সর্বশেষ সংবাদ-
“নানা রঙের রবীন্দ্রনাথ” বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীত অনুষ্ঠিতসাতক্ষীরায় ভূমি কর্মকর্তা তপন কর্তৃক না মেনে প্রাচীর নির্মান বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনসাংবাদিক জুলফিকারের পিতা রাহাতুল্লাহ সরদারের সুস্থতা কামনাপ্রতিপক্ষ প্রার্থী কর্তৃক হুমকি ধামকির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদের সংবাদ সম্মেলনফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের অবস্থান কর্মসূচিসাতক্ষীরায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগসাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণ

ঔষধি গুনে ভরা ঘৃতকুমারী!

শরীরে নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিতে আর অসুখ-বিসুখ সারিয়ে তুলতে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী অতুলনীয়। এই উদ্ভিদ খাদ্য-পানীয় হিসেবে যেমন কার্যকর তেমনি তা বাহ্যিকভাবেও ব্যবহারযোগ্য। ঘৃতকুমারীর রস পান, সালাদ হিসেবে খেয়ে অথবা ত্বক ও চুলে ব্যবহার করে আপনিও দারুণ উপকৃত হতে পারেন।

প্রদাহ ও ব্যথা কমায়: শরীরে নানা ধরনের প্রদাহ দূর করতে খুবই কার্যকর ঘৃতকুমারী। এতে বি-সিসটারোলসহ এমন ১২টি উপাদান আছে যা প্রদাহ তৈরি হওয়া ঠেকায় এবং প্রদাহ হয়ে গেলে তা কমিয়ে আনে। ঘৃতকুমারীর এই সব গুণ হাত-পায়ের জোড়ার জড়তা দূর করে এবং গিঁটের ব্যথা কমাতেও সহায়তা করে।

ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে: আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এমন কিছু উপাদান থাকে যা দেহে ক্লান্তি ও শ্রান্তি আনে। কিন্তু নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস সেবন শরীরের শক্তি যোগায় এবং ওজনকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

ত্বকের যত্নে: ঘৃতকুমারী পাতার রস বিষাক্ত উপাদানের প্রতি বিশেষ ভুমিকা পালন করতে পারে। এ জন্য চেহারা মেচেতার ওপর কিছু ঘৃতকুমারী পাতার রস রেখে দেয়, চেহারার ত্বক নরম হবে এবং কিছু ক্ষতচিহ্ন দেখা যায় না। যদি আপনার মুখের মেচেতা খুব গুরুতর হয় তাহলে ঘৃতকুমারী পাতার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন দু‘বার খান। প্রত্যেকবার ১০ মিলিলিটার, কার্যকরভাবে মেচেতা প্রতিরোধ করা যায়।

শরীরের দূষিত পদার্থ দূর করে: দেহ হতে ক্ষতিকর পদার্থ অপসারণে ঘৃতকুমারীর রস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে। এছাড়া চারপাশের দূষিত পরিবেশ এবং বিভিন্ন ফাস্টফুড গ্রহণের কারণে নিয়মিত পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার করা দরকার। ঘৃতকুমারীর রস সেবনের ফলে শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের মিশ্রণ ও খনিজ পদার্থ তৈরি হয় যা আমাদেরকে চাপমুক্ত রাখতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

হজমে সহায়ক: হজমের সমস্যা থেকেই শরীরে অনেক রোগ বাসা বাঁধে। তাই সুস্বাস্থ্যের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে খাবার-দাবার পরিপাক বা হজমের প্রক্রিয়াটি ঠিকঠাক রাখা। পরিপাক যন্ত্রকে পরিষ্কার করে হজম শক্তি বাড়াতে ঘৃতকুমারী অত্যন্ত কার্যকর। ঘৃতকুমারীর রস পান করার দারুণ ব্যাপার হলো এটা কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়ারিয়া দুই ক্ষেত্রেই কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১৭ জনের দেশত্যাগে দুদকের নিষেধাজ্ঞা

দি ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ও তার স্ত্রীসহ ১৭ জনের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। তিনি জানান, দুদকের কার্যালয় থেকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে এই নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এ চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বর্তমান এমডি একেএম শামীমসহ ১৭ জনের বিদেশযাত্রা নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে।

২০১৩ সালের ৩ জুন চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে ফারমার্স ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ব্যাংকটির শাখার সংখ্যা ৫৬ ও এটিএম বুথ রয়েছে ১১টি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটি মোট ঋণ বিতরণ করেছে ৪ হাজার ৪১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে গত বছর এই ব্যাংক থেকে দেওয়া ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফারমার্স ব্যাংকের মোট আমানত সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। যা ২০১৫ সালে ছিল ৩ হাজার ৪৮২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

সম্প্রতি ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের পদ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হক চিশতি। গত ১৯ ডিসেম্বর ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীমকেও অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলাদেশে প্রতিমাসে গড়ে ৫৫টি শিশু ধর্ষণের শিকার

বাংলাদেশে শিশু ধর্ষণ বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত প্রতিমাসে গড়ে ৫৫ জনের বেশি শিশু এমন পৈশাচিক বর্বরতার শিকার হচ্ছে। অর্থাৎ, এই তিন মাসের হিসেবে অনুযায়ী দেশে প্রতিদিন প্রায় দুটো শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষণের মতো অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে শিশুরা।

এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ)। তাতে বলা হয়, ওই তিন মাসে মোট ১৭৬টি শিশু ধর্ষিত হয়েছে। জানুয়ারি ও ফ্রেব্রুয়ারিতে ৫৫টি করে এবং মার্চে ৬৬টি শিশুকে ধর্ষণ করা হয়। অর্থাৎ, মাসে গড়ে ৫৫টির বেশি শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সেখানেই শেষ নয়, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৫ জনকে। এই পরিসংখ্যান অতীতের যেকোনো রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। ধর্ষিত ১৭৬ জন শিশুর মধ্যে এক থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ১৫ জন, ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী ৩৭ জন এবং ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে রয়েছে ৫৭ জন। এ ছাড়াও ৬৭ জন শিশুর বয়স কোনো সংবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়নি।

২৬৯টি বেসরকারি সংস্থার প্ল্যাটফর্ম বিএসএএফ। তারা মোট ১৫টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত শিশু অধিকার লঙ্ঘন বিষয়ক সংবাদ পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য প্রকাশ করে। সেখানে আরো বলা হয়, গত বছর ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ১৪৫ শিশু। প্রথম তিন মাসে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেনি। তবে গত বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় চলতি বছর গণধর্ষণ এবং প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ কমেছে যথাক্রমে ৫৫ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুরা বেশি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই মূলত দরিদ্র এবং শ্রমজীবী বাবা-মায়ের সন্তান।

সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা জেলায়। ঢাকায় ২৫টি, চট্টগ্রামে এবং নারায়ণগঞ্জে ৯টি করে, খুলনায় ৬টি এবং যশোর ও সিলেটে ৫টি করে। ২০১৭ সালের হিসেবেও ঢাকা সবার আগে। এখানে ৬৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া গাজীপুরে ২৮টি এবং নারায়ণগঞ্জ ২৪টি। ধর্ষণে কম বয়সীদের জড়িয়ে পড়ার ঘটনাও আশঙ্কাজনক। পত্রিকায় পাওয়া তথ্যে ধর্ষকদের বয়স পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১৮ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে, ৫৬ জনের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ২০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে এবং ১১ জনের বয়স ৪৫ বছরের বেশি।

শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আবদুস সহিদ মাহমুদ জানান, বাংলাদেশে শিশু নিরাপত্তার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। ধর্ষণসহ বিভিন্ন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলছে। আর তা দিন দিন বাড়ছে। বেশির ভাগ ঘটনায়  বিচারের দীর্ঘসূত্রতা এবং বিচার হলেও রায় কার্যকর না হওয়া বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতি তো এত খারাপ হওয়ার কথা নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে কৃষকদের মাঝে সার ও ধানের বীজ বিতরণ

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে খরিপ ১/২০১৮-১৯ মৌসুমে উফশী আউশ ও নোকিয়া আউশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষি অফিসের হলরুমে প্রানোদানা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে সার ও বীজ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈন উদ্দিন হাসান। কৃষি কর্মকর্তা শেখ ফজলুল হক মনির সভাপতিত্বে ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জিএম, শফিউল্লা‘র সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী শাহাবুল আলম, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোজিৎ কুমার মন্ডল, মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক সুকুমার দাশ বাচ্চু, শেখ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। এসময় উফশী আউশ চাষীদের প্রত্যেকে ৫ কেজী আউশ বীজ ধান, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি. ১০ কেজি এমওপি সার ও ৫০০ টাকা সেচ সহায়তা প্রদান করা হয়। এবং নোকিয়া আউশ চাষীদের ৫ কেজি নোকিয়া আউশ বীজ ধান, ২০ কেজি ইউরিয়া ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার, ৫০০ টাকা সেচ সহায়তা ও ৫০০ টাকা আগাছা দমন সহায়তা দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলেজ অধ্যক্ষকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর; ভিডিও ভাইরাল

চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ ড. জাহেদ খানকে লাঞ্ছিত করেছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। পরে সেই নেতাই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ আনেননি মারধরের শিকার হওয়া সেই অধ্যক্ষ। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। ফেসবুকে অনেকেই ঘটনার ভিডিও শেয়ার করেছেন।

অভিযুক্ত নুরুল আজিম রনি মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক। ভিডিওতে দেখা যায় তিনি অধ্যক্ষকে মারতে মারতে একটি কক্ষে নিয়ে আসছেন। সেই কক্ষটি অবশ্য অধ্যক্ষের নিজেরই কক্ষ। গত ৩১ মার্চ এ ঘটনা ঘটেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ধাক্কা ও কিল-ঘুষির শিকার হওয়ার পর অধ্যক্ষ নিজ আসনে বসেন। পরে সেই ছাত্রলীগ নেতা তার অনুমতির তোয়াক্কা না করেই তার সামনে রাখা চেয়ার বসে পড়েন এবং আঙুল উঁচিয়ে তাকে শাসাতে থাকেন। এসময় কক্ষটিতে অনেক লোক ও একাধিক পুলিশ সদস্যও হাজির ছিলেন। কিন্তু তারা কেউ অধ্যক্ষকে লাঞ্ছনা থেকে বাঁচাতে কোনো উদ্যোগ নেননি।

ওই ঘটনার জেরে সোমবার চট্টগ্রামরে চকবাজার থানায় কলেজ ‘শিক্ষার্থীদের পক্ষে’ মামলা করেন ছাত্রলীগ নেতা রনি। তিনি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ‘অতিরিক্ত টাকা আদায়ের’ অভিযোগ এনেছেন।

চকবাজার থানার উসি মীর মোহাম্মদ নূরুল হুদা বলেছেন, ছাত্রলীগ নেতা রনি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৮৯ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে সরকারি নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে।

https://www.youtube.com/watch?v=Kc6G3Ai4ZCY

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বক্স অফিসে ক্ষিপ্র গতিতে ছুটছে ‘বাঘি ২’

বলিউডের রীতিমতো ঝড় তুলেছে টাইগার শ্রফ ও দিশা পাটানির রসায়ন। আর এর সাফল্য ও জনপ্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বক্স অফিসে। ক্ষিপ্র গতিতে ছুটছে ‘বাঘি ২’। কর্মব্যস্ত সোমবারেও ছবিটি ভারতজুড়ে আয় করেছে ১২.১০ কোটি রুপি।

গুড ফ্রাইডে’তে মুক্তি পাওয়া ছবিটি প্রথম দিনেই ২৫.১০ কোটি রুপি ব্যবসা করে। এর পর যথাক্রমে শনিবার ২০.৪০ কোটি, রবিবারে (ভারতে সরকারি ছুটির দিন এবং ইস্টার সানডে) ২৭.৬০ কোটি এবং গতকাল ১২.১০- মোট ৮৫.২০ ব্যবসা করেছে ছবিটি, শুধু ভারতে।

ভারতখ্যাত ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ বিষয়টি তাঁর ট্যুইটার পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন। তিনি এ-ও আশা করেন, খুব শিগগগিরই ১০০ কোটি আয়ের মাইলফলক পেরোবে ‘বাঘি ২’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালার খলিলনগর প্রাইমারির শিক্ষক কাশেমের বিরুদ্ধে সীমাহীন অভিযোগ

তালা প্রতিনিধি: ৪র্থ ও পঞ্চম শ্রেণির উঠতি বয়সের ছাত্রীদের সাথে অনৈতিক আচরন, ক্লাস ফাকি দিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন, যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে তালাক প্রদান ও বিভিন্ন শিক্ষিকাকে মোবাইল ফোনে উত্ত্যাক্ত করা সহ সীমাহীন অভিযোগ উঠেছে তালার খলিলনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল কাশেম সরদারের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিকার সহ উক্ত বিতর্কীত শিক্ষকের শাস্তির দাবীতে অভিভাবকরা সহ একাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। সেমতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত শেষে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করেছেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে অভিভাবক সহ সচেতন মহল।
সূত্রে জানাগেছে, তালার দক্ষিন নলতা গ্রামের মৃত. আমের আলী সরদারের পুত্র মো. আবুল কাশেম সরদার ছাত্রাবস্থায় পাইকগাছা উপজেলার সোনাতনকাটি গ্রামের মো. এরশাদ আলী গাজীর কন্যা সালমা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সালমার পিতার খরজে লেখাপড়া সহ শিক্ষকতার মতো মহান চাকুরি লাভের সুযোগ পায়। কিন্তু চাকরির সুযোগ পেয়েই আবুল কাশেম যৌতুকের দাবীতে তার স্ত্রী সালমার উপর নানাবিধ অত্যাচার শুরু করে। এরইমধ্যে লম্পট আবুল কাশেম পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে এবং ঘরের মধ্যে অন্য নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে। এঘটনার প্রতিবাদ করতেই আবুল কাশেম তার স্ত্রীকে মারপিট করে তাড়িয়ে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং কয়েকদিন পর একতরফা তালাক প্রদান করে। পরবর্তীতে সামাজিক বিভিন্ন চাপের মুখে আবুল কাশেম আবারও সাবেক স্ত্রী সালমাকে বিয়ে করে। কিন্তু তাতেও স্বভাব ভাল হয়নি তার। সে এবার এক ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে তৃতীয় বারের মতো সেই ছাত্রীকে বিয়ে করে এবং প্রথম স্ত্রী সালমাকে তাড়িয়ে দেয়। সালমা বর্তমানে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এদিকে স্ত্রী নিয়ে আবুল কাশেম এমন অনৈতিক আচরন করার পাশাপাশি সে নিজ স্কুলের উঠতি বয়সের ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে বিভিন্ন অযুহাতে হাত দিয়ে যৌন হয়রানী করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও পরীক্ষায় ভাল মার্ক দেবার আশ্বাস দিয়ে একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী, একাধিক শিক্ষিকাকে মোবাইলে উত্ত্যাক্ত করা, স্কুলে ঠিক মতো ক্লাস না করা, ক্লাসে হাজির হলেও ঠিকমতো পাঠদান না করা, বেতন বৃদ্ধির নামে সরকার বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেবার কথা বলে অন্যান্য স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন, চাঁদার নামমাত্র অংশের টাকা দিয়ে আন্দোলন করা এবং উত্তোলিত চাঁদার বাকি টাকা আত্মসাৎ করে তালা উপশহরে বাড়ি তৈরির অভিযোগ রয়েছে তার বিুরদ্ধে। তার এসব অনৈতিক এবং ছাত্রীদের যৌন হয়রানী করার বিষয় জানাযানি হলে অভিভাবকদের চাপের মূখে তাকে ইতোপূর্বে প্রসাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হতে হয়। কিন্তু “চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী” সেখানেও যেয়ে লম্পট কাশেম দরিদ্র পরিবারের উঠতি বয়সের একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করে। বিষয়টি সেখানেও জানাজানি হলে এক ছাত্রীর পিতাকে ১ মন চাল ঘুষ দিয়ে অপকর্ম থেকে রেহায় পায়। কিন্তু এখানকার অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে সে বদলি হয়ে আবারও খলিলনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে আসে। এখানে পুনরায় এসে অসম্ভব ক্ষমতার অধিকারী (!) লম্পট শিক্ষক আবুল কাশেম আবারও একের পর এক অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে। এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে অভিভাবকরা সহ কাশেমের সাবেক স্ত্রী সালমা আক্তার তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিকার সহ শাস্তির দাবীতে আবেদন করেছেন। আর আবেদনের বিষয়ে কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আন্দোলন করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন অভিভাবকরা।
উপজেলা প্রাথমিক অফিস সূত্রে জানাগেছে, প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলামকে আহবায়ক করে ইতোমধ্যে ৭সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। গঠিত কমিটি প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে গত ২৭ জানুয়ারী তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন। যেখানে সহকারী শিক্ষক আবুল কাশেমের অপকর্মের সকল সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে অভিভাবকরা সহ সচেতন মহল। এক্ষনে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে অভিভাবক ও সচেতন মহল নানাবিধ ব্যবস্থা নিবে এবং আইনশৃঙ্খলার কোনও অবনতি হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দায়ী থাকবে বলে জানিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রাথমিক সমাপনী থেকে এমসিকিউ বাদ

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে একটি আদেশ জারি করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি।

সেখানে বলা হয়েছে, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) প্রশ্ন বাদ দিয়ে শতভাগ ‘যোগ্যতাভিত্তিক’ প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

এই ‘যোগ্যতাভিত্তিক’ প্রশ্ন পদ্ধতিতে প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তর লেখা, শূন্যস্থান পূরণ, সংক্ষিপ্ত কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন এবং রচনামূলক প্রশ্ন থাকতে পারে।

এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন করে আদেশ জারি করলেও প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে নেওয়া উদ্যোগের অংশ হিসেবে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন বাতিলের নতুন সিদ্ধান্ত এল।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন নিয়মে প্রশ্নের কাঠামো এবং নম্বর বণ্টন কেমন হবে, তা শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে।

গতবছর প্রাথমিক সমাপনী পারীক্ষার প্রায় সব বিষয়ের প্রশ্ন পরীক্ষার আগের রাতে বা পরীক্ষার সকালে ফাঁস হয়ে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জেএসসি-জেডিসি এবং এ বছরের এসএসসি পারীক্ষাতেও।

প্রশ্নফাঁস মহামারির আকার ধারণ করায় প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

পরীক্ষার ঘণ্টাখানেক আগে প্রশ্ন ফাঁস হলে সেখান থেকে সহজেই বহু নির্বাচনী অংশের উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি থেকেও প্রাথমিক স্তরের পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

১৯৯২ সালে এসএসসিতে প্রবর্তনের সময় ৫০ নম্বরের পরীক্ষা এমসিকিউতে নেওয়া হত। পরে তা কমিয়ে আনা হয়। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ তুলে দেওয়ার পক্ষে এর আগে শিক্ষা সচিবও মত জানিয়েছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest