৈরাগী, ডা: হারুন অর রশীদ, প্রভাষক বিধান দাশ প্রমুখ। মতবিনিমকালে জামায়াত-শিবিরের মদদদাতা বিতর্কিত স্টাফ বৃত্তি প্রকল্প বন্ধ হওয়ায় আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস লিখিত যে সব ২য় থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত নোট, গাইড, এনসিটিবি অনুমোদনহীন বই বিভিন্ন স্কুল কলেজ, মাদ্রায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পড়াতে নির্দেশ দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। এছাড়া স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার নাশকতার মামলায় আটক যে সকল শিক্ষককে এখনো পর্যন্ত সাসপেন্ড না করে পূর্ণ বেতন দেওয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুবলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার একাংশের জরুরি বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার একাংশের জরুরি বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে কাটিয়া আমতলাস্থ জেলা যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা যুবলীগের সদস্য মীর মহিতুল আলম মহি’র সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল হক নান্টু, শেখ শঠি উদ্দিন সফি, কাজী আক্তার হোসেন, শেখ জুলফিকার রহমান উজ্জল, ইউপি চেয়ারম্যান মজনু মালি, জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, আসাদুজ্জামান লিটু, সাইফুজ্জামান প্রিন্স, জোৎসনা, কামরুল ইসলাম, পলি আক্তার, স.ম আব্দুস সাত্তার প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শেখ রফিকুল ইসলাম রানা, কাজী ইকবাল হোসেন, শেখ জুয়েল হাসান, এড. তামিম আহম্মেদ সোহাগ, জাহাঙ্গীর কবির পলাশ, মাসুদ, বাবু, এড. শাহেদ, মাহবুব হাসান মিঠু, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মীর আজহার আলী শাহীন, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুজ্জামান, আসমা হোসেন, আমজাদ হোসেন লাভলু। এসময় বক্তারা বলেন, অবৈধভাবে বিভিন্ন উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবী জানিয়েছেন বক্তারা। যুবলীগের আহবায়ক কমিটির মেয়াদ ৩ বছরের অধিক হওয়ায় অনতিবিলম্বে জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। বক্তারা আরো বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য নৌকার পক্ষে সকল যুবলীগের কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান বক্তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফজলু, বিকাশ, আলিমুর, সদর উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি এনামুজ্জামান নিপ্পুন, সদর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, মো. মহসীন, ছোট বাবু, প্রশান্ত কুমান শান্ত, আব্দুল কাদেরসহ জেলা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে দেবহাটা উপজেলা চ্যাম্পিয়ন

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় ৯ম জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছে দেবহাটা উপজেলা দল ও সদর উপজেলা দল। তুমুল প্রতিযোগিতা আর উত্তেজনার মধ্যে ১-০ গোলে বিজয়ী হয়ে দেবহাটা উপজেলা দল চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। বুধবার বিকাল ২টা ৪৫ মিনিটে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ জাঁকজমকপূর্ণ ফাইনাল খেলার মুখোমুখি হয় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা দল বনাম দেবহাটা উপজেলা দল। এসময় গ্যালারিতে ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। তারা তাদের পছন্দের দলের পক্ষে সমর্থন জানাতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন। বিপুল সংখ্যক দর্শকদের উপস্থিতিতে খেলায় নতুন মাত্রা যোগ করে। উৎসাহ যোগায় প্লেয়ারদের। এদিকে খেলার প্রথমার্ধে শুরুর ৮ মিনিটেদেবহাটা উপজেলা দলের ১০ নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সাব্বির একটি গোল করেন এবং এই গোল থেকে দলকে এগিয়ে রাখেন। প্রথমার্ধের খেলায় সদর উপজেলা দুর্দান্ত খেলেছে কিন্তু কোন গোলের দেখা পায়নি। সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয় দেবহাটা দলের ১০ নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সাব্বির। খেলায় দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দল আর কোন গোল করতে না পারায় এবছর জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ট্রফি দেবহাটা উপজেলা দলের ঘরে ওঠে। সদর উপজেলা দলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে দেবহাটা উপজেলা দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, উভয় দলই ভালো খেলেছে। আমি উভয় দল এবং দর্শকদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ‘মাদককে না বলুন খেলাধূলাকে হ্যা বলুন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী দিনে খেলাধূলার প্রতি আরো বেশি গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানান প্রধান অতিথি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সমন্বয়ক মো. জাকির হোসেন, পৌর মেয়র তাজকিন আহেমদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গণি, কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী জেলা প্রশাসক পতœী মিসেস সেলিনা আফরোজ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ এ.কে.এম আনিছুর রহমান, প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যাণার্জী, এটিএন বাংলার প্রোগ্রামার মোস্তাক আহমেদ, জেলা প্রতিনিধি এম কামরুজ্জামান, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. আহম্মদ আলী সরদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিরন্ময় সরকার, ট্রেজারার শেখ মাসুদ আলী, সদস্য গোলাম ফারুক বাবু প্রমুখ। খেলার মিডিয়া পার্টনার এর দায়িত্বে ছিল দৈনিক প্রথম আলো ও এটিএন বাংলা। জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটির সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৭ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ডি.এফ.এ, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, পুলিশ বিভাগ, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতায় এটি সম্ভব হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকসহ প্রতিটি উপজেলার চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ যেভাবে সহযোগিতা তাতে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ খেলায় প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেনইকবাল আলম বাবলু, সহকারী রেফারী ফারুক হোসেন স্বপন, জাহাঙ্গীর কবির ও নাসির উদ্দিন। ম্যাচ কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাজী কামরুজ্জামান। ধারাভাষ্যকার ছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন, সুজা খান চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য মো. আব্দুল মান্নান, ফারহা দিবা খান সাথি, কাজী কামরুজ্জামান, জেলা যুবলীগ নেতা মীর মহি আলম, ইদ্রিস আলী বাবু, সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, ক্রীড়া সংগঠক মোনায়েম খান চৌধুরী সান্টু প্রমুখ। খেলায় সাতক্ষীরার ৭টি উপজেলা ও সদর পৌরসভাসহ মোট ৮টি দল টুর্নামেন্টের হাজার হাজার দর্শক অংশগ্রহণ করে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আ.ম আক্তারুজ্জামান মুকুল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ঝাউডাঙ্গা ব্যুরো : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের বিহারিনগরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২৪টি গাছের চারা কর্তন করেছে।ঝাউডাঙ্গা কলেজের প্রভাষক মো. শওকত অালীর ঘেরের ভেড়িতে লাগানো আম, কাঠাল ও মেহগনি সহ বিভিন্ন প্রজাতির ২৪টি গাছের চারা কেটে দিয়েছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। সরেজমিনে ঘেরে গেলে এসব গাছের চারা কাটা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।প্রভাষক শওকত আলী জানান, তিনি আজকের সাতক্ষীরায় সাংবাদিকতা করার কারনে তার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রীমহল বিভিন্ন সময়ে ভয়-ভীতি প্রদান করে।তার আর্থিক ক্ষতি করার করার উদ্দেশ্য এসব করা হয়েছে বলে জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালার শিশু সাবিত এখন মৃত্যুর পথযাত্রী

সেলিম হায়দার : দুরারোগ্য ব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিগত প্রায় ১ বছর ধরে হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে লড়ছে তালার শিশু সাবিত।
সাবিতের বয়স এখন ৩ বছর ২ মাস। যে বয়সে তার খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা। কিন্তু এখানেই অপেক্ষা করছিল এক দুঃসংবাদ। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে শরীরে সমস্যা দেখা দিলে তার বাবা-মা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। জানতে পারেন সাবিত ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত।
সাবিতের বাবা মোঃ হাসিবুর রহমান হাসিব সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের একটি বে-সরকারী স্কুলের শিক্ষক ও মা সারিকা পারভীন একজন গৃহিণী। কয়েক দফা দেশে ও ভারতে চিকিৎসা করানোর পর সাবিতের বাবা-মা এখন দিশেহারা।
বর্তমানে সাবিত ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের অনকোলজি ওয়ার্ডে ডা. আলমগীর কবিরের চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা বলেছেন ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত কয়েক ধাপে চিকিৎসা করালে সাবিত সুস্থ্য হয়ে যাবে। সাবিতের বাবা খবর নিয়ে জেনেছেন, এতে অন্তত ৩০ লাখ টাকার মতো দরকার হবে।
সহায়-সম্পত্তি সব কিছু বিক্রি করে একমাত্র সন্তানের চিকিৎসার জন্য তিনি ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন। চিকিৎসার খরচ জোগানো তার পক্ষে আর সম্ভব নয়। তাই মৃত্যু পথযাত্রী সাবিতকে নিয়ে তিনি দু’চোখে অন্ধকার দেখছেন।

তাদের একমাত্র সন্তানের চিকিৎসার জন্য সাবিতের বাবা-মা সমাজের বিত্তবান মানুষের সাহায্য কামনা করেছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা, মোঃ হাসিবুর রহমান, মোবাইল-০১৭৩৬৮৩০৪৬৫ (বিকাশ)। ব্যাংক হিসাব-৯৯৯০৯০৬৯৩, সোনালী ব্যাংক, মাগুরা বাজার শাখা, তালা, সাতক্ষীরা ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest