সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

মার্কিন নির্বাচনে হ্যাকিংয়ে ১২ রুশ গোয়েন্দা অভিযুক্ত

বিদেশের খবর: ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে ১২ রুশ গোয়েন্দাকে অভিযুক্ত করেছে মার্কিন বিচার বিভাগীয় তদন্ত সংস্থা। গতকাল শুক্রবার মার্কিন বিচার বিভাগ এই তথ্য জানায়। খবর সিএনএনের

মার্কিন বিচার বিভাগের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রোসেনটাইন জানান, অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডেমোক্র্যাট দলের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছিল তারা। এর মধ্যে রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার ১২ জন গোয়েন্দার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউর সদস্য।

তারা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইলেও হামলা চালায়। বিচার বিভাগীয় তদন্ত সংস্থা স্পেশাল কাউন্সেল হ্যাকিংয়ের প্রমাণ পেয়েছে। তদন্ত দলের নেতৃত্বে আছেন রবার্ট মুলার।

২০১৬ সালের মার্চ থেকেই হিলারি ক্লিনটন এবং তার প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ই-মেইল হ্যাকিং করা শুরু করে রাশিয়া। রড রোসেনটাইন জানান, হ্যাকিংয়ে রুশদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেলেও কোনো মার্কিনীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এর আগে রাশিয়ার ২০ ব্যক্তি ও তিনটি কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দীপিকা-ক্যাটরিনাকে টপকে আলোচনায় টেন্ডুলকার কন্যা সারা

খেলার খবর: শচীন কন্যা সারা এখন নতুন ফ্যাশন চিস্তা। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে সারা-র একের পর এক ছবি ঝড় তুলে দিচ্ছে। ইনস্টাগ্রামে একের পর এক ছবি দিচ্ছেন, তাতেই দীপিকা-ক্যাটরিনাদের একেবারে নড়িয়ে দিচ্ছেন সারা।

সেলেবদের সন্তানদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আগ্রহ বরাবরের। শাহরুখ খানের মেয়ে সুহানার ছবি ইনস্টগ্রামে এলেই তা ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয় না। ভারতরত্ন ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারা-ও বেশ জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে বলিউডে পা রাখার স্বপ্ন দেখা সুহানার মত সেভাবে সক্রিয় নন সারা।

সারাকে নিয়ে জল্পনাও কম হয় না। আসলে শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে বলেই হয়তো সারাকে নিয়ে গোটা দেশের মানুষের উৎসাহ দেখার মত। সারা বলিউডে পা রাখছেন, এমন ভুয়া খবরটাও মাঝেমাঝে আসে। শচীন নিজেও সারা’র বিষয়ে ভুয়া খবর দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

দেখতে দেখতে সারা-র বয়স এখন ২১ হয়ে গেল। মিষ্টি সরল মুখের সারা-র মধ্যে ধরা পড়ে বাবা শচীন টেন্ডুলকার আর মা অঞ্জলী-র মুখের আদল। সারার রূপে মুগ্ধ সোশ্যাল মিডিয়া। বর্তমানে পড়াশোনায় ব্যস্ত সারা। সারা-র যা রূপ তাতে তাকে যে কোনওদিন বলিউডের নায়িকা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যায়। আর তাই বোধহয় মাঝেমাঝেই ভুয়া খবর হয়, সারা সিনেমায় নামছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মোদির টুইটার ফলোয়ারের সংখ্যা কমছে লাখে লাখে

বিদেশের খবর: অধঃপতন হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির! জানা গেছে, তার টুইটারের ফলোয়ারের সংখ্যা নেমে গিয়েছে অনেক নিচে। টুইটারে ফলোয়ারের সংখ্যা যদি কারো জনপ্রিয়তার মানদণ্ড হয়, তা হলে কিছুটা উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ থাকতেই পারে প্রধানমন্ত্রীর।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লাখে লাখে ফলোয়ার হয়ে যায় নরেন্দ্র মোদির। সে সময় এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে।

বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয় টুইটার অ্যাকাউন্ট @narendramodi আর তেমন ভাবে টানছে না ফলোয়ার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মোদির ফলোয়ার কমেেগেছে অন্তত তিন লাখ।

ফলোয়ারের সংখ্যায় ভারতে এতদিন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টুইটার অ্যাকাউন্ট। কম করে এক লাখ ফলোয়ার কমেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (প্রাইম মিনিস্টার অফিস বা, পিএমও)-এর টুইটার অ্যাকাউন্ট- @PMOIndia-এরও।

গত ১১ জুলাই টুইটারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, ভুয়া অ্যাকউন্টের বিরুদ্ধে তারা অভিযান শুরু করবে। এর পরেই টুইটার ফলোয়ারের সংখ্যায় ঝুপ করে নেমে যায় প্রধানমন্ত্রী মোদির অ্যাকাউন্ট। গত ১২ জুলাই মোদির টুইটার ফলোয়ারের সংখ্যা ছিল চার কোটি ৩৪ লাখ। পরের দিন, ১৩ জুলাই তা নেমে দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৩১ লাখে।

আর তা তার ফলোয়ারদের নজরও এড়ায়নি। প্রধানমন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডলেই সে কথা জানিয়েছেন এক ফলোয়ার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্রিটেনে লাখো মানুষের ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

বিদেশের খবর: ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে লাখো মানুষ। বিক্ষোভকারীরা ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প এখানে স্বাগত নয়’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। একইসঙ্গে ‘বিশ্বের ১ নাম্বার বর্ণবাদী ও একজন ‘আমেরিকান সাইকো’ লেখা প্ল্যাকার্ডও বহন করছিল তারা।

লন্ডনে একইসঙ্গে ট্রাম্পবিরোধী দুটি বড় ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি পার্লামেন্ট স্কয়ারের সামনে আরেকটি ট্রাফালগার স্কয়ারের সামনে। এর আগে শুক্রবার সকালে বিক্ষোভকারীরা হাউজ অব পার্লামেন্টের ওপর ‘ট্রাম্প বেবি’ উড়িয়ে দেয়।

নারীদের প্রতি ট্রাম্পের আচরণ ও বিতর্কিত নীতি করে মুসলিম ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও মার্কিন সীমান্তে অভিবাসীদের শিশুদের বাবা-মা থেকে আলাদা করার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ। বিক্ষোভের আয়োজকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় লন্ডনে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন।

এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, অতিরিক্ত লোকসমাগম হওয়ায় ট্রাফালগার স্কয়ার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাকা ছেড়েছে প্রথম হজ ফ্লাইট

দেশের খবর: ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আজ শনিবার সকাল পৌনে ৮টায় সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে এ বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট ছেড়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানায়, প্রথম দিনে হজ ফ্লাইট বিজি-৩০১১ বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে, বিজি-৫০১১ বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে এবং শিডিউল ফ্লাইট বিজি-০০৩৫ রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। এ বছর চট্টগ্রাম থেকে ৯টি এবং সিলেট থেকে ৩টি হজ-ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে।

হজের শেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে ১৫ আগস্ট। আর হজ পালন শেষে ২৭ আগস্ট প্রথম ফিরতি ফ্লাইট জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৭৯৮ জন, আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন।

এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫২৮টি হজ এজেন্সি হজের কার্যক্রম পরিচালন করছে। যাত্রীদের বহনের জন্য আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইনস। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ ১৮৭টি ফ্লাইটে ৬৪ হাজার ৯৬৭ জন এবং সৌদি এয়ারলাইনসের ১৮৮টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ৮৩১ জন যাত্রী পরিবহন করবে।

হজ ক্যাম্পে সার্বিক সহযোগিতায় পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রোভার স্কাউট সদস্য, আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সদস্যরা। এর আগে ১১ জুলাই আশকোনায় হজ অফিসে হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় নির্বাচনের আগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছে দুদক

দেশের খবর: মাদকবিরোধী অভিযানের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ার চেষ্টা করবে সরকার। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের প্রতি মানুষের সমর্থন দেখে সরকার উৎসাহবোধ করছে। তাই শিগগির দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি চলছে। এ লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংস্কারের। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) শক্তিশালী করতে অনুমোদন করা হয়েছে নতুন ১০৬৮টি পদ। অনুসন্ধান ও তদন্ত ছাড়াও ঘুষ লেনদেনের সুনির্দিষ্ট সংবাদের ভিত্তিতে ফাঁদ পাতার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দুদকে থাকছে গোয়েন্দা ইউনিট ও রিজার্ভ শাখা। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটি গত ৪ জুলাই দুদকের জন্য নতুন পদ অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে অনুমোদন দেয় জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়। বর্তমানে দুদকের জনবল এক হাজার ২৬৪ জন।

সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্রে জানা যায়, অনেকটা মাদকবিরোধী চলমান অভিযানের আদলেই দুর্নীতির বিরুদ্ধেও অভিযান চলবে। এর মাধ্যমে আর্থিক খাতের পাশাপাশি পুলিশসহ সরকারি প্রশাসনে লাগামহীন দুর্নীতির রশি টেনে ধরার চেষ্টা করবে সরকার। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এ অভিযান শিগগির শুরু করা হবে। অভিযান চালাতে প্রয়োজনে সংস্কার করা হবে দুদকের বিদ্যমান আইন ও বিধি। কোন পদ্ধতিতে অভিযান চালানো হবে সে বিষয়টি নিয়ে এখন কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছি। এরই মধ্যে অনেক আইন সংস্কার করে যুগোপযোগী করা হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে অভিযান চলছে। আগামীতে এ অভিযান আরো শক্তিশালী করা হবে। এ জন্য আইন সংস্কার প্রয়োজন হলে তাও করা হবে।’

দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, দুর্নীতি দমন সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। মাদক ও জঙ্গি দমনে সরকার যতটা কঠোর, দুর্নীতি দমনেও একই রকম কঠোর। এ কারণেই নতুন করে আরো কিছু পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।

বিদ্যমান আইনে দুর্নীতি দমন সম্ভব কি না জানতে চাওয়া হলে দুদকের আইন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে আইন কোনো সমস্যা নয়, সমস্যা প্রয়োগ ও মানুষের। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির ক্ষেত্রে সাজার জন্য বিভিন্ন আইন রয়েছে। দুর্নীতি প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানও রয়েছে। তিনি দাবি করেন, গত বছর পুলিশের চেয়ে বেশি দুদকের মামলায় অপরাধীর সাজা হয়েছে। এ হার ৭০ শতাংশ।

জানা গেছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান কঠোর করার লক্ষ্যে দুদকের কয়েকটি বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মামলা দায়ের, জরিমানা ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা সংক্রান্ত বিধিগুলো সংশোধনীর জন্য বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রয়েছে। যেকোনো সময় তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠবে। এ ছাড়া দুদকের যে কয়েকটি আইন ছড়ানো ছিটানো রয়েছে, সেগুলো একত্র করার উদ্যোগ চলছে। সম্প্রতি ভারতে দুর্নীতি দমনসংক্রান্ত কয়েকটি ছড়ানো ছিটানো আইন একত্র করে একটি আইনে পরিণত করা হয়েছে। সে আলোকেই বাংলাদেশেও তেমনটি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

দুদকের নতুন পদ সৃষ্টির যৌক্তিকতা তুলে ধরে প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি। দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য একটি সুশাসনভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা সরকারের অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার, যা সরকারের ভিশন-২০২১-এ ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সচিব কমিটির সভায় আরো বলা হয়েছে, সরকার সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে ২০১২ সালে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ প্রণয়ন করে। এ ছাড়া ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১’-এ দুর্নীতিকে একটি আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করা হয়েছে। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য দুদকের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে।

দুদক কয়েকটি জেলা সমন্বয়ে ‘সমন্বিত জেলা কার্যালয়’ গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। নতুন জনবল নেওয়ার পর দুদক প্রায় সব জেলায় সতন্ত্রভাবে কাজ করবে। কমিশনের বর্তমান সাংগঠনিক কাঠামোতে রয়েছে এক হাজার ৭৩টি পদ। সুপারনিউমারিসহ মোট পদের সংখ্যা এক হাজার ২৬৪। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরো এক হাজার ৬৮টি পদ। এ অতিরিক্ত জনবলের জন্য বছরে ২১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে। বর্তমানে কমিশনে ছয়জন মহাপরিচালক আছেন। আরো দুজন মহাপরিচালক যুক্ত হবেন। বর্তমানে পরিচালক রয়েছেন ১৯ জন, তাঁদের সঙ্গে আরো যোগ দেবেন ১৮ জন। ৮১ জন উপপরিচালকের সঙ্গে আরো ১১০ জন নিয়োগ পাবেন। নতুন পদ সৃষ্টির পর ১২৪ জন উপসহকারী পরিচালকের সঙ্গে যোগ দেবেন আরো ২৩৩ জন। এ ছাড়া পরিদর্শক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, প্রধান সহকারী, হিসাবরক্ষক, উচ্চমান সহকারী, ড্রাইভার, কনস্টেবলসহ মোট ৩৬টি পদে নতুন করে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।

সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট : আদালতে দুর্নীতিবাজদের শাস্তি হলেও তাদের সম্পদের কিছু হয় না। দুর্নীতিবাজদের সম্পদ যেন তার বংশধরদের কেউ ব্যবহার করতে না পারে সে জন্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট গঠন করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থাপনা ইউনিট দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের তত্ত্বাবধানকারী হবে এবং রাষ্ট্রীয় খাতে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া গ্রহণ করবে। এ ইউনিট কাজ করবে দুদক সচিবের তত্ত্বাবধানে। একজন পরিচালক, দুইজন উপপরিচালক, চার সহকারী পরিচালকসহ মোট ১১ জন এ ইউনিটে থাকবেন। বর্তমান কাঠামোতে এ ধরনের কোনো ইউনিট নেই।

রিজার্ভ শাখা : কমিশনের হঠাৎ জনবলের প্রয়োজন হয়। সেই জনবল সরবরাহ করতে পারে না কমিশন। বিশেষ পরিস্থিতিতে কোনো বিষয়ের অনুসন্ধান, তদন্ত ও ঘুষ লেনদেনের সুনির্দিষ্ট সংবাদের ভিত্তিতে ফাঁদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কমিশন জনবল সরবরাহ করতে পারে না। এই সমস্যা দূর করার জন্য রিজার্ভ শাখা অনুমোদন করা হয়েছে। দুদক সচিবের তত্ত্বাবধানে কাজ করবে এ রিজার্ভ শাখা। ১৫ জন উপপরিচালক, ১৪ জন সহকারী পরিচালক, ২৭ জন উপসহকারী পরিচালকসহ মোট ৮৩ জন থাকবেন এ রিজার্ভ শাখায়।

গোয়েন্দা ইউনিট : দুর্নীতিবাজদের খুঁজে বের করার জন্য বর্তমানে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই, অভিযোগ অনুসন্ধান ও মামলা তদন্ত করতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হয়। এতে সময় লাগে অনেক বেশি। এ অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে নির্ভুল অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজের জন্য নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামোতে সচিবের অধীন একজন পরিচালক, তিনজন উপপরিচালকসহ মোট ১০টি নতুন পদ থাকছে।

আসামি গ্রেপ্তারকালে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখার জন্য দুদক সচিবের তত্ত্বাবধানে এনফোর্সমেন্ট শাখাও থাকবে। এ জন্য একজন উপপরিচালক, দুই সহকারী পরিচালকসহ মোট ২৬টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।

দুদকের চলমান মামলা বেড়েই চলেছে। এসব মামলা পরিচালনার জন্য ‘লিগ্যাল ও প্রসিকিউশন’ নামে একটি অনুবিভাগ রয়েছে। অনুমোদিত কাঠামোতে এ বিভাগ পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বর্তমান সাংগঠনিক কাঠামোতে সিস্টেম এনালিস্টের অধীন তথ্য-প্রযুক্তি সেল থাকলেও তা কাজ করছে অন্য অনুবিভাগের অধীন। দুর্নীতি অনুসন্ধানে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য তথ্য-প্রযুক্তি সেলকে তথ্য-প্রযুক্তি শাখা হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির সঙ্গে প্রশিক্ষণ শাখাকে যুক্ত করে একজন মহাপরিচালকের অধীনে থাকবে প্রশিক্ষণ ও তথ্য-প্রযুক্তি শাখা।

জনসংযোগ শাখাকে আপগ্রেড করা হচ্ছে। বর্তমানে এ কাজটি করছেন একজন উপপরিচালক। সংবাদপত্রে প্রকাশিত দুর্নীতিবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণের পর অনুসন্ধানে নামবে কমিশন। তথ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক কলাকৌশল অবলম্বন করে প্রেস ও মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য উপস্থাপন করার কাজটি করার জন্য একজন পরিচালকের অধীন দুজন উপপরিচালকসহ সাতটি নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আসছে পপি-সালমা ‘দুইবোনের’ ধামাকা

বিনোদন সংবাদ: ক্লোজআপ খ্যাত কণ্ঠশিল্পী সালমা। কাজ করে যাচ্ছেন নিয়মিত। স্টেজ ও নতুন দু জায়গাতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন। অন্যদিকে পপি ফের ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নতুন নতুন ছবির কাজে। সম্প্রতি সাহসী যোদ্ধা ও কাঠগড়ায় শরৎ চন্দ্র নামের দুই ছবি নিয়ে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে এই গুণী অভিনেত্রীর।

এরইমধ্যে একসাথে দেখা গেল কণ্ঠশিল্পী ও অভিনয়শিল্পীকে। শুধু যে একসাথে দেখা গেছে তাই নয়, সেখানে পপিকে বোন বানিয়ে ফেলেছেন সালমা। দুইজনের প্রায়ই একই ধরনের জামা পরিহিত একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সালমা। যেখানে দেখা যাচ্ছে দুজনকে দুজনকে পরম আত্মীয়ের মতো ছুঁয়ে রয়েছেন।

সালমা লিখেছেন, ‘আমি হাসি কারণ তুমি আমার বোন। আমি হাসি কারণ এখানে তোমার করার কিচ্ছু নেই, এ কারণেই হাসি।’

অর্থাৎ সালমার ঠোঁটে যে স্নিগ্ধ হাসি ঝুলে রইলো তা বোন পপির জন্যই। অর্থাৎ পপিকে পেয়ে আপ্লুত ছোটবোন সালমা। হঠাৎ দুইজনের একত্রে হওয়ার কারণ কী? এ বিষয়ে কথা হয় পপির সঙ্গে।

পপি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় আমাদের একসাথে শো থাকে। এরমকই কোনো একটি মুহূর্তের ছবি এটি। আমাদের তো অনেকগুলো ছবিই রয়েছে সালমা যে কোনটি ফেসবুকে পোস্ট করেছে দেখিনি। তবে আমঅরা দুইজন একটা চমক নিয়ে আসছি। বলা যায় বড় ধরনের ধামাকাই। একটু অপেক্ষা করুন, শিগগির জানাবো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আর্জেন্টিনা চলেছে মেসির ইশারাতেই!

খেলার খবর: বিশ্বকাপের আগেই এবার আর্জেন্টিনা হেরে গেছে—এমনটা বললে খুব বেশি কি বলা হবে? সেরা খেলোয়াড়দের সাইড বেঞ্চে রেখে, একই ভুলের পুনরাবৃত্তিই যে করতে যাচ্ছেন কোচ হোর্হে সাম্পাওলি, সেটি জানাই ছিল ফুটবল-ভক্তদের। তবে দলের এমন উদ্ভট সিদ্ধান্তে সব দোষ যে কোচের নয়, সেই ধারণা ভাঙতে শুরু করেছে।

কোনো এলাকার সব নিয়ন্ত্রণ একজনের হাতে কিন্তু এর লিখিত বা চাক্ষুষ কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। অথচ তাঁর আঙুলের ইশারায় নির্ধারিত হয় কী হবে না হবে। আর্জেন্টিনা দলেও এমন একজন আছেন। দলের কোচের ওপরও তাঁর কথা অনেক সময় গুরুত্ব পায়। নাম না বললেও হয়তো ধরতে পারছেন, তিনি কে!

রাশিয়া বিশ্বকাপটা বেশ অস্থির গেছে আর্জেন্টিনার। দল গোছাতে কোচ সাম্পাওলির ব্যর্থতা, দল নির্বাচনে ভুল—সব মিলিয়ে খুব বেশি কারণ প্রয়োজন হয়নি দলকে ডোবাতে। আলবিসেলেস্তেদের ভরাডুবিতে কোচকেই দায়ী করেছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞ ও ভক্তরা। তবে আর্জেন্টিনার গণমাধ্যম সম্প্রতি একটি খবর প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে দলের একাদশ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অধিনায়ক লিওনেল মেসি প্রভাব খাটিয়েছেন। ডিফেন্ডার ফেদেরিকো ফাসিও আর মিডফিল্ডার জিওভান্নি লো সেলসোকে দলে না রাখতে কোচকে সরাসরি বারণ করেছেন মেসি!

স্পেনের সঙ্গে ৬-১-এ হারার পর দলে এমনকি কোচিং স্টাফদের ওপরও প্রভাব বিস্তার করেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। ইতালি ও ফ্রান্সের ম্যাচ সামনে রেখে ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে অনুশীলন করে আর্জেন্টিনা। সে সময় কোচ সাম্পাওলির সহকারী একজন কোচ সেবাস্তিয়ান ব্যাচ্চাচেচে মেসিকে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। মেসির অনুশীলনে করা ভুল শোধরানোর পরামর্শ দিচ্ছিলেন ব্যাচ্চাচেচে। বিষয়টি পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির খুব একটা ভালো লাগেনি। কোচ সাম্পাওলিকে জানান, তাঁর সঙ্গে যেন এমন কিছু আর না হয়।

শুধু তা-ই নয়, গত মৌসুমে রোমা আর পিএসজির হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ফাসিও আর সেলসোকে একাদশে রাখতে কোচকে নিষেধ করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। অনুশীলনে নাকি ‘ফুটবল টেনিসে’ সেলসো হারিয়ে দিয়েছিলেন মেসিকে। আর্জেন্টিনার একটি গণমাধ্যম দাবি তুলেছে, বিব্রত হওয়ার বিষয়টি ভুলতে পারেননি অধিনায়ক।

শেষ ষোলোতে ফ্রান্সের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে ফাসিও নেমেছিলেন মাঠে। সেলসোর কপালে বিশ্বকাপের এক মিনিটও জোটেনি। এবারের বিশ্বকাপে মাউরো ইকার্দির আর্জেন্টিনা দলে না থাকার পেছনে মেসির দিকেই ইঙ্গিত তোলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছিল, মেসির সঙ্গে বন্ধুত্ব ততটা গাঢ় না হওয়ায় দলে জায়গা হয়নি ইন্টার মিলানের এই স্ট্রাইকারের।

সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হতে হয়েছে পাওলো দিবালাকে। মেসির আর দিবালার খেলার ধরন একই হওয়ায় একাদশে জায়গা হয়নি তাঁর। আর্জেন্টিনা গণমাধ্যমের কথা যদি সত্যি হয়, দলকে ডোবাতে কোচ সাম্পাওলির সঙ্গে মেসির অবদানও কম নয়, এমনটা তো ভাবা যেতেই পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest