সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

২৬৩ দিনে ১৩১৮টি মিথ্যা বলেছেন ট্রাম্প!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ২৬৩ দিনের ক্ষমতার মেয়াদকালে ১,৩১৮টি মিথ্যা দাবি করেছেন বলে এক জরিপ ফলাফলে জানা গেছে।

এ থেকে জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি ধারণা করছে যে, এক বছরের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মিথ্যা দাবি ও বিবৃতির সংখ্যা দু হাজার ছাড়িয়ে যাবে।

ওয়াশিংটন পোস্ট ঙ্গলবার বলেছে, বক্তব্য-বিবৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ভেতরে সর্বোচ্চ মাত্রায় গিয়ে কথা বলার প্রবণতা রয়েছে এবং সেখান থেকে মিথ্যাগুলো তৈরি হয়। খবর পার্সটুডের।

জরিপে বলা হচ্ছে- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিদিন গড়ে পাঁচটি মিথ্যা বলেছেন এবং লক্ষ্য করার বিষয় হচ্ছে যে, তার এই মিথ্যা বলার প্রবণতা গত ছয় মাসে বেড়েছে।

জরিপ ফলাফলে দেখা গেছে- ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্যাক্স পরিকল্পনা ও ট্যাক্স কাটছাঁট করার বিষয়ে মিথ্যা বলেছেন। তেমনি মিথ্যা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মারিয়া নিয়ে, মিথ্যা বলেছেন জাতীয় ফুটবল লীগ নিয়ে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সম্পর্কেও তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দৌঁড়ে অংশ নিয়ে মারা গেলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী !

ক্যান্সার আক্রান্তদের সহায়তার জন্য অর্থ তুলতে ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন তিউনিসিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু ম্যারাথন দৌড় শুরুর পর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুরবণ করেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্লিম চাকের-এর বয়স ছিল ৫৬ বছর।

প্রায় ৫০০ মিটার দৌড়ানোর পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে একটি সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার ডাক্তার তাতে মৃত ঘোষণা করেন। খবর বিবিসি বাংলার।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মৃত্যুর পর তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী এক শোক বার্তায় বলেছেন, তিনি তার ‘ভাই এবং সহকর্মীকে’ হারিয়েছেন। একটি মহৎ মানবিক কাজ করার সময় তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী।

শিশুদের জন একটি ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য অর্থ জোগাড় করতে এ ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন করা হয়েছিল। গতমাসে মন্ত্রী পরিষদে পরিবর্তনের মাধ্যমে মি: চাকেরকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।

সাবেক এ ব্যাংকার এক সময় অর্থ মন্ত্রণালয় এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জনপ্রতিনিধিদের ডেকে ক্যাম্পে নারী সাপ্লাইয়ে ফরমান মিয়ানমার সেনাবাহিনীর

অনলাইন ডেস্ক : রাখাইনের আকাশে এখন ঘন ঘন চক্কর দেয় না সামরিক হেলিকপ্টার। সেনারা যত্রতত্র গুলিবর্ষণ করছে না।
রোহিঙ্গা বসতি লক্ষ্য করে ছুড়ছে না রকেট লঞ্চার ও বোমা। রোহিঙ্গাদের দেখলে আগে যেমন সেনারা হামলে পড়ত, সে রকম ভয়ংকর দৃশ্যও নেই। নির্যাতন-নিপীড়নের ধরন পাল্টে গেছে। সেনারা এখন দৃশ্যমান নির্যাতনের পথ পরিহার করে নীরব নির্যাতন চালাচ্ছে। ২৫ আগস্টের পর রোহিঙ্গা বসতিতে ঘরে ঘরে গিয়ে সেনারা নারীদের গণধর্ষণ করত। এখন সেনা ক্যাম্পেই সুন্দরী নারীদের সরবরাহ করতে অলিখিত ফরমান জারি করা হয়েছে। আদেশ অমান্য করলে পরিণতির জন্য রোহিঙ্গাদের প্রস্তুত থাকতে বলার পর থেকেই আবারও সীমান্তে রোহিঙ্গার ঢল নেমেছে। গতকাল মঙ্গলবার সীমান্ত এলাকা ঘুরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে এসব।

রাখাইনের বুচিদং টাউনশিপের কুয়াইনডাইং রোয়াজি নামের গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সালাম (৪৪) ও তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪০) দম্পতি তাঁদের আট সন্তান নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে উখিয়ার পালংখালী এসে পৌঁছেন।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকায় কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশের একটি গাছের ছায়ায় আরো বেশ কিছু দেশত্যাগী রোহিঙ্গার সঙ্গে বসে ছিলেন এই দম্পতি। সবেমাত্র নাফ নদের আঞ্জুমান প্যারা ঘাট এলাকা থেকে হেঁটে মহাসড়কে উঠেছেন। চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ। এ প্রতিবেদক যখন রোহিঙ্গা পরিবারটির সঙ্গে আলাপ করছিলেন তখনই একজন সেনা সদস্য এগিয়ে এসে নাম-পরিচয় জেনে নিচ্ছিলেন। সেনা সদস্য দেখে রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যরা প্রথমে হতবিহ্বল হলেও পরে বুঝতে পারে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের সেবায় নিয়োজিত।
এত দিন ধরে জ্বালাও-পোড়াও চলেছে, কিন্তু তখন আসা হয়নি। আর এখন রাখাইনে এক ধরনের শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এখন কেন এলেন? এমন প্রশ্ন শুনেই রোহিঙ্গা আবদুস সালামের স্ত্রী রোকেয়া জানান—‘বদ্দারে, এই মাইয়াগুন যদি ন থাইত তইলে আঁই মরি গেইলও এডে ন আইতাম। মাইয়াগুনর ইজ্জত বাঁচাইবাল্লাই এডে আস্যিদে। ’ অর্থাৎ ‘বড় ভাইরে, আমার এসব মেয়ে যদি না থাকত তাহলে আমি মারা গেলেও এখানে আসতাম না। মেয়েদের ইজ্জত বাঁচাতেই এখানে আসা। ’ সালাম-রোকেয়া দম্পতির আট সন্তানের মধ্যে সাতজনই মেয়ে। বড় মেয়ের বয়স ২২ বছর এবং কনিষ্ঠ যমজ এক মেয়ে ও এক ছেলের বয়স মাত্র ১১ মাস। ১৯৯১ সালে প্রথমবার পালিয়ে আসার পর ১৯৯৪ সালে ঘুমধুম ২ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে দুজন বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৯৬ সালে ফিরে যান। বিয়ের ২৩ বছরের মাথায় এই দম্পতি আটটি সন্তান নিয়ে গতকাল আবারও এসেছেন বাংলাদেশে।

রোকেয়া বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী আর্মি টেরাং (সেনা ক্যাম্প) থেকে নতুন ফরমান জারি করা হয়েছে। তারা বলেছে, প্রতি পাড়া থেকেই ৫০ জন করে সুন্দরী নারী ক্যাম্পে সরবরাহ করতে হবে। গ্রামের চেয়ারম্যান (ওকাট্টা) রফিউল কাদেরকে সেনা ক্যাম্পে ডাকা হয়েছিল। সেনা ক্যাম্প থেকে চেয়ারম্যানকে এমন ফরমান জারি করা হয়। চেয়ারম্যান ক্যাম্প থেকে ফিরে গ্রামের যে ঘরে তরুণী মেয়ে রয়েছে তাদের গৃহকর্তাকে গোপনে ডেকে সেনা ক্যাম্পের ফরমানের কথাটি জানিয়ে দেন। গত ২ অক্টোবর রাতে চেয়ারম্যান সেনা ক্যাম্পের ফরমানের গোপন কথাটি জানানোর পরের দিন ভোরেই সালাম-রোকেয়া দম্পতি বাংলাদেশের দিকে রওনা হন। রোকেয়া বেগম বলেন, ‘এমন খবর শুনে রাতে আর ঘুমাতে পারিনি। ’ তিনি জানান, কমপক্ষে সাত-আট দিন রাস্তায় থাকতে হবে অনুমান করে এমনভাবেই খাবারদাবারের ব্যবস্থা করছিলেন সারা রাত ধরে।

ভাত রান্না করে সেসব যাতে গন্ধ না হয় সে জন্য তেলে ভেজে নেন তিনি। কোরবানির যে গরুর মাংস ছিল সেসব কালো ভুনা করে নেওয়া হয়। প্রচুর পরিমাণ স্যালাইন নেওয়া হয় সঙ্গে। দুগ্ধপোষ্য যমজ সন্তানদের জন্যও দুধের বিকল্প নেওয়া হয়। নাশতাও নেওয়া হয় প্রচুর। রোকেয়া বলেন, তিনি অত্যন্ত পরিকল্পনামাফিক বের হয়েছিলেন ঘর থেকে। টানা সাত দিনের হাঁটাপথের সীমানা নাফ নদের তীরে এসে পৌঁঁছার সঙ্গে সঙ্গে খাবারও শেষ হয়ে যায়, বলেন রোকেয়া।

মিয়ানমার সেনাদের নীরব নির্যাতনের কাহিনি জানাতে গিয়ে রোকেয়া বলেন, তাঁর স্বামীর এক বড় ভাইয়ের শিশুসন্তান ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। তার জন্য ওষুধ আনা হচ্ছিল বাজার থেকে। পথে তল্লাশি করতে গিয়ে সিরাপের বোতল পেয়ে সেনারা বোতলটি বুটের তলায় পিষ্ট করে, আর বলে ওষুধ সেবনের কোনো দরকার নেই। এখন দরকার মৃত্যু। রোকেয়া জানান, মিয়ানমারের সেনারা প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গাদের মৃত্যু কামনা করে থাকে।

রাখাইনের মংডুর বালুখালী থেকে পালিয়ে এসেছেন মোস্তফা খাতুন ও সোনা মিয়া দম্পতি। তাঁদের তিন কন্যা। সোমবার রাতে নাফ নদ পাড়ি দেন তাঁরা। নিজেদের মৃত্যুর ভয় অনেক আগেই কেটে গেছে। এসেছেন কেবল তাঁদের তিন কন্যার ইজ্জত বাঁচাতে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নারী সরবরাহের ফরমানটি রাখাইনে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায়। এত দিন যারা সাহসের সঙ্গে রাখাইনের ঘরদুয়ারে বা বন-জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল তারা খবরটি শোনার পর পালিয়ে আসতে শুরু করেছে।

সেনাদের ভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে আরো আছেন বুচিদং লইংচং গ্রামের নবদম্পতি জিয়াউর রহমান (১৮) ও আয়েশা বেগম (১৫)। তাঁরা ১০ দিন ধরে দুর্গম পাহাড়ের ফাতেহার ঢালা নামের একটি গহিন জঙ্গলে অবস্থান নিয়েছিলেন। নিরাপত্তা বাড়াতে পরে একসঙ্গে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা একত্র হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে আসে। নতুন আসা রোহিঙ্গারা জানায়, পথে পথে তারা অনেক স্থানে সেনা সদস্যদের মুখে পড়েছে কিন্তু কেউ তাদের তেমন উচ্চবাচ্য করেনি। উল্টো অনেকেই নাকি আবার জানতে চেয়েছে, তোমাদের তো কিছু করা হচ্ছে না—কেন পালিয়ে যাচ্ছ? রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, এখনো অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের পথে রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ওজন কমাতে খুব সাহায্য করবে যে ৬ পানীয়

আমাদের শরীর সুস্থ আর সুন্দর রাখতে পানীয় আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি। বিশেষ করে আমাদের মেদ কমানোর জন্য।
নরম পানীয়তেও কিন্তু কমে ওজন। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল সেই রকম ৬টি পানীয় এর সন্ধান যা খুব জলদি আপনার ওজন কমাতে খুব সাহায্য করবে।

১। দিনে প্রচুর পরিমাণে পানি খান। ওজন কমানোর এর থেকে ভালো উপায় আর হতে পারে না। শুধু পানি খেতে ইচ্ছে না করলে তাতে মিশিয়ে নিন দুই ফোঁটা লেবুর রস। জিম করার আগে লেবু পানি খেলে মেদ তাড়াতাড়ি ঝড়ে।

২। দ্বিতীয় উপায় ভেজিটেবল স্যুপ। গরম গরম ভেজিটেবল স্যুপ খেলে একদিকে যেমন মেদ ঝড়ে তেমনই শরীরে ক্যালোরির পরিমাণও বাড়ে।

৩। তৃতীয় উপায় হল গ্রিন টি। দিনে ২ কাপ গ্রিন টি খেলে একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে আপনার ওজন। গ্রিন টি শরীরে রোগ প্রতিরোধক শক্তিও বৃদ্ধি করে।

৪। চতুর্থ উপায় হল ফলের রস। মৌশুম অনুযায়ী যেকোনও ফলের রস খান প্রতিদিন। ফল পাবেন সঙ্গে সঙ্গে।

৫। পঞ্চম উপায় ব্ল্যাক কফি। ব্ল্যাক কফি একদিকে যেমন শরীরে মেদ ঝরায় অন্যদিকে এনার্জি বাড়ায়। কাজেই নিজেকে চাঙ্গা রাখতেও ব্ল্যাক কফি খাওয়া জরুরি।

৬। ষষ্ঠ এবং সর্বশেষ উপায় ফ্যাট মুক্ত দুধ। এতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন–ডি রয়েছে। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে। ওজন কমানোর পাশাপাশি হাড় শক্ত রাখতেও সাহায্য করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইতিহাসে এই প্রথম অধিকাংশ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলি হিসাব দিয়েছেন, মিয়ানমারের উত্তর রাখাইনের ১৭ লাখের মত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নয় লাখই এখন বাংলাদেশে।
মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ সরকারের গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব স্ট্রাটেজিক স্টাডিজে এক বক্তৃতায় বলেন, “ইতিহাসে ই প্রথম বারের মত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মূল অংশ বাংলাদেশে চলে এসেছে।”
আলি বলেন, বাংলাদেশের বাইরে আরো কিছু দেশে চার লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। ফলে, তার মতে, বড়জোর চার থেকে পাঁচ লাখ লোক রোহিঙ্গা এখন মিয়ানমারের উত্তর রাইনে অবশিষ্ট রয়ে গেছে। তিনি বলেন, মিয়ানমারে সরকারের “জাতিগত ভারসাম্য আনার পরিকল্পনার” অংশ হিসাবে বুথিডং এবং মঙডুকে রোহিঙ্গা শূন্য করে ফেলার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন গত ২৫শে অগাস্ট থেকে তিন হাজারের মত রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে।
“রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে জাতীয় প্রচার মাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যেও বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা লক্ষণীয়। রাখাইনে ইসলামি সন্ত্রাসবাদ এবং বাঙালি সন্ত্রাসবাদ চলছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। প্রতিবেশী কয়েকটি রাষ্ট্রকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন মঙ্গলবারএই হিসাব দিচ্ছিলেন, সেদিনই জাতিসংঘ বলছে, হঠাৎ নতুন করে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। ইউএনএইচসিআর বলছে, সোমবার নতুন করে ১১,০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে।
রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু করলেও, সে ব্যাপারে অগ্রগতির কোনো আশাবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর কণ্ঠে শোনা যায়নি।
তিনি বরঞ্চ মন্তব্য করেন, সম্প্রতি কিছু রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার যে কথা মিয়ানমার বলছে সেটি “আন্তর্জাতিক চাপ প্রশমনে মিয়ানমারের একটি কৌশল হতে পারে।”
তিনি বলেন, যাচাই প্রক্রিয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি করে সেই অজুহাতে মিয়ানমার কোফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন বিলম্বিত করার চেষ্টা করতে পারে।
বিভিন্ন পর্যায়ে মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে, মন্ত্রী খোলাখুলি হতাশা প্রকাশ করেন। “কোনো কিছুই তো অগ্রসর হয়না…।”
তারপরও বাংলাদেশের প্রতি মিয়ানমারের “উদাসীনতা” স্বত্বেও মত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশের সাথে যোগাযোগের কোনো বিকল্প নাই।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার যৌথ রণকৌশল চুরি

উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা দক্ষিণ কোরিয়ার স্পর্শকাতর ও গোপন বহু সামরিক তথ্য চুরি করেছে।

তার মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনকে হত্যার একটি পরিকল্পনা, এবং যুদ্ধ লেগে গেলে দক্ষিণ কোরিয়া ও অ্যামেরিকার রণকৌশল কি হবে সেসবও।

দক্ষিণ কোরিয়ার একজন এমপি জানিয়েছেন, তার দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তিনি এই খবর পেয়েছেন। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এমন এক সময় এ ঘটনার কথা জানা গেল যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ চলছে এবং উভয় দেশই একে অপরকে ধ্বংস করে দেবার হুমকি দিচ্ছে।

বলা হচ্ছে, চুরির এই ঘটনা ঘটেছিল গত বছর সেপ্টেম্বরে।

সে সময় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কম্পিউটারগুলোতে এক সাইবার আক্রমণ হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার ডিফেন্স ইন্টিগ্রেটেড ডেটা সেন্টার নামে এই কেন্দ্রটির তথ্যভান্ডারে হ্যাকার ঢুকতে সক্ষম হয়।

এবং বলা হচ্ছে যে তথ্য চুরি হয়েছে তার পরিমাণ ২৩৫ গিগাবাইট – যার ৮০ শতাংশই এখনো চিহ্নিত করা যায় নি।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার সে সময় এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কথা স্বীকার করে । কিন্তু ঘটনা ঠিক কি ঘটেছিল এবং হ্যাকাররা কি কি তথ্য নিয়ে গেছে তা প্রকাশ করেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রতিনিধি এবং একজন কংগ্রেসম্যান রি চিওল-লি ব্যাপারটা ফাঁস করে দিয়েছেন।

তিনি বলছেন, যেসব তথ্য চুরি হয়েছে তার মধ্যে কোরিয়া উপদ্বীপে একটি যুদ্ধ, এবং উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বকে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা ছিল। মি, রি-র এই বক্তব্যের জবাবে এখনো দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার কিছু বলে নি।

তিনি বলেন তার ধারণা – বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা এবং বিশেষ বাহিনীর অপারেশন সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিভিন্ন তথ্যও চুরি হয়ে গেছে।

এটা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে এটাও হতে পারে যে উত্তর কোরিয়া হয়তো প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে ইতিমধ্যেই নিজেদের পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তনও এনেছে।

একই সাথে দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও হয়তো এই নিরাপত্তা ব্যূহ ভাঙা হয়েছে জানতে পেরে তাদের কৌশলেও পরিবর্তন এনেছে।

উত্তর কোরিয়া অবশ্য এই হ্যাকিং-এর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, দক্ষিণ কোরিয়া সত্যকে অতিরঞ্জিত করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চীনের করিডোর প্রশ্নে ঢাকা ও দিল্লির মতবিরোধ

বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমারের মধ্যে দিয়ে প্রস্তাবিত বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডরকে কেন্দ্র করে দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য সামনে চলে এসেছে।
তার কারণ, এই করিডরটিকে চীন তাদের উচ্চাভিলাষী ‘বেল্ট রোড ইনিশিয়িটিভে’র অংশ হিসেবেই দেখাতে চায় – কিন্তু সেটি পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে এই যুক্তিতে ভারত তা আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভারত সমগ্র কাশ্মীরকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে থাকে এবং সেই ভূখন্ডের ওপর অন্য দেশের কোনও আন্তর্জাতিক প্রকল্প মেনে নেওয়াকে নিজেদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস হিসেবেই দেখে।
কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক গত সপ্তাহে দিল্লি সফরে এসে স্পষ্ট করেছেন, তার দেশের কাছে অর্থনীতির দাবি আগে – এবং বাংলাদেশ আশেপাশের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তোলাতেই বেশি গুরুত্ব দেবে।
ফলে গত আট-নবছরে ভারত ও বাংলাদেশ মিলে প্রায় একশোর কাছাকাছি কানেক্টিভিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পর হয়েছে এখন বিসিআইএম করিডরকে ঘিরে দুটো দেশ ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে – আর তার মূলে আছে এই প্রকল্পে চীনের ভূমিকা।
বিতর্কিত কাশ্মীর এলাকার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলে চীনের বেল্ট রোড ইনিশিয়িটেভ থেকে ভারত গত মে মাসেই নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল – আর বিসিআইএমও যেহেতু চীনের সেই উদ্যোগেরই অংশ, তাই ভারত সেখানেও শীতল মনোভাব দেখাচ্ছে।
দিল্লির ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটের মঞ্চে কিন্তু শহীদুল হক পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তারা বিষয়টিকে ভারতের মতো করে দেখছেন না।
হক সেখানে বলেন, “সার্বভৌমত্ব অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভৌগোলিক ও অন্যভাবেও যেহেতু আমরা ছোট দেশ – তাই সেই সীমাবদ্ধতা দূর করতে হলে আমাদের বাকি দুনিয়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতেই হবে। তাই আমাদের এলাকার অন্য অনেক দেশের চেয়ে অনেক আগে আমরা নিজেদের দরজা খুলে দিয়েছি।”
“শেখ হাসিনা সরকারের নীতিও খুব স্পষ্ট, দেশের মানুষের স্বার্থেই আমাদের সংযুক্ত হতে হবে, সার্বভৌমত্বের নামে আমরা বিচ্ছিন্ন থাকব তা হতে পারে না।”
কিন্তু চীনের প্রতি ইঙ্গিত করে ভারতের সাবেক কূটনীতিক তথা সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লীলা পোনাপ্পা বলছিলেন, একটা বহুপাক্ষিক প্রকল্পে কোনও বিশেষ একজন অন্যায় আধিপত্য দেখাবে এটা ভারতের পক্ষে মানা সম্ভব নয়।
পোনাপ্পার যুক্তি, “ঠিক এই কারণেই চীনের বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভ নিয়ে ভারত ধীরেসুস্থে এগোতে চায়। আর ইউরোপের অভিজ্ঞতা আমাদের বলে, ঠিকমতো জমি প্রস্তুত না-করে ও সবাইকে তৈরি হওয়ার সময় না-দিয়ে যদি এগোনো হয় তাহলে দারুণ পরিকল্পনাও মুখ থুবড়ে পড়ে, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নই তখন বড় হয়ে ওঠে।”
তবে বিসিআইএম করিডরকে যে বেল্ট রোড ইনিশিয়িটিভের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে না, চীন এটা স্পষ্টভাবে বললে হয়তো এই সমস্যার সমাধান হতে পারে, মনে করছেন দিল্লিতে আসিয়ান-ইন্ডিয়া সেন্টারের প্রধান ড: প্রবীর দে।
বহু বছর ধরে তিনি এই আলোচনা প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, আর বেল্ট-রোডের অনেক আগে থেকেই যে বিসিআইএম নিয়ে আলোচনা চলছে, সে কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
ড: দে-র কথায়, “বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভ বড়জোর পাঁচ-ছবছরের কনসেপ্ট। প্রথমে ছিল মেরিটাইম সিল্ক রোড, তারপর এল ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড। আর সেই জায়গায় বিসিআইএম নিয়ে আলোচনা চলছে গত কুড়ি বছর ধরে।”
“বিসিআইএমের যে ট্র্যাক টু ফোরাম, যাকে বলা হয় কুনমিং ইনিশিয়েটিভ, তার সূচনা হয়েছিল কুনমিংয়ে ১৯৯৭ সালে। প্রথম বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল কলকাতা থেকে কুনমিংয়ের মধ্যে সড়ক সংযোগ গড়ে তোলা – যাকে বলা হত ট্রান্সপোর্ট করিডর।”

“ইকোনমিক করিডরের ভাবনাটা অবশ্য আরও পরে এল। এই প্রকল্প রূপায়িত হলে বাংলাদেশের জন্য তা যে বিরাট উপকার বয়ে আনবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। তাদের জন্য আরও একটা সুবিধা হল চীনের সঙ্গে তাদের সরাসরি কোনও সীমান্ত নেই … কিন্তু ভারত-চীনের সীমান্ত আছে, আর সেটাও বিতর্কিত”, বলছিলেন প্রবীর দে।
একই ভাবনার শরিক শহীদুল হকও -তিনিও বলছেন বেল্ট রোডের চেয়ে বিসিআইএমের ভাবনা আসলেই অনেক বেশি পুরনো – এবং বাংলাদেশ বহু বছর ধরে বিসিআইএম নিয়ে নিবিড় আলোচনা চালাচ্ছে।
কিন্তু চীনের নতুন পরিকল্পনা সেই আলোচনাকেই এখন থমকে দিয়েছে – এবং প্রস্তাবিত করিডরের দুই গুরুত্বপূর্ণ শরিক দেশ, ভারত ও বাংলাদেশ সার্বভৌমত্বের প্রশ্নটি নিয়ে একমত হতে পারছে না।
অন্যভাবে বললে, বিতর্কিত কাশ্মীরের ছায়া পড়ায় আপাতত আটকে গেছে কলকাতা-ঢাকা-মান্দালে-কুনমিংয়ের সেতুবন্ধন!

সূত্র : বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সভাপতির ছেলে ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’

অনলাইন ডেস্ক : ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর এ দলটির সভাপতি অমিত শাহর ছেলে জয় শাহর ব্যবসা নাটকীয় গতিতে বেড়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর জয়ের কোম্পানির মোট আয় ৫০ হাজার রুপি থেকে ৮০ কোটিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর দ্য ওয়্যারের।

ভারতের রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজে (আরওসি) দাখিল করা নথিতে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতা গ্রহণ ও বিজেপিতে অমিত শাহর সভাপতি হিসেবে পদোন্নতির পর থেকে জয় শাহর মালিকানাধীন কোম্পানির আয় বেড়েছে ১৬ হাজার গুণ।
আরওসি থেকে পাওয়া কোম্পানির ব্যালান্স শিট ও বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৩ ও ১৪ অর্থবছরে জয় শাহর কোম্পানি টেম্পল এন্টারপ্রাইজের লোকসান হয় পর্যায়ক্রমে ৬ হাজার ২৩০ রুপি ও ১ হাজার ৭২৪ রুপি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ওই অর্থবছরে তাদের মোট আয় ছিল ৫০ হাজার রুপি আর লাভের পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৭২৮ রুপি। আর পরের অর্থ বছর ২০১৫-১৬তে কোম্পানির মোট আয় একলাফে দাঁড়ায় ৮০ দশমিক ৫ কোটিতে।
রাজেশ খানডাওয়ালার মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ দশমিক ৭৮ কোটি টাকার অনিরাপদ ঋণ পাওয়ার পরই টেম্পল এন্টারপ্রাইজের আয়ের আশ্চর্যজনক ওই উত্থান হয়। আর রাজেশ খানডাওয়ালা রাজ্যসভার সাংসদ ও রিল্যায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের শীর্ষ নির্বাহী পরিমল নাথাওয়ানির আত্মীয়।
২০১৬ সালের অক্টোবরে জয় শাহর কোম্পানি হঠাৎ ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়। কোম্পানির পরিচালকদের প্রতিবেদনে ঘোষণা দেওয়া হয়, ওই বছরে তাঁদের ১ দশমিক ৪ কোটি রুপি লোকসান হয়েছে এবং আগের বছরগুলোর লোকসানের কারণে কোম্পানির মোট সম্পদ ‘পুরোপুরি হারিয়েছে’।
আয়ের এই বিপুল বৃদ্ধির বিষয়ে জয় শাহর সঙ্গে দ্য ওয়্যারের পক্ষ থেকে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। জয় তখন চলতি পথে আছেন বলে এ বিষয়ে দ্রুত মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। পরে জয়ের আইনজীবী মানিক ডোগরা মানহানির দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করার হুমকি দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest