সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

মিয়ানমারের ‘আশ্বাসে’ রোহিঙ্গাদের অবিশ্বাস

ন্যাশনাল ডেস্ক : সেনাবাহিনীর নির্যাতন-হত্যা-ধর্ষণের মুখে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নেওয়ার যে আশ্বাস মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে, তাতে খুব বেশি আশার কিছু দেখছে না ‘দেশহীন এই বৃহত্তর জনগোষ্ঠী’।
২৫ আগস্ট নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ সাত হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত ৫০০ জন মারা গেছে, যাদের অধিকাংশই ‘বিদ্রোহী’। অন্যদিকে, জাতিসংঘ এ ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী উদাহরণ’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
যদিও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সেখানে ‘জাতিগত নিধনের’ অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা ‘বিদ্রোহীরা’ দেশটির পুলিশ ও সেনাক্যাম্পে হামলা চালানোর পরই আত্মরক্ষার্থে অভিযান চালানো হয়েছে। এ ঘটনার পর যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করেই ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার।
সবশেষ গতকাল সোমবার ঢাকায় এক বৈঠকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও নোবেল জয়ী অং সান সু চির দপ্তরবিষয়কমন্ত্রী উ কিয়া তিন্ত সোয়ে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। এ ব্যাপারে একটি যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের ব্যাপারেও একমত হয়েছে দুই দেশ। শিগগির তাতে দুই দেশ নাম দেবে। তারাই নির্ধাণ করবে, কী পন্থায়, কারা, কখন কীভাবে রাখাইনে ফিরবে।
মিয়ানমারের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পরই রোহিঙ্গারা ফিরতে পারবে।
‘কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের’ প্রতিক্রিয়ায় আবদুল্লাহ নামের একজন রোহিঙ্গা বলেন, ‘সবকিছুই তো পুড়ে গেছে, এমনকি মানুষও পুড়ে গেছে।’
যদিও ১৯৯৩ সাল থেকেই রোহিঙ্গাদের কোনো নাগরিকত্ব নেই, তবু মিয়ানমার বলছে, যারা মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে প্রমাণ দিতে পারবে, শুধু তাদেরকেই ফিরিয়ে নেওয়া হবে। এর মধ্যেই বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমার যে ঘোষণা দিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।’
২০১৬ সালের অক্টোবরের আগ থেকেই বাংলাদেশে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার বলছে, ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর থেকে বাংলাদেশে যে ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা এসেছে তাদেরকে যাচাই-বাছাইয়ের পর ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি, অনেক রোহিঙ্গার কোনো পরিচয়পত্র নেই। এ ক্ষেত্রে নিয়মের শিথিলতা কাম্য। তারা বলেছে, যৌথ ওয়ার্কিং কমিটিতে যাচাই-বাছাইয়ের কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত থাকবেন, তাঁরাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। বাংলাদেশ চায়, এখানে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যুক্ত হোক।’
মিয়ারমার সরকারের মুখপাত্র জ্যা হ্যতে বলেন, ১৯৯৩ সালের বিধি অনুযায়ী, মিয়ানমারের নাগরিক প্রমাণের জন্য দেশটির যে কোনো হাসপাতালের একটি সনদ থাকাই যথেষ্ট। কিন্তু সেটি বাংলাদেশের হাসপাতালের হলে হবে না।
‘প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের একটি নীতি আছে। আমরা সেই নীতি ধরেই এগিয়ে যাব’, যোগ করেন মুখপাত্র।
রোহিঙ্গাদের কারো কারো কাছে এ ধরনের দলিল-দস্তাবেজ থাকলেও পূর্ণ নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা ব্যতীত মিয়ানমারে ফিরে যেতে তাদের আগ্রহের অভাব রয়েছে।
মিয়ানমার ফিরিয়ে নেবে এ কথা শুনেই অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন ৬০ বছরের বৃদ্ধা আমেনা খাতুন। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা সেখানে ফিরেও যাই, তাহলে আবার ফিরে আসার জন্যই যাব। যদি তারা আমাদের অধিকার দেয়, তাহলে হয়তো আমরা যাব। এর আগেও মানুষ এভাবে গিয়েছে কিন্তু আবার তারা ফিরে এসেছে।’
গত মাসে আনোয়ারা বেগম নামে এক রোহিঙ্গা নারী রয়টার্সকে বলছিলেন, তিনি তিনবার রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে এসেছেন আবার ফিরে গেছেন। ৫৫ বছরের এই নারী প্রথমবার উদ্বাস্তু হয়ে আসেন ১৯৭৮ সালে। কয়েক বছর পর তিনি আবার মাতৃভূমিতে ফিরে যান। সহিংসতার মুখে ১৯৯১ সালের আবার বাড়ি ছাড়তে হয় তাঁকে। ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশে থেকে রাখাইনে ফিরে যান। এবার নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর আবার উদ্বাস্তু হন আনোয়ারা।
‘আমি আর ফিরতে চাই না। আমি ওই (মিয়ানমার) সরকারকে আর বিশ্বাস করি না। আমাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সরকার প্রতিবারই প্রতিশ্রুতি দেয়। আমরা যখন সেখানে ফিরে যাই, তখনই সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে’, যোগ করেন আনোয়ারা।
রাখাইন সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন কমিশন বেশকিছু সুপারিশ করেছে। সেখানে ১৯৮২ সালের যে আইনের বলে রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের উদ্বাস্তু করেছে তা পুনর্বিবেচনার কথা বলা হয়েছে এবং তাদেরকে নাগরিক অধিকার দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবশেষে হানিপ্রীত গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হানিপ্রীত ইনসান অবশেষে ৩৮ দিন পর ধরা পড়লেন ধর্ষণের মামলায় সাজা পাওয়া ভারতের হরিয়ানার স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিম ইনসানের ‘দত্তক কন্যা’ হানিপ্রীত। মঙ্গলবার হরিয়ানা পুলিশ চ-ীগড় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে পুলিশ দেশ দ্রোহিতার অভিযোগ এনেছে। অভিযোগ, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রাম রহিমকে নিয়ে দেশ ছাড়ার চক্রান্তও করেছিলেন তিনি। আর অভিযোগ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকায় যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, এর পেছনেও ছিল হানিপ্রীতের হাত।
হানিপ্রীত ধরা পড়লেন, নাকি ধরা দিলেন, সারা দিন এটাই ছিল আলোচনার বিষয়। জল্পনার কারণ, ধরা পড়ার আগে দিনভর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকার। এই সাক্ষাৎকারগুলোয় তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, বাবা ও মেয়ের পবিত্র সম্পর্ককে কেউ কেউ কীভাবে নোংরা চোখে দেখে। তিনি বলেন, তাঁদের সম্পর্ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারপতির রায়ে রাম রহিম যেদিন দোষী সাব্যস্ত হন, সেদিন হানিপ্রীত হরিয়ানার পাঁচকুলা আদালতে ছিলেন। সেদিনই উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, সেই তা-বের নির্দেশ নাকি হানিপ্রীতেরই দেওয়া। এ অভিযোগ অস্বীকার করে রাম রহিমের পালিত কন্যা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যেভাবে আমাকে উপস্থাপিত করা হচ্ছে, তাতে আমি নিজেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। প্রবল মানসিক চাপে রয়েছি।’ তিনি বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই তিনি আদালত চত্বরে গিয়েছিলেন। অনুমতি নিয়েই রাম রহিমের সঙ্গে হেলিকপ্টারে উঠেছিলেন। আদালতের রায় শুনে ভেঙে পড়েছিলেন। হিংসাত্মক ঘটনার নির্দেশ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
৩৬ বছরের হানিপ্রীতের আসল নাম প্রিয়াঙ্কা তানেজা। বিশ্বাস গুপ্ত নামে একজনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। স্বামী ছিলেন রাম রহিমের ভক্ত ও ডেরা সচ সউদার একনিষ্ঠ কর্মী। রাম রহিমের নজরে পড়তে প্রিয়াঙ্কার দেরি হয়নি। এরপর ক্রমে ক্রমে তিনি রাম রহিমের ঘনিষ্ঠতম হয়ে ওঠেন। নতুন নাম হয় হানিপ্রীত। রাম রহিমের তৈরি মোট ছয়টি সিনেমার তিনিই ছিলেন নায়িকা। বিশ্বাস গুপ্তর অভিযোগ, ডেরায় তিনি নিজে রাম রহিমের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কাকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেছেন। রাম রহিমের চাপেই জোর করে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটানো হয়। এরপর থেকেই হানিপ্রীত স্বঘোষিত ধর্মগুরুর চব্বিশ ঘণ্টার সঙ্গী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির কাদাকাটিতে স্কুল মাঠে চলছে প্রকাশ্য জুয়া ও নগ্ন নৃত্য

আশাশুনির কাদাকাটি থেকে ফিরে মো. বশির আহমেদ : আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের তালবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সার্কাসের নামে চলছে চরম অশ্লীল নগ্ন নৃত্য ও প্রকাশ্য রমরমা জুয়ার আসর। পুলিশের বক্তব্য এরকম কোন সার্কাস বা জুয়ার কথা তারা জানেই না! অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন সার্কাসতো বন্ধ হয়ে গেছে! আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক বশির আহমেদ অবশ্য সেখানে গিয়ে দেখতে পেয়েছেন ভিন্ন চিত্র। সার্কাসের নামে সেখানে অর্ধনগ্ন বিকৃত নৃত্য ও প্রকাশ্য জুয়ার বোর্ড বসেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে চলছে এসব অপকর্ম। আর দেখে না দেখার ভান করছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই।
শারদীয়া দুর্গোৎসব উপলক্ষে মেলার নামে চলছে এসব রমরমা অবৈধ্য ব্যবসা। সম্প্রতি সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে উৎসবের আড়ালে জুয়া, অশ্লীল নৃত্য ও লাটারি এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের তালবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সার্কাস শো এর নাম করে ৭০ থেকে ১০০টাকা টিকিটের বিনিময়ে দর্শকদেরকে ভিতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। কিন্তু ভিতরে প্রবেশ করে দেখা গেছে স্টেজে চলছে কয়েকজন স্থ’লকায় তরুণীর অশ্লীল পোশাকে নগ্ন নৃত্য। এভাবে প্রতিদিন চলছে তিনটি করে শো। আর স্টেজের পাশেই সাজানো হয়েছে রমরমা জুয়ার পশরা। নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করে পাতানো জুয়ার পশরার ফাঁদে পকেট কেটে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিদুল ইসলাম শাহীন এ প্রতিবেদককে বলেন, “আমার জানা মতে এ ধরনের কোন মেলাই চলছে না। তবুও যেহেতু আপনি বলছেন আমি এখনই খবর নিচ্ছি।” তার সাথে কথা বলার প্রায় ৩ ঘণ্টা পরে যখন মঙ্গলবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা হচ্ছে তখনও খবর নিয়ে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর চলছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার সরকার বলেন, “আমি তো জানি ওই সার্কাস বন্ধ হয়ে গেছে। আবার চালু হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।”
অন্যদিকে, মেলা কমিটির সভাপতি দেবব্রত কুমার সানা (দেবু) এ প্রতিবেদকের নিকট দাবি করেন, তারা স্কুল মাঠে সার্কাস চালাচ্ছেন মাত্র। সেখানে কোন অশ্লীল নৃত্য বা জুয়া চলছে না!
এদিকে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, জুয়া ও নগ্ন নৃত্যের জমজমাট আসর পরিচালনা করছেন স্থানীয় ইউপি মেম্বর গোপাল চন্দ্র মন্ডল ও স্থানীয় দেবব্রত কুমার সানা ওরফে দেবু। প্যান্ডেলের ভিতরে জুয়ার পশরা মাতিয়ে রেখেছে আশাশুনি সদরের জবেদ আলী আর নগ্ন নৃত্য মাতিয়ে রেখেছেন তারই পুত্র আরিফুল ইসলাম। স্টেজে চলছে নগ্ন নৃত্য আর স্টেজের পিছনে আরও জঘন্য কারবার চলছেÑ এমনটি অবশ্য দাবি মেলা মাঠের অনেকেরই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায় সব দিক ম্যানেজ করেই চলছে এসকল অবৈধ কারবার। এ নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসরের জন্য স্কুলের মাঠ ব্যবহার করার জন্য প্রতিদিন স্কুল কর্তৃপক্ষকে দিতে হচ্ছে ১০হাজার টাকা।
শুধু উৎসবের আড়ালে নয় উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে প্রতিদিনই গোপনে বসছে জুয়ার আসর। এসকল আসরে সবকিছু হারিয়ে নিঃশ্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ আর লাভবান হচ্ছে বোর্ড মালিক ও আয়োজকরা। উপজেলার সচেতন মহলের দাবি দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্র্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের জীবনে যে অস্থিরতা নেমে এসেছে সেখানে পরিবারের খাদ্য যোগাতে উপার্জনের অর্থ শেষ হয়ে যাওয়া দরিদ্র মানুষের সামান্য রোজগারের অর্থও চলে যাচ্ছে জুয়া ও অশ্লীলতায়। বেড়ে যাচ্ছে পারিবারিক অশান্তি। অসহায় সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়েই জড়িয়ে পড়ছে চুরি, ছিনতাইসহ নানাবিধ অপকর্মের সাথে। অবনতি হচ্ছে উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির।
এই দুষ্ট চক্র যেন এভবে কথিত সার্কাসের নামে নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসর সাজিয়ে দরিদ্র মানুসের কষ্টে অর্জিত অর্থ পকেট কেটে খালী করতে না পারে সেদিকে জেলা প্রশাসকের সজাগ দৃষ্টি কামনা করেছেন উপজেলার সচেতন সমাজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আইনস্টাইনকে সত্য প্রমাণ করে তিন বিজ্ঞানীর নোবেল

বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করে চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী। এ তিন বিজ্ঞানী হলেন রেইনার ওয়েইস, ব্যারি ব্যারিশ ও কিপ থ্রোন।

আজ মঙ্গলবার রয়েল সুইডিশ একাডেমি স্টকহোমে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করেন। পুরস্কার ঘোষণাকালে বলা হয়- এই তিন বিজ্ঞানীর আবিষ্কার মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করা ছিল ইতিহাসে মাইলফলক।

সুইডেনের নোবেল অ্যাসেম্বলির পুরস্কার প্রদানকারী কারোলিনসকা ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, চলতি বছর নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য নয় মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় নয় কোটি টাকা)। পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্যের অর্ধেক পাবেন রেইনার ওয়েইস। ব্যারি ব্যারিশ ও কিপ থ্রোন ভাগাভাগি করে নেবেন বাকি অর্ধেকটা।

এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বিজ্ঞান গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘মেগা প্রকল্প’ মহাকর্ষীয় ত্বরণ শনাক্তকরণ গবেষণাগার (লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্রাভিটেশনাল অবজারভেটরি) বা ‘লিগো প্রজেক্টে’র সাফল্যের স্বীকৃতি পেলেন এই তিন বিজ্ঞানী।

বিশ্বের পদার্থ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জোট ১৯৯৭ সাল থেকে এই প্রকল্প নিয়ে গবেষণা করছে। আর এই গবেষণায় ব্যবহার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত লিগোর মহাকর্ষীয় ত্বরণ শনাক্তকরণ গবেষণাগার।

তাদের গবেষণা ‘লিগো পরীক্ষা’ বিভিন্ন মহাকর্ষীয় তরঙ্গের কাঠামো ও গঠন শনাক্তে সক্ষম। এই তরঙ্গ আবিষ্কারে মহাবিশ্বের সৃষ্টি, ধারাবাহিক পরিবর্তন ও কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

এদিকে সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণার বিষয়বস্তু মহাকর্ষীয় তরঙ্গের আপেক্ষিক ধারণা আইনস্টাইন শতবর্ষ আগেই দিয়েছিলেন।

১৯১৬ সালে আইনস্টাইন প্রথম আপেক্ষিক তত্ত্বের ঘোষণায় মহাকর্ষীয় তরঙ্গের ধারণা দেন। আপেক্ষিক তত্ত্বে বলা হয়, মহাবিশ্বের সৃষ্টি ‘বিগ ব্যাং’-এর সময়ে যে ঢেউ তৈরি হয়েছিল তা-ই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ।

কিন্তু ওই তরঙ্গের অস্তিত্ব প্রমাণ করে যেতে পারেননি আইনস্টাইন। ‘লিগো প্রজেক্টের’ আবিষ্কারের মাধ্যমে তাঁর ওই তত্ত্বটি প্রমাণিত হয়।

নোবেল পাওয়া তিন বিজ্ঞানীই ‘লিগো প্রজেক্টে’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এই লিগো প্রজেক্ট থেকেই ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করেন ‘লিগো প্রজেক্টের’ সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।

২০১৬ সালে প্রথম মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করা গেছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন জানানো হয়, এই তরঙ্গের ওপর ভর করেই চলছে মহাবিশ্ব। পৃথিবীর ঘূর্ণন, গ্রহ-নক্ষত্রের গতি সব কিছুই ঘটছে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের কারণে। বিজ্ঞানীরা তখন জানিয়েছিলেন, মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করার মাধ্যমে আইনস্টাইনের তত্ত্ব নির্ভুল প্রমাণিত হলো।

গত বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল জিতেছিলেন তিন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ডেভিড জে থউলেস, এফ ডানকান এম হ্যালডেন ও জে মাইকেল কস্টারলিৎজ। পদার্থের বিশেষ ঘনীভূত অবস্থা নিয়ে গবেষণা করে নোবেল পেয়েছিলেন তাঁরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে কাঁকশিয়ালী নদী তীরে হবে মুক্তিযোদ্ধা ইর্কোপার্ক

কালিগঞ্জ ব্যুরো : কালিগঞ্জ উপজেলা সদরের উপর দিয়ে প্রবাহিত কাঁকশিয়ালী ও যমুনা নদীর পলিতটের মোহনায় মুক্তিযোদ্ধা ইর্কো পার্ক তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন, কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহমেদ মাছুম, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ সোহরাওয়ার্দী পার্ক সংলগ্ম যমুনা নদীর অববাহিকায় মুক্তিযোদ্ধা ইর্কো পার্ক তৈরির জন্য নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করেছেন। কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান এ প্রতিনিধিকে জানান, মুক্তিযোদ্ধা ইর্কো পার্কটি কাঁকশিয়ালী নদীর গাঁ ঘেঁষে বালি ও মাটি দিয়ে ভরাটের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। পার্কটি দৃষ্টিনন্দন কারার জন্য নদীর পাশে ঝুলান্ত ব্রিজ, নৌকা ভ্রমণের জন্য সিড়ির ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া পার্কের মধ্যে দর্শনার্থীদের বসার জন্য ছোট ছোট একাধিক গোলঘর, ফুলের টব, লাইটিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। সকাল ও বিকালে পার্কের মধ্যে শরীর চর্চার জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হবে। স্টিলের গ্রীল দিয়ে পার্কের চারি-পাশে বেস্টনী থাববে। এছাড়া দর্শনার্থী ও ভ্রমণ পিপাষুদের জন্য থাকবে খাওয়ার ক্যান্টিন ও নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে এলাকার মানুষেসহ দুর-দুরান্ত আশা ভ্রমণ পিপাষুদের চিত্ত বিনোদন ও ভ্রমণের জন্য একটি মনোমুগ্ধকর বিনোদন মুলক ইর্কো পার্ক তৈরি করা হবে। ৮ থেকে ৮০ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মিলন মেলা বসবে এই পার্কে। ইতিমধ্যে কাঁকশিয়ালী নদীর সামনে জেলা পরিষদের ডাক বাংলা থেকে কালিগঞ্জ প্রেসক্লাব কর্নার পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা ইর্কো পার্কটি নিমার্ণের মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কালিগঞ্জ প্রাণ কেন্দ্রে কাঁকশিয়ালী ও যমুনা নদীর মোহনায় অবস্থিত এই পার্কটি তৈরি হলে উপজেলার শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ঈশ্বরীপুর একাদশ জয়ী

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জের কুশুলিয়া কসমস ক্লাব আয়োজিত চার দলীয় লক্ষ টাকার ফুটবল টুর্র্নামেন্টের সেমি-ফাইনাল খেলায় ইশ্বরীপুর ফুটবল একাদশ ৪-০ গোলে ধুলিহরপুর ফুটবল একাদশকে পরাজিত করেছে। কুশুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় সেমিফাইনাল খেলায় ঈশ্বরীপুর ফুটবল একাদশ ও ধুলিহরপুর ফুটবল একাদশ একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। হাজার হাজর দর্শকের উপস্থিতিতে ধুলিহরপুর ফুটবল একাদশকে হারিয়ে ঈশ্বরীপুর ফুটবল একাদশ ফাইনালে উঠে। কুশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী কাওফিল অরা সজলের সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিন। ব্যাপক উত্তেজনাপূর্ণ এই খেলাটির পরিচালনা করেন ফিফা রেফারি শেখ ইকবাল আলম বাবলু এবং তার সহযোগী ছিলেন রেফারি সুকুমার দাশ বাচ্চু ও মোমিনুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সেই বাল্যবিবাহকে আমি মানতে পারিনি : এভ্রিল

৬৭তম ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আয়োজন করা হয় ‘লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ শিরোনামের একটি প্রতিযোগিতা।

প্রায় দেড় মাস যাচাই-বাছাইয়ের পর গত শুক্রবার ঘোষণা করা হয় প্রতিযোগীর নাম। বিজয়ী হন চট্টগ্রামের মেয়ে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। তবে প্রথমে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হিমি নন, বিজয়ী হয়েছেন এভ্রিল। আর হিমি হয়েছেন দ্বিতীয় রানারআপ। তবে এই বিতর্ককে ছাপিয়ে ওঠে এভ্রিলের বিয়ের খবর। নিয়ম অনুযায়ী এই প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণকারীকে হতে হবে অবিবাহিত। বিয়ের খবর গোপন রাখার খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে। সেটারই জবাব দিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে আসেন এভ্রিল।

ফেসবুক লাইভে এভ্রিল বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের সামনে এখন কে বসে আছে? জান্নাতুল নাঈম। জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। যে কিনা পৃথিবীর সব মানুষের কাছে এখন সম্মান রেখে কয়েকটা কথা বলতে চাচ্ছে। আর চুপ করে থাকতে পারিনি। জানি, আপনাদের অনেকের অনেক ধরনের প্রশ্ন আমার কাছে আছে। কেন আমি বিয়ের কথা গোপন রেখেছি। কেন আমি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। আমি ছোটবেলা থেকে কখনোই কোনো বাধা-বিপত্তির কাছে মাথা নিচু করিনি। কখনোই না। এখনো পর্যন্ত। যখনই বাধা-বিপত্তি এসেছে, চুপ করে সেটার বিপরীতে গিয়ে বারবার নিজেকে শুধরে নিয়েছি। বারবার নিজেকে আমি পরিবর্তন করেছি।’

নিজের বিয়ে প্রসঙ্গে এভ্রিল বলেন, ‘১৬ বছরের একটা মেয়েকে তার বাবা জোর করে বিয়ে দিচ্ছে। সেই মেয়ে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসেছে। আজ সেই মেয়ে এখন সাকসেসফুল। সেই মেয়ে তাঁর সমাজের কোনো কথা শোনেনি। সেই মেয়ে আশপাশের মানুষ কী বলেছে সেটাও কানে নেয়নি। তার একটাই উদ্দেশ্য ছিল—যেখানে ১৯ কোটি মানুষের বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ একটা দৈনন্দিন যন্ত্রণার ঘটনা, সেখানে সেই বাল্যবিবাহকে আমি মানতে পারিনি। বাংলাদেশেও আইন আছে। ১৬ বছরের একটা মেয়েকে বিয়ে দিলে সেই বিয়ে হয় না। সেটা বাল্যবিবাহ হিসেব গণ্য। আমি চেয়েছিলাম সেটার বিপরীতে কাজ করতে। আমি প্রত্যেকটা মেয়েকে এটাই বোঝাতে চেয়েছি, একটা মেয়ে চাইলে অনেক কিছু করতে পারে।’

দেশে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে এভ্রিল যোগ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে একটা মেয়ে চাইলে অনেক কিছু পারে। বেগম রোকেয়ার মতো একটা মেয়ে চাইলে অনেক কিছু পারে। চাইলে নিজেদের অধিকার নিজেই আদায় করে নিতে পারে। সে ডিভোর্সি হোক সে ম্যারিড হোক। সে অন্য কেউ হোক। এনিথিং। আমি ডিভোর্সি, ফাইন। আমি একটা মেয়ে। আমি একটা মানুষ। মানুষ হিসেবে আমার তো অধিকার আছে একটা ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্মে গিয়ে নিজেকে উপস্থাপন করা। কই আমি তো নিজে জন্য কিছু চাইনি। আমি চেয়েছি দেখাতে একটা মেয়ে চাইলে কী কী করতে পারে।’

এদিকে, এভ্রিলের বিয়ের খবর প্রকাশের পর বিষয়টি মূল আয়োজকদের জানানো হবে বলে বলেন ‘লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’–এর আয়োজক স্বপন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যদি তাঁর বিয়ের খবর সত্য হয়, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী যা করতে হবে আমরা তা-ই করব। আমরা তাঁর ব্যাপারে আগামীকাল লন্ডনের আয়োজকের সঙ্গে আলাপ করব। তাঁরা যেটা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই চূড়ান্ত হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়তে কাজ করবে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড-জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সদস্যরা জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত দেশ গড়তে সাহায্য করবে। তারা মানুষকে দেখাবে একটি আলোকিত পথ। একই সাথে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে কাজ করে যাবে।
মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ১১ নং ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন কমান্ড সদস্যদের উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.নজরুল ইসলাম এ কথা বলেন। তিনি বলেন তারা দেশের কৃতী সন্তানদের সন্তান। তাদের পিতার মতো তারাও নিখাদ দেশপ্রেমিক উল্লেøখ করে তিনি বলেন তারা দেশের সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে এক সাথে কাজ করবেন। তিনি আরও বলেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সদস্যরা বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাবে।
এর আগে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন কমান্ডের সভাপতি আবদুল খালেক ও সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবির লিটুর নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মকর্তা সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষে যেয়ে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি মো. সরোয়ার খান, সহ সাধারন সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য অজিত কুমার ও মো. আবদুর রাজ্জাক। মো. নজরুল ইসলাম তাদেরকে শিক্ষিত সুনাগরিক হিসাবে গড়ে ওঠার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
পরে তারা একইভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভিন সেঁজুতিকে। এ সময় তারা তাদেরকে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজে সহযোগিতা করার আহবান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest