সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসুচিকে ঘিরে ১৪৪ ধারা জারিশ্যামনগরে সদ্য যোগদানকৃত সমাজসেবা কর্মকর্তার অপসারনে দাবিতে অবস্থান কর্মসুচিসাতক্ষীরায় মোস্তাফিজুর রহমান খান শিক্ষাবৃত্তি ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনাসাতক্ষীরায় জাতীয় মহিলা সংস্থার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগআশাশুনিতে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ: ১৪৪ ধারা জারিকালিগঞ্জে দুই শিশু সন্তানসহ বিষপান : শিশু দুটি মারা গেলেও বেছে আছেন মা রত্না খাতুনকালিগঞ্জে গাছ কাটতে গিয়ে এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুকোন ব্যক্তি বা কর্মীর কারনে মানুষের আস্থা নষ্ট হলে তাকে রাখতে পারবো না– তারেক রহমানআশাশুনিতে মোবাইল কোর্টে জাল বিনষ্ট ও জরিমানাশ্যামনগরের নওয়াবেঁকী মাদ্রাসায় পিঠা উৎসব

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। গতকাল তিনি শ্রীউলা ইউনিয়নের পুঁইজালা,বিল মহিষকুড়, হাড়িরহাটখোলা, ঢালিরচক,নাকতাড়া সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ সহ ৮টি মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ইউনিয়নের প্রতিটি পূজা মন্ডপে নগদ ২ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি নাকতাড়া কালিবাড়ী সার্বজনীন দুর্গা পূজামণ্ডপে ভক্তবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম রহমান ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল বক্তব্য রাখেন। এসময় মিসেস গোলাম রহমান, বিজিএম ক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাবলু,ইয়াং স্টারস্ ক্লাব সভাপতি সৌরভ রায়হান সাদ,ইউপি সদস্য ইয়াছিন আলী সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বুধহাটা প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলায় শারদীয়া দুর্গোৎসব উপলক্ষে ১০১টি পুজা মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হলেও মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর দিনে ৪টি মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। বাকীগুলো আজ (বুধবার) বিসর্জন দেওয়া হবে। বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে ৭ অক্টোবর দুর্গোৎসব শুরু হয়। নানান আচার ও অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ৫দিন ব্যাপী দুর্গাদেবীর পুজা শেষে গতকাল ছিল বিজয় দশমী। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা, র‌্যাফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ছিল নানান অনুষ্ঠান। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সরকারিভাবে নির্দেশনা থাকলেও নানান জটিলতা ও বাধ্যবাধকতার কারণে গতকাল আশাশুনিতে মাত্র ৪টি স্থানে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। এ ৪টি মন্ডপ হলো, আশাশুনি সদর, কাদাকাটি ইউনিয়নের ঝিকরা, শোভনালী ইউনিয়নের বদলতলা ও কুল্যা ইউনিয়নের মহিষাডাঙ্গা সার্বজনীন পুজা মন্দির। বাকীগুলো আজ বিসর্জন দেওয়া হবে। বিশেষ করে কাদাকাটির টেংরাখালী, বড়দলের বুড়িয়ায় বিশাল আড়ম মেলার মাধ্যমে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিসর্জন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম রহমান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতরাত্রে ১২টার পর থেকে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি দায়িত্ব পালন শেষ করেছে। গতকাল যারা প্রতিমা বিসর্জন দেয়নি তারা নিজস্ব দায়িত্বে নিরাপত্তাবিধান করবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আরাফাত হোসেন, কালিগঞ্জ: বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক মোঃ শহিদুল বিশ্বাস এর মাদক ব্যবসায়ী পুত্র মোঃ শাহাদাৎ হোসেন (২৩) কে ৫ পিস ইয়াবা ও ১০ পুরিয়া গাজা সহ গ্রেফতার করেছে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক এস,আই,রমজান সংগীয় ফোর্স নিয়ে বালিয়াডাঙ্গা হাইস্কুল এর সামনে থেকে গত ১০-১০-২০১৬ ইং রাত ৮ টায় দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাওয়া ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও গাঁজা  ব্যবসায়ী শাহাদাৎকে ধরতে সক্ষম হন কালিগঞ্জ থানা পুলিশ। দীর্ঘদিন বুক ফুলিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে গেলেও  শেষ রক্ষা হলনা মাদক ব্যবসায়ী শাহাদাতের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া প্রতিনিধি: বখাটেদের কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় কলারোয়ায় দুই মহিলাকে বেদম মারপিট করে জখম ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়াগেছে। কলারোয়া উপজেলার ব্রজবাকসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে জখমপ্রাপ্ত দুই মহিলা কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হলেন, উপজেলার ব্রজবাকসা গ্রামের মৃত, নজরুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনা খাতুন (৩০) ও তাদের স্বজন বজলু সরদারের স্ত্রী সেলিনা (৩৫)। গতকাল সরজমিনে কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোজিনা ও সেলিনার সাথে কথা বলে জানাযায়, তাদের প্রতিবেশী স্থানীয় বখাটে বিল্লাল হোসেন, মুক্তি, কবিরুল ইসলাম, রুস্তম আলী, লিটন হেসেন ও মুনছুর আলী দীর্ঘদিন তাদের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। কিন্তু তারা এ প্রস্তাবে রাজী না হয়ে বরং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। পরে তারা ঘটনাটি স্থানীয় প্রতিবেশীদের জানায়। এ ঘটনায় ঔ বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে তাদেরকে প্রান নাশের জন্য খুজতে থাকে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুরুতর জখমপ্রাপ্ত সেলিনা অশ্র“ কন্ঠে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় বখাটে বিল্লাল ও মুনছুর তাদের বাড়ীতে এসে রোজিনাকে খুজতে থাকে। এ সময় রোজিনা ও সেলিনা নিজ বাড়িতে বসে গল্প করছিলো। পরে দুই বখাটে বিল্লাল ও মুনছুর জোর পূর্বক তাদের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করার চেষ্টা করলে তারা দুই জনে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে নিজেদের সম্ভ্রম বাচাতে সেলিনা দুই বখাটে বিল্লাল ও মুনছুরকে জুতা দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনার পর বখাটে বিল্লাল ও মুনছুর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের কাছে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে এলাপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। পরে তারা গুরুতর জখম হলে বখাটেরা তাদেরকে ধর্ষন করার চেষ্টা করে। পরে এ ঘটনার সাথে তাদের সহপাটি মুক্তি, কবির, রুস্তম, লিটন ও মুনছুর ঘটনাস্থলে এসে তারাও সেলিনা ও রোজিনা তাদের সাথে যোগ দিয়ে লাঠি দিয়ে মারপিটসহ  গোপনাঙ্গ থেঁতলে দেয় তারা। এক পর্যায়ে তারা সজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে বখাটেরা তাদের উপর শরিরীক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে মৃত ভেবে ঘরের মধ্যে ফেলে বখাটে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। এ ঘটনার তার সেলিনার ভাই বাড়িতে এসে এ ঘটনা দেখে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলে পথে সন্ত্রাসী বখাটে বিল্লাল, মুনছুর, মুক্তি, কবির, রুস্তম, লিটনসহ কয়েকজন তাদের গতিরোধ করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেয়নি। তিনি আরো বলেন, সকালে তাদের পরিস্থিতির অবনতি হলে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদেরকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে ব্রজবাকসা গ্রামের আব্দুল আজীজের ছেলে সন্ত্রাসী বিল্লাল হোসেন ও এলাকার (ঘরজামাই) মুনছুর আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, সেলিনা ও রোজিনা নষ্ট চরিত্রের। তারা এলাকার পরিবেশ নষ্ট্ করছে। সে জন্য তাদেরকে মারপিট করা হয়েছে। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল হক শেখ জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় তারা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6


মীর খায়রুল আলম : বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিজয়া দশমির বিসর্জন মিলন মেলা নানান জটিলতায় ৪ বারের মত এবারও বন্ধ হল। ভাসলো না দুই বাংলার মিলন মেলার ভেলা। যার যার সীমারেখার মধ্যে কঠোর নজরদারীতে সম্পন্ন হল বিজয়া বিসর্জন মেলা। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জনাস্থল দেবহাটার ইছামতি নদী। দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এই বিসর্জন কে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয় মিলন মেলা। তাছাড়া প্রতি বছরের এই দিনে ইছামতি নদীর তীরে আন্তর্জাতিক সীমারেখাসহ দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে মিলন মেলায় মিলিত হয় পাশাপাশি অবস্থিত প্রতিবেশী দু’দেশের হাজার হাজার মানুষ। আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে এবং করে উভয় দেশের মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে পারাপারসহ সন্ত্রাসী, পলাতক আসামী, দৃষ্কৃতিকারীরা যাতে করে অবৈধভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে না যেতে পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। তারই পরিপেক্ষিতে দু’দেশের জাতীয় ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠিন সিদ্ধান্তে ৪ বারের মত বন্ধ হল ঐতিহ্যবাহী এই মিলন মেলা। দিনটিতে নিরাপত্তার লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারণী ইছামতি নদীর বিস্তৃত জিরো পয়েন্ট এলাকা জুড়ে নৌযানে টহল জোরদার করে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা। তাছাড়া দায়িত্বরত অবস্থায় পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশ, প্রবেশ পথ সহ সকল সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্বে ছিল ট্রাফিক পুলিশ। দিনটিতে বেলা বাড়ার সাথে সাথে দেবহাটাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের পূজা মণ্ডপ থেকে দেবী দুর্গার প্রতিমা নিয়ে ইছামতি নদীর এই বিসর্জনাস্থলে আসতে থাকে ভক্তরা। পরে সন্ধ্যার আগ মূহুর্তে অশ্র“সিক্ত নয়নে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানায় দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুুষ। তবে সুষ্ঠুভাবে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হলেও কয়েক বছর মিলন মেলা না হওয়ায় প্রত্যেকের মাঝে ছিলো হতাশার চিহ্ন। ৪র্থ বারের ন্যায় সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তের ইছামতি নদীতে শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে ভাসেনি দু’বাংলার মিলন মেলার তরী। গত কয়েক বছরের ন্যায় এবছরও সকাল থেকে ইছামতি নদীর পাড়ে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হলেও প্রতিমা বহনকারী নৌকা ছাড়া নদীতে নৌকা ভাসাতে পারেনি কেউই। ফলে অনেকটা হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন দু’বাংলার মানুষ। তাছাড়া বাংলাদেশে সরকারের সিদ্ধান্ত— অনুযায়ী মিলন মেলা না হওয়ার কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবছর জেলা পরিষদের আয়োজনে বাংলাদেশ সীমান্তে ব্যাপক আয়োজন করা হয়। বিগত বছরগুলোয় নানান জটিলতায় আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন। এবিষয়ে স্থানীয়রা বলেন দেশ বিভাগের অনেক আগে থেকেই সীমান্তের  ইছামতি নদীর উভয় তীরে দুর্গা পূজার শেষ দিন বিজয়া দশমীতে মেলা বসে আসছে। দেশ বিভাগের পরও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি সীমান্তের সীমারেখা। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে এ মেলা কখনও বন্ধ হয়নি। সারা বছর ধরে শুধু ইছামতি নদীর পাড়ের মানুষ নয়, বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ দিনটির জন্যে থাকে অপেক্ষায়। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিজর্সন উপলক্ষে ইছামতির উভয় পাড়ে বসে নানারকমের দোকান। আত্বীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত ছাড়াও এখানে আসা মানুষ উভয়ের মধ্যে ভাব বিনিময় শেষে সন্ধ্যার পরে ফিরে যায় যে যার দেশে, যে যার ঘরে। বাঙ্গালীর জাতীর সর্বজনীন উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা বিজয়া দশমী প্রতিমা বিসর্জন ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে সকলের মাঝ থেকে। আগামী প্রজন্ম হয়ত আর উপভোগ করতে পারবে না উৎসব মূখর এই আনন্দঘন দিনটি। দু-দেশের জটিলতায় হয়ত একদিন সকলের মাঝ থেকে হারিয়ে যাবে দিনটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

5-large
জি.এম আবুল হোসাইন: “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদেশ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ১০টাকা কেজি দরে ২য় দফায় চাউল বিতরণ করা হয়েছে। সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবকাটি বাজারে মঙ্গলবার সকালে চাউল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা মো. খলিলুর রহমান সানা, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির ইউনিয়ন তদন্ত কর্মকর্তা উপ-সহকারি কৃষি অফিসার কিরণ্ময় সরকার, ইউপি সদস্য মো. ইকবাল আনোয়ার সুমন, মাধবকাটি বাজার কমিটির সভাপতি ও ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল খায়ের বিশ্বাস, ৮নং ওয়ার্ড আ’লীগের সহ-সভাপতি, কবি ও নাট্যকার ডা. মো. সামছুজ্জামান, মাধবকাটি বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির লিটু সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক হতদরিদ্রদের জন্য স্বল্প মূল্যে চাউল বিতরণে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় মাধবকাটি বাজারে ডিলার মো. শফিউর রহমানের মাধ্যমে ১০টাকা কেজিতে ১৯২জন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে স্বল্প মূল্যে চাউল বিতরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4
বুধহাটা প্রতিনিধি :আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাবে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বাউশুলী গ্রামের আব্দুল গণি সরদারের পুত্র আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ও সংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে দক্ষিণ চাপড়া গ্রামের আব্দুল গণি সরদারের পুত্র এস এম আকবার হোসেন বলেন, বেশ কিছু দিন আগে বাউশুলী গ্রামের শান্তি রঞ্জন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। যে রাতে তার মৃত্যু হয় সেই রাতে তার বাড়িতে ঐ ব্যক্তি (শান্তি রঞ্জন) ছাড়া পরিবারের অন্য কোন সদস্য ছিল না। এই মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু কি না এটাকে কেন্দ্র করে আব্দুল হান্নানকে জড়িয়ে এলাকায় গুনজন সৃষ্টি  হলে পুলিশ এসে লাশ ময়না তদন্তে পাঠায়। এই মৃত্যুতে বাউশুলী গ্রামের আব্দুল হান্নানের হাত থাকতে পারে এলাকায় এমন গুনজন ওঠায় সে (আব্দুল হান্নান) প্রকাশ্য আমাকে (আকবার হোসেন), একই গ্রামের আনোয়ার হোসেন সরদারের পুত্র আবু জাহিদ সোহাগ এবং মৃত আজিমুদ্দীন সরদারের পুত্র মহিউদ্দীন আহম্মেদ কে অকথ্য ভাষায় গালী গালাজ ও ভয় ভীতি দেখায়। পরবর্তীতে ঐ মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে আব্দুল হান্নানের পাওনা টাকা ফেরৎ পেতে বাধা দিচ্ছে এমনটি প্রচার করে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেমসহ আমাকে (আকবার হোসেন) ভয় ভীতি প্রদান করে। এমন কি আব্দুল হান্নান আবু জাহিদ সোহাগকে বিষয়টি নিয়ে ফোনে বিভিন্ন ভাবে হুমকী দেয়। ব্যাপারটি নিয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিরা ও আমিসহ এলাকার বহু মানুষ আঙ্কংকে জীবন যাপন করছে। কারন এই সেই হান্নান যার বিরুদ্ধে উপজেলা ব্যাপী নানা অপকর্মের অভিযোগ করেছে। সে এক জন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত। সে (আব্দুল হান্নান) রাতের আধারে বিভিন্ন মৎস্য ঘের থেকে অস্ত্র দেখিয়ে মাছ চুরি করে থাকে। হান্নানের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে এবং এলাকায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2
প্রেসবিজ্ঞপ্তি : পাওনা টাকা ফেরত ও মিথ্যা ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রেহাই পেতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আশাশুনি উপজেলার শীতলপুর গ্রামের শওকত আলী সরদার। মঙ্গলবার দুপুরে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৭ সালে শওকত আলী সরদার তার ছেলে ইদ্রিস আলীকে কুল্যা ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে তাছলিমার সাথে বিয়ে দেন। ইদ্রিস আলী ঢাকায় রিক্সা চালায়। তাদের সংসারে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, তাছলিমার পিতা অর্থনৈতিভাবে অস্বচ্ছল ছিলো। রেজাউল করিম এক পর্যায়ে শওকত আলীকে বলেন তিনি সহযোগিতা করলে বিদেশ গিয়ে অর্থনৈতিভাবে স্বচ্ছলতা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবেন। সে মোতাবেক বিভিন্ন স্থান থেকে ধার করে তাকে ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে বিদেশ যেতে সহযোগিতা করেন শওকত আলী সরদার। কিন্তু চোরাই পথে যাওয়ার কারণে মাঝ পথে ধরা পড়েন। তখনও তাকে আরও ৫০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। এরপর তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। কিছুদিন যাওয়ার পর তাকে টাকা পরিশোধের কথা বলা হয়। ওই সময় বৌমা তাছলিমা বাপের বাড়ি গেলে আর ফিরে আসতে চাইতো না। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ৭/৮ বার মিমাংসা করে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর থেকে রেজাউল করিম টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ফন্দি আটতে থাকে। একপর্যায়ে গত সোমবার তাছলিমার চাচাতো ভাই তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ওই দিন রাতে সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যায় বৌমা ও তার ভাই নেই। তখন তাকে খোজাখুজি করে জানা যায় সে বাবার বাড়ি চলে গেছে। যাওয়ার সময় ঘর তৈরির জন্য রাখা ৬০ হাজার টাকা, ১ ভরি ওজনের একটি চেইনসহ প্রায় ৭০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের জিনিসপত্র নিয়ে যায়। ওইদিন সকালে অভিযোগ দেওয়ার জন্য আশাশুনি থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, এখন কিছুই করতে হবে না। পরে দেখা যাবে। কিন্তু হঠাৎ গত ৭ অক্টোবর স্থানীয় পত্রিকার একটি সংবাদ দৃষ্টিগোচর হয়। ওই সংবাদে বলা হয়েছে, তাকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট ও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রকৃত ঘটনা হলো, আমাদের পাওনা টাকা না দেওয়ার জন্য বৌমা ২ সন্তান রেখে রাতের আধারে বাপের বাড়িতে গিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। সংবাদ সম্মেলনে পাওনা টাকা ফেরত ও মিথ্যা ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
পাওনা টাকা ফেরত ও ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন
প্রেসবিজ্ঞপ্তি : পাওনা টাকা ফেরত ও মিথ্যা ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রেহাই পেতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আশাশুনি উপজেলার শীতলপুর গ্রামের শওকত আলী সরদার। মঙ্গলবার দুপুরে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৭ সালে শওকত আলী সরদার তার ছেলে ইদ্রিস আলীকে কুল্যা ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে তাছলিমার সাথে বিয়ে দেন। ইদ্রিস আলী ঢাকায় রিক্সা চালায়। তাদের সংসারে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, তাছলিমার পিতা অর্থনৈতিভাবে অস্বচ্ছল ছিলো। রেজাউল করিম এক পর্যায়ে শওকত আলীকে বলেন তিনি সহযোগিতা করলে বিদেশ গিয়ে অর্থনৈতিভাবে স্বচ্ছলতা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবেন। সে মোতাবেক বিভিন্ন স্থান থেকে ধার করে তাকে ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে বিদেশ যেতে সহযোগিতা করেন শওকত আলী সরদার। কিন্তু চোরাই পথে যাওয়ার কারণে মাঝ পথে ধরা পড়েন। তখনও তাকে আরও ৫০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। এরপর তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। কিছুদিন যাওয়ার পর তাকে টাকা পরিশোধের কথা বলা হয়। ওই সময় বৌমা তাছলিমা বাপের বাড়ি গেলে আর ফিরে আসতে চাইতো না। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ৭/৮ বার মিমাংসা করে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর থেকে রেজাউল করিম টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ফন্দি আটতে থাকে। একপর্যায়ে গত সোমবার তাছলিমার চাচাতো ভাই তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ওই দিন রাতে সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যায় বৌমা ও তার ভাই নেই। তখন তাকে খোজাখুজি করে জানা যায় সে বাবার বাড়ি চলে গেছে। যাওয়ার সময় ঘর তৈরির জন্য রাখা ৬০ হাজার টাকা, ১ ভরি ওজনের একটি চেইনসহ প্রায় ৭০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের জিনিসপত্র নিয়ে যায়। ওইদিন সকালে অভিযোগ দেওয়ার জন্য আশাশুনি থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, এখন কিছুই করতে হবে না। পরে দেখা যাবে। কিন্তু হঠাৎ গত ৭ অক্টোবর স্থানীয় পত্রিকার একটি সংবাদ দৃষ্টিগোচর হয়। ওই সংবাদে বলা হয়েছে, তাকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট ও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রকৃত ঘটনা হলো, আমাদের পাওনা টাকা না দেওয়ার জন্য বৌমা ২ সন্তান রেখে রাতের আধারে বাপের বাড়িতে গিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। সংবাদ সম্মেলনে পাওনা টাকা ফেরত ও মিথ্যা ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest