আইএসের পতন ঘোষণা করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পতন ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মেজর জেনারেল কাশেম সোলেইমানিও দেশটির সর্বোচ্চ নেতার কাছে পাঠানো এক বার্তায় আইএসের পতন ঘোষণা করেন। তেহরানের বিপ্লবী বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম সিপাহ নিউজে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

ইরান সীমান্তের বাইরে এবং সিরিয়া ও ইরাকে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তেহরানের কুদস ফোর্স। এই বাহিনীর নেতৃত্বে থাকা সোলেইমানি আইএসের বিরুদ্ধে পরিচালিত বেশ কিছু অভিযানের ভিডিও ও ছবি সম্প্রতি প্রকাশ করেন।

গত সপ্তাহে ইরানের পূর্বাঞ্চলের আলবু কামালে সোলেইমানির একটি ছবি ইরানি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। মঙ্গলবার সোলেইমানি এই ছবির ব্যাপারে বলেন, ওই অঞ্চলে এটিই ছিল ইসলামিক স্টেটের দখলে থাকা শেষ ভূখণ্ড; যা পুনর্দখলে নেয়ার দাবি করেন তিনি।

ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী বিপ্লবী গার্ড সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থনে দেশটিতে লড়াই করছে। গত কয়েক বছর ধরে দেশের বাইরে বাগদাদ এবং সিরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের কোটি কোটি ডলারের অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যের তত্ত্বাবধান করছে ইরানের এই বিপ্লবী বাহিনী।

সিরিয়া এবং ইরাকে আইএসবিরোধী লড়াইয়ে ইরানের জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ এক হাজারের বেশি সেনাসদস্য নিহত হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে চলতি সপ্তাহেই চুক্তি : সু চি

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে বাংলাদেশের সঙ্গে চলতি সপ্তাহে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অং সান সু চি। মঙ্গলবার এশিয়া-ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন আসেমের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

বৈঠকে মিয়ানমারের এই ডি ফ্যাক্টো নেত্রী বলেন, তিনি আশা করছেন, গত তিন মাসে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিরাপদে ফেরাতে চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে দেশটির এক ডজন পুলিশি তল্লাশি চৌকি ও একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলার জেরে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ শুরু করে সেনাবাহিনী। অভিযান শুরুর পর থেকে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের রাখাইন থেকে এখন পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছেন।

মঙ্গলবার এশিয়া-ইউরোপ মিটিংয়ে ‌(আসেম) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সু চি। নেইপিদোতে আসেমের এই বৈঠকে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা চলছে।

নেইপিদোতে আসেমের দু’দিনের এই মিটিংয়ে এশিয়া এবং ইউরোপের ৫১টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নিয়েছেন। রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার পর আসেমের নেতারা রাখাইন প্রদেশের এই সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানের জন্য জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালের দিকে বৈঠক শুরুর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র এবং নিরাপত্তা নীতিমালা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে রাখাইন সঙ্কট নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেন। আলোচনায় মিয়ানমার, বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, এস্তোনিয়া, জার্মানি, মাল্টা, রাশিয়া, লুক্সেমবার্গ, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড, হাঙ্গেরি, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা অংশ নেন।

ইইউ’র পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি রোহিঙ্গাদের নিজভূমিতে নিরাপদে ফেরাতে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার শিগগিরই একটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিতে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

আসেমের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ছবি তোলার পর ইইউর এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন,‌ ‘শরণার্থীদের (রোহিঙ্গা) নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক ও একটি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার বাস্তব সম্ভাবনা আছে। এই প্রক্রিয়ায় ইইউর সমর্থন রয়েছে এবং চুক্তি বাস্তবায়নে পাশে থাকবে ইইউ।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের সময় রাখাইনে নৃশংস হত্যা, গণধর্ষণের অভিযোগ করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সু চি বলেন, আমরা এটা বলতে পারবো না, আসলেই সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে কি না।

রোহিঙ্গাদের ফেরানোর ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে সু চি বলেন, ‌‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার আলোচনা হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রক্রিয়া কি হবে তা নিয়ে গত মাস থেকেই দুই দেশের কর্মকর্তারা আলোচনা শুরু করেছেন।’

‘আমরা আশা করছি, শিগগিরই একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে। এর মাধ্যমে যারা সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে তাদের নিরাপদ এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু হবে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিলেও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উল্লেখ করেননি শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের দেশটির নাগরিকত্ব দেয়নি এবং সেদেশের জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর সরকারি তালিকাতেও নেই তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চাঁদাবাজির অভিযোগ সাতক্ষীরার ট্রাফিক সার্জেন্ট জাহিদের বিরুদ্ধে, অভিযোগ করায় ক্রসফায়ারের হুমকি!

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ট্রাফিক সার্জেন্ট জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করায় এক মাইক্রোবাস চালককে ক্রসফায়ারের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকির মুখে চালক শফিকুল ইসলাম এখন নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছে। চাঁদাবাজির অভিযোগের পর নিজ ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য শফিকুল পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী মটর চালক লীগ সাতক্ষীরা সদর থানা শাখার সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম পেশায় একজন মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট চালক। গত ১৬ নভেম্বর পুলিশে আইজিপির কাছে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, সাতক্ষীরায় শহরে ২৩০টির মত মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট রয়েছে। এসকল যানবাহন থেকে সাতক্ষীরায় ট্রাফিক সার্জেন্ট জাহিদুর রহমানকে গাড়ি প্রতি মাসিক ৫০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। কিন্তু সার্জেন্ট জাহিদুর রহামান বর্তমানে গাড়ি প্রতি এক হাজার টাকা চাঁদ দাবি করে আমাদেরকে হয়রানি করছে। চাঁদার টাকা দিকে অস্বিকার করায় সার্জেন্ট প্রতি মাসে কমপক্ষে তিন থেকে চার বার গাড়ি রিকুইজেশনের নামে গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে নিচ্ছে। রিকুইজেশন না খাটলেও কাগজপত্র ফেরতের জন্য গাড়ি প্রতি কমপক্ষে দুই থেকে তিন হাজার টাকা আদায় করছে। টাকা দিতে না চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই চাঁদাবাজির টাকা প্রতি মাসে খুলনা বিভাগীয় ডিআইজিকে ৫০ হাজার ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে ৪০ হাজার টাকা দিতে হয়। এই টাকা বাড়ি থেকে এনে দিতে পারবো না উল্লেখ করে সার্জেন্ট জাহিদুল চালকদের বলেন, হয় টাকা দিবি না হয় গাড়ি নিয়ে রাস্তায় উঠবি না।

এই অভিযোগের কপি আইজিপি সহ ডিআইজি ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই অভিযোগ দেওয়ার পর ২০ নভেম্বর সার্জেন্ট জাহিদুল অভিযোগ কারি শফিকুলকে মোবাইল ফোনে ক্রসফায়ার দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এছাড়া পুলিশের বিভিন্ন দারোগা দিয়ে মোবাইল করে মামলার হুমকি দিয়ে জেল খাটানোর হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে সার্জেন্ট জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন আমার মোবাইল থেকে তাকে মোবাইল করা হয়নি।

সাতক্ষীরার সদর সাকের্লের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ কারি শফিকুল ইসলাম ঘটনাটি সম্পর্কে আমাকে মোবাইলে জানিয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করতেই জাতির পিতাকে হত্যা-ঢাকা সেনানিবাসে প্রধানন্ত্রী

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই ১৫ সপরিবারে তাকে হত্যা করে দেশকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। স্বাধীনতা ও বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করতেই তারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ লিখিত ছিল না। এটার কোনো নোটও ছিল না। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে দোয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ তার অন্তর থেকে এসেছিল। তার এই ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির জন্য দিক নির্দেশনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকারীরা জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণকেও নিষিদ্ধ করেছিল। সেই ভাষণ আজ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোতে স্থান পেয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশের ৪৯১টি উপজেলার চার তলা ভবনে বসবে হাটবাজার

বদলে যাচ্ছে গ্রামের হাটবাজারের চেহারা। কর্দমাক্ত ও ঘিঞ্জি পরিবেশে গড়ে ওঠা হাটবাজারের বদলে এখন গ্রামের বাজারও বসবে বহুতল ভবনে। চার তলা ভবনের এসব বাজার হবে সবার জন্য উন্মুক্ত। নতুন করে গড়ে তোলা এসব ভবনের একটি তলা বরাদ্দ থাকবে নারীদের জন্য, যেখানে পুরুষদের নামে কোনও দোকান বরাদ্দ হবে না। দেশের ৪৯১টি উপজেলার প্রতিটিতে গড়ে উঠবে এমন আধুনিক বাজার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ‘দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক এই প্রকল্প এরই মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, একনেকে পাস হওয়া এই প্রকল্পের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সরকারের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। আশা করা হচ্ছে, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২০ সালের ৩০ জুন শতভাগ বাস্তবায়িত হবে।

কী কারণে এমন প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে— জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি অধিকাংশই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে হলে গ্রামীণ হাটবাজার নির্মাণ জরুরি। গ্রামাঞ্চলে হাটবাজারের পূর্ণ সুবিধা থেকে গ্রামীণ কৃষক ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীরা তেমন সুযোগ পান না। বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ সুবিধার অভাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে স্বল্প মূল্যে উৎপাদন স্থলেই বিক্রি করতে বাধ্য হন।

অন্যদিকে স্থায়ী অবকাঠামো না থাকায় গ্রামীণ বাজারে মালামালের সরবরাহ অপ্রতুল থাকায় ভোক্তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বেশি দাম দিতে হয়। ৪ থেকে ১০ হাজার বর্গফুটের বাজার নির্মাণসহ অন্যান্য ভৌত সুবিধা দেওয়া গেলে কৃষি ও অকৃষি পণ্যের সহজ বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কৃষক প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে তার পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ভোক্তারাও প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সহজে ও ন্যায্য মূল্যে কেনার সুবিধা পাবেন।

থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটি দেশের সব উপজেলায় বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পল্লী অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ, কৃষি পণ্য ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি, ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও প্রকল্প এলাকায় উন্নত হাটবাজার অবকাঠামো তৈরি হবে। সামগ্রিকভাবে পল্লি এলাকার জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এবং দারিদ্র্য কমবে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৪৯১টি উপজেলার প্রতিটিতে কমপক্ষে একটি করে চারতলা বিশিষ্ট বাজার তৈরির মাধ্যমে মোট ৫২০টি গ্রামীণ বাজার তৈরি করা হবে। প্রতিটি বাজারের আয়তন হবে কমপক্ষে চার হাজার বর্গফুট, সর্বোচ্চ ১০ হাজার বর্গফুট।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকার সারাদেশের গ্রামীণ হাটবাজারে চার তলা কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে। এর মধ্যে নিচতলায় থাকবে কাঁচাবাজার। আর দ্বিতীয় তলা বরাদ্দ দেওয়া হবে নারী উদ্যোক্তাদের। সরকারের এ উদ্যোগ নারী উদ্যোক্তাদের আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ছয় কোটি তরুণ-তরুণী রয়েছে। এর এক-তৃতীয়াংশই নারী। তাদের মাত্র ১০ ভাগ ব্যবসায় সম্পৃক্ত। এই হারকে ৫০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া গেলে দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার নারীবান্ধব সরকার। এসএমই খাতে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই উদ্যোগও তারই একটি অংশ।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পদ্মাবতীকে নিয়ে উত্তাল ভারত!

ইতিহাস নির্ভর ভারতীয় সিনেমা ‘পদ্মাবতী’। সিনেমাটি নির্মাণের শুরু থেকেই বিভিন্ন বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানশালিকে।

একের পর এক দুর্যোগ সিনেমাটির নির্মাণ থেকে শুরু করে সব কাজকেই পিছিয়ে দিচ্ছে। আবার রাজপুত করনি সেনা সহ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির বিক্ষোভ, একের পর এক হুমকি ও বাধা চলছেই।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে কিছুদিন আগে জানা যায়, আগামী ১ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে না দীপিকা-শাহিদ-রণবীরের ‘পদ্মাবতী’। প্রথমে ফিল্মটি সেন্সর বোর্ডের কাছে পাঠানো হলেও পদ্ধতিগত কিছু সমস্যার কারণে সেটি ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সমস্যাগুলি মিটিয়ে ফিল্ম নির্মাতাদের তরফে সেটি ফের সেন্সরের জন্য পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন।

এছাড়া CBFC-র নিয়ম অনুসারে কোনও ফিল্ম জমা দেওয়ার পর তাকে সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬১ দিন সময় লাগে। সেক্ষেত্রে ফিল্মটি সেন্সর বোর্ডে সার্টিফিকেট পেতে দেরি হলে কোনও ভাবেই ১ ডিসেম্বর মুক্তি করানো সম্ভব হবে না প্রযোজনা সংস্থার পক্ষে।

এরপরে সেন্সর থেকে বলা হয়েছিল পদ্মাবতীর কিছু দৃশ্য ডিলিট করার কথা। কিন্তু নির্মাতা সঞ্জয় লীলা ভানসালি তা করতে নারাজ। তাই সে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হন। আর আদালতও তার পক্ষে রায় দিয়েছে।

আদালতের ভাষ্যমতে, তারা সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনকে আরেকবার পুনর্বিবেচনার কথা জানিয়েছেন। দিপাক মিশরার তত্ত্বাবধানে এই রায় পাশ করা হয়।

শোনা যাচ্ছে ১ ডিসেম্বরের বদলে আগামী বছর ১২ জানুয়ারি মুক্তি পেতে পারে সঞ্জয়লীলা বনশালির ‘পদ্মাবতী’।

এদিকে ‘পদ্মাবতী’র মুক্তি রুখতে ইতিমধ্যে ১ ডিসেম্বর ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে করনি সেনা। তাঁদের অভিযোগ, কোনও ভাবেই রানি পদ্মিনীকে আলাউদ্দিন খলজির প্রেমিকা হিসাবে মেনে নেওয়া হবে না।

যদিও পরিচালক বনশালি থেকে শুরু করে সিনেমার কলা-কুশলীরা বারবার দাবি করে আসছেন, সিনেমায় কোনওভাবেই ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়নি। তা সত্ত্বেও বিতর্ক থামছেই না।

এদিকে পদ্মাবতীর মুক্তি পিছনোর ঘটনায় ষড়যন্ত্র দেখছে বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, সেন্সর বোর্ডকে হাতিয়ার করে গুজরাট ভোটের আগে পদ্মাবতীর মুক্তি আটকাতে চাইছে মোদী সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গায়ের রং কালো হওয়ায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা

গায়ের রং কালো হওয়ায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।

আজ সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া ভবানীপুর থানার চকদীপা গ্রামের বাড়ির মধ্যে অগ্নিদগ্ধ গৃবধূর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা।
থানার খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন মাস আগে হলদিয়া ভবানীপুর থানার চকদীপা গ্রামের সেখ জাহাঙ্গির মল্লিকের সঙ্গে সুতাহাটা থানার চকলালপুরের বছর ২০ মঞ্জিরার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ে পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গৃবধূর গায়ের রং কালোর জন্য অত্যাচার করতে থাকে। প্রায় এই নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। তবে শ্বশুবাড়ির লোকেরা গৃহবধূর গায়ে আগুন লাগিয়ে খুন করে বলে গৃহবধূর বাবার বাড়ির অভিযোগ।
মৃত গৃহবধূর ভাইয়ের অভিযোগ, বোনের গায়ের রং কালো হওয়ায় প্রতিনিয়ত অত্যাচার করতো বোনকে। স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

ভবানীপুর থানার ওসি গোপাল পাঠাক জানান, আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।
অভিযুক্তরা পালিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুগাবের অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আজ

জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার অভিশংসনের প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে তারই দল ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ পার্টি।

মুগাবের বিরুদ্ধে স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে অন্যায়ভাবে জিম্বাবুয়ের সাংবিধানিক ক্ষমতায় যাবার প্রচেষ্টার অভিযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।

ক্ষমতাসীন দলের নেতা এমআংগওয়ানা বলেন, অভিসংশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে দুই দিনের মতো লাগতে পারে। বুধবারের মধ্যেই মুগাবের বিদায় নিশ্চিত করা যাবে।

পদত্যাগের জন্য মুগাবেকে জানু-পিএফ পার্টি ২৪ ঘণ্টার যে সময় বেঁধে দিয়েছিল তা সোমবার শেষ হয়।

দেশটির সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বরখাস্ত হওয়া ভাইস-প্রেসিডেন্ট এমারসন এমনাঙ্গাগওয়া খুব দ্রুতই দেশে ফেরত আসবেন।

৯৩ বছর বয়সী রবার্ট মুগাবের পর জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হবার জন্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন তার স্ত্রী গ্রেস মুগাবে এবং এমনাঙ্গাগওয়া। মুগাবে এমনাঙ্গাগ-ওয়াকে পদচ্যুত করেন। এরপরই গত সপ্তাহে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। সূত্র : বিবিসি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest