স্পোর্টস ডেস্ক: দীর্ঘ দিন দলে নিয়মিত হতে পারছেন না বাংলাদেশ দলের বিস্ময় বালক মোস্তাফিজুর রহমান। পুরো ফিট না থাকায় সদস্য শেষ হওয়া ঐতিহাসিক ভারত টেস্টে খেলতে পারেননি জাতীয় দলের তরুণ উদীয়মান এ পেসার।
তবে দলের পাশাপাশি মোস্তাফিজ ভক্তদের জন্য সুখবর আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফর দিয়েই ফিরছেন তিনি। সেই সাথে সাদা পোশাকে জাতীয় দলের জার্সিতে আবারো মাঠ মাতানোর সম্ভাবনা জাগছে মোস্তাফিজের জন্য।
টেস্ট খেলার জন্য ফিটনেসের অভাব রয়েছে মোস্তাফিজের নির্বাচকদের এমন ধারণার পর নিউজিল্যান্ড ও ভারত সফরের দল থেকে বিশ্রামে রাখা হয়েছিল বাঁ-হাতি এ পেসারকে। ভারত সফরের দলে না থাকলেও এ সময়টাতে বসে থাকেননি তিনি। নিজেকে প্রমাণ করতে মোস্তাফিজ মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বিসিএলে।
বিসিএলে নিজের নামের প্রতি আস্থা রাখতে সক্ষম হয়েছেন মোস্তাফিজ। ইঞ্জুরি থেকে ফিরে লম্বা পরিসরে খেলা কঠিন হলেও স্বাচ্ছন্দ্যের সাথেই তা করে দেখিয়েছেন জাতীয় দলের এ তারকা পেসার। বিসিএলের পারফরম্যান্সই তাকে আবারো জাতীয় দলে ফেরার রাস্তা করে দিচ্ছে। জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচকের কন্ঠে তা জানা গেল পরিষ্কারভাবে।
বিসিএল চলাকালীন সময়ে মোস্তাফিজের উপর আলাদা নজর রাখা হয়েছিল উল্লেখ করে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানান মোস্তাফিজ আগের চেয়েও এখন অনেক বেশি ফিট। তাই আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরের দল তার অন্তর্ভুক্তিতেই গড়ার ইঙ্গিত এ নির্বাচকের।
নান্নু বলেন,‘মোস্তাফিজের ফিটনেস আগের চেয়ে অনেক ভালো। আমার বিশ্বাস, ও টেস্টর জন্য সম্পূর্ণ ফিট। ওর নিজেও এখন কোনো সমস্যা অনুভব করছে না। হয়তো ছন্দে ফিরতে খানিটকা সময় লাগতে পারে।’
শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিক থাকলে শ্রীলঙ্কা সফর দিয়েই জাতীয় দলের হয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরছেন কাটার-মাস্টার মোস্তাফিজ তা এক প্রকার নিশ্চিতই বলা চলে।

শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু : সাংবাদিকরা আছে বলেই দেশে এখনো দুর্নীতি অনেক নিয়ন্ত্রণে আছে। সাংবাদিকদের লেখনীর কারণে আজও অপরাধীরা শাস্তি পায়। সাংবাদিকরা হলো সমাজের দর্পণ। তাদের লেখার মাধ্যমে সমাজের অবহেলিত ও অসহায় মানুষ আজও ন্যায় বিচার পায়। যে কারণে এটি আজও মহান পেশা হিসাবে স্বীকৃত। সাংবাদিকতায় ৪ মাসব্যাপী ইন্টার্নশিপ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। সাতক্ষীরাতে প্রথমবারের মত এ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণের জন্য ডেইলি সাতক্ষীরাকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
ম্যাচের ৮ মিনিটে ৪০ গজ দূর থেকে এক চকিত শটে নাপোলিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে। ক্ষণিকের জন্য হলেও রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদানের চিন্তায় হয়তো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা ভর করেছিল। আগের রাতেই পিএসজির কাছে বার্সার উড়ে যাওয়ার স্মৃতি যে বেজায় টাটকা। কিন্তু রিয়াল সব শঙ্কা দূরে ঠেলে নাপোলিকে বার্নাব্যুতে হারিয়েছে ৩-১ গোলে।
রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এমনটাই জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
ন্যাশনাল ডেস্ক: ড. আবদুস সোবহান গোলাপ রচিত ‘‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দর্শন ডিজিটাল বাংলাদেশ অ্যান্ড সোশ্যাল চেঞ্জেস” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
ডি মারিয়া কবে এর চেয়ে ভালো রাত কাটিয়েছেন সেটা তাঁর নিজেরই মনে নেই। একে তো আর্জেন্টাইন এই তারকার জন্মদিন তার ওপর ৪-০ গোলে বার্সেলোনাকে হারিয়েছে পিএসজি। খুশির মুহূর্তটা কয়েকগুণ বেশি বেড়ে গেল কারণ মারিয়ার জোড়া গোলেই প্যারিস থেকে বিধ্বস্ত হয়ে ফিরেছে বার্সা। মারিয়ার জোড়া গোলের দিন গোল করেছেন কাভানি ও ড্রাক্সলার। ন্যু ক্যাম্পে ফিরতি পর্বে বার্সাকে জিততে হবে ৫-০ গোলে। লক্ষ্যটা অসম্ভব নয় তবে কঠিন তো বটেই।
এম বেলাল হোসাইন/শেখ শরিফুল ইসলাম: ছাত্রলীগ নেতা শেখ হাসিবুল হাসান ইমন হত্যা মামলায় রিয়াজুল ইসলাম রনি মোল্ল্যাকে দু’দিনের রিমা- শেষে ও সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের পুলিশ সদস্য আব্দুল ওহাবের ছেলে সাইফুল ইসলামকে শুক্রবার রাতে শহরতলীর মাছখোলা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে পুলিশ ইমন হতাকা-ে ব্যবহৃত লোহার পাইপ উদ্ধার ছাড়াও হত্যার ঘটনায় আলম, রনি ও সাইফুলের যোগসূত্র পেয়েছে। সাইফুলকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য রোববার আদালতে ১০ দিনের রিমা- আবেদন জানানো হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত ১৭ জানুয়ারি রাতে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের কলেজ ছাত্র জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান ইমনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। ১৮ জানুয়ারি রাতে নিহতের চাচা আলমগীর আলম লিটন বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ইমনের আত্মীয় বিপ্লব ও মুরাদকে বাদির ইঙ্গিতে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে রনিকে গ্রেফতার করে। প্রথম দফায় বিপ্লব ও মুরাদকে থানা হাজতে ও রনিকে কারাফটেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তীতে বিপ্লবকে রিমা-ে নেওয়া হয়। সবশেষে গত বৃহষ্পতিবার রনিকে থানা লকআপে, বিপ্লব ও মুরাদকে কারাফটকে দু’দিন করে রিমা-ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিদেশে অবস্থানকালে রনির স্ত্রীর সঙ্গে ইমনের পরকীয়া, বাবার অংশের জমি ও বিক্রি জমির টাকা জন্য চাচা আলমের উপর চাপসৃষ্টি, চাচা আলমের বাড়ি থেকে আড়াই লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে খুলনায় পালিয়ে যাওয়া, ইমনের কাছে বিপ্লবের দেড় লাখ পাওনা টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে তদন্তটিমের চার সদস্য ছাড়াও সদর সহকারি পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার এগোতে থাকেন। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে সাংবাদিক ও বিশিষ্ট জনেরা যাতে ইমনের বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলতে না পারে সেজন্য আলমগীর হাসান আলম বাড়ির প্রধান ফটকে পাহারা বসান। মোবাইল সিডিআর যাঁচাই করে শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার মাছখোলা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় শহিদ স.ম আলাউদ্দিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাইফুল ইসলাম (৫০)কে। বাদির বিরুদ্ধে যখন ইমন হত্যাকা-ের অভিযোগ দানা বেঁধে উঠছিল ঠিক তখনই পুলিশের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে ইমনের স্বজনদের দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইমনের বাবা ইকবাল কবীর লিটনকে দিয়ে ২০০১ সালে আশাশুনি থানার হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আলমকে কলিজার টুকরো ভাই বলে সম্বোধন করানো হয়। সূত্রটি আরো জানায়, পুলিশ বৃহষ্পতিবার রনিকে রিমা-ে নিয়ে ইমন হত্যার সঙ্গে সাইফুল ও আলম জড়িত বলে নিশ্চিত হয়। একইভাবে ইমন কীভাবে, কেন খুন হলো তা জানতে সাইফুলকে শুক্রবার রাতে আটক করে পুলিশ। যদিও সাইফুলের পরিবারের পক্ষ থেকে বাড়ি থেকে আটকের তারিখ এক সপ্তাহ আগে বলে দাবি করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ও পুলিশকে দেওয়া ১৬১ ধারার জবানবন্দিতে সাইফুলকে ১৬ জানুয়ারি রাতে ডে-নাইট কলেজের পাশে একটি চায়ের দোকানে আলম তাকে চা খেতে বলে দোস্ত একটি কাজ করে দিতে হবে বলে জানায়। পরে মোবাইলে যোগাযোগ করে রনির সহায়তায় সাইফুলকে দিয়ে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এরই অংশ হিসেবে ১৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাচা আলমের বাড়ি থেকে বের হয়ে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে ইমন বেরিয়ে যায়। পরে রনি ও ইমন ভ্যানযোগে মাছখোলা ব্রীজ এলাকায় যায়। সেখান থেকে পায়ে হেঁেট কামারডাঙা স্লুইজ গেট হয়ে তারা আমতলা বেড়িবাঁধের দিকে হাঁটতে থাকে। এ সময় পিছন দিক থেকে মোটর সাইকেলে সাইফুল এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। পরে ইমনকে লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। লাশ ফেলে দেওযা হয় ইকবাল বিশ্বাসের মাছের ঘেরে।
ভাবতে খানিক অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি খবর। এবং সেটি আশা জাগানিয়া।