সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার শিয়ালডাঙ্গায় বসতঘরে আগুন : ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিদেবহাটায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনখাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়া উপজেলা সদর সহ গ্রামগঞ্জে কোটি কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সম্পত্তি দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এতে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হওয়ায় প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার ফসল হানি ঘটছে। সরেজমিনে ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্রে জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলা সদরের উপর দিয়ে প্রবাহিত বেত্রাবতী নদীতে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়া চর জেগে উঠেছে। কলারোয়া বাজার সংলগ্ন বেত্রাবতী নদীর চরের ও পাড়ের এই জমি ইতিমধ্যে ভূমি দস্যুরা দখল করে ভবন সহ ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছে। আর এলাকায় বেত্রাবতী ও কপোতাক্ষ নদীর জেগে উঠা চর দখল করে পুকুর ও ঘের তৈরি করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এভাবে নদী সংকুচিত হয়ে পড়ায় বর্ষা মৌসুমের উজানের পানি সাগরে প্রবেশ চরম ভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে উজানে বা দেশের অভ্যান্তর ভাগের পানি কপোতাক্ষ ও বেত্রবতী নদী উপচে পার্শ্ববর্তী জনপদ ও ফসলী জমি ডুবিয়ে দিচ্ছে। অনেকে আবার সুযোগ বুঝে পয়সার বিনিময়ে বেত্রাবতী চরের ও পাড়ের সরকারি জমি ছিন্নমূল পরিবারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। দূর্ণীতিবাজ ভূমি রাজস্ব বিভাগের এবং সেটেলমেণ্ট কর্মকর্তারা মোটা টাকার বিনিময়ে বেত্রাবতী চরের ও পাড়ে জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে দিয়েছে। একই ভাবে কপোতাক্ষ নদীর জেগে উঠা চর মোটা টাকার বিনিময়ে ভূমি দস্যুদের নামে রেকর্ড করে দেওয়া হয়েছে বলে সুত্র জানায়। এছাড়া বড়ালী সোনাই নদী থেকে ইছামতী নদীর সংযোগ খাল, বহুড়া কোমরপুর এলাকার খাল, দাকোপ বিল থেকে সীমান্তের চান্দা পর্যন্ত সোনাই খালের জমি রের্কড করে নেওয়া হয়েছে। সরকারি রাস্তার জমি দখল করে মাছের ঘের ও পুকুর খনন করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। কলারোয়া বাজারে ঢাকা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে অনেক জমি পুনরায় বেদখল হয়েছে। সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে ভেঙ্গে দেওয়া কলারোয়া হাসপাতাল সড়কের পাশে সরকারি জমি আবারও দখল করে নেওয়া হয়েছে। এদিকে সোনাবাড়িয়া বাজার, গয়ড়া বাজার, বালিয়াডাঙ্গা বাজার, কাজিরহাট বাজার, সরসকাটি বাজার, খোর্দ্দ বাজারের কোটি কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে। এসবের সংগে একশ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্র জানায়। রাস্তার পাশের লাখ লাখ টাকা মূল্যের সরকারি গাছপালা নিলাম কেনার নাম করে কেটে নেওয়া হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ssc-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৭ সালের এস.এস.সি ব্যাচের ঈদপুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল ৪টায় কাটিয়াস্থ সুমনা ফাউন্ডেশনের হলরুমে ঈদপুনর্মিলনী উপলক্ষে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৭ ব্যাচের ছাত্র এ.এস.এম মাকছুদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সুমন বসু, মুছাব্বেরুজ্জামান সুমন, রাশেদুজ্জামান, সালেহীন ইভন, প্রণব সরকার, আলী নাসের, জুনায়েদ চৌধুরী, মারুফ হাসান, আসাদুজ্জামান, রাসেল আহমেদ, মেহেদী হাসান, আব্দুস সবুর, আলী হোসেন, একরামুল কবীর, আইয়ুব আলী, আলাউর রহমান, সাগর, মনিরুজ্জামান, বেলাল হক, ওমর ফারুক, জিন্নাহ, মনিরুল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ, মিজানুর রহমান, শামিম মিছির, রাহুল। এসময় সকলের মতামতের ভিত্তিতে ১৯৯৭ সালের এস.এস.সি ব্যাচের সৌজন্যে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৭ সালের এস.এস.সি ব্যাচের ঈদপুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল ৪টায় কাটিয়াস্থ সুমনা ফাউন্ডেশনের হলরুমে ঈদপুনর্মিলনী উপলক্ষে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৭ ব্যাচের ছাত্র এ.এস.এম মাকছুদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সুমন বসু, মুছাব্বেরুজ্জামান সুমন, রাশেদুজ্জামান, সালেহীন ইভন, প্রণব সরকার, আলী নাসের, জুনায়েদ চৌধুরী, মারুফ হাসান, আসাদুজ্জামান, রাসেল আহমেদ, মেহেদী হাসান, আব্দুস সবুর, আলী হোসেন, একরামুল কবীর, আইয়ুব আলী, আলাউর রহমান, সাগর, মনিরুজ্জামান, বেলাল হক, ওমর ফারুক, জিন্নাহ, মনিরুল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ, মিজানুর রহমান, শামিম মিছির, রাহুল। এসময় সকলের মতামতের ভিত্তিতে ১৯৯৭ সালের এস.এস.সি ব্যাচের সৌজন্যে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1473665110-walton-jobs-1ক্যারিয়ার ডেস্ক: জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ওয়ালটন গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিতে দুই ধরনের পদে ১০০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। পদগুলোর মধ্যে রয়েছে :

ম্যানেজার বা সহকারী ম্যানেজার (টেকনো সার্ভিস): স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। সাথে প্রার্থীদের তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আবেদনের বয়সসীমা ২৮ থেকে ৩৫ বছর।

এক্সিকিউটিভ (কাস্টমার কেয়ার): স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের এক থেকে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে আগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আবেদনের জন্য বয়স অনূর্ধ্ব ৩০ বছর হতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া: পদগুলোতে বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র পাঠানো যাবে ‘ফার্স্ট সিনিয়র উপপরিচালক, এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন বিভাগ, ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, আলম মঞ্জিল, ৩৩, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৯’ ঠিকানায়। এ ছাড়া আবেদনপত্র ইমেইল করা যাবে  jobs_wsms@waltonbd.com ঠিকানায়। আবেদন করা যাবে বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত।

বিস্তারিত জানতে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনটি দেখুন-

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1473828015স্বাস্থ্য ও জীবন: ঈদ আসে, ঈদ চলে যায়। ঈদ হাসতে শেখায়, ভালোবাসতে শেখায়; ত্যাগের মহিমা শেখায়। তবে কোরবানির ঈদে অনেকের অতিভোজন ও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। একটু সচেতনতা, একটু স্বাস্থ্যজ্ঞান আমাদের ঈদ-পরবর্তী বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে।

ঈদ-পরবর্তী স্বাস্থ্যঝুঁকি যা হতে পারে
১. কোষ্ঠকাঠিন্য
২. ওজন বেড়ে যাওয়া
৩. ডায়রিয়া ও আমাশয়
৪. পেটে গ্যাস, এসিডিটি, ব্যথা ও বমি বমি ভাব
৫. রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া
৬. রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়া
৭. রক্তের চর্বি বেড়ে যাওয়া
৮. স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়া
৯. পায়খানার রাস্তায় জ্বালাপোড়াসহ রক্তক্ষরণ
১০. ভ্রমণজনিত শারীরিক দুর্বলতা
১১. পানিশূন্যতা
১২. খাবারে অরুচি
১৩. ঘুম কম হওয়া।

স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে বাঁচতে করণীয়
১. কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে মাংস কম খেয়ে সালাদ, লেবু, শসা, কাঁচামরিচসহ বেশি করে শাকসবজি খান।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যালরি হিসাব করে খাবার খান।
৩. ডায়রিয়া, আমাশয় প্রতিরোধে বিশুদ্ধ পানি ও বাইরের খাবার পরিহার করুন।
৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে লবণযুক্ত, চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫. রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখতে কম চিনিযুক্ত খাবার খান।
৬. বাজারের কোমল পানীয় না খেয়ে বেশি করে বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার, ডাবের পানি, বাসায় বানানো দেশি ফলের জুস খাবেন।
৭. হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য টক দই খেতে পারেন।
৮. মাংসের ফ্রাই ও বারবিকিউ খাবেন না। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
৯. ঈদের খুশিতে আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। ব্যায়াম চালিয়ে যান আগের মতোই।
১০. ঈদে খাবারে ক্ষতিকর রং, লবণ, ঘি, মাখন, পাম অয়েল ব্যবহারযুক্ত কোনো খাবার খাবেন না।
১১. ঈদ-পরবর্তী যেকোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খান এবং সুস্থ থাকুন।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1473860515প্রযুক্তি ডেস্ক: দক্ষিণ কোরীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং নিয়ে এসেছে নতুন একটি ট্যাব। ভারতের বাজারে স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব এ ১০.১ মডেলের ট্যাবটির দাম রাখা হয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ রুপি। এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এই ট্যাবটিতে রয়েছে এস পেন, যা গ্যালাক্সি নোট ৭-এর সঙ্গেও দেওয়া হয়। একটি সিমকার্ড স্লট রয়েছে এতে। ট্যাবটিতে ফোর জি কানেক্টিভিটি রয়েছে।
নতুন এই ট্যাবে রয়েছে ১০ দশমিক ১ ইঞ্চি ডব্লিউইউএক্সজিএ (১৯২০x১২০০ পিক্সেল) টিএফটি ডিসপ্লে। এটি চলবে ১ দশমিক ৬ গিগাহার্জের অক্টাকোর এক্সিনোস প্রসেসরে, সঙ্গে আছে ৩ জিবি র‍্যাম। ইন্টারনাল স্টোরেজ ৩২ জিবি। মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে আরো ২৫৬ জিবি স্টোরেজ বাড়িয়ে নেওয়া যাবে।

ট্যাবটি চলবে অ্যানড্রয়েড ৬ দশমিক ০ মার্শম্যালো অপারেটিং সিস্টেমে। এতে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা। এই ক্যামেরায় রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশ ও এফ/১.৯ অ্যাপারচার। ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে ২ মেগাপিক্সেলের যাতে রয়েছে এফ/২.২ অ্যাপারচার।
ট্যাবটিতে রয়েছে ৭৩০০ এমএএইচের শক্তিশালী ব্যাটারি। কানেক্টিভিটির জন্য রয়েছে ওয়াই-ফাই ৮০২.১১ এ/বি/জি/এন/এসি, ব্লুটুথ ৪ দশমিক ২, জিপিএস, গ্লোনাস ও মাইক্রোইউএসবি কানেক্টিভিটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

indexবিনোদন ডেস্ক: বলিউডে প্রতিদিনই বদলাচ্ছে কিছু না কিছু। কিন্তু তিনটি ব্যাপার সব সময়ের জন্যই চিরন্তন সত্য সেখানে—তারকাদের ক্ষমতা, ভক্ত-সংস্কৃতি আর মাদকাসক্তি। টিনসেল টাউনের তারারা মাদকের নেশায় কেমন বুঁদ, তার চিত্রায়ণ কিছুদিন আগের আলোচিত ‘উড়তা পাঞ্জাব’ ছবিতে দেখানো হয়েছে দারুণভাবে। কয়েক বছর আগেও বলিউডের মাদকাসক্তির ঘটনাগুলো ছিল ধরাছোঁয়ার কিংবা জানার বাইরে। কিন্তু ধীরে ধীরে গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে বেরিয়েছে খ্যাতিমান তারকাদের কালো অধ্যায়। তার পরও কিন্তু থেমে যায়নি বলিউড মাদক-সংস্কৃতি।
একসময় মাদকাসক্ত ছিলেন এ রকম ১০ বলিউড তারকার কথা থাকছে এই আয়োজনে।

সঞ্জয় দত্ত : সঞ্জয় দত্তের মাদকাসক্তির কথা কে না জানে! ১৯৮২ সালে মাদক বহনের কারণে গ্রেপ্তার পর্যন্ত হয়েছিলেন এই ‘মুন্না ভাই’ তারকা। অবশেষে নিজের পিতার উপদেশে আমেরিকার একটি মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রে গিয়ে মুক্তি পান মাদকের কবল থেকে। সঞ্জয়ের মাদক-অধ্যায় সেখানেই শেষ।

রণবীর কাপুর : ইন্ডিয়া টুডে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রণবীর কাপুর স্বীকার করেন তাঁর একসময়কার মাদকাসক্তির কথা। জানান ফিল্ম স্কুলে অধ্যয়নের সময় তার গাঁজা সেবনের কথা। বলিউডে আসার পর ‘রকস্টার’ সিনেমায় অভিনয় করার সময় আবারও ফিরে গিয়েছিলেন পুরোনো অভ্যাসে, কিন্তু সেটি শুধুই অভিনয়ে মনোযোগ বাড়ানোর জন্য করা—এমনই দাবি করেন এই অভিনেতা।

বিজয় রাজ : ২০০৫ সালে ২৫ গ্রাম গাঁজাসহকারে দুবাই এয়ারপোর্টে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এই ‘কাউয়া বিরিয়ানি’ অভিনেতা। ওই সময়টায় দুবাইয়ে ‘দিওয়ানে হুয়ে পাগল’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়েছিলেন বিজয়।

ফারদিন খান : একসময়কার এই ‘বি-টাউন প্রিন্স’ ২০০১ সালে কোকেনসহ গ্রেপ্তার হন মুম্বাইয়ের জুহু এলাকা থেকে। তাঁর সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের পতনের পেছনে বেশ কিছু কারণের একটি ছিল মাদক।

আফতাব শিবদাসানি : পুনের এক নাইট ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি, ক্লাবের ভেতর মাদক সেবন করা অবস্থায় একবার আফতাবকে হাতেনাতে ধরেছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের এই দাবি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন তিনি। ক্লাব ম্যানেজমেন্টের তথ্যমতে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ক্লাব বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন আফতাব।

মমতা কুলকার্নি : নব্বইয়ের দশকের এই ‘গ্ল্যামার গার্ল’-এর অতীতে ছেয়ে রয়েছে মাদকের করাল থাবা। মাদক চোরাকারবারি স্বামী ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে কেনিয়ার এক মাদক উৎপাদক এলাকায় একবার আটক হন মমতা।

অপূর্ব এবং শিল্পা অগ্নিহোত্রী : অন্যান্য আরো অনেক তারকার সঙ্গে প্রচুর জাঁকজমকপূর্ণ এক পার্টি থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জনপ্রিয় এই টিভি জুটি। অপরাধ, মাদক সেবন।

অঙ্গদ বেদি : সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার বিষাণ সিং বেদির ছেলে অঙ্গদ বেদিও আছেন এ তালিকায়। নেশা করা অবস্থায় এক পার্টিতে অন্য অনেক তারকার সঙ্গে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এই তারকা।

ডি জে আকিল : অবৈধ মাদক পরিবহনের দায়ে দুবাই এয়ারপোর্টে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ভারতের বিখ্যাত এই ডিজে। ০.৪ গ্রাম ‘এক্সটেসি’ পাওয়া গিয়েছিল তাঁর কাছে। শেষ পর্যন্ত এই জগৎ থেকে বের হয়ে আসতে নিরাময় কেন্দ্রে পর্যন্ত যেতে হয়েছে আকিলের।

পারভিন ববি : পারভিন ববির ট্র্যাজিক জীবনে অনেক কিছুর মতো অনুষঙ্গ ছিল মাদকও। বলিউডে যে পরিমাণে খ্যাতি আর সাফল্য কুড়িয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবনে ততটাই ডুবেছেন ব্যর্থতা আর হতাশায়। এলএসডিতে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যাই ছিল তাঁর পরিণতি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

গরুর মাংসের যত গুণ

কর্তৃক Daily Satkhira

photo-1473765240স্বাস্থ্য ও জীবন: রেড মিট হিসেবে গরুর মাংস অনেক স্বাদের এবং অনেকের কাছেই খুব প্রিয় একটি খাবার। বাংলাদেশের মানুষ মাংসের মধ্যে গরুর মাংস খেতেই বেশি পছন্দ করেন। তবে বেশ কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ চিহ্নিত হওয়ায় খাবারটি প্রিয় হলেও অনেকে এড়িয়েও চলেন। গরুর মাংস স্বাদে অতুলনীয় এবং পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ। স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করলে যে কোনো খাবারই সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ করতে হয়। আর সেই কারণে খাবারের পুষ্টিমূল্য তার সঠিক রান্নার কৌশল, সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্যের জন্য এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

পুষ্টি : গরুর মাংস প্রোটিনজাতীয় খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত। প্রাণী থেকে সংগৃহীত হয় বলে এটি প্রাণিজ প্রোটিন। প্রোটিন ছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান গরুর মাংসে বিদ্যমান।
প্রোটিন : গরুর মাংস থেকে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন পাওয়া যায়। মাংস ছাড়াও হাড়, কলিজা, মগজ ইত্যাদি থেকেও প্রোটিন চলে আসে। গরুর মাংসের প্রোটিন থেকে যে অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায়, তা হাড় ও মাংসপেশির কাজে অনেক সাহায্য করে থাকে। ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে ২২.৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।
ফ্যাট : গরুর মাংসে অনেক সম্পৃক্ত চর্বি থাকে। ফ্যাটের উপস্থিতির জন্য গরুর মাংস অনেক মজাদার হয়ে থাকে। কচি মাংসে এই ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে ফ্যাট রয়েছে ২.৬ গ্রাম।
মিনারেলস : এক টুকরো গরুর মাংসে অনেক ধরনের মিনারেল পাওয়া যায়। বিশেষ করে জিংক, আয়রন, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও কপার। এই মিনারেলগুলো শরীরের অনেক প্রয়োজনীয় কাজ করে থাকে। জিংক আমাদের শরীরের কোষ রক্ষণাবেক্ষণ এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে থাকে। বলা হয় তিন আউন্স পরিমাণ গরুর মাংস দৈনিক জিংকের ৩৯% চাহিদা পূরণ করে থাকে।
ভিটামিন : গরুর মাংসে অনেক রকম ভিটামিন থাকে, বিশেষ করে বি১২ বি৬ রিবোফ্ল্যাবিন ও বি১২-এর প্রয়োজনীয়তা অনেক, মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের মতে, দৈনিক ২.৪ মিলিগ্রাম বি১২ লাগে। তিন আউন্স গরুর মাংস বি১২-এর দৈনিক ৩৭% চাহিদা পূরণ করতে পারে। তিন আউন্স গরুর মাংস ফসফরাস, ভিটামিন বি১২, প্রোটিন, জিংক ও সেলেনিয়ামের খুবই ভালো উৎস। তিন আউন্স কচি গরুর মাংসে আয়রন, নায়াসিন, বি৬ ও রিবোফ্ল্যাভিন পাওয়া যায়।
[উৎস : ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ সার্ভিস ২০০২]

গরুর মাংস ও স্বাস্থ্য
গরুর মাংসে অনেক পুষ্টি থাকার পরেও অতিরিক্ত খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে। গরুর মাংসের ক্যালরি ও পুষ্টি উপাদানের তারতম্য নির্ভর করে রান্নার পদ্ধতির ওপর। এ ছাড়া গরুর কোন অংশটি খাওয়া হবে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। অতিরিক্ত গরুর মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর—কারণ গরুর মাংসে থাকে কোলেস্টেরল, ফ্যাট ও সোডিয়াম। কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই যাদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, তাঁদের অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
গরুর মাংস থেকে অনেক প্রোটিন চলে আসে, তাই যাঁদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তাঁদের অবশ্যই গরুর মাংস এড়িয়ে যেতে হবে। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাঁদেরও গরুর মাংস এড়িয়ে চলা উচিত। এতে উপস্থিত সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় বলে।
অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে যাঁরা অতিরিক্ত গরুর মাংস খান, তাঁদের ক্যানসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কীভাবে খাবেন : কচি গরুর মাংসের চর্বি ভালোভাবে পরিষ্কার করে, প্রয়োজনে একটু সেদ্ধ করে পানিটা ফেলে রান্না করলে স্বাস্থ্যের জন্য তেমন ক্ষতিকর হয় না। এ ছাড়া গরুর মাংসের কিমা বা ছোট করে কাটা মাংস ও স্টেক ইত্যাদি ভালো। তবে গরুর মাংস আপনার জন্য কতটুকু ক্ষতিকর তা নির্ভর করে আপনি কতটুকু খাচ্ছেন তার ওপর। সপ্তাহে একবার বা মাসে দুবার খাওয়া যেতে পারে। গরুর মাংস রান্নায় তেল কম ব্যবহার করবেন। ঘি বা মাখন গরুর মাংস রান্নায় ব্যবহার করা উচিত নয়। সবজি যেমন বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, কচি কাঁঠাল বা অন্যান্য সবজি দিয়ে গরুর মাংস রান্না করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
যে কোনো খাবার অতিরিক্ত খেলেই তা স্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর। তাই পরিমিতভাবে সঠিক পদ্ধতিতে গরুর মাংস খেলে নিজেকে অনেক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যাবে এবং এই স্বাদের খাবারটি থেকে ভবিষ্যতে কাউকে বঞ্চিত হতে হবে।
লেখক : প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1473848710ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দল থেকে মনোনীত প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের হয়ে তাঁরই মতো দেখতে আরেক নারী কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  এই ‘নকল হিলারি’ সম্প্রতি জনসমক্ষে হাজির হয়ে হিলারির মতোই হাত নেড়ে সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, অভিযোগ রিপাবলিকান দলের লোকজনের।
বিতর্কের শুরু গত রোববার। যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার বার্ষিকী উপলক্ষে সেদিন নিউইয়র্ক শহরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রার্থী হিলারি। এর আগেই অবশ্য তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। চিকিৎসা চলা অবস্থায়ই হিলারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে দেড় ঘণ্টা অবস্থানের পর পানিশূন্যতায় দুর্বল হয়ে পড়েন হিলারি। তাঁকে ধরাধরি করে গাড়িতে উঠিয়ে নেন সহকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীরা।
পরে মেয়ে চেলসি ক্লিনটনের নিউইয়র্কের বাসা থেকে বের হন হিলারি ক্লিনটন। এই সময় তাঁকে অনেকটাই উদ্দীপ্ত দেখা যায়। তিনি সেখানে অবস্থানরত তাঁর সমর্থক এবং সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এমনকি এক শিশু এগিয়ে গেলে তাঁকে আদর করেন হিলারি।
রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের মতে, চেলসির বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছিল টেরেসা বার্নওয়েল, যিনি দেখতে হিলারি ক্লিনটনের মতোই। এমন দাবির পক্ষে অনেক যুক্তি দাঁড় করেছেন তাঁরা। একটি যুক্তি হলো, নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা হিলারিকে সব সময়ই ঘিরে রাখেন। তবে চেলসি বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সীমিত সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী দেখা যায়, যাঁরা দাঁড়িয়ে ছিলেন হিলারির কাছ থেকে বেশ দূরে। অনেকে আবার হিলারির কানের দুলের পার্থক্যের কথা বলেন। চেলসির বাড়ি থেকে বের হওয়া হিলারির কানের দুলটি ছিল আগের সময়ের চেয়ে বড়। এ ছাড়া হিলারির হাতের গঠনেও পার্থক্য খুঁজে পান অনেকে। তাদের মতে, হিলারির হাতের আঙুলগুলোর মধ্যে অনামিকা তর্জনীর চেয়ে বড়। নকল হিলারির আঙুলের গঠন এ রকম নয়। এ ছাড়া নকল হিলারির নাকের গঠনও ভিন্ন। অনেকের দাবি, হিলারির চেয়ে নকল হিলারির ওজন কম ছিলো, যা ছবিতেই বোঝা যায়।
৬৮ বছর বয়স্ক হিলারি ক্লিনটনের বক্তব্য হলো, ৯/১১ অনুষ্ঠানস্থলে অসুস্থ হলেও তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েননি। পরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে থেকে এবং পানি পান করে তাঁর অবস্থা ভালো হতে শুরু করে। পরে তিনি মেয়ে ও মেয়ের সন্তানকে দেখতে যান।
ডেমোক্রেটিক দলের প্রচারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অসুস্থ হিলারির পক্ষ থেকে এখন প্রচারণায় অংশ নেবেন তাঁর স্বামী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। এরই মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন ক্লিনটন। আর আজ নেভাদায় একটি প্রচারে অংশ নেওয়ার কথা তাঁর।
গত সোমবার বিল ক্লিনটন সাংবাদিকদের বলেন, কাজের চাপে এর আগেও হিলারি অনেকবারই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ৯/১১ অনুষ্ঠানে অসুস্থ হয়ে পড়ার আগে আড়াই দিন খুবই কঠিন সময় গেছে হিলারির।
তবে ‘অনুরূপ হিলারি’ প্রসঙ্গে ডেমোক্রেটিক দল অথবা হিলারির প্রচারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest