সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

তালায় নারীদের মাঝে চারা বিতরণ

তালা প্রতিনিধি : বেসরকারি সংস্থা দলিত’র উদ্যোগে সংস্থার টিপসি প্রকল্পের আওতায় তালায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির নারীদের মাঝে বিভিন্ন প্রজাতীর গাছের চারা বিতরন করা হয়েছে। দাতা সংস্থা ফাউন্ডাজিন সেন সানজিনো অনলুস-ইটালী এর অর্থায়নে উপকারভোগীদের “কৃষি ও বাগান পরিচর্যা” বিষয়ক ৫দিনের প্রশিক্ষণ শেষে রোববার সকালে তালা উপশহরের দলিত অফিসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গাছের চারা বিতরণ করা হয়। তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গাছের চারা বিতরণ উদ্বোধন করেন। দলিত’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফাহমিদ খাতুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, তালা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মো. সামছুল আলম, তালা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সটেক্টর মো. ইমান উদ্দীন ও তালা রিপোটার্স ক্লাবের সদস্য সচিব বি. এম. জুলফিকার রায়হান। দলিত’র সিডিও গোপী নাথ এর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে দলিত কর্মকর্তা শাওন শাহা, উপকারভোগী নারী কমলা রাণী দাশ, শোভা রানী দাশ ও বিশুকা দাশ প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে উপকারভোগী ৬০জন নারীর মাঝে আম, কাঠাল, জাম, জামরুল, লিচু, নারীকেল ও আমলকী সহ ১৬ প্রজাতীর গাছের চারা ও বীজ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ঘোষ সনৎ কুমার বলে, গাছ রোপনের মাধ্যমে শবুজ পরিবেশ সৃষ্টি এবং খাবার জন্য নিরাপদ ফল ও শব্জি হিসেবে নিজেদের চাষ করার বিকল্প নেই। এজন্য বাড়ির আঙ্গীনা সহ পরিত্যাক্ত জমিতে অধিক পরিমানে ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপন এবং শব্জি চাষ করতে হবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া দরিদ্র নারীদের গাছ রোপন ও শব্জি চাষের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করে উপকারভোগীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করায় তিনি বেসরকারি সংস্থা দলিত’কে ধন্যবাদ জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা সীমান্তে খারঘাট দিয়ে পাচার হচ্ছে ইলিশ আসছে মাদক

নিজস্ব প্রতিনিধি : ইছামতি সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে ইলিশ। ইলিশ চোরাচালানিরা দিনে দিনে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাছ বিক্রির পর ওই টাকা দিয়ে ভারত থেকে আনা হচ্ছে ফেনসিডিলসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য। এতে করে একদিকে দেশের ইলিশ বাইরে চলে যাচ্ছে অন্যদিকে মাদকের প্রভাবে ধ্বংস হচ্ছে দেশের যুবসমাজ। বিজিবি অভিযান চালিয়ে মাঝে মধ্যে দু’একটি চালান আটক করলেও অধিকাংশ সময়ই চোরাচালানিরা রয়ে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
স্থানীয়রা জানান, প্রথমে ইলিশ মাছ পাচার হতো মোটর সাইকেল যোগে। এরপর শুরু হয় প্রাইভেটকার যোগে। বর্তমানে যাচ্ছে দেড় থেকে দুই টনি মিনি পিকআপ ভ্যানে। প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের বড় বাজার থেকে ইটাগাছা বাজার রোড হয়ে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়ক দিয়ে বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছ পাচার হচ্ছে।
আরো জানাগেছে, ইছামতি নদীর সীমান্তবর্তী সোলপুরের খারঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে ইলিশ এবং ভারতের হেমলগঞ্জ ঘাট দিয়ে চোরাই পথে আসছে মাদক। পূজাকে ঘিরে ভারত থেকে আসছে ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, কাপড়, থ্রি-পিচ, এ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হাড়ি, কড়াই, জিরা, গোলা বারুদ, বাজি, গাড়ির টায়ার, মাছের পোনাসহ বিভিন্ন পণ্য।
সীমান্তরক্ষী বিজিবি’র টহল ও কঠোর নজরদারী থাকা সত্ত্বেও বিজিবি’র চোঁখ ফাকি দিয়ে রাতের আঁধারে চোরাকারবারী গডফাদার চক্র কালো বাজারী করছে। খারঘাট সীমান্ত চোরাঘাট নিয়ন্ত্রণ করেন সেখানকার ঘাটমালিক ফারুক হোসেন, শাহাজান আলী, মাহবুব আলম খোকন ও সাতক্ষীরার জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কয়েক জন ব্যক্তি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ভাই চোরাইভাবে ঘাট চলছে, বর্তমানে আমি ঘাট চালাচ্ছি না। তবে কারা ঘাট চালাচ্ছে আমি সঠিক বলতে পারবো না।
এবিষয়ে সোলপুর বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার সাইদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সবে ১মাস এ ক্যাম্পে যোগদান করেছি। এ ধরনের কোন তথ্য আমার জানা নেই। চোরাচালানী ও মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে বিজিবি সর্বদা তৎপর রয়েছে। তাছাড়া এ ক্যাম্পে আমার যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছি। যার মধ্যে মাদকদ্রব্য বেশি। তবে সাম্প্রতিক ৫৭০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করতে সক্ষম হয়েছি। বিজিবিকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে চোরাচালান নির্মূল করা সম্ভব হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় প্রতিবন্ধী স্বাস্থ্য কমিটির সভা

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় প্রতিবন্ধীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করণ ও পুনর্বাসন সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রতিবন্ধী স্বাস্থ্য কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্সের সভা কক্ষে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণালয় ও সিবিএম’র সহযোগীতায়, বেসরকারি সংস্থা ডিআরআরএ’র পরিচালনায় এবং আস্ট্রেলিয়ান এইডের অর্থায়নে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন। অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন ডিআরআরএ’র জেলা ম্যানেজার আবুল হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মেহেদী হাসান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধির কুমার গাঈন, সাবেক সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব সালামাতুল্লাহ গাজী, দেবহাটা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, ডিআরআরএ’র সহকারী পরিচালক দেবেশ দাস, কমিউনিটি মবিলাইজার করবী স্বর্ণকার, এমএসআই অফিসার এহছানুল করিম, ডিপিও সদস্য মনোয়ারা খাতুন, সাবিয়া সুলতানা, রেশমা পারভীন, আসের আলী প্রমূখ। সভায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সেবা সমূহের অর্জন নিয়ে আলোচনার করা হয়। পাশাপাশি সখিপুর হাসপাতালটি প্রতিবন্ধী বান্ধব করতে হাসপাতালের সম্মুখে র‌্যাম তৈরী, প্রতিবন্ধীদের জন্য টিকিট ও ঔষধ প্রাপ্তি, বিশেষ বেড বরাদ্ধ, প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার উপযোগী টয়লেট নির্মান করা হয়েছে বলে জানানো হয়। তাছাড়া চলতি মাসে ৮ জন প্রতিবন্ধীকে বিভিন্ন সহায়তাকারী উপকরণ দেওয়া হয়েছে এবং আরো একটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতেমধ্যে দেবহাটায় প্রতিবন্ধীদের বাছায় করে বিভিন্ন উপকরণের সেবা প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালে প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্রে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করছে বলে জানানো হয়েছে ডিআরআরএ’র পক্ষ থেকে। পরে প্রতিবন্ধী স্বাস্থ্য সেবা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা শেষে প্রতিবন্ধী শনাক্তকরণ ও সেবা প্রদান পুনর্বাসন বিষয়ক মডিউল প্রদান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ৬ ব্যক্তি আটক

কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়ায় পৃথক অভিযানে ৬ ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। উদ্ধার করেছে ফেনসিডিল ও মোটরসাইকেল।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
রবিবার থানা সূত্র জানায়- কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব দেব নাথের নির্দেশনায় এসআই আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে এএসআই নূর আলী, এএসআই গোপাল চন্দ্র বৈদ্য শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর উত্তর পাড়া (মাঠপাড়া) গ্রাম থেকে আনোয়ার হোসেন (২৬) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে। সে পৌরসদরের গদখালী গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র। এসময় তার কাছ থেকে ৫ বোতল ফেনসিডিল ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, অপর অভিযানে উপজেলার মুরারিকাটি গ্রামের বধই মন্ডলের ছেলে জামির হোসেন, মির্জাপুর গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে আজিমুজ্জামান, ভাদিয়ালী গ্রামের শহর আলীর ছেলে মনি দালাল, ঝিকরা গ্রামের মৃত মশিয়ার মোড়লের ছেলে আলিক মোড়ল, কাজী হেলালের ছেলে কাজী বাবুকে আটক করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ও মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সভা

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকাল ৫টায় বুধহাটাস্থ আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাব হলরুমে এ সভার আয়োজন করা হয়। রিপোটার্স ক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহসভাপতি আইয়ুব হোসেন রানার পরিচালনায় এসময় বত্তব্য রাখেন সেক্রেটারী সোহরাব হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ বাদশা, অর্থ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক প্রভাষক মোখলেছুর রহমান ময়না, দপ্তর সম্পাদক এম এম নূর আলম ও নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ আলমিন হোসেন ছট্টু। সভায় ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় ক্লাবের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালতলা হাইস্কুলে প্রকৃতি ও পুষ্টির গল্পের আসর

ডেস্ক রিপোর্ট : ‘ডুমুর ডায়বেটিসের প্রতিষেধক। মালঞ্চ শাক শরীরের ক্ষত সারাতে কাজ করে, কচুর পাতা চোখের জন্য ভাল, আর পেপুল সর্দি-কাশি দূর করে।’
এছাড়া রয়েছে অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ ব্রাহ্মি, কলমি, দস্তা কচু, হেলাঞ্চ, সাঞ্চি, বেতশাক, কলার মুচা, ডুমুর, বউটুনি, শাপলা, ঘ্যাটকল, কাটানটি শাকসহ নানা প্রজাতির অচাষকৃত শাক লতা-পাতা।
আর এসব শাক লতা-পাতার ওষুধি ও খাদ্যগুণ মুগ্ধ হয়ে শুনছিল শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহরতলীর তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বারসিক ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লাইড স্ট্যাডিজ এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম আয়োজিত ‘এসো প্রকৃতিকে জানি, পুষ্টির গল্প শুনি’ শীর্ষক প্রকৃতি ও পুষ্টির গল্পের আসরে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শাক লতা-পাতার পুষ্টিগুণ তুলে ধরে পুষ্টির ফেরিওয়ালা খ্যাত যুব উদ্যোক্তা রুহুল কুদ্দুস ও বাবর আলী।
তারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত অচাষকৃত এসব শাক লতা-পাতার গুরুত্ব তুলে ধরে বাড়ির পতিত জমিতে সংরক্ষণ ও নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করে রোগ মুক্তি বা পুষ্টির চাহিদা পূরণের আহবান জানান।
এর আগে শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম।
আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক দেবেস রঞ্জন, মঙ্গল কুমার সরকার, এসএম মর্তজা সানা, রবিউল ইসলাম, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, গাজী শাহরিয়ার সোহাগ, মৌ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের যুব সংগঠক ফজলুল হক, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর মাহিদা মিজান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নলতায় শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন

তরিকুল ইসলাম লাভলু : ধর্ম যার যার উৎসব সবার এমনি প্রত্যয়ে ঘরে ঘরে খুশির আমেজ নিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা পালনের জন্য সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের নলতা কালিমাতা পূজামন্ডপে ও নলতা চৌমোহনী পূজা মন্ডপে সম্পন্ন করা হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ।
নলতা কালিমাতা মন্দির কমিটি ও যুব কমিটির আয়োজনে নলতা কালিমাতা সার্বজনীন পূজামন্ডপসহ একাধিক জায়গায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে শারদীয়া দুর্গোৎসব পলিত হবে। নলতা কালিমাতা মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা, আনন্দঘন পরিবেশে ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা পালনের জন্য পূজা মন্ডপগুলো ও বিভিন্ন জায়গায় বিশাল আকৃতির গেট ও প্যান্ডেল চোঁখ জুড়ানো সাজে সজ্জিত হয়েছে। নলতা কালিমাতা পূজা মন্ডপের প্রধান প্রবেশ পথে প্রায় দুই লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে বিশাল আকৃতির গেট। ডিজিটাল লাইটিংয়ের মাধ্যমে মায়ের প্রতিমা দর্শনসহ ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নামকরা শিল্পীদের নিয়ে মনোজ্ঞ সঙ্গীত সন্ধ্যার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। পূজামন্ডপ এলাকায় বিভিন্ন দোকানীরা ইতোমধ্য ক্রেতাদের মন সন্তুষ্ট করার জন্য দোকানগুলো বিভিন্ন সাজে সজ্জিত করেছে। ছোটরা অধির আগ্রহে আনন্দঘন এই দিনটি গুনছে কবে আসবে সেই আনন্দঘন শারদীয় উৎসবের দিনটি! পূজায় যেয়ে নিজেদের পছন্দের খাবার ও রং বেরংয়ের খেলনা কিনবে এমনই প্রত্যাশা তাদের ।
পূজায় দর্শনার্থী নারী, পুরুষ ও শিশু তথা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষেরা যাতে নির্বিঘেœ পূজা দেখাসহ স্বাচ্ছন্দে ঘোরাফেরা করতে পারে সেজন্য আয়োজক কমিটির আহবানে মন্ডপগুলোতে বিভিন্ন স্তরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তার জন্য তৎপর থাকবে বলে থানা সুত্রে জানা গেছে। শারদীয় দুর্গাপূজার সার্বিক বিষয়ে নলতা কালিমাতা মন্দির কমিটির সভাপতি বাবু নির্মল কুমারের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, সকলের সহাযোগিতায় বিগত বছরের চেয়ে আরো জাঁকজমক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবছর শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশা রাখি।
এছাড়া যার যার ধর্ম পালনে যাতে কোনো ধরণের বিঘœ না ঘটে সেজন্য ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য অনুযায়ী মুসলিম সম্প্রদায়ের আযান ও নামাজের সময় পূজা মন্ডপগুলোতে নিরবে উৎসব পালন, পূজাকে কেন্দ্র করে কোনো জুঁয়ার আসর না বসানো,শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করতে বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মন্ডপগুলোতে নারী-পুরুষ চলাচলে বাড়তি দৃষ্টি রাখা, নিরাপত্তার প্রয়োজনে পূজার সময় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে এক অপরের মধ্যে সম্প্রীতির ভাব বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি উদাত্ম আহবান জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
এদিকে হিন্দু বা সনাতন ধর্মাাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গোৎসব নির্বিঘেœ পালনের জন্য সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলাদেশের মানুষের মত এমন মমত্ববোধ জীবনে দেখিনি

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি জানিয়েছেন, শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ যে মমত্ববোধ দেখিয়েছেন— তা তিনি তার কর্মজীবনে কখনো দেখেননি। গতকাল দুপুরে কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘জাতিসংঘের অধিবেশন সমাপ্ত না করেই আমি বাংলাদেশে চলে এসেছি। আমি সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী ছিলাম। তার সঙ্গে দেখা করেছি। আমি আবারও বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। কারণ এবারই প্রথম নয়, এর আগেও শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দিয়েছিল। বিশ্বের অনেক দেশ যেখানে শরণার্থীদের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন, সেখানে বাংলাদেশ সরকার ও মানুষ যে ভ্রাতৃত্ব ও মমত্ববোধ দেখিয়েছে, তা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। ’ গ্র্যান্ডি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে ত্রাণ তৎপরতা কিছুটা অগোছালো মনে হয়েছে। কিন্তু মানুষের সহযোগিতা খাটো করে দেখা যাবে না। এই মুহূর্তে এ সহযোগিতার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা যুক্ত হওয়া প্রয়োজন। ’ তিনি জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যখন তার কথা হয়েছে, তখন তিনি সমস্যা সমাধানের বিষয়টি মাথায় রাখার অনুরোধ করেছেন। এ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্য সুস্পষ্টভাবে মিয়ানমারের সহিংসতা দায়ী। এখনই সহিংসতা বন্ধ করতে হবে এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে রাখাইনের উত্তরে প্রবেশ করতে দিতে হবে। ইয়াঙ্গুনে ইউএনএইচসিআরের অফিস আছে কিন্তু তাদের চলাচল নিয়ন্ত্রিত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ্পোকে শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি মনে রাখতে বলেছেন। তার মতে, প্রত্যাবাসনের শুরুতেই যে সমস্যার সমাধান করতে হবে— তা হচ্ছে নাগরিকত্বের ইস্যু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest