সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৬ হাজার কেজি গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টশ্যামনগরে শরীরে পেট্টোল ঢেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগতীব্র তাবদাহে সাতক্ষীরায় সুপেয় খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালিগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা ও গ্রাহক হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভঅপরিপক্ষ আম খাদ্য হিসাবে গ্রহণে সাতক্ষীরার ডিসি’র সতর্কতাআলীপুর ইউপিতে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা রউফ বিজয়ীআশাশুনির মরিচ্চাপ সেতুর অধিকরনকৃত জমি জবরদখল: অবৈধ স্থাপনা নির্মানের হিড়িকসাতক্ষীরায় ঘরে-বাইরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত: বিপাকে নি¤œ আয়ের মানুষকালিগঞ্জে রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৪শ’ কেজি আম জব্দব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধে

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নয়, তাদের বাংলাদেশ থেকে আনা হয়েছে: মিয়ানমার সেনাপ্রধান

রোহিঙ্গাদের আবারও বাঙালি আখ্যা দিয়ে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান বলেছেন, উপনিবেশের কালে ব্রিটিশ শাসকরা তাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে তাদের নিয়ে এসেছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্কট মার্সেলের সঙ্গে এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার তার ফেসবুক পেজে এমনটা জানানো হয়েছে। ডি-ফ্যাক্টো সরকার শাসিত মিয়ানমারে সেনাপ্রধান মিন অংকেই সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

সাম্প্রতিক সহিংসতার শিকার হয়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাকে খুব একটা বিচলিত হতে দেখা যায়নি। রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ বলে অভিহিত করে তাদের দুর্ভাগ্যের জন্য তিনি ব্রিটিশদের দায়ী করেন। বলেন, ‘বাঙালিদেরকে ব্রিটিশরাই মিয়ানমার নিয়ে আসে। তারা আমাদের দেশি নয়। এমনকি তারা রোহিঙ্গাও নয়। তারা শুধুই বাঙালি।’

জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর থেকে জানানো হয়, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী রোহিঙ্গাদের উপর নিধনযজ্ঞ চালিয়েছে। তাদের বাড়ি ও ফসল পুড়িয়ে দিয়েছে। ২৫ আগস্ট হামলার পর চালানো সরকারি বাহিনীর নিধনযজ্ঞে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৬৫ জন মানুষের সঙ্গে জাতিসংঘ-কর্মীদের আলোচনার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। মিয়ানমার ২৫ আগস্টে নিরাপত্তা চৌকিতে আরসার হামলাকে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের কারণ বললেও ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে এর আগে থেকেই সেখানে জাতিগত নিধনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে দেশটির ডি ফ্যাক্টো সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির। গত বছর নির্বাচনে জয়লাভ করে দায়িত্ব নিলেও আদতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতেই সব ক্ষমতা রয়েছে। মিন অং হ্লায়াং বলেন, ‘বাঙালিরা আরসার নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছে। নিজেরা বাঁচতে পারবে না জেনেই তারা পালিয়ে যাচ্ছে।’

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, সৃষ্ট এই পরিস্থিতির জন্য মিন অং ব্যক্তিগতভাবে দায়ী। তিনি সবসময়ই চেয়েছেন রোহিঙ্গারা ফিরে যাক। মিন অং বলেন, বাঙালিরা বাংলায় ফিরে যাক। তারা হয়তো অন্য দেশেও পালিয়ে গেছে। সেখানেও হয়তো নাগরিকত্ব দাবি করেছে। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ‘অনেক বাড়িয়ে’ বলা হচ্ছে। আর এর পেছনে অনেক সংবাদমাধ্যম অপপ্রচার চালাচ্ছে।

১৮২৪ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত মিয়ানমার শাসন করে ব্রিটিশরা। অ্যাংলো-বার্মিজ যুদ্ধের পর ভারতে বার্মা নামে একটি প্রদেশ তৈরি করে ব্রিটিশরা। ভারত থেকেই সেখানে শাসনকার্য চালাতো তারা। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে মিয়ানমার। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, উপনিবেশের অনেক আগেই মুসলিমরা রাখাইন রাজ্যে বসবাস শুরু করে। ব্রিটিশ শাসনামলে এই সংখ্যাই শুধু বৃদ্ধি পেয়েছিলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘প্রধান বিচারপতিকে দেশত্যাগে বাধ্য করার হুমকি দেয়া হচ্ছে’-সংবাদ সম্মেলনে রানা দাশগুপ্ত

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। তারা বলছেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশের আড়াই কোটি ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠি শঙ্কিত।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। এতে আরো বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার চরিত্রে কলঙ্কের কালিমা লেপনের অপপ্রয়াস চলেছে ও চলছে। এমনকি তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, বিগত ৭০ বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত কেবল সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার মেধা, মনন ও যোগ্যতায় সাংবিধানিক অন্যতম প্রধান পদ অলঙ্কৃত করেছেন। সরকারি দল ও সরকারের একাংশের তীব্র বিরোধিতাকে অগ্রাহ্য করে প্রধানমন্ত্রী তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য সুপ্রিম কোর্টের ৭ বিচারপতির সর্বসম্মত একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শুধু বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে টার্গেট করে সরকারি দল ও জোটের মহলবিশেষ থেকে ব্যক্তিগতভাবে তার বিরুদ্ধে শুধু একতরফা আক্রমণাত্মক, বিদ্রূপাত্মক বক্তব্য উত্থাপন করা হচ্ছে।

পরিষদের সভাপতি হিউবার্ট গোমেজের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পরিষদের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, কাজল দেবনাথ, অ্যাডভোকেট সুব্রত দেবনাথ, জয়ন্ত সেন দীপু, জেএম ভৌমিক, মিলন কান্তি দত্ত, পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রবীন্দ্র নাথু বসু, সঞ্জিব দ্রং। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঐক ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধান বিচারপতির বিদেশ সফরে অনাপত্তির প্রজ্ঞাপন জারি

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে অনাপত্তি পত্র ও ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, সংসদ ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, প্রধান বিচারপতির করা বিদেশ যাওয়ার আবেদনপত্রে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে গত মঙ্গলবার যে আবেদনটি করেছেন, সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য বঙ্গভবনে যায়। আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানের অনুমতি চেয়ে গতকাল একটি চিঠি দেন প্রধান বিচারপতি।

২ অক্টোবর এক মাসের ছুটির আবেদন করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ছুটির কারণ হিসেবে তিনি ‘অসুস্থতা’র কথা উল্লেখ করেন। সেদিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, ‘দীর্ঘ এক মাস অবকাশ শেষে কোর্ট খোলার পর প্রথম দিন থেকেই তিনি ছুটিতে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর অবর্তমানে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা দায়িত্ব পালন করবেন।’ এর আগে গত ১০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি দেশের বাইরে ছুটিতে ছিলেন। ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফেরেন।

প্রসঙ্গত, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে করা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ১ আগস্ট প্রকাশের পর থেকে মন্ত্রী-এমপিদের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন প্রধান বিচারপতি। জাতীয় সংসদেও তাঁর সমালোচনা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১১ বাংলাদেশি বহিষ্কার করলেন ট্রাম্প

স্বামী-স্ত্রী দম্পত্তিসহ ১১ বাংলাদেশিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ১১ অক্টোবর ভোর রাতে তাদেরকে বহিস্কার করা হয়। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের বিশেষ বিমানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের অবৈধ ও অপরাধী শতাধিক অভিবাসীর সাথে এই ১১ জনকেও কড়া প্রহরায় ঢাকায় নামিয়ে দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে আইস তথা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’র মিডিয়া দফতর এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ‘এটি প্রচলিত কার্যক্রমেরই একটি অংশ। একদিকে অভিবাসনের আইন লংঘন, অপরদিকে নানাবিধ অপকর্মে লিপ্তদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের যে কার্যক্রম চলছে, তারই ধারাবাহিকতায় এদের গ্রেফতার করে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হলো।’ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর দৈনিক গড়ে প্রায় ৪০০ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে তা ৪০% বেশী।

এই ১১ বাংলাদেশীর মুক্তির ব্যাপারে মার্কিন সিনেট ও কংগ্রেসে আবেদনকারী একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান মাজেদা এ উদ্দিন প্রচন্ড ক্ষোভের সাথে বলেন, ‘শুধুমাত্র গুরুতর অপরাধীদের ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে সামাজিক ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’-এমন দাবি করছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অথচ এই ১১ বাংলাদেশির একজনও কোন ধরনের অপরাধে লিপ্ত ছিলেন না।

তাদের অপরাধ একটাই, আর তা হচ্ছে অভিবাসনের মর্যাদা নেই। তারা সকলেই ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা দোকানের বিক্রেতা অথবা ট্যাক্সি ড্রাইভিং করে দিনাতিপাত করছিলেন। ব্রুকলীনের কোনি আইল্যান্ডে রেস্টুরেন্টে কর্মরত অবস্থায় মোজাম্মেল হককে গ্রেফতারের সময় তার স্ত্রী (একই রেস্টুরেন্টের কর্মী) বাধা দিয়ে ফেঁসে গেছেন। কারণ, তিনিও অবৈধভাবে এদেশে বাস করছিলেন। এ দম্পতির ৩টি শিশু সন্তান রয়েছে। সকলেরই জন্ম আমেরিকায়।

অপর বাংলাদেশিদেরও রয়েছে ২৫ শিশু-সন্তান। বাবার অনুপস্থিতিতে এই শিশুদের কী অবস্থা হবে, সেটি উল্লেখ করে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে তাদের মুক্তি প্রদানে সর্বাত্মক সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছিলাম ইউএস সিনেট ও ইউএস হাউজে। কিন্তু কোন সাড়া পাইনি।’ মাজেদা উদ্দিন বুধবার রাতে আরও জানান, ‘নিউইয়র্ক সিটির মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো কিছুক্ষণ আগে এক বার্তায় আমাকে জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতদের জামিনে মুক্তির ব্যাপারে তিনি চেষ্টা করবেন।’

এদিকে, নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্যাঙ্কচুয়ারি সিটিতে অভিযান চালিয়ে গত মাসের শেষ সপ্তাহের ৪ দিনে বাংলাদেশীসহ ৪২ দেশের ৪৮৯ অবৈধ ইমিগ্র্যান্টকে গ্রেফতার করেছে আইস (ইমিগ্রেশন এ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) এজেন্টরা। এরা নানা অপকর্মে জড়িত ছিল এবং ইমিগ্রেশনের আইন লংঘন করে বসবাস করছিল। কর্মকর্তারা আরো জানান, যে সব সিটি প্রশাসন অবৈধ এবং ক্রিমিনাল ইমিগ্র্যান্টদের ধর-পাকড়ে আইসকে সহায়তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে সেগুলোতে এ ধরনের অভিযান মাঝেমধেই চালানো হবে।

আইস জানিয়েছে, এক বাংলাদেশী গুরুতর অপরাধ করে জেল খেটেছে। মানুষজনকে হয়রানি করেছে। হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছিল। একদিকে ইমিগ্রেশনের স্ট্যাটাস নেই, অপরদিকে সামাজিক অস্থিরতার জন্যে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকেসহ বেশ ক’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে অবিলম্বে বহিষ্কারের প্রক্রিয়ায়। সূত্র : এনআরবি নিউজ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় হাজির না হওয়ায় খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এর আগে আজই মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় পতাকাকে অপমান করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এই মামলায় হাজির হওয়ার জন্য বারবার সমন দেওয়ার পরও খালেদা জিয়া হাজির না হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সকালেই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুর নবীর আদালতে উপস্থাপন করা হলে বাদীর উপস্থিতিতে আদালত পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১২ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুর নবী আদেশে বলেছিলেন, ৫ অক্টোবর আত্মসমর্পণ না করলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে। কিন্তু ৫ অক্টোবরও হাজির না হওয়ায় আদালত আজ দিন ধার্য করেন।

আদালত আদেশে বলেন, বার বার সমন দেওয়া সত্ত্বেও আসামি আদালতে হাজির হননি। সর্বশেষ বারের মতো সময় দেওয়া হলেও তিনি আদালতে আসেননি। এমনকি আদালতকে তার পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
এ কারণে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১

ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়াইন অঞ্চলে আঙ্গুর বাগান থেকে ছড়ানো অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে দুই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া প্রায় ২০ হাজার মানুষ এ অঞ্চল ছেড়ে চলে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সোনোমা কাউন্টির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৩৮০ জন। যদিও এর আগে কাউন্টি শেরিফ রবার্ট জিওরদানো জানিয়েছিলেন, ৬৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে অবস্থার উন্নতি ও উদ্ধার তৎপড়তায় অনেকের সন্ধান পাওয়ায় এ সংখ্যা কমে এসেছে। তিনি আশা প্রকাশ করছেন, আরও অনেককেই উদ্ধার করা যাবে।

ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে এই অঞ্চলের প্রায় এক লাখ পনের একর জায়গা পুড়ে গেছে। রাজ্যের ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কেন পিমলোট ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি’কে জানিয়েছেন, কঠিন হলেও দাবানলের ভেতরও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান চালানো হচ্ছে। তবে তার আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এ ঘটনায় ক্যালিফের্নিয়ার গভর্নর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বলেছেন, দাবানলের কারণে ঘরবাড়ি পুড়ে যাচ্ছে।
আরও অসংখ্য ঘরবাড়ি হুমকির মুখে। এই মুহূর্তে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যেতে হবে। ওইসব অঞ্চলের হাজারো মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে হবে।

জানানো হয়েছে, তীব্র বাতাস, কম আর্দ্রতা ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া আবহাওয়া দপ্তর এ কারণে সানফ্রান্সিসকোতে সতর্কতা জারি করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অ্যালকোহলের অজানা গুণ!

যারা মদ্যপান করেন, তাদের মূলত আমরা খারাপ নজরেই দেখে থাকি। তবে যারা মদ্যপান করে না, তারাও কমবেশি অ্যালকোহলের নাম জানেন। এই অ্যালকোহলের মাঝেই অনেক ধরণের মজাদার কাহিনী রয়েছে। এটি বেশি পান করলে যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি হিসেবমত পান করলেও কিন্তু অনেক রোগ সারে। আসুন জেনে নেয়া যাক অ্যালকোহল সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য-

১. ত্বক ও চুলে মসৃণভাব আনে অ্যালকোহল। বিয়ার ত্বকের ক্ষত দূর করার পাশাপাশি, অনেকসময় ব্রণ সারাতেও সাহায্য করে। চুলেও আলাদা ঔজ্জ্বল্য আনে এই অ্যালকোহল।

২. সপ্তাহে ৩০ থেকে ৬০ মিলিলিটার অ্যালকোহল ডায়বেটিস বাড়ার সম্ভবনা অনেকটা কমিয়ে দেয়।

৩. সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা নিয়ন্ত্রিত মদ্যপান করেন তাদের ক্ষেত্রে ২৩ শতাংশ কম সম্ভাবনা থাকে অ্যালজাইমা, স্মৃতিভ্রমের মতো সমস্যার।

৪. নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে হুইস্কি খেলে গ্যাসট্রোসাইটিসের সমস্যা অনেকাংশে কমানো সম্ভব হয়। কারণ হুইস্কিতে এমন বহু উকরণ রয়েছে যা এই ধরণের সমস্যা দূর করতে পারে।

৫. সর্দি কাশির সমস্যা কমায় সর্দি কাশির সমস্যা মেটাতে ওয়াইনের জুড়ি মেলা ভার। তবে হুইস্কির মতো ওয়াইনও বেশি খাওয়া উচিত নয়।

৬. চিকিৎসকদের মতে, প্রত্যেকদিন যদি ১ পেগ হুইস্কি খাওয়া যায় তাহলে তা হৃদযন্ত্রের জন্য ভাল।

৭. শরীর ভাল রাখতে হলে মেজাজ ভাল রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। আর মেজাজ ভাল রাখতে হলে এক গ্লাস বিয়ার বা ১ গ্লাস ওয়াইন দারুন হবে।

৮. বিয়ার খাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর কাজ করার ইচ্ছা বেশি খানিকটা বেড়ে যায়।

৯. ক্ষুধামন্দা দূর করে, বিয়ার খেলে খিদে বাড়ে।

১০. একটি গবেষণায় প্রকাশ করা হয়েছে যে, নিয়মিত বিয়ার খাওয়া মানুষরা দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সূত্রঃ টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভিয়েতনামে বন্যা ও ভূমিধসে ৩৭ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৪০

ভিয়েতনামে অতিবৃষ্টির ফলে বন্যা ও ভূমিধসে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও ২১ জন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ৪০ জন।

ভিয়েতনামের বিপর্যয় মোকাবেলা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় প্রায় ১ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১৬ হাজার ৭৪০ বাড়ি এখনও পানিতে ডুবে আছে। দেশের কেন্দ্রীয় ও উত্তর দিকে পরিকাঠামো সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ফসল।

এদিকে, দেশের উত্তরে হোয়া বিনহ প্রদেশ থেকে ১১ জনেরর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন ২১ জন। ধসের ফলে ৪টি পরিবারের বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বৃহস্পতিবার যখন সবাই ঘুমোচ্ছিল, তখন আচমকাই ধস নামে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ৬ জন।
নিখোঁজ হন ১২ জন। নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। উত্তরে নিনহ বিনহ প্রদেশে ২ লাখ মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দেশের উত্তর ও মধ্যভাগে এখনও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চীন থেকে ভিয়েতনামের দিকে ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করেছে। ফিলিপাইনেও দুর্যোগের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest