সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

স. ম আলাউদ্দীন এর মৃত্যুবার্ষিকীতে ভোমরা সিএন্ডএফ’র দোয়া

ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহীদ স. ম আলাউদ্দীন এর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বাদ আছর ভোমরা স্থলবন্দর বায়তুর নুর জামে মস্জিদ প্রাঙ্গণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (নাসিম), অর্থ সম্পাদক এ.এস.এম মাকছুদ খান এবং কাস্টমস্ বিষয়ক সম্পাদক জি.এম আমির হামজা। দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ আবুবক্কর সিদ্দিক, পেশ ইমাম, ভোমরা স্থলবন্দর বায়তুর নুর জামে মসজিদ। উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে ভোমরা স্থলবন্দরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহীদ স. ম আলাউদ্দীন সাহেবের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং ভোমরা স্থলবন্দরের সার্বিক মঙ্গল কামনা করে দোয়া করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সজিব সভাপতি, সম্পাদক চন্দন, সাংগঠনিক রায়হান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাতক্ষীরা জেলা শাখার কমিটি অনুমোদন দেওয়ার হয়েছে। গত ১৩ জুন ২০১৮ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি মামুনুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকরামুল হাসানের যৌথ স্বাক্ষরিত এক পত্রে উক্ত কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন, সভাপতি শেখ রফিকুজ্জামান সজিব, সিনিয়র সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল মোরশেদ মিলন, সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আবু জাফর, আব্দুর রহমান বাবু, জুলফিকার সিদ্দিকি, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন, যুগ্ম সম্পাদক মির্জা মোঃ রাশেদুজ্জামান রনি, যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান সিটি কলেজ, খালিদ হোসেন সুমন, আলমগীর হোসেন, আজহারুল ইসলাম, আফরাহিম সিদ্দিক কমল, আসিফ ইকবাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান।
নবগঠিত কমিটির সভাপতি শেখ রফিকুজ্জামান সজিব পূর্বের কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও সদর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেডিকেল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার ঈদ পুনর্মিলনী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মেডিকেল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ চত্বরে অনুষ্ঠিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রণজিৎ হালদার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বাচিপের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: মেহেদী নেওয়াজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা বিএম’র সভাপতি ডা: আজিজুর রহমান, স্বাচিপ সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা: মনোয়ার হোসেন, সাতক্ষীরা বিএম’র সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: শামসুর রহমান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা: হরষিৎ চক্রবর্তী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সৌমিত্র বৈরাগীকে সভাপতি এবং হুমায়ন কবিরকে সাধারণ সম্পাদক করে মেডিকেল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার কমিটি ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য বিগত ১৩ অক্টোবর২০১৬ তারিখে রণজিৎ হালদারকে আহবায়ক ও বি এম আসাদুজ্জামান নুরকে সদস্য সচীব করে কমিটি গঠন করার মাধ্যমে উক্ত সংগঠনের পথচলা শুরু হয়। অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুদকের মামলায় থানার ওসি কারাগারে

দেশের খবর: সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ থানার ওসি আলতাফ হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। জামিলা আকতার নামে এক নারীর দুদকে করা মামলায় তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত এ নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১-এর বিচারক সফিকুল আলম এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুর রহিম। ওসি আলতাফ হোসেন আগে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন।

তিনি জানান, জমিলা আকতার নামে এক নারীর করা মামলার (মামলা নং ১৫/১৭) নির্ধারিত তারিখ ছিল আজ (১৯ জুন)। ওসি আলতাফ হোসেন আজ হাজির হয়ে জামিন আবদেন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে ২০১৪ সালের ১৮ জুন সকালে ছিন্নি খাইয়ারপাড়ায় মৃত নজির আহম্মদের ছেলে উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারী ফরিদুল আলমকে হত্যা করে তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ডেজি ও ছেলে অহিদুল আলম (রিয়াদ)। এ ঘটনায় নিহতের মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে কুতুবদিয়া থানার ওসি আলতাফ হোসেন এক লাখ টাকা দাবি করেন। ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় ওই বৃদ্ধা এসআই এবিএম কামাল উদ্দিনের মাধ্যমে আলতাফ হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু ওসি আলতাফ হোসেন নুরজাহানের দায়ের করা এজাহারটি আমলে না নিয়ে উল্টো নিহতের ছেলে মোহাম্মদ তৌহিদুল আলমের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে একটি মামলা নেন, যা কুতুবদিয়া থানার মামলা নং ১৫, জিআর নং ৭৫/১৪। ওই মামলায় নিহতের বৃদ্ধ মা নুরজাহান এবং দুই ভাই ইস্কান্দর মির্জা ও মাহবুব আলমকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় তার ছেলে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিল। এ নিয়ে ইস্কান্দর মির্জার স্ত্রী জামিলা আকতার বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে কুতুবদিয়া থানার ওসি আলতাফ ও এসআই এবিএম কামাল উদ্দিনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

এ বিষয়ে দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম বলেন, বাদীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলাটি আমলে নিয়ে দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ ওসি এবং এস আই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অজয় ঘোষ। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওসি আলতাফ হোসেন গ্রেফতারি পরোয়ানা এড়াতে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

তিনি আরও বলেন, ওসি আলতাফ আত্মসমপর্ণের সময় সঙ্গে বাদীকে নিয়ে আসে। বাদী মামলাটি সামাজিকভাবে সুরাহা করা হয়েছে বলে আদালতে লিখিত আবেদন করেছেন। তবে আদালত ওসির জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৬ জুন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইন্দোনেশিয়ায় ফেরি ডুবে নিখোঁজ ১২৮

বিদেশের খবর: ইন্দোনেশিয়ায় ১৪০ আরোহী নিয়ে লেক তোবায় একটি ফেরি ডুবে ১২৮ জন নিখোঁজ রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনায় পর এখন পর্যন্ত একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে ফেরিটি ডুবে যাওয়ার পর উদ্ধারকর্মী তা উদ্ধারে কাজ করছেন। দুর্ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে ঠিক কতোজন বিদেশি রয়েছেন তা প্রাথমিক জানা যায়নি।

প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে মেদান শহরের উদ্ধার অভিযান সংস্থার প্রধান বুদিওয়ান বলেন, সকাল ৭টা নাগাদ আমাদের উদ্ধার টিম ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ডুবে যাওয়াদের উদ্ধারে সময় লাগতে পারে। ডুবে যাওয়া ফেরিতে অনেক মরদেহ থাকতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গরম থেকে বাঁচতে রোজ শসা খান

স্বাস্থ্য সংবাদ: বাংলাদেশেসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে যেভাবে গরম বাড়ছে, তাতে শরীরকে চাঙ্গা এবং রোগমুক্ত রাখতে শসার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের ডায়েটে যদি শসাকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তাহলে শরীরের পানির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে রোগমুক্ত জীবন পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে আরও নানা উপকার পাওয়া যায়।

হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে : নিয়মিত শসা খাওয়া শুরু করলে শরীরে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে হার্টের ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে কোনও ধরনের হার্টের রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। এই কারণেই তো যাদের পরিবারে হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের প্রতিদিনের ডায়েটে শসাকে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ।

খনিজের ঘাটতি দূর হয় : খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই ত্বকের পরিচর্যায় শসাকে কাজে লাগিয়ে থাকেন। শসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম,পটাসিয়াম এবং সিলিকন। এই সবকটি খনিজ শরীরের উন্নতির পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যদি অল্প দিনেই তরতাজা ত্বক পেতে চান, তাহলে আজ থেকেই কাজে লাগানো শুরু করতে পারেন শসাকে।

গরমের সময় দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে : প্রতিদিন গরম যাচ্ছে বেড়ে। এমন অবস্থায় দেহের তাপামাত্রা স্বাভাবিক রাখতে শাসা খাওয়াটা জরুরি। কারণ শসা দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে সানস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ত্বক পুড়ে গেলেও শসা লাগাতে পারেন। কারণ পোড়া ভাব কমাতে শসা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

শরীর বিষমুক্ত হয় : শসার শরীরে উপস্থিত বিপুল পরিমাণ পানি দেহে প্রবেশ করে জমে থাকা টক্সিক উপাদনকে ধুয়ে মুছে বার করে দেয়। ফলে শরীরে বিষের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে কোনও ধরনের রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে।

ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কমে : অতিরিক্ত ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে সকাল-বিকাল শসা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ শসাতে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরে মজুত অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

জলের ঘাটতি মেটে : দেহে পানির মাত্রা স্বাভাবিক থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। না হলে শরীর শুকিয়ে গিয়ে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তো প্রতিদিন শসা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। তাদের মতে শসার শরীরে এত মাত্রায় পানি আছে, প্রায় ৯৬ শতাংশ, যে খুব সহজেই জলের ঘাটতি দূর করে ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা কমানো সম্ভব।

ভিটামিনের ঘাটতি মেটে : শরীরকে সচল রাখতে ভিটামিনের প্রয়োজন পরে। সেই ভিটামিনের যোগান ঠিক রাখতে শাসা খাওয়া মাস্ট! কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি এবং এ থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি এনার্জির ঘাটতি দূর করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায় : শসাতে সিলিকা নামক একটি উপদান রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশ করার পর কেষেদের কর্মক্ষমতাকে বাড়িতে তোলে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি তো পায়েই, সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি পেশী, লিগামেন্ট এবং হাড়ের শক্তিও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে : ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাস্তবিকই এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শসা খাওয়া মাত্র শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস সম্পর্কিত অন্যান্য সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আর্জেন্টিনা একাদশে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে!

খেলার খবর: অন্যতম ফেভারিট দল রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে পা রেখেছে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। কিন্তু শনিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে বিশ্বকাপে নবাগত আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে দর্শক-সমর্থকদের হতাশ করেছেন লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন দলটি। একই সঙ্গে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ এ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি ওই ম্যাচে পেনাল্টি মিস করে হতাশা আরও বাড়িয়েছে। দলের এ বিবর্ণ পারফরমেন্সে দুশ্চিন্তায় পড়েছে আর্জেন্টিনার কোচ হোর্হে সাম্পাওলি। তাই পরবর্তী ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন তিনি।

আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ভিন্ন ভিন্ন ফরমেশনে দলকে খেলিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন চিলির হয়ে কোপা আমেরিকা জয়ী কোচ সাম্পাওলি। তবে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে মাসচেরানোর সঙ্গে লুকাস বিগলিয়াকে খেলানোয় তার রণকৌশল প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

তাই মস্কোর ব্রনিৎসিতে অনুশীলনে ব্যাপক পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেছে। মূল একাদশে ফুলব্যাকসহ তিন ডিফেন্ডার খেলানোর পরিকল্পনা করছে দলটি। ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচে তাই আর্জেন্টাইন কোচের ফরমেশন হতে পারে তার পছন্দের ৩-৪-৩ ফরমেশন।

সেক্ষেত্রে ডি মারিয়া, লুকাস বিগলিয়া, মার্কোস রোহো ও ম্যাক্সি মেজা প্রথম একাদশে জায়গা হারাতে পারেন। আর তা হলে সাম্পাওলির পরবর্তী একাদশে ঢুকবেন ক্রিস্তিয়ান পাভন, মার্কোস আকুনা, গাব্রিয়েল মার্কাদো ও এনজো পেরেজ।

বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ডি মারিয়ার বিবর্ণ পারফম্যান্স উল্টোদিকে বদলি হিসেবে নেমে ক্রিস্তিয়ান পাভনের উজ্জ্বল পারফরম্যান্স সাম্পাওলিকে নতুন চিন্তার খোড়াক জুগিয়েছে। পাভনের গতি, বল নিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে কোনাকুনি ঢুকে পড়ার দক্ষতা আক্রমণভাগে লিওনেল মেসি ও সার্জিও আগুয়েরোর সঙ্গে কার্যকরী অস্ত্র হিসেবে কাজে দেবে বলেই ভাবছেন সাম্পাওলি। এছাড়া একাদশে জায়গা হারাতে পারেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডিফেন্ডার মার্কোস রোহো।

অন্যদিকে, এদুয়ার্দো সালভিও একাদশে জায়গা ধরে রাখলেও পরবর্তী ম্যাচে রাইটব্যাক নয় তিনি তার নিজের জায়গা সেন্ট্রাল মিডফিল্ডের ডানপাশে খেলবেন। আর সেন্ট্রাল মিডফিল্ডের বাঁপাশে খেলবেন মার্কোস আকুনা, আগেও সাম্পাওলি এই জায়াগাতেই খেলিয়েছেন আকুনাকে।

তবে মিডফিল্ডে মাসচেরানোর সঙ্গী হিসেবে প্রথম ম্যাচে লুকাস বিগলিয়া সবাইকে হতাশ করেছেন। মাঝ মাঠ থেকে দ্রুত বল বাড়ানোয় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। জিওভান্নি লো সেলসো অথবা এভার বানেগাই এই পজিশনের যোগ্য দাবিদার। কিন্তু সাম্পাওলি এনজো পেরেজ ও ম্যাক্সি মেজাকেই অনুশীলনে যাচাই করেছেন। এ দুজনের মধ্যে পার্থক্য হলো পেরেজ আদর্শ বক্স-টু-বক্স খেলোয়াড়, অন্যদিকে মাঝমাঠের ডান প্রান্ত দিয়ে মেসির সঙ্গে আক্রমণ শানাতে দক্ষ। যাকেই খেলানো হোক ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে কঠিন এক পরীক্ষাই দিতে হবে আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডকে।

আগামী বৃহস্পতিবার ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাড়ছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা, পিতার স্বপ্ন চাপা ড়েছে বাসের চাকায়!

দেশের খবর: রাজীবের বায়না এই ঈদেই তাকে নতুন বাইক কিনে দিতে হবে। এ নিয়ে রোজার শুরু থেকেই আবদার শুরু করে দিয়েছে সে। মধ্যবিত্ত পরিবার। সেকান্দার সাহেবের ছেলের আবদার পূরণের সামর্থ্য নেই কিন্তু ছেলে নাছোড়বান্দা। বাসায় শুরু করে দিয়েছে উৎপাত। ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সবকিছুই নষ্ট করতে শুরু করে দিয়েছে।

সর্বশেষ রাজীব হাতিয়ার হিসেবে নিজের জীবনটাকেই বেছে নেয়। পিতা-মাতাকে সোজা সাপটা জানিয়ে দিয়েছে ঈদের আগে মোটরসাইকেল কিনে না দিলে আত্মহত্যা করবে সে।

ছেলের এমন পাগলামি মা-বাবা সহ্য করতে না পেরে ধার দেনা করে ঈদের দুইদিন আগে কিনে দেয়া হল ছেলের শখের মোটরসাইকেল। রাজীবের আনন্দ জেন আর শেষ হয় না। বন্ধুদের নিয়ে ঈদের দিন ঘুরে বেরাচ্ছে লোকাল এরিয়া ছেড়ে হাইওয়েতে। রাস্তা ফাঁকা পেয়ে আবেগকে ধরে রাখতে পারেনি। টপ স্প্রিডে ছুটে চলছে ওদের মোটরসাইকেল। শুধু রাজীব নয় ওর সাথে আছে আরো এক ঝাঁক তরুণ যাদের বয়স ১৫ থেকে ১৮ বা ২০ হবে। দল বেঁধে ফাঁকা রাস্তায় রেস দিচ্ছে। মাথায় নেই কোন হেলমেট। হেলমেট পরলে নাকি মানুষ হাসাহাসি করে। এজন্য লজ্জায় হেলমেট পরেনি তারা।

ঈদের দিনটাই যে রাজীবের জীবনের শেষ দিন তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কেউ। রাস্তায় বিপরীত দিক থেকে আসা বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চাপাঁ পরে যায় পৃথিবীর সব আশা আকাঙ্খা ও চাওয়া-পাওয়া।

বিভৎস সেই দৃশ্য। মাথার মগজটা ঠিক ডান দিক থেকেই ফেটে বের হয়ে গেছে বা পায়ের হাটু থেকে নিচ পর্যন্ত নেই। বাইকের পিছনে যে ছিল তার অবস্থা আরো ভয়াবহ। বাসের চাকার নিচে পড়েছিল সে। শরীরে নিচের অংশটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

রাজিবের বাবার একমাত্র ছেলে ছিল সে। মোটরসাইকে দুর্ঘটনায় প্রাণ নিল একমাত্র ছেলের। বাবার স্বপ্নগুলো চাপা পড়ে রইলো বাসের চাকায়।

উপরে ঘটনা কাল্পনিকভাবে উপস্থাপন করলেও বাস্তবতার সাথে তফাৎ খুজেঁ পাওয়া যাবে না। বর্তমান তরুণ সমাজের একরোখা স্বভাব, একাদ্রতা সব প্রজন্মকে ছাড়িয়ে গেছে। এরা যেমন মেধাবী তেমনি অন্য অংশেও প্রচন্ড এ্যাডভান্স, হিংসাত্মক মনোভাবে জড়িত।

প্রতি বছরই ঈদের আগে এবং ঈদের দিনসহ কয়েকদিন প্রচুর পরিমানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এবারের ঈদের আগেরদিন ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিন মিলিয়ে প্রায় ৫০টির উপরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয়েছে অনন্ত ২০ জনের মত (বিভিন্ন অনলাইনের দুর্ঘটনার নিউজ এর ভিত্তিতে অনুমান নির্ভর)।

এবারের মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যাটা অন্যান্য বারের চেয়ে একটু বেশিই মনে হচ্ছে। এবারে চলুন জেনে নেই মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনার হার বেশি হবার কারণ কি ?

গতি:

প্রথমই যে বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে ধরা যায় তা হলো ওভার স্প্রিড বা দ্রুত গতিতে চালানোর প্রবনতা। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণও এটি।

অদক্ষ চালক:

দুর্ঘটনায়পতিত বেশিরভাগই উঠতি বয়সী তরুণ। তাদের বয়স ১৫ থেকে ১৮ এর মধ্যে। মোটরসাইকেল চালানোর দক্ষতা ভালভাবে রপ্ত না করেই অদক্ষতার সাথে মোটরসাইকেল পরিচালনা করে। ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

হিংসাত্মক মনোভাব:

উঠতি বয়সি ছেলেদের মধ্যে সবসময় একটি হিংসাত্মক মনোভাব তৈরি হয়ে থাকে সর্বোচ্চ গতি তৈরিতে। বন্ধুদের প্ররোচণায় হোক আর নিজের মধ্য থেকে হোক সবার উপরে স্প্রিড উঠানোটাকে একটি ঐতিহ্য মনে করে।

হেলমেট ব্যবহার না করা:

বেশিরভাগ দুর্ঘটনায় পরা তরুণদের মাথায় হেলমেট ছিল না। কয়েকজন তরুণের সাথে এ বিষয় কথা বললে তারা বলে হেলমেট পড়লে সবাই তাকিয়ে থাকে যা তাদের লজ্জায় ফেলে দেয়। এজন্য তারা হেলমেট ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না।

পারিবারিক মূল্যবোধ:

সমাজ গঠনে পারিবারিক মূল্যবোধ যেমন অপরিহার্য ভূমিকা রাখে তেমনি সন্তাকদে সঠিকভাবে পরিচালনার দায়িত্বও পরিবারের। পরিবার থেকে সন্তানকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা।

প্রতিযোগীতামূলক মনোভাব:

রাস্তায় মোটরসাইকেল চালানো অবস্থায় তরুণদের মাথায় একটি প্রতিযোগীতামূলক মনোভাব তৈরি হয়। যা তাকে স্প্রীডে চালাতে উদ্ভুদ্ধ করে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

করণীয়:

পরিবারের করণীয়: এরকম অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা রোধে প্রথম যাদের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন তা হলো পরিবার। পরিবার থেকে সন্তানকে এমন মানুষিকতা তৈরি করে দিতে হবে যেখানে একটা বিবেকবোধ জাগ্রত থাকে। সন্তাককে বাস্তবতাকে বুঝাতে সহয়তা করতে হবে। সন্তানের আবদার পুরনে সহনীয় হতে হবে। বড় ভাই বা বাবার মোটরসাইকেল সন্তানকে সহজে না দেয়া এবং দিলেও সঠিকভাবে চালানোর নির্দেশনা দেয়া।

রাষ্ট্রের করণীয়: বাইক কেনা থেকে শুরু করে চালানো পর্যন্ত কোন অবস্থাতেই যেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক কারো কাছে না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। রাস্তায় চেক পোষ্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। হেলমেট পরে বাইক চালাতে আরো ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা। কোন অবস্থাতেই যাতে অদক্ষ কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স না পায় না নিশ্চিত করা।

এক একটি তরুণ, এক একটি স্বপ্ন। যে স্বপ্নের সাথে জড়িয়ে থাকে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র। একটি সামান্য ভুলে অতল গহীনে হাড়িয়ে যেতে পারে এই স্বপ্নটি। স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের যে যার জায়গা থেকে যা করণীয় সেটাই করা উচিত। দিন শেষে তরুণদের ভাবাতে হবে তারও একটা পরিবার আছে। দিন শেষে তারা তার জন্য অপেক্ষা করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest