সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

যশোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত

যশোর প্রতিবেদক: যশোরের অভয়নগর উপজেলায় দু’দল ‘মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে’ শহিদুল ইসলাম (৩০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার ভোররাতে উপজেলার চেঙ্গুটিয়া এলাকার কসমস টেক্সটাইলের সামনে থেকে শহিদুলের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে দাবি পুলিশের।

নিহত শহিদুল উপজেলার নওয়াপাড়া বউবাজারের বাসিন্দা।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া দাবি করেন, রাতে চেঙ্গুটিয়া এলাকার দুদল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আজ ভোররাতে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, দুটি গুলি ও ১২০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। পুলিশ আরো জানায়, শহিদুলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে চায় কানাডার জনগণ

বিদেশের খবর: মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনের মুখে উদ্বাস্তু হয়ে পড়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের কানাডায় আশ্রয় দিতে চায় দেশটির জনগণ।

৬২ শতাংশ কানাডীয় বলেছেন, কানাডায় রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেয়া হলে তারা বিষয়টি স্বাগত জানাবেন।

কানাডীয় টিভি চ্যানেল সিটিভির পক্ষ থেকে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ন্যানোস রিসার্চ’ পরিচালিত জনমত জরিপে নাগরিকদের এ সমর্থনের বিষয়টি ওঠে আসে।

প্রসঙ্গত গত বছরের আগস্টের শেষের দিকে কথিত সন্ত্রাস দমনের কথা বলে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনার জাতিগত নিধন অভিযান শুরু হয়।

এ অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে থাকে রোহিঙ্গারা। এর পর গত ১১ মাসে অন্তত সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম।

মিয়ানমার সরকার এসব রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতায় উপনীত হলেও প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এর মধ্যে এবার আগভাগেই টানা বর্ষণ শুরু হওয়ায় বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিশাল এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। প্রতিদিনই ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভিক্ষুকরা আসছে ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্পে

দেশের খবর: ৬০ লাখ পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে দেশব্যাপী চলছে ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্প। নতুন করে প্রকল্পের আওতায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন কাজ অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় একসঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি ভিক্ষুক পুনর্বাসন কাজ করা হবে।

ফলে প্রকল্পের চতুর্থ সংশোধন আনা হবে। দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে এই প্রকল্পের আওতায় ঋণ দেওয়া হবে। এছাড়া ভিক্ষুকদের ক্ষুদ্র ব্যবসা, গরু-ছাগল কেনাসহ আয়বর্ধক কাজে ঋণ দেবে সরকার।

ইতোমধ্যে পাইলট প্রকল্প হিসেবে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে ভিক্ষুকমুক্ত হয়েছে উপজেলাটি। ২০১৪ সালের ৫ জুলাই ‘ভিক্ষুকমুক্ত কিশোরগঞ্জ উপজেলা’ নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়, যার দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্দিকুর রহমান।

এই উপজেলায় ৯৫১ জন ভিক্ষুককে চিহ্নিত করে মোট ১২টি সমিতিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় স্থায়ী তহবিল গড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে উপজেলা প্রশাসন প্রত্যেকটি ভিক্ষুকের জন্য ৪ হাজার ৬শ’ টাকার ফান্ড সংগ্রহ করে। এর সমপরিমাণ টাকা বোনাস হিসেবে ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্প থেকে দেওয়া হয় প্রত্যেক ভিক্ষুককে। ১২টি সমিতিতে ৩৬ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয় প্রকল্প থেকে। ঋণ গ্রহীতাদের ৮ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করতে হবে।

এখন কিশোরগঞ্জ উপজেলা ভিক্ষুকমুক্ত। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে এখন কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষি ও পশুপালনে ব্যস্ত। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সারাদেশে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সরকার। দারিদ্র্যতার পাশাপাশি দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে চায় সরকার।

ভিক্ষুকদের প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করতে আবারও সংশোধন আনা হবে। এই বিষয়ে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। সারাদেশের ভিক্ষুকদের প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি অতি দরিদ্রপ্রবণ এলাকায় প্রকল্পের কাজের পরিধি আরও বিস্তার করা হবে। তবে প্রকল্পের সময় ও ব্যয় কত বাড়বে সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিন্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক নজির আহমদ বলেন, দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে। এই লক্ষ্যে প্রকল্পটি আবারও সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা পাইলট প্রকল্পটি হিসেবে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে পেরেছি। এরই আলোকে সারাদেশের সব ভিক্ষুককে প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে দারিদ্র্যের হার এক নয়।
ফলে যেখানে দারিদ্র্য বেশি ওইসব এলাকায় প্রকল্পের কাজ আরও প্রসারিত করা হবে। বিশেষ করে নদীভাঙন, পাহাড়ি, উত্তরবঙ্গ এলাকায় প্রকল্পের কার্যক্রম বাড়নো হবে।

প্রকল্পটি গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, তৃণমূলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করা, তাদের সঞ্চয়ে উৎসাহ দেওয়া, সদস্য সঞ্চয়ের বিপরীতে সমপরিমাণ অর্থবোনাস দেওয়া, সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। এছাড়া রয়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য পুঁজি গঠনে সহায়তা করা ও আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করাসহ বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা।

এসব উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ‘একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্প’ হাতে নেয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১ সালে প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে প্রকল্পটি ফের চালু করা হয়। বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় ৪৮৫টি উপজেলায় ৪৫০৩টি ইউনিয়নের ৪০ হাজার ৫২৭টি ওয়ার্ডে প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে।

ওয়ার্ডগুলোর অধীনে প্রতিটি গ্রামে ৬০টি গরিব পরিবারের সমন্বয়ে একটি গ্রাম-উন্নয়ন সমিতি গঠন করে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২৫ লাখ দরিদ্র পরিবার এ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রকল্পের আওতায় সরকার ৩ হাজার ১৩২ কোটি টাকা ব্যয় করছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ১০ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রকল্পের আওতায় ঋণ দিয়ে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত ৩৫ লাখ ৫৮ হাজার পরিবারকে স্বাবলম্বী করা হয়েছে। প্রকল্পের মোট অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ। এসব পরিবারের মূলধন এখন ৪ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। যেখানে সরকার মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। একজন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা ঋণ পাবেন। একবার পরিশোধ করে পুনরায় ঋণ নিতে পারবেন।

প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আকবর হোসেন বলেন, প্রকল্পের আওতায় ঋণ নিয়ে প্রতি মাসে স্বাবলম্বী পরিবারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দরিদ্রতা নিরসনে সারাদেশে প্রকল্পের কার্যক্রম সফলভাবে চলছে। আরও অধিক মানুষের দরিদ্রতা নিরসনে প্রকল্পটি সংশোধন করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেসির মতোই ব্যর্থ নেইমার, হতাশার ড্র ব্রাজিলের

খেলার খবর: রাশিয়া বিশ্বকাপে অঘটনের তালিকা আরো দীর্ঘ হল ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে রুখে দিল সুইজারল্যান্ড। প্রথমার্ধে কুটিনহোর গোলে এগিয়ে গিয়েও নেইমাররা ১-১ গোলে ড্র করে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে।

এর আগে ড্র হয়েছে আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ডের ম্যাচও।

‘ডি’ গ্রুপে আইসল্যান্ডের কাছে আর্জেন্টিনার আটকে যাওয়া ও ‘এফ’ গ্রুপে মেক্সিকোর কাছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানির হার কার্যত রাশিয়া বিশ্বকাপের শুরুতেই অঘটন হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।

প্রথমার্ধে কৌতিনহোর গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ২০ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সের বাহির থেকে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান। তবে বিরতি থেকে ফিরে এসে ৫০ মিনিটের মাথায় সুইসদের সমতায় ফেরান স্টভেন জুভের।

বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১২টায় রস্তব অন-ডন এরেনায় শুরু হয় ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড ম্যাচ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাস-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১২

দেশের খবর: নীলফামারীর সৈয়দপুরের বাইপাস সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও পিকাআপের মুখোমুেখি সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১০জন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ও আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আজ রবিবার (১৭ জুন) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পিকআপ ভ্যানটি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার স্বপ্নপুরীতে পিকনিক শেষে নীলফামারী ফিরছিলো। এসময় দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী একটি নাইট কোচ পিকআপ ভ্যানকে ধাক্কা দিলে এটি উল্টে যায়। এতে পিকাআপ ভ্যানে থাকা আট জন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার আরও চারজন মারা যায়।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাজাহান পাশা দুর্ঘটনার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোস্টারিকাকে হারাল সার্বিয়া

খেলার খবর: গোলের একাধিক সুযোগ নষ্ট করলেও রাশিয়া বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে সার্বিয়া। অধিনায়ক আলেক্সান্দার কোলারভের গোলে কোস্টারিকাকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে দুই বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো জয় পেল দলটি।

২০০৬ ও ২০১০ বিশ্বকাপ সার্বিয়া শুরু করেছিল ১-০ গোলে হেরে। ২০১৪ সালে বাছাই পেরুতে ব্যর্থ হওয়া দলটি সামারা অ্যারোনায় রবিবার কোস্টারিকার সঙ্গে প্রথম দেখায় জয়ের স্বাদও নিয়েছে।

গোলশূন্য প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণে কোস্টা রিকার ওপর আধিপত্য করে সার্বিয়া। গনসালেস ফাঁকায় থেকেও লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডে কোস্টা রিকাকে হতাশ করার পর চতুর্দশ মিনিটে সার্বিয়ার আলেক্সান্দার মিত্রোভিচের শট এক খেলোয়াড়ে গায়ে লেগে কিছুটা দিক পাল্টালেও কেইলর নাভাসের গ্লাভসে জমে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের দারুণ সুযোগ নষ্ট হয় সার্বিয়ার। মিলিনকোভিচ-সেভিচের লব থেকে পাওয়া বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নাভাসের গায়ে মারেন মিত্রোভিচ।

৫৬তম মিনিটে আর হতাশ হতে হয়নি সার্বিয়াকে। ২৫ গজ দূর থেকে এএস রোমার ডিফেন্ডার কোলারভের দুর্দান্ত বাঁকানো ফ্রি কিক কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে পায়। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা নাভাসও বলের নাগাল পাননি।

৭৬তম মিনিটে মিলিনকোভিচ-সেভিচের বাড়ানো ক্রস নাভাস ঝাঁপিয়ে পড়ে গ্লাভস ছোঁয়াতে ব্যর্থ হওয়ার পর বল যায় মিত্রোভিচের পায়ে। কিন্তু ফুলহ্যামের এই ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ফাঁকা জালে বল ঠেলতে পারেননি। শেষ দিকে মিত্রোভিচ তালগোল পাকিয়ে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন।

সমতায় ফেরা গোলের জন্য শেষ দিকে মরিয়া হয়ে ওঠে কোস্টা রিকা। কিন্তু উরুগুয়েকে ৩-১ গোলে হারিয়ে গত বিশ্বকাপ শুরু করা দলটি এবার শুরুতে চমক দেখাতে পারল না।

আগামী শুক্রবার ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে সার্বিয়া। একই দিন মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-কোস্টারিকা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সালমান খানের বাজিমাত

খেলার খবর: বক্স অফিসে সালমান খানের পা রাখা মানে চোখ বন্ধ করে কালেকশন ৩০০ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়া৷ নিন্দুকরা যতই খারাপ রিভিউ দিক না, এসবের ধার ধারেন না ভাইজান৷ তার ছবি কম ব্যবসা করবে এ তো দুঃস্বপ্নেও কেউ কখনও ভাবে না৷

ভাববেই বা কীকরে? প্রথমদিনেই যে জাদু তার ছবি দেখায় তা অন্য কোনও ছবির পক্ষে বেশ কঠিন৷ এবারেও তার অনথ্য হল না৷ শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ‘রেস থ্রি’৷ প্রথম দিনেই বক্স অফিসের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গুড়িয়ে দিল ‘রেস থ্রি’৷ মুক্তির প্রথমদিন ব্যবসা করলেন ২৯.১৭ কোটি৷

দর্শক অবশ্য জানতেন যে, সালমান খান যে ছবিতে হাত দেবেন সেটাই ৩০০ কোটি পার করে যায়৷ তবুও ফ্যানদের উন্মাদনা তুঙ্গে৷ ‘রেস থ্রি’র বক্স অফিসের সব রেকর্ড ভাঙার পেছনে যে সলমনের ভক্তরাই দায়ি তা বলাই বাহুল্য৷ এ বছরের হাইয়েস্ট ওপেনিং ফিল্ম ছিল ‘বাঘি টু’৷ ২৫.১০ কোটি ব্যবসা করে এতদিন সেরার সেরার শিরোপা ‘বাঘি টু’রই ছিল৷ তবে সেই ১৫ জুন আসতেই শিরোপা গিয়ে উঠল ‘রেস থ্রি’র মাথায়৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গোল করলেই ‘বিবস্ত্র’ হবেন সুপার মডেল!

খেলার খবর: একজন নয়, দু’জন নয়! গোটা পেরু জাতীয় ফুটবল দলেরই ‘গার্লফ্রেন্ড’ উনি! বিশ্ব ফুটবলে পেরু হয়তো এখনও কোনও সম্ভ্রম জাগানো নাম নয়। তবে এই বান্ধবীর সৌজন্যেই আলোচনায় গোটা পেরু দল। কে এই বুক কাঁপানো সুন্দরী? খোলসা করে বলাই যাক। তিনি নিশু কাউটি।

অনেক সুন্দরীই আলোচনায় আসেন তাদের প্রতিশ্রুতির জন্য। গত ব্রাজিল বিশ্বকাপে ডাচ পর্নস্টার যেমন বলে দিয়েছিলেন, দেশ বিশ্বকাপ জিতলে টপলেস হবেন। তবে এখানে স্বতন্ত্র নিশু। তিনি বলে দিয়েছেন, কাপ জিততে হবে না। প্রতিবার তার দল গোল করলেই নিজের বক্ষ উন্মোচন করবেন।

পেরু খেলতে নামলেই ক্যামেরা তাক করে সুপার মডেলের প্রতি। তবে শনিবার পেরু বনাম ডেনমার্ক ম্যাচে হতাশ হতে হয়েছে তাকে। এবং বাকি পেরু ভক্তদেরও। কারণ, ডেনমার্কের কাছে ০-১ গোলে হেরে গেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি।

তবে এখনই আশা ছাড়ছেন না নিশু। তিনি বলে দিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার ফ্রান্স এবং মঙ্গলবারে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও তিনি নিজের দেশের ফুটবলারদের উদ্দীপ্ত করতে হাজির থাকবেন গ্যালারিতে। এর আগে বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ম্যাচের পর নিজের বিবস্ত্র ছবি পোস্ট করেছিলেন। পেরুর বিখ্যাত ক্রীড়া ম্যাগাজিন লা টেন-এর প্রচ্ছদেও তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন।

তবে নিশুর সবচেয়ে বিখ্যাত কীর্তি ঘটেছিল দু’বছর আগে। তিনি বলে দিয়েছিলেন, লুইস সুয়ারেজের উরুগুয়ে যদি পেরুকে হারাতে পারে, তাহলে তিনি প্রকাশ্যেই বিবস্ত্র হয়ে উরুগুয়ের জার্সি পড়বেন। সেই ম্যাচেই এডিনসন কাভানি একমাত্র গোলে হারিয়েছিল পেরুকে। নিজের প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন তিনি।

যাই হোক, আপাতত পেরু ভক্তরা অপেক্ষা করছেন তাদের দেশের ফুটবলারদের সাফল্যের জন্য। কারণ, তারা গোল করলেই যে ‘কেল্লাফতে’!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest