সর্বশেষ সংবাদ-
বিডিএফ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময়স্বপ্ন সিঁড়ি’র ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনউপজেলা পরিষদের কর্মচারী সাবের মিস্ত্রির পুকুর থেকে ৩৪ পিচ হাসুয়া উদ্ধারসাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ২৭ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ভারতীয় রূপা জব্দঈদ ও নববর্ষ পূর্নমিলনীর আড্ডায় সাতক্ষীরায় কর্মরত সাংবাদিকরাসাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনদেবহাটার ইছামতি নদীর ভাঙ্গনে বদলে যাচ্ছে মানচিত্র- হুমকির মুখে রুপসী ম্যানগ্রোভইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার উদ্যোগে পল্লী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিদেবহাটায় বোরো ধান কাটার ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরাকাল বৈশাখী ঝড়ে লন্ডভÐ সাতক্ষীরা কমার্স কলেজ

দেবহাটায় ভারতে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সুখী বড়িসহ আটক-১

কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা : দেবহাটা থানা পুলিশের অভিযানে বাংলাদশ থেকে ভারতে পাচারকালে সরকারী গর্ভ নিরোধক সুখী বড়ি ১ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

মামলা নং-০৭, তাং- ২০/০৮/২৩ ইং। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান (পিপিএম) এর দিক নির্দেশনায় ও সহকারী পুলিশ সুপার (দেবহাটা সার্কেল) এসএম জামিল আহমেদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বাবুল আক্তারের নেতৃত্বে দেবহাটা থানা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে ইং ১৯/০৮/২০২৩ ইং তারিখ, এসআই গিয়াস উদ্দিন ও এএসআই আঃ রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ দেবহাটা থানার কুলিয়া গ্রামস্থ কুলিয়া কেন্দ্রিয় ঈদগাহ জামে মসজিদের সামনে শ্যামনগর টু সাতক্ষীরাগামী পাকা রাস্তার উপর থেকে সরকারী গর্ভ নিরোধক ১ লক্ষ ৬১ হাজার ২৮০ পিচ সুখি বড়িসহ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কালিয়ানী গ্রামের ইদ্রিস আলী ওরফে দুনুর ছেলে লিটন হোসেন (২৪) কে গ্রেফতার করেন।

এবিষয়ে দেবহাটা থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় একটি চোরাচালান আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন। আসামীকে ইং-২০/০৮/২৩ ইং বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি নেই যুব রেডক্রিসেন্টের : তহবিল আত্মসাৎ

শ্যামনগর প্রতিনিধি :
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যুব রেড ক্রিসেন্টের দল গঠন বাধ্যতামূলক হলেও সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই কমিটি নেই স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটির। উপজেলার ৯১ টি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার মধ্যে কোনটিতেই যুব রেডক্রিসেন্টের কমিটি ও কার্যক্রম নেই বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির উপজেলা ইউনিটের নেতৃবৃন্দ। ফলে একদিকে যেমন মানা হচ্ছে না সরকারি নির্দেশনা অন্যদিকে জরুরি আপদকালীন সময়ে প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী পাওয়া নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। অথচ স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনের তহবিল গঠনের জন্য ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এককালীন ফি আদায় করা হচ্ছে।

২০১৪ সালে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষা) বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব রেড ক্রিসেন্টের দল গঠন বাধ্যতামূলক ও তহবিল গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর থেকেই স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনের তহবিল গঠনের জন্য ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর (২০+২০+২০) ৬০ টাকা, নবম ও দশম (২০+২০) ৪০ টাকা এবং একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে (২০+২০) ৪০ টাকা এককালীন ফি নেয়া হচ্ছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের থেকে এককালীন ফি আদায় করবে। আদায়কৃত অর্থের ৬০ শতাংশ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (আলাদা রেডক্রিসেন্ট হিসাব একাউন্টে) যুব রেডক্রিসেন্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রেখে বাকী ৪০ শতাংশ অর্থ শিক্ষাবোর্ডে প্রেরণ করবে। শিক্ষাবোর্ডসমূহ প্রাপ্ত অর্থের ১৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ রেখে বাকি অর্থ দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে প্রেরন করবে।

কিন্তু কমিটি না থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে আদায়কৃত এই অর্থের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাতক্ষীরা জেলা ইউনিট ও শ্যামনগর উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের নেতৃবৃন্দ।

নিয়মানুযায়ী যুব রেডক্রিসেন্টের প্রতিটি কমিটিতে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৫৩ জন শিক্ষার্থীর অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনা রয়েছে বলে জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শ্যামনগর উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট দলের দলনেতা আনিসুর রহমান মিলন জানান, উপজেলার ৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মধ্যে কোনটিতে যুব রেড ক্রিসেন্টের কমিটি নেই। যেহেতু কমিটি নেই সেহেতু কার্যক্রমও নাই। কিন্তু এ বাবদ যে ফি আদায় হচ্ছে তাহলে এই অর্থ কোথায় ব্যবহার হচ্ছে তা আমরা জানি না। যা খুবই রহস্যজনক! আর যে সব প্রতিষ্ঠানে আমরা যাই সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা রেড ক্রিসেন্ট বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রেড ক্রিসেন্টের ফি এর টাকা খরচ করে ফেলে। কিন্তু এটা উচিত না। সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে নজরদারি করা উচিত।

এ বিষয়ে নকিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, কাগজে কলমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ফি আদায়ের কথা থাকলেও তা নেওয়া হয় না।
তিনি বলেন আমার প্রতিষ্ঠান সরকারি তাই শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো সেশন ফি ও দিতে পারে না। অনেক শিক্ষার্থীকে স্কুল ফান্ড থেকে ফরম ফিলাপ করাতে হয়। আর গ্রামের স্কুল গুলোর কি অবস্থা ভেবে দেখুন!

শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ফি আদায়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে কাঠালবাড়ি কাঁঠালবাড়ি এ.জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজাহারুল ইসলাম বলেন, রেড ক্রিসেন্ট ফি শুধুমাত্র বোর্ডে যে পরিমাণ ফি ধরা হয় সেটাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়। যেহেতু এছাড়া অতিরিক্ত কোন টাকা নেওয়া হয় না সেহেতু অর্থ আত্মসাতের প্রশ্নই ওঠে না। রেড ক্রিসেন্ট এর জন্য স্কুলের কোন ব্যাংক একাউন্টও নেই। আসলে এটা নিয়ে তেমন কোন ট্রেনিং বা কার্যক্রম না থাকায় কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই এটার গুরুত্ব দেয় না।

কাশিমাড়ী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান এস.এম আব্দুল হাই বলেন, রেড ক্রিসেন্ট এর কোন কার্যক্রম সম্পর্কে আমরা অবগত নই। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী রেড ক্রিসেন্ট ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশনের সময় ও ফর্ম ফিলাপের সময় টাকা টাকা নেওয়া হয়। বোর্ড ফি বাবদ কিছু অর্থ বোর্ডে জমা দেওয়া হয় বাকি টাকা প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ফান্ডে জমা রাখা হয়। প্রতিষ্ঠানের সেখান থেকে যেকোনো কাজের তা ব্যবহার করা হয়।

এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ইউনিট লেভেল কর্মকর্তা মোঃ হাসিবুল ইসলাম সোহান বলেন, উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এই কমিটি থাকা বাধ্যতামূলক। সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তারা যেন এই বিষয়ে এখনি পদক্ষেপ নেয়। আমরা চাই প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রেড ক্রিসেন্টের ফি দিয়েই তাদের প্রতিষ্ঠানে যুব কমিটি করবে। এতে যে কোন জরুরি মুহুর্তে আমাদের সেচ্ছাসেবী পেতে সুবিধা হবে।

তিনি আরো বলেন, রেড ক্রিসেন্ট জাতি, উপজাতি, ধর্মীয় বিশ্বাস, শ্রেণি অথবা রাজনৈতিক বিশ্বাসে কোনো প্রকার বৈষম্যের সৃষ্টি করে না। একমাত্র প্রয়োজনের তাগিদে ব্যক্তির যন্ত্রণা দূর করা এবং জরুরি অবস্থায় দুর্দশাগ্রস্তের সেবায় অগ্রাধিকার দানের প্রচেষ্টা চালায়। রেড ক্রিসেন্ট পক্ষপাতহীন হয়ে বিশ্ববাসীর সেবায় কাজ করে। এটি একটি নিঃস্বার্থ ও স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি স্বীকৃতি লাভ করে। এরপর ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রেডক্রসের ২২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তেহরানে বাংলাদেশ রেড ক্রস সোসাইটি আন্তর্জাতিকভাবে পূর্ণ স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৮৮ সালে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি’ রাখা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উত্তর কাটিয়ায় পৌর কৃষকলীগের অফিস ভাংচুর

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় পৌর কৃষকলীগের অফিস ভংচুর করেছে দূবৃত্তরা। ২০ আগস্ট রবিবার গভীর রাতে শহরের উত্তর কাটিয়ায় মাগুরা বৌ বজার সংলগ্ন পৌর কৃষকলীগের অফিসের সাটারের তালা ভেঙে দূবৃত্তরা অফিসে ঢুকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে। এব্যাপারে পৌর কৃষকলীগের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি রাশেদ হাসান চৌধুরী বাবু প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার রাত ১১ টার দিকে দলীয় অফিস বন্ধ করে বাড়িতে যান। গভীর রাতে অফিসের তালা ভেঙে দূবৃত্তরা অফিসে ঢুকে অফিসে থাকা একটি কম্পিউটার, জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার, ফেস্টুন, চেয়ার ভাংচুর করে এবং অফিসের টেবিলের ড্রয়ারে ও টেবিলের উপরে থাকা প্রয়োজনীয় জিনিস, কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। এবং ড্রয়রে থাকা ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় দূবৃত্তরা। এঘটনায় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে জানাগেছে।

সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পৌর কৃষকলীগের সভাপতি রাশেদ হাসান চৌধুরী বাবু অফিসে এসে দেখেন অফিসের তালা ভাঙা এবং অফিসের ভেতর বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিড়ে যাবতীয় জিনিসপত্র ভেঙে তছনছ করে রাখে। অফিসের এমন অবস্থা দেখে পৌর কৃষকলীগের সভাপতি রাশেদ হাসান চৌধুরী বাবু সদর থানা পুলিশ এবং সাতক্ষীরা জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান জুয়েল কে অবহিত করেন।

খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিদুল ইসলাম কৃষক লীগের অফিস পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান জুয়েল, পৌর ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জমিজমা নিয়ে ধস্তাধস্তির পর মারা গেলে সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী নাজমুল  !

নিজস্ব প্রতিনিধি: জমিজমা নিয়ে ধস্তাধস্তির পর মারা গেছেন নাজমুল হাসান তারা(৫৫) নামে সাতক্ষীরার এক ব্যবসায়ী। তিনি সাতক্ষীরা সদরের মাগুরা বউবাজার এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।

পরিবারের বরাতে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি মহিদুল ইসলাম জানান, শহরের পলাশপোলে নাজমুল হাসানের হার্ডওয়্যারের দোকান ছিলো। গতকাল শনিবার (১৯ আগস্ট) দিনগত রাত ৮টার দিকে স্থানীয় আব্দুর রহমান বাবু ও নুরুজ্জামানের সাথে নাজমুল হাসানের বচসা হয়। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাকে সাতক্ষীরার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ১২টার দিকে তিনি মারা যান।

ওসি মহিদুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পাউবো’র কুক কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
এমনিতেই সাতক্ষীরা জেলা প্রাকৃতিক দূর্যোগের কাছে বিধ্বস্ত। এমতাবস্থায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাউবো’র এক কুক (রাধুনির) বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তার দাপটে প্রশাসনও দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, এই কুকের নাম শেখ কামরুজ্জামান, দপ্তর: সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-১একটা সময়ে সহকারী কুকের কাজ করলেও তিনি এখন গাড়ি চালক। কাগজে কলমে রাধুনি, তবে বাস্তবে তিনি একজন প্রভাবশালী ঠিকাদার। তার ছেলের নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স নিয়ে সাতক্ষীরা পাউবোর পুরো উন্নয়ন কাজের নিয়ন্ত্রণ এখন কামরুজ্জামানের হাতে। অভিযোগ রয়েছে কামরুজ্জামানের সঙ্গে কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে দিনের পর দিন চলছে এই অনিয়ম। পাউবো তে তিনি একত্র আধিপত্য বিস্তার করে রামরাজত্ব কায়েম করেছে।

সাতক্ষীরার পাউবো-১ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নের জন্য সরকার কয়েকশত কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে জলাবদ্ধতা নিষ্কাশন ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই ডেল্টা প্লানের কাজ বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই কুক কাম গাড়িচালক কাম (অদৃশ্য) ঠিকাদার শেখ কামরুজ্জামান। তার লাগামহীন স্বেচ্ছাচারিতা ও ঠিকাদারী ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে পাউবোর অফিসে।
অভিযোগ রয়েছে, কামরুজ্জামানের সাতক্ষীরা পাউবো-১ এ বর্তমানে তার পদ না থাকলেও উক্ত ডিভিশনে নিজ জেলা সাতক্ষীরাতে ২২ বছরেরও অধিক সময় চাকরী করছে। ফলে অফিসে একক রামরাজত্ব কায়েম করছে। রাধুনি পদে চাকরি করলেও নিজে রান্নার কাজ করেন না। তার কাজ করেন পিয়ন গোপাল ও মোবারক নামের ২ ব্যক্তি। ওই গাড়ি চালকের দখলে রয়েছে চেয়ার-টেবিল ও আলমারিসহ সরকারী বিভিন্ন জিনিস পত্র। পাউবো ১ অফিসে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে-কামরুজ্জামান রাধুনি হলেও কাজ করেন গাড়িচালকের। কিন্তু তিনিই আবার অফিসের বিভাগীয় হিসাব শাখার চেয়ার-টেবিলসহ অন্তত ১০টি আলমারি দখল করেছেন। আর এতে সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন তার ঠিকাদারী বন্ধু পাউবো-১ এর হিসাব করণিক শফিকুল ইসলাম। গভীর সখ্যতা রয়েছে কুক কামরুজ্জামান ও শফিকুল ইসলামের। কোনো নিয়মিত গাড়ীচালক ও সিনিয়র হিসাব সহকারী পাউবো-১ এ থাকতে পারেনা তাদের ক্ষমতার দাপটে। সরকারি অফিসের আসবাবপত্র ও আলমারি দখল করে সেখানে বসেই ঠিকাদারী ব্যবসা করে যাচ্ছে কামরুজ্জামান। তার ঠিকাদারী লাইসেন্স এর নাম-মেসার্স রাফিদ এন্টারপ্রাইজ। রাফিদ তার ছেলের নাম। এই লাইসেন্স দিয়ে সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আবুল খায়েরের সময়ে একাধিক ডিপিএম কাজ পেয়েছে কামরুজ্জামান। এক পায়ে সমস্যা নিয়ে গাড়িচালক না হয়েও ঠিকাদারী ব্যবসা ও গাড়ির তেল চুরি করার জন্য ঝুঁকি নিয়ে অফিসের গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে কামরুজ্জামান।তার অন্যতম সহযোগী ক্যাশিয়ার শফিকুল ইসলামও সাতক্ষীরার স্থানীয়। সব কিছু দেখেও নীরব সাতক্ষীরা পাউবো প্রশাসন। দিন দিন আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কুক কামরুজ্জামান।

সাতক্ষীরা পাউবো হতে কামরুজ্জামানকে একাধিকবার বদলি করা হলেও টাকার ও ক্ষমতার জোরে বারবার তা বাতিল হয়ে যায়। সাতক্ষীরায় যোগদানের পর থেকে রীতিমতো আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে কামরুজ্জামান। শহরের ইটাগাছা ওয়াপদার মোড় হতে পশ্চিম দিকে আনুমানিক ২০০ মিটার দূরে ২(দুই) কোটি টাকা মূল্যের পাঁচতলা ফাউন্ডেশন বাড়ির প্রথম তলার কাজ শেষ।অবৈধ ভাবে উপার্জিত সাতক্ষীরার বিভিন্ন শাখায় লক্ষ লক্ষ টাকার একাধিক ব্যাংক হিসাব ও ডিপিএস আছে তার স্ত্রী রেখা জামান ও তার নিজ নামে। স্থানীয় কয়েকজন স্টাফকে নিয়ে একটি কঠিন সিন্ডিকেট আছে তার সাতক্ষীরা পাউবো-১ ও ২-এ। ২০১৮ হতে ২০২২ সালে সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আবুল খায়েরের যোগসাজশে বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই ভোমরা ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে একাধিক বার ভারত ভ্রমণ করেছে কামরুজ্জামান। একাধিক বার নিউজ হলেও তার বিরুদ্ধে কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়নি পাউবো প্রশাসন। টাকার জোরে বারবার রীতিমতো তার সব অন্যায় ধামাচাপা পড়ে যায়। সাতক্ষীরা বিখ্যাত চিংড়ি, আম ও সুন্দরবনের মধু পাঠিয়ে উপরমহলকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে রয়েছে তেলবাজ কামরুজ্জামান। সাতক্ষীরার পাউবোতে থেমে নেই তার ঠিকাদারী ও সাবঠিকাদারী ব্যবসা। এ যেন এক রাধুনির কব্জায় সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কামরুজ্জামানের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবো-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন বলেন-আমি অল্প সময়ে এসেছি, আসার পরে তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শুনেছি। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় কিভাবে শেখ কামরুজ্জামান ২২ বছর ধরে এক জায়গায় আছে এবং বর্তমানে তো রাধুনি পদটি সাতক্ষীরা পাউবো-১ এর সেটআপে নেই।
তবে প্রকৌশলী মো: সালাউদ্দিন জানান-বোর্ড তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমি কি করতে পারি? তিনি আরো বলেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো। তবে পাউবো-১ অফিস সূত্রে জানা যায় পদ না থাকলেও রীতিমতো এই অফিস থেকে তিনি নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন বলে জানা গেছে। সচেতন মহল তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ৭ পিচ স্বর্ণের বারসহ এক চোরাকারবারি আটক

আসাদুজ্জামান ঃ ভারতে পাচারের সময় সাতক্ষীরা শহর থেকে ৭ পিচ স্বর্ণের বারসহ মাহবুব উদ্দিন নামের এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা শহরের নিউ মার্কেট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটকৃত মাহবুব উদ্দিন (৪০) মানিকগঞ্জ জেলার সিংহই থানার ফরহাদ উদ্দিনের ছেলে।

সাতক্ষীরা সদর থানর পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে আনা স্বর্ণের একটি বড় চালান সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে সাতক্ষীরা শহরের লাবনি মোড়স্থ হাজি মার্কেটের সামনে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকাবারী মাহবুব পালানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তার দেহে তল্লাশী করা হলে তার প্যান্টের বেল্টের ভিতরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারের ওজন ৮১৬ গ্রাম। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৬৩ লাখ টাকা। ঘটনা স্থলে এ সময় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও জানান, আটককৃত ব্যাক্তি মাহবুব উদ্দিন মানিকগঞ্জ জেলার শীর্ষ স্বর্ণ চোরাকারবারি বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আটক চোরাকাবারীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী মুহাদ্দিস আব: খালেক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেককে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর দু’টোর দিকে সদর উপজেলার ধলবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়ির পার্শ্ববর্তী ঈদগাহের পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক(৬৫) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধলবাড়িয়া গ্রামের মৃত আফতাবউদ্দিন সানার ছেলে।

ধলবাড়িয়া গ্রামের জামালউদ্দিন জানান, শুক্রবার স্থানীয় মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে দুপুর দুটোর দিকে ঈদগাহের পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। এ সময় একদল পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। তবে তার ছেলে হাসানুল বান্না তার বাবার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বেশি কিছু বলতে চাননি। তবে তাকে কাথায় রাখা হয়েছে তাও তারা জানতে পারেননি।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিতুল ইসলাম শুক্রবার বিকেল চারটায় সাংবাদিকদের কাছে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেককে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাটকেলঘাটায় পরিবহনের ধাক্কায় মোটর সাইকেল চালক নিহত

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার ত্রিশমাইলে দ্রুতগামী ইমাদ পরিবহনের ধাক্কায় মাহমুদুল ইসলাম নামের এক মোটর সাইকেলচালক নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন ওই
মোটরসাইকেলের যাত্রী। নিহত মাহমুদুল ইসলাম তালা উপজেলার শিবপুর গ্রামের
আবু জাফর মোড়লের ছেলে।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কের ত্রিশমাইল
এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মাহমুদুল ইসলাম পেশায় একজন মোটর সাইকেল চালক। আহত মোঃ সিফা পাইকগাছা
উপজেলার মাহমুদকাটি এলাকার ছোট গাজী ছেলে।

সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শিমুল রানা জানান, মাহামুদুল
ইসলাম ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। শুক্রবার সকালে তিনি তালা থেকে রিফাত
হোসেন ফিফাকে ভাড়ায় নিয়ে সাতক্ষীরা আসছিলেন। পথিমধ্যে ত্রিশমাইল এলাকার
অগ্রগতি সংস্থার অফিসের সামনে ইমাদ পরিবহনের ঢাকাগামী একটি বাস
মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান মাহামুদুল।
আর গুরুতর আহত হন রিফাত হোসেন ফিফা। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল তাকে উদ্ধার
করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে অবস্থার অবনতিতে তাকে খুলনা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, নিহতের
মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে আইনানুগ
ব্যবস্থা নেওয়া হবে##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest