সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মশালা  সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্নকলারোয়ায় মাছ ধরতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না কিশোর নয়নেরসাতক্ষীরায় পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনবৃত্তি উৎসবের নামে সাতক্ষীরায় চলছে কোচিং সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনাসাতক্ষীরায়পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার চেক হস্তান্তরসাতক্ষীরায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে হেলমেট বিতরণসাতক্ষীরার প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় যুব সমাজের দাবি আশাশুনি উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়কের পিতার দাফন দুই মেয়ের পর আবারো মেয়ের জন্ম :  ৫দিনের কন্যাশিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা- মা আটক

ভোমরা স্থলবন্দর কোয়ারেইনটেন্ড অফিসে কৃষি ও খাদ্যজাতীয় পণ্য টেস্টের নামে দুর্নীতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক : আমদানিকৃত কৃষি ও খাদ্যজাতীয় পণ্য টেস্টের নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ভোমরাস্থল বন্দরের কোয়ারেইনটেন্ড’র অফিসের হেড ক্লার্ক জাহিদের বিরুদ্ধে। দাবিকৃত টাকা না দিলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্দরের একাধিক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে আমদানিকৃত পিয়াজ, আদা, ফল, চাউল, গমসহ খাদ্যজাতীয় পণ্য কোয়ারেইনটেন্ড এর মাধ্যমে টেস্ট করার নির্দেশনা রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তাদের টেস্ট রিপোর্ট পাওয়ার পর উক্ত মামলা কাস্টম ছাড় করা হয়। সে অনুযায়ী কোয়ারেইনটেন্ড অফিসে আমদানিকৃত ওই পণ্যের টেস্ট করাতে গেলে হেড ক্লার্ক জাহিদের তোপের মুখে পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের। তবে তার চাহিদা মত টাকা দিলেই সহজে ছাড়পত্র দিয়ে দেন তিনি। তা না হলে বিভিন্ন অজুহাতে বিলম্ব করেন। এতে করে আমদানিকৃত ওইসব খাদ্য জাতীয় পন্য অনেক সময় নষ্ট হয়ে ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া সিএন্ডএফ কর্মচারীদের সাথে অমানবিক আচারণের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উক্ত খাদ্য জাতীয় পন্য বন্দরে প্রবেশের পর আমদানি কারকগণ ঢাকা অফিস থেকে আইপি করার পর উক্ত ছাড়পত্রের এক কপি ঢাকা অফিস ভোমরা অফিসে পাঠান এবং আমদানি কারকের কাছে এক কপি পাঠান। এরপর আমদানি কারকরা ওই কাগজপত্র স্থানীয় সিএন্ডএফ এজেন্টের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠান। যাতে করে উক্ত কাঁচামালগুলো দ্রুত ছাড় করানো যায়। সে অনুযায়ী সিএন্ডএফ এজেন্ট ওই কাগজপত্রগুলো প্রিন্ট করে কোয়ারেইনটেন্ড অফিসে নিয়ে গেলে হেড ক্লার্ক জাহিদ হাসান ই-মেইলে কোন কাগজ গ্রহণ করবেন না বলে ব্যবসায়ীদের জানান। এদিকে কুরিয়ারের মাধ্যমে ওই কাগজপত্র পাঠাতে গেলে সময় লাগে প্রায় ২/৩ দিন। এতে করে আমদানিকৃত পণ্যেগুলো নষ্ট হতে শুরু করে। তবে ক্লার্ক জাহিদ কে টাকা আর কোন কিছুই লাগে না।
তারা আরো জানান, উক্ত মালামাল ছাড় করানো জন্য কোন টাকা নেওয়া কথা না থাকলেও হেড ক্লার্ক জাহিদ বিল অব এন্ট্রি প্রতি ৩ থেকে ৪শ টাকা আদায় করেন। এছাড়া আইপি জটিলতা দেখিয়ে বিল অব এন্ট্রি প্রতি আদায় করেন ৭ থেকে ৮ শ টাকা। এসব টাকা না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে মালামাল ছাড় না করে তালবাহানা করতে থাকে। গড়ে দৈনিক প্রায় তার মাধ্যমে ৭৫ থেকে ৮০টি বিল অব এন্ট্রি হয়ে থাকে। আর এভাবেই হেড ক্লার্ক জাহিদ লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে নিজের পকেটস্থ করেন।
কোয়ারেইনটেন্ড’র ঢাকা হেড অফিসের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাকি জাহিদের নিকট আতœীয়। আর এ পরিচয় ব্যবহার করেই তিনি এসব অনিয়ম করে যাচ্ছেন তিনি।
অপরদিকে জাহিদের যথেচ্ছাচারের কারণে ব্যবসায়ীকভাবে চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বলে ভোমরাবন্দরের ভুক্তভোগী একাধিক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা জানান। ব্যবসায়ীর অবিলম্বে উক্ত জাহিদের হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এঘটনায় কোয়ারেইনটেন্ড অফিসের হেড ক্লার্ক জাহিদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের অফিসে কোন প্রকার টাকা পায়সা কিছুই লাগে না। ঢাকা অফিস থেকে কাগজপত্র পাওয়ার পর আমরা বৈধভাবে তাদের মালামালের ছাড় পত্র দেওয়া হয়। ঢাকা অফিস থেকে হার্ড কপি না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু করতে পারি না। এছাড়া ই-মেইলের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশে এটি চালু হয়নি। ইউরোপে হয়েছে। তাছাড়া সরকারের নিদের্শনাও রয়েছে হাতে হাতে কোন কাগজপত্র না নেওয়ার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হয়রানি

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের মধ্যম চাপড়ায় শত বছরের বসত ভিটা থেকে বারবার উচ্ছেদ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে অবশেষে হয়রানির উদ্দেশ্যে দুদুক(দুর্নীতি দমন কমিশন)-এ মিথ্যা অভিযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিন ঘুরে ও উল্লেখিত সম্পত্তির কাগজপত্র থেকে জানা গেছে, চাপড়া মৌজার সিএস ২৭০ দাগ নং ৬৮৭, ৮৩ শতক ট্রাষ্ট কৃত সম্পত্তি যাহা পিরোত্তর খানেখোদা, ভোগ দখলীয় সূত্রে মধ্য স্বত্ত্বাধিকারী চিরস্থায়ী বাস্তভিটা উল্লেখে খাদেম হিসাবে চাপড়া গ্রামের মালেক গাজীর পুত্র হাফিজুল ইসলাম গংদের নামে রেকর্ড হয়। উক্ত রেকর্ডে প্রত্যেকের অংশ মোতাবেক ভোগ দখলের অধিকার দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে হাফিজুল ইসলাম গং’রা দীর্ঘ কাল যাবত শান্তিপূর্ন পরিবেশে আংশিক জমি ঈদ গাহ এর জন্য, আংশিক কবরস্থান ও বাকি জমিতে বসত বাড়ি হিসাবে ভোগদখল ও তত্বাবধায়ন করে আসছে। হাফিজুর গংদের দাদাারা মারা গেলে ওয়ারেশ উত্তরাধীকারি হিসাবে তাদের পুত্ররা খাদেম হিসাবে তত্বাবধানসহ পর্যায় ক্রমে শত বছরের উর্দ্ধকাল যাবত ভোগদখল ও বসবাস করে আসছে। পরবর্তীতে এসএ রেকর্ড নিয়ম অনুযায়ী সিএস মালিকদের ওয়ারিশ পুত্র অর্থাৎ হাফিজুল গংদের পিতা চাচাদের নামে এসএ ৪২৪ নং খতিয়ানে রেকর্ড হয়। অতঃপর বর্তমান সেটেলমেন্টের জরিপে যথা নিয়মে ওয়রেশদের নামে রেকর্ড হয়। এমনকি ম্যাপ চিহ্নত হযে রেকর্ড প্রস্তুত হয়েছে। যেখানে কাগজ পত্রে কোন ভুলত্রুটি বা জালজালিয়াতির প্রমান পাওয়া যায়নি। এভাবে কোন সমস্যা ছাড়াই ঈদের নামাজ পড়ার স্থানে(ঈদ গাহ)শান্তিূপূণ ভাবে নামাজ সম্পন্ন হচ্ছে। কিন্তু গ্রামের গুটি কয়েক ব্যক্তি অহেতুক হয়রানি করার উদ্দেশ্যে গ্রামের কিছু মানুষের স্বাক্ষর জাল করে মধ্যম চাপড়া গ্রামের মৃত কওছার গোলদারের পুত্র আ. গফুর বাদি হয়ে দুদুক-এ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে হাফিজুল গংদের হয়রানি করে আসছে। মিথ্যা হয়রানির প্রতিকার চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যে রেস্তোরাঁয় পোশাক পরিধান নিষিদ্ধ!

সভ্য সমাজে পোশাক মানুষের সৌন্দর্য্য ও আবরণের বাহন। তাই প্রাচীনকাল থেকে ধীরে ধীরে সভ্যতার উৎকর্ষতার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্য এসেছে এই পোশাকে।

অনেক আগেই মানুষ নিজেকে প্রাচীন যুগের বন্য দশা থেকে নিয়ে গেছে সভ্যতা শীর্ষ চূড়ায়। আদিকালের মানুষের পোশাক-আশাকহীন সংস্কৃতি থেকে অনেক আগেই বেরিয়ে এসেছে। পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান জীবটি সভ্যতার ছোঁয়ায় পশুর চামড়া দিয়ে নিজেদের আবৃত করেছিল সেই আদি যুগে। আর সেই পথ ধরেই ধীরে ধীরে নিয়ে এসেছে পোশাকের আশাকের এই ধারণা।

বর্তমান সভ্য সমাজে এখন আর কেউ নগ্ন দেহে ঘুরে না। কিন্তু, সম্প্রতি প্যারিসে এমন একটি রেস্তোরাঁর কথা জানা গেছে, যেখানে ঢুকতে গেলে আপনাকে আবার সেই আদিম যুগের মতো পোশাকহীন হতে হবে। অন্যথায় প্রবেশের অনুমতিই মিলবে না সেখানে! যা কিনা বর্তমান সমাজে অনুপস্থিত।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইনডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্যারিসের ওই রেস্তোরাঁর নাম ‘ও নেচার’। একসঙ্গে ৪০ জনের খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এই রেস্তোরাঁয়। বাংলাদেশি টাকায় ওই রেস্তোরাঁয় খাবারের দাম শুরু জনপ্রতি ২৫০০ টাকা থেকে।

আর যখনই কেউ রেস্তোরাঁয় ঢুকবেন, তাকে নির্দিষ্ট জায়গায় জামা কাপড় খুলে ভিতরে আসতে হবে।

তবে রেস্তোরাঁর ভিতরের কীর্তিকলাপ বাইরের লোকের কাছে গোপনই থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্যারিস পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর শহর, যেখানে নগ্নতা মুক্তির প্রতীক। সে দেশের অনেকে জায়গাতেই নগ্নতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ন্যুড সি বিচ, ন্যুড পার্ক, ন্যুড পুল আগে থেকেই ছিল।

এবার নতুন সংযোজন হল ন্যুড রেস্টুরেন্ট। সূত্র: এবেলা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভিয়েতনামে টাইফুনের আঘাতে নিহত ৬৯

ভিয়েতনামে টাইফুন ডামরির আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ বলছে, অতি বর্ষণ ও বন্যায় এখনো লাখ খানেক বাড়িঘর জলাবদ্ধ।

এদিকে দুর্যোগ পরবর্তী এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দেশটিতে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (এপিইসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে। চীন হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেখানে আসার কথা।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার কান হোয়া প্রদেশের নিয়া চ্যাং শহরে টাইফুন আঘাত হানে। দুর্যোগের পরপরই দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে অভিযান শুরু করে দেশটির কর্তৃপক্ষ।  বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত দুর্যোগ মোকাবিলা টিম কাজ চলিয়ে যাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ত্বকের সব সমস্যা সমাধান করবে ফল!

ত্বককে ভাল রাখতে হলে আমাদের কি কি করা উচিত। ত্বককে ভাল রাখতে হলে সবার আগে আমাদের খাদ্যাভ্যাসে বদল আনতে হবে।

ত্বক এবং শরীরকে ভাল রাখতে হলে সবার আগে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার, ভাজাভুজি, অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, স্ন্যাক্স ইত্যাদি, সেই জায়গায় খাওয়া অভ্যাস করুন বেশ কিছু ফল। যা আপনার শরীর এবং ত্বক দুটোই যত্ন নেবে।

তো দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন ফল আমাদের ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে-

* পেঁপেঃ পেঁপে ত্বককে উজ্জ্বল এবং সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। আসলে পেঁপের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ অথবা বিটা ক্যারোটিন থাকে, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। আসলে পেঁপে দিয়ে নানারকম ওষুধ, সাবান, ক্লিঞ্জার, ক্রিম তৈরি করা হয়।

* আনারসঃ ব্রোমেলেইন হল একধরণের প্রদাহ বিরোধী উৎসেচক, যা মানবশরীরকে নানাভাবে উপকার করে। এই উৎসেচক ত্বকেরও দারুণভাবে উপকার করে। অনেকেই আনারসের রস মুখে ব্যবহার করে থাকেন, যার ফলে মরা কোষ পরিষ্কার হয়ে যায় এবং ত্বক উজ্জ্বলতা লাভ করে। আনারসের মধ্যে এছাড়াও আছে নানা রকমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র‍্যাডিকালের দ্বারা ত্বকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

* লেবুঃ লেবুর মধ্যে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে, এছাড়াও, ত্বকে কোনোরকম দাগ থাকলে তা দূর করতে পারে এবং লোমকূপের মুখ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে লেবুর রস। তাই তো পরিষ্কার ত্বক পেতে হলে, এক গ্লাস গরম জলে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন।

* কিউয়িঃ কিউয়ির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। কমলালেবুর মধ্যে যে পরিমাণ ভিটামিন থাকে,তার থেকেও অনেক বেশি থাকে এই ফলটির মধ্যে। প্রতি ১০০ গ্রাম কিউয়ির মধ্যে ৯৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থেকে। অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, যা ঠাণ্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা করে। একইসঙ্গে বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কিউই ত্বকের যত্নেও দারুণ কাজ দেয়।

* কলাঃ কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা ত্বককে আদ্র এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে যে কোনোরকম ত্বকের সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে। কলা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, বলিরেখা এবং ভাঁজ পরার হাত থেকে রক্ষা করে।

* অ্যাভোকাডোঃ অ্যাভোকাডোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণও। অ্যাভোকাডোর মধ্যে বায়োটিন বা ভিটামিন বি৭ উপস্থিত থাকে, যা কোষের উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়াও, চুল এবং নখের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকে ভিটামিন ই, যা ত্বককে যে কোনও রকম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

* আপেলঃ ত্বকের যত্নে আপেল খুবই উপাকারি। কারণ আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ম্যালিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। আপেলের মধ্যে আলফা হাইড্রোক্সিল অ্যাসিড পাওয়া যায়। ম্যালিক অ্যাসিড ত্বককে সুস্থ, উজ্জ্বল এবং তারুণ্যে ভরপুর করে রাখে। সেই সঙ্গে নতুনভাবে ত্বকের কোষ গঠনে সহায়তা করে। আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টি যোগায়, কোলোন পরিষ্কার করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এক হাজার শিশুর খাবার যোগাচ্ছেন ঐশ্বরিয়া রাই

সাবেক বিশ্ব সুন্দরী বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এই তো কিছুদিন হলো ৪৪ বছর বয়সে পা দিলেন। বচ্চন পরিবারের একমাত্র পুত্রবধু প্রত্যেক জন্মদিনে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসেন। এবারও এমনটার ব্যতিক্রম হয়নি। ৪৪তম জন্মদিনে তিনি উঠে আসলেন অন্য রূপে।

বলিউড সূত্র মতে, সাবেক বিশ্ব সুন্দরী বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন গত ১বছর ধরে এক হাজার শিশুর মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন। ইস্কন পরিচালিত অনমিত্র ফাউন্ডেশনের হয়েই ওই এক হাজার শিশুর মিড ডে মিলের খাবার যোগাচ্ছেন এই বলিউড অভিনেত্রী।

জানা যায়, মুম্বাইয়ে ৫০০ স্কুল ও পুরো মহারাষ্ট্রে ২০০০ স্কুলের মিড ডে মিলের যোগান দেয় অনমিত্র ফাউন্ডেশন।

আর ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই মুম্বাইয়ের এক হাজার শিক্ষার্থীর কাছে মিড ডে মিলের খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।

যদিও, বচ্চন পুত্রবধু এ বিষয়টি নিয়ে কখনো ক্যামেরার সামনে মুখ খোলেননি। তবে এ বছর তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিষয়টি প্রকাশ্যে উঠে আসে। সূত্র: ইন্ডিয়া ডটকম

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জিহাদি বইসহ জামায়াত নেতা আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর একাডেমি মসজিদের পাশ থেকে জিহাদি বইসহ এক জামায়াত নেতাকে আটক করেছে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ।
জামায়াত নেতার নাম কামরুজ্জামান শেখ(৪৫)। সে তালা উপজেলার খলিশখালী ইউনিয়নের মঙ্গলানন্দকাঠী গ্রামের আবু বকর শেখের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাতক্ষীরা সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের মুনজিতপুর এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মারুফ আহম্মেদের নেতৃত্বে পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক মোমরেজ ইসলাম, মোমিনুর রহমান সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে নাশকতার পরিকল্পনাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কামরুজ্জামান শেখকে আটক করা হয়। তিনি কয়েক বছর যাবৎ গোপনে শহরের মুনজিতপুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। এ সময় তার ওই ভাড়াবাড়ি তল্লাসী করে বিপুল পরিমান জিহাদী বই, পুস্তিকা এবং যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামী, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী ও আবু আলা মাওদাদীসহ বিভিন্ন লেখকের অসংখ্য বই উদ্ধার করা হয়। তাকে জিঙ্গাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ (বুধবার) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হৃদয়বিদারক এক দৃশ্য

মেয়েটির নাম তাহেরা। বয়স মাত্র ১০ বছর। এই বয়সেই রান্নার জ্বালানি সংগ্রহ করতে তাকে প্রায় ১ মাইল পথ পারি দিতে হয়েছে। কারণ তার বাবা-মা ও চার ভাইবোনের সবাই অসুস্থ। তাহেরা ছাড়া এ কাজ করার মতো আর কেউই নেই বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানায় সে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে অসংখ্য রোহিঙ্গা শিশু। তাদের কেউ কেউ আবার হয়ে পড়েছে পরিবার বিচ্ছিন্ন।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে অন্তত ১৪০০ শিশু তাদের পরিবারের একমাত্র অবলম্বন। যে কারণে শিশু হয়েও তাদের উপর দায়িত্বের বোঝাটা অনেক বড়।

একাধিক শিশু থাকায় অনেক রোহিঙ্গা পরিবারে দেখা গেছে একটি শিশুর কোলে আরেকটি শিশুকে। এই দৃশ্যকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক দৃশ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতি সংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফ।

সংস্থাটি তাদের ফেসবুক পেজে ছোট্ট যে রোহিঙ্গা শিশুটির কথা উল্লেখ করেছে, তার নাম আফিয়া। যার বয়স মাত্র ১০ বছর। সে ইউনিসেফ পরিচালিত পুষ্টি কেন্দ্রে এসেছে তার ১০-মাস বয়সী ছোটবোন রেশমাকে নিয়ে। চরম অপুষ্টি এবং চর্মরোগ-এর চিকিৎসার জন্য।

প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে সাথে সাথে ব্যবহার উপযোগী পুষ্টিবর্ধক খাবার খাওয়ার পর, আস্তে আস্তে ভালো হচ্ছে সে।

সেখানে কাজ করা সেবা সংস্থাগুলোর আশঙ্কা এই সব দায়িত্ব পালন করতে করতে তারা আরো বেশি অসুস্থতার শিকার হবে, এমনকি জড়িয়ে পড়তে পারে যৌনকর্মেও। অথবা শিকার হবে আবেগিক চাপের।

সেভ দ্য চিলড্রেনের মুখপাত্র রিক গভার্ডি সাংবাদিকদের বলেন, এই পরিস্থিতি শিশুশ্রম আরো বাড়িয়ে তুলবে। বাড়বে বাল্যবিবাহের হার। যা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।

মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের বেশিরভাগই অপুষ্টির শিকার। ইউনিসেফ প্রবলভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে, যেসব রোহিঙ্গা শিশুর শৈশব নষ্ট হয়ে গেছে, কোনোভাবেই যেন তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট না হয় সেই নিশ্চয়তা দিতে।

পরিবারের শিশুদের মধ্যে বড় হওয়ায় বয়সে ছোট শিশুটিকেও নিতে হচ্ছে বেশ কিছু দায়িত্ব। দূর থেকে পানি বয়ে আনা, ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়ানো অথবা নিজের শরীরের চেয়েও ভারী বস্তা বহন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিশুদের নিয়মিত চিত্র।

জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে এরই বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে অর্ধেকই শিশু। ভেসে আসা এসব শিশুদের জন্য শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করছে ইউনিসেফ। এমনকি নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানসিক সেবার দিকেও নজর দিচ্ছে ইউনিসেফ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest