সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

কলারোয়ায় আসন্ন দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

কলারোয়া ডেস্ক : আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনিরা পারভীন। উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন।
সভায় শান্তিপূর্ণভাবে দূর্গোৎসব পালনে উপজেলার পূজা মন্ডপগুলোতে আইনশৃংখলা সমুন্নত রাখাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ¬ব দেব নাথ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সাহা, সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্দ্বিপ রায়, পৌর কাউন্সিলর সন্ধ্যা রানী বর্মন, উপজেলা আ.লীগের সাবেক আহবায়ক সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি আজাদুর রহমান খাঁন চৌধুরী পলাশ, আ.লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান, ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মফে, ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন আল মাসুদ বাবু, ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার নুরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলাম, আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ সরদার, ইউপি চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় আ.লীগের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার ৫নং কেঁড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক আফজাল হোসেন হাবিল এবং ১২নং যুগিখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অবশ্য সভায় উপজেলা আ ’লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তার পক্ষীয় নেতারা অনুপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন।
সভায় উপজেলা আ.লীগের সাবেক আহবায়ক সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি আজাদুর রহমান খাঁন চৌধুরী পলাশ, আ.লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান, ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মফে, ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন আল মাসুদ বাবু, ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার নুরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলাম, আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ সরদার, ইউপি চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলামসহ আ.লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভাটি পরিচালনা করেন উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল আলম মলি¬ক রবি।
সভায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানের নামে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, ন্যায়বিচার ও পার্লামেন্টগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে- ভুটানে এমপি রবি

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : ভুটানে এশিয়ান পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি (এপি.এ) সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক বৈঠকে বাংলাদেশের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিত্ব করতে যোগ দিয়েছিলেন সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তিনি বাংলাদেশের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন।
তার বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এশিয়া মহাদেেশ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয়, স্বাস্থ্যখাতে সহযোগতিা, এশিয়ার অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা ও জোরদার করার বিষয় তুলে ধরেন। শান্তিভিত্তিক ন্যায়বিচার ও পার্লামেন্টগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক, শান্তি ও নিরাপত্তা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও টেকসই উন্নয়ন, জ¦ালানি, আন্ত সম্পর্কের সংলাপ, জনগণের সাথে যোগাযোগ, সাধারণ আইন এবং এশিয়ান শিল্পীদের জন্য পুরস্কার প্রদানের আহ্বান জানান এমপি রবি।’ এমপি রবি ভূটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে’র আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগদেন এবং মতবিনিময় করেন।
কর্মশালায় প্রত্যাশিত নয়টি রেজুলেশন গ্রহনের মধ্য দিয়ে এশিয়ান পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলির (এপিএ)সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক বৈঠকে স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক সফলতার সাথে শেষ হয়েছে। এছাড়াও দুই দিনব্যপী এই বৈঠকের শেষ দিনে রাশিয়ার প্রস্তাবিত আরেকটি রেজুলেশনও সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় এবং এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আলোচনা তুললে ১১টি দেশের প্রতিনিধিরা তা সমর্থন দেন। এপিএ কমিটির পরবর্তী বৈঠক হবে ২০১৮ সালে কম্বোডিয়ায়। এতেও নেতৃত্ব দিবেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
উল্লেখ্য , গত ২৮ আগস্ট সোমবার সকাল ৯টায় হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে ভূটানের ড্রুক এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে যাত্রা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বলাডাঙ্গা ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ঝাউডাঙ্গা ব্যুরো : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের বলাডাঙ্গা ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শোক সভা, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও ইউপি সদস্য মরহুম আব্দুল খালেক’র রুহের মাগফিরাত কামনা করে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছাতিয়ানতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাধবকাটি সাহিত্য পরিষদের সাবেক সভাপতি মাস্টার মো. আমিনুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষক ইছাহক আলী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ, ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎশাহী সদস্য মো. ইউসুফ আলী, আইয়ুব আলী, মরহুমের বড় পুত্র মো. শহিদুর রহমান, আলহাজ্ব মো. অাফিল উদ্দীন প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মো. আব্দুল কুদ্দুস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা ইস্যুতে অমানবিক অবস্থানে রাশিয়া

রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধানে যেখানে পুরো বিশ্ব কথা বলছে, কেউ হস্তক্ষেপ করছে, কেউ হস্তক্ষেপ চাইছে, সেখানে একে মিয়ানমারের ‘ব্যক্তিগত’ বিষয় উল্লেখ করে সেখানে কাউকে না জড়ানোর আহ্বান করেছে রাশিয়া।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা শুক্রবার সরকারের এমন দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানান বলে জানিয়েছে স্পুতনিক নিউজ ও বার্তা সংস্থা তাস।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জাখারোভা বলেন, ‘এটা মনে রাখা খুব জরুরি যে, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ইচ্ছা পোষণ করলে আন্তঃধর্মীয় বিবাদ আরও বাড়বে। আমার মনে হয় আমাদের দরকার মিয়ানমারে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ আয়োজনের চেষ্টাকে গুরুত্ব দেয়া, যেখানে সব বিশ্বাসের ধর্মীয় নেতাদের অংশগ্রহণ থাকবে।’

মস্কো আন্তঃধর্মীয় সংলাপের পক্ষে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মুখপাত্র বলেন, মিয়ানমারের বিভিন্ন মুসলিম নৃগোষ্ঠীর নেতৃত্ব দানকারী সংগঠনগুলোর প্রকাশিত সমন্বিত বিবৃতি সম্পর্কে রাশিয়া জানে। ওই বিবৃতিতে মৌলবাদীদের দ্বারা রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে।মিয়ানমার-রোহিঙ্গা-রাশিয়া

‘আমরা (রাশিয়া) মিয়ানমার সরকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করছি এবং জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি যেন ধর্মীয় নেতারা কোনো চরমপন্থি শক্তির উস্কানিকে গুরুত্ব না দেন,’ বলেন তিনি।

জাখারোভা বলেন, মিয়ানমার সরকার দেশের ভেতরে থাকা বাস্তুহারা রোহিঙ্গাদের আবার ঘরে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে।

‘এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, দু’হাজারের মতো মানুষ তাদের ঘরে ফিরে গেছে,’ বলেন তিনি। অন্যান্য যারা উদ্ভূত সঙ্কটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্যও একই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে রুশ মুখপাত্র আশা প্রকাশ করেন।

সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিবের কমিশনের দেয়া সুপারিশমালা বাস্তবায়নে মিয়ানমার সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে উল্লেখ করে সরকারের প্রশংসা করেন জাখারোভা। এ উদ্দেশ্যে দেশটির সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিশেষ কমিটিও গঠিত হয়েছে বলে তিনি জানান।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর বহুদিন ধরে চলমান সংঘর্ষ-সহিংসতা সঙ্কট সমাধানে ২০১৬ সালের আগস্টে গঠিত হয় অ্যাডভাইজরি কমিশন অন রাখাইন স্টেট। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে ওই কমিশন এক বছরের তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চির কাছে জমা দেয় চলতি বছরের ২৪ আগস্ট।

রোহিঙ্গা-মিয়ানমার৬৩ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন জমা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ২৪ আগস্ট দিবাগত রাতে ত্রিশটি পুলিশ ও সেনাচৌকিতে রহস্যজনক হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত হয় নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্য। তারপরই হামলার জন্য রোহিঙ্গা ‘জঙ্গি’দের দায়ী করে জবাব হিসেবে সেনাবাহিনী পুরো অঞ্চলে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে।

সেনাবাহিনীর ওই হামলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫শ মানুষ মারা গেছে, আর প্রাণভয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে বাংলাদেশে। নৌপথে পালিয়ে আসার পথে নৌকাডুবিতেও বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন না করার উদ্দেশ্যেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই হত্যাকাণ্ড শুরু করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পুলিশের নির্যাতনে মাদ্রাসা সুপার নিহতের অভিযোগ, পুলিশের অস্বীকার

আসাদুজ্জামান : আটকের ২৪ ঘণ্টা পর পুলিশের নির্মম নির্যাতনে এক মাদ্রাসা সুপার সাতক্ষীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবার।
তবে পুলিশ বলছে ওই শিক্ষক মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় মারা গেছেন। তাকে নির্যাতন করা হয়নি।
নিহত মওলানা সাঈদুর রহমান (৪৮) কলারোয়ার হঠাৎগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার সুপার। তিনি সদর উপজেলা কাথন্ডা গ্রামের দিলদার সরদারের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাত ১ টায় সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে দুটি নাশকতার মামলায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
তার পরিবারের লোকজন বলছেন, “গ্রেফতারের পর মওলানা সাঈদুর রহমানকে কাথন্ডা বাজারে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাকে নির্মমভাবে মারপিট করে পুলিশ। তার অবস্থা খারাপ হতে থাকায় তাকে সেখানকার পল্লী চিকিৎসক আবদুল্লাহর চেম্বারে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ায় পুলিশ। এ সময় তার ভাতিজা মুত্তাসিম বিল্লাহ ৫ হাজার টাকা এনে চাচাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তু পুলিশ তার কাছে দাবি করে এক লাখ টাকা। এ টাকা দিতে না পারায় মাদ্রাসা শিক্ষককে নিয়ে আসা হয় সাতক্ষীরা থানায়। সেখানেও তাকে নৃশংসভাবে নির্যাতন করতে থাকে পুলিশ।”
নিহতের ভাই রফিকুল ইসলাম ও ভাতিজা মুত্তাসিমবিল্লাহর অভিযোগ করে বলেন, “শুক্রবার দিনভর পুলিশ হেফাজতে রেখে তার ওপর দফায় দফায় নির্যাতন করা হলে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরে তাকে আদালতে নেওয়া হলে কর্তৃপক্ষ তার অসুস্থতা দেখে সাঈদুর রহমানকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে পুলিশ তাকে ফের নিয়ে যায় সাতক্ষীরা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে কিছুটা সুস্থ করার পর বিকাল ৫ টায় মওলানা সাঈদুরকে পুলিশ ফের আদালতে নিয়ে যায়। বিকালে মওলানা সাইদুরকে আদালত সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠায়।”
সাতক্ষীরা কারাগারের জেল সুপার হাফিজুর রহমান জানান, “কারাগারের মধ্যে ওই রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কারা হাসপাতালে। মধ্যরাতে তাকে স্থানান্তর করা হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা চলছিল।”
সাতক্ষীরা হাসপাতালের আরএমও ডা. ফরহাদ জামিল বলেন, হাসপাতালে আনার পর তার চিকিৎসা চলছিল। ভোরে মারা যান তিনি। লাশের ময়না তদন্ত হবে। তিনি নিহত মাদ্রাসা শিক্ষক মওলানা সাঈদুরের দেহে নির্যাতনের চিহ্ণ পাওয়া গেছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর থানার এসআই মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “আমি তাকে গ্রেফতার করলেও নির্যাতন করিনি। তার কাছে ঘুষও চাইনি। আগে থেকেই তিনি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। গ্রেফতারের পর তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এর পর তার মৃত্যু সম্পর্কে আর কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমারে ফের সেনা বিদ্রোহের শঙ্কা!

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নিপীড়নের ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটির সরকার। আর এই সংকট থেকেই মিয়ানমারে ফের সেনা বিদ্রোহের আশঙ্কা করছেন দেশটির ক্যাথলিক ধর্মগুরু কার্ডিনাল চার্লস মং বোসেনা।

বৃহস্পতিবার টাইম ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সু চির অবস্থান নড়বড়ে। মিয়ানমারে গণতন্ত্র এখনও ভঙ্গুর। সুচি ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয় পেলেও এখন সেনাশাসন ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ডার্ক ফোর্স। একটি ভুল পদক্ষেপেই তিনি ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন এবং মিয়ানমারে গণতন্ত্রের স্বপ্নের মৃত্যু ঘটতে পারে। ’

টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের ৭০ বছরের ইতিহাসে ৫৫ বছরই শাসন করেছে সেনাবাহিনী। সেনারা সুচিকে দীর্ঘ ১৫ বছর গৃহবন্দি রেখেছিল। ২০১৫ সালে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি ক্ষমতায় এলেও সেনাবাহিনী এখনও সর্বেসর্বা, সংসদে ২৫ ভাগ আসন তাদের নিয়ন্ত্রণে। প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও সীমান্তবিষয়ক মন্ত্রণালয়গুলোও সেনাবাহিনীর দখলে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তাকে ফের ক্ষমতাচ্যুত করা হতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১০০ কোটির সম্পত্তি ছেড়ে সন্ন্যাস জীবনের পথে!

৩৫ বছরের সুমিত রাঠৌর এবং তাঁর ৩৪ বছরের স্ত্রী অনামিকা। এই দম্পতির মালিকানায় রয়েছে ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি।
রয়েছে ৩ বছরের একটি ফুটফুটে শিশুও। কিন্তু এসব ছেড়ে সন্ন্যাস জীবন বেছে নিতে চলেছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের এই জৈন দম্পতি। তাঁদের এই সিদ্ধান্তে শুধু পরিবার নয়, হতবাক গোটা সম্প্রদায়।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর সুধামার্গি জৈন আচার্য রামলাল মহারাজের কাছে তাঁরা দীক্ষা নেবেন। সন্ন্যাসী হওয়ার এটাই প্রথম ধাপ।

বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের নিমাচে বসবাস করছেন এই দম্পতি। এদের মধ্যে অনামিকা হলেন নিমাচের প্রথম গোল্ড মেডালিস্ট। অষ্টম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় তিনি এই সম্মান পান। পরে রাজস্থানের মোদী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাস করে হিন্দুস্তান জিঙ্কে কাজ শুরু করেন। অন্য দিকে সুমিত লন্ডন থেকে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ম্যানেজমেন্টে ডিপ্লোমা করেছেন। সেখানেই দু’বছর থাকার পর পারিবারিক ব্যবসা সামলাতে নিমাচে ফিরে আসেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২২ অাগস্ট সুমিত ও তাঁর পরিবার সুরাতে জৈন আচার্য রামলালের এক অনুষ্ঠানে যান। সেখানেই সুমিত তাঁর সিদ্ধান্তের কথা আচার্যকে জানান। আচার্য রামলাল স্ত্রীর অনুমতি চাইতে বললে অনামিকা জানান, তিনিও সন্ন্যাসী হতে চান।

সুমিত বা অনামিকা অবশ্য তাঁদের পরিবারের কাছে আগেই সন্ন্যাসী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এসময় তাদের দু’জনের পরিবারই তাদের বুঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন বিজেপির নিমাচ জেলার সাবেক সভাপতি ও অনামিকার বাবা অশোক চান্ডালিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest