সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মশালা  সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্নকলারোয়ায় মাছ ধরতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না কিশোর নয়নেরসাতক্ষীরায় পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনবৃত্তি উৎসবের নামে সাতক্ষীরায় চলছে কোচিং সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনাসাতক্ষীরায়পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার চেক হস্তান্তরসাতক্ষীরায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে হেলমেট বিতরণসাতক্ষীরার প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় যুব সমাজের দাবি আশাশুনি উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়কের পিতার দাফন দুই মেয়ের পর আবারো মেয়ের জন্ম :  ৫দিনের কন্যাশিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা- মা আটক

সাতক্ষীরায় ট্রাফিক সার্জেন্ট জাহিদের চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় ট্রাফিক সার্জেন্ট জাহিদুল ইসলামের চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টায় মাইক্রোবাস, প্রাইভেট ও মিনিট্রাক চালকরা শহরের মাইক্রো স্টান্ডে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জাহাঙ্গীর আলম, শফিকুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুস, রমজান আলি, নজরুল ইসলাম, কায়েস, আলি আকবর, আমিনুর রহমান, আনার আলি ও মেহেদী হাসান প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, সাতক্ষীরায় ট্রাফিক সার্জেন্ট জাহিদুল ইসলাম জাহিদ যোগদান করার পর একের পর এক মাইক্রোবাস, প্রাইভেট ও মিনিট্রাক চালকদের হয়রানি করছে। মাসিক ৫শত টাকা চাঁদা দিয়েও তিনি গাড়ি রিকুইজেশনের নাম করে ড্রাইভারদের কাছ থেতে দুই থেকে তিন হাজার টাকা অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করছেন। জাহিদুলের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সম্প্রতি সাতক্ষীরার ড্রাইভার চালকরা পুলিশের উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করার পর তিনি তাদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি তিনি প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গীয়ে সাতক্ষীরায় ব্যাপক চাঁদাবাজি করছেন। সাতক্ষীরা চালকরা অনতিবিলম্বে সার্জেন্ট জাহিদকে অন্যত্র বদলিসহ তার শাস্তির জন্য পুলিশের উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় পিইসি পরীক্ষা কেন্দ্রে চেয়ারম্যানের হাতে হল সুপার লাঞ্ছিত !

আব্দুল জলিল : চেয়ারম্যানের কথামত পরীক্ষা না নেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের হাতে হল সুপার তাহের মাহমুদ সোহাগ লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ ঘটনায় উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হলেও কোন প্রতিকার পাননি হল সুপার। মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর হাইস্কুল কেন্দ্রে এ ঘটনাটি ঘটে।
হল সুপার তাহের মাহমুদ সোহাগ জানান, মঙ্গলবার পিইসি পরীক্ষার পরিবেশ ও পরিচিতির পরীক্ষা চলছিল। কলারোয়া উপজেলা চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের মেয়ে পিইসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। পরীক্ষা কেন্দ্রে চেয়ারম্যান জোরপূর্বক ঠুকে পড়ে। ডিউটিরত শিক্ষকদের তিনি তার কথামত পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বলে। এ সময় শিক্ষকরা হল সুপারের সাথে কথা বলতে বলেন। হল সুপার সেখানে উপস্থিত হলে চেয়ারম্যানের কথা রাখতে অপারগতা প্রকাশ করায় মোবাইলে কথা বলতে নিষেধ করায় চেয়ারম্যান তাকে লঞ্চিত করে। এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ঘটনাটি তিনি সাথে সাথে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও কলারোয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
চন্দনপুর হাইস্কুলের শিক্ষক আনছার আলি জানান, চেয়ারম্যানের মেয়ে পরীক্ষা দেওয়ায় তিনি হলের ভিতর ঢুকে মোবাইলে কথা বলছিলেন এসময় হল সুপার তাকে মোবাইল ফোনটি শ্রেণিকক্ষের বাহিরে যেয়ে কথা বলতে বলায় তাকে লাঞ্চিত করে চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি এ ঘটনা সম্পর্কে কোন কথা বলবো না সব ইউএনও সাহেব ঘটনাটি জানেন আপনি তার সাথে কথা বলেন।
কলারোয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মানিরা পারভীন বলেন দুই জনের মধ্যে কথাকাটি হয়েছিল আমার মাধ্যমে সেটি মিমাংসা হয়ে গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুলতান সুলেমান মারা যাবেন বৃহস্পতিবার

একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সুলতান সুলেমান সিরিয়ালের শেষ পর্ব বৃহস্পতিবার প্রচারিত হবে। এই পর্বেই মারা যাবেন সুলতান সুলেমান।

অটোম্যান সাম্রাজ্যের ষড়যন্ত্র, গুপ্তহত্যা এবং দাসপ্রথার অন্তরালে কাহিনী নিয়ে নির্মিত মেগাসিরিয়াল সুলতান সুলেমানের শেষ পর্বে সুলতানকে দেখা যাবে যুদ্ধের ময়দানে। সৈন্যদের উদ্দেশে দীর্ঘ বক্তৃতার সময় অসুস্থ হয়ে পড়বেন তিনি। সেখানেই মৃত্যু হবে তার। মৃত্যুর আগে তিনি স্মরণ করবেন দীর্ঘদিনের বন্ধু ও প্রধান সেনাপতি ইব্রাহিম পাশাকে।

বৃহস্পতিবার শেষ পর্ব হলেও দর্শকদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ নভেম্বর থেকে আবারো শেষ মৌসুমটি পুনঃপ্রচার হবে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে নতুন ধারাবাহিক সুলতান সুলেমান : কসেম। প্রায় সাতশ’ বছর ধরে তুরস্কের অটোম্যান সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগ ছিল সুলতান সুলেমানের নেতৃত্বে ষোড়শ থেকে সপ্তাদশ শতাব্দী।

যেখানে ক্ষমতার টানাপড়েনে অটোম্যান সাম্রাজ্যের বিভিন্ন ঘটনার অন্তরালের কাহিনী নিয়েই তা নির্মাণ করা হয়েছে।

এর আগে আরেকটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটছে।
ধারাবাহিকের অন্যতম চরিত্র সাধারণ দাসী থেকে সুলতান সুলেমানের স্ত্রী হয়ে ওঠা হুররাম সুলতানও মারা যান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সারাদেশে বাড়তে পারে শীতের অনুভূতি

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বাদে সারাদেশের তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। ফলে সারাদেশে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।

বুধবার সকালে আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, রংপুর, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগসহ সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিম বঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। -বাসস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আলুর পুষ্টিগুণ

আলুর পুষ্টিগুণ

কর্তৃক Daily Satkhira

আলুতে রয়েছে বহু পুষ্টিগুণ। আলু রক্তচাপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
হজমের পক্ষেও আলু ভালো। আমরা প্রায় প্রতিদিন অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি আলু খেয়ে থাকি। আলুতে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ আছে। এছাড়াও আলুর খোসাতে আছে ভিটামিন ‘এ’, পটাশিয়াম, আয়রন, অ্যান্টি-অক্সাইড, ফাইবারসহ প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। আলু খাওয়ার আরো উপকারিতা জেনে নিন-

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ব্লাড প্রেসারকে (রক্তচাপ) ঠিক রাখতে ভীষণভাবে সাহায্য করে আলু। কারণ আলুতে আছে কুকোয়া-মাইনাস নামের এক ধরণের কেমিক্যাল। তবে মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত আলু খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ওজন বেড়ে যেতে পারে।

হজমে সহায়ক: হজমের পক্ষে আলু খুব ভালো। কারণ আলুতে হাই ফাইভার থাকে।

ত্বকের পক্ষে উপকারী: আলু বেটে কিংবা আলুর রস ত্বকে লাগালে বিভিন্ন দাগ, র‍্যাশ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আলুতে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস ইত্যাদি রয়েছে যা ত্বকের জন্য জরুরি। এছাড়া রোদে পোড়া ভাবও দূর করতে সহায়তা করে আলুর রস।

রোগ প্রতিরোধ: আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। একটি মধ্যম আকৃতির(১৫০ গ্রাম) আলুর ত্বকে প্রায় ২৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ আছে। এছাড়া আলুতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি, ও আয়রন আছে।

মানসিক চাপ কমায়: আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ রয়েছে, যা মন ভালো রাখার জন্য কার্যকরী দুটি উপাদান সেরেটোনিন ও ডোপামিন নামক নিওট্রান্সমিটার গঠনে সহায়তা করে। নিওট্রান্সমিটার মস্তিষ্কে অনুভূতি আদান প্রদান করে থাকে এবং মানসিক চাপ কমিয়ে মন ভালো করতে সহায়তা করে।

মস্তিষ্ক সচল ও কর্মক্ষম রাখে: আলুতে গ্লুকোজ, অক্সিজেন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, এমিনো এসিড, ওমেগা-৩ ও অন্যান্য ফ্যাটি এসিড আছে, যা মস্তিষ্ক সচল ও কর্মক্ষম রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো সরবরাহ করতে সহায়তা করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মানবতাবিরোধী অপরাধে ঘোড়ামারা আজিজ’সহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গাইবান্ধার জামায়াত নেতা আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া (৬৫) ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এই ছয় আসামির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, হত্যা, আটক, অপহরণ, লুণ্ঠন ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।

বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে ১৬৬ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন।

মামলার অন্য পাঁচ আসামি হলেন মো. রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু, মো. আবদুল লতিফ, আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী, মো. নাজমুল হুদা ও মো. আবদুর রহিম মিঞা। রায় পড়ার সময় আদালতে উপস্থিত আছেন আসামি মো. আব্দুল লতিফ। বাকিরা সবাই পলাতক।

প্রসঙ্গত, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০০৯ সালে মামলার পর আজিজসহ ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। একই বছরের ২৩ নভেম্বর প্রসিকিউশনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুই বাংলাদেশিসহ কলকাতায় তিন আল কায়দা জঙ্গি আটক

আইএস’র পর এবার পশ্চিমবঙ্গে আল কায়দা মডিউলের সন্ধান পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। মঙ্গলবার আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা থেকে দুই বাংলাদেশিসহ তিনজনকে আটক করেছে এসটিএফ’এর সদস্যরা।

এদের মধ্যে সামসেদ মিঞা (২৬) ওরফে তানভির ওরফে তুষার বিশ্বাস ওরফে সাইফুল বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের খাটশোলা গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে রিয়াজুল ইসলাম (২৫) ওরফে সুমন খুলনার কাসিমনগরের বাসিন্দা। তৃতীয় ব্যক্তি মনতোষ দে (৪৬) বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার খোলাপতার বাসিন্দা।

মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে এসটিএফ’এর ডেপুটি কমিশনার মুরলধীর শর্মা জানান ‘দুর্গাপূজা উৎসবের শেষের দিকে ও ভারতে অনুর্দ্ধ ১৭ বিশ্বকাপের শুরুর সময়েই কেন্দ্রীয় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)’এর তরফে নির্দিষ্টিভাবে আমাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল, সেখানে বলা হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে ২-৩ জন পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে বা শিগগিরি ঢুকবে। এরপর থেকেই গত ২০-২৫ দিন ধরে কলকাতা ও আশপাশের শহরগুলিতে চিরুনি অভিযান চলছিল। এরপর গত তিনদিন ধরে আমরা এই তিনজনের বিরুদ্ধে নিশ্চিত হই। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে কলকাতা রেল স্টেশন থেকে তিনজনকে আটক করা হয়’।

শর্মা আরও জানান ‘আটক ব্যক্তিরা বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই আনসারুল্লা বাংলা টিম প্রধানত বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন ব্লগার খুনের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিল।
ভারতীয় উপমহাদেশে আল কায়দার শাখা যে সংগঠন রয়েছে তার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে এই আনসার বাংলা টিমের। সামসেদ আনসারুল্লা বাংলা টিমের সিনিয়র সদস্য বলেও জানান তিনি। সে তুষার বিশ্বাস নামে একটি ভুয়া ভারতীয় আধার কার্ডও বানিয়ে ফেলে। কিন্তু কিভাবে ওই আধার কার্ড তৈরি করলো সেটা আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি’।

সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে ওই দুই বাংলাদেশি ভারতে এসেছে বলেও জানা গেছে। এব্যাপারে মুরলীধর শর্মা জানান ‘আটক দুই বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে ভারতের প্রবেশের কোন পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না। গত ১ থেকে দেড় বছর ধরে তারা ভারতে রয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, অস্ত্র, ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় আলকায়দা সম্পর্কিত প্রচুর বই ও নথি, রেইকি সম্পর্কিত বই ও বিস্ফোরক তৈরির করার বই, একটি ভুয়া ভারতীয় আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়। এমনকি যে দোকানে বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক বিক্রি হয় সেই দোকানের কিছু ভিজিটিং কার্ডও পাওয়া যায় বলেও জানান এসটিএফ’এর ওই কর্মকর্তা’।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ ও রিয়াজুলকে প্রাথমিক জেরায় জানা গেছে প্রধানত ভারতীয় নাগরিক মনতোষের মাধ্যমেই ভারত থেকে অস্ত্রসস্ত্র কেনার পরিকল্পনা ছিল ওই দুই বাংলাদেশির। মূলত ভাল অস্ত্র (৭.৩২ এমএম, ওয়ান শুটার) দেখানোর জন্যই তারা কলকাতা স্টেশনে জড়ো হয়। সেই খবর পেয়েই আগে থেকেই কলকাতা স্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকে এসটিএফ সদস্যরা এবং তাদেরকে আটক করে। আজ আটক তিন জনকেই আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গেছে।

তবে সূত্রের খবর নিজেদের দলে নিয়োগের লক্ষ্য নিয়েই দুই বাংলাদেশি ভারতে এসেছিল বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ভারতে নাশকতা সংগঠিত করারও পরিকল্পনা ছিল বলে জানা গেছে। কারণ তাদের কাছ থেকে হাতে লেখা একটি কাগজে কলকাতার ‘এসপ্লানেড বাস স্ট্যান্ড’ ও ‘ইডেন গার্ডেন’-এই দুইটি জায়গার নাম পাওয়া গেছে। যদিও পুরো ব্যাপারটিই গভীর ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এসটিএফ’এর ডিসি। ভারতে অবস্থানকালে কোন কোন জায়গায় তারা যায় তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে অাসাম ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছয় সন্দেহভাজন জামায়াত-উল-মুজাহিদন জঙ্গিকে আটক করে এসটিএফ। যাদের মধ্যে কয়েকজন জঙ্গি ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনায়ও জড়িত ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাজু বাদাম খেলে শরীরের কী কী উপকার হয়?

কিডনির মত দেখতে। এমনি খান কী ভেজে।

দু’ক্ষেত্রেই স্বাদে এত তোফা যে লোভ সামলানো কঠিন হয়ে যায়। এমনিতে চিকিৎসকেরা বলেন, বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। কিন্তু কাজু বাদামের ক্ষেত্রে কি এই কথাটা খাটে?

আমাদের দেশে এই বিশেষ বাদামটির চাষ হয় না বলেই চলে। ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামার হাত ধরে উপমহাদেশে এন্ট্রি ঘটে কাজু বাদামের। তারপর থেকে ছড়িয়ে পড়ে এর স্বাদের সুখ্যাতি। এখন তো দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকা মহাদেশের একাধিক দেশে এই বাদামটির চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হল কাজু বাদাম খাওয়া কি আদৌ স্বাস্থ্যকর?

এক্ষেত্রে যদি বৈজ্ঞানিক নথির উপর ভারসা রাখতে পারেন, তাহলে বলতেই হয় যে পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক থেকে কাজু বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এতে উপস্থিত প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ভিটামিন নানা ভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। শুধু তাই নয়, কাজু বাদামে ভিটামিনের মাত্রা এত বেশি থাকে যে চিকিৎসকেরা একে প্রকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামেও ডেকে থাকেন।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত যদি কাজু বাদাম খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে নান পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি দূর হয়, সেই সঙ্গে আরও কিছু উপকার পাওয়া যায়।

ক্যান্সার রোগ দূরে থাকে
মারণ রোগটি যদি সাপ হয়, তাহলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হল বেজি। তাই তো যেখানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, সেখানে ক্যান্সার সেলের খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই তো প্রতিদিন এক মুঠো করে কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। আসলে এই বাদমটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি টিউমার যাতে দেখা না দেয় সেদিকেও খেয়াল রাখে।

প্রসঙ্গত, কাজু বাদামে থাকা প্রম্যান্থোসায়ানিডিন নামে একটি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

সংক্রমণের আশঙ্কা কমে
প্রাকৃতিক উপাদানটিতে থাকা জিঙ্ক, ভাইরাসের আক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। তাই আপনি যদি এই ধরনের ইনফেকশনের শিকার প্রায়শই হয়ে থাকেন, তাহলে রোজের ডায়েটে কাজু বাদামের অন্তর্ভুক্তি ঘটাতেই পারেন।

হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে 
কাজু বাদামে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট একদিকে যেমন ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে, তেমনি নানাবিধ হার্টের রোগ থেকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যাদের পরিবারে হার্ট ডিজিজের ইতিহাস রয়েছে, তারা প্রয়োজন মনে করলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেই পারেন।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে 
মাঝে মধ্যেই কি রক্তচাপ গ্রাফের কাঁটার মতো ওঠা-নামা করে? তাহলে তো চটজলদি কাজু খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এই বাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, যা ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে 
কাজুতে রয়েছে ওলিসিক নামে এক ধরনের মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা দেহে বাজে কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে দারুন কাজে আসে। তাই তো নিয়মিত এই বাদমটি খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়
কপার হল সেই খনিজ, যা চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়াকে শক্তপোক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কাজুতে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কিভাবে কাজু চুলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, কাজু বাদামে থাকা কপার শরীরের অন্দরে এমন কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যা চুলের কালো রংকে ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।

ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে 
আমাদের দেশে যে হারে সুগার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বাদাম খাওয়ার প্রয়োজন বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে- প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবারটি নিয়মিত খেলে রক্তে সুগারের মাত্র নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে শরীরর কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। তাই পরিবারে যদি ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে প্রতিদিন এক মুঠো করে বাদাম খাওয়ার শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। -বোল্ডস্কাই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest