সর্বশেষ সংবাদ-
চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

জাপান দিয়ে ট্রাম্পের দীর্ঘ এশিয়া সফর শুরু

জাপান সফরের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ১২ দিনের এশিয়া সফর শুরু করেছেন। তাঁর সময়ে তো বটেই, গত ২৫ বছরের মধ্যে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এটি দীর্ঘতম এশিয়া সফর।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থকে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের এই সফর ১১ দিনের জন্যই নির্ধারিত ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সম্মেলনে যোগদানের জন্য সফরে আরো একদিন যোগ করা হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ সফর নিয়ে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যেমন ব্যাপক আগ্রহ আছে, ঠিক তেমনি সফর নিয়ে নানা সমীকরণ মেলাতেও ব্যস্ত রয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর সফরে চীন ও ভিয়েতনামের মতো দুটি কমিউনিস্টশাসিত দেশ ছাড়াও ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ও ফিলিপাইন সফর করবেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপানের উদ্দেশে উড়ালের আগে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঙ্গরাজ্য হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে যান। সেখানে তিনি সামরিক কমান্ডের একটি ব্রিফিংয়ে অংশ নেন। পরে স্থানীয় সময় শনিবার তিনি পার্ল হারবারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪১ সালে জাপানি বোমা হামলায় নিহত সেনাদের স্মরণে নির্মিত অ্যারিজোনা মেমোরিয়াল পরিদর্শন করে শ্রদ্ধা জানান।

পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেখান থেকেই জাপানের উদ্দেশে রওনা দেন। স্থানীয় সময় দুপুরে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বহনকারী বিশেষ বিমান রাজধানী টোকিওর পশ্চিমে ইয়োকোতা মার্কিন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।

বিমানে ভ্রমণের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই সফরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা হবে—এমনটাই তিনি আশা করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, পুতিন উত্তর কোরিয়াকে বোঝাতে সক্ষম হবেন।

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধকরণ, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে কোরীয় উপদ্বীপে প্রবল উত্তেজনার মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপান দিয়ে তাঁর সফর শুরু করেছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে এশিয়ার দিকে যাত্রা শুরু করেন ট্রাম্প। পুরো সফরটিতে ট্রাম্পের সঙ্গে থাকছেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প।

বিবিসির খবরে বলা হয়, এশিয়া সফরের মাধ্যমে বন্ধু দেশ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরো উন্নত করবেন ট্রাম্প। পাশাপাশি অস্ত্র সমৃদ্ধকরণে উত্তর কোরিয়ার বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে চাপ দেবেন আঞ্চলিক পরাশক্তি চীনকে।

এশিয়া সফরে ট্রাম্পের কর্মসূচি

৫ নভেম্বর : সফরের প্রথম দেশ জাপানে প্রবেশ করবেন ট্রাম্প। সেখানে পৌঁছে প্রথমেই মন দেবেন গলফ খেলায়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও পেশাদার গলফ খেলোয়াড় হাইদেকি মাৎসুইয়ামার সঙ্গে মাঠে থাকবেন বেশ কিছুক্ষণ। তারপর আবের সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন ট্রাম্প।

৭ নভেম্বর : এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর্মসূচি থাকবে দক্ষিণ কোরিয়ায়। আলোচনা করবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সঙ্গে। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টও পরিদর্শন করবেন ট্রাম্প।

৮ নভেম্বর : সফরের তৃতীয় দেশ চীনে পা রাখবেন ট্রাম্প। সেখানে বেশ কয়েকটি বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। আলোচনায় বসবেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে।

১০ নভেম্বর : চীন ভ্রমণের পর ট্রাম্প এদিন পৌঁছাবেন ভিয়েতনামে। দেশটির দানাং শহরে অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে অংশ নেবেন তিনি।

১১ নভেম্বর : দানাং থেকে ট্রাম্প ভিয়েতনামের রাজধানী হানোই শহরে যাবেন। আলোচনায় বসবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রান দাই কুয়াং ও অন্য নেতাদের সঙ্গে।

১২ নভেম্বর : সফরের শেষ দেশ হিসেবে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় প্রবেশ করবেন ট্রাম্প। সেখানে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশসন (আসিয়ান) ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক গালা ডিনারে অংশ নেবেন।

১৩ নভেম্বর : ম্যানিলায় আসিয়ানের সম্মেলনে অংশ নেবেন ট্রাম্প। এরপর ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পের এশিয়া সফর শেষ হবে।

এর আগে ১৯৯১ ও ১৯৯২ সাল মিলিয়ে এমন দীর্ঘ সময় নিয়ে এশিয়া সফরে যান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। তবে সেবার জাপানে একটি ভোজ চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন বুশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৌদিতে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ১১ রাজপুত্র, ৪ মন্ত্রী আটক

অনলাইন ডেস্ক : সৌদি আরবে ১১ রাজপুত্র, চারজন বর্তমান মন্ত্রী ও বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীকে আটক করেছে নবগঠিত দুর্নীতিবিরোধী একটি কমিটি।

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাজ ফরমান জারি করে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে নতুন এই কমিটি গঠিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ব্যক্তিকে আটক করা হলো।

আটক ব্যক্তিদের নাম জানা যায়নি।

বিবিসির নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিবেদক ফ্রাঙ্ক গার্ডনার জানান, সংস্কার কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গে নিজের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করছেন যুবরাজ মোহাম্মদ।

আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আছে কি না, সে বিষয়ে জানা যায়নি। তবে সৌদি আরবভিত্তিক টেলিভিশন আল-আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, জেদ্দায় ২০০৯ সালের বন্যা এবং ২০১২ সালে সৌদিজুড়ে মার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে নবগঠিত কমিটি।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) খবরে বলা হয়, দুর্নীতিবিরোধী নতুন কমিটি যে কারো বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং কোনো ব্যক্তির ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে।

এদিকে সৌদি আরবের ন্যাশনাল গার্ড ও নৌবাহিনীর প্রধানকে সরিয়ে নতুন মুখ আনা হয়েছে।

এসপিএ জানায়, ন্যাশনাল গার্ডবিষয়ক মন্ত্রী রাজপুত্র মিতেব বিন আবদুল্লাহ এবং নৌবাহিনীর কমান্ডার অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহ বিন সুলতান বিন মোহাম্মদ আল-সুলতানকে বরখাস্ত করেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ আল সৌদ।

এ দুজনের বরখাস্তের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সক্রেটিস নির্দোষ, মৃত্যুর ২৪১৫ বছর পরে রায় দিল আদালত

গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস। খ্রিস্টপূর্ব ৪৭০ সালে গ্রিসের এথেন্সে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
তরুণদের ভুলপথে চালিত করা, ধর্মের অপব্যাখ্যা এবং দুর্নীতিকে প্রশয় দেওয়ার মতো অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। বছরের পর বছর জেল খাটার পরে অনেকেই বেকসুর খালাস পান। ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পরেও অপরাধী প্রকৃত দোষী কি না, তা নিয়ে তর্ক চলতেই থাকে। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার প্রায় ২৪১৫ বছর পরে কেউ যদি নির্দোষ প্রমাণিত হন? চমকে উঠছেন তো? তাহলে সাজাপ্রাপ্তের নামেও আরও বড় চমক রয়েছে। কারণ মৃত্যুদণ্ডের ২৪১৫ বছর পরে গ্রিসের একটি আদালত জানাল, সক্রেটিস নির্দোষ ছিলেন।

সক্রেটিস এমন এক দার্শনিক চিন্তাধারার জন্ম দিয়েছিলেন, যা দীর্ঘ ২০০০ বছর ধরে পশ্চিমী সংস্কৃতি, দর্শন ও সভ্যতাকে প্রভাবিত করেছে। কিন্তু প্রাচীন গ্রিসের শাসকরা সক্রেটিসের তত্ত্বগুলিকে মানতে চায়নি।

এথেন্সের তৎকালীন আরাধ্য দেবতাদের নিয়ে প্রকাশ্যেই প্রশ্ন তুলেছিলেন সক্রেটিস। তাঁর বিরুদ্ধে অত্যাচারী শাসকদের সমর্থনেরও অভিযোগ আনা হয়েছিল।
যদিও বলা হয় যে, সক্রেটিস নির্দোষ হলেও মুখ বুজে বিচারকদের রায় মেনে নিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে পালানোর সুযোগ পেলেও এথেন্স ছেড়ে যাননি তিনি।

তাছাড়া, তরুণদের বিপথে নিয়ে যাওয়া, নতুন দেবদেবীদের সম্পর্কে প্রচার করা-সহ সক্রেটিসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর স্বপক্ষে আদালতে কোনও যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ বিচারপর্বে তুলে ধরা যায়নি বলেই অভিযোগ ওঠে।

হেমলক বিষপান করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ মাথা পেতে নিয়েছিলেন সক্রেটিস। তিনি সত্যিই দোষী ছিলেন কি না, সেই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য এথেন্সের ওনাসিস ফাউন্ডেশনের একটি আদালতে ফের নতুন করে বিচারব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বিচারেই সক্রেটিসকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে রায় দিয়েছে ওই আদালত।

সক্রেটিসের সমর্থনে তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘‘কোনো ব্যক্তির অভিমত অপরাধ হতে পারে না। সক্রেটিস সত্যের সন্ধান করতেন। আর তা করতে গিয়েই তিনি তাঁর নিজস্ব মত তুলে ধরতেন। তবে আমার মক্কেলের একটাই দোষ, তিনি উস্কানিমূলক কথা বলে মানুষকে খ্যাপাতেন। আর সবসময় বাঁকা বাঁকা কথা বলতেন। যেমন- তিনি বলতেন, ‘দেখাও তোমাদের গণতন্ত্র কতটুকু খাঁটি ও বিশ্বাসযোগ্য’ ইত্যাদি। ’’ কিন্তু তিনি আরও বলেন যে সাধারণ মামলাকে জটিল করার জন্য মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দেওয়াটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ’’

সক্রেটিসের হয়ে এই মামলায় ফ্রান্সের এই বিখ্যাত আইনজীবী সওয়াল করেন। উল্টোদিকে গ্রিস-সহ বেশ কয়েকটি দেশের আইনজীবীরা সক্রেটিসের বিরোধিতা করেন। এই মামলার বিচারের জন্য আমেরিকা ও ইউরোপীয় বিচারকদের সমন্বয়ে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়। দীর্ঘ বাদানুবাদের পরে সক্রেটিসের আইনজীবীর যুক্তিতেই সিলমোহর দেন বিচারকরা। গত বছর নিউইয়র্কের একটি আদালতেও সক্রেটিস নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন ২৫ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন আগামী ২৫ নভেম্বর। শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে একথা জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। কমিটির শীর্ষ নেতাদের অনেকেই বিবাহিত এবং কেউ কেউ সন্তানের পিতাও হয়েছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে অনেক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো ওই পত্রে বলা হয়েছে- “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যে, সাতক্ষীরা জেলা শাখাকে আরও গতিশীল ও বেগবান করার লক্ষ্যে আগামী ২৫ নভেম্বর ২০১৭, শনিবার, সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। অতএব আগামী ২৫ নভেম্বর ২০১৭, শনিবার, সাতক্ষীরা সম্মেলনের সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ ও সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
একটি কান্দিতে-ই ৬৪৩ টি সুপারি!!

নিজস্ব প্রতিনিধি : একটি কান্দিতে-ই ৬৪৩ টি সুপারি!! সাধারণত: এমন বিরল দৃশ্য দেখা যায় না। সচারচার সুপারি গাছের একেকটি কান্দিতে ২’শ থেকে ৩’শ সুপারি হয়। কিন্তু ৬শতাধিক সুপারি তাও আবার এক কান্দিতেই।
হ্যা, উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের ডা.আমিরুল ইসলামের বসত বাড়ির একটি সুপারি গাছের একটি কান্দিতেই এরূপ দেখা গেলো। আর সেই কান্দিসহ সুপারি দেখতে অনেকে ভিড়ও করেন, তোলেন ছবিও।
কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া বাজারের বিশিষ্ট পল্লী চিকিৎসক ডা.আমিরুল ইসলাম। চন্দনপুর গ্রামে আলহাজ্ব আমানত আলী মন্ডলের ছেলে তিনি। বসত বাড়ির বিভিন্ন মৌসুমী ফলের গাছ-গাছালির দেখভাল ও যতœ করেন নিজ সন্তানের মতোই। এমনই একটি সুপারী গাছের একটি মাত্র কান্দিতে সুপারি ধরেছে ৬৪৩টি। আরো কিছু সুপারি ঝরে গিয়েছে- এমনটাই জানালেন গাছটির মালিক ডা.আমিরুল ইসলাম।
তিনি জানান- ‘সাধারণত একেকটি বা প্রতিটি কান্দিতে ২শত থেকে ৩শত সুপারি ধরে। তবে একটিমাত্র কান্দিতে-ই এতগুলো সুপারি একসাথে ফলন হওয়া বিরল ও ব্যতিক্রমী। শুধু তাই নয়, অন্য গাছের সুপারির চেয়ে এই সুপারিগুলো বেশ বড় বা মোটা বা স্বাস্থ্যবান।’
সুপারি গাছের একটি ছোট ডালকে কান্দি বা খান্দি বলা হয়ে থাকে স্থানীয় ভাষায়।
শনিবার বিকেলে কান্দিসহ সুপারি গয়ড়া বাজারে নিয়ে আসলে অনেকেই তা দেখতে ভিড় করেন আমিরুল ডাক্তারের দোকানে। পরে স্থানীয় আরেক ব্যবসায়ী আকবর আলী কান্দিসহ সুপারিগুলো ক্রয় করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ধুলিহর ছাত্রলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

ধুলিহর প্রতিনিধি : সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উদ্যোগে শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকালে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ। প্রধান বক্তা ছিলেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ আহসান হাবিব লিমু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল ও সদর উপজেলা আ’লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক স,ম জালাল উদ্দিন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফিংড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হেদায়েত উল্যাহ রানা, ধুলিহর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের জয়নুল আবেদীন, প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, সাদ্দাম হোসেন, মিয়ারাজ হোসেন, সালমান, অনিক, ইমরান, ডালিম, হুমায়ন, রাসেল, সুমন, মিজানুর রহমান, সুবজ হোসেন, রুবেল, কামরুল, রুহুল আমিন নয়ন, মোস্তাকিম হোসেন, মাসুদ রানা, রমিজ, মামুন হোসেন, ইয়াছিন, রবিউল ইসলাম, আরাফাত হোসেন বাবু, সুব্রত প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ধুলিহর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাছানুর জামান। বর্ধিত সভায় অছাত্র, সংগঠন গতিশীল, ধুলিহর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নিয়ে বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্র ও উস্কানি ও আগামী সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা- তুলে ধরে এলাকায় প্রচার করাসহ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিপিএল অভিষেকেই সিলেট সিক্সারসের জয়

লক্ষ্যমাত্রাটা খুব বড় ছিল না। ১৩৭ রান করে জেতাটা খুব কঠিন কিছু নয়। তারপরও ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের প্রত্যাশা নিশ্চয়ই ছিল তাঁর বোলারদের ওপর আদিল রশিদ, সাকলাইন সজীব, মোহাম্মদ শহীদ ও তিনি নিজে—বোলিং শক্তিটা তো হেলাফেলার ছিল না তাঁদের। কিন্তু ঘরের মাঠে সিলেটের দুই ওপেনার রীতিমতো অপ্রতিরোধ্যই হয়ে উঠলেন। উপুল থারাঙ্গা ও আন্দ্রে ফ্লেচারের ১২৫ রানের জুটি ম্যাচটাকে একেবারেই একপেশে বানিয়ে দিয়েছে। বিপিএলের পঞ্চম আসরের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আর বিপিএলের অভিষেকেই বাজিমাত করল সিলেট সিক্সারস।

১৩৭ রানের লক্ষ্যে এই দুই ওপেনারের কৌশলটাও ছিল দারুণ। ব্যাটকে খড়্গ বানিয়ে কচুকাটা করেছেন ফ্লেচার। আর ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে একটু একটু করে সাকিব-রশিদদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন থারাঙ্গা। জয় থেকে মাত্র ১২ রান দূরে থাকতে ৬৩ রান করা ফ্লেচারকে ফিরিয়েছেন লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। সাব্বির রহমানকে নিয়ে বাকি পথ নিশ্চিন্তে পাড়ি দিয়েছেন এই লঙ্কান ব্যাটসম্যান। অপরাজিত ছিলেন ৬৯ রানে।
এর আগে স্বাগতিকদের বোলিং নৈপুণ্যে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাঙ্গাকারা আর এভিন লুইসই, যা একটু প্রতিরোধ গড়েছিলেন। ৫৪ রানের জুটি গড়ে নাসির হোসেনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন লুইস, আউট হয়েছেন ২৬ রানে। দুই ওভার পর বল হাতে নিয়ে পথের কাঁটা হয়ে থাকা সাঙ্গাকে ৩২ রানেই থামিয়েছেন প্লাঙ্কেট। কাইরন পোলার্ডের সঙ্গে সাকিবের ২২ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু আবুল হাসানকে তুলে মারতে গিয়ে হাত থেকে ব্যাট ছুটে গিয়েছিল পোলার্ডের, বাউন্ডারিতে ক্যাচ ধরেছেন সেই নাসির হোসেনই। এরপর বাউন্ডারি বের করতে গিয়ে সাব্বিরের ক্যাচ হয়ে আউট হয়েছেন জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, করেছেন ২৩ রান।
ইনিংসে সিলেটের সেরা বোলার অধিনায়ক নাসির। ৪ ওভার বোলিং করে ২১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। পাওয়ার প্লেতে বোলিং করেও দিয়েছেন ১৪টি ডট বল। প্রায় একই বোলিং ফিগার প্লাঙ্কেটের। তাঁর ডট বল ১০টি, দিয়েছেন ২০ রান। ২ উইকেট নিয়েছেন আবুল হাসানও। পুরো ইনিংসে মাত্র ১২টি বাউন্ডারি হয়েছে সিলেট সিক্সারসের বিপক্ষে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে টানা ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : অপহরণ করে বিয়ের নামে ভূয়া কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শিমুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে(১৪) টানা ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রী নিজেই বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামি করে ২ নভেম্বর সাতক্ষীরা নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, দেবহাটা থানার গোবরাখালি গ্রামের সামাদ মোল্লার ছেলে মোস্তাকিম হোসেন (২১), মোস্তাকিমের চাচা বেলায়েত মোল্লাা ও চাচাতো ভাই আব্দুর রাজ্জাক।
স্কুলছাত্রী বলেন, ‘গত ২৬ অক্টোবর বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় মুখে রুমাল দিয়ে মুস্তাকিম ও তার সহযোগীরা আমাকে অজ্ঞান করে একটি মাইক্রোবাস যোগে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে আমাকে নেওয়া হয় যশোর। সেখানে যেয়ে আমাকে এক হুজুরের কাছে নিয়ে লাল রং এর একটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং বলে আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে। এরপর আমি কান্নাকাটি শুরু করলে সে আমাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যেয়ে আমাকে একটি হোটেলে রাখে। আমার উপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন।
ছাত্রীর নানা আলাউদ্দীন গাইন বলেন, ‘মেয়েটি ছোটবেলা থেকে আমার কাছে মানুষ। আমাদের কাছে থেকে সে লেখাপড়া করে। ঘটনার দিন আমরা তাকে অনেক খোজাখুজি করেছি। শেষবেশ না পেয়ে আমরা দেবহাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। গত ৩১ নভেম্বর আমার নাতনিকে গোবরা খালী গ্রামের দবির সানার ছেলে শফিকুলের বাড়িতে রাখে। পরবর্তীতে শফিকুল আসামীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে নিতে বলে। গত ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আমার নাতনিকে আমাদের হাতে তুলে দেয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘ছোট মেয়ে। সে কিছুই বোঝে না। তাকে ৫ দিন ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। আমার ভাগ্নে বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরবর্তীতে সকল ভীতি উপেক্ষা করে সাতক্ষীরা আদালতে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। এ দিকে মামলা করায় অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামি শফিকুল ও তার সহযোগীরা আমাদেরকে মামলা তুলে নিতে উপর্যুপুরী হুমকি ধামকি দিচ্ছে।’
তবে শফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেয়নি এবং কোন প্রকার হুমকি ধামকি দিচ্ছি না।’
এ ব্যাপারে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী কামাল হোসেন বলেন, ‘একটি মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে এমন অভিযোগে একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছিলো। পরবর্তীতে মেয়ের বয়স কম থাকায় তাকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয় নি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest