সর্বশেষ সংবাদ-
২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শেষ মুহূর্তে প্রচারনায় সরগরম দেবহাটাতালায় ধানের ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত : আহত ১০শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগের র‌্যালিসাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু।সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতসাতক্ষীরার রাজ্জাক পার্কে সাশ্রয়ী মূল্যে মাসব্যাপী বসুন্ধরা পন্য বিক্রি শুরুসাতক্ষীরায় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ৫ দিন পার না হতেই একই এলাকায় আবারো ডাকাতিএস এস সি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম আহনাফ তাহসিনকারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি সমমান মর্যাদা ঘোষনার উদ্যোগে বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপন

সবার কাছেই প্রিয় তার স্মার্টফোনটি। সবাই চাই সখের স্মার্টফোনটি যেন ভালো থাকে। স্মার্টফোনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো ব্যাটারি। ব্যাটারিতে যদি চার্জ না থাকে মন তাহলে কেমনে ভালো থাকে। তবে আসুন স্মার্টফোনের ব্যাটারি ভালো রাখতে চার্জ দেওয়ার সময় এই ভুল গুলো থেকে দুরে থাকুন।

স্মার্টফোনের গায়ে যদি কোনও প্রোটেক্টিভ কেস বা কভার থাকে তা চার্জ দেওয়ার সময় খুলে রাখুন। কারণ চার্জিংয়ের সময়ে ফোনের ব্যাটারি হাল্কা গরম হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু ফোনের গায়ে কোন কভার বা কেস থাকলে ফোনটি ঠান্ডা হওয়ার প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়।

বাজারে দ্রুত ফোন চার্জ করার জন্য অনেক চার্জার পাওয়া যায়। এগুলো থেকে আপনার স্মার্টফোনকে দুরে রাখুন। কারণ, দ্রুত ফোন চার্জ করার অর্থ ফোনের ব্যাটারিতে স্বাভাবিকের থেকে বেশি মাত্রায় ভোল্টেজ পাঠানো। যার ফলে ফোনের তাপমাত্রাও অনেকটা বেড়ে যায়। যা আদতে ফোনের ব্যাটারির উপরে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। এই রকম ক্ষেত্রে যদি ফোনের ব্যাটারি সেটিংসে অপশন থাকে, তা হলে সবসময়েই ‘নর্মাল চার্জিং সাইকেল’ অপশনটি বেছে নিন।

সবসময় ফোনের নিজস্ব চার্জার দিয়ে ফোন চার্জ দেওয়ার চেষ্টা করুন। ফোনের নিজস্ব চার্জারের সঙ্গে আপনি যে চার্জার ব্যবহার করছেন, সেটি যদি ম্যাচ না করে, সেক্ষেত্রে ফোনের ব্যাটারি পারফরম্যান্স, চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা এবং ব্যাটারির আয়ুর উপরে প্রভাব পড়ে। যদি অন্য কোন চার্জার দিয়ে ফোনে চার্জ দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে ফোনের আসল চার্জারের সঙ্গে যাতে অন্য চার্জারর্টির আউটপুট ভোল্টেজ (v) এবং কারেন্ট (অ্যাম্পেয়ার) রেটিং ম্যাচ করে তা দেখে নিন। একই সঙ্গে সেই চার্জারটি ফোন নির্মাতা সংস্থার অনুমোদিত কি না, সেটিও খেয়াল করুন।

সারারাত ধরে ফোনে কখনই চার্জ দিবেন না। এর ফলে ওভারচার্জিং হয়ে ফোনের ব্যাটারির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সস্তার চার্জার কখনই ব্যবহার করবেন না। কারণ এই ধরনের চার্জারগুলিতে ভোল্টেজে তারতম্য, ওভারচার্জিংয়ের মতো সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকে না। চার্জার কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফোন এবং ব্যাটারির উপরেও তার প্রভাব পড়ে।

থার্ড পার্টি ব্যাটারি অ্যাপসগুলি কখনই ব্যবহার করবেন না। কারণ এগুলিতে উল্টে ব্যাটারিরই ক্ষতি হয়, কারণ এই ধরনের অ্যাপ একটানা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতেই থাকে। ফোনের ‘মেমোরি লো’ বলে দাবি করে ব্রাউজারে বেশ কিছু অ্যাপ ইনস্টল করার বিজ্ঞাপন আসে, এই ফাঁদেও পা দেবেন না।

যখনই ফোনে চার্জ দিবেন, অন্তত আশি শতাংশ পর্যন্ত ব্যাটারি চার্জ করে নেওয়ার চেষ্টা করুন।

চার্জ একটু কমে গেলেই ফের চার্জে বসিয়ে দেওয়ার প্রবণতা ঠিক নয়। ব্যাটারিতে কুড়ি শতাংশের কম চার্জ থাকলেই ফের ফোন চার্জ করা উচিত। অকারণে বার বার চার্জ দিলে ব্যাটারির আয়ু কমে আসে। আবার ব্যাটারির চার্জ একদম নিঃশেষ হতে দেওয়াও ঠিক নয়।

এমন পাওয়ার ব্যাঙ্ক ব্যবহার করুন, যেগুলি ভোল্টেজের তারতম্য, শর্ট সার্কিট বা ওভার-চার্জিংয়ের মতো সমস্যা হলে প্রতিরোধ করতে পারে।

পাওয়ার ব্যাঙ্কের সাহায্যে ফোন চার্জ দেওয়ার সময়ে সেটি ব্যবহার না করাই ভাল। এক্ষেত্রে ফোনের ইন্টারনাল টেম্পারেচার বেড়ে গিয়ে ফোনটির ব্যাটারি আয়ু কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভারতীয় দলের প্রত্যাশা মতই কোচ হলেন রবি শাস্ত্রী। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের সাথে লজ্জাজনক ভাবে হারের পর ভারতীয় দলের কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেন অনিল কুম্বলে। তারপর থেকেই কে ভারতের কোচ হবেন তা নিয়ে বেশ একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়।

শেষ পর্যন্ত বীরেন্দ্র সেহওয়াগ,টম মুডিদের টপকে ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোচিংয়ের দায়িত্ব পেলেন বিরাটের পছন্দের শাস্ত্রী।

মুম্বাইয়ে বিরাটদের কোচ নির্বাচনে সরাসরি থাকতে পারেননি রবি শাস্ত্রী। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ইংল্যান্ডেই রয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর। তাই সেখান থেকেই স্কাইপের মাধ্যমে সচিন-সৌরভ-লক্ষ্মণের কমিটিকে কোচের পদের জন্য সাক্ষাৎকার দেন শাস্ত্রী।

হেড কোচের দৌড়ে অন্যতম প্রতিযোগী বীরেন্দ্র সেহওবাগেরও ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। প্রায় দু’ঘণ্টাও বেশি সময় ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটির সামনে পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে নতুন কোচের সঙ্গে দুবছরের চুক্তি করা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

অপ্রতিম রহমান : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাতক্ষীরার ১১ বছরের মেয়ে মুক্তামনির বিরল রোগের নাম আগামীকাল বুধবার (১২ জুলাই) জানা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে তিনি এ তথ্য জানান।
ডা. সামন্ত লাল বলেন, ‘আমরা মেয়েটির রোগের নাম এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে এটি একটি ইনফেক্টেড কেস। আজ তার সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। আগামীকাল বুধবার তার রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করে আমরা একটা সিদ্ধান্তে আসবো। আগামীকাল হয়তো তার রোগের জানা যাবে।’
এদিকে মুক্তামনির চিকিৎসার জন্য ৮ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা হলেন- বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, ইউনিটের বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, একই ইউনিটের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ খন্দকার, ঢামেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলাম, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল এবং ঢামেক হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান।
এ বিষয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আজকে আমরা মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছি। মুক্তার চিকিৎসা সবকিছু এই বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী হবে। আজই আমরা তার সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তামনি প্রচুর রক্তশূন্যতা ও পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। তাকে রক্ত ও পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। তাকে অপারেশনের জন্যে ফিট করতে আগামী দুই-তিন সপ্তাহ সময় লাগবে।’
উল্লেখ্য, মুক্তামনিকে নিয়ে ডেইলি সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদপত্র প্রকাশিত হলে বিষিয়টি সরকারের নজরে আসে।
সোমবার দুপুরের দিকে মুক্তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর গতকাল রাতেই সরকারি এ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসময় তাকে বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. তহিদুর রহমান, প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান মাসুম ও ডেইলি সাতক্ষীরা’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হাসান হাদী।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মুক্তামনির চিকিৎসার বিষয়ে সার্বিক খোঁজখবর নিতে সোমবার বিকালে সেখানে উপস্থিত হন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা পরিষদ সদস্য এড. শাহানাজ পারভীন মিলিসহ অনেকেই।
সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তহিদুর রহমান, ডেইলি সাতক্ষীরা’র সম্পাদক ও দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল হোসেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এর ফরেনসিক মেডিসিনের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান হাদী, সাংবাদিক আব্দুল জলিল, এম বেলাল হোসাইন, মোস্তফা আলী ও প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আনছার হাজী। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ নেতৃবৃন্দ আক্রান্ত শিশু মুক্তামনির সার্বিক খোঁজ খবর নেন এবং তার পরিবারকে চিকিৎসার আশ্বস্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও সিনিয়র হোয়াইট হাউজ উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার কাতারের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীদের একজনের কাছ থেকে ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ পেতে ব্যর্থ হওয়ার পরপরই দেশটির বিরুদ্ধে শ্বশুরকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চাপ দেয়া শুরু করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পরপর ঘটা এ দু’টো ঘটনাকে যুক্ত করে দুয়ে দুয়ে চার মেলাচ্ছেন অনেকেই। বিশ্লেষকদের মতে, কুশনারের রিয়েল এস্টেট সংক্রান্ত বিভিন্ন লেনদেন এবং ট্রাম্পের আন্তর্জাতিক ইস্যুজনিত জটিলতার মধ্য দিয়ে অন্তত এটুকু বোঝা যায়, ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যেই অসংখ্য স্বার্থের অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে।

ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানায়, রিয়েল এস্টেট ব্যবসার প্রথম দিকে কুশনার ব্যবসার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্কের ৬৬৬ ফিফথ অ্যাভিনিউয়ে ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে একটি বাড়ি কিনেছিলেন। ওই সময় এত বেশি অর্থের বিনিময়ে একটি ভবন কেনা সেটাই প্রথম।

বর্তমানে ভবনটির এক-চতুর্থাংশেরও বেশি অফিস স্পেস খালি আছে। নিউইয়র্ক টাইমসের দেয়া তথ্য অনুসারে, গত বেশ কয়েক বছর ধরে ভবনটি থেকে যে আয় হয় তা এর জন্য নেয়া ঋণ শোধ করার জন্য যথেষ্ট নয়। এ কারণে কুশনার কোম্পানিজ এই মাল্টিমিলিয়ন-ডলার ঘাটতি বিভিন্নভাবে চাপা দিতে বা পুষিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।কাতার-জ্যারেড কুশনার

২০১৫ সালে একদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প জোরেসোরে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন, অন্যদিকে জ্যারেড কুশনার তার বাবার সঙ্গে মিলে ডকবতে থাকা প্রপার্টিটাকে বাঁচাতে চেষ্টা করছিলেন। একটা সময় বাপ-ছেলে মিলে কাতারি বিলিওনিয়ার শেখ হামাদ বিন আবদুল্লাহ আল-থানিকে (এইচবিজে) সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী হিসেবে চিহ্নিত করেন।

দ্য ইন্টারসেপ্ট জানায়, আলোচনার পর এইচবিজে শতকোটি ডলারের এই প্রকল্পে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে রাজি হন। কিন্তু শর্ত রাখেন, প্রকল্পের বাকি অর্থ কুশনার কোম্পানিজকে নিজে নিজে যোগাড় করতে হবে।

বাকি অর্থের ব্যবস্থা করতে কুশনারের এই রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান চীনের আনব্যাং ইনস্যুরেন্স কোম্পানির শরণাপন্ন হলে কোম্পানিটি চলতি বছরের মার্চের শুরুর দিকে ৪শ’ কোটি ডলারের নির্মাণ ঋণ দিতে রাজি হয়। কিন্তু নবগঠিত ট্রাম্প প্রশাসনের মাঝে স্বার্থের দ্বন্দ্ব দেখে কয়েক সপ্তাহ পরই সরে পড়ে।

আনব্যাংয়ের সমর্থন হারানোর কারণে কুশনার কোম্পানি এইচবিজে’র দেয়া শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়। ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানায়, কাতারের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র অনুসারে ওই বিলিওনিয়ার ঋণচুক্তিটি বাতিল করে দেন। তবে অন্য আরেকটি শর্ত বলেছে, তিনি চুক্তিটি আপাততঃ স্থগিত রাখেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার অপহৃত হওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে এক নারীকে ঢাকায় এনে জবানবন্দি নেওয়ার ব্যবস্থা করল পুলিশ। জবানবন্দিতে ওই নারী বলেছেন, তাঁর জন্য ‘টাকা সংগ্রহ’ করতে ওই দিন ফরহাদ মজহার বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন।

গতকাল দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের কাছে ওই নারী জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, তাঁর বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। তবে তিনি ওই জেলার দক্ষিণ সোনাখালীতে থাকেন। ডিবি পুলিশ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এক আত্মীয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে সোমবার তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসে।

জবানবন্দিতে ওই নারী বলেন, ২০০৬ অথবা ২০০৭ সালের মাঝামাঝি ফরহাদ মজহারের এনজিও উবিনীগে তিনি চাকরি পান। সেখানে ফরহাদ মজহারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে তিনি ফরহাদ মজহারের ভক্ত হন। তিনি বলেন, ফরহাদ মজহার তাঁকে প্রয়োজন মোতাবেক মাসে ১০-১২ হাজার টাকা করে দিতেন। গত ১৬ এপ্রিল তিনি ফরহাদ মজহারের কাছে টাকা চান। গত ৩ জুলাই ফরহাদ মজহার তাঁকে ফোন করে বলেন, তাঁর টাকা জোগাড় করার জন্য তিনি বেরিয়েছেন। এরপর ১১টার দিকে তিনি ফরহাদ মজহারকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন, তিনি অপহৃত হয়েছেন কি না। ফরহাদ মজহার ভালো আছেন বলে তাঁকে জানান। সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি তাঁকে ফোন করে একটি অ্যাকাউন্ট নম্বর চাইলে তিনি তাঁকে ডাচ্-বাংলার অ্যাকাউন্ট নম্বর দেন। ফরহাদ মজহার তাঁকে দুটি নম্বর থেকে ১৫ হাজার টাকা পাঠান।

ওই নারীর জবানবন্দির ব্যাপারে জানতে চাইলে ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার বলেন, ‘সংবাদকর্মীদের কাছে থেকে এটা শুনে আমি হতভম্ব। এটা অবিশ্বাস্য। আগে যা শুনেছি আর এখন যা শুনছি, তার মধ্যে কিছুই মিলছে না। অপহরণের ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এটা করা হতে পারে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

‘রিভলবার রানি’ সিনেমার মতোই মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে উত্তর প্রদেশের বুন্দেলখন্ডে এক নারী বিয়ের আসর থেকে বরকে তুলে নিয়ে যান। দাবি, ওই বর অশোক যাদবের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত মে মাসের ঘটনায় আটক হয়ে ছিলেন ওই নারী। প্রেমিকের বিয়ে ভেঙে দিয়ে এখন তাঁর সঙ্গেই ঘর বেঁধেছেন ২৫ বছরের বর্ষা সাহু নামের দুর্ধর্ষ প্রেমিকা।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বর অপহরণের ঘটনায় মামলা, আটক ও জামিনের ঝক্কি সামলে গত রোববার রাজ্যের হামিরপুরের একটি মন্দিরে বিয়ে করেন অশোক ও বর্ষা। বিয়েতে শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আট বছর ধরে অশোক ও বর্ষার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

বিয়ের দিন বর্ষা হলুদ শাড়ি পরে কনে সেজেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভীষণ আনন্দিত। এই দিনটির জন্য আমাকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। প্রথমে বিয়ের আসর থেকে অশোককে অপহরণ করতে হয়েছে। পরে হামিরপুর জেলা কারাগার থেকে তাঁকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে হয়েছে।’

প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ১৫ মে বিয়ের আসর থেকে অশোক অপহরণ হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা হয়। বুন্দেলখন্ডের ভবানী গ্রামে যে মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, তাঁরাই ওই মামলা করেন। এ মামলায় হামিরপুর জেলা কারাগারে আটক থাকার পর গত শুক্রবার জামিনে মুক্তি পান অশোক। মুক্তির দিন কারাগারের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন প্রেমিকা বর্ষা। পরে সেখানেই তাঁরা ঘোষণা দেন, শিগগির বিয়ে করতে যাচ্ছেন তাঁরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অশোক ও বর্ষার বিয়ের পুরো আয়োজন সম্পন্ন করে শিবসেনার স্থানীয় একটি ইউনিট। রাজ্যের শিবসেনা সভাপতি রতন ব্রহ্মচারী ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা একটি সংস্থা খুলতে যাচ্ছেন। প্রেমিকদের কাছে থেকে প্রতারিত হওয়া মেয়েদের সহায়তা দেবে ওই সংস্থা।

রতন ব্রহ্মচারী বলেন, ‘আমাদের সংস্থার নাম হবে “রিভলবার রানি”। এই সংস্থার প্রধান হবেন বর্ষা। প্রতারণা করা প্রেমিকদের সঙ্গে মেয়েদের আবার সম্পর্ক তৈরি করতে এই সংস্থা কাজ করবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়ের দিন অশোক ও বর্ষা রীতি অনুযায়ী শত শত মানুষের সামনে মালাবদল করেন ও সাত পাক ঘোরেন। অপহরণের পর অশোকের পরিবার বর্ষার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না আনলেও অশোকের জামিন নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে বর্ষা নিজেই অশোকের জামিনের ব্যবস্থা করেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে বর্ষার স্বজনেরা উপস্থিত থাকলেও অশোকের পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

১৫ মে রাতে দামি ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি নিয়ে বিয়ের আসরে ঢোকেন বর্ষা। তাঁর সঙ্গে দুজন যুবকও ছিলেন। বর অশোকের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তিনি বলেন, ‘এই লোকটা আমাকে ভালোবাসে, কিন্তু অন্য একজনকে বিয়ে করে সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করছে। আমি এটা হতে দেব না।’ পরে অশোককে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান তিনি। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর দুজনকেই পুলিশ আটক করে।

এ সময় বর্ষা পুলিশকে বলেছিলেন, ওই রাতে তিনি (বর) গাড়ির কাচে টুকটুক শব্দ করেন। এরপর দরজা খুললে নিজের ইচ্ছাতেই গাড়িতে ওঠেন। এই বিয়েতে তিনি রাজি ছিলেন না। ওই মেয়েকে বিয়ের জন্য প্রস্তুতও ছিলেন না। মেয়ের পরিবার জানত যে ছেলে অন্য একজনকে ভালোবাসেন। কিন্তু তাদের ভাষ্য, তাদের মেয়ে পরিস্থিতি সামলে নেবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদে আপাতত রদবদল হচ্ছে না। বর্তমান আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক এই পদে থাকছেন। আগামী বছরের জানুয়ারিতে তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত বৃহস্পতিবার আইজিপি বদলের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হলেও পুলিশ ও সরকারের ভেতরে একটি অংশের আপত্তির কারণে তা আর এগোয়নি।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইজিপি বদলের আলোচনা শুরু হয়েছিল এটা ঠিক, তবে সেটা আর কার্যকর হয়নি। এটা আপাতত হচ্ছেও না। কেন হঠাৎ করে আইজিপি বদলের আলোচনা শুরু হলো? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও বলেছেন, তিনিও মনে করেন এখনই আইজিপি বদল হচ্ছে না। বর্তমান আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক অবসরে যাওয়া পর্যন্ত এই পদে থাকছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, গত বুধবার সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নতুন আইজিপির ব্যাপারে প্রস্তাব তৈরি করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। সে অনুযায়ী পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারীর নাম আইজিপি হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। এই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানোর আগেই ফাঁস হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় নানা গুঞ্জন। পুলিশ ও সরকারের ভেতরেও এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি অংশ এই প্রস্তাবের বিরোধিতায় নামে। এর সঙ্গে সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যুক্ত হন। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার একপর্যায়ে প্রক্রিয়াটি থেমে যায়।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান বলেন, আইজিপি বদল হচ্ছে কি না, সেটা তাঁর জানা নেই।
পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান আইজিপি শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর বর্তমান পদে যোগ দেন। তিনি স্বাভাবিক অবসরে যাবেন আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি। এরপর যাঁকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হবে, তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারেন। এ জন্য পরবর্তী আইজিপি কাকে করা হবে, সেটা সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান আইজিপির মতো জাবেদ পাটোয়ারীও বিসিএস ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। তাঁর স্বাভাবিক অবসরে যাওয়ার কথা ২০২০ সালের এপ্রিলে।
সূত্র : প্রথম আলো

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

গুঞ্জন ছিল আগে থেকেই। এবার তা সত্যে রূপ নিলো। বিপিএলের আসন্ন মৌসুমে চিটাগং ভাইকিংস ছেড়ে রংপুর রাইডার্সে নাম লেখালেন ক্রিকেটের ছোট ফরম্যাট টি-টোয়েন্টির অন্যতম তারকা ক্রিকেটার ক্রিস গেইল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির প্রধান নির্বাহী ইশতিয়াক সাদেক।

গেইলকে চুক্তিবদ্ধ করার প্রসঙ্গে ইশতিয়াক সাদেক জানান, ইতোমধ্যে আমরা বিপিএলের জন্য গেইলের সাথে চুক্তি করেছি। তবে ব্যস্ত মৌসুম থাকার ফলে তাকে পুরো টুর্নামেন্টে পাওয়া দুষ্কর। আমরা যদি কোয়ালিফাই করি তাহলে ২-৪ ম্যাচের জন্য তাঁকে বিপিএলে দেখা যাবে।

 এদিকে আসন্ন মৌসুমে শুরুর আগেই চমক দেখানো শুরু করেছে রংপুর রাইডার্স। আর চমকটা শুরু হয়েছিল মালিকানা বদলের মাধ্যমে। রংপুরের মালিক এখন বসুন্ধরা গ্রুপ। দলকে শক্তিশালী ভীত এনে দেয়ার লক্ষ্যে এবার তারা চুক্তি করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অস্ট্রেলিয়ান কোচ টম মুডির সঙ্গে।

শুধু কোচ কেন, দেশি-বিদেশি তারকা ক্রিকেটারের সমাবেশ ঘটিয়ে চমক দিতে যাচ্ছে রংপুর রাইডার্স। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরার সঙ্গে থাকছেন দুই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার স্যামুয়েল বদ্রি এবং জনসন চার্লসও। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার রবি বোপারা খেলবেন এ দলের হয়ে। সঙ্গে ফ্রাঞ্চাইজিটি চেষ্টা চালাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস অলরাউন্ডার ক্রিস মরিসকে দলে নেয়ার।

দেশি তারকাদের মধ্যে রংপুর রাইডার্স স্পিনার আরাফাত সানি, পেসার রুবেল হোসেনকে রেখে দিচ্ছে। এছাড়া আইকন হিসেবে নাসির হোসেনকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করছে দলটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest