সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

‘১৫ আগস্টের ভাতের হাড়িতে লাথি মারা মহব্বত এখন পরিবহন শ্রমিক লীগ নেতা’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিগত জোট সরকার আমলে আখতারুজ্জামান মহব্বত একজন বিএনপি ক্যডার হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান হত্যা মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি। অথচ ভোল পাল্টে তিনিই এখন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মীর মনিরুজ্জামান ও জাহিদুর রহমান রোববার সাতক্ষীরায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেছেন।
তারা আরও বলেন, ২০০৬ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে বাস টার্মিনালে আমরা কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করলে আকতারুজ্জামান মহব্বত ভাতের হাড়িতে লাথি মেরে ফেলে দেন। চুলোয় পানি ঢেলে দেন। বলেন, “শেখ মুজিবের জন্য কোনো আয়োজন এখানে হবে না।”
৭ অক্টোবর আক্তারুজ্জামান মহব্বতের এক সংবাদ সম্মেলনের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে মীর মনিরুজ্জামান একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন মহব্বত ইউনিয়নের সেক্রেটারি থাকাকালে ইউনিয়নকে মাদকের আখড়ায় পরিণত করেছিলেন। তিনি ও তার সহযোগীরা ফেনসিডিল সেবন ও ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া সাধারণ শ্রমিকদের নির্যাতন করা, ইউনিয়নের অর্থ আত্মসাতের সাথেও জড়িত ছিলেন তিনি। চাপড়া লাইনে থাকা ইউনিয়নের একটি বাস ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় একটি ভাঙ্গাচোরা গাড়ি ক্রয় করেন মহব্বত । এসব টাকার কোনো হিসাব তিনি দেননি। ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম রবিকে আট বছর যাবত কোনো কার্ড দেন নি তিনি। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের সুপারিশও নেননি তিনি। তিনি তিন শতাধিক শ্রমিকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার করে টাকা নেন লাইসেন্স করে দেওয়ার নামে। তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মধ্যে একটি ট্রাক ও দুটি বাস ইউনিয়নের নামে ক্রয় করেছি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় প্রতি ছয় মাস অন্তর পরিচয়পত্র নবায়ন করতে হয়। তবে পরাজিত প্যানেলের কর্মকর্তাদের বেশির ভাগ ইউনিয়ন অফিসে এসে নবায়ন করলেও মহব্বত ও তার কয়েকজন সহযোগী আসেননি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মহব্বত রবি মশিয়ার কয়েক হাজার অশ্রমিককে সদস্য বানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে যাচাই বাছাই করে তাদের অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মনিরুজ্জামান ও জাহিদুর রহমান আরও বলেন মহব্বত আট বছর, রবি মশিয়ার ৬ বছর এবং লিয়াকতহোসেন ২৩ বছর ইউনিয়ন চালিয়েও কোনো হিসাব দেননি। তারা সম্পদের পাহাড় গড়ে বসে আছেন। আমাদের হিসাব সাধারন সভায় পেশ করা হবে বলে জানান তারা। আগামি ডিসেম্বরে সাতক্ষীরা জেলা মালিক সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে ব্যবহার করার জন্য একটি মহল শ্রমিকদের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে। বাস টার্মিনালে বেশ কিছু দস্যু প্রকৃতির লোকের আনাগোনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারা যে কোনো অঘটন ঘটাতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন মনি ও জাহিদ। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিদুল ইসলাম মধু, তৌহিদুর রহমান, আবদুস সামাদ, মোজাফফর, স্ইাফুর রহমান,সুমন মুকুল, হামিদুল, শাহিনুর রহমান প্রমুখ শ্রমিক নেতা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘাসের পরিবর্তে ফলমূল-মিষ্টি খায় যে গরু!

ঘাসের পরিবর্তে ফলমূল-মিষ্টি খেয়ে পালিত হচ্চে একটি গরু। কেউ ডাকে মহাদেব আবার কেউ ডাকে সম্রাট নামে। গৃহপালিত পশুকে ভালোবেসে আদুরে নামে ডাকা নতুন কিছু নয়। কিন্তু মহাদেবের ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। মহাদেব গৃহপালিত পশু নয়। গৃহের বাইরে তার বসবাস। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর তীরে কাল ভৈরব নাদ মন্দিরে তার জন্ম। জন্ম থেকেই গৃহবঞ্চিত সে।

কেবল গৃহপালিত নয় বলেই মহাদেব ব্যতিক্রম, তা নয়। গবাদিপশুর সাধারণ খাদ্যাভ্যাসের চেয়ে আলাদা খাদ্যাভ্যাস মহাদেবের। ঘাস নয়- চাল, চিড়া, মিষ্টি ও ফলমূল খেয়ে থাকে সে। আর সারাদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরজুড়ে বিচরণ করে সে। বীরদর্পে ঘুড়ে বেড়ায় শহরের অলিগলি। কপালে রাজটিকা থাকা, মন্দিরে বসবাস ও ব্যতিক্রমী ভঙ্গির জন্য গুরুটিকে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মাহাদেব নামে ডাকে। মাহাদেবের মতই ভক্তি-পূজাও করে তারা।

মহাদেব সম্পর্কে স্থানীয়রা বলেন, মহাদেব প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে এসে তার জন্য রাখা খাবার খেয়ে আবার মন্দিরে ফিরে যায়।শিবচতুর্দশী সময় তিতাস নদীর তীরে কাল ভৈরব নাদ মন্দিরে গরুটির জন্ম। মন্দির কতৃপক্ষ দাবি দাওয়া ছেড়ে দেওয়ায় বাঁধন মুক্ত হয়ে শহরে বেড়ে ওঠা তার। বীরদর্পে বেড়ে ওঠা তরতাজা মহাদেবের দিকে কয়েকবার এলাকার দুষ্টু লোকের নজর পড়েলেও মানুষের ভালবাসায় নিরাপদেই আছে সে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার শাবনুরের প্রেমে চিকুনগুনিয়া!

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জ্বরে ভুগছেন বাংলাদেশের গুনি অভিনেত্রী শাবনূর। জানা গেছে, শরীরে এতটাই জ্বর ও ব্যাথা যে বিছানা থেকেই উঠতেই পারছেন না তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে শাবনূর জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর অনুভব করছি। জ্বর কমলেও শরীরের ব্যথা কোনোভাবেই কমছে না। ডাক্তারের পরামর্শে বর্তমানে বিশ্রাম নিচ্ছি। বিছানা ছেড়ে উঠতে গেলেই সারা শরীর ব্যথা করছে। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছি বলে আমার ধারণা।

তিনি আরো বলেন, কিছু শারীরিক টেস্ট করতে দিয়েছি। আপাতত ডাক্তারের পরামর্শে বাসাতেই বিশ্রাম নিচ্ছি। জানি না এই ব্যথা থেকে কিভাবে রেহাই পাব। পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘এত প্রেম এত মায়া’ দিয়ে শুটিংয়ে নিয়মিত হওয়ার কথা জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীর। এর আগে এই ছবির জন্য প্লেব্যাক করেছেন তিনি। আগামী নভেম্বরে টাঙ্গাইলে ছবির দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ছবিতে শাবনূরের বিপরীতে অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।

শাবনূর বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ৯০ দশক থেকে এ পর্যন্ত আসা চিত্র তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিত্র তারকা হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশাম পরিচালিত চাঁদনী রাতে সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন শাবনূরের। প্রথম ছবি ব্যর্থ হলেও পরে হার্টথ্রব নায়ক সালমান শাহের সাথে জুটি গড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। একে একে এ জুটি সুপারহিট ছবি দিতে থাকেন।

সালমানের অকাল মৃত্যুতে সাময়িক ভাবে শাবনূরের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়লেও তার চিরায়ত বাঙালি প্রেমিকার ইমেজ এবং অসাধারন অভিনয় ক্ষমতা তাকে দর্শকদের হৃদয়ে শক্ত আসন গড়তে সাহায্য করে। পরে রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস আহমেদ ও শাকিব খান সাথে জনপ্রিয় জুটি গড়ে বেশ কিছু জনপ্রিয় ছবি উপহার দেন।

শাবনূর ২০০৫ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত দুই নয়নের আলো ছবিতে অভিনয় করে তার ক্যারিয়ারের একমাত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে ১০ বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার জিতে তিনি প্রমাণ করেন শাবনূর বাংলা চলচ্চিত্রের এক মহাতারকার নাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাশিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক পেলেন সাবের চৌধুরী

ন্যাশনাল ডেস্ক : ইন্টার পার্লামেন্টারী ইউনিয়নের (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বিদেশী নাগরিকদের জন্য প্রদত্ত রাশিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘অর্ডার অব ফ্রেন্ডশিপ’ লাভ করেছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে আইপিইউ’এর ১৩৭তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন তাঁকে এ পদক প্রদান করেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী প্রথম আইপিইউ প্রেসিডেন্ট এবং প্রথম বাংলাদেশী যিনি এ রাষ্ট্রীয় পদক লাভ করেছেন।
গত ৯ অক্টোবর ২০১৭ তে মস্কোর ক্রেমলিনে রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট পুতিন স্বাক্ষরিত রাষ্ট্রীয় পদক সংক্রান্ত ৪৭৫নং প্রেসিডেন্টের ডিক্রিতে বলা হয় আন্ত:সংসদীয় সম্পর্ক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখার জন্য ইন্টার পার্লামেন্টারী ইউনিয়নের সঙ্গে রাশিয়ান ফেডারেশনের ফেডারেল অ্যসেম্বলির পারস্পারিক সমঝোতা ও সহযোগিতা সূদৃঢ় করনে ভুমিকা রাখায় তাঁকে এ পদক প্রদান করা হয়।
ইতোপূর্বে ‘অর্ডার অব ফ্রেন্ডশীপ’ পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সিংগাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি কুয়া ইউ, কেন্টাবুরির আর্চ বিশপ রোয়ান উইলিয়ামস, বর্তমান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনস, জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব বান কি মুন প্রমুখ।
পুরষ্কার গ্রহণ করে সাবের হোসেন চৌধুরী তা তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৯ এর জনগণ ও যে সকল এমপি একটি উত্তম বিশ্ব-বিনির্মানে কাজ করেছেন, তাদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন।
প্রসঙ্গত, সাবের হোসেন চৌধুরী ২০১৬ সালে অষ্ট্রেলিয়ার স্পীকার ইয়ান বিশপকে আইপিইউ’এর ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোটে হারিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। জাতিসংঘের চাইতে পুরনো সারা বিশ্বের জনপ্রতিনিধিদের ফোরাম আইপিইউ ১৮৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বিশ্বের ১৭৩টি দেশের ৬৫০ কোটি জনগন এবং ৪৫ হাজার জনপ্রতিনিধির প্রতিনিধিত্ব করে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ২৪৫ শতাংশ

ন্যাশনাল ডেস্ক : আমদানি ব্যয় বাড়লেও সে অনুযায়ী বাড়ছে না রফতানি আয়। তাই বেড়েই চলছে দেশের পণ্য ও সেবায় বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮১ কোটি ডলার, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ৫২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ১২৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ২৪৫ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে হারে আমদানি ব্যয় বাড়ছে সে হারে রফতানি আয় বাড়ছে না। তাই বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। তবে আমদানির এ প্রভাব বিনিয়োগে পড়লে তা অর্থনীতির জন্য ভালো। কিন্তু এ অর্থপাচার হলে ফল অত্যন্ত খারাপ হবে। কারণ রেমিট্যান্সপ্রবাহ অনেক কমে গেছে, ফলে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্য (ব্যালান্স অব পেমেন্ট-বিওপি) ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা বিদ্যমান থাকা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ভালো নয়।
এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশে আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। তবে সে হারে বিনিয়োগ বাড়েনি। তাই আমদানির নামে অর্থপাচার হচ্ছে কি না তা সংশ্লিষ্টদের খতিয়ে দেখতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্টে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৬৫৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় হয়েছে ৮৩৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ১৮১ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ২৪৫ শতাংশ বেশি।
২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরজুড়ে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল। এতে বৈদেশিক দায় পরিশোধে সরকারকে বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু ২০১৭-১৮ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাসে ৪৫ কোটি ১০ লাখ ডলার ঋণাত্মক হয়েছে, যা এর আগের অর্থবছরে একই সময়ে উদ্বৃত্ত ছিল ৮১ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ সময়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সেবা মূল্য ব্যয় বেশি হওয়ায় চলতি হিসাবে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সেই হিসাবে উন্নয়নশীল দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভালো। কিন্তু গত কয়েক বছর উদ্বৃত্তের ধারা অব্যাহত থাকলেও গেল অর্থবছর ঋণাত্মক ধারায় চলে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্টে সেবাখাতে বিদেশিদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে ১৪৪ কোটি ডলার। আর বাংলাদেশ এ খাতে আয় করেছে মাত্র ৬৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ হিসাবে সেবা বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭৭ কোটি ৮০ লাখ ডলারে, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে ছিল (ঘাটতি) ৫৫ কোটি ১০ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে মোট ৫১ কোটি ডলার। এর মধ্যে নিট এফডিআই এসেছে ৩২ কোটি, যা আগের বছরে এসেছিল ২৯ কোটি ২০ লাখ ডলার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সোমালিয়ায় গাড়ি বোমা হামলা: নিহত ২৩১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে গাড়ি বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ২৩১ জনে দাড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত অন্তত আড়াই’শ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। শনিবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। মোগাদিসুর একটি ব্যস্ত এলাকায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে আশে পাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আবদুল্লাহি মুহাম্মদ ফারমাজো এ ঘটনায় তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। রোববার সকাল থেকে শুরু হয়ে টানা তিনদিন চলবে এ শোক পালন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ওই বিস্ফোরণকে কয়েক বছরের মধ্যে শক্তিশালী হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আহতদের সহায়তার জন্য নাগরিকদের প্রতি অনুরোধও জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আবদুল্লাহি মুহাম্মদ ফারমাজো জানান, আহতদের সহায়তা, রক্ত দান এবং আনুষাঙ্গিক সহায়তার জন্য আমাদের দেশের সকল নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার এ হামলার জন্যে আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে। সোমালিয়ার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যস্ত এলাকায় এধরনের ট্রাক বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণস্থলে সাফারি হোটেলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এঘটনার পর সোমালিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাসান আলী খায়ের বলেছেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দেশটির তথ্যমন্ত্রী আব্দুররহমান ওমর বলেছেন, এধরনের ঘটনা সোমালিয়ার ইতিহাসে এর আগে কখনো ঘটেনি। এটি বর্বরোচিত হত্যাকান্ড।
এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস অভিযানে ড্রোন ব্যবহার করে আসছে। তাদের সঙ্গে সোমালিয়ার ২০ হাজার সেনা সদস্য সন্ত্রাস দমনে কাজ করছে। ইউএস আফ্রিকা কমান্ডের প্রধান দুদিন আগে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা ঘটল।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। আহতদের দেখতে হাসপাতালে গেছেন মোগাদিসু শহরের মেয়র থাবিত আবদে মুহাম্মদ। সেখানে পৌঁছে তিনি রক্তদান করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালি পেটে যে খাবারগুলো খাবেন না

স্বাস্থ্য ও জীবন ডেস্ক : পেটে ছুঁচোদের ডন-বৈঠক চললে মনে হয় সামনে যা পাই, তা-ই খেয়ে ফেলি! যেমন ধরুন, অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ভীষণ খিদে পায়। তখন কোনো কিছু বাছবিচার না করেই আমরা বাসায় যা আছে, তা খেয়েই কাজে যাই। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে, খালি পেটে একদমই খাওয়া উচিত নয়। নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আসুন জেনে নেই খালি পেটে কোন খাবারগুলো পরিহার করা উচিত:

ফল খান বেছে বেছে
মানুষের মধ্যে প্রচলিত ধারণা হলো, যেকোনো ফলই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু সেটা কোন অবস্থায় খাওয়া উচিত, সে সম্বন্ধে আমরা অনেকেই জানি না। যেমন ধরুন, কলা স্বাস্থ্যকর ফল হলেও তা খালি পেটে খাওয়া ক্ষতিকর। হজম-সহায়ক কলায় রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম। খালি পেটে কলা খেলে এসব উপাদান রক্তে অন্য উপাদানগুলোর মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট করে। বিশেষ করে শরীরে ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা হৃৎপি- ও রক্তের ধমনির জন্য ক্ষতিকর।

অনেকে টমেটো খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু খালি পেটে একদম টমেটো খাবেন না। পুষ্টিগুণে ভরপুর টমেটোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন ও ট্যানিক অ্যাসিড। খালি পেটে টমেটো খেলে পেকটিন ও ট্যানিক অ্যাসিডের সঙ্গে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের বিক্রিয়া ঘটে থাকে। এতে পাকস্থলীতে এক অদ্রবণীয় জেলের সৃষ্টি হয়, যেখান থেকে পরবর্তী সময়ে পাকস্থলীতে পাথর হয়। এ ছাড়া খালি পেটে টমেটো খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
খালি পেটে টকজাতীয় কিংবা ‘সাইট্রাস’ (কমলা) ধরনের ফল পরিহার করাই ভালো। টকজাতীয় ফল, যেমন আমলকী, করমচা, তেঁতুলে প্রচুর অ্যাসিড থাকে। এতে পেট ও বুক জ্বালাপোড়া করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সৃষ্টি হয়। খালি পেটে ‘সাইট্রাস’ ফল আপনার শৈষ্মিক ঝিল্লিকে (মিউকাস মেমব্রেন) ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে মারাত্মকভাবে, এ ছাড়া বুক জ্বালাপোড়া ও গ্যাস্ট্রিকের সৃষ্টি হয়।

চা-কফি-সোডাকে ‘না’ বলুন
সকালে ঘুম থেকে উঠেই চায়ের পেয়ালায় চুমুক না দিলে অনেকের দিন শুরু হয় না। সুস্থ থাকতে চাইলে এই অভ্যাস আজই পাল্টান। চা-কফির মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন। খালি পেটে এই ক্যাফেইন বুকের মধ্যে জ্বালাপোড়া সৃষ্টির পাশাপাশি হজমেও ব্যাঘাত ঘটায়। চা-কফি গ্যাস্ট্রিক রস ক্ষরণের মাত্রা বাড়ায়, এতে হজম প্রক্রিয়ায় অসুবিধা হয় এবং গ্যাসের উদ্রেক ঘটে। তাই চা-কফি খাওয়ার আগে অন্তত কিছু খেয়ে নিন, অন্তত এক গ্লাস পানি হলেও খান। সকালে সব সময় নাশতার পর চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। খালি পেটে চা-কফি শরীরে সেরাটোনিনের কমতি ঘটায়, ফলে সারা দিন মন-মেজাজ খারাপ থাকতে পারে।

দুগ্ধজাত খাবার পরিহার করুন
খালি পেটে আপনি এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন, কিন্তু দুগ্ধজাত খাবার না খাওয়াই ভালো। গাজন প্রক্রিয়ায় বানানো দুগ্ধজাত খাবার, যেমন দই; এ ধরনের খাবার খালি পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি করে, যা দুগ্ধজাত খাবারের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিডের গুণাগুণ নষ্ট করে। এতে অ্যাসিডিটির সৃষ্টি হয়। তাই দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার আগে অন্য কিছু খেয়ে নিন।

ঝাল-মসলা শত্রু
বেশির ভাগ বাঙালিই একটু ঝাল ঝাল তরকারি খেতে ভালোবাসেন। তবে পেট খালি থাকলে এমন ভালোবাসা বিসর্জন দেওয়াই নিরাপদ। ঝাল তরকারিতে অ্যাসিডিক বিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, যা খালি পেটে অসহনীয় জ্বালাপোড়া তৈরি করে। পেটের ভেতরকার পেশিতে সংকোচন হওয়ার ফলে পেটব্যথাও হতে পারে।

শাকসবজিতে সাবধান
প্রচলিত ধারণা হলো, সবুজ শাকসবজি সব সময়ই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কোন অবস্থায় ভালো? সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর অ্যামিনো অ্যাসিড। এই অ্যাসিড শরীরের জন্য যেমন ভালো, তেমনি খালি পেটে বিষম গ্যাস্ট্রিকের সৃষ্টি করতে পারে। শাকসবজির ‘ফাইবার’ ঠিকভাবে হজম না হলে তলপেটে ব্যথাও হতে পারে।

শেষ কথা
মদপান এমনিতেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। খালি পেটে খাওয়া মানে বিষপান। এতে কিডনি, লিভার ও হৃৎপি- ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খালি পেটে মিষ্টি আলু বেশি পরিমাণ অ্যাসিড ক্ষরণ করে, এতে পাকস্থলীর পেশি সংকুচিত হয় এবং তলপেটে ব্যথার সৃষ্টি করে। এ ছাড়া বেশি পরিমাণে বাদাম খাওয়াও পরিহার করুন। খালি পেটে অতিরিক্ত বাদাম খেলে পেটব্যথার সৃষ্টি হয়। মোট কথা, খালি পেটে খাদ্যাভ্যাস খানিকটা সাবধানতা মেনে চললে জীবন হবে আরও সুন্দর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যে রসগোল্লা খেলে লাগবে ঝাল!

ভিন্ন স্বাদের সংবাদ : ছানার রসগোল্লার সঙ্গেই নিশ্চয়ই আপনি পরিচিত ছিলেন এতদিন৷ কিন্তু কাঁচা লঙ্কা দিয়েও যে মিষ্টি বানানো যায় সেটি নিশ্চয়ই আপনি জানতেন না৷ শুধু তাই নয়, রসগোল্লার উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে তরমুজ কিংবা ব্লু লাগুন৷ আর এমন অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন ভারতের বাসিন্দা স্বাতী সরফ৷
ছোটবেলা থেকেই নিত্যনতুন রেসিপি বানানোর নেশা ছিল স্বাতীর৷ মায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাঝে মধ্যেই আবিষ্কার করে ফেলতেন নতুন ডেজার্ট রেসিপি৷ ছোটবেলার সেই নিত্যনতুন এক্সপেরিমেন্টেরই ফলপ্রকাশ করলেন তার নিজস্ব ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালে৷ রয়েছে করলা এবং ম্যাগি রসগোল্লাও৷
স্বাতীর এই রসগোল্লার সম্ভারে আসলেই আপনি পেয়ে যাবেন ঝাল, টক, মিষ্টি রসগোল্লার স্বাদ৷ স্ট্রবেরি, কেশর বাদাম, ব্লুবেরি, বাটারস্কচ এবং কোকোনাট রোজ দিয়েও তৈরি করা হয়েছে এই রসগোল্লাগুলি৷ এছাড়াও রয়েছে কাঁচা আমেরও রসগোল্লা৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest