সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণসাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভাসাতক্ষীরায় কায়পুত্র সম্প্রদায়ের ভ‚মি সংক্রান্ত বিষয়ে এ্যাডভোকেসি সভাবিএনপির কানাডা পশ্চিম শাখা শাখার সাধারণ সম্পাদক হলেন সাতক্ষীরার মুজিবর রহমান

সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরে স্বর্নের বারসহ দুই পাসপোর্ট যাত্রী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ পায়ে পরিহিত জুতোর সোলের মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১৫টি সোনার বারসহ দু’ পাসপোর্ট যাত্রীকে আটক করেছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুপুর দু’ টোর দিকে সাতক্ষীরার ভোমরা শুল্ক অফিস থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, নোয়াখালি জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার কেশরপাড়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আব্দুল বায়েজিদ (পাসপোর্ট নং ইচ০২৫২৩৪১) (১৮) ও একই উপজেলার পডিপাড়া গ্রামের আলী আহম্মেদের ছেলে আল আমিন (৩১) (পাসপোর্ট নং ইছ০৫৭০৩৮১) ।
ভোমরা শুল্ক অফিসের তথ্য কর্মকর্তা বিকাশ বড়–য়া জানান, সোমবার দুপুর দু’ টোর দিকে বায়েজিদ ও আল আমিন ভারতে যাওয়ার জন্য শুল্ক অফিসে আসেন। এ সময় গোপন খবরের ভিত্তিতে তাদের পরিহিত জুতোর তলার সোলের মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১৫টি সোনার বার আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটককৃত সোনার মূল্য ৬১ লাখ টাকা।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহমেদ জানান, উপপরিদর্শক হারুণ এর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। আটককৃতদের থানায় আনার প্রস্তুতি চলছে।#

০১.০১.২০১৮

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুলিশ পদক পাচ্ছেন ১৮২ জন

অনলাইন ডেস্ক: ‘জঙ্গি ও মাদক প্রতিকার, পুলিশ সপ্তাহের অঙ্গীকার’ স্লোগান নিয়ে আগামী ৮ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ। এ আয়োজনে সাহসিকতা ও সেবার স্বীকৃতি হিসেবে ১৮২ জন পুলিশ সদস্যকে দেওয়া হবে বিশেষ পদক। এর মধ্যে রয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) ৩৬ সদস্যসহ ১০৬ জন পুলিশ সদস্য। জঙ্গি দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য পুলিশ পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন তারা।

গত বছরের ২৪ মার্চ সিলেটের আতিয়া মহলে জঙ্গি হামলায় নিহত র‌্যাবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদসহ তিন জনকে সাহসিকতা পদক হিসেবে দেওয়া হবে মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম)।
চারটি ক্যাটাগরিতে এবার সাহসিকতার জন্য ৩০ জনকে বিপিএম, সেবার স্বীকৃতি হিসেবে ২৮ জনকে বিপিএম, সাহসিকতার জন্য ৭১ জনকে প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) ও সেবার স্বীকৃতি হিসেবে পিপিএম পাবেন ৫৩ জন।
প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের তিন পুলিশ সদস্য আছেন এ তালিকায়। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানদের অনেকের নামও আছে। পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবার কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পদমর্যাদার সদস্যদের হার ৪৬ শতাংশ। বাকিরা সহকারী পুলিশ সুপার থেকে ঊর্ধ্বতন পদমর্যাদার।
গত বছর সাহসিকতা ও সেবার স্বীকৃতি হিসেবে বিপিএম ও পিপিএম প্রাপ্তদের তালিকায় ছিলেন ১৩২ পুলিশ সদস্য। ২০১৬ সালে এসব পদক দেওয়া হয়েছিল ১০২ জনকে। এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক (১৮২) পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন এই পদক।

পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী দিন ৮ জানুয়ারি সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের প্যারেডে সালাম গ্রহণ করবেন ও পদক তুলে দেবেন।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র বলছে, এবারের পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবারই প্রথম রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পুলিশ সপ্তাহে উপস্থিত থাকতে সম্মতি জানিয়েছেন। প্রথম দিন রাতে পুলিশ সদস্যদের মাঝে নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি। এ সময় পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন।

পদক তালিকা থেকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট অনুযায়ী নাম ও পদবী দেওয়া হলো—

পুলিশ সদর দফতর
অতিরিক্ত আইজি মোখলেছুর রহমান ও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ডিআইজি রৌশন আরা বেগম (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট), ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান (অপারেশন্স), অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান (পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট), মনিরুল ইসলাম (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং), মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স), পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্যা (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স), আব্দুল্লাহ আল জহির (স্টাফ অফিসার টু অতি. আইজিপি), এসএম হাসানুল জাহিদ (ইন্টেলিজেন্স শাখা), আলী আশরাফ ভূঁইয়া (ইন্টেলিজেন্স শাখা), অ্যাডিশনাল এসপি (সংস্থাপন) জেসমিন কেকা, গোয়েন্দা শাখার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রকিবুল হাসান, এএসআই আনোয়ার হোসেন, কনস্টেবল আবু নাঈম ও খলিল উল্যাহ।

ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) ও স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)
সিআইডির অ্যাডিশনাল আইজি শেখ হিমায়েত হোসেন, বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল হায়দার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (প্রেষণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল) হরি দেবনাথ ও ওবায়েদ উল্লাহ, সিনিয়র এএসপি এহসান উদ্দিন চৌধুরী, এসবি’র বিশেষ পুলিশ সুপার এজাজ আহমেদ ও এএফএম আনজুমান কালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলী, পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান ও ইউনূস আলী শেখ।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি)
ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম (ডিবি), উপ-কমিশনার হামিদা পারভীন (প্রটেকশন), আনোয়ার হোসেন (ডিসি-মতিঝিল), লিটন কুমার সাহা (ট্রাফিক পশ্চিম), আসমা সিদ্দিকা মিলি (উইমেন সাপোর্ট সেন্টার), অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল (ডিবি পশ্চিম), মাঈনুল ইসলাম (ডিবি পূর্ব), ডিএমপির সিনিয়র এসি ইবনে রায়হান (নিউমার্কেট জোন), সিনিয়র এসি ইফতেখারুল ইসলাম (ডেমরা জোন), এসি নাজমুল হাসান ফিরোজ, সিনিয়র এসি রাহুল পাটোয়ারী (ডিবি পশ্চিম), যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আনিছুর রহমান, তুরাগ থানার ওসি নুরুল মোত্তাকীন, শেরেবাংলা নগর থানার ওসি গণেশ গোপাল বিশ্বাস, শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান, নিউমার্কেট থানার ওসি আতিকুর রহমান, কল্যাণ ও ফোর্স বিভাগের (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল) এসআই আব্দুল আজিজ, কদমতলী থানার এসআই লালবুর রহমান, বংশাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই নুরুজ্জামান সরকার ও হাজারীবাগ থানার কনস্টেবল গোলাম আজম।

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)
সিটিটিসি’র প্রধান মনিরুল ইসলাম (অতিরিক্ত কমিশনার, ডিএমপি), উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান (সিটি), এএইচএম আবদুর রকিব (ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম), প্রলয় কুমার জোয়ারদার (স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ), অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল মান্নান (সিটি), এসএম নাজমুল হক (সিটি), জাহিদুল হক তালুকদার (সিটি), নাজমুল ইসলাম (সাইবার ক্রাইম), রহমত উল্লাহ চৌধুরী (বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট), সিনিয়র এসি এসএম জাহাঙ্গীর হাছান (সোয়াট), এসি আহসান হাবীব (সিটি), শাহিদুর রহমান (সিটি), এসি তৌহিদুল ইসলাম (সিটি), এসি অহিদুজ্জামান নূর (সিটি), শেখ ইমরান হোসেন (সিটি), মাহবুব উর রশিদ (সোয়াট), পরিদর্শক আবুল বাশার, আবুল বাশার (২) ও গোলাম মাওলা, এসআই নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আকবর হোসেন, মইনুদ্দিন ওমর ফারুক, মাহফুজুল হক চৌধুরী, রফিক উদ্দিন ও এসএম রাইসুল ইসলাম, এএসআই আনিসুর রহমান, আ. করিম ও মোতাহার হোসেন, নায়েক আকতারুজ্জামান, কনস্টেবল সজীব মিয়া, আসিফ আহমেদ, শাওরিদ হাসান, রিপন হোসেন, বাছেদ আলম, আব্দুল্লাহ আল শাফী ও জহিরউদ্দিন।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)
র‌্যাব-১২’র অধিনায়ক সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল আরিফ উদ্দিন মাহমুদ (উন্নয়ন শাখা), পরিচালক (অপারেশন্স) লে. কর্নেল মাহাবুব হাসান, র‌্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান, র‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ, গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক মরহুম লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ও বর্তমান পরিচালক লে. কর্নেল মাহবুব আলম, সদর দফতরের এয়ার উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সৈয়দ নজরুল ইসলাম, র‌্যাব-৫-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, র‌্যাব-৮-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ার উজ জামান, সদর দফতরের স্কোয়াড্রন লিডার এএনএ মুসাব্বির, র‌্যাব-৭-এর স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম, র‌্যাব-৫-এর এএম আশরাফুল ইসলাম, সদর দফতরের মেজর শাহীন আজাদ, গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক মেজর এইচএম সাজ্জাদ হোসেন, উপ-পরিচালক (অপারেশন্স) মেজর এসএম সুদীপ্ত শাহীন, গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক মেজর মনিরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক মেজর মাহমুদ হাসান তারিক, র‌্যাব-১০-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দীন ফারুকী, র‌্যাব-৪-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফম আনোয়ার হোসেন খান, র‌্যাব-১২’র অ্যাডিশনাল এসপি বিনা রানী দাশ, র‌্যাব-৮-এর সিনিয়র এএসপি (সদর) জসীম উদ্দিন, র‌্যাব-১১’র সিনিয়র এসএসপি জসিম উদ্দীন চৌধুরী, র‌্যাব ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের সিনিয়র এসএসপি জসিম ইয়াসিন আরাফাত, ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের সিনিয়র এএসপি আতিকুল হক প্রধান, র‌্যাব-১১-এর সিনিয়র এসএসপি আলেপ উদ্দিন, র‌্যাব-৭-এর সিনিয়র এএসপি মিমতানুর রহমান, গোয়েন্দা শাখার লেফটেন্যান্ট করপোরাল নাজমুল ইসলাম, ট্রেনিং অ্যান্ড ওরিয়েন্টশন উইংয়ের ল্যান্স করপোরাল মিজানুর রহমান ও অপারেশন্স উইংয়ের সৈনিক ইসমাইল হক।

রেঞ্জ ও জেলা পুলিশ
খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহম্মেদ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশিদ হোসেন, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, বগুড়ার পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি) আসাদুজ্জামান, গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের এসপি মাহবুব আলম, ঢাকা জেলার এসপি শাহ মিজান শাফিউল রহমান, নারায়ণগঞ্জের এসপি মঈনুল হক, নোয়াখালীর এসপি ইলিয়াছ শরীফ, চট্টগ্রামের এসপি নূরে আলম মিনা, কিশোরগঞ্জের এসপি আনোয়ার হোসেন খান, ময়মনসিংহের এসপি সৈয়দ নূরুল ইসলাম, দিনাজপুরের এসপি হামিদুল আলম, শরীয়তপুরের এসপি সাইফুল্লাহ আল মামুন, হবিগঞ্জের এসপি বিধান ত্রিপুরা, মৌলভীবাজারের এসপি মোহাম্মদ শাহ জালাল, বরগুনার এসপি বিজয় বসাক, জামালপুরের এসপি দেলোয়ার হোসেন, কুষ্টিয়ার এসপি এসএম মেহেদী হাসান, বগুড়ার অ্যাডিশনাল এসপি আরিফুর রহমান মণ্ডল, দিনাজপুরের অ্যাডিশনাল এসপি মিজানুর রহমান, চাপাইনবাবগঞ্জের অ্যাডিশনাল এসপি মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান, কুমিল্লার অ্যাডিশনাল এসপি তানভীর সালেহীন ইমন, পাবনার অ্যাডিশনাল এসপি মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান, নেত্রকোনার অ্যাডিশনাল এসপি মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, মৌলভীবাজারের সিনিয়র এসএসপি (সদর) রাশেদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি অশোক কুমার সিংহ, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন, ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি ইফতেখার হাসান, নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মাহবুবুর রহমান, গাজীপুরের শ্রীপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান, গাজীপুরের টঙ্গী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার, কুমিল্লা কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ আবু সালাম মিয়া, বি. বাড়িয়ার কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও এসআই রফিকুল ইসলাম, আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) জাহিদুল ইসলাম, কক্সবাজার মহেশখালী থানার এসআই শাওন দাস, বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই জুলহাস উদ্দিন, ফারুক হোসেন ও আলমগীর হোসেন, চট্টগ্রাম রিজার্ভ অফিসার-১-এর এসআই কাজী শফিকুল ইসলাম, নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই আ. গাফফার, মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া থানার এসআই আসলাম খান ও ওয়াহিদুজ্জামান, মৌলভীবাজার সদর থানার এসআই আব্দুল মানিক, কুমিল্লার মিরপুর হাইওয়ে ফাঁড়ির সার্জেন্ট মোস্তফা কামাল, রাজশাহী ট্রাফিক অফিসের এটিএসআই তাইজুল ইসলাম, ঝিনাইদহের এএসআই মহাসীন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিশেষ শাখার এএসআই আজিজুর রহমান, রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা শাখার এএসআই উৎপল কুমার, হাইওয়ে পুলিশ সদর দফতরের কনস্টেবল পারভেজ মিয়া, ময়মনসিংহ ভালুকা মডেল থানার কনস্টেবল রাসেল আহমেদ, বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন ও বগুড়া পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল হেলাল উদ্দিন।

অন্যান্য
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) রংপুর জেলার অ্যাডিশনাল এসপি শহিদুল্লাহ কাউসার, ময়মনসিংহের অ্যাডিশনাল এসপি আবু বকর সিদ্দিক, চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সিএমপির অ্যাডিশনাল এসপি মীর্জা সায়েম মাহমুদ, আকবর শাহ থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর, ডিবি উত্তরের এসআই জিহাদ হোসেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র এসি এমএম মোহাইমিনুর রশিদ, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের সিনিয়র এসি মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) এএসপি মনিরুল ইসলাম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পরিদর্শক (কোর্ট) মরহুম চৌধুরী মো. আবু কায়সার, জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও এএসআই জনি লাল দে, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিন আহমেদ।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শুরু হলো নির্বাচনি বছর

গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা থেকে হারিয়ে গেলো আরও একটি বছর। রবিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে নতুন বছরের (২০১৮) দিন গোনা শুরু হলো। একইসঙ্গে দেশে শুরু হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনাও। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০১৮ সাল বহুল-প্রত্যাশিত নির্বাচনের বছর। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনসহ (ইসি) রাজনৈতিক দলগুলো সারা বছরই তৎপর থাকবে। ফলে বছরজুড়ে রাজনীতি আবর্তিত হবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। নির্বাচন বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, নতুন বছরটি হবে ইতিবাচক রাজনীতির বছর। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা তৈরির বছর। নির্বাচন কমিশন, প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে।

বিদায়ী বছরের শেষ দিনে রবিবার এক অনুষ্ঠানে নতুন বছরকে নির্বাচনের বছর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘নতুন বছর ২০১৮ সাল হচ্ছে নির্বাচনের বছর। এই বছরেই বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো নতুন বছরকে ঘিরে তাদের প্রস্তুতি শুরু করেছে। নির্বাচনি রাজনীতির জন্য ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণে এরই মধ্যে নিজেদের কৌশলও ঠিক করে ফেলেছে তারা। এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের কৌশল হতে যাচ্ছে সরকারের টানা দশ বছরের নানা উন্নয়ন-অর্জনের প্রচার ও বিএনপিকে চাপে রাখার চেষ্টা। অন্যদিকে বিএনপির কৌশল হচ্ছে, ইতিবাচক রাজনীতি ও জনগণের কষ্ট হয়; এমন কোনও কর্মসূচি না দিয়ে জনগণের সমর্থন আদায়। এ লক্ষ্যে দুই দলই নির্বাচনি এ বছরটির শুরু থেকেই রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে চায়। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে যেতে চায়, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নির্বাচনের ফসল ঘরে তুলতে এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে চায় গোটা বছর।

আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে পরিচালিত হবে দলটির সব কর্মকাণ্ড। আওয়ামী লীগকে আগের চেয়ে আরও বেশি জনসম্পৃক্ত করে তুলতে কাজ করার পাশাপাশি বিএনপির ‘নেতিবাচক’ রাজনীতি, দেশ পরিচালনায় তাদের ব্যর্থতা, লুটপাট-দুর্নীতির চিত্র জনগণের মাঝে আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি করে তুলে ধরতে কাজ করবে ক্ষমতাসীন দলটি। একইসঙ্গে বর্তমান সরকারের সাফল্য, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রচারণা নিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত জনগণের দুয়ারে যাবে আওয়ামী লীগ।

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপিও নতুন বছরে পথ চলতে চায় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অন্যতম লক্ষ্য স্থির করে এ বছর এগুতে চায় বিএনপি। দলটির নেতাকর্মীরা মনে করেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করে জোটগতভাবে অংশ নিতে হবে। এই নির্বাচনে কোনোভাবেই ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দেওয়া হবে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে। নির্বাচনের মুখোমুখি হবে বিএনপি। আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই নতুন বছরে দলটির সব ধরনের কর্মসুচিতে থাকবে নির্বাচনি আমেজ।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্প্রতি এক সমাবেশে আগামী বছরে দলের কর্মসূচির বিষয় ইঙ্গিতও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আগামী বছর আন্দোলন, সংগ্রাম ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বছর। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবেই গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে হবে।’

রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও এগুচ্ছে একাদশ নির্বাচনের পথ ধরে। হাঁটবে একাদশ নির্বাচনের লক্ষ্যে তাদের তৈরি রোডম্যাপ ধরে।

এদিকে, ইসির নতুন বছর শুরু হবে হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি, ২০১৮) প্রকাশিত হবে হালনাগদকৃত ভোটার তালিকা। এটি চূড়ান্ত হবে ৩১ জানুয়ারি। পরে জুন মাসে তারা চূড়ান্ত ভোটার তালিকার সিডি তৈরি করবে। এর ফাঁকে ফাঁকে তারা সংশোধন করবে আরপিওসহ নির্বাচনি আইনগুলো। পুনর্বিন্যাস করবে সংসদীয় আসনের সীমানা।

নতুন বছরের কর্মসূচি ও লক্ষ্য সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘নতুন বছরে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য একটাই। তাহলো নিরঙ্কুশ বিজয়। টানা তৃতীয়বার দলকে ক্ষমতাসীন করতে কাজ করবেন দলের সব স্তরের নেতাকর্মীরা।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ফারুক খান বলেন, ‘নতুন বছরে আমাদের প্রধান করণীয় হবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া। বাংলাদেশের জনগণকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করা। দলকে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করা।’ আওয়ামী লীগের লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সম্ভাব্য কাজগুলো দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে জোরদার ও শক্তিশালী করাও আমাদের লক্ষ্য।’

নির্বাচন প্রশ্নে ফারুক খান বলেন, ‘যদি কিছু রাজনৈতিক দল তাদের মাথাটা ঠিক রাখতে পারে, জনগণের ওপর আস্থা রাখতে পারে, তাহলে বাংলাদেশে প্রতিটি নির্বাচনই খুব ভালো হবে।’ তিনি বলেন, ‘জনগণের ওপর আস্থা রাখতে না পারার কারণে বিএনপি-জামায়াত ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট ও প্রতিহতের চেষ্টা করেছে। তবে তারা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা আশা করবো, তারা এবার ভুলটি করবে না। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সচল রাখতে নির্বাচনে অংশ নেবে।’

জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘নতুন বছরটিকে আমরা পরিবর্তনের বছর হিসেবে দেখছি। ২০১৮ সাল হবে গণতন্ত্রের বিজয়ের বছর। নতুন বছরকে সকলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বাচনের বছর হিসেবে দেখছি। দেখছি নির্দলীয় অবস্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বছর হিসেবে। দেখছি জনগণের মনের মতো নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার বছর হিসেবে। ব্যর্থতা গ্লানি ও ফ্যাসিবাদের কবর দিয়ে আমরা নতুন বছর গণতন্ত্রের পতাকা উড়ানোর বছর হিসেবে দেখছি।’ বিএনপি তার নতুন বছরের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে গোটা বছরই তাদের কর্মসূচি পরিচালনা করতে চায় বলেও জানান দলের এই নেতা।

আগামী নির্বাচন নিয়ে কারও ভিন্ন কোনও পরিকল্পনা থাকলে তা বুমেরাং হবে মন্তব্য করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে যাবে ও বিজয়ী হবে।’ নতুন বছরের কর্মসূচি প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সবাইকেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাইলে সবাইকে এক হতে হবে। ছোট দলগুলোর বড় নেতারা তাদের জীবনকে গণতন্ত্রের জন্য উৎসর্গ করেছেন। যেহেতু ২০১৮ সাল গণতন্ত্র ফেরানোর বছর, সেহেতু নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ে তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবেই বিএনপি এগিয়ে যাবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘২০১৮ সাল হবে গণতন্ত্রের বছর। মানুষের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার বছর হবে এটি। মানুষ তার নাগরিক অধিকার ফিরে পাবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে, চরম দুর্নীতি থেকে মুক্ত হওয়ার বছর হবে ২০১৮ সাল।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, এ বছর ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা চাই, যে নির্বাচনটা ২০১৮ সালে হবে, সেটা যেন অবশ্যই ভালো হয়। আমরা চাই নির্বাচনটি সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হোক। আর এই জন্য দরকার একটি আস্থার সম্পর্ক গড়ে ওঠা খুবই জরুরি। এজন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে নির্বাচন প্রশ্নে একটি সমঝোতা প্রয়োজন।’

বিএনপি একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে এমনটি প্রত্যাশা করে ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেন, নির্বাচনে না গেলে বিএনপি বড় ধরনের সমস্যায় পড়বে। নিবন্ধন হারানোসহ মামলা-হামলায় জড়িয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করার জন্য আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ সব দল একটি কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনেরও দায়িত্বটাও অনেক বড়। তারা একটি উদ্যোগ নিতে পারে, যেন দুটো বড় দলের মধ্যে একটি আস্থার সম্পর্ক তৈরি হয়।’ নতুন বছরটি দেশের জন্য শঙ্কা, সহিংসতামুক্ত ইতিবাচক রাজনীতির বছর হবে বলেও মন্তব্য করেন তারেক শামসুর রেহমান।

নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনসহ ২০১৮ সালে কমিশনের অনেক কাজ রয়েছে। এগুলোকে সুন্দর ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে কমিশন রোডম্যাপ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছে।’ সংসদ নির্বাচন ছাড়াও এ বছর বড় বড় কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন কমিশনকে করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্রিটেনে বাংলাদেশি চিকিৎসকের বিরল সম্মাননা প্রাপ্তি

ব্রিটেনে চিকিৎসাসেবায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এমবিই (মেম্বারস অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) সম্মাননায় ভূষিত হলেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি চিকিৎসক আনোয়ারা আলি। এ খেতাব পেয়ে তিনি গর্বিত।

সফল রাজনীতিবিদ আর মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবেও ড. আনোয়ারা আলীর পরিচিতি রয়েছে। টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক কাউন্সিলার ও লন্ডনে কনজারভেটিভ পার্টির অন্যতম নেত্রী। ব্যক্তিজীবনে তিনি সাংবাদিক রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরীর স্ত্রী ও এক ছেলের মা।

রবিবার এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ড. আনোয়ারা আলী বলেছেন, ‘ব্রিটেনে চিকিৎসা ও মূলধারার রাজনীতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির সেবায় কিভাবে ভূমিকা রাখা যায় সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১ জানুয়ারি গণ-জন্মদিন !

পহেলা জানুয়ারি গণ-জন্মদিন হিসেবে পালিত হচ্ছে আফগানিস্তানে। প্রকৃত জন্ম তারিখ জানা না থাকায় অধিকাংশ আফগান তাদের জন্মদিন হিসেবে পহেলা জানুয়ারিকেই বেছে নিয়েছেন। খবর এএফপি।

এমনকি যারা তাদের প্রকৃত জন্ম তারিখ জানেন তারাও ১ জানুয়ারিকে তাদের জন্মদিন হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। কারণ তারা সোলার হিজরি থেকে কোনো তারিখকে তাদের জন্মদিন বানাতে চায় না। হিজরিতে বছরের প্রথম দিন সাধারণত ২১ মার্চ হয়।

জন্ম সনদ অথবা অফিসিয়াল রেকর্ড না থাকায় বয়স নির্ণয়ের জন্য অনেক আফগান দীর্ঘদিন ধরে মৌসুমি বা ঐতিহাসিক দিনগুলোকে তাদের জন্মদিন বানিয়েছে। কিন্তু ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ফলে এবং পাসপোর্ট ও ভিসার ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে আফগানদের জন্ম তারিখ লিখতে হয়। প্রকৃত জন্ম তারিখ জানা না থাকায় তারা নিজেদের পছন্দমত একটি দিন বেছে নেয়। ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য জন্মদিনের প্রয়োজন হয়। তাই এখন পহেলা জানুয়ারি আফগানদের গণ জন্মদিনে পরিণত হয়েছে।

সামাদ আলাবি (৪৩) নামে একজন আফগান এএফপি’কে বলেন, পহেলা জানুয়ারি আফগানিস্তানের সব নাগরিকের জন্মদিন বলে মনে হচ্ছে। তারা সোলার হিজরি থেকে কোনো তারিখকে তাদের জন্মদিন বানাতে চায় না। ইসলামিক বর্ষটি শুধু ইরান ও আফগানিস্তানে ব্যবহৃত হয়। এ কারণেই তারা পহেলা জানুয়ারিকেই তাদের জন্মদিন হিসেবে পছন্দ করেন।

গত কয়েক বছরে আফগানিস্তানের প্রধান শহর এবং হাসপাতালগুলোতে জন্মদিনের রেকর্ড রাখা হচ্ছে। আফগান সরকার কম্পিউটারাইজড জাতীয় আইডি কার্ড ইস্যু করার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এই প্রক্রিয়াটি কয়েক বছরের জন্য স্থগিত আছে।

অফিসিয়াল রেকর্ডের অভাবে, কিছু শিক্ষিত বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের জন্মদিন কাগজে লিখে কোরআানের ভেতরে রাখেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী-জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত ৮

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের হামলায় ৫ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ’এর ৩ সদস্য নিহত হয়।

রবিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপুরায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)’এর একটি ক্যাম্পে আচমকা হামলা চালায় জঙ্গিরা। কিছু বোঝার আগেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। তাতেই ৫ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মারা যায়।

সিআরপিএফ’এর মুখপাত্র রাজেশ যাদব জানান, ‘সিআরপিএফ-এর পাঁচ সদস্য শহীদ হয়েছেন এবং দুই সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। পাশাপাশি দুই জঙ্গির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস তৃতীয় জঙ্গিও মারা গেছে’।

তিনি আরও জানান ‘রবিবার ভোর দু’টো নাগাদ সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা চালায় দুই অস্ত্রধারী জঙ্গি। তারা অত্যাধুনিক অস্ত্র, গ্রেনেড লঞ্চারে সজ্জিত ছিল। কিন্তু ক্যাম্পে প্রবেশের মুখেই নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেয়’।

এই হামলা অত্যন্ত ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে আখ্যায়িত করে কাশ্মীর পুলিশের ডিজি এস.পি.বেদ জানান পাকিস্তান যতদিন পর্যন্ত জঙ্গি সরবরাহ করে যাবে ততদিন নিরাপত্তা বাহিনী ও কাশ্মীরের মানুষ এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে’।

তিনি আরও জানান ‘গত দুই-তিন ধরেই জঙ্গি অনুপ্রবেশের খবর ছিল। সম্ভবত এর আগে চেষ্টা করে বিফল হওয়ায় গতকাল রাতেই হামলা চালায়’।

এদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর এই জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও উপমুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিং।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খামেনির ছবি পুড়িয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন ইরানে

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ছবি পোড়ানোর মতো এবার নজিরবিহীন ঘটনার সৃষ্টি করছেন বিক্ষোভকারীরা। দেশটির খোরামাবাদ, যানজান ও আহভাজ শহরে রবিবার মিছিল থেকে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি, প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিসহ ইসলামী বিপ্লবের নেতাদের পদত্যাগ ও তাদের ‘নিপাত’ যাওয়ার দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবহার শহরে খামেনির ছবি সম্বলিত সুবিশাল ব্যানারে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।

এতে করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত দু’জন নিহত হওয়ার দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা। দেশটির হাজার হাজার মানুষ গত চারদিন ধরে ইরানের বিভিন্ন শহরে সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। মূলত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো ও ব্যাপক বেকারত্বের প্রতিবাদ জানাতে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) মাশহাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ থেকে ৫২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করায় দ্রুতই সেটি সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়।

বিবিসি জানিয়েছে, দেশটির বিভিন্ন প্রান্তের মূলত তরুণ ও পুরুষ বিক্ষোভকারীরা সরাসরি দেশ থেকে ‘মোল্লাতন্ত্র’ উচ্ছেদের ডাক দিচ্ছেন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধসহ ইসলামী প্রজাতন্ত্র ও এর প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারও চাইছেন তারা। বিক্ষোভকারীরা শ্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘মানুষ ভিক্ষা করছেন, ধর্মপুরুষেরা ঈশ্বরের মতো কাজ করে’।

এদিকে, দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুশিয়ারি, আইন ভঙ্গকারী এবং সরকারি সম্পদ ধংসকারীদের পরে জবাবদিহি করতে হবে, এবং আজকের বিক্ষোভের জন্য কঠিন মূল্য দিতে হবে। বিরোধীপক্ষ এবং বিদেশি শক্তি এ বিক্ষোভে উস্কানি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ ইরান সরকারের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আফ্রিদিকে আরশি খানের ভিডিও বার্তা, তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া!

গত সপ্তাহেই ‘বিগ বস’-এর বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন আরশি খান। তবে ‘বিগ বস’-এ না থাকলেও আরশি খান খবরের শিরোনামে রাখলেন নিজেকে। সম্প্রতি আরশি খানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তাকে অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় কথা বলতে দেখা গেছে।

সেই অবস্থাতেই তার হৃদয়ের কথা ব্যক্ত করেছেন বিতর্কিত এই মডেল। অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় আরশি খানকে বিখ্যাত বলিউডি গানের নকল করে গাইতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আরশি বদনাম হুয়ি, আফ্রিদি তেরে লিয়ে।’’ এর পরে তিনি বলতে থাকেন, ‘‘ভারত বলে পাকিস্তান যাও। পাকিস্তান বলে এখানে আসো। এখন আমাকে কে আপন করে নেবে?’’

পেশায় মডেল। কিন্তু এতটাও বিখ্যাত নন মডেলিংয়ে যে সাধারণ মানুষ তাকে দেখেই চিনতে পারবেন। ভোপালের এই কন্যা দু’বছর আগে বিখ্যাত হয়েছিলেন অন্য একটি কারণে। সেই সময় তিনি অকপট ভাবে বলে দিয়েছিলেন, শহিদ আফ্রিদির সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে।

কিছুদিন আগেই আবার আরশি খান বলেন, তার গর্ভে যে সন্তান রয়েছে, তার বাবা আফ্রিদি। পাশাপাশি, এর আগে সুরেশ রায়না, মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলিকে ধর্ষণের অদ্ভুত ‘হুমকি’ও দিয়েছিলেন তিনি। সেই বিতর্কিত আরশি এবার নতুন বোমা ফাটালেন। দেখা যাক, সেই বিতর্কের আঁচ কদ্দুর গড়ায়। মুখ খোলেন কি না পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest