সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

দেবহাটায় মরা গরুর মাংসসহ ১জন আটক

কেএম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় মরা গরুর মাংস সহ এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তার সাথে ভ্যান চালককেও আটক করা হয়। তাদেরকে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ বুধবার সকালে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করেন। পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবহাটা থানার এএসআই আব্দুল গনি মিয়া ও মাসুদ হোসেন উপজেলার গাজীরহাট এলাকা থেকে দেবহাটা উপজেলার হাদীপুর গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী গাজীর ছেলে খোকন গাজী মধু (৪৫) কে ২৫ কেজি মরা গরুর মাংস সহ আটক করেন। খোকন গাজী মধু দীর্ঘদিন যাবৎ মরা গরুর মাংসে কেওড়ার টক মিশিয়ে হরিনের মাংস বলে বিক্রি করে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। ইতিপূর্বেও সে অনেকবার স্থানীয় লোকজনসহ প্রশাসনের হাতে ধরা খেয়েছে। এসময় তার সাথে ভ্যান চালক উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত নুর আলী গাজীর ছেলে সিরাজুল (২০) কেও আটক করা হয়। খোকন গাজী ওরফে মধুকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ভ্যান চালক সিরাজুলকে ২ হাজার টাকা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হয়। দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী কামাল হোসেন বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১৩ ডিগ্রি ও ২৭ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি : সংসদে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন অর্জনের স্বীকৃতি এবং সফলতার কারণে এ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার ও সনদ পেয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া কোনো দলই এত পুরস্কার পায়নি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যতবারই ক্ষমতায় এসছে ততবারই শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দৃশ্যমান ভূমিকা রেখেছে। মিলেছে একের পর এক সম্মানজনক আন্তর্জাতিক পুরস্কার। শুধুমাত্র বিগত আট বছরেই নয় ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদসহ আমরা (সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) এ গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার ও সনদ পেয়েছি।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সেলিনা বেগমের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা এ সময় তার সরকারের আমলে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ডিগ্রি ও পুরস্কারের তালিকা তুলে ধরেন।

তালিকা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের বিভিন্ন প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩টি ডিগ্রি পেয়েছেন। আর তিনি ও তার সরকার অ্যাওয়ার্ড পায় ২৭টি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব অর্জনই দেশের মানুষের। আগামী দিনগুলোতেও দেশের মানুয়ের উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাব। আন্তর্জাতিক এ পুরস্কারগুলো আমার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে যাবে।

এর আগে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ আজ একটি সম্মানজনক ও উচ্চ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য এখন সর্বজনবিদিত। বিগত আট বছরে সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্ব, দায়িত্বশীল পররাষ্ট্রনীতি এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে দেশ আজ বিশ্বশান্তি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠায় বিগত যে কোনো সময় থেকে একটি সফল রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যে হ্রদে গোসল নিষিদ্ধ! (ভিডিও)

এই আজব লেকটির অবস্থান তুরস্কে। দেশটার অবস্থানও অবশ্য আজব। কারণ এর এক অংশ এশিয়া মহাদেশে, আর বাকি অংশ ইউরোপ মহাদেশে। আজব দেশেরই এক আজব জায়গা এ পামুক্কালে। এখানকার লেকগুলো দেখলে সত্যি আশ্চর্য হয়ে যেতে হয়।

সাদা লবণের বিশাল বিশাল স্তরে ছোট্ট ছোট্ট জলাধার। সেগুলোতে আবার মানুষ আগে ঘটা করে গোসলও করতে যেত। তারা বিশ্বাস করত ওখানে গোসল করলে শরীর ভালো থাকে। এখনও বিষয়টি অনেকেই বিশ্বাস করে। তবে এখন আর ওখানে কেউ গোসল করতে পারে না। কারণ পরিবেশ দূষণ রুখতে তুরস্ক সরকার লেকগুলোতে দর্শনার্থীদের গোসল নিষিদ্ধ করেছে। ছোট লেকগুলোর যেন কোন ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক নজর রাখা হয়।

এই লেকগুলো প্রায় ২০ লাখ বছরের পুরনো। তুরস্ক ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। বহু বছর আগে এখানে একটা বড় রকমের ভূমিকম্পে মাটিতে অনেক ফাটল সৃষ্টি হয়েছিল। আর তখন সেখান দিয়ে মাটির নিচের ক্যালসিয়াম কার্বনেটে ভর্তি গরম পানি বেরিয়ে এসে উপরে জমা হতে লাগল। কিন্তু পানি গরম হলে তো বাষ্প হয়ে যায়। সেই পানিও বাষ্প হয়ে গেল। থেকে গেল শুধু ক্যালসিয়াম কার্বনেট। ক্যালসিয়াম কার্বনেট হল এক ধরনের লবণ। সেই লবণগুলো জমে জমে তৈরি হল লেকগুলোর কাঠামো। আর তারপর সেগুলো যখন শক্ত হয়ে গেল তখন সেখানে বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হল এই আজব লেকগুলো। আপনি তুরস্কে গেলে এই লেকগুলো দেখতে ভুলবেন না।

আরও জানতে এই ভিডিও লিংকে ক্লিক করুন-

https://www.youtube.com/watch?v=sk9sXOb0Zsw

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যেখানে জীবন বিক্রি হয় নিলামে

নিলামে হীরার আংটি, পুরনো ঘড়ি, দুর্লভ শিল্পকর্মসহ কত কিছুই না বিক্রি হয়। কিন্তু নিলামে যে মানুষ বিক্রি হয়- এমন খবর শুনলে হতবাক হতে হয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে।

বুধবার একটি ভিডিও সিএনএন প্রকাশ করা হয়েছে যাতে দেখা যায়, নিলাম পরিচালনাকারী ৮০০, ৯০০, ১০০০, ১১০০ হাঁকছেন। দুই জন মানুষকে বিক্রি করতেই এই নিলাম ডাকা। সেই দুই জনের পরিচয় এখনো বের করতে পারেনি সিএনএন। নাইজেরিয়ার এক ব্যক্তি ফোনে ভিডিওটি ধারণ করেন। নিলামকারী ‘বড় এবং শক্তিশালী যুবকদের’ একজনকে তার কাছে বিক্রিও করতে চেয়েছিল।

লিবিয়াতে চলছে এই নিলাম। সিএনএন বিক্রি হওয়া দুই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত এবং কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরা ২৭৫ কোটি টাকায় বিক্রি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরের নিলামে উঠল ২৭৫ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। হীরা বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশার থেকে যা প্রায় ১০০ কোটি টাকা কম।
১৬৩ ক্যারটের হীরার মূল্য হীরা বিশেষজ্ঞদের মতে আরও বেশি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২৭৫ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয় এই হীরা।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে এই হীরের নিলাম হয়। এই হীরাকে আর্ট অব গ্রিসোগোনো বলা হয়। ক্রিস্টি অটাম জুয়েল অকশনে এর নিলাম হয়।

ক্রিস্টি ইন্টারন্যাশনাল জুয়েলস ডিভিশনের প্রধান রাহুল কাডাকিয়া জানান, ডি কালার-এর এই হীরার রেকর্ড মূল্য ২৭৫ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ওঠে।

হীরার মধ্যে সবচয়ে উচ্চমানের বলে মনে করা হয় এই ডি গ্রেডেকর হীরাকে। এটি খুবই কম পাওয়া যায়। ২০১৬ সালে আঙ্গোলায় ৪০৪ ক্যারেটের রাফ রক থেকে এই হীরাকে তৈরি করা হয়েছিল।
-ডেইলি মেইল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জিম্বাবুয়েতে সামরিক অভ্যুত্থানে আটক মুগাবে, নানগাগবা প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক : ক্ষমতা নেওয়ার পর জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট বুগাবে ও তার স্ত্রী গ্রেসকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি বহিষ্কৃত ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগবাকে।
আজ দুপুরে ক্ষমতাসীন জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন-প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্টের (জানু-পিএফ) ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর প্রকাশ করেছে।
এদিকে ৩৭ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট মুগাবের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে কোনো শব্দ উচ্চারণ করেনি সেনারা। সরকারের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। এর আগে জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জিম্বাবুয়ে ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (জেডবিসি) দেশটির সেনা সদস্যরা দখলে নিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জমি দখলকে কেন্দ্র করে চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজামসহ ৪৫ জনের নামে মামলা

আসাদুজ্জামান : বিরোধপূর্ণ জমি দখল নিতে প্রতিপক্ষের পাঁচটি দোকানে ভাঙচুর, নগদ টাকাসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট ও চারজনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইনসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে। আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের আমিনউদ্দিন সরদারের ছেলে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে কালিগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যানের দু’ ছেলে, ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম ও পল্লী চিকিৎসক অশোক রায়কে বিবাদী করে গত ২৭ এপ্রিল আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের আমিনউদ্দিন সরদারের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে কালিগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে দেওয়ানী মিস-৩৭/১৭ নং মামলা(আমানত) করেন। রেজাউল ইসলাম ও তার তিন ভাইয়ের ক্রয় করা ওই জমিতে (কালিবাড়ি বাজারে) পাঁচটি দোকান ছিল। গত সোমবার সন্ধ্যায় জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়ে চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন, ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুমসহ আটজন জনপ্রতিনিধি আনুমানিক রাত সাড়ে সাতটার দিকে তারা মোটর সাইকেল বহর নিয়ে চম্পাফুল কালিবাড়ি বাজারে পৌঁছালে চেয়ারম্যান মোজামের নির্দেশে আশিকুল গাইন, আরিফুল গাইন, আব্দুল কাউয়ুম, মোনায়েম হোসেন ও কবীর হোসেনসহ ৫০/৬০ জন তানভির হোসেনের দোকানে হামলা চালায়। এ সময় তারা নগদ ৬০ হাজার টাকাসহ আড়াই লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এতে বাধা দেওয়ায় তানভিরসহ চারজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়। পওে হামলাকারিরা আরো চারটি দোকান ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুবীর দত্ত জানান, দোকানঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও মারপিটের অভিযোগে আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে হুকুমদাতা চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজামম্মেল হক গাইনকে প্রধান আসামী করে ৪৫ জনের নাম মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং-৩৭।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তাবলিগ জামাতে ফের অস্থিরতা

তাবলিগ জামাতে ফের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই প্রভাব-প্রতিপত্তি ও আর্থিক অনিয়ম নিয়ে এই অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে তাবলিগের দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর আগামী ইজতেমায় বাংলাদেশে আসার বিষয়টি। তাকে ঠেকাতে মাঠে নেমেছে হেফাজতে ইসলামসহ কওমি আলেমরা। আর এসব দ্বন্দ্বে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে হাতাহাতি ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

তাবলিগ সূত্রে জানা গেছে, তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এ দ্বন্দ্বে আগেও একাধিকবার মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। বাংলাদেশে তাবলিগের ফায়সালের (আমির) দায়িত্ব পালন করছেন সাত জন। তাদের মধ্যে সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম ‘তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ’র একজন মজলিসে শুরা সদস্য এবং ফায়সাল (আমির)।সৈয়দ ওয়াসিফের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন তাবলিগের প্রবীণ দায়িত্বশীল মুরুব্বি অধ্যাপক মুশফিক আহমেদ ও তার অনুসারীরা। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে অধ্যাপক মুশফিক আহমেদের মৃত্যুর পর কোণঠাসা হয়ে পড়েন তার অনুসারীরা।

সূত্র জানায়, বিশ্বজুড়ে তাবলিগ জামাতের মারকায (মূল কেন্দ্র) ভারতে দিল্লির নিজামুদ্দিনে, যা নিজামুদ্দিন মারকায নামে পরিচিত। সেই মারকাযের অন্যতম ব্যক্তি মাওলানা সাদ কান্ধলভী। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তার বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ভারতের ‘দারুল উলুম দেওবন্দ’ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায়। দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম নোমানিসহ শীর্ষ আলেমরা বিবৃতি দিয়ে মাওলানা সাদের বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। সে সময় চাপে পড়ে মাওলানা সাদ তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

মাওলানা সাদ আলেমদের অর্থের বিনিময়ে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার বিরোধিতা করে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। এছাড়া, তিনি ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল ফোন পকেটে রেখে নামাজ হয় না বলেও মন্তব্য করেন, যা সমালোচিত হয়।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশে তাবলিগের ফায়সালের মধ্যে মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের, মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা ওমর ফারুক আগামী ইজতেমায় মাওলানা সাদের বাংলাদেশে আগমনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাকে বাংলাদেশে আসতে দিতে নারাজ হেফাজতে ইসলামসহ কওমিপন্থী আলেমরাও। গত ১১ নভেম্বর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের আয়েশা মসজিদে এ ইস্যুতে একটি সভা হয়। সেখানে হেফাজতপন্থী আলেমরা অংশ নেন। সভায় হেফাজতপন্থী আলেমরা মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকায় তাবলিগ জামাতের কাকরাইল মারকাযে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাবলিগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে কাকরাইল মসজিদে অবস্থিত মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলামসহ বেশ কয়েকজন মুরুব্বির রুমের জানালা ভাংচুর করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

দুপুর ২টার দিকে তাবলিগ জামাতের শুরা সদস্যরা বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ভবিষ্যতে কাকরাইল মসজিদের যেকোনও সভায় শুরা সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা চূড়ান্ত হবে। সম্প্রতি যেসব বিষয় নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে, সেসবের সমাধানও এভাবেই করা হবে। কাকরাইল মসজিদের মাদ্রাসার ছাত্ররা উত্তর দিকেই অবস্থান করবেন, তারা দক্ষিণ দিকে আসবেন না।

বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, তাবলিগের কার্যক্রমে কেউ কোনও অস্ত্র নিয়ে আসতে পারবেন না। কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি অতিথি আগমনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

বৈঠকের এই সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করে স্বাক্ষর করেন মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের, সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম, মাওলানা রবিউল হক, খান মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন নাসিম, মাওলানা ওমর ফারুক, মোহাম্মদ মোশাররফ, মোহাম্মদ হোসাইন।

এ প্রসঙ্গে কাকরাইল মসজিদের দায়িত্বশীল এক মুরুব্বি বলেন, মিথ্যা প্রচারণা করে মাদ্রসার ছাত্রদের ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছিল। সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলামের এক সময়ের অনুসারী তাবলিগকর্মী মাহফুজুল হান্নান মিথ্যে প্রচারণা চালিয়ে ওয়াসিফের বিরুদ্ধে ছাত্রদের উস্কে দেন। মাহফুজুল হান্নান কাকরাইল মারকায মসজিদের দায়িত্বশীল কেউ না হলেও তার প্রভাব বেশি।

এ প্রসঙ্গে সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলামের ছেলে মাওলানা ওসামা ইসলাম বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। তবে আজ  (মঙ্গলবার) শুরা সদস্যরা বৈঠক করেছেন। ভবিষ্যতে কাকরাইল মসজিদের যেকোনও সভায় শুরা সদস্যদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন। আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি অতিথি আগমনের বিষয়েও বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হবে সেটি কার্যকর হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest