সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা সদর ইউনিয়নকে শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষনাসাতক্ষীরায় পাখিমারা টিআরএমের বকেয়া ৪৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে স্মারকলিপিকালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

মুক্তিযুদ্ধে নবম সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ও দুবলা ফিশারমেন গ্রুপের চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) জিয়াউদ্দিন আহমেদ আর নেই। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মেজর (অবঃ) জিয়াউদ্দিনের ভাগ্নে শাহানুর রহমান শামীম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১ জুলাই মেজর জিয়াউদ্দিন অসুস্থ হলে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, তার দুটি কিডনি অচল ও  লিভারের অবস্থা খারাপ। জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে তাকে এয়ার এম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৭ বছর।

সুন্দরবনের ‘মুকুটহীন সম্রাট’নামে খ্যাত জিয়াউদ্দিন আহমেদ পিরোজপুর শহরের শহীদ ফজলুল হক সড়কের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দীন আহমেদ  পিরোজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন।

বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী  জিয়াউদ্দিন আহমেদ ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭১ সালে সেনাবাহিনীর মেজর হিসেবে পশ্চিম পাকিস্থানে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জুলাই মাসে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দায়িত্ব পান ৯ নম্বর সেক্টরের সুন্দরবন অঞ্চলের সাব সেক্টর কমান্ডার হিসেবে। মুক্তিযুদ্ধে সুন্দরবন অঞ্চলে শত্রুদমনে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য তাকে ‘মুকুটহীন সম্রাট’ উপাধী দেওয়া হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ব্যারাকে ফিরে যান।

পরে মেজর হিসেবে পদমর্যাদা পান। ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু যখন সপরিবারে নিহত হন তখন তিনি ঢাকায় ডিজিএফআইতে কর্মরত ছিলেন। ৭ নভেম্বর কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে সিপাহি- জনতার বিপ্লবে তিনি অংশ নেন। এরপর সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে কর্নেল তাহেরের সৈনিক সংস্থার পক্ষে অবস্থান নিয়ে তার অনুসারীদের নিয়ে সুন্দরবনে আশ্রয় নেন। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে সুন্দরবনে সেনা অভিযানে মেজর জিয়াউদ্দিন গ্রেফতার হন। সামরিক আদালতে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি ও আ স ম আবদুর রব, মেজর জলিলসহ অন্যদের সঙ্গে মেজর জিয়াউদ্দিনকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ নিয়ে তখন সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা আন্দোলন শুরু করলে আ স ম আবদুর রব, মেজর জলিলসহ অন্যদের সঙ্গে মেজর জিয়াউদ্দিনও ১৯৮০ সালে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে জেনারেল এরশাদের সময় মেজর জিয়াউদ্দিন দেশ ছেড়ে আশ্রয় নেন সিঙ্গাপুরে।

এরপর ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে ছোটভাই কামালউদ্দিন আহমেদ, ভাগ্নে শাহানুর রহমান শামীম ও কয়েককজন মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে চলে যান সুন্দরবনের দুবলার চরে। বনদস্যু বাহিনীগুলোর হাতে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত সুন্দরবনের জেলেদের সংগঠিত করে শুরু করেন শুঁটকি মাছের ব্যবসা।

১৯৮৯ সালে জিয়াউদ্দিন পিরোজপুর পৌরসভার চেয়ারারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর গড়ে তুলেন ‘সুন্দরবন বাঁচাও’ কর্মসূচি নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দুবলা  ফিশারমেন গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কখনও জেলেদের নিয়ে, কখনও প্রশাসনকে সহায়তা দিয়ে ডাকাতদের নির্মূলে অবদান রেখেছেন তিনি। এ কারণে সুন্দরবনের একাধিক ডাকাত গ্রুপ বিভিন্ন সময়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এসব ডাকাত গ্রুপ জিয়াউদ্দিনকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তিনি একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছেন।

সর্বশেষ মোর্তজা বাহিনীর সদস্যরা পূর্ব সুন্দরবনের হারবাড়ীয়া ও মেহেরালীর চর এলাকার মাঝামাঝি চরপুঁটিয়ায় মেজর জিয়াকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বন্দুকযুদ্ধে মোর্তজা বাহিনীর চার সদস্য নিহত ও মেজর জিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

মেজর জিয়া মুক্তিযুদ্ধে নিজের ও অন্যদের অংশগ্রহণ এবং যুদ্ধের বিভিন্ন দিক নিয়ে ‘সুন্দরবন সমরে ও সুষমায়’ নামে একটি বই লিখেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে সরকারী কোন দপ্তর পরিচালনার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
”রায় ঘোষণার পর, নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন,” মিঃ শরিফের দফতর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়।
মি. শরিফের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আয়ের সাথে সম্পদের অসঙ্গতি থাকার অভিযোগ কেন্দ্র করে এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
মামলার রায়কে ঘিরে ইসলামাবাদের আদালত প্রাঙ্গণে বিপুলসংখ্যক পুলিশ এবং আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। কিছুদিন আগে এক বিশেষ তদন্তে উঠে আসে যে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা তাদের অর্থনৈতিক সম্পদের হিসেব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২০১৫ সালে পানামা পেপার্স ফাঁসের পর জানা যায় মি. শরীফের সন্তানরা বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছে।
পাঁচজন বিচারকের বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় দেন।
সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারক, এজাজ আহমেদ খান বলেছেন, মি. শরীফ এখন আর “একজন সৎ সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করার যোগ্য নন”। – জানাচ্ছে রয়টার্স।
মি. শরীফ, তার মেয়ে মরিয়ম এবং তার স্বামী সফদর, অর্থমন্ত্রী ইশরাক দারসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়েরের পরামর্শ দিয়েছে আদালত।
এদিকে রায় মেনে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিসার আলী খান।
পাকিস্তানের ইতিহাসে কোন বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় ৯ বছরের এক শিশুর পায়ু পথে আইসক্রিম ঢুকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা শহর উপকণ্ঠের ডাঙ্গীপাড়ার আশিক সুপার আইসক্রিম ফ্যাক্টরীতে এ ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতনের শিকার শিশুটির নাম ডাবলু মিয়া। সে সদর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ আইসক্রিম ফ্যাক্টরির দুই কর্মচারিকে আটক করেছে।
আটককৃত আইসক্রিম ফ্যাক্টরির কর্মচারীরা হল, সদর উপজেলার ব্রহ্মরাপুর ইউনিয়নের নুর ইসলামের ছেলে শামীম হোসেন (১৫), ধুলিহর ইউনিয়নের সুপারিঘাটা এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন (১৫)।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, ডাবলু প্রতিদিন ফ্রি আইসক্রিম খাওয়ার জন্য ফ্যাক্টরিতে যাতায়াত করতো। ফ্যাক্টরির উক্ত দুই কর্মচারী শিশুটির পায়ুপথে আইসক্রিম ঢুকানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফ্যাক্টরির ওই দুই কর্মচারীশামীম ও নাজমুলকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আটককৃত দুই ফ্যাক্টরী কর্মচারীকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় অলিম্পিক ডে পালিত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্টেডিয়ামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক ফিফা রেফারী ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য তৈয়ব হাসান বাবু, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহমেদ, ট্রেজারার মো. শাহ্ আলম সানু, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আলতাফ হোসেন, মো. হাফিজুর রহমান খান বিটু, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, শেখ রফিকুল আলম লাল্টু, কাজী কামরুজ্জামান, স.ম সেলিম রেজা, কিরণময় সরকার, মমতাজ খাতুন মিরাসহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ফুটবল এসোসিয়েশন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাবের প্রতিনিধিবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সব শ্রেণীর মানুষের জন্য সরকারি সেবা নিশ্চিত করতে সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এ কথা মনে রাখতে হবে যে দেশের জনগণের টাকায় সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন হয়।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি অব্যহত রাখতে সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা আশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনপ্রশাসনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি, সারাদেশ থেকে আসা ডিসিরাও সম্মেলনে অংশ নেন।

পাকিস্তান আমলে প্রশাসনে থাকা বাঙালি অফিসারদের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই মানুষের জন্য উন্নয়নমুখী জনপ্রশাসন গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। পুরনো ধ্যান ধারণা ফেলে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জনগণের সেবক হিসেবে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের ১২২ ভাগ বেতন বাড়ানো হয়েছে। রাজধানী থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এবার উন্নয়ন কর্মসূচিকে জণগণের দোড়-গোড়ায় পৌঁছে দিতে ভূমিকা রাখতে হবে তাদের।

বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আইনে বেশ কিছু সংস্কার চায় নির্বাচন কমিশন। আইনকে যুগোপযোগী এবং নির্বাচনকে স্বচ্ছ করার জন্য মাঠের কর্মকর্তাদের মতামত নিয়েছে ইসি। কমিশনের এক সুপারিশে কর্মকর্তাদের অবসরে যাবার ৩ বছরের পরিবর্তে ৫ বছর পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ না রাখার সুপারিশও আসছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচনে যারা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন তাদের দিতে হবে সরাসরি প্রার্থীতা বাতিলের ক্ষমতা। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে আইন সংস্কারে এই প্রস্তাব গুরুত্ব পাবে।

জনসংখ্যার অনুপাতকে গুরুত্ব দিয়ে ভোটার সংখ্যার হিসাব করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইনও সংস্কার করতে চায় ইসি।

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ সব পক্ষের জন্য একমাত্র দরোজা বলে মন্তব্য করেছেন বেগম কবিতা খানম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি,এম, আলি আযম টিটো ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালি………রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল( ৪৩)। তার দুটি সন্তান রয়েছে।একটি মেয়ে ও একটি ছেলে। টিটো আ ‘লীগ নেতা শফিউল আযম লেনিনের ভাই।
বৃহস্পতিবার রাত্রে ঘুমের মধ্যে আকস্মিকভাবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র থেকে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আমাদের হাতে এসে পৌছলে আপডেট সংবাদের মাধ্যমে জানানো হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জ্বর তাড়াবে ৭ চা

কর্তৃক Daily Satkhira

বর্তমানে ভাইরাস জ্বর একটি অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই এ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভাইরাস জ্বরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে অন্যান্য সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এর সমাধান আছে আপনার রান্না ঘরেই। মশলা ও বিভিন্ন হারবাল উপাদান দিয়ে তৈরি চা খেয়েই এই ভাইরাসজনিত জ্বরের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই সেসব হারবাল চা সম্পর্কে।

১. ধনে বীজের চা
ধনে বীজে নানা ধরনের ভিটামিন, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, অ্যান্টিবায়োটিক যৌগ ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন উদ্বায়ী তেল রয়েছে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে ভাইরাসজনিত জ্বর কমাতেও ভালো কাজ করে ধনে বীজ।

যেভাবে বানাবেন ধনের চা: এক গেলাস পানিতে এক চামচ ধনে বীজ মিশিয়ে ভালো করে ফোটান। এরপর মিশ্রণটিকে কিছুটা ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হলে অল্প দুধ ও চিনি মিশিয়ে ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চায়ের মতো করে খেতে দিন। দিনে কয়েকবার এই ধনে-চা খেলে জ্বর কমবে।

২. হারবাল চা
হারবাল চায়ে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। জ্বর হলে এই চা উপকারী। শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি জোগায় হারবাল চা। দিনে দুই বা তিনবার গরম চা আপনাকে অনেকটা আরাম দিতে পারে।

যেভাবে তৈরি করবেন হারবাল চা: চায়ের মধ্যে লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচি, আদা, বিভিন্ন, ধরনের পাতা জাতীয় জিনিস যোগ তৈরি করতে পারেন হারবাল চা।  তিন থেকে চারবার গরম চা আপনাকে অনেকটা আরাম দিতে পারে।

৩. জবা ফুলের চা
শুকনো জবা ফুলের পাপড়ি পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে তৈরি করা যায় জবা চা। এর নিজস্ব টক স্বাদ আছে এবং রুবি পাথরের মতো লাল রঙ হয় এই চায়ের রঙ। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ও যকৃত পরিষ্কার করার উপাদান আছে। তাছাড়া ভাইরাসজনিত জ্বরের আদর্শ পানীয়। এছাড়া আপনি প্রতিদিন সকালে জবা চা পান করলে আপনি পেতে পারেন অনেক স্বাস্থ্য উপকার।

৪. আদা চা
স্বাস্থ্যের গুণাগুণের বিচারে আদাকে বলা হয় ‘পাওয়ারহাউস’। এটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। প্রদাহ ও বেদনানাশক গুণও রয়েছে আদায়। শুধু তাই নয়, ভাইরাসজনিত জ্বর কমাতেও ভালো কাজ করে আদা।

যেভাবে বানাবেন আদা চা: দুটো মাঝারি মাপের শুকনো আদার টুকরো কুচিয়ে এককাপ পানি দিন। মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে নিন। দিনে তিন থেকে চার বার এই মিশ্রণটি খেলে ভাইরাসজনিত জ্বরে উপকার পাবেন।

৫. তুলসি পাতার চা
ভাইরাসজনিত জ্বরে তুলসি পাতা অত্যন্ত কার্যকরি প্রাকৃতিক দাওয়াই। কারণ এতে নানা-অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এছাড়া এতে অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও জার্মিডিক্যাল ও ফাংগিসিডালের উপস্থিতির কারণে ভাইরাসজনিত জ্বরে তুলসি পাতার জুরি নেই।

কীভাবে খাবেন তুলসি পাতা চা: গোটা ২০টি তাজা তুলসি পাতা সংগ্রহ করে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এক লিটার পানীয় পানিতে পাতাগুলো দিয়ে হাফ চামচ লবঙ্গ গুঁড়ো মেশান। এবার এই মিশ্রণটিকে ফুটিয়ে নিন। এক লিটার পানি কমে হাফ লিটার হয়ে এলে, আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। জ্বর অবস্থায় দু-ঘণ্টা পরপর এই মিশ্রণটি এক কাপ করে খান। উপকার পাবেন।

৬. পুদিনা চা:
পুদিনার শীতল প্রভাবের কথা আমরা সবাই জানি। ১ কাপ ধোঁয়া ওঠা গরম পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা চূর্ণ করে দিন। এর সাথে কয়েকফোঁটা লেবুর রস যোগ করতে পারেন স্বাদ বৃদ্ধির জন্য। এবার চুমুক দিয়ে পান করুন পুদিনা চা।

৭. মেথি চা:
মেথিতে আছে ডিওসজেনিন, স্যাপোনিনস, অ্যালকালয়েডসের মতো নানা উপাদান, যা সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। এ সময় ভাইরাস জ্বর হলে মেথির চা খেলে কাজে লাগবে। নিয়মিত মেথি খেলে সর্দি-কাশি পালায়।

যেভাবে ব্যবহার করবেন: লেবু ও মধুর সঙ্গে এক চা-চামচ মেথি মিশিয়ে খেলে জ্বর পালাবে। মেথিতে মিউকিল্যাগ নামের একটি উপাদান আছে, যা গলাব্যথা সারাতে পারে। অল্প পানিতে মেথি সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলার সংক্রমণ দূর হয়।

পরামর্শ:
ভাইরাসজনিত জ্বর সাধারণত সেবা-যত্ন ও সঠিক ভাবে খাওয়াদাওয়া করলেই সেরে যায়। তবে জ্বর বেশি হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest