সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা সদর ইউনিয়নকে শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষনাসাতক্ষীরায় পাখিমারা টিআরএমের বকেয়া ৪৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে স্মারকলিপিকালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

জার্মানির কনসটান্স শহরের একটি নাইটক্লাবে বন্দুকধারীর হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। ওই ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। পরে পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারীও নিহত হয়। জার্মান পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ ঘটনায় সব মিলে দুইজন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার (৩০ জুলাই) ভোর সাড়ে চারটার দিকে এক ব্যক্তি নাইটক্লাবে হঠাৎ করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। তখন এক ব্যক্তি নিহত হয়। পুলিশ জানায়, নাইটক্লাবে উপস্থিত থাকা অনেকে পালিয়ে গিয়ে কিংবা লুকিয়ে থেকে নিজেদের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হন। পরে পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারী আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর সেখানে মৃত্যু হয় তার।

এদিকে, মারা যাওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে জার্মান গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে।
কোন কোন রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মারা যাওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি হামলাকারী নয়, তিনি ক্লাবের একজন অতিথি।

জার্মান ভাষায় দেওয়া এক বিবৃতিতে পুলিশ ও প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, শহরটিতে বিশেষ কমান্ডো বাহিনী এবং একটি পুলিশ হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। বন্দুকধারী ওই ব্যক্তির কোনও সহযোগী ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হামলার কারণও এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বগুড়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণের পর বিচারের কথা বলে মারপিট এবং নির্যাতনের পর ধর্ষিতা ও তার মা’র মাথা ন্যাড়ার ঘটনায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারসহ গ্রেফতার তিনজনকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রবিবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যামসুন্দর রায়ের আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেককে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেন- বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ও তুফান বাহিনীর প্রধান তুফান সরকার (২৮), তার বাহিনীর সদস্য কসাইপাড়ার দুলু আকন্দের ছেলে আলী আজম দিপু (২৫) ও কালিতলার জহুরুল হকের ছেলে রূপম (২৪)।

এদিকে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দেওয়ায় আতিকুর রহমানকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি। এছাড়া এখনো ধরা পড়েননি তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তার বোন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি।

জানা যায়, বগুড়া শহরের নামাজগড় এলাকায় মা ও বাবার সাথে ভাড়া বাসায় বসাবাস করে ধর্ষিতা ওই কিশোরী। সে এবার বগুড়া শহরের জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেছে। তার বাবা একজন ড়্গুদে ব্যবসায়ী। জেলার শাজাহানপুর উপজেলার রাতাইল বন্দরে তার একটি খাবারের ছোট হোটেল রয়েছে। এসএসসিতে এ প্লাস না পাওয়ার কারণে ভাল কলেজে ভর্তি হতে পারবে না বলে কিশোরীর বাড়ির পাশেই বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুরের বাসিন্দা বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহবায়ক প্রভাবশালী নেতা তুফান সরকারের (২৪) সাথে যোগাযোগ করে। তুফান সরকার কিশোরীকে ভাল কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে ১৭ জুলাই সকালে নিজ বাড়িতে ডেকে পাঠায়। সেখানে সুযোগ পেয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তুফান সরকার। এ ঘটনার পর ২৮ জুলাই রাতে তুফান সরকারের স্ত্রী মোছা. আশা ও আশার বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি বিচারের কথা বলে ধর্ষিত ওই কিশোরী এবং তার মাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আটক রেখে ধর্ষিত কিশোরী ও তার মাকে নির্যাতন, মারপিট করে মাথার চুল কেটে নেড়ে করে দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাতে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। ২৮ জুলাই শুক্রবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তুফান সরকারসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশের অভিযানের সংবাদ পাওয়ার পর থেকে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তার বোন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি পলাতক রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর মা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় নারী নির্যাতন ও অপহরণের অভিযোগে পৃথক ধারায় দুইটি মামলা দায়ের করেছেন।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত তুফান সরকার ওই কিশোরীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। পরে তাদের মারপিট, নির্যাতন এবং মাথার চুল নেড়ে করে কেটে দিয়েছে। মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারে অভিযান চলছে। বগুড়া সদর থানার ওসি এমমাদ হোসেন জানান, এজাহারে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। অন্য আসামীদের বিরুদ্ধে ওই কিশোরী এবং তার মাকে (মামলার বাদী) অপহরণ, মারপিট ও শ্লীললতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন ওই কিশোরী জানায়, ১৭ জুলাই তুফান তাকে ধর্ষণ করে। তুফান রাজনৈতিকভাবে খুব প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কাউকে বলতে পারেন নি। এরপর তুফানের স্ত্রী আশা তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ তুফানের সহযোগী ৮/১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে ২৮ জুলাই শুক্রবার দুপুরে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের পর মাথার চুল কেটে নেড়ে করে দিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্কে বিশ্বাস করে। এটা স্বাভাবিক প্রতিবেশীদের সঙ্গে সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতাও চলমান থাকবে এবং যে কোন সমস্যাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা হবে।

রোববার বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনার রফিউজ্জামান সিদ্দিকীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে এলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সীমান্ত এবং সমুদ্রসীমা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছে। ভারতের সংসদ সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত বিলটি সর্ব সম্মসতভাবে অনুমোদন করেছে। ভারতের সঙ্গে সমস্যাটির শান্তিপূর্ণ সমাধান সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি উদাহারণ সৃষ্টি করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পরই কতগুলো নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে গেছি। যে কারণে জনগণ এখন এগুলোর সুফল পাচ্ছে। এসবের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কার্যকর নীতিমালা বিশেষ করে অর্থনৈতিক নীতিমালার দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নও নিশ্চিত হয়েছে।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ধারায় পুরোপুরি পরিবর্তিত একটি দেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ হয়েছেন তাতে পাকিস্থানের জনগণও আনন্দিত।

গত বছর গুলশানের হলি অর্টিজান রেস্তোরায় সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, ওই হামলার পর আর এ ধরনের কোন ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদকে কঠোর হস্তে দমনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহম্মদ জয়নুল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান : অনেকটাই ‘সতিদাহ প্রথা’র মতো বাঘের আক্রমণে স্বামী নিহত হলে তার দায় ভার গ্রহণ করা লাগে নারীদের। এর ফলে তার আ্র ঠাই হয়না স্বামীর সংসারে। সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল মানুষেরা এ রকম নানা কুসংস্কার পালন করে থাকে। এসব কুসংস্কারের কারণে বাঘের আক্রমণে স্বামী নিহত হলে সেই দায় যেয়ে পড়ে নিহতের স্ত্রীর উপর।
বেসরকারি সংস্থা লিডার্সের তথ্যমতে, ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত। ১০ বছরে বাঘের আক্রমণে মারা গেছে এক হাজারের অধিক বনজীবী। ২০১২ সালের পর থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাঘে আক্রমণে নিহত খবর না পাওয়া গেলেও ২০১৭ সালে ৩জন নিহত এবং একজন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ জেলে পাড়ার এক আলোচিত মুখ সোনামনি। তার দুই স্বামীকে বাঘে খেয়েছে। এজন্য কোন শুভ কাজে যাওয়ার আগে তার মুখ দেখে কেউ বের হয় না।
বাঘ বিধবা সোনামনি বলেন, ১৯৯৯ সালে আমার স্বামীকে বাঘে ধরে সেজন্য আমার শাশুড়ি আমাকে ১ মাস বয়সী এক বাচ্চাসহ তাড়িয়ে দেয়। আমি সেই বাচ্চাকে নিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াতাম। আমার কষ্ট দেখে আমার স্বামীর ছোট ভাই আমাকে বিয়ে করে। ২০০৩ তাকেও বাঘে ধরে। এর পর থেকে আমাকে সব শুনতে হয় অপায়া-অলহ্মী-স্বামী খেগোসহ নানা কথা। শাশুড়ি বলতো আমার দুই ছেলের মাথা খেয়েসিস। এখনও অনেকেই বলে দুই স্বামীর মাথা খেগো।
তিনি অনেকটা আক্ষেপ করে বলেন, কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত দেওয়া হয়না। দাওয়াত দিলেও সবার শেষে খেতে দেয়া হয় আমাকে।
তিনি আরো বলেন, কেউ আমার মুখে দেখে শুভ কাজে বের হয় না। বেঁচে থেকেও মৃত্যু মানুষের মতো মনে হয়। সে (স্বামী) বাঘের পেটে গেল আর আমাকেও মেরে গেল।
শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ এলাকার ‘বাঘ বিধবা’ বুলি দাশী বলেন, আমার স্বামী অরুণ মন্ডল ২০০২ সালে সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরতে যেয়ে বাঘের আক্রমনে নিহত হয়। এর পর থেকে আমার শাশুড়ি আমাকে বলতে থাকে তুই অপায়া, তোর কারণে আমার ছেলেকে বাঘে খেয়েছে এই বলে আমাকে নির্যাতন করতো। এ ঘটনার দুইমাসের মাথায় তিন ছেলে মেয়েসহ আমার শ্বাশুড়ি আমাকে তাড়িয়ে দেয়। যখন আমাকে তাড়িয়ে দেয় তখন আমার ছোট মেয়ের বয়স মাত্র এক মাস। আমার বাবা মারা গেছে অনেক আগেই। তারপর ভাইয়ের সংসার ঠিকমতো চলেনা তারউপর আমাকে খেতে দেবে কিভাবে। ভাইয়ের বাড়ি গিয়ে উঠলাম। এর পর থেকে বিভিন্ন কাজ করে এবং নদীতে রেণু পোনা (ছোট চিংড়ি মাছ) ও কাকড়া ধরে সংসার চালাতে শুরু করলাম। এমনিভাবে ছেলে মেয়েগুলোকে বড় করছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের গ্রামের অনেকেরই যাদের স্বামীকে বাঘে খেয়ে ফেলেছে তাদের অলক্ষী, অপায়া বলে বাপের বাড়ি তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার স্বামীর ছোট ভাইও বাঘের আক্রমণে নিহত হয়। তার স্ত্রী দিপালিকেও বাপের বাড়ি তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এতসব বলে লাভ কি। এর আগে অনেকেই অনেক কিছু শুনে গেছে। কেউ কিছু দেয় না। একদিন কাজ না করলে পেটে ভাত যায় না।
জানা গেছে, বাঘের আক্রমণে সেসব নারীদের স্বামী হারা হয় গণমাধ্যমে তাদের বাঘবিধবা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাদের অনেক সময় সামাজিক কুসংস্কারের কারণে অপায়া, অলহ্মী, স্বামী খেগো-অপবাদ দিয়ে স্বামীর ভিটা থেকে বিতাড়িত করা হয়। স্বামীর সংসাওে তাদেও আর ঠাই মেলেনা। সুন্দরবনের বাঘ বিধবাদের সামাজিক মর্যাদা ও পুনবাসন সংরক্ষনে কাজ করে যাচ্ছে সেরকারী উন্নয়ন সংগঠন অনিবাণ, দুর্জয়, জাগ্রত, বাঘ বিধবা নারী সংঠগন লির্ডাস। তারপরও অনেকে বাঘ বিধবা নারী এখনও অবহেলিত।
সুন্দরবন বিশেষজ্ঞ পিষূস বাউলিয়া পিন্টু বলেন, সুন্দরবনে প্রবেশের আগে বনজীবীরা ‘বনবিবি’র’ পুজা অর্চনা দিয়ে বনে প্রবেশ করে। সুন্দরবনে উপর নির্ভরশীল মানুষের মধ্যে আদিকাল থেকে কিছু কুসংস্কার চলে আসছে। কারো স্বামীর বনে মধু সংগ্রহ, কাট কাটা, মাছ ধরা জন্য প্রবেশ করলে সেই নারীকে কিছু নিয়ম মানতে হয়। যেমন অন্যপরুষের সাথে কথা বলা যাবে না, চুল আচড়ানো যাবে না, শরীরে তেল মাখা যাবেনা। এধরনের অনেকগুলো কুসংস্কার তাদের মানতে বাধ্য করা হয়। সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সচেতনার মাধ্যমে সেটা থেকে অনেকটা বের হয়ে আসা গেছে। তার পরও সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল অনেক পরিবার এটি ধরে রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, বনের উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী বৈধ পাস নিয়ে বনে প্রবেশের বেলায় বাঘের হামলায় নিহত হলে তার পারিবারকে ১ লক্ষ্য টাকা এবং আহত হলে চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তার পরও বনে গিয়ে কোনভাবে নিহত হলে তাদের সরকারিভাবে কোন সহায়তা প্রদান করা হয় না। এর একটি অন্যতম কারণ যারা বনে যেয়ে নিহত হয় তাদের সাথে সরকারি পাস নেওয়া ব্যক্তির মিল থাকেনা। অন্যের নামে পাস নিয়ে তাদের দাদন দিয়ে বনে পাঠানো হয়ে থাকে। তাই বাঘ বিধবারা থাকেন বরাবরই অবহেলিত।
সুন্দরবনের কোলঘেঁষা মুন্সিগঞ্জ এলাকার শাহিদা খাতুন নামে আরেক বাঘ বিধবাও জানালেন একই কথা। এই বিধবা নারী নদীতে জাল টেনে আর অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালান তিনি। এখন তিনি সুন্দরবন সংলগ্ন চুনা নদীর ধারে কলেজ পড়–য়া ছেলেকে নিয়ে বাস করছেন।
লির্ডাসের কর্মকর্তা মোহন কুমার মন্ডল জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় বর্তমানে প্রায় সাড়ে এগারশত বাঘ বিধবা নারী রয়েছে। এর মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরায় ইউনিয়নে ১০৯, বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নে ৩৯, মুন্সিগঞ্জে ১০৭, রজমাননগরে ৪১ জনসহ সুন্দরবনের কোলে প্রায় ১১০০ বাঘ বিধবা রয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২০০৯ সালেই সুন্দরবনে গিয়ে মারা যায় ১২০ জন বনজীবী। তবে স্থানীয়দের ভষ্যমতে এ সংখ্যা আরে অনেক বেশী। যারা অবৈধভাবে সুন্দরবনে গিয়ে মারা যায় তাদের নাম সরকারি খাতায় ওঠে না। ফলে স্বামী হারা বিধবার সংখ্যা অনেক। বাঘ বা কুমিরের আক্রমণে স্বামী নিহত হলে তার দায় চাপে স্ত্রীর উপর। স্ত্রীকে তখন নানা অপবাদে ভিটে ছাড়া করা হয়।
মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম মোড়ল বলেন, সুন্দরবনের কোল ঘেষা মানুষ আমরা। আমাদের এলাকার মানুষের শিক্ষার হার অনেক কম। তবে এখন অনেকটা উন্নত হয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে কিছু কুসংস্কার ছিলো কারো স্বামীকে বাঘে ধরলে পুরো দোষটা স্ত্রীকে দিয়ে তাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হতে। মানুষ এখন অনেক সচেতন এখন আর এটি শোনা যায় না।
তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের কারণে সুন্দরবন প্রাকৃতিক ভারসাম্য বদলে যাওয়ায় সুন্দরবনের বাঘের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সুন্দরবন বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এখন বাঘের আক্রমণে নিহতের ঘটনা খুবই কম শোনা যায়। এই বছর তিন জন বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছে বলে জেনেছি।
শ্যামনগর উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসার কমরুজ্জামান বলেন, আমি মাত্র কিছুদিন যোগদান করেছি। আমি আসার পর বাঘের আক্রমনে একজন আহত হয়েছে বলে জেনেছি। আমি স্থানীয়দের কাছে জেনেছি সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল মানুষদের শিক্ষার হার কম হওয়ায় এরা কুংস্কারে বিশ্বাসী। তবে এটা থেকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। দুই এক বছররের মধ্যে শুন্যের কোঠায় আনা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম আজ রাতে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল মাই টিভি(My TV )’র এক টক শো-তে অংশগ্রহণ করবেন। তৃণমূলের রাজনীতি বিষয়ক টক শো-টি সরাসরি সম্প্রচারিত হবে আজ রবিবার রাত ৮টায়।

টক শো-তে তিনি কথা বলবেন তৃণমূলের রাজনীতি নিয়ে। অনুষ্ঠানটি দেখবার জন্য সাতক্ষীরাবাসীকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

একবার ভাবুন তো, আপনি কোথাও বেড়াতে গেছেন, হঠাৎ এক রেস্তোরাঁয় দেখতে পেলেন, সেখানে বসে আছে হুবহু আপনারই মতো দেখতে একজন! কি ভয় পাবেন তো?

এমনই এক ‘ভয়ের’ ঘটনা ঘটেছে আয়ারল্যান্ড ও সুইডেনের দুই তরুণীর ক্ষেত্রে। তাঁরা জমজ তো ননই, মা-বাবাও এক নন, এমনকি রক্তের কোনো সম্পর্কই নেই তাঁদের মধ্যে। তবু তাঁদের চেহারায় এতটাই মিল বাবা নিজেই তাঁর মেয়ে কোনজন তা চিহ্নিত করতে পারেননি!

এই দুই নারী হলেন আয়ার‍ল্যান্ডের কেরি কাউন্টির শ্যানন লোনারগ্যান এবং সুইডেনের সারা নর্ডস্ট্রম। একজনের বয়স ২১, অন্যজনের ১৭।

ডেইলি মেইল জানিয়েছে, শ্যানন ও সারা অনলাইনে প্রথম পরিচিত হন। পরে ডাবলিনে দেখা করতে গিয়ে দুজনেই চমকে যান। তাদের চুল, মুখের গঠন থেকে শুরু করে সবকিছুই হুবহু একই রকম।

প্রথম দেখা সম্পর্কে শ্যানন বলেন, ‘দরজা খুলেই আমি যখন দেখি সারা দাঁড়িয়ে আছে, তখন আক্ষরিক অর্থেই আমার হৃদপিণ্ড লাফ দিয়ে যেন মুখে উঠে এসেছিল! আমার আত্মা যেন উধাও হয়ে গিয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রকাশভঙ্গি, ঠোঁট বাঁকানো, হাসি সবই হুবহু একই রকম। এটা খুবই ভুতুড়ে ব্যাপার।’

শ্যানন বাণিজ্য বিভাগে পড়াশোনা করছেন। গত গ্রীষ্মে তিনি একটি ‘জমজ আগন্তুক’ বিষয়ের একটি ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করেন। এরপর থেকে নিয়মিত তিনি খোঁজ রাখছিলেন নিজের মতো কারো দেখা তিনি পান কি না।

আর সারা ওই সাইটে নিবন্ধন করেন গত মাসে। এরপর দু-একবার সার্চ দিতেই মিলে যায় শ্যাননের ছবি। পরে তাঁরা ডাবলিনে দেখা করেন।

সারা বলেন, আমি যখন বিমানে করে আয়ারল্যান্ড যাচ্ছিলাম, তখন খুবই নার্ভাস ছিলাম। আমার ভয় ছিল, শ্যানন আর আমি হয়তো বাস্তবে একইরকম দেখতে হবো না। কিন্তু পরে যা দেখলাম …। সে হুবহু আমারই মতো।’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে কিছুটা পরাবাস্তব মনে হচ্ছিল, অনেকটা নিজের দিকে তাকানোর মতো।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিখ্যাত কোমল পানীয় কোকাকোলা। এটা শরীরের জন্য কত ক্ষতিকর তা বোঝাতে কোকাকোলার সাথে পয়সার বিক্রিয়া কিংবা কোকাকোলা গরম করলে কী বিক্রিয়া হয়, তা নিয়ে বহু ভিডিও আমরা প্রায় সবাই দেখেছি। কিন্তু তারপরও কি কোকাকোলা খাওয়া একদিনের জন্য বাদ দিয়েছি আমরা?

মিষ্টি এই পানীয় আসলেই শরীরের ভেতরে কীভাবে কাজ করে তা জানতে বেশ কিছুদিন ধরে গবেষণা করেছেন ফার্মাসিস্ট নিরাজ নায়েক। আর তিনি যা পেয়েছেন সেটা সত্যিই চিন্তিত হওয়ার মতো।

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ডেইলি স্টার অনলাইন জানিয়েছে, কোকাকোলা খাওয়ার এক ঘণ্টা পর এটি শরীরের মধ্যে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তা একটি গ্রাফের মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করেছেন নিরাজ। সেখানে দেখা গেছে, প্রথম চুমুক দেওয়ার পর থেকে ৬০ মিনিট পর পর্যন্ত সাতটি ধাপে এই কোমল পানীয় শরীরের মধ্যে বিক্রিয়া করে।

একটি ৩৩০ মিলিলিটারে এক ক্যান কোকাকোলা পানের মাধ্যমে ১০ চা চামচ পরিমাণ চিনি সরাসরি আপনার শরীরে প্রবেশ করে। যা প্রতিদিন গ্রহণযোগ্য চিনির পরিমাণের মাত্রার প্রায় আড়াই গুণ।

এ বিষয়ে নিরাজ তাঁর নিজস্ব ব্লগে লিখেছেন, চিনির মাত্রাটা এতটা বেশি যে এটা সরাসরি গ্রহণ করলে যে কারো বমি পেয়ে যেতে পারে। কিন্তু কোকাকোলার ভেতরে থাকা ফসফরিক এসিড এই অতিরিক্ত মিষ্টি স্বাদকে হালকা করে দেয় ফলে আরামসে পানীয়টি গলধঃকরণ করেন আপনি।

পুষ্টিবিদ ইলা এলার্ড মেট্রো ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘কোক সম্পর্কে এই ভয়ঙ্কর তথ্য আপনাকে চমকে দেবে। তবে এসব জানার কারণে উপকার যেটা হয়েছে সেটা হলো এখন থেকে কোকাকোলা পানের আগে সেটা ভেবে আপনি বিরত থাকবেন।’

শরীরের ভেতরে কোকাকোলার প্রতিক্রিয়া নিরাজ দেখিয়েছেন কয়েকটি ধাপে :

প্রথম ১০ মিনিট পরে : ১০ চা চামচ চিনি আপনার শরীরের ভেতরের ব্যবস্থাকে আঘাত করে। এটার অতিরিক্ত মিষ্টতার কারণে আপনি বমিও করে দিতে পারেন। কিন্তু এর রেসিপিতে থাকে ফসফরিক এসিড। আর এটাই অতিরিক্ত মিষ্টতা কমিয়ে দেয় যাতে আপনি এটা পান করতে পারেন।

২০ মিনিট পরে : আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় আর ইনসুলিনের বিস্ফোরণ ঘটে। প্রচুর পরিমাণ চিনি যকৃতের মধ্যে চর্বি তৈরি করে।

৪০ মিনিট পরে : এই সময়ের মধ্যে ক্যাফেইন পুরোপুরি শোষিত হয়ে যায়। আপনার রক্তচাপ বাড়তে থাকে। এতে করে আপনার যকৃত বা লিভারে আরো চিনি ঢুকে পড়ে।

৪৫ মিনিট পর : এই সময় আপনার শরীরের ডোপামিন উৎপাদন বেড়ে যায় এবং আপনার মস্তিষ্কে উদ্দীপনা জাগায়। মাদক হেরোইন যেভাবে কাজ করে ঠিক সেভাবেই এটা আপনার ওপর কাজ করে।

৬০ মিনিট পর : আপনার শরীরের অন্ত্রের নিচের দিকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়া ও জিংকের সাথে বিক্রিয়া করে ফসফরিক এসিড। যা বিপাককে হঠাৎ করে বাড়িয়ে দেয়। উচ্চমাত্রার চিনি ও কৃত্রিম চিনির কারণে রেচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্যালসিয়াম দেহ থেকে বের হয়ে যায়।

এই সময়ের পরে ক্যাফেইনের মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য কাজ করতে শুরু করে। এর মানে এই সময় আপনার প্রসাবের বেগ আসে। অর্থাৎ এবার প্রসাবের মাধ্যমে আপনার শরীর ও হাড় থেকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, সোডিয়াম, ইলেকট্রোলাইট ও পানি বের হয়ে আসবে।

এ সময় আপনি খিটখিটে হয়ে যেতে পারেন। কারণ কোকের সঙ্গে আপনি যেটুকু পানি গ্রহণ করেছিলেন সেটুকুও আপনার শরীর থেকে বের হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কোকাকোলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের এক মুখপাত্র বলেন, ‘১২৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ আনন্দের সাথে কোকাকোলা পান করে আসছে। অন্য সব কোমল পানীয়র মতো এটাও পানের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সুষম খাদ্য হিসেবে গ্রহণের জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

রাজধানীর সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য রুখতে এবার মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের তালিকা করবে দুদক।

শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে কোচিং বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি ও তাদের সম্পদের অনুসন্ধানও শুরু করেছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি। এজন্য সারাদেশের কোচিংবাজ শিক্ষকদের কোচিং সেন্টার খুঁজতে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১-এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিশেষ একটি টিমও গঠন করেছে দুদক।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোচিংবাজ শিক্ষকদের তালিকা করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আজিমপুর গভ:মেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং  উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০০ জনের মতো শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

আরো জানা গেছে, রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হলি ক্রস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মতিঝিল সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, গভ:মেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, অগ্রণী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ধানমন্ডি গভ:মেন্ট বয়েজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পর্যায়ক্রমে সারাদেশের কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের তালিকা করবে দুদক।

এদিকে ২০১২ সালের ২০ জুন কোচিং বন্ধের নীতিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে পারবে না। তবে তারা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি সাপেক্ষে অন্য স্কুল, কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানে দিনে সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থীকে নিজ বাসায় পড়াতে পারবেন। তবে কোনো কোচিং সেন্টারের নামে বাসা ভাড়া নিয়ে কোচিং বাণিজ্য পরিচালনা করা যাবে না। কিন্তু কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এই নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই দেদারছে কোচিং বাণিজ্য করে যাচ্ছে। তাই শ্রেণিকক্ষেই শিক্ষার্থীরা যেন প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই দুদক এই কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছে।

শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিপ্তরের কার্যক্রম ও কর্মকর্তাদেরও কড়া নজরদারি করা হচ্ছে। জনসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা, সেবা গ্রগিতাদের হয়রানি, দুর্নীতির কারণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখে দুর্নীতিবাজদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে মাউশির মহাপরিচালককে কিছু দিনের মধ্যে চিঠি দেবে কমিশন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কোচিং বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ছেন। আর এতে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কেননা কোচিং বাণিজ্যের মাধ্যমে দুর্নীতি হচ্ছে। আমরা কোচিং বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের তালিকা করছি এবং তাদের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছি। কোচিং ব্যবসায় জড়িত শিক্ষকদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। কেননা তারা শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। তাই কোচিং ব্যবসায় জড়িত শিক্ষকদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই জানিয়েছে, দুর্নীতির ব্যাপারে আমরা জিরো ট্রলারেন্স। শিক্ষামন্ত্রলয়কে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে কিছু শিক্ষক দুর্নীতি করছেন এটা সত্য। সেই দুর্নীতিবাজদের শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে সরাতে চাই, কিন্তু পারছি না। তবে দুদকের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। কেননা দুদক তথ্য দিলে আমরা সেই সব দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নিতে পারব। দুর্নীতি সব স্থানেই রয়েছে যা চেষ্টা করলেই তাৎক্ষণিক বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে দুর্নীতি সমাজের একটি ব্যাধি যা নির্মূল করতেই হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest