সর্বশেষ সংবাদ-
গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়াসাতক্ষীরায় অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দ্রুত এমপিওর জন্য মতবিনিময় Master Your Game with These Winning Strategies at Kyngs Casinoসাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলাম

সাকিবকে নিজ হাতে ফল খাওয়ালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় শনিবার গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সেই অনুষ্ঠানে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রাণ ভোমরা সাকিব আল হাসানও উপস্থিত ছিলেন।

ঈদের সকালে গণভবনে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সালাম করতে এগিয়ে যান। এ সময় শেখ হাসিনা পরম মমতার সাথে সাকিবের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন এবং সেই সঙ্গে তিনি নিজ হাতে ফল খাইয়ে দেন। তখন সাকিবের পাশেই ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

সাকিব আল হাসান ছাড়াও গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, বিচারপতিগণ ও সশস্ত্রবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি মিয়ানমারের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
খবর ভয়েস অব আমেরিকার।

ভয়েস অব আমেরিকার বার্মিজ সার্ভিসকে নিক্কি হ্যালি জানান, মিয়ানমারের গণতন্ত্রের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। রাখাইনে বিদ্রোহীদের হামলার নিন্দা জানান তিনি। একই সঙ্গে মার্কিন এই রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনীকে সতর্ক করে দিয়ে শিগগিরই রাখাইনে বেসামরিক হত্যা বন্ধের আহ্বান জানান।

নিক্কি হ্যালি বলেন, আর যেন সহিংসতা না ঘটে সে লক্ষে বার্মিজ নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করেছে, তবে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার দায়িত্ব আছে তাদের; যাতে নির্দোষ বেসামরিকসহ মানবিক সহায়তা কর্মীদের ওপর হামলা থেকে বিরত থাকা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছানো যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোরবানির গোশত ২০০ টাকা কেজি!

শিরোনাম দেখে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে গোশত কী করে এত কম দামে বিক্রি হয়? গরু কেনা থেকে শুরু করে হাসিল পরিশোধ এবং কসাইয়ের মজুরি দেয়ার পর কোরবানির গোশতের মূল্য দাঁড়ায় কেজি প্রতি সাতশ’ থেকে আটশ’ টাকা। অথচ সেই গোশতই এখন হাত ঘুরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে।

রাজধানীর সূত্রাপুর, ধোলাই খাল, খিলগাঁও, রামপুরা, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে এ দৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। মূলত সকাল থেকে ভিক্ষুক এবং দুস্থ মানুষেরা বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে যে গোশত সংগ্রহ করেছেন সেটাই তারা এসব স্থানে বিক্রি করছেন। আর এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন কিছু অসাধু মৌসুমী ব্যবসায়ী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রাপূরের এক হালিম ব্যবসায়ী বলেন, দোকান থেকে গোশত কিনতে গেলে কেজি প্রতি কমপক্ষে ৪৫০ টাকা লাগে। তাই এ সময় কমদামে কিছু গোশত সংগ্রহ করে রাখছি।

ঠিক একই কথা বললেন খিলগাঁওয়ের এক তেহারী ব্যবসায়ী। তিনি তেহারির গোশত হিসেবে এগুলো সংগ্রহ করে রাখছেন।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব গোশতের দাম উঠানামা করছে। অর্থাৎ হাড়ের পরিমাণের ওপর নির্ভর করছে এসব গোশতের মূল্য। তাই কোথাও দুইশ’ টাকা কোথা ও আড়াইশ’ টাকা।

সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে এরকম এক গোশত বিক্রেতা বলেন, এসব গোশত রান্না করে খাওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। তার চেয়ে বরং ৩/৪ কেজি মাংস বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায় সেটা দিয়ে চার দিন সংসার চালানো যায়।

এদিকে, এসব গোশত মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছে চলে যাওয়ায় গোশতের মান প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে বিভিন্ন রকমের গোশত একত্রিত করে বিক্রি করা হচ্ছে কেজি দরে। অথচ ঠিকমতো সংরক্ষণ করা হয়নি এসব গোশত।

পুষ্টিবিদদের বক্তব্য, খুব সকাল থেকে সংগ্রহ করা হয় এসব গোশত। দীর্ঘ সময় পার হলেও তা সংরক্ষণে কোনো স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা নেয়া হয় না। ফলে এসব গোশতে বিভিন্ন ধরনের জীবানু ও ব্যকটেরিয়া আক্রমণ করে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রশ্নটি থেকেই যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হাসপাতালে মুক্তামনি-আবুল বাজানদারের ঈদ

ন্যাশনাল ডেস্ক : মুক্তামণির ঈদ ভালোই কেটেছে বলে জানিয়েছেন মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম হোসেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে সারা দিন ডাক্তার, সাংবাদিকের আনাগোনা ছিল। বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন স্যার আসছেন। মুক্তামণি অনেক কথা বলছে স্যারের সাথে। স্যারের ফোন দিয়া মুশফিকুর রহিম কথা বলছে মুক্তামণির সাথে। ঈদ মোবারক বলছেন মেয়েকে।’
সন্ধ্যায় মুঠোফোনে কথা হয় ইব্রাহিম হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে সেমাই, পোলাও দিছে। আমার কিনে দেওয়া নতুন জামা গায়ে দিছে মেয়ে। আল্লাহর রহমতে ভালোই কেটেছে ঈদ। বাড়িতে থাকলে ঈদের নামাজ পড়ার পর ঘরে ফিরে মেয়ের মুখ দেখে মন খারাপ করা ছাড়া আর কিছু করার থাকত না। এখানে সবাই এসেছে, মেয়ের মনও ভালো ছিল।’
ইব্রাহিম বলেন, ‘মেয়ে ভালো হয়ে যাবে, এই প্রত্যাশার চাইতে ঈদের আনন্দ তো আর বড় না। জীবনে ঈদের আনন্দ তো অনেক করা যাবে।’

আবুল বাজনদার
আবুল বাজনদারের ঈদও ভালো কেটেছে। পরিবার নিয়ে ঘুরেফিরে কাটিয়েছেন তিনি। মোবাইলে তিনি বলেন, ‘ঈদ ভালোই কেটেছে। সাংবাদিক ফজলুল বারীর বন্ধু কাজী বাহার ভাই আসছেন, বাইরে ঘুরাইতে নিয়া গেছেন, চা-টা খাইছি। কেবিনে সেমাই রান্না করছিলাম। হাসপাতাল থেকেও সেমাই দিছে, বাহার ভাইও সেমাই আনছিলেন। দুপুরে হাসপাতাল থেকে দিসে পোলাও, মুরগি, ডিম আর সেভেন আপ। রাতেও এই খাবার দিব। মেয়েটার জন্য একটা ফ্রক কিনছি। বাহার ভাই আমারে প্যান্ট আর পাঞ্জাবি দিছে। বউরে দিসে একটা জামা। সেন স্যারের (সামন্ত লাল সেন) অনুমতিতে বউ-বাচ্চা নিয়া টিএসসিসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছি।’
বাজনদার বলেন, ‘কুরবানির ঈদে কুরবানির গোশত খাইতে ইচ্ছা করে। কিন্তু হাসপাতালে তো আর সেই সুযোগ নাই। তবে কয়দিন পরে বাড়িত থেকে কুরবানির গোশত নিয়া আসবে, তখন বউ বাচ্চারা খাইতে পারব।’
দুই বছরে বাজনদারের এইবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এটি ছিল চতুর্থ ঈদ।
সমাজকর্মী কাজী বাহার জানান, তিনি শুধু দুপুরে একটু নিজের বাসায় গিয়েছিলেন, এ ছাড়া বলতে গেলে সারা দিনই বাজনদারের পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে আবার বাজনদারকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন। বাজনদারের পরিবারের সঙ্গে সাংবাদিক ফজলুল বারীর মাধ্যমে তাঁর পরিচয়।

তোফা ও তহুরা
তোফা ও তহুরার ঈদ কেটেছে ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায়। বন্যার কারণে তাদের ঈদের আগে বাড়ি ফেরা হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হানিফ। তিনি বলেন, বিভাগের অধ্যাপক সাহনূর ইসলামের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই পরিবারটি আত্মীয়ের বাসায় ঈদ কাটিয়েছে। ঈদের পরে তোফা ও তহুরাকে ছুটি দেওয়ার কথা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঈদের দিনেও জ্বলছে রাখাইন রাজ্য

আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকেই জ্বলছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম। দেশটির সরকারি বাহিনীর সহিংসতার বলি হচ্ছেন ওই রাজ্যের হাজারও রোহিঙ্গা। সেই জ্বালাও-পোড়াও থেকে মুক্তি মেলেনি ঈদুল আজহার দিনেও। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রাখাইন রাজ্যের ঢেঁকিবনিয়া এলাকায় দেখা গেছে আগুনের ধোঁয়া। সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা বলছেন, এসময় সীমান্তের খুব কাছে গোলাগুলির শব্দও শোনা গেছে। এ কারণে সীমান্ত দিয়ে আরও বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে দেশে। এদিকে, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদীর মোহনা থেকে আরও এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উখিয়ার রেজু আমতলী সীমান্তে আরও এক রোহিঙ্গার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন স্থানীয়রা।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের এপার-ওপারের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কিছু লোক নিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর একটি দল রাখাইন রাজ্যের ঢেঁকিবনিয়া এলাকায় ঢুকে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে মানবশূন্য কয়েকটি গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঈদের নামাজের সময় এমন ঘটনা ঘটায় অনেকেই নামাজ ছেড়েই ছোটাছুটি করতে থাকেন। এসময় রোহিঙ্গাদের বড় একটি অংশ চলে আসেন নো-ম্যানস ল্যান্ডে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বেশকিছু এলাকায় বাংলাদেশি মোবাইল ফোন কোম্পানির নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। তারা বাংলাদেশি মোবাইল কোম্পানির সিম কার্ডও ব্যবহার করেন। তেমনই একজন ঢেঁকিবনিয়া ইউনিয়নের পোকপাড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে আমান উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকালে ঢেঁকিবনিয়া ইউনিয়নের চাকমাকাটা গ্রামের ইদ্রিস বাড়ি, ফকিরপাড়া গ্রামের মৌলভী হোসেন আহমদের বাড়িসহ ছয়টি ঘরে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়াও রাখাইন রাজ্যের বলিবাজার, আয়াচর, কিয়ামং, জুম্বাই, নরিক্যাং, শীলখালী, বালুখালী, বুচিঢং, রাচিঢং, কৈয়ারবিল, নাইচং, নাইসাপ্রোসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে দেওয়া হয় আগুন। এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।’
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নাইচাপ্রো গ্রামের মোহাম্মদ আমির মোবাইল ফোনে বলেন, ‘‘সেনাবাহিনী খুব সকাল থেকে ‘নাইচাপ্রো’ গ্রামে তল্লাশি শুরু করেছে। কোরবানি দেওয়া তো দূরের কথা, কেউ ঈদের নামাজও পড়তে পারিনি। তাই অন্যদের মতো স্বজনদের নিয়ে সীমান্তের ওপারের একটি নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছি। এখন সুযোগ পেলেই বাংলাদেশে চলে যাবো।’’
রাখাইন রাজ্যের নাইচং গ্রামের মিনারা বেগম বলেন, ‘ঈদের দিন খুব ভোরে বাংলাদেশ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নো-ম্যানস ল্যান্ডে এসেছি। ভয়ভীতি নিয়েও এতদিন গ্রামেই ছিলাম। তবে রাতে তার গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। তাই আজ চলে এসেছি।’
এদিকে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জলপাইতলী সীমান্তের স্থায়ী বাসিন্দা নুরুল আবছার, ঘুমধুমের মোহাম্মদ নবী ও ধামনখালী গ্রামের আবুল কালামসহ অনেকেই জানিয়েছেন, মিয়ানমারের ওপারে চলছে গুলিবর্ষণ। কিছুক্ষণ পরপর দেখা যাচ্ছে আগুনের ধোঁয়া। সীমান্তের ওপারের মানুষের আর্তচিৎকারও শুনতে পেয়েছেন তারা।

উখিয়ার পালংখালীর ইউপি সদস্য মোজাফফর আহমদ বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকেই রাখাইন রাজ্যে দফায় দফায় গোলাগুলির শব্দ শুনেছি। দুপুর ৩টার দিকেও এমন শব্দ শুনতে পেয়েছি। এসময় সীমান্তের ওপারে রোহিঙ্গাদের চিৎকারও শোনা গেছে। রাখাইনের সীমান্ত এলাকায় ধোঁয়াও দেখেছি।’
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ থেকে আরও এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সকালে স্থানীয়রা খবর দিলে টেকনাফ থানার পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে নাফ নদী থেকে ৫০ জন রোহিঙ্গা নারী ও শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো।’

প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের আরকান রাজ্যে পুলিশ পোস্টে হামলা চালায় সে দেশের একটি বিদ্রোহী গ্রুপ। এতে ১২ পুলিশ সদস্যসহ রোহিঙ্গা হতাহত হয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে রোহিঙ্গারা। নাফ নদীর জলসীমানা থেকে শুরু করে স্থলসীমানা পার হয়ে জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা। এর আগে, গত বছরের ৯ অক্টোবরের পর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একইরকম হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসেন প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা। এরপর আন্তর্জাতিক মহল নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে মিয়ানমার সরকারের ওপর। কিন্তু, এর কোনও তোয়াক্কা না করে আরকানে ফের সেনা মোতায়েন করলে বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে সে দেশের সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান বিচারপতির শুভেচ্ছা বিনিময়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

আজ শনিবার সকালে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও বিদেশি কূটনীতিকরা।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা হোসেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ফারুক খান ও দলের সিনিয়র নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দেশবাসী ও বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী সবার সুখ ও সমৃদ্ধ জীবন কামনা করেন।

এ ছাড়া তিনি পবিত্র হজব্রত পালনে বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদেরও শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় অতিথিদের সেমাই, কেক, ফল ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নারীর ৩৫ টুকরো লাশ উদ্ধার
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঈদে মাকে বাড়ি উপহার দিলেন মাশরাফি

এবার ঈদে মাকে বাড়ি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক, ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজা। জন্মভূমি নড়াইলের মহিষখোলায় প্রায় তিন কাঠা জমির ওপর নির্মিত হয়েছে এই নতুন বাড়ি। মায়ের স্বপ্নপূরণে নির্মিত দোতলা বাড়ির নাম রাখা হয়েছে ‘মর্তুজা কটেজ’।

এর আগে, পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা থেকে নড়াইলে যান মাশরাফি। এবার নতুন বাড়িতেই ঈদ করছেন মাশরাফি ও তার পরিবার।

মাশরাফির মা হামিদা মর্তুজা বলাকা বলেন, ‘ছেলের দেওয়া নতুন বাড়ি পেয়ে খুশি হয়েছি। এ এক অন্যরকম অনুভূতি। আর মাশরাফি যেন সারাজীবন ১৮ কোটি মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে সেই দোয়া করি।’

প্রায় তিন কাঠা জমির ওপর নতুন দোতলা (ডুপ্লেক্স) বাড়ির প্রতিটি তলায় রয়েছে এক হাজার ২৫০ স্কয়ার ফিট জায়গা। বাড়ির দ্বিতীয় তলায় রয়েছে- একটা বড় রুমসহ চারটি বেডরুম। প্রতিটি বেডরুমের সঙ্গে বাথরুম ও বারান্দা। এছাড়া বড় একটি ব্যালকনি রয়েছে।

দোতলায় আরও আছে পারিবারিক কক্ষ (ফ্যামিলি লিভিং রুম) ও হালকা রান্না ঘর (ড্রাই কিচেন)। এই বাড়িটির নিচতলায় রয়েছে বড় হল রুম, ডাইনিং, রান্নাঘর, গেস্ট বেড রুম, কমন বাথরুম ও গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা।

এদিকে, নতুন এই বাড়িতে ভক্তদের জন্য নিচতলায় থাকছে বড় হলরুম। এই খবরে খুশি মাশরাফি ভক্তরা। ভক্তরা বলেন, ‘মাশরাফি তার ভক্তদের সব সময়ই মূল্যায়ন করে থাকেন। এজন্য তিনি তার নতুন বাড়িতেও ভক্তদের জন্য বড় হলরুম নির্মাণ করেছেন। এটা আমাদের বড় প্রাপ্তি।’

অপরদিকে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বিকালে নড়াইলের উন্নয়নে ‘রান ফর নড়াইল’ এ অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest