পাইকগাছা ব্যুরো: আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। খুলনা জেলাকে ১৫ টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ১জন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও ৫নং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নিয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা পরিষদ গঠিত হবে। পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী, কপিলমুনি, গদাইপুর ও রাড়–লী ইউনিয়ন এবং পৌর সভাকে নিয়ে ১১নং ওয়ার্ড গঠিত হয়েছে। একান্ত সাক্ষাৎকারে উক্ত ওয়ার্ডে সদস্য প্রার্থী উপজেলা যুব লীগের সভাপতি এস,এম, শামছুর রহমান তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন আওয়ামী রাজনৈতিক দর্শনে জড়িত ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। ভাই এস,এম শাহজাহান আলী বীর মুক্তিযোদ্ধা। পাইকগাছা কলেজে ভর্তি হয়ে ১৯৮৫ সালে প্রথম ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করি। ৮৬ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছি। ১৯৮৯ সালে যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন। ১৯৯৪ সালে আমার নেতৃত্বের উপর আস্থা রেখে খুলনা জেলা যুবলীগ আমাকে পাইকগাছা উপজেলা আহবায়কের দায়িত্ব দিলে আমি সক্রিয় ভুমিকা রেখে ৯৫ সালের সম্মেলন করি। তখন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আমাকে সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব অর্পন করেন। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে হলে আমি সভাপতি নির্বাচিত হই। অদ্যাবধি আমি নিষ্টার সাথে যুবলীগ পাইকগাছা উপজেলার শাখা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছি। রাজনৈতিক অঙ্গন ছাড়াও সাংবাদিক হিসাবে পাইকগাছায় আমার একটা সুনাম ছিল। যে কারণে আমি ১৯৯৭ সালে পাইকগাছার সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও ৯৯ সালে পাইকগাছা প্রেসক্লাসে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০৪ সালে আমার নেতৃত্বে পাইকগাছা মহিলা যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ আমি ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্র-যুব ঐক্য পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হই। আমি আশা করি, ভোটারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে জেলা পর্ষদে পাঠাবে। আমি নির্বাচিত হতে পারলে আমার ওয়ার্ডকে ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত ওয়ার্ডে পরিনত করবো ইনশাল্লাহ।