সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

ভারতে পর্যটন পুস্তিকা থেকে তাজমহল বাদ

উগ্র সাম্প্রদািয়কতার দ্রুত বিকাশ ঘটছে ভারতে।ক্ষমতাসীরদের আগ্রহে তা ক্রমাগত আক্রমণ করেছ দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত ভারতের ভাবমূর্তিেকে। এরই ধারাবাহিকতায় উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পর্যটন বিভাগের নতুন এক পুস্তিকায় বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহল নিয়ে কোনো কথা না থাকায় তা নিয়ে বিস্ময় ও ক্রোধ তৈরি হয়েছে।

সাংবাদিক, রাজনীতিক এবং সাধারণ মানুষের অনেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ নিয়ে ১২ হাজার টুইট হয়েছে।

হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় আসার ছয় মাস পর এই পুস্তিকা প্রকাশ করা হলো।

এই পুস্তিকায় রাজ্যের চলতি এবং আসন্ন বেশ কয়েকটি পর্যটন প্রকল্পের কথা কথা ছাড়াও, বেশ কিছু বিখ্যাত পর্যটন স্পটের উল্লেখ রয়েছে।

এসব জায়গার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ গোরকপুর শহরে যে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, সেই মন্দিরের কথা থাকলেও রাজ্যের সবচেয়ে বিখ্যাত পর্যটন স্থাপনা তাজমহলের কোনো উল্লেখই নেই।

তাজমহল সম্পর্কে যোগী আদিত্যনাথের চিন্তা-ভাবনা খুব স্পষ্ট। জুন মাসে তিনি বলেছিলেন, ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে তাজমহলের কোনো সম্পর্ক নেই।

সপ্তদশ শতাব্দীতে তৎকালীন মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার মৃত স্ত্রীর স্মরণে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।

প্রেরণা বক্সি নামে একজন টুইটারে লিখেছেন, “তাজমহল এখন আর পর্যটন গন্তব্য নয়। ইউনেস্কোর এখন উচিৎ গোরকপুরে যোগী আদিত্যনাথের গোশালাকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসাবে ঘোষণা করা।

ধ্রুব রথি নামে আরেকজন লিখেছেন, “যোগী সরকার আমাদের দেশের ঐতিহ্যকে অসম্মান করেছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এ নিয়ে এখন পরিহাস চলবে।”

মাধু পূর্ণিমা কিশওয়ার নামে একজন লিখেছেন, “তাজমহল নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের এই বিতর্ক তৈরি করা নিতান্তই আহাম্মকি।”

চাপে পড়ে উত্তর প্রদেশ রাজ্য পর্যটন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এই পুস্তিকাটি উত্তর প্রদেশের পর্যটনের কোনো গাইড হিসাবে ছাপা হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে গরু মেরে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র ফাঁস

ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পুলিশ বলছে, গোহত্যার অভিযোগে তারা দুজন হিন্দু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।

একই সঙ্গে একটি ষড়যন্ত্র তাদের সামনে এসেছে যেখানে, যেখানে ওই গরু হত্যা করার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে।

গোন্ডা জেলার পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট উমেশ কুমার সিং বলেন, “কাটরা বাজার এলাকার একটি গ্রাম থেকে রবিবার অনেক রাতে দুটি বাছুর চুরি যায়। তারপরে সেগুলোর গলা কেটে ফেলা হয়। রাসসেবক আর মঙ্গল নামের দুজনকে পালাতে দেখে ফেলেছিলেন কয়েকজন বাসিন্দা। তারাই পুলিশে খবর দেন। দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে”।

ওই দুটি বাছুরের মৃতদেহ পাওয়ার ফলে এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল বলেও স্বীকার করেন মি. সিং।

“প্রচুর পুলিশ পাঠাতে হয়েছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। তবে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ষড়যন্ত্রটা জানা যায়। তারা পরিকল্পনা করেই বাছুর দুটি চুরি করে কেটে ফেলেছিল। একটা বড় কিছু ঘটানোর পরিকল্পনা হয়েছিল, সেটাই এখন জানার চেষ্টা করছি আমরা,” বলেন মি. সিং।

ওই দুই ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার না করা গেলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারত বলেও মি সিং মনে করেন।

শনি আর রবিবার উত্তরপ্রদেশ আর বিহার রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।

ওই সময়টা হিন্দুদের দশেরা, নবরাত্রি, দুর্গাপুজোর মতো বড় উৎসবগুলির মৌসুম। একই সঙ্গে মুসলমানদের মহরমও ছিল একই সময়ে।

কানপুর, বালিয়া এবং আগ্রায় অশান্তি ছড়িয়েছিল। অনেক দোকান, গাড়ি ভাংচুর করা হয়।

আগ্রায় দশেরার অনুষ্ঠানের পরে ক্রমাগত শূন্যে গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগে কট্টর হিন্দুত্ববাদী দুটি সংগঠনের ৮০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিহারের জামুইতেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল দুর্গাপুজো আর মহরমের মিছিল মুখোমুখি এসে যাওয়ায়।
সূত্র: বিবিসি বাংলা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ত্বকের যত্নে আমলকীর গুরুত্ব

আমলকী এমন একটি উপকারী ফল যা শারীরিক বিভিন্ন উপকারের পাশাপাশি রূপচর্চায়ও সমান প্রশংসার যোগ্য। প্রোটিন, মিনারেলস, কার্বহাইড্রেটস এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ এই ফলটি নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে ত্বক এবং চুলের বিভিন্ন সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এবার আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক আমলকীর কিছু গুণ এবং রূপচর্চায় এর ব্যবহার-

১। ত্বক উজ্জ্বল করেঃ আমলকী ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে দারুণ কাজে দেয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করলে একমাসের মধ্যেই ত্বকের পরিবর্তন হয় চোখে পরবে। এছাড়াও আমলকীর রস মুখে সরাসরি ব্যবহার করলে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হয় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

২। ব্রণ দূর করেঃ আমলকীর রস প্রাকৃতিক উপায়ে রক্ত শোধন করতে পারে। ফলে ত্বকের যাবতীয় সমস্যাও দূর হতে সময় লাগে না। এছাড়াও আমলকীর রসের সঙ্গে পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে ব্রণের ওপর লাগালে খুব দারুন উপকার পাওয়া যায়। এই মিশ্রণটি মুখে সারা রাত লাগিয়ে রেখে পরের দিন দিন ধুয়ে নিলে ব্রণ এবং অ্যাকনের মতো সমস্যা থেকে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।

৩। খুশকি দূর করতেঃ এক টেবিল চামচ আমলা পাউডার, ১০ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল, ১০ ফোঁটা নারিকেল তেল, ও ১ চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মেশান। ভালো করে পেস্ট তৈরি করে ব্রাশের সাহায্যে ভেজা চুলে লাগান। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। দূর হবে খুশকি।

৪। কোলাজেনের ঘাটতি দূর করেঃ আমলকীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বকের অন্দরে প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন তৈরি করে, সেই সঙ্গে ত্বকে স্থিতিস্থাপক গুণ বৃদ্ধি করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক ফর্সা হতে শুরু করে।

৫। তৈলাক্ত ত্বকের জন্যঃ আমলকীর রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখলে মুখের কালো ছোপ ভাব দূর হয়। শুধু তাই নয়, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই মিশ্রন খুবই উপকারি ভূমিকা নেয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চলিত মাসে দেশে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে

অনলাইন ডেস্ক : আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কে বলা হয় বর্ষাকাল। এ বছর এই চার মাসে বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৯ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি। অথচ ২০১৬ সালে বৃষ্টি হয়েছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কম। এক বছরের ব্যবধানে বৃষ্টি হয়েছে ২২ শতাংশ বেশি।
ভবিষ্যতে বৃষ্টির মাত্রা বৃদ্ধি পেলে বিপদ আসবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম এম আমানত উল্লাহ খান। তিনি বলেন, ‘গতবার বৃষ্টি কম হয়েছে। এবার বেশি হয়েছে। এমন হতেই পারে। এটিকে অস্বাভাবিক কোনো কিছু মনে হচ্ছে না। তবে আগামী বর্ষা মৌসুমে বা পরের কয়েক বছর বর্ষাকালে বেশি বৃষ্টি হলেই বিপদ।’

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এবার অক্টোবরের প্রথমার্ধে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে। কিন্তু এর পরপরই কয়েকটি নিম্নচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। যার একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

অক্টোবর-নভেম্বর মাসকে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ সময় বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরের মতো ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছিল উল্লেখ করেন তিনি।

আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বরের পর দিনের ব্যাপ্তি কমে রাত বড় হয়। এ সময় সূর্য বঙ্গোপসাগরে লম্বভাবে কিরণ দেয়। আন্দামান সাগর বা এর আশপাশের অঞ্চলে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ জলীয় বাষ্পসহ শক্তিসঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে থাকে। কিন্তু সাগর উপকূলের কাছাকাছি সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করতে পারে না। উপকূলে আঘাত হানার আগেই এ ধরনের নিম্নচাপ বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে যায়।
এবারের পুরো বর্ষাকালে ছিল মৌসুমি বায়ুর দাপট। জুন মাসে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের বিস্তৃত ঘটার পরপরই উত্তর বঙ্গোপসাগর সৃষ্টি হয়েছিল বেশ কয়েকটি নিম্নচাপ। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তাল হয়ে ওঠে বঙ্গোপসাগর। ৩০ মে কক্সবাজারের টেকনাফে ১৩৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। এরপরও ছিল ‘মোরা’র প্রভাব। কিছুদিন পর স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে প্রচণ্ড বৃষ্টি হয় পার্বত্য চট্টগ্রামে। বৃষ্টিকে ১৩ জুন চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও বান্দরবানে পাহাড়ধসে নিহতের সংখ্যা ছিল শতাধিক। পরের মাস জুলাইয়ে অর্ধেক সময়ে বন্যা দেখা দেয় দেশের উত্তর পশ্চিম, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে।

একমাত্র মে মাস ছাড়া বর্ষাকাল শুরুর আগেও এবার প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। মার্চে ১৫২ শতাংশ, এপ্রিলে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়। মার্চ-এপ্রিলের বন্যায় হাওর অঞ্চলে ফসল ও মাছের প্রচুর ক্ষতি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসেই বেশি বৃষ্টি হয়েছে। জুনে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ দশমিক ৭, জুলাইয়ে ৩২, আগস্টে ৩১ দশমিক ৫ এবং সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মৌসুমি বায়ু তুলনামূলক বেশি সক্রিয় ছিল। এ কারণেই বৃষ্টিপাত বেশি হয়েছে। তবে জুন ও সেপ্টেম্বরের তুলনায় জুলাই ও আগস্ট মাসে মৌসুমি বায়ুর দাপট ছিল বেশি। এ সময় বঙ্গোপসাগর থেকে মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে দেশের উপকূল ও মধ্যাঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিও হয়। বেশ কয়েকবার দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যাওয়ার কথা বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

২০১৬ সালে বৃষ্টিপাতের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। আবহাওয়া অধিদপ্তরের থেকে জানা গেছে, গত বছরের জুন মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু জুলাই মাসে ১৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়। পরের দুই মাস আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে আবার বৃষ্টির মাত্রা কমে যায়। আগস্ট ২ দশমিক ২ ও সেপ্টেম্বরে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের পর কোনো কোনো বছর বর্ষাকালে বেশি বৃষ্টি হয়ে থাকে। এবার সেটা হয়েছে। অতীতেও হয়েছিল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের দিক যদি বলতে হয়, তাহলে স্বল্প সময়ে বেশি বৃষ্টি। আবার যে সময়ে বেশি বৃষ্টি হাওয়ার কথা তখন খরার প্রবণতা। এবার হাওর এলাকায় বন্যা ও পরবর্তীকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভূমিধস। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা আছে। কিন্তু ভালো করে গবেষণালব্ধ ফল নয় এটা।
সূত্র: প্রথমআলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আরব বিশ্বে শাকিবের সিনেমা

৬ অক্টোবর মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পাচ্ছে শাকিব খান অভিনীত ছবি ‘নবাব’। খবরটি নিশ্চিত করেছেন এই সিনেমার বিশ্ব পরিবেশক কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বখ্যাত দুটি সিনেমা চেইন ভক্স ও সিটি সিনেমায় আরব আমিরাতের ভক্স দেইরা সিটি সেন্টার (দুবাই) ও ভক্স মেরিনা মল (আবুধাবি) এবং ওমান এর রুই সিটি সিনেমা (মাস্কাট), সোহার সিটি সিনেমা (সোহার) সুর সিটি সিনেমা (সুর) সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হবে ‘নবাব’। এরই মধ্যে সিনেপ্লেক্সগুলোর ওয়েবসাইটে এসেছে ‘নবাব’ ছবির নাম। মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্যিকভাবে এর আগে ‘প্রেমী ও প্রেমী’ এবং ‘পরবাসিনী’ প্রদর্শিত হয়েছে। তবে শাকিব খানের সিনেমা এবারই প্রথম মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

শাকিব খান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের সিনেমা ধীরে ধীরে বাজার তৈরি করতে শুরু করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের বাংলা ভাষাভাষীদের শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা “নবাব” ও আমাদের সব সিনেমা উপভোগ করলে আমরা এগিয়ে যাবই।’ ‘নবাব’ সিনেমায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সাহসী পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান। তাঁর বিপরীতে আছেন ভারতের বাংলা সিনেমার নায়িকা শুভশ্রী গাঙ্গুলী।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ছবিঘরগুলোয় হলিউড-বলিউড এমনকি ভারতের অঞ্চলভিত্তিক ছবি তামিল, তেলেগু, মালায়লাম এবং মিসর ও অন্যান্য আরব ভাষাভাষী চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হলেও বাংলা ছায়াছবি প্রদর্শনীর কোনো উদ্যোগ এত দিন ছিল না। অথচ বাংলাদেশিরা এ দেশে তৃতীয় বৃহত্তম প্রবাসী কমিউনিটি। স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব নিশ্চিত করেছেন, এখন থেকে মধ্যপ্রাচ্যে নিয়মিত বাংলাদেশি সিনেমা বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পাবে।

বিশ্বের বিনোদন বাজারে বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী বাজার গড়ার লক্ষ্যে কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো উত্তর আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ওমানে দেশীয় চলচ্চিত্র মুক্তির পদক্ষেপ নিয়েছে। উত্তর আমেরিকায় এর মাঝেই বাণিজ্যিকভাবে প্রদর্শিত হয়েছে ‘অস্তিত্ব’, ‘মুসাফির’, ‘শিকারী’, ‘আয়নাবাজি’, ‘প্রেমী ও প্রেমী’ এবং ‘পরবাসিনী’। শেষ দুটি ছবি মুক্তি পায় উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে। ‘নবাব’ ছাড়াও নতুন ছবির তালিকায় আছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘ডুব’, ‘স্বপ্নজাল’, ‘হালদা’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলাদেশ-ভারত ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি সই

ভারতের সঙ্গে সাড়ে চার শ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। আজ বুধবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এই চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও ভারতের এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে এই ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এর মাধ্যমে সাত বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো বড় ধরনের ঋণ দিল ভারত, যা তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) নামে পরিচিত।

তৃতীয় এলওসির অর্থ দিয়ে ১৭টি প্রকল্প করার প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছে বাংলাদেশ। তবে ঋণচুক্তিতে কোনো প্রকল্পের নাম থাকবে না বলে ইআরডি সূত্রে জানা গেছে। তালিকায় থাকা প্রকল্পগুলো হলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ অবকাঠামো উন্নয়ন; পায়রা বন্দরের বহুমুখী টার্মিনাল নির্মাণ; বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার ও তীর সংরক্ষণ; বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত দ্বৈতগেজ রেলপথ নির্মাণ; সৈয়দপুর বিমানবন্দর উন্নতকরণ; বেনাপোল-যশোর-ভাটিয়াপাড়া-ভাঙ্গা সড়ককে চার লেনে উন্নীত করা; চট্টগ্রামে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ; ঈশ্বরদীতে কনটেইনার ডিপো নির্মাণ; কাটিহার-পার্বতীপুর-বরনগর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন তৈরি; মোংলা বন্দর উন্নয়ন; চট্টগ্রামে ড্রাই ডক নির্মাণ; মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত চার লেনে সড়ক উন্নীত করা; মোল্লাহাটে ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ; মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন; কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর হয়ে সরাইল পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ১ লাখ এলইডি বাল্ব সরবরাহ প্রকল্প।

কোনো ঋণচুক্তির আওতায় এটিই হচ্ছে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় বড় ঋণ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে ১ হাজার ১৩৮ কোটি ডলারের (বাংলাদেশের টাকায় যা প্রায় ৯২ হাজার কোটি) ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ।

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, আগের দুটি এলওসির মতো তৃতীয় এলওসির শর্ত একই। আগের মতো ভারতীয় ঠিকাদারেরাই প্রকল্পের কাজ পাবে। ঋণের টাকার পূর্তকাজের প্রকল্প হলে ৬৫ শতাংশ মালামাল ও সেবা ভারত থেকে আনতে হবে। অন্য প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ মালামাল ও সেবা ভারত থেকে আনতে হবে। আর ঋণের সুদহার ১ শতাংশ, প্রতিশ্রুতি মাশুল আধা শতাংশ। পাঁচ বছর রেয়াত সময়সহ ২০ বছরে পুরো টাকা পরিশোধ করতে হবে।

আগের দুটি এলওসিতে মোট ৩০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়। গত জুন মাস পর্যন্ত প্রথম এলওসির মাত্র ৩৫ কোটি টাকা ছাড় হয়েছে। প্রথম এলওসির ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৮টি প্রকল্প শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় এলওসির কোনো প্রকল্পে অর্থ ছাড় হয়নি।

২০১০ সালের ৭ আগস্ট দুই দেশের মধ্যে ১০০ কোটি ডলারের প্রথম এলওসি ঋণচুক্তি হয়। পরে অবশ্য ১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার অনুদানে রূপান্তর করে ভারত। ২০১৫ সালের জুন মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় ২০০ কোটি ডলার ঋণ বা দ্বিতীয় এলওসি দেওয়ার সমঝোতা চুক্তি হয়। পরে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি হয়। এ ঋণের আওতায় ১৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় বাংলাদেশ।

সূত্র: প্রথমআলো

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কিউবার ১৫ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটনে কর্মরত কিউবার ১৫ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অভিযোগ, হাভানায় কর্মরত মার্কিন কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে কিউবা।

কিউবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রদ্রিগেজ বলেন, এ সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে কিউবার রাজধানী থেকে অর্ধেকের বেশি কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে নেয়।

সম্প্রতি হাভানায় কর্মরত বেশ কয়েকজন কূটনীতিক অসুস্থ হয়ে পড়েন, যার কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেন, ‘ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও যথাযথ উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে কিউবা। এ কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ আদেশ উভয় দেশের আমাদের কূটনৈতিক কার্যক্রম সমতা আনবে।’ কিউবার কূটনীতিকদের দেশ ছাড়তে সাতদিন সময় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

কিউবায় কর্মরত অন্তত ২১ জন মার্কিন কর্মকর্তা মানিসক অসুস্থতা, কানে শুনতে পাওয়া, ঝিম ঝিম ভাব ও বমির কথা জানায়। এর আগে তাদের ওপর তরঙ্গ হামলা করার কথা বলা হয়েছিল। তবে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘কয়েক দিনের মধ্যে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা’

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে স্পেন থেকে আলাদা হয়ে কাতালোনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির নেতা কারলেস পুজদেমঁ। মঙ্গলবার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

গত রোববার কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটের পর এই প্রথম সাক্ষাৎকার দিলেন কারলেস পুজদেমঁ। তিনি বলেন, তার সরকার এই সপ্তাহের শেষে অথবা এরপরের সপ্তাহের শুরুতে কাজ শুরু করবে।

এরই মধ্যে স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফেলিপ বলেছেন, গণভোটের আয়োজকরা নিজেদের আইনের বাইরে নিয়ে গেছেন। এ গণভোট অবৈধ।

সাক্ষাৎকারে কারলেসের কাছে জানতে চাওয়া হয় স্পেনের সরকার যদি হস্তক্ষেপ করে এবং কাতালোনিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তখন কী করবেন। জবাবে কারলেস বলেন, এটা ভুল হবে, যা সবকিছুই বদলে দেবে।

কাতালোনিয়ার নেতা বলেন, বর্তমানে মাদ্রিদে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তাঁর প্রশাসনের কোনো যোগাযোগ নেই। সোমবার ইউরোপীয় কমিশনের বিবৃতির সঙ্গে তিনি দ্বিমত পোষণ করেন, যাতে বলা হয়েছে কাতালোনিয়ার ঘটনা স্পেনের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। স্পেনের রাজার ভাষণের কিছুক্ষণ পরই কারলেস কথা বলেন।

গণভোটে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে পুলিশ বাধা দেয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় প্রায় ৯০০ জন আহত হয়। এর প্রতিবাদে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। মাদ্রিদে স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, এ গণভোট অবৈধ।

জাতির উদ্দেশে ভাষণে স্পেনের রাজা বলেন, যেসব কাতালান নেতা এ গণভোটের আয়োজন করে তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্রতি অসম্মান করেছেন। তারা আইনের শাসনের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ভেঙেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ কাতালান সমাজ বিভক্ত হয়ে পড়েছে।’ এ ভোট দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কাতালোনিয়ার অর্থনীতিকে এবং পুরো স্পেনকেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

পুলিশের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, কাতালোনিয়ার রাজধানী বার্সেলোনাতেই সাত লাখ মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার তা নিশ্চিত করেনি।

বার্সেলোনার ৫০টির বেশি সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষোভকারীরা। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন সূত্র জানিয়েছে, শহরের সমুদ্র বন্দর স্থবির হয়ে পড়েছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বার্সেলোনার বৃহত্তম পাইকারি খাদ্যের বাজার মার্কাবার্না লোক সমাগম শূন্য। এখানে দিনভর ৭৭০টি খাবার দোকান বন্ধ রয়েছে।

শহরের স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল বন্ধ হয়ে পড়েছে বা ন্যূনতম পর্যায়ে কার্যক্রম চলছে। রোববার গণভোটে পুলিশি বাধার বিষয়টি বিক্ষোভকারীরা অধিকার ও স্বাধীনতা লঙ্ঘন হিসেবেই দেখছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest