সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা পুষ্টি কমিটির সভাআত্মসমর্পনকৃত বনদস্যুদের পুনরায় সুন্দরবনে তৎপর হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় মাত্র ১২০ টাকায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশে চাকরি পেল ৫৮ তরুণ-তরুণীসাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় ৮৯ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে ফেরত দিল পুলিশআশাশুনিতে মাটি চাপা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যুঅবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে যেকোনো `চ্যালেঞ্জ’ নিতে প্রস্তুত নতুন সিইসিসাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস’র কমিটি গঠন জেলা প্রশাসক সভাপতি : সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনআশাশুনির বুধহাটা খেয়াঘাটে বেতনা নদীতে সাঁকো নির্মানকালীগঞ্জে কৃষিজমিতে লবণ পানি ঢুকিয়ে চিংড়ি চাষ বন্ধে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময়

Exif_JPEG_420

Exif_JPEG_420

প্রেসবিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চকদরি খড়িতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ ঘোষের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সেলিনা সুলতানা এই অভিযোগ করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি ওই বিদ্যালয়ে ০১/৪/১৩ তারিখ হতে কর্মরত আছেন। ২০১৬ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে একই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন আশুতোষ ঘোষ। ওই বিদ্যালয়ে ৩জন শিক্ষক থাকলেও একজন রয়েছেন পি.টি আই প্রশিক্ষণে। বিদ্যালয়ে সব সময় অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করলেও প্রধান শিক্ষক আশুতোষ ঘোষ তাকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকেন। এরই মধ্যে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় শিক্ষিকা সেলিনা সুলতানাকে বেড রেস্টের পরামর্শ দেন ডা. আকছেদুর রহমান। এর প্রেক্ষিতে তিনি ছুটির সকল নিয়ম মেনে কালিগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে ১৮/৯/১৬ তারিখে ১৫ দিনের ছুটির আবেদন করেন। তখন শিক্ষা অফিসার ছুটির আবেদন প্রধান শিক্ষকের সুপারিশ গ্রহণের জন্য বিদ্যালয়ে পাঠান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ওই আবেদন রিসিভ করেননি। এরই মধ্যে প্রধান শিক্ষক আশুতোষ ঘোষ স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিকে নিয়ে সেলিনা সুলতানার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ছড়াতে থাকেন। পরে শিক্ষা অফিসার ১৯/৯/১৬ তারিখে ৭৭৯নং স্মারকে ছুটির আবেদনে সংযুক্ত প্রেসক্রিপসনের সঠিকতা যাচাই করার জন্য সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরণ করেন। সিভিল সার্জন মেডিকেল বোর্ডের মতামত সাপেক্ষে অসুস্থতার সত্যতা স্বীকার করে ২৬/৯/১৬ তারিখে কালিগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি প্রতিবেদন প্রদান করেন। এরপর শিক্ষা অফিসার ২৭/৯/১৬ তারিখে ছুটি মঞ্জুর করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ১৮/৯/১৬ তারিখ থেকে হাজিরা খাতায় তাকে অনুপস্থিত দেখাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রধান শিক্ষক আশুতোষ ঘোষ একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি। ইতোপূর্বে চারিত্রিক কারণে তিনি ১৮ বার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত এবং কয়েকবার চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন। তিনি প্রতিনিয়ত ওই শিক্ষিকাকে বিদ্যালয় ছুটির পরও তার ব্যক্তিগত কাজে সময় দিতে বলেন। এছাড়াও ওই প্রধান শিক্ষক তার ব্যক্তিগত ভ্যানেটি ব্যাগ তল¬াশী করেন। সংবাদ সম্মেলনে ওই শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষক আশুতোষ ঘোষের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনের বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৪ বছর মেয়াদী কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে ২৭ টি পদের বিপরীতে ২টি প্যানেলে ৫৭ টি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর ২ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেন। ২৮সেপ্টেম্বর দুটি প্যানেলের মোট ৫৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। নির্বাচনী তপশীল মোতাবেক ২৯ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র বাছাই, ২অক্টোবর বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ৪ অক্টোবর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার, ৫ অক্টোবর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং ১৭ অক্টোবর সাতক্ষীরা অফিসার্স ক্লাবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহন চলবে। ১০৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। সম্মিলিত ক্লাব ঐক্য পরিষদের সহ- সভাপতি পদে আশরাফুজ্জামান আশু, মেহেদী হাসান, মুজিবর রহমান, ইঞ্জিঃ কবীর উদ্দিন আহম্মেদ। সাধারণ সম্পাদক পদে এ. কে. এম আনিছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী সান্টু, মো. আহম্মদ আলী সরদার, শেখ আব্দুল কাদের, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. শাহ আলম হাসান শানু, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, কাজী কামরুজ্জামান কাজী, মো. রুহুল আমিন, আ, ম আক্তারুজ্জামান মুকুল, মো. হাবিবুর রহমান হবি, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মান্নান, ইকবাল কবির খান বাপ্পি, মির্জা মনিরুজ্জামান কাকন,  মো. ইদ্্িরস আলী, শেখ রফিকুর রহমান লাল্টু, মো. হাফিজুর রহমান খান বিটু, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, মো. কবিরুজ্জামান রুবেল, উপজেলা নির্বাহী সদস্য স.ম. সেলিম রেজা, সৈয়দ জয়নাল আবেদীন জসি, মহিলা সদস্য কাজী সেতারা জামান ও ফারহা দীবা খান সাথী। অপর প্যানেলে ক্রীড়া ও স্টেডিয়াম উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসনে জাহিদ জজ, বদরুল ইসলাম খান বদু, ফিরোজ আহম্মেদ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, শেখ নাসেরুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শেখ নিজাম উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাহমুদ হাসান মুক্তি, যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী তৈয়েব হাসান বাবু, সাইদুর রহমান শাহীন, কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী কাজী শফিউল আজম, নির্বাহী সদস্য প্রার্থী শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, শেখ আশরাফ আলী, মোহাম্মাদ আবু সায়ীদ, মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মোঃ রইস উদ্দীন সরদার, শেখ নাসেরুল হক, মোমীন উল্লাহ মোহন, শেখ মারুফুল হক, শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, খন্দকার বদরুল আলম, ওয়াসিাউদ্দীন খান পিপুল, মোঃ আলতাফ হোসেন, মিজানুর রহমান মিনুর, শেখ জাহিদ হাসান, নির্বাহী সদস্য (উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সংরক্ষিত) জাহিদুর রহমান খান চৌধুরী, শেখ ইকবাল আলম বাবলু, নির্বাহী সদস্য (মহিলা) মমতাজুন নাহার ঝর্ণা।
অপরদিকে শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু সহ ৫ নামের অপর পক্ষ নির্বাচন কমিশনে যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। নির্বাচন কমিশন সে অভিযোগ গ্রহণ না করে তাদেরকে বৈধ ঘোষনা করেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ দিনে ২৭টি পদের বিপরীতে একটি প্যানেলের ২৮টি এবং আরেকটি প্যানেলের ২৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

blsl-2 ডেস্ক রিপোর্ট: কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রসুল বিপ্লবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মানববন্ধনের অভিযোগে আশাশুনি উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের কুশপত্তলিকা দাহ করেছে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

শনিবার দুপুর ২টার দিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সমানে সাতক্ষীরা জেলা সচেতন ছাত্র-ছাত্রীর ব্যানারে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ এই উপজেলার চেয়াম্যান মোস্তাকিমের কুশপত্তিলিকা দাহ করে এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠুন ব্যানাজি, সাধারণ সম্পাক আবু তাহের রাজু, জিয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব হাসান, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সরকারি কলেজ দ্বাদশ ইয়ার কমিটির সভাপতি আশিক, একাদশ ইয়ার কমিটির সভাপতি হাবিবুল্লাহ প্রমুখ।

এসময় তারা আশাশুনি উপজেলার অপ-রাজনীতির গডফাদার, জামায়াত-বিএনপির মদদপুষ্ট,  হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের ত্রাস ভূমিদস্য মুস্তাকিম কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রসুল বিপ্লব বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিকার দাবী করেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গোলাম রসুল বিপ্লবের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারের সম্প্রত্তি জবর দখল ও দেশ ছাড়ার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করে।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

wwwwকবিরুল ইসলাম, ব্রহ্মরাজপুরঃ- “আজকের আবিষ্কার আগামি প্রযুক্তির ও উন্নয়নের চাবিকাঠি”।এই প্রতিপাদ্য বিষয়টিকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয়েছে ডি,বি ইউনাইটেড হাইস্কুলে বিজ্ঞান মেলা ও কুইজ প্রতিযোগিতা ২০১৬।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক,সদর উপজেলার ২০১৬ সালের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মোঃ মোমিনুর রহমান মুকুল।উপস্থিত ছিলেন বাবু ধনজ্ঞয় সরকার সহকারী সমন্বয়কারী,অগ্রগতি সংস্থা,সাতক্ষীরা।এছাড়াও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন,বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ছাড়া কোনো দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।তিনি বলেন,বিজ্ঞান বিষয়ে শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে প্রতিবছর এইমেলার আয়োজন করা হবে।আজকের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আবিষ্কারে শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরি  হবে।যা তাদের ভবিষ্যৎ জিবনে কাজে লাগবে । একদিন এইসব শিশুদের মধ্যে হতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানী তৈরী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।তিনি প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী ও সহযোগী সংগঠনদের ধন্যবাদ জানান।এ প্রতিযোগীতায় মোট ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। মিনি ড্রোন আবিষ্কার করে যৌথভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেন মাসুম বিল্লাহ(৯ম) ও কেয়ামনি রাণী মন্ডল(৭ম)।লবণ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান  অর্জন করেন আল আমিন ও মেহেদী হাসান (১০) এবং ওয়াটার কুলার তৈরি করে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন সাইদুর রহমান (৬ষ্ঠ)।অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন “ফ্রিডম ফাউন্ডেশন,ঢাকা এবং বাস্তবায়নে-অগ্রগতি সংস্থা সাতক্ষীরা।সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক মোঃ মুকুল হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াত-শিবিরের ০৫ কর্মীসহ ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৩ জন, কলারোয়া থানা থেকে ০৫ জন, তালা থানা ০১ জন, কালিগঞ্জ থানা ০৪ জন, শ্যামনগর থানা ০৫ জন, আশাশুনি থানা ০৩ জন, দেবহাটা থানা ০১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০১ জনকে আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া ডেস্ক ঃ কলারোয়া সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৪ বাংলাদেশীকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ৩২/৩এস এর ৩ আরবির কাছে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে বিএসএফ আকটকৃত বাংলাদেশী খুলনার সুতারখালী গ্রামের মৃত মেছের আলীর ছেলে আসাদুল গাজী (৫০), ঝালবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আঃ রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (২০), নলিয়ান গ্রামের জিয়ারুর গাজীর স্ত্রী সপ্না বেগম (২০)কে কাঁকডাঙ্গা বিওপির ল্যান্স নায়েক শ্রী উহলা সিং মারমাসহ উপস্থিত বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করে। অপর দিকে একই সময় উত্তর ভাদিয়ালী সীমান্তে এক পতাকা বৈঠকে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার শাহাজাহানপুর গ্রামের হান্নান এর ছেলে মহিদুল ইসলাম (২৫)কে বিএসএফ মাদরা বিজিবি’র নায়েক বাচ্চু হালদারের নিকটে হস্তান্তর করেন। এঘটনায় কলারোয়া থানায় পৃথক ভাবে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

12
তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলা জাতীয়পার্টির উদ্যোগে শনিবার সকালে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগাম প্রস্ততি হিসেবে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর আলোকে তালার মাগুরার জিন্দাপীর জয়নুদ্দীন (রঃ) সাহেবের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে  নির্বাচনী প্রচারণার কার্যক্রম শুরু করা হয়। এরপর বেলা ১১ টায় তালা ডাকবাংলায় উপজেলা জাতীয়পার্টিও এক যৌথ সভা সদর ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জাতীয়পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক  সাংবাদিক জলিল আহমেদ, শেখ হাবিবুর রহমান,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর কাইয়ুম ইসলাম ডাবলু, জালালপুর ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ হাসেম আলী, খলিলনগর সভাপতি শিক্ষক মোঃ গাউস, খেশরা সভ্পাতি মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজিজুর রহমান, খলিষখালি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শামসুর রহমান, মোঃ আব্দল জবক্ষার কাগজী,মোঃ জালাল উদ্দীন বিশ্বাস, রহমত আলী গোলদার, ডাঃ ইমান গাজী, ডাঃ আব্দুল খালেক, আব্দুর রশিদ সরদারম যুবসংহতি নেতা মোঃ শফিকুল ইসলাম, মতিয়ার সরদার, বাহারুল ইসলাম ,লুৎফর রহমান,মহসীন হোসেন, সরুলিয়া সভাপতি মাঃ আবুল বাশার, ছাত্রসমাজের নেতা কাজী জীবন হাসান আলী বাচ্চু, ইউনুস আলী সরদার, যুধিষ্টির চক্রবর্তি, সোহাগ হোসেন, তরুনপার্টির নেতা মুকুল সরদার, ইউনুস আলী মোড়ল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা জাতীয়পার্টিও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর হাসান।  যৌথ সভায় জাতীয়পার্টি ও তার সকল সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন্ । সভায় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সৈয়দ দিদার বখ্ত কে তালা-কলারোয়া আসন থেকে বিজয়ী করতে সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া। এবং আগামী ১৫ অক্টোবর শনিবার বিকেলে তালা ডাকবাংলায় সদর ইউনিয়ন এবং ২২ অক্টোবর খলিলনগর হাইস্কুল চত্বরসহ অন্যান্য ১০ টি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

8
মোজাফফর হোসেন কলারোয়া : এক দিন কলেজে যেতে না পারলে নিজেকে অপরাধী মনে হতো। প্রতিদিন কলেজে সহপাঠিদের সাথে আড্ডা দেয়া, কলেজে কোন শিক্ষার্থীদের সমস্যা হলে সেটা সবাই মিলে সমাধান করা, শিক্ষকদের সাথে ছাত্রদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা, নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের বরণ করে নেয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মিদের প্রতিনিয়ত মিছিল। পরে আবার একসাথে ক্যান্টিনে বসে চা খাওয়া, ছাত্র-ছাত্রীদের চিৎকার, কোলাহলরত অবস্থায় ঘুরে বেড়ানো আবার নিয়মিত শিক্ষকদের ক্লাস নেয়া, মনোযোগ সহকারে ক্লাসে স্যারের কথা শোনা এখন মনে হয় সবই যেন ইতিহাস, মনে হয় এসব ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখা কোন ঘটনা। আনমনা হয়ে কথা গুলো বলছিলেন, ৯০ এর দশকের কলেজ শিক্ষার্থী, ছাত্র নেতা ও কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ক্রিড়া সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ। তিনি আরো বলেন, সে সময় কলেজে কয়েক শত ছাত্র-ছাত্রী সারাদিন কলেজ ক্যাম্পাসকে মাতিয়ে রাখতো। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোন সমস্যা হলে আমাদের (ছাত্র সংসদ) কাছে অভিযোগ করত। আমরা স্যারদের সাথে আলোচনা করে সে সব বিষয়ে সমাধান করতাম। ক্লাস শেষে ছাত্ররা কলেজ মাঠে ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠতো। প্রতি বছর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যশোর বোর্ডের মধ্যে মেধা তালিকায় ১ম থেকে দশম স্থানের মধ্যে একজন হলেও স্থান করে নিত। জেলার বিভিন্ন উপজেলা এমন কি জেলা সদরের সরকারি কলেজে ভর্তি না হয়ে এই কলেজে লেখাপড়া করতে আসতো। শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য আবাসিক হল ছিলো। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে কলেজটি হারিয়ে যেতে বসেছে তার অতীত ঐতিহ্য। এখন দেখলে মনে হয় এখানে কেউ লেখা পড়া করতে আসে না। জন মানব শূন্য কলেজটি যেন মৃত্যুর দার প্রান্তে পৌছে গেছে। আজ কলেজের এ অবস্থার কারন কি ? উপজেলার সকল সচেতন মানুষের কাছে একই প্রশ্ন ! কলারোয়া সরকারি কলেজ এক সময়ে সাতক্ষীরা জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ হিসেবে খ্যাত ছিলো। সময়ের আবর্তনে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে তার যৌবনের উত্তাল দিনগুলি। কয়েক বছরের ব্যবধানে এ অবস্থার কারন কি ? নতুন অর্নাস কোর্স চালু হওয়ার পরও কলেজে আছে কয়েক শত শিক্ষার্থী, আছে প্রচন্ড শিক্ষক সংকট তবে নেই সেই রাজনৈতিক কোলাহল, নেই ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক কলেজ ছাত্র সংসদ, নেই ছাত্র-ছাত্রীদের চিৎকার মাঠে খেলা করা, নেই কোন কোলাহল। বর্তমানে কলেজটি দুর থেকে দেখলে বোঝা যাবে না এখানে কোন শিক্ষার্থী আছে, বোঝা যাবে না এটা এক সময় জেলার দাপটে কলেজ ছিলো, নিরবে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান, চলছে কোন রকমে খুড়িয়ে খুড়িয়ে তাছাড়া পরীক্ষার ফলাফলের দিক থেকেও জেলার মধ্যে অনেক পিছিয়ে গেছে। যেন তার যৌবন হারিয়ে ফেলেছে। সরেজমিনে কলারোয়া সরকারি কলেজ ঘুরে জানাগেছে, এক সময়ে জেলার জন-মানুষের উচ্চ শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র কলারোয়া সরকারি কলেজে যেমন চলছে ছাত্র-ছাত্রী সংকট তেমনি প্রকট আকার ধারণ করেছে কলেজে শিক্ষক সংকট। বর্তমানে কলেজে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রমে চরম ব্যহত হচ্ছে তেমনি দক্ষ শিক্ষকের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে তার অতীত ঐতীহ্য। সাতক্ষীরা জেলার এক মাত্র উন্নত মানের মানুষ গড়ার কারিগর কলারোয়া সরকারি কলেজে সে সময় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নিন্ম এবং নিন্ম-মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য জেলা শহরের কলেজ বাদ দিয়ে কলারোয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হতো। ১৯৭৯ সালে উচ্চ শিক্ষিত সমাজ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় কলেজটি। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ১৯৮৫ সালের মধ্যে কলারোয়া সরকারি কলেজ ভালো ফলাফল অর্জন করায় ১৯৮৬ সালে তৎকালীন সরকার কলেজটিকে জাতীয় করন করেন। এর পর থেকে কলেজটি সাতক্ষীরা জেলায় একক আধ্যিপত্য বিস্তার করে ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত যশোর শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান, দ্বিতীয় স্থান থেকে দশম স্থানের মধ্যে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর নাম থাকা যেন বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছিলো। এর থেকে যেন কলেজটি দিকহারা হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী সংকট, শিক্ষক সংকটসহ নানা কারনে কলেজটি নির্জন স্থানে পরিনত হয়েছে। সর্বশেষ ২০০৪ সালে কলেজটিকে অর্নাস কোর্স (ব্যবস্থাপনা বিষয়ে) চালু করা হয়। সাতক্ষীরা-ঢাকা মহাসড়কের পাশে কয়েক একর জমির উপর দুইটি তিন তলা ও একটি দ্বিতল ভবন, কলেজের সামনে বিশাল খেলার মাঠ পাশে এক একর জমি নিয়ে একটি দীঘি, কলেজের সামনে ফুলের বাগান ও ক্যাম্পসের ভিতর এবং চারিদিকে বিভিন্ন ফলজ গাছের ছায়া বেশিষ্ঠত সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। রয়েছে ছাত্রদের দুই তলা আবাসিক ভবন। কলেজে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বর্তমানে কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (ডিগ্রি) ও একটি বিষয়ে চালুকৃত অনার্স সব মিলিয়ে সহকারী অধ্যাপক এর পদ রয়েছে ৮টি বর্তমানে কর্মরত আছে ৭ জন, প্রভাষক পদ রয়েছে ১৯টি কর্মরত আছে মাত্র ৯ জন। এছাড়া অর্নাস শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র এক জন সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন। বর্তমানে প্রাচীন ঐতীয্যবাহি কলেজটিতে অধ্যক্ষ, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক সব মিলিয়ে ১৮ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।  অথচ কলেজে প্রভাষকের পদ খালী রয়েছে ১০টি এছাড়া সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকের পদ খালি আছেই। খোজ নিয়ে আরো জানাগেছে, কলারোয়া সরকারি কলেজে কৃষিশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক গত তিন বছর যাবত শুন্য রয়েছে। এছাড়া কলেজে তিন বছর যাবত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর ৮টি শুন্য পদে কোন নিয়োগ দেয়া হয়নি। কলারোয়া সরকারি কলেজ সূত্র জানায়, বর্তমানে কলেজে অধ্যায়নরত মোট ১ হাজার ৭শ’ ২৮জন শিক্ষার্থী রয়েছে অথচ শিক্ষক আছে অধ্যক্ষসহ মাত্র ১৮ জন। অথ্যাৎ ৬৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক কর্মরত আছেন। কলেজের একাধিক অবিভাবক অভিযোগ করে বলেন, এক সময় কলারোয়া সরকারি কলেজে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী অনান্য জেলা থেকেও ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া করতে আসতো। কিন্তু এখন উপজেলায় কয়েকটি বে-সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়ে সরকারি কলেজের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে এবং সেখানে লেখাপড়ার মানও ভালো। তারা সরকারের উর্ধতন কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, কলারোয়া সরকারী কলেজটিতে সকল শুন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়াসহ শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধান করে সাতক্ষীরা জেলার গৌরব এই কলেজটিকে মৃত্যুর কবল থেকে রক্ষা করে তার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে একই দাবি করেছেন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও। কলারোয়া সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী শিরিনি আক্তার, আকলিমা খাতুন, এম এ কাশেম ও অর্নাস ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকির হোসেন, আরিফুল হক অভিন্ন সুরে বলেন, সাতক্ষীরা জেলার এক মাত্র ভালো ফলাফল অর্জন করা কলারোয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করে ভালো ফলাফল অর্জন করবো সে কারনে এখানে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু ভর্ত্তি হওয়ার পর অবাক হয়েছি। যে সু-নামের জন্য কলারোয়া কলেজে লেকাপড়া করার জন্য এসেছি সে কলেজটির মধ্যে এমন করুন অবস্থা সেটা আগে বুঝতে পারেনি। তারা আরো বলেন, যশোর শিক্ষা বোর্ডে কলারোয়া সরকারি কলেজের যে সুনাম আছে সেটি ধরে রাখতে না পারলে কয়েক বছরের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী কলেজটি শিক্ষার্থী শুন্য হয়ে পড়বে। বর্তমানে কলেজটি আর আগের মত নেই এমন উল্লেক করে জানান, তারপরও কলেজের সকল সংকট দুর করে ভালো শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনাতে পাররে জেলার এই শ্রেষ্ট বিদ্যাপিঠটি আবারো হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারবে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ঠ উধর্ক্ষতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে কলারোয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বাসু দেব বসু কলেন, কলেজের বর্তমান অবস্থা এবং শিক্ষক সংকট সম্পর্কে সরকারের উধর্ক্ষতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং জরুরি ভিত্তিতে শুন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য মন্ত্রলায়ে আবেদন জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কলারোয়া সরকারি কলেজের ঐতিহ্য’র বিষয়ে আমি শুনেছি। আমি ও আমার সহকর্মিরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি কলেজটিকে আবারো আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনার। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, কলারোয়া সরকারি কলেজটি শিক্ষক সংকট সমস্যা সমাধান হলে আবারো সাতক্ষীরা জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest