সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা পুষ্টি কমিটির সভাআত্মসমর্পনকৃত বনদস্যুদের পুনরায় সুন্দরবনে তৎপর হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় মাত্র ১২০ টাকায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশে চাকরি পেল ৫৮ তরুণ-তরুণীসাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় ৮৯ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে ফেরত দিল পুলিশআশাশুনিতে মাটি চাপা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যুঅবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে যেকোনো `চ্যালেঞ্জ’ নিতে প্রস্তুত নতুন সিইসিসাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস’র কমিটি গঠন জেলা প্রশাসক সভাপতি : সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনআশাশুনির বুধহাটা খেয়াঘাটে বেতনা নদীতে সাঁকো নির্মানকালীগঞ্জে কৃষিজমিতে লবণ পানি ঢুকিয়ে চিংড়ি চাষ বন্ধে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময়

qbn9quy53uppসার্ক নয়, এবার পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে বিমসটেকসহ অন্যান্য উপ-আঞ্চলিক জোট গড়ে তোলার দিকে জোর দিচ্ছে ভারত। মিয়ানমার ও বাংলাদেশকে নিয়ে ত্রি-দেশীয় অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চিন্তাও আছে ভারতের। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে পাশে চায় ভারত।
সরকারি আমন্ত্রণে দিল্লী সফররত বাংলাদেশি সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের খোলামেলা আলাপে এসব কথা উঠে আসে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও একই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
উন্নয়ন কাজে অসহযোগিতা, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে এ বছর ইসলামাবাদ সার্কে যোগ দিতে অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ, ভারতসহ কয়েকটি সদস্য দেশ। এর কারণে বাতিল হয়েছে উনিশতম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন। আবারও অনিশ্চিত হয়ে পরেছে সার্ক-এর ভবিষ্যৎ। আর সে কারণেই সার্কের বাইরে গিয়ে ভারত নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের চিন্তা করছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, পাকিস্তান সার্ককে নিজের সুবিধার জন্যই শুধু ব্যবহার করতে চায়। ‘যেন তাদের সমস্যাগুলোর সমাধান আগে হয়ে যায়। কিন্তু সার্কের তো এটা মূলকথা ছিল না। এখানে বলাই হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলো দ্বিপাক্ষিকভাবেই সমাধান হবে। আঞ্চলিক বিষয়, যাকে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার কর্পোরেট স্বার্থ বলতে পারি, সেগুলো নিয়ে কাজ করা সার্কে লক্ষ্য।’
বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও।
সাবেক হাইকমিশনার বলেন, মালদ্বীপকে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি আফগানিস্তানকেও যদি বিমসটেকে নিয়ে আসা হয়, অন্তত শুরুর দিকে পর্যবেক্ষক হিসেবে, তাহলে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে একত্র হতে পারে। পাকিস্তানকে বাদ দেয়া জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি। কেননা পাকিস্তানকে যোগ করলে ইস্যুগুলো আগের গণ্ডিতেই ঘুরতে থাকবে। সমস্যার সমাধান হবে না।
আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে পাকিস্তান একঘরে হয়ে পড়ছে উল্লেখ করে ভারতের সাবেক-বর্তমান কূটনীতিকরা বলছেন, সামনের দিনগুলোতে উপ-আঞ্চলিক জোটগুলো শক্তিশালী করতে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ ও ভারত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

x02apa1f8wcoবাংলাদেশ ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তার ছেলে সোহেল মর্তুজার জন্মদিন আজ।
৩৪ বছরে পা দেওয়া মাশরাফি ১৯৮৩ সালের নড়াইলে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম কৌশিক। অন্যদিকে দু-বছরে পা দেওয়া মাশরাফির একমাত্র ছেলে সোহেল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।
পাড়ার মাঠে বল হাতে গতি ছোটানো মাশরাফি প্রথমে সুযোগ পান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। সেখান থেকেই তিনি চোখে পড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং কোচ অ্যান্ডি রবার্টসের। তার হাতে পড়েই ক্যারিয়ার বদলে যায় মাশরাফির। তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি প্রথম শ্রেণির কোনো ম্যাচ না খেলেই টেস্টে অভিষিক্ত হন।
ইনজুরির কারণে টেস্ট ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি মাশরাফির। মাত্র ৩৬ টেস্ট খেলে নিয়েছেন ৭৮ উইকেট। একই সঙ্গে তিনটি হাফ সেঞ্চুরিসহ রান করেছেন ৭৯৭।
বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি- ১৬৩টি। উইকেট পেয়েছেন ২০৮টি, আর রান ১ হাজার ৪৫০।
নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৫টি বছর পার করে ফেলেছেন ক্যারিয়ারের। ২০০৬ সালে এক পঞ্জিকাবর্ষে মাশরাফি ছিলেন একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশ্বের সর্বাধিক উইকেট শিকারি বোলার।
তিনি ওই বছর নিয়েছিলেন ৪৯ উইকেট। তারই নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ খেলেছে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল।
তার হাত ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট স্বর্ণালী যুগে প্রবেশ করেছে। ২০১৪ সালে নতুন করে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি।
দেশের মাটিতে টানা ৫ম সিরিজ জয়ের রেকর্ডও হয়েছে নড়াইল এক্সপ্রেসের সময়েই। মাশরাফির জন্মদিনে শুভেচ্ছা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1lor9oqfypr8ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার জোকারচর নামক স্থানে ট্রাক খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই ৪ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অনন্ত ৬ জন। নিহতরা হলেন পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার বেড়া শম্ভুপুর গ্রামের বোকাই মিঞার ছেলে সোহেল মিঞা (৩৫), গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার কমলপুর গ্রামের আসাদুর রহমানের ছেলে সুজন (৩৮), বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার হাশিমপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে আফছার (৬০) ও অজ্ঞাতনামা একজন।
আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছাবুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার জোকারচর নামক স্থানে পৌঁছালে ট্রাকটির চাকা পাংচার হয়।

“এ সময় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে পাশ্ববর্তী খাঁদে পড়ে যায়। ট্রাকের উপরে থাকা ২৬ জন যাত্রী সিমেন্টর নীচে চাপা পড়লে ঘটনাস্থলেই ৪ জন নিহত হয়।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1476684438_1475645945স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) উপপরিচালক তামজিদ সারওয়ারকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার সকালে মিরপুর আহম্মদনগর-পাইকপাড়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে দুদক উপপরিচালক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।

দুদক উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদক উপপরিচালক জানান, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় একটি সড়ক নির্মাণে এক কোটি দুই লাখ ৪২ হাজার ৩৩৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে একটি মামলা করেন দুদক উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র। এ মামলার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc02027-copyমাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরায় ফাস্ট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড ভিক্ষুকের টাকাসহ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা। গ্রাহকের টাকা বেমালুম হজম করার জন্য আদালতে মামলা করেছে এ প্রতারক চক্র। ভুক্তভোগীরা জানান, ২০১০ সালে এ প্রতিষ্ঠাটি যাত্রা শুরু করে। ডিপোজিট ডিপিএস’র নামে অধিক মুনাফার কথা বলে অসংখ্য গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া হয় কয়েক লক্ষ টাকা। এক পর্যায়ে  প্রায় ২শ’ গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে তারা লাপাত্তা হয়ে যায়। জানা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক রফিকুল ইসলাম ডিপোজিট করে ৮ লক্ষ টাকা, মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ডিপোজিটের নামে নেয়া হয় ২ লক্ষ টাকা, আব্দুর রশিদের ১ লক্ষ টাকা, ক্যাপ্টেন বাবু’র ১ লক্ষ টাকা, আব্দুর রহিম নামের আরেক গ্রাহকের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা, চায়ের দোকানী ছালেহা খাতুনের নিকট থেকে ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা, ভিক্ষুক সায়েরা বিবি’র কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা। এভাবে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের জানান, অধিক মুনাফার কথা বলে আমাদের কে ওই প্রতিষ্ঠানে একাউন্ট করায়। আমরা সেই আশায় আমাদের সর্বস্ব জমা রাখি। প্রথমে শহরের মিনি মার্কেটে অফিস খুলে বসে। এর পরে নারিকেলতলা মোড়ে সাইন বোর্ড তুলে এই প্রতিষ্ঠানটি  গ্রাহকদের নানাভাবে হয়রানী ও প্রতারণার ফাঁদ পাতে। পরবর্তীতে খুলনা রেড মোড় নাফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিচ তলায় চলে যায়। ২০১৪ সালে মে মাসে এই প্রতিষ্ঠানটি হঠাৎ সেখান থেকে লাপাত্তা হয়ে যায়। এর পর ২০১৬ সালে নতুনভাবে প্রতারণার ফাঁদ পেতে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ডাঃ ওমর ফারুক কাটিয়া টাউন বাজার সংলগ্ন শাহী মসজিদের পাশে তার হোমিও প্যাথিক চেম্বার বিসমিল্লা ক্লিনিকের উপর প্রতিষ্ঠানের সাইন বোর্ড খাটিয়ে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৪ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠান বন্ধ  হয়ে গেলে গা বাঁচাতে ফাষ্ট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এস.এম শরিফ-উজ-জামান রুমি কোন রেজুলেশন ছাড়াই স্থানীয় একটি পত্রিকায় অব্যাহতি জানান। শহরের হাসিনা পল্লী ফোনের মালিক গ্রাহক আব্দুর রশিদ ও আর এক গ্রাহক সায়রা বিবি জানান, চেয়ারম্যান এস.এম শরিফ-উজ-জামান রুমির স্বাক্ষরে লক্ষ লক্ষ টাকা লেন দেন হয়েছে। তার স্বাক্ষরিত চেক আমাদের কাছে রয়েছে। ভিক্ষুকসহ গ্রাহকদের আতœসাৎকৃত টাকায় তৈরি হয়েছে বেতনা ট্রেডার্স এমন দাবি করেছেন গ্রাহকরা। হতাশাগ্রস্থ হয়ে চেয়ারম্যান  এস.এম শরিফ-উজ-জামান রুমির স্বরণাপন্ন হন গ্রাহকরা। তিনি গ্রহকদের আশ্বস্ত করে বলেন ম্যানেজার ডাঃ ওমর ফারুক আসলে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু টাকা ফেরত পাওয়া তো দুরের কথা উল্টো গ্রাহকদের নামে এই প্রতিষ্ঠানটি সাতক্ষীরার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭/১১৭(গ) ধারায় মামলা করেছে। যার নং ৮২৫/১৬ (সাত)। এ সব ঘটনায় ফাস্ট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহরের মুনজিতপুর এলাকার ছালামত উল্লাহর ছেলে এস.এম. শরিফ উজ-জামান রুমির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ম্যানেজার ডাঃ ওমর ফারুকের সাথে আমার অনেকদিন যোগাযোগ নেই। তার সাথে যোগাযোগ হলে শুনে দেখবো কেন গ্রাহকদের নামে মামলা করেছে। এখন ওই প্রতিষ্ঠানের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নাই। প্রতিষ্ঠানের ক্যাশিয়ার ডাঃ ওমর ফারুক টাকা তোলাসহ সব কিছুই দেখাশুনা করতো। কিন্তু আমার কাছে কোন হিসাব নিকাশ দিত না। এ ব্যাপারে ম্যানেজার ডাঃ ওমর ফারুকের একাধিক সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সব গুলি নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে ০১.০৭.২০১৬ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর গ্রাহক ছালেহা খাতুন বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এস. আই দেলোয়ার সদর থানায় ফাষ্ট মাল্টিপারপাস কো- অপারেটিভ সোসাইটির ম্যানেজার ডাঃ ওমর ফারুক কে নিয়ে আলোচনায় বসেন গ্রাহকদের  টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে। আলোচনায় ম্যানেজার গ্রাহকদের টাকা পরিশোধের জন্য তিন দিন সময় চেয়ে নেয়। এর পর থেকে সে লাপাত্তা হয়ে গেছে। লাপাত্তার ২ মাস পর গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো ২৭.০৯.১৬ তারিখে মামলা করে ম্যানেজার ডাঃ ওমর ফারুক। এদিকে ওই মাল্টিপারপাসের গ্রাহক ভিক্ষুক সায়েরা বিবি সাংবাদিকদের জানায়, সারা জীবন ভিক্ষা করে অনেক কষ্টে ৮০ হাজার টাকা জমিয়েছি। সেই টাকা আমি ওখানে জমা রাখি। এখন তারা পালাইছে। এখন শেষ বয়সে আমার কি হবে বাপ?  তোমরা আমার টাকার ব্যবস্থা করে দাও। তা নইলে আমি মরে যাব। অন্যান্য গ্রাহকরা আরো জানায়, ওই মাল্টিপারপাসের চেয়ারম্যান এস.এম শরিফ-উজ জামান রুমি, ম্যানেজার শহরের কাটিয়া এলাকার সামছুর রহমানের ছেলে ডাঃ ওমর ফারুক ও  শেখ ফারুক আহমেদ বাবলু মূলত এই তিন জন মিলে প্রতারণার জাল বিছিয়ে  গ্রাহকদের কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগী ও সচেতন মহলের দাবি আর যাতে সাধারণ মানুষ এ ধরনের প্রতারণার স্বীকার না হয় এ জন্য এ ধরনের প্রতারক চক্রদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

monora
প্রেসবিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুর মাতা ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল গফুর (গফ্ফার) এর স্ত্রী আলহাজ্ব মোছাঃ মনোয়ারা সুলতানা মঙ্গলবার বেলা ৩টায় ঢাকার উত্তরার বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। মৃত্যুর পূর্বে তিনি ৩ পুত্র, ১ কন্যা সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনী জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। মঙ্গলবার মাগরিব নামাজের পর মরহুমার প্রথম জানাযা ঢাকার উত্তরার বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বুধবার সকালে মরহুমার দ্বিতীয় জানাযা ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের শাল্যে গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে। তার এই মৃত্যুতে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা এবং বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জেলা আওয়ামীলীগ: সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি, সাবেক এমপি একে ফজলুল হক, আবুল খায়ের, সাবেক এমপি ডা: মোখলেছুর রহমান, এড. এস এম হায়দার, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, শেখ সাহিদ উদ্দিন, কৃষি সম্পাদক সরদার মুজিব, তথ্যগবেষনা সম্পাদক সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এড. আজহারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এড. গোলাম মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক বিশ্বাস, শিক্ষা সম্পাদক শফিউল  আযম লেলিন, যুব ক্রীড়া সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, শিল্প বাণিজ্য সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল গণি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু, উপ- দপ্তর সম্পাদক জে এম ফাত্তাহ, উপ-প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক প্রণব ঘোষ বাবলু, কোষাধ্যক্ষ আসাদুল হক, সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ। অনুরূপ শোক জানিয়েছেন, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স ম জগলুল হায়দার এমপি, বেগম রিফাত আমিন এমপি, জেলা মহিলা সম্পাদিকা মনোয়ারা ফারুক, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মমতাজুন নাহার, এড. শাহানাজ পারভীন মিলি, কোহিনুর ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ অহেদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী, আশাশুনি উপজেলার সভাপতি এ বিএম মোস্তাকিম, সাধারণ সম্পাদক এড. শহীদুল ইসলাম পিন্টু, দেবহাটা উপজেলার সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামন মনি, কলারোয়া উপজেলার সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু, তালা উপজেলার সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন প্রমুখ। স্বেচ্ছাসেবকলীগ: সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মারুফ হাসান মিঠু, সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলীসহ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ।  যুবলীগ : সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন মারুফ, বাঁশদহা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, কুশখালী ইউনিয়নের সভাপতি খায়রুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মতলেবুর রহমান টুটুল, বৈকারি ইউনিয়নের সভাপতি জুলফিকার আলী জুলু, সাধারণ সম্পাদক ইনজামুল হক, ঘোনা ইউনিয়নের সভাপতি ইউনুস আলী, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, শিবপুর ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, ভোমরা ইউনিয়নের কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পলাশ, আলীপুর ইউনিয়নের সভাপতি মহিবুল্লাহ সরদার, সাধারণ সম্পাদক  আসিফ হোসেন, ধুলিহর ইউনিয়নের সভাপতি আজহারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বাবলুর রহমান বাবু, আগরদাড়ী ইউনিয়নের সভাপতি সামসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল, বল্লী ইউনিয়নের সভাপতি শেখ আজহারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আফতাবুজ্জামান লাল্টু, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের সভাপতি মাস্টার তারক নাথ পাল, সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ, লাবসা ইউনিয়নের সভাপতি আসাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বাবু, ফিংড়ী ইউনিয়নের সভাপতি সোহাগ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার দাশ প্রমুখ। ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ: ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নিলিপ মল্লিক, সাধারন সম্পাদক নূর ইসলাম মগরেব, সাংগঠনিক সম্পাদক অজিয়ার রহমান, সহ ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্যবৃন্দ। বিডিএফ প্রেসক্লাব: বিডিএফ প্রেসক্লাবের কর্মরত সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন বাবু, এম. আর মিঠু, এস,এম ইসমাইল হোসেন, মাষ্টার আসাদুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, আরশাদ আলী, আবু সাঈদ, শরিফুল ইসলাম রানা, আব্দুল হাকিম, ইয়াছিন আলী, জাহারুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, শামীম রেজা প্রমূখ। ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ: ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস,এম শহিদুল ইসলাম, সচিব সেরাজুর রহমান, মহিলা মেম্বার মালঞ্চ খাতুন, মোছাঃ মর্জিনা খাতুন (লিলি), ভৈরবী বিশ্বাস, সাধারণ মেম্বর এস,এম রেজাউল ইসলাম, মোঃ নূর ইসলাম (মগরেব), মোঃ মতিয়ার রহমান, মোঃ কামরুজ্জামান, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (ময়না), মোঃ রেজাউল করিম (মিঠু), মোঃ রেজাউল করিম (মঙ্গল), মোঃ কুরবান আলি ও কালিদাস সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

5
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার সিলভার জুবিলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৬ সালের খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা খুলনা বিভাগীয় উপ পরিচালক এ,কে,এম গোলাম মোস্তফার স্বাক্ষরিত সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেওয়া এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর আগে ২০১৫ সালের এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জী খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
চায়না ব্যানার্জী জানান, গত ১০ আগস্ট শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই শেষে সাতক্ষীরার সিলভার জুবিলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচন করা হয়। পরে বিভাগীয় পর্যায়ে যাছাই-বাছাইয়ের জন্য তার বিদ্যালয়ের নাম পাঠানো হয়। সেখানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় মধ্যে গত ৬ সেপ্টেম্বর যাচাই-বাছাই করা। সাতক্ষীরা সিলভার জুবিলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৩৫ সালে সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এ  বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৪২০জন। এর মধ্যে ছাত্র ২১৬ ও ছাত্রী ২০৪জন। এ বিদ্যালয়ে  দুইজন প্যারা শিক্ষকসহ শিক্ষকের সংখ্যা ১৫জন। প্রধান শিক্ষকসহ দক্ষ শিক্ষকবৃন্দের প্রচেষ্টায়  ২০১১-১৫ সালের সমাপনী পরীক্ষায় পাশের হার শতভাগ। এ বিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়ে থাকে। ২০১২-১৫ সাল তিন বছরে ১১ জন ট্যালেন্টপুলে ও ৫ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে। বিদ্যালয়ে দৈনিক সমাবেশ, সকল ছাত্র-ছাত্রীর ইউনিফর্ম, শিক্ষকদের ইউনিফর্ম, দেয়ালিয়া প্রকাশ, চিত্রাংকন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, সাপ্তাহিক ও মাসিক পরীক্ষা, দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কোচিঙের ব্যবস্থাসহ নানাবিধ ব্যবস্থা রয়েছে। চায়না ব্যানার্জী ২০১১ সালে সাতক্ষীরা সিলভার জুবিলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তারপর থেকে  বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবেশগত পরিবর্তন আসতে থাকে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও শৃঙ্খলা চোখে পড়ার মতো। চায়না ব্যানার্জী জানান, তার নেতৃত্বে দক্ষ শিক্ষক মন্ডলীর চেষ্টার পাশাপাশি বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সহযোগিতায় তাদের এ  বিদ্যালয় খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে ও ২০১৫ সালে তিনি বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্থানীয় সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবুসহ সাতক্ষীরা জেলা ও সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সদর উপজেলা ইউআরসি কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়টি এগিয়ে নিতে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছেন।  সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো; মহিউদ্দিন বিদ্যালয়টি সার্বিক উন্নয়নে খোঁজখবর রাখেন ও সহযোগিতা করে থাকেন। সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান ও বর্তমান বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ বিদ্যালয়ে মানোন্নয়নে সহযোগিতা দিয়ে গেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ২৫ মামলার আসামি মিজানুর রহমান মন্টুর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের ইয়াকুব আলী গাজী এই অভিযোগ করেন। এসময় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইয়াকুব আলী গাজীরা ৫ ভাই ও ২ বোন। পিতার মৃত্যুর পর পৈত্রিক সূত্রে তেতুলিয়া বাজারে তারা প্রত্যেকে এক শতক করে জমি প্রাপ্ত হন। এর মধ্যে তার সেঝ ভাই দাউদ আলী ২০১১ সালে নিজের অংশের জমি বিক্রি করে দিয়ে ইয়াকুব আলীর জমি দখলের চেষ্টা করতে থাকেন। এই জন্য দাউদ আলী টাকার বিনিময়ে আশাশুনি উপজেলার ২৫ মামলার আসামি মিজানুর রহমান মন্টুকে ভাড়া করে ইয়াকুবের পিছনে লেলিয়ে দেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ইয়াকুবের ছেলে নুর ইসলাম গাজী ও রবিউল ইসলাম গোয়ালডাঙ্গা বাজারে যাওয়ার পথে মন্টু বাহিনী তাদের ধাওয়া করে। ওই সময় নুর ইসলাম ও রবিউল তিতুখালীর জগদীশ বাবুর বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে তাদের বের করে আনে মন্টু বাহিনীর সদস্যরা। তারপর রাস্তায় ফেলে তাদের দুইভাইকে বেদম মারপিট করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় তাদের দুইভাইয়ের পা। এরপর সেখান থেকে তাদেরকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায় মন্টুসহ তার লোকজন। পরে বিকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সামনে থেকে তাদের উদ্ধার ও মন্টু বাহিনীর সদস্য ফজলু গাজীকে আটক করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, মিজানুর রহমান মন্টু চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ঘের দখল, নারী নির্যাতনসহ ২৫টি মামলার আসামি। তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান মন্টুকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ইয়াকুব আলী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে নুর ইসলাম ও রবিউল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest