সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

দেবহাটায় এবছর আমের বাম্পার ফলন

কে এম রেজাউল ইসলাম : দেবহাটায় এবছর আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষন ও ঝড়ের কারনে আমের মুকুলের ক্ষতিসাধন হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে বলে আম ব্যবসায়ীরা জানান। সূত্র মতে জানা গেছে, এবছর দেবহাটা উপজেলার ৩৬৮ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হচ্ছে। আর এই ৩৬৮ হেক্টর জমির মধ্যে ৪৭৫ টি আমের বাগান রয়েছে। এসকল বাগানে বোম্বাই, হিমসাগর, আ¤্রপালি, গোলাপখাস, গোপালভোগ, ক্ষিরসরাই সহ বিভিন্ন জাতের আম চাষ করা হচ্ছে। প্রতিবছর এসকল বাগানে আম চাষ করা হলেও এবছর আম চাষে অনেক বেশী চাষী উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। তারা ঢাকার ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে দাদনের মাধ্যমে টাকা নিয়ে বাগান মালিকের নিকট থেকে অগ্রীম টাকা দিয়ে আম বাগান কিনে রাখছে। আর এক্ষেত্রে এক ব্যবসায়ী আর এক ব্যবসায়ীর তুলনায় টাকা বেশী দিয়ে আম বাগান কেনার চেষ্টা করে। দেবহাটা তথা সাতক্ষীরার আম অধিকাংশই ঢাকা, চিটাগাং নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এবছর ২/১ জন ব্যবসায়ী এখানকার আম রাজশাহী নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দেবহাটায় আমের ফলন মোটামুটি ভাল হয়েছে। আমের বাজারজাতকরন সহ নানারকম পরিচর্যায় চাষীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে দেবহাটা তথা সাতক্ষীরার আম এখন ইউরোপেও রপ্তানী হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইউরোপে সাতক্ষীরার আম ব্যাপক সাড়া জাগানোর ফলে এবছরও আম ইউরোপে রপ্তানী হচ্ছে। বিশেষ করে এখানকার মাটি ও আবহাওয়া আম চাষের অনুকূল হওয়ায় অন্যান্যর অঞ্চলের আমের তুলনায় এ অঞ্চলের আম খেতে বেশী সুম্বাদু। তাই গত ৪ বছর যাবৎ এ অঞ্চলের আম ইউরোপে রপ্তানী হচ্ছে। দেবহাটার সুশীলগাতী গ্রামের আম ব্যবসায়ী শিবলু জানান, তিনি প্রতিবছর আমের বাগান কিনে ব্যবসা করেন। তার কামটা, দেবহাটা, সুশীলগাতী ও টাউনশ্রীপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় আমের বাগান কেনা আছে। গতবছরের তুলনায় এবছর আমের ফলন ভাল হয়েছে তবে ঝড়ে কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। দেবহাটা সদরের আম ব্যবসায়ীদের নেতা ঝন্টু কুমার দে বলেন, এবছর ব্যবসায়ীরা আম দেশের বাজারে দেয়ার পাশাপাশি বাইরে পাঠাচ্ছে। তিনি এবছর সকল ব্যবসায়ী মুনাফা অর্জন করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্র মতে, এবছর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সাতক্ষীরার প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন আম ইউরোপে রপ্তানী করা সম্ভব হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গৃহবধুকে কুপিয়ে জখম, শ্লীলতহানীর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গৃহবধু রুবাইয়া সুলতানাকে কুপিয়ে জখম ও শ্লীলতহানী করেছে প্রতিপক্ষরা। রোববার দুপুরে শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার ঘুড্ডেরডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে সদর থানায় দখিলকৃত এজহার সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে
জয়নুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, ওসমান, মিজানুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, মোস্ত, সাইফুল ইসলাম, রাশিদুজ্জামান, মোমেনা খাতুনসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল বাহিনী ধারালো দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রবিউল ইসলামের ভিটে বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে আম গাছ, মেহগনি গাছ, বেগুন গাছ ও বাঁশগাছ কাটতে থাকে। এসময় রবিউল ইসলাম ও তার কন্যা রুবাইয়া সুলতানা নয়ন ঘটনা দেখে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আসামীরা দলবদ্ধভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় জয়নুর রহমান ও মনিরুল ইসলাম রুবাইয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। নারীলোভী মোস্ত রুবাইয়াকে শ্লীলতহানী ঘটায়। আনোয়ার হোসেন রুবাইয়ার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে রুবাইয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে গুরুত্বর জখম অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করেন। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসারে বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুর্নীতির অভিযোগ

আরাফাত আলী, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃত বাছার মোল্ল্যার ছেলে ও শ্যামনগর উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যের কারনে মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর,সচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রালয়,বিভাগীয় উপ-পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের হাজী মুজিবর রহমান। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায় রবিউল ইসলাম সহকারী শিক্ষা অফিসার হিসেবে শ্যামনগর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। আর এই দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করার অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে। শ্যামনগর উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিবাস বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আতœসাৎ করেছেন,ডিডি প্রাদর্শন করে তার অধিনস্থ ক্লাষ্টারের বিদ্যালয়ে তার সরবরাহকৃত নিন্ম মানের প্রাক-প্রাথমিক মালামাল ক্রয় বাধ্য করে অর্ধকোটি টাকা আতœসাৎ,অনুরুপ বিস্তিরিত শিক্ষাক্রম নামের পুস্তক সরবরাহ করে প্রচুর অর্থ আতœসাৎ একই ভাবে তার অধিনস্থ ক্লাষ্টারের বিদ্যালয়ের স্লীপ প্রকল্প তার ইচ্ছামত প্লান ও বাজেট তৈরি করে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে ত্রিশ হাজার টাকা করে গ্রহন করে তার সরবরাহকৃত মালামাল নিতে বাধ্য করে কমিশন গ্রহনের অভিযোগ।এছাড়া প্রশ্ন পত্র ফাঁস করে দেওয়া সহ পি,এস,সি পরিক্ষার যোগাযোগ করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন শিক্ষকদের নিকট থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা আতœসাৎ করেছেন। এর সাথে সাথে তার বিভিন্ন দূর্নীতি মুলক কাজের সাথে এক মত পোষন না করলে সেই শিক্ষকের বিভাগীয় মামলা সহ বদলীর হুমকি প্রদর্শন করেছেন তিনি। অন্তত ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষকের নিকট থেকে উৎকোচ গ্রহন করে বদলীর ও সুপারিশ করেছেন। এছাড়া তার অধিনস্থ শিক্ষকদের সাথে অশোভনীয় আচরন ও শোকেস করার হুমকি প্রদর্শন সহ তার অধিনস্থ কয়েক জন শিক্ষক দিয়ে কিছুদিন তার কালিগঞ্জে নির্মিত ভবনের দেখা শুনার কাজ করিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।এই অবৈধ টাকা দিয়ে তিনি কালিগঞ্জ ইসলামী ব্যাংকের পিছনে গড়ে তুলেছেন ৪ তলা বিশিষ্ট আলীসান বাড়ী উপজেলা বিভিন্ন স্থানে কেনা রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার জমি । তারপরও তার নিজস্ব নিবন্ধিত সমবায় সমিতি রয়েছে যার সভাপতি তার স্ত্রী রেশমা খাতুন ১৫ লক্ষাধিক টাকার ঝণ বিতরণ করা রয়েছে সদস্যদের মধ্যে। বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্যামনগর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সে বিষয়ে অবগত নন তিনি। এছাড়া তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার বলেন তাকে হেয় ও প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ ২৭-১১-২০১৭ তারিখে ডাকযোগে অভিযোগ প্রেরণ করলেও আজও কোন তদন্ত হয়নি বলে জানান অভিযোগকারী মেহেরুন্নেছা জয়নাল আবেদীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মুজিবুর রহমান। এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন গত ৩ মাস পুর্বে যোগদান করেছেন এজন্য তিনি এবিষয়ে অবগত নন। তবে তিনি বলেন অফিসে যদি এমন কোন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মতিয়া চৌধুরীকে প্রত্যাহার; হুইপ আতিকের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

রাজনীতি ডেস্ক: শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমানের আতিকের দলীয় পদ ও জাতীয় সংসদের হুইপের পদ থেকে অপসারণের দাবিতে শহরে ঝাড়ু মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করে জেলা আওয়ামী লীগের একাংশ।

গত ১৯ মে শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান আতিকের সভাপতিত্বে কার্যকরী কমিটির সভায় কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীকে শেরপুর জেলা থেকে প্রত্যাহার ও শেরপুর ৩ আসনের এমপি ফজলুল হক চানঁসহ ৫জনকে বহিষ্কার এবং নালিতাবাড়ী উপজেলা কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করার প্রতিবাদে এ দাবি তোলা হয়।

রবিবার (২০ মে) দুপুর ২টায় শহরের খরমপুরস্থ জেলা আওয়ামী লীগের একাংশের অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, হুইপ আতিক বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে ত্যাগী আওয়ামী লীগারদের পাশ কাটিয়ে রাজাকার সন্তানদের নিয়ে একটি পকেট কমিটি করেছে। যার প্রতিকারের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি রিভিউ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কাছে। যা বর্তমানে ট্রাইবুন্যালে আছে।

পরে হুইপ আতিকের অপসারণের দাবিতে শহরে ঝাড়ু মিছিল করা হয় এবং হুইপের কুশপত্তলিকা দাহ করা হয়। এসময় প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা এড. আখতারুজ্জামান,সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন ছানু, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুন্নাহার কামাল, জেলা যুবলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।পরে শহরে ঝড়ো নিয়ে একটি মিছিল করা হয় এবং হুইপ আতিকের কুশপত্তলিকা দাহ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চাটাইয়ে মুড়িয়ে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান!

ন্যাশনাল ডেস্ক: বীর মুক্তিযোদ্ধা তাহেজ উদ্দিন সরকারকে জাতীয় পতাকার পরিবর্তে বাঁশের চাটাইয়ে মুড়িয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার পাশাপাশি মুক্তিযেদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি গতকাল শনিবার বিকেলে পাবনার বেড়া পৌর এলাকার শহীদ আব্দুল খালেক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। নিহত মুক্তিযোদ্ধা বাড়ি বেড়া পৌর সদরের সম্ভুপুর গ্রামে।

স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার মহান এই মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হলে ১৯ মে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। এই মুক্তিযোদ্ধার শেষ যাত্রায় তাঁকে জাতীয় পতাকা দিয়ে যথাযথ সম্মান দেখনো হয়নি। তাকে বাঁশের চাটাই মুড়িয়ে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসানসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল পর্যায়ের লোজন উপস্থিত ছিলেন।

বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উপর দায়িত্ব দেওয়া ছিল মরহুমের গোসল করানোসহ যাবতীয় কাজ কর্মের। মুক্তিযোদ্ধারা কফিনে কোন প্রকার জাতীয় পতাকা দিয়ে মোড়ানো ছাড়াই গার্ড অব অনার প্রদানের জন্যে প্রস্তুত করেন। পরে আমরা প্রশাসনের লোকজন গিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। অথচ অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় আমি নিজেও বিষয়টি লক্ষ্য করি নাই। পরে যখন বিষয়টি লক্ষ্য করলাম স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি ইসহাক আলীর নিকট কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আসলে ওই সময় কিছুই করার ছিল না বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

বেড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি ইসহাক আলী বলেন, মরহুমের পরিবার এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা পতাকা না জড়ানোর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো সামান্য বিষয়, আপনাদের এতো মাথা ব্যাথা কেন। একটা ভুল হয়েছে তাই বলে এটা নিয়ে এতো মাতামাতি কেন!

প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মিলন হোসেন বলেন, আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর ভারত এবং বাংলাদেশের দুটি সনদ আছে। বেড়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি ইসহাক আলী ইচ্ছাকৃতভাবে আমার বাবাকে পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়নি। ইসহাক আলী শুধু আমার বাবার সাথেই করেণ নাই, দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের অমর্যাদা করেছে। এই ঘটনার বিচার হওয়া প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানের বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তিন বার ফোন দিয়ে জানতে চেয়েছি গার্ড অব অনার দেওয়ার সব কিছু ঠিক আছে কি না। তিনি বলেছেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল সব ব্যবস্থা করেছে। আপনি চিন্তা করবেন না, কিন্তু বাস্তবে পূণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিভিন্ন লোকজন বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন।
পাবনার তরুণ গণমাধ্যম কর্মী তপু আহমেদ বলেন, মাঝে মধ্যেই এই ধরনের কাজ কর্ম আমাদের চোখে পরে। সবাই ভুল বা অনিচ্ছাকৃত ভুল বলেই পার পেয়ে যাচ্ছেন, যা মোটেও কাম্য নয়।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি বলেন, যাদের জন্যে আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে, তাদেরকেই অবমুল্যায়ন করা হচ্ছে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এই মুক্তিযোদ্ধা।

পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ধরণের কর্মকান্ডে ভুল হয়েছে, দুঃখিত বলে পার পাওয়া উচিত নয়। অবশ্যই শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। আর এ ধরনের কর্মকান্ডের শাস্তি না হলে বারবার হবে বলেও জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইফতারে আমের জুস

স্বাস্থ্য ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাসের ইফতারে চাই পুষ্টিকর ও তৃষ্ণা মেটানো খাবার। এজন্য বিভিন্ন ফলের জুস হতে পারে একটি প্রধান পানীয়। এখন চলছে মৌসুমী ফলের ভরা মৌসুম। যত্রতত্র মিলছে আম, লিচু, কাঁঠালসহ অন্যান্য মৌসুমী ফল।

আমের জুস :
এই সময়ের অন্যতম ফল আম। চলছে আমের ভরপুর মৌসুম। তাই এবার রমজানে প্রতিদিনের ইফতারে রাখতে পারেন আমের জুস।

প্রস্তুতপ্রণালী:
প্রথমে ব্লেন্ডারে আমের টুকরোগুলোর সাথে একে একে টক দই, পুদিনা পাতা,বিট লবণ দিয়ে হাইস্পিডে ব্লেন্ড করে নিন। এবার পরিবেশন পাত্রে কিছু আমের টুকরো রেখে এর ওপর ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি ঢেলে নিন। সর্বশেষে ওপরে পেস্তাবাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দারুন স্বাদের আমের শরবত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বন্ধন টেলিমিডিয়ার কমিটি গঠন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বন্ধন জনকল্যাণ সংস্থার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সকালে সংস্থার কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বন্ধন টেলিমিডিয়ার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবু অতুল কুমার ঘোষ। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট নাট্য ও চলচ্ছিত্র শিল্পী অধ্যাপক মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম ও বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব একোব্বার হোসেন। সম্মেলনে প্রতিবেদন পেশ করেন বিশিষ্ট টিভি নাট্য পরিচালক মোঃ মুছা করিম। সভায় ২০১৮-১৯ সনের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়। কমিটির সভাপতি বাবু অতুল কুমার ঘোষ, সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুছা করিম, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক, দপ্তর সম্পাদক আরিফুজ্জামান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক রাম প্রসাদ রাকেশ। সাংস্কৃতি সম্পাদক আসিফুল আলম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্বামী স্ত্রী কে মারপিটের অভিযোগ খাটাল খালেকের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পূর্বশত্র“তার জের ধরে স্বামী স্ত্রী কে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে চোরাকারবারি খালেক ওরফে খাটাল খালেকের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার তলুইগাছা উত্তরপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহত স্বামী তলুইগাছা গ্রামের জের আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী জায়েদা খাতুন।
সিরাজুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্র“তার জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা থেকে বাড়ি ফেরার পথে তলুইগাছা উত্তরপাড়া এলাকায় পৌছানোর মাত্রই একই এলাকার মৃত. জব্বারের ছেলে চোরাকারবারি খালেক ওরফে খাটাল খালেক, ফায়িদুর ঢালীর ছেলে কামরুল আমার উপর হামলা করে মারপিট করতে থাকে। এসময় তারা মারতে মারতে আমার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে খালেক, কামরুল ও তার ছেলে রিপন আমার স্ত্রীকে দেখা মাত্রই লোহার রড়, লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে মারপিট শুরু করে। এতে আমার স্ত্রীর বাম হাত ও বাম পায়ের হাড় ভেঙে যায়। এছাড়া তারা আমার স্ত্রীর মাথার চুল কেটে নেয়। আমরা ডাক চিৎকার দিলেও খালেক গংদের ভয়ে কেউ আমাদের উদ্ধার করতে আসেনি। তারা মারপিট করে চলে যাওয়ার পর স্থানীদের সহযোগিতা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হই।
কান্না জড়িত কণ্ঠে সিরাজুলের স্ত্রী জায়েদা খাতুন বলেন, খালেক চোরাকারবারি ও খাটাল চালিয়ে বর্তমানে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনেগেছে। যে কারণে সে আর কাউকে মানুষ মনে করেন না। পুলিশ কে ভুল বুঝিয়ে ইচ্ছামত আটক করানো, ছাড়ানোসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। কিন্তু সে প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। আমরা প্রতিবাদ করতে গিয়ে তার হাতে মারপিটের শিকার হয়েছি।
অন্যায় ভাবে মারপিট করায় চোরাকারবারি খালেক ওরফে খাটাল খালেকের শাস্তি দাবি করেন ওই আহত দম্পতি।
এবিষয়ে খালেকের ব্যবহৃত নাম্বারে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করা তা সম্ভব হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest