সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন

জমি দখলকে কেন্দ্র করে চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজামসহ ৪৫ জনের নামে মামলা

আসাদুজ্জামান : বিরোধপূর্ণ জমি দখল নিতে প্রতিপক্ষের পাঁচটি দোকানে ভাঙচুর, নগদ টাকাসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট ও চারজনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইনসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে। আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের আমিনউদ্দিন সরদারের ছেলে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে কালিগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যানের দু’ ছেলে, ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম ও পল্লী চিকিৎসক অশোক রায়কে বিবাদী করে গত ২৭ এপ্রিল আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের আমিনউদ্দিন সরদারের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে কালিগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে দেওয়ানী মিস-৩৭/১৭ নং মামলা(আমানত) করেন। রেজাউল ইসলাম ও তার তিন ভাইয়ের ক্রয় করা ওই জমিতে (কালিবাড়ি বাজারে) পাঁচটি দোকান ছিল। গত সোমবার সন্ধ্যায় জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়ে চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন, ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুমসহ আটজন জনপ্রতিনিধি আনুমানিক রাত সাড়ে সাতটার দিকে তারা মোটর সাইকেল বহর নিয়ে চম্পাফুল কালিবাড়ি বাজারে পৌঁছালে চেয়ারম্যান মোজামের নির্দেশে আশিকুল গাইন, আরিফুল গাইন, আব্দুল কাউয়ুম, মোনায়েম হোসেন ও কবীর হোসেনসহ ৫০/৬০ জন তানভির হোসেনের দোকানে হামলা চালায়। এ সময় তারা নগদ ৬০ হাজার টাকাসহ আড়াই লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এতে বাধা দেওয়ায় তানভিরসহ চারজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়। পওে হামলাকারিরা আরো চারটি দোকান ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুবীর দত্ত জানান, দোকানঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও মারপিটের অভিযোগে আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে হুকুমদাতা চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজামম্মেল হক গাইনকে প্রধান আসামী করে ৪৫ জনের নাম মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং-৩৭।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তাবলিগ জামাতে ফের অস্থিরতা

তাবলিগ জামাতে ফের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই প্রভাব-প্রতিপত্তি ও আর্থিক অনিয়ম নিয়ে এই অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে তাবলিগের দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর আগামী ইজতেমায় বাংলাদেশে আসার বিষয়টি। তাকে ঠেকাতে মাঠে নেমেছে হেফাজতে ইসলামসহ কওমি আলেমরা। আর এসব দ্বন্দ্বে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে হাতাহাতি ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

তাবলিগ সূত্রে জানা গেছে, তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এ দ্বন্দ্বে আগেও একাধিকবার মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। বাংলাদেশে তাবলিগের ফায়সালের (আমির) দায়িত্ব পালন করছেন সাত জন। তাদের মধ্যে সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম ‘তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ’র একজন মজলিসে শুরা সদস্য এবং ফায়সাল (আমির)।সৈয়দ ওয়াসিফের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন তাবলিগের প্রবীণ দায়িত্বশীল মুরুব্বি অধ্যাপক মুশফিক আহমেদ ও তার অনুসারীরা। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে অধ্যাপক মুশফিক আহমেদের মৃত্যুর পর কোণঠাসা হয়ে পড়েন তার অনুসারীরা।

সূত্র জানায়, বিশ্বজুড়ে তাবলিগ জামাতের মারকায (মূল কেন্দ্র) ভারতে দিল্লির নিজামুদ্দিনে, যা নিজামুদ্দিন মারকায নামে পরিচিত। সেই মারকাযের অন্যতম ব্যক্তি মাওলানা সাদ কান্ধলভী। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তার বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ভারতের ‘দারুল উলুম দেওবন্দ’ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায়। দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম নোমানিসহ শীর্ষ আলেমরা বিবৃতি দিয়ে মাওলানা সাদের বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। সে সময় চাপে পড়ে মাওলানা সাদ তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

মাওলানা সাদ আলেমদের অর্থের বিনিময়ে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার বিরোধিতা করে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। এছাড়া, তিনি ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল ফোন পকেটে রেখে নামাজ হয় না বলেও মন্তব্য করেন, যা সমালোচিত হয়।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশে তাবলিগের ফায়সালের মধ্যে মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের, মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা ওমর ফারুক আগামী ইজতেমায় মাওলানা সাদের বাংলাদেশে আগমনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাকে বাংলাদেশে আসতে দিতে নারাজ হেফাজতে ইসলামসহ কওমিপন্থী আলেমরাও। গত ১১ নভেম্বর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের আয়েশা মসজিদে এ ইস্যুতে একটি সভা হয়। সেখানে হেফাজতপন্থী আলেমরা অংশ নেন। সভায় হেফাজতপন্থী আলেমরা মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকায় তাবলিগ জামাতের কাকরাইল মারকাযে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাবলিগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে কাকরাইল মসজিদে অবস্থিত মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলামসহ বেশ কয়েকজন মুরুব্বির রুমের জানালা ভাংচুর করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

দুপুর ২টার দিকে তাবলিগ জামাতের শুরা সদস্যরা বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ভবিষ্যতে কাকরাইল মসজিদের যেকোনও সভায় শুরা সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা চূড়ান্ত হবে। সম্প্রতি যেসব বিষয় নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে, সেসবের সমাধানও এভাবেই করা হবে। কাকরাইল মসজিদের মাদ্রাসার ছাত্ররা উত্তর দিকেই অবস্থান করবেন, তারা দক্ষিণ দিকে আসবেন না।

বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, তাবলিগের কার্যক্রমে কেউ কোনও অস্ত্র নিয়ে আসতে পারবেন না। কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি অতিথি আগমনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

বৈঠকের এই সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করে স্বাক্ষর করেন মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের, সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম, মাওলানা রবিউল হক, খান মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন নাসিম, মাওলানা ওমর ফারুক, মোহাম্মদ মোশাররফ, মোহাম্মদ হোসাইন।

এ প্রসঙ্গে কাকরাইল মসজিদের দায়িত্বশীল এক মুরুব্বি বলেন, মিথ্যা প্রচারণা করে মাদ্রসার ছাত্রদের ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছিল। সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলামের এক সময়ের অনুসারী তাবলিগকর্মী মাহফুজুল হান্নান মিথ্যে প্রচারণা চালিয়ে ওয়াসিফের বিরুদ্ধে ছাত্রদের উস্কে দেন। মাহফুজুল হান্নান কাকরাইল মারকায মসজিদের দায়িত্বশীল কেউ না হলেও তার প্রভাব বেশি।

এ প্রসঙ্গে সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলামের ছেলে মাওলানা ওসামা ইসলাম বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। তবে আজ  (মঙ্গলবার) শুরা সদস্যরা বৈঠক করেছেন। ভবিষ্যতে কাকরাইল মসজিদের যেকোনও সভায় শুরা সদস্যদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন। আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি অতিথি আগমনের বিষয়েও বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হবে সেটি কার্যকর হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আর্জেন্টিনাকে ৪-২গোলে হারালো নাইজেরিয়া

রাশিয়াতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচ খেলেই লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনাকে রেখে ফিরে যান স্পেনে। আর তাকে ছাড়া পথ চলতে গিয়ে প্রথমেই বিরাট হোঁচট খেলো অ্যালবিসেলেস্তেরা। মঙ্গলবার ক্রাসনোদার স্টেডিয়ামে এগিয়ে গিয়েও তারা ৪-২ গোলে হেরে গেছে নাইজেরিয়ার কাছে। দক্ষিণ আমেরিকান প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে আফ্রিকানদের এটা দ্বিতীয় জয়।

৩৬ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক এই প্রীতি ম্যাচে সহজ জয়ই প্রত্যাশিত ছিল আর্জেন্টিনার। কিন্তু দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় নাইজেরিয়া। ২০১১ সালের জুনে আরেক প্রীতি ম্যাচে ৪-১ গোলে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিল তারা। ওই ম্যাচে দ্বিতীয় সারির দল নামিয়েছিল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু এদিন মেসি না থাকলেও দল ছিল পূর্ণ শক্তির।

মেসি না থাকায় তার জায়গায় পাউলো দিবালাকে ডেকেছিলেন হোর্হে সাম্পাওলি। আর্জেন্টাইন এই কোচের অধীনে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ একাদশে জায়গা পান সের্হিয়ো আগুয়েরো। রাশিয়ার বিপক্ষে দলকে জেতানোর পুরস্কারই যেন পেলেন তিনি।

আস্থার প্রতিদান আগুয়েরো এ ম্যাচেও দিয়েছেন গোল করে। তার আগে ২৭ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে আর্জেন্টিনাকে প্রথমে এগিয়ে দেন এভার বানেগা। ব্যবধান ৩৬ মিনিটে দ্বিগুণ করেন আগুয়েরো। ডানদিক থেকে পাভনের পাস নিখুঁতভাবে নাইজেরিয়ার জালে পাঠান ম্যানসিটির সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতা। জাতীয় দলের জার্সিতে ৩৬তম গোল করে সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় তিনি এককভাবে তিন নম্বরে জায়গা করে নেন। সাবেক ফরোয়ার্ড হার্নার ক্রেসপো (৩৫) পড়ে গেছেন আগুয়েরোর পেছনে।

দুই গোলে এগিয়ে থেকে যখন আর্জেন্টিনা স্বস্তিতে, ঠিক তখনই ঘুরে দাঁড়ায় নাইজেরিয়া। শুরুটা হয় বিরতির আগেই। ৪৪ মিনিটে কেলেচি আইহিনাচোর বাঁকানো ফ্রি কিক ঠেকাতে পারেননি আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক অগাস্তিন মারচেসিন।

আইহিনাচো পুরো ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেন দ্বিতীয়ার্ধে। তিন মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল বানিয়ে দেন লিস্টার সিটির এই ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ৫২ মিনিটের গোলে সমতা ফেরান আইওবি। আইদোয়ু ৫৪ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দেন নাইজেরিয়াকে। ভেঙে পড়া আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের সুযোগ নিয়ে ৭৩ মিনিটে চতুর্থবার গোল করে নাইজেরিয়া। আইওবিকে তার দ্বিতীয় গোল বানিয়ে দেন মুসা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইংল্যাণ্ডের সাথে ব্রাজিলের গোলশূন্য ড্র

গোলশূন্য ড্র নিয়ে শেষ হয়েছে ইংল্যান্ড বনাম ব্রাজিলের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। নির্ধারিত সময় শেষে কোনো দলই প্রতিক্ষের জালে বল জড়াতে পারেনি।

বিশ্বকাপের আগে নিজেদের শক্তি ঝালিয়ে নিতে মাঠে নামছে বড় দলগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ড ও ব্রাজিলের মধ্যে এই আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলো।

খেলার প্রথমার্ধে নিজেদের শক্তিমত্তা প্রমাণ করে নেইমারের দল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ব্রাজিল। কিন্তু গোল হওয়ার মতো তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।

তারুণ্যনির্ভর ইংল্যান্ড দলের কোনো খেলোয়াড়ই এদিন নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণ সামাল দিতেই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে গ্যারেথ সাউথ গেটের শিষ্যদের। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের অধিনায়ক দানি আলভেসের একটি শট দারুণভাবে রুখে দিয়েছেন ইংলিশ গোলরক্ষক জো হার্ট। পুরো ম্যাচে ৬৬ শতাংশ সময় বলের দখল নিজেদের কাছে রাখতে পারলেও শেষ পর্যন্ত জয়সূচক গোলের দেখা পাননি নেইমাররা।

অবশ্য ৭৫ মিনিটে ব্রাজিলের বদলি খেলোয়াড় ফের্নানদিনিয়ো গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও তাঁর শটটি গিয়ে পোস্টে লাগে।

ইংল্যান্ডের জ্যাক লিভেরমোর ও ব্রাজিলের দানি আলভেস দেখেছেন হলুদ কার্ড। সূত্র: বিবিসি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা নিষিদ্ধ : সৌদি গ্রান্ড মুফতি

সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আল শেখ বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা নিষিদ্ধ। কোনো ইসরাইলিকে হত্যা করাও নিষিদ্ধ।
যেহেতু হামাস এসব করছে, সেকারণে হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।

সম্প্রতি একটি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে সৌদি মুফতি হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে এসব কথা বলেন। এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ‘হামাস’কে সন্ত্রাসী সংগঠন বলায় আবদুল আজিজ আল শেখকে ইসরাইলে দাওয়াত দিয়েছে দেশটির এক মন্ত্রী।

আবদুল আজিজ আল শেখের ভূয়সী প্রশংসা করে ইসরাইলি যোগাযোগ মন্ত্রী আয়ুব কারা এক টুইট বার্তায় বলেন, আমরা আবদুল আজিজ আল শেখকে অভিনন্দন জানাই। তিনি যে ফতোয়া দিয়েছেন, ‘ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং হত্যা নিষিদ্ধ’ এজন্য তাকে অভিনন্দন।

তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে আমরা গ্রান্ড মুফতিকে ইসরাইল ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তাকে আমাদের দেশে সর্বোচ্চ সম্মানিত করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুবরাজের জন্য ভরা পার্টিতেই দুই নায়িকার প্রেমযুদ্ধ!

বলিউড ও ক্রিকেট চিরকাল হাত ধরাধরি করে হেঁটেছে। শর্মিলা ঠাকুর, সঙ্গীতা বিজলানি, গীতা বসরা থেকে শুরু করে হালের আনুশকা শর্মাও সেই একই পথের অনুসারী।

ভারতের ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি যুবরাজ সিং বিয়ে করেছেন হ্যাজেল কিচকে। হ্যাজেল নিজেও বলিউড অভিনেত্রী। যুবি সংসারী হলেও একসময়ে এই বাঁ হাতি অলরাউন্ডারই ছিলেন পার্টি-কিং। একাধিক বলিউড অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার।

কান পাতলেই শোনা যায়, কিমের সঙ্গে যুবরাজের সম্পর্ক অনেক দূর গড়িয়ে গিয়েছিল। বাঁ হাতি বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যানের মা সেই সময় রুখে না দাঁড়ালে হয়তো বিয়েই করতেন কিম ও যুবরাজ।

কিম শর্মাই শিল্পী শেট্টীর বোন শামিতার সঙ্গে পরিচয় করে দেন যুবরাজের। এরপরেই একবার পার্টিতে কিম শর্মা আর শামিতা শেট্টীর মধ্যে তুমুল গন্ডগোল লেগে গিয়েছিল। আসলে শমিতার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই যুবি খুবই কাছের মানুষ হয়ে যান।
আর সেটাই ভাল ভাবে নিতে পারেননি কিম।

জানা যায়, কিম শর্মার জন্মদিনের সেই পার্টিতে আমন্ত্রিত ছিলেন যুবরাজ ও শামিতা। পার্টিতেই কিম হঠাৎই আবিষ্কার করেন যুবরাজ ও শমিতার ‘বন্ধন’ আগের থেকেও যেন মজবুত হয়ে গিয়েছে। তাঁরা নিজেদের মধ্যে খোশগল্প করছেন, অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে ঘুরছেন। পুরা বিষয়টা ভাল ভাবে নিতে পারেননি কিম।
এরপরেই শামিতার ওপরেই রেগে যান তিনি। ভরা পার্টির মধ্যে কিম আক্রমণ করে বসেন শামিতাকে। পার্টি তো ভেস্তে যায়। যুবরাজও পার্টি ছেড়ে চলে যান। কিছু বাদে শামিতাও তাই করেন। দুই নায়িকার মধ্যে কোন্দলের কয়েকদিন বাদে যুবির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় শামিতার। কিমের পরিণতিও একই হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেসব ফল খাবেন

ডায়াবেটিস রোগ হলে অনেকেই বুঝতে পারেন না কি খাবেন আর কি খাবেন না। বিশেষ করে ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে নানান রকম দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাজ করে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে।
কোন ফলটি খাওয়া যাবে, কোনটি খাওয়া যাবে না, কোনটি খেলে ডায়াবেটিসের জন্য উপকার হবে ইত্যাদি নানান চিন্তায় ফল খাওয়াই ছেড়ে দেন অনেক ডায়াবেটিস রোগী।

চিকিৎসকের পরামর্শে তা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নিষ্কৃতি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। রক্তে শর্করার মাত্রা সামলাতে আমূল পরিবর্তন ঘটাতে হয় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খেতেই হবে এই ৬টি ফল।

আপেল
আপেলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কম করতে ভালো কাজ দেয় এই ফাইবার। আপেলের মধ্যে রয়েছে পেকটিন। এটি ব্লাড সুগার কম করতে সাহা‌য্য করে।

বেরি
গ্লুকোজ ভেঙে তাকে শক্তিতে পরিণত করার ক্ষমতা রয়েছে বেরির।
ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে। পাশাপাশি রেরির মধ্যে থাকা একটি উপাদান ইনসুলিন ক্ষরণেও সাহা‌য্য করে। ফলে দেহে ইনসুলিন ক্ষরণ স্বাভাবিক রাখে।

পেয়ারা
ডায়াবেটিস রোগীদের একটি বড় সমস্যা হল কোষ্ঠকাঠিন্য। পেয়ারার মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে। এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কম করতে সাহা‌য্য করে। পাশাপাশি রোগীকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে।

পেঁপে
পেঁপের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। রক্তে গ্রুকোজের মাত্র বেড়ে গেলে রোগীর হার্ট, নার্ভের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে ‌যায়। নিয়মিত পেঁপে খেলে তা কিছুটা রুখে দেওয়া ‌যায়।

জাম
ডায়াবেটিসে জাম বিশেষ উপকারী। জামের মধ্যে থাকা একটি বিশেষ উপাদান খাবারের স্টার্চকে ভেঙে দেয়। ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক থাকে। সুগার রোগীদের ঘনঘন প্রস্রাব ও তৃষ্ণার প্রবণতা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।

আমলকি
ক্রোমিয়ামের একটি বড়সড় উৎস হল আমলকি। অগ্নাশয়কে সুস্থ রাখতে ক্রেমিয়াম খুবই উপকারী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্ত্রীর বড় বোনকে দফায় দফায় ধর্ষণ, ভগ্নিপতি গ্রেফতার

রাজবাড়ীর কালুখালীতে স্ত্রীর বড় বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে এরশাদ মণ্ডল (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের গেট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এরশাদ কালুখালী উপজেলার দামুকদিয়া গ্রামের বকু মণ্ডলের ছেলে।

কালুখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খান বেল্লাল হোসেন জানান, ১৩ নভেম্বর এরশাদের স্ত্রীর বড় বোন কালুখালী থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামীর বাড়ি ও তার ছোট বোনের স্বামী এরশাদের বাড়ি একই গ্রামে। তাদের বাড়িতে এরশাদ যাতায়াত করতো। এক পর্যায়ে এরশাদ তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ৫ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে এরশাদ তাকে ধর্ষণ করে। এসময় তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। এর আগেও গত ৮ আগস্ট রাত ১০টার দিকে এরশাদ তার স্ত্রীর বড় বোনকে ধর্ষণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest