সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভাসাতক্ষীরায় কায়পুত্র সম্প্রদায়ের ভ‚মি সংক্রান্ত বিষয়ে এ্যাডভোকেসি সভাবিএনপির কানাডা পশ্চিম শাখা শাখার সাধারণ সম্পাদক হলেন সাতক্ষীরার মুজিবর রহমানশ্যামনগর উপজেলায় নাগরিক প্লাটফর্মের সাথে যুব ফোরামের তথ্য বিনিময়সাতক্ষীরায় মরিচ্চাপ ফিস এন্ড ফিড এর উদ্বোধনশ্যামনগর উপজেলায় যুব ফোরামের ত্রৈমাসিক সভাদেবহাটায় আমাদের টিমের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

খুলনায় শিশু হাসমি হত্যা মামলায় মাসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

খুলনায় চাঞ্চল্যকর শিশু হাসমি মিয়া (৯) হত্যা মামলায় শিশুটির মাসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার বেলা ১১টার দিকে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা এ রায় দেন

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শিশু হাসমির মা সোনিয়া আক্তার, মো. নুরুন্নবী, মো. রসুল এবং মো. হাফিজুর রহমান। এই মামলার অপর আসামি রাব্বি সরদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।

মায়ের সঙ্গে অন্যকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় দেখে ফেলায় আড়ংঘাটা থানা এলাকার সরদারডাঙ্গা শহিদ হাতেম আহম্মেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র হাসমি মিয়াকে (৯) খুন করা হয়। মা সোনিয়া বেগমের সামনেই শিশুটিকে নৃশংসভাবে খুন করে তিন ঘাতক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালে মানিকতলার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খানের মেয়ে সোনিয়ার সঙ্গে মো. হাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। এর ৬ মাস পর হাফিজুর রহমান বিদেশে চলে যান। স্বামীর অনুপস্থিতিতে সোনিয়ার চলাফেরা উচ্ছৃঙ্খল হতে থাকে। তিনি একাধিক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। দেশে আসার পর বিষয়টি জানতে পারেন স্বামী হাফিজুর রহমান। এরপর তিনি স্ত্রীকে শোধরানোর চেষ্টা করেন কিন্তু ব্যর্থ হয়ে তালাক দেন স্ত্রীকে। হাসমি থেকে যায় বাবা সঙ্গে। হাসমিকে তার বাবার কাছ থেকে অপহরণ করে আনার জন্য নুরুন্নবী ও রসুলের সাথে ৫০০ টাকা ও অনৈতিক কাজের চুক্তি হয় সোনিয়ার।

২০১৬ সালের ৬ জুন রাত পৌনে ৯টার দিকে শিশু হাসমিকে অপহরণ নিয়ে করে তার মায়ের কাছে নিয়ে আসা হয়। এরপর চুক্তি অনুযায়ী সরদার ডাঙ্গা বাগানের (বাঁশ ঝাড়) মধ্যে পালাক্রমে অপহরণকারীরা সোনিয়ার সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। এ সময় শিশু হাসমি ঘটনা দেখে তার মাকে বলে ‘মা’ তুমি কি করতেছো আমি বাবাকে বলে দেব। এ ঘটনা বাইরে ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে পাষন্ডরা মা সোনিয়ার সামনেই শিশু হাসমিকে মুখ চেপে ধরে গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ গুমের জন্য ওই রাতেই সিমেন্টের বস্তায় ভরে খুলনা বাইপাস সড়ক সংলগ্ন সরদার ডাঙ্গা বিলের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। এরপর ৯ জুন সকালে খুলনা বাইপাস সড়ক সংলগ্ন সরদারডাঙ্গা বিলের মধ্যে থেকে সিমেন্টের বস্তাবন্দি অবস্থায় হাসমির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় সেদিনই হাসমির বাবা মো. হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মো. নুরুন্নবী, হাফিজুর রহমান, মো. রসুলের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে অপহরণের পর হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা আড়ংঘাটা থানা পুলিশের এসআই মো. মিজানুর রহমান একই বছরের ৩০ জুন এজাহারভুক্ত হাফিজুর রহমান ও আসাদ ফকিরকে বাদ দিয়ে সোনিয়া আক্তার, মো. নুরুন্নবী ও মো. রসুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই চার্জশিটের বিরুদ্ধে বাদীর নারাজি আবেদনের পর পুনরায় তদন্ত শেষে সিআইডির পরিদর্শক মিঠু রানী দাসি একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট গৃহীত হওয়ার পর মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। ২ এপ্রিল অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার চার্জশিটভুক্ত দুইজন আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। অভিযোগ গঠন হওয়া পাঁচজন আসামি হলেন- সোনিয়া আক্তার, মো. নুরুন্নবী, মো. রসুল, মো. হাফিজুর রহমান, ও রাব্বি সরদার। এছাড়া অব্যাহতি পাওয়া দুজন হলেন মো. জসিম খান ও মো. আসাদ ফকির।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধান বিচারপতির বিচার ও পদত্যাগের দাবিতে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের মানববন্ধন


নিজস্ব প্রতিবেদক : ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় এবং সংরক্ষিত সংসাদের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিচার ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধব অনুষ্ঠিত হয়। জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভানেত্রী এড. ফরিদা আক্তার বিউটির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জোসনা আরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের লায়লা পারভীন সেজুতি, মমতাজুন নাহার ঝরণা, তহমিনা ইসলাম মনি, সালেহা আক্তার, শাকিলা ইসলাম জুই, রওশন আরা রুবিসহ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের নের্তৃবৃন্দ। এসময় বক্তারা বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করে তারা পাকিস্তানের গুপ্তচর। যারা বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে অবমাননা করে তাদের এ দেশে থাকার অধিকার নেই। যারা নারীদের অবজ্ঞা করে তারা আর যাই হোক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে না। এসময় অবিলম্বে বিচারপ্রতি সুরেন্দ্র সিনহার পদত্যগ ও বিচার দাবি করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৮৪ রোগীকে হত্যা করেছেন এক নার্স!

জার্মানিতে দুই রোগীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া এক সেবিকা ৮৪টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, তারা এসব ব্যাপারে তদন্ত করে দেখছে। তাঁর নাম নিয়েলস এইচ।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ৪০ বছর বয়সী নিয়েলস ২০০৬ এবং ২০১৫ সালে দুটি হত্যাকাণ্ডের জন্য আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তিনি একটি হাসপাতালে ওই ভুক্তভোগীদের প্রাণঘাতী ওষুধ দিয়েছিলেন। তিনি অন্য যে হাসপাতালগুলোতে কাজ করেছেন, সেখানেও মারার যাওয়া রোগীদের স্বজনেরা অধিকতর তদন্তের জন্য অনুরোধ করেন। তাঁর অপরাধের মাত্রা অনুসন্ধানের জন্য ২০১৪ সালে একটি কমিশন গঠন করে জার্মানি। ওই কমিশন তাঁকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী জার্মানির সবচেয়ে কুখ্যাত খুনি হিসেবে বর্ণনা করেছে।

নিয়েলস যে হাসপাতালগুলোতে সেবিকা হিসেবে কাজ করেছেন, সেখানে হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া এবং রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে অস্বাভাবিক হারে রোগীদের মৃত্যু হয়েছিল। এ রকম প্রায় ১৩৪টি রোগীর মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ১৩৪ রোগীদের শরীরে প্রাণনাশক ওষুধ ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
দেশটির ওলডেনবার্গ শহরের পুলিশ প্রধান জোহান খুমে বলেছেন, তদন্ত যেকোনো কল্পনাকে অব্যাহতভাবে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কতজনকে খুনকে করা হয়েছে, এটা সহজভাবে বলা সম্ভব নয়। আপাতত যে সংখ্যার কথা জানা যাচ্ছে, তা আরও বাড়তে পারে। এ ব্যাপারে আগামী বছরের শুরু মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলেও তিনি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পদ্মায় ট্রলারডুবি, ভেসে আসছে মৃত গরু

রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের জৌকুরা ফেরিঘাট এলাকার পদ্মা নদীতে গরু-মহিষ নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে ট্রলারে থাকা গরু ব্যবসায়ী ও রাখালেরা সাঁতরে তীরে এলেও অধিকাংশ গরু-মহিষের প্রাণহানি ঘটেছে।

আজ সোমবার বিকেলে তীব্র স্রোতের কবলে পড়ে সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের জৌকুরা ফেরিঘাট এলাকার পদ্মা নদীতে এই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালুখালী উপজেলার রূপসা খেয়াঘাট এলাকা থেকে ২৬ জন ব্যবসায়ী বিক্রির জন্য গরু-মহিষ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। ট্রলারে ৫৪টি গরু ও ১১টি মহিষ ছিল। জৌকুরা ফেরিঘাট এলাকায় পৌঁছালে তীব্র স্রোতের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনার পর ১৪টি গরু জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই পাড়ে ১৩টি মৃত গরু পাওয়া গেছে। গরু ব্যবসায়ী ও রাখালেরা সাঁতরে তীরে ফিরে এসেছেন।

কালুখালীর গরু ব্যবসায়ী কুদ্দুস ব্যাপারী বলেন, তাঁরা কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী একসঙ্গে আরিচা যাচ্ছিলেন। আরিচা থেকে ট্রাকে করে ঢাকায় গরু নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তাঁদের সঙ্গে গরু-মহিষ দেখভাল করার জন্য ২২ জন রাখাল ছিলেন। কিন্তু ট্রলারডুবির ঘটনায় এখন তাঁরা সর্বস্বান্ত।

ট্রলারে থাকা গরু ব্যবসায়ী ফজলুল হক বলেন, এ বছর তিনি ব্যাংক থেকে সাত লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ১২টি গরু কিনেছিলেন। একটু বেশি লাভের আশায় বিক্রির জন্য গরু নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। কিন্তু ট্রলারটি ডুবে যাওয়ায় এখন তিনি নিঃস্ব। নিজে সাঁতরে তীরে এলেও গরুগুলো বাঁচাতে পারেননি তিনি।

নদীতে থাকা আরেকটি ট্রলারের মাঝি খোরশেদ আলী বলেন, স্রোতের ঘূর্ণিতে পড়ে চোখের পলকে ট্রলারটি ডুবে গেছে। গরু-মহিষের গলার রশি খুলে দিতে পারলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হতো। এতে অনেক গরু সাঁতরে তীরে আসতে পারত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা নুরমহল আশরাফী বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় লোকজন খুব আন্তরিকতার সঙ্গে উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে প্রশাসন থেকে সাধ্যমতো সহায়তা করা হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১০ নয়, বিশ বছরের জেল ‘ধর্ষক’ গুরুর!

১০ বছর নয়, ধর্ষক ‘বাবা’ গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের ২০ বছরের জেলের সাজা ঘোষণা করল আদালত। দু’টি পৃথক মামলায় ১০ ও ১০, মোট ২০ বছর জেলে কাটাতে হবে রাম রহিমকে।
এছাড়াও ৩০ লাখ টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার সকালে ডেরা সচ্চা সওদার প্রধান রাম রহিমকে ধর্ষণের দায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক জগদীপ সিং। আরেকটি পৃথক মামলাতেও দোষী প্রমাণিত হয়েছে স্বঘোষিত ‘গডম্যান’। সেই মামলায় আরও ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে শুক্রবারের মতো সহিংসতা যাতে সোমবারও না ছড়িয়ে পড়তে পারে, তার জন্যে আগে থেকেই সজাগ ছিল প্রশাসন। জেলের ১০ কিমির মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কোনও সাধারণ নাগরিককে। কয়েক হাজার সেনাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে সুনারিয়া জেল এলাকায়।

তবে ডেরার চেয়ারপার্সন বিপাসনা ইনসান প্রত্যেক ভক্তকে অনুরোধ করেছেন শান্তি বজায় রাখার জন্যে। সূত্রের খবর ইতোমধ্যে হয়ে গিয়েছে রাম রহিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও। পরীক্ষায় কোনও রকম অসুস্থতা ধরা পড়েনি।

এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ বৈঠক করেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে জেলে আরেক ধর্মগুরু!

রাম রহিম সিং-ই প্রথম নন, তার আগে আরো একজন ধর্মগুরু ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। তিনি হলেন ৭৬ বছর বয়সী আসারাম বাপু।
১৬ বছর বয়সী এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে তিনি এখন রাজস্থানের জেলে। চার বছরের বেশি সময় ধরে তিনি জেলে রয়েছেন।

তবে তার মামলায় রয়েছে ধীরগতি। এ বিষয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট সরকারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। গুজরাট সরকারকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেছেন, এ মামলায় কেন এই বিলম্ব? আপনারা নির্যাতিত (বালিকাকে) দেখতে যান নি। কিন্তু কেন আমাদের বলুন? এর পাশাপাশি এ মামলায় একটি অগ্রগতি রিপোর্ট দিতে রাজ্য সরকারকে আদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৩ সালের শুরুতে নিজের আশ্রমে ১৬ বছর বয়সী ওই বালিকাকে আশারাম বাপু ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এরপর ওই বছর আগস্ট থেকে রাজস্থানের জেলে আছেন আশারাম বাপু। এই ধর্মগুরুর বয়স এখন ৭৬ বছর। ঘটনার দু’মাস পরে আশারাম বাপু ও তার ছেলে নারায়ণ সাইয়ের বিরুদ্ধে দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। বলা হয়, তারা গুজরাটের সুরাটে তাদের আশ্রমে ওই দুই বালিকাকে ধর্ষণ করেছেন। এ মামলাটি গান্ধীনগরের আদালতে মুলতবি অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে আশারাম বাপুর জামিন আবেদনের শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এ সময় রাজ্য সরকারকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন আদালতের বিচারক। তার জবাবে গুজরাট সরকার জানায়, মামলার বিলম্বের জন্য দায়ী তথাকথিত ‘ধর্মগুরু’। এ বছরের শুরুর দিকে সুপ্রিম কোর্ট কোনো কালবিলম্ব না করে নির্যাতিত বালিকার কাছ থেকে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ ও অন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এখনও ৪০ জনের বেশি সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় নি। বিভিন্ন কারণে আশারাম বাপুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, আশারাম বাপু ও তার ছেলে জেলে থাকা অবস্থায় এ মামলার ৬ জন সাক্ষীর ওপর হামলা হয়েছে। এর মধ্যে নিহত হয়েছেন দু’জন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাম রহিমের জন্য বিপাকে আলিয়া ভাট!

মেঘনা গুলজারের পরবর্তী ছবি ‘রাজি’র শুটিং চলছে পাটিয়ালায়। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে আলিয়া ভাট ও ভিকি কৌশলকে।
চিত্রনাট্যের খাতিরে ছবির বেশ কিছুটা অংশ শুট করা হবে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়।

আগামী ১০ সেপ্টেম্বর অবধি শুটিং হওয়ার কথা পাটিয়ালায় এবং তারপর শুট করা হবে চণ্ডীগড়ের বেশ কিছু লোকেশনে। কিন্তু আপাতত বন্ধ রয়েছে শুটিং।

শুক্রবার ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংকে দোষী সাব্যস্ত করেছে বিশেষ সিবিআই আদালত। আদালতের নির্দেশ প্রকাশ্যে আসতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়। কার্যত নিস্তরঙ্গ হয়ে পড়ে জনজীবন। এমতবস্থায় পাটিয়ালায় আটকে পড়েছেন পরিচালক মেঘনা, আলিয়া-সহ গোটা কাস্ট অ্যান্ড ক্রু।

পাটিয়ালায় শুটিং প্রায় শেষের দিকে ছিল ‘রাজি’র গোটা টিমের। শুক্রবার সকাল থেকে জোরকদমে চলছিল শুটিং। ছবির এক গুরুত্বপূর্ণ সিনের শুটিং চলছিল। কিন্তু হঠাৎই পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে সেদিনের জন্য বন্ধ করে দিতে হয় শুটিং। কিন্তু শনিবার, রবিবারও পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে শুটিং করে উঠতে পারেনি ‘রাজি’র টিম।

শুক্রবার থেকেই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে হরিয়ানার বেশিরভাগ অঞ্চল। জায়গায় জায়গায় ধর্মগুরুর ভক্তদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। দুই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। মোতায়েন করা হয় সেনা। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৫, আহত ২৫০ জনেরও বেশি। কারফিউ জারি করা হয় হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের বিভিন্ন জেলায়। তিনদিনে বন্দি করা হয়েছে ৯০০ জনের বেশি দুষ্কৃতীকে। বন্ধ সমস্ত রকমের মোবাইল ও ইন্টারনেটের কানেকশন। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।

অন্যদিকে ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী পাটিয়ালা শহরের বিভিন্ন জায়গায় শুটিং করতে হবে আলিয়া ও ভিকিকে। এরকম পরিস্থিতে বেশ ধন্দে পড়েছেন পরিচালক মেঘনা। তাই সোমবার পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে শুটিং। সোমবার দুপুরে ধর্ষক বাবাকে ১০ বছরের জেলের নির্দেশ দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এরপর পরিস্থিতি কী আকার নেয় পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় তার উপর নির্ভর করেই পরবর্তী শুটিংয়ের পরিকল্পনা করবেন পরিচালক।

হরিন্দর সিক্কার বিখ্যাত উপন্যাস ‘কলিং সহমত’ অবলম্বনে এই ছবির চিত্রনাট্য। যেখানে এক গুপ্তচর কাশ্মীরি মহিলা বিয়ে করেন পাকিস্তানি এক সেনাকে। ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি করণ জোহরের সঙ্গে এই ছবি পরিচালনাও করবেন আলিয়া ভাট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিকাল ৫টায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মারুফ হাসান মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাহিদ উদ্দীন, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, প্রচার সম্পাদক শেখ নুুরুল হক, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গণি, সদস্য ডাঃ মুনসুর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক লায়লা পারভীন সেজুতি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন, সাবকে ছাত্রনেতা কাজী আক্তার হোসেন, মহিউদ্দীন, নাছির রহমাতুল্লাহ শাহাজাদা, আবু ছালেক, মতিউর রহমান, শেখ জাহাঙ্গীর কবির, শফি খান, উজ্জল হোসেন, শেখ ইমরান হাসান বিপ্লব, শাহাদাত হোসেন, খাইরুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, রেজানুজ্জামান লিটু, মুজিবুর রহমান, এম এন রহমান স্বপন, মাজহারুল ইসলাম, জীবন, শাওলী, শরিফা, রবিউল, মোস্তফা, সৈয়দ মহিউদ্দীন, শহীদুজ্জামান পাইলট, আবুল হাসান, জি এম বাপ্পী, মোতাহার হোসেন, বিল্টু, সানাম, সিরাজুল, বিকাশসহ সকল উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না। শৈশব থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের প্রতি ছিল অন্য রকম মমোত্ববোধ। স্কুল জীবন থেকেই শিশুদের প্রতি, সহপাঠীদের প্রতি তার উদারতা ছিল অন্যদের থেকে অনেক বেশি। তার পর কলেজ এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার সময়ও তিনি সব ক্ষেত্রে সাহসিকতা পরিচয় দিয়েছেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ৬দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ও সবশেষ মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা ছিল অগ্রগই্য। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র পেতাম না, পেতাম না স্বাধীন পতাকা, স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার, চাকরির অধিকার। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমরা এ দেশে রাজনীতি করতেও পারতাম না। বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বে এখন একটি রোল মডেল হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখন আর বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তি, খেলাধুলা, শিক্ষা, সাংস্কৃতিসহ সকল দিক দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নিয়ে গেছে উন্নয়নের দারপ্রান্তে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কে বিজয়ী করতে সকল ভেদাভেদ ভুলে শেখ হাসিনা সরকারকে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসাতে হবে। কোন অপশক্তি আর যাতে এদেশের শাসন ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্য আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest