সর্বশেষ সংবাদ-
শ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরসাতক্ষীরায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প সমাপনীতালায় আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারআশাশুনিতে আশা ব্রিক্সের লেলিহান শিখায় জনজীবন বিপর্যস্তসাতক্ষীরায় উন্নয়ন কাজে নিরব চাঁদাবাজী: পুলিশ পাহারায় কাজ শেষ করলো ঠিকাদারস্বাধীনতা বিরোধীদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সাতক্ষীরায় গণস্বাক্ষরদেবহাটায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে সবজি বীজ বিতরন

_92317127_d5a09881-f191-4bb3-b083-0970c98f93bbঅনলাইন ডেস্ক: আর কয়েকঘণ্ট পরেই যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ইতিহাসে নজিরবিহীন বিদ্বেষপূর্ণ এক প্রচারণা শেষে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিবিসি-র শেষ মুহূর্তের জরিপে হিলারি ক্লিনটন ৪ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে।

প্রচারণার শেষ দিনে ফ্লোরিডায় ট্রাম্প বলেছেন, তাকে ভোট দিয়ে একটি দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক চক্রকে প্রত্যাখ্যানের এটিই শেষ সুযোগ। আর পিটসবুর্গে হিলারির আহ্বান বিভাজন ঘুচিয়ে ঐক্যবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র গড়ার।

এদিকে হিলারি ক্লিনটনের মেইলে বেআইনি কিছু নেই- রবিবার এফবিআই এর এমন ঘোষণার পর নানা দেশের স্টক মার্কেটের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিটে শেয়ারগুলো দুই শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

টানা নয় দিন পড়তির দিকে থাকার পর ইউরোপ ও এশিয়ার মার্কেটগুলো শেয়ারের ঊর্ধ্বগতি অবস্থা থেকেই সাপ্তাহিক বন্ধে গেছে।

ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে ইমেইল করার ক্ষেত্রে হিলারি ক্লিনটন অসাবধান ছিলেন কিন্তু তাতে অপরাধমূলক কিছু পায়নি এফবিআই।

আর এতেই মিসেস ক্লিনটনের নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা উন্নতির দিকে যাচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা বলছেন। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করছে তার বিরুদ্ধে কারচুপি করা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

satkhira-vomra-picture-1নিজস্ব প্রতিবেদক: সোমবার সময় দুপুর দেড়টা। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে ভোমরা কাস্টমস অফিসে যেয়ে চোখে পড়ল যাত্রী হয়রানি আর উৎচোক আদায়ের দৃশ্য। সঙ্গে ছিল অনুজ আরেক সাংবাদিক। পাশে দাড়িয়ে ছিল সাতক্ষীরার সবার পরিচিত কণ্ঠ শিল্পী আসিফ। আসিক জানায় ভারতে যাওয়ার জন্য আসছে। এখানে ভ্রমণ কর স্লিপ দেখিয়ে নাম এন্ট্রি করে যাতায়াত করি প্রত্যেককে একশ থেকে দেড়শ করে টাকা দেওয়া লাগে। এর পর কথা হয় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কাঠবুনিযা গ্রামে গনেশ রায়ের সাথে। সে জানায় যাওয়ার দিন তাদের দুই জনের দুইশ টাকা দেওয়া লেগেছে। সোমবার ফিরে আসার সময়ও তাদেরকে দুইশ টাকা দিতে হয়েছে। একই সময় সদর উপজেলার গাজীপুর গ্রামের সুবোল ঘোষ জানান তারা এক শিশুসহ ৪জন ভারতে যাওয়ার জন্য এসে দাঁড়িয়ে আছে। এসে কাস্টমস অফিসে ৪শ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে তাদের। এর পর লাইনে দাড়ানো সবার হাতে একশ করে টাকা দেখা গেলো। টাকা কি হবে জানতে চাওয়ামাত্র সবাই বলল এই অফিসে একশ করে টাকা ঘুষ দিতে হয়। এটা কেউ কোন দিন বন্ধ করতে পারেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভামরা স্থল বন্দরে অনিয়ম এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। কাগজপত্র সঠিক থাকলে মাথা প্রতি কাস্টমস অফিসে দিতে হয় একশ টাকা করে। আর ত্রুটি থাকলে য়াতায়াত কারীদের নিকট থেকে নানা অজুহাত দেখিয়ে বাড়তি টাকা আদায় করা হয়। আর ভারত থেকে আসার সময় ব্যাগ তল্লাসিসহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে যাতায়াত কারীদের নিকট থেকে উৎকোচ নেওয়া হয়।
স্থানী লোকজন জানায়, ভোমরা সীমান্তের পাসপোর্ট যাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা নেই। বৈধভাবে যাতায়াতের সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও টাকা ছাড়া কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন এর কর্তা বাবুরা যাতায়াতের অনুমতি দেয় না। আবার চাহিদার তুলনায় কম টাকা দিলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। এসময় তাদের ব্যাগ তল্লাসি ও কাগজ পত্র চেক করার অজুহাতে হয়রানি করা হয়।
ভোমরা বন্দরের ইমিগ্রেশনে দাড়িয়ে বৈধভাবে যাতায়াতকারী কলারোয়া উপজেলা গোবিনাথ পুর গ্রামের গীতা রানি,  খুলনার কপিল মনি গ্রামের ছায়া ঘোষ, তাপস ঘোষ, ইসমাইল জানায়, তারা  বৈধভাবে  যাতায়াত করেন। কাস্টমস অফিসে পৌছানো মাত্র কাস্টমস নিয়োজিত সিপাহি হাওয়া, চিন্নয় বৈরাগি বেলাল, সালাউদ্দীন, আমান উল্লাহ আমান পাসপোর্ট যাত্রীদের নিকট থেকে একশ টাকা করে আদায় করে। আর এই টাকা না দিতে চাইলে বা কিসের জন্য এই টাকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। আর চাহিদা মত টাকা দিলে সব ঠিক আছে। আবার ভারত থেকে আসার সময় কাস্টমস এর চাহিদামত টাকা না দিলে কাগজপত্র চেক ও ব্যাগ তল্লাসি করার কথা বলে হয়রানি করা হয়। তার পর বসিয়ে রাখা হয় ঘন্টার পর ঘণ্টা।
ভোমরা বন্দর দিয়ে যাতায়াতাকারি সদর উপজেলার তুজুলপুর গ্রামের ইয়ারব হোসেন, মরিউম খাতুন, ঝাউডাঙ্গার মনিরুল, দুলাল ঘোষ, তলুই গাছার লাবলু, গোবিন্দ লাল বিশ্বাস জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভ্রমণ ট্যাক্স্্র  দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় যাত্রীদের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। অথচ কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন টাকা নেওয়াটা নিয়মে পরিণত করেছে। আর যারা ভ্রমণকর না কেটে আসে তাদের নিকট থেকে ৭শ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে কাস্টমস। এসব পাসপোর্ট যাত্রীরা ভারত থেকে দেশে ফিরে আসার সময় জনপ্রতি একশ টাকা করে আদায় করে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনঅফিসের অসাধু সিপাহিরা।
ভোমরা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মনিরুল হক জানান, পাসপোর্টযাত্রীরা শুধুমাত্র কাস্টমস অফিসে এসে নাম এন্ট্রি করে ভ্রমণ কর দেখিয়ে চলে যাবে। টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। এই সেকশন দেখাশুনা করেন ইন্সেপেক্টর মোসলে উদ্দীন। তিনি এই বিষয়ে সব বলতে পারবেন।
ভোমরার কাস্টমস ইন্সেপেক্টর মোসলে উদ্দীন জানান, তিনি নিয়মিত এই অফিসে বসেন না। মাঝে মধ্যে এসে খোঁজখবর নেন সবাই ভ্রমণ কর দিচ্ছে কি না। যা অনিয়ম হয় সেটা সিপাহিরা করে। সিপাহিদের এই ধরণের কর্মকা-ের সাথে তিনি জড়িত নন। প্রতিদিন গড়ে কত লোক যাতাযাত করে সে তথ্যটিও দিতে রাজি হননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বড়দলে ভিক্ষুকমুক্তকরণ “ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন কর্মসূচি” বাস্তবায়নে এক উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান আঃ আলিম মোল্যার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা। সভায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা, পিআইও সেলিম খান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম আজিজুল ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন। সভায় খাজরা ইউনিয়নের ২১ জন ও বড়দল ইউনিয়নের ৫১ জন তালিকাভুক্ত ভিক্ষুকদের সাথে মতবিনিমিয় করা হয় এবং আত্মকর্ম সংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কি করলে তারা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিবে তা প্রত্যেকেল কাছ থেকে শুনে লিপিবদ্ধ করা হয়। আগামীতে তাদের চাহিদা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস প্রদান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিশু বিবাহ বন্ধ হয়েছে। গদাইপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম তার কন্যা মনিরা খাতুনকে পাইকগাছা এলাকায় নিয়ে বিয়ের দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। মনিরা গদাইপুর ¯ু‹লের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউর রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা, য্বু উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম আজিজুল ইসলাম ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী কনক চন্দ্র অধিকারীকে সাথে নিয়ে মেয়ের পিতার বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানার পলাতক আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। এসআই সুধাংশু কুমার ও এএসআই ফেরেদৌস অভিযান চালিয়ে পাইকগাছা উপজেলার ধামরাইল গ্রামের ছোবহান গাজীর পুত্র আলমগীরকে ৩০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার করেন। এএসআই ফেরদৌস পৃথক অভিযানে ৬৭২/০৬ মামলার পলাতক আসামি গদাইপুর গ্রামের মৃতঃ দাউদ আলি মোল্যার পুত্র সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন। আসামীদের সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

nhjআশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে মায়ের উপর অভিমান করে এক সন্তানের জনক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের বিমল ঘোষের পুত্র এক সন্তানের জনক উজ্জল ঘোষ (২৫) ঘরের আড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তাকে বুধহাটার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত তাকে চিকিৎসক সাতক্ষীরা সদরে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রাত ১০টার দিকে পৌছালে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সোমবার অপমৃত্যু মামলা রুজু হয় এবং সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রস্তুতি চলছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এস,এম,আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু: কালিগঞ্জে আশংকাজনক ভাবে বেড়েছে বাল্যবিয়ে। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে শিক্ষাক্ষেত্রেও। চলতি বছরের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় উপজেলায় মোট অনুপস্থিত শিক্ষার্থী ছিল ১৫০ জন। এর মধ্যে ৯৭ জনই মেয়ে। এই ৯৭ শিশু শিক্ষার্থীর মধ্যে অধিকাংশই বিয়ের পিড়িতে বসতে বাধ্য হয়েছে বলে জানা গেছে। ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ কালিগঞ্জ উপজেলাকে দেশের প্রথম বাল্যবিয়ে মুক্ত মডেল উপজেলা হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেন। তৎপূর্ববর্তী সময়ে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়। এ সময় উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। এবং প্রত্যেক ইউনিয়ন কে বাল্য বিয়ে ঘোষনায় অনুষ্ঠানিকতা গ্রহণ করা হয়। এর ফলশ্রুতিতে অভিভাবকরা তাদের শিশুকণ্যাকে বিয়ে দেয়া থেকে কিছুটা সময় বিরত থাকে। সে সময়ে কিছু সংখ্যক বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটলেও সেটা ছিল অনেকটা লোক চক্ষুর অন্তরালে। বর্তমানে আবারও বাল্যবিয়ের প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নির্লিপ্ততার কারণে এটি হয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার কালিগঞ্জ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভেন্যুতে ২৩ টি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৬১ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। এর মধ্যে ৩৯ জনই মেয়ে শিক্ষার্থী। মৌতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে সর্বাধিক ৭ জন মেয়ে শিক্ষার্থী অনুপস্থিত। উক্ত ৭ জনের মধ্যে ৪ জনই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। তারা হলো মৌতলার পরমানন্দকাটি গ্রামের রোমেছা, পশ্চিম মৌতলার রুপা পারভীন, রাণীতলার আকলিমা খাতুন, নরহরকাটির মমতাজ পারভীন। উকশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দু’শিক্ষার্থী শরিফা ও রেক্সোনার বিয়ে হয়ে গেছে জেএসসি পরীক্ষার কিছুদিন পূর্বে। রতনপুর তারকনাথ বিদ্যাপিঠ, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কৃষ্ণনগর কৃষাণ মজদুর ইউনাইটেড একাডেমীসহ বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে একাধিক শিশু শিক্ষার্থীর বিয়ে হওয়ায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এছাড়া নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশ নেয়া ১০ স্কুলের ৬ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত। এর মধ্যে ৪ জন ছাত্রী। চাম্পাফুল আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ স্কুলের ৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত। এর মধ্যে ৩ জনই মেয়ে শিক্ষার্থী। এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেডিসি পরীক্ষায় কালিগঞ্জের ২৫ টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দু’টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। নাসরুল উলুম মাদ্রাসা কেন্দ্র ও নলতা মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৭৬ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত। এর মধ্যে ৫১ জনই মেয়ে শিক্ষার্থী। অধিকাংশ মাদ্রাসা থেকেই একাধিক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত আছে। তবে কেন্দ্রের পরীক্ষা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান, কাটুনিয়া মাদ্রাসার ৩জন, বন্দকাটি মাদ্রাসার ৪জন, মৌতলা মাদ্রাসার ৩ জন, কালিকাপুর মাদ্রাসার ৪ জন, মানপুর মাদ্রাসার ৪ জন, হাজী তফিল উদ্দীন মহিলা মাদ্রাসার ৬জন, ভদ্রখালী মাদ্রাসার ৩জন, ইন্দ্রনগর মাদ্রাসার ৫জন, ঘোনা মাদ্রাসার ৩জন মেয়ে পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। সরেজমিন জানা যায়, অনুপস্থিত ছেলে শিক্ষার্থীর মধ্যে অনেকেই ইট ভাটায় কাজ করতে যাওয়া বা অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারণে উপার্জনের জন্য বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়ায় তারা জেএসসি বা জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। তবে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। বাল্যবিয়ের কারণেই তারা অষ্টম শ্রেণির গন্ডি পার হতে পারেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ১৮ বছরের কম বয়সের মেয়েদের বিয়ে দেয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটি কাজে আসছে না। অহরহ বাল্য বিয়ে হচ্ছে। এজন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়সারা ভাব, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটির নির্লিপ্ততা, জন প্রতিনিধিদের যথাযথ ভূমিকা পালন না করা, সর্বোপরি অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবের কারণে বাল্যবিয়ে রোধ করা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না বলে সচেতন মহল মনে করছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈন উদ্দীন হাসান জানান, কিছু ছেলে ইট ভাটায় যাওয়া ও অন্যান্য পেশায় কাজ করার কারণে পরীক্ষায় অনুপস্থিতি বেড়েছে। মেয়েদের বাল্যবিয়ে বন্ধে প্রশাসনের সর্বাত্মক তদারকি রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা সভা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের দিয়ে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটি গুলো সক্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর থেকে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশের একটি দল সোমবার ভোর রাতে রঘুনাথপুর গ্রামের মুছা মোড়লের ছেলে লোকমান মোড়লের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় তল্লাশী চালিয়ে লোকমান মোড়লের বাড়ির পিছনে থাকা একটি তুষের বস্তার ভিতর থেকে চারটি তাজা হাত বোমা উদ্ধার হয়। পরে ঘটনাস্থলেই বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়। লোকমান মোড়লকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিত ভাবে তার বাড়িতে ওই বোমাগুলো রাখা হয়েছে বলে পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা করছেন। প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগর বাজার ও এর আশে পাশে প্রায়ই বোমা বিষ্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধি করে এই চক্রকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest