সার্ক নয়, এবার পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে বিমসটেকসহ অন্যান্য উপ-আঞ্চলিক জোট গড়ে তোলার দিকে জোর দিচ্ছে ভারত। মিয়ানমার ও বাংলাদেশকে নিয়ে ত্রি-দেশীয় অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চিন্তাও আছে ভারতের। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে পাশে চায় ভারত।
সরকারি আমন্ত্রণে দিল্লী সফররত বাংলাদেশি সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের খোলামেলা আলাপে এসব কথা উঠে আসে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও একই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
উন্নয়ন কাজে অসহযোগিতা, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে এ বছর ইসলামাবাদ সার্কে যোগ দিতে অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ, ভারতসহ কয়েকটি সদস্য দেশ। এর কারণে বাতিল হয়েছে উনিশতম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন। আবারও অনিশ্চিত হয়ে পরেছে সার্ক-এর ভবিষ্যৎ। আর সে কারণেই সার্কের বাইরে গিয়ে ভারত নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের চিন্তা করছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, পাকিস্তান সার্ককে নিজের সুবিধার জন্যই শুধু ব্যবহার করতে চায়। ‘যেন তাদের সমস্যাগুলোর সমাধান আগে হয়ে যায়। কিন্তু সার্কের তো এটা মূলকথা ছিল না। এখানে বলাই হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলো দ্বিপাক্ষিকভাবেই সমাধান হবে। আঞ্চলিক বিষয়, যাকে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার কর্পোরেট স্বার্থ বলতে পারি, সেগুলো নিয়ে কাজ করা সার্কে লক্ষ্য।’
বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও।
সাবেক হাইকমিশনার বলেন, মালদ্বীপকে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি আফগানিস্তানকেও যদি বিমসটেকে নিয়ে আসা হয়, অন্তত শুরুর দিকে পর্যবেক্ষক হিসেবে, তাহলে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে একত্র হতে পারে। পাকিস্তানকে বাদ দেয়া জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি। কেননা পাকিস্তানকে যোগ করলে ইস্যুগুলো আগের গণ্ডিতেই ঘুরতে থাকবে। সমস্যার সমাধান হবে না।
আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে পাকিস্তান একঘরে হয়ে পড়ছে উল্লেখ করে ভারতের সাবেক-বর্তমান কূটনীতিকরা বলছেন, সামনের দিনগুলোতে উপ-আঞ্চলিক জোটগুলো শক্তিশালী করতে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ ও ভারত।