সর্বশেষ সংবাদ-
ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশএডভোকেসি নেটওয়ার্ক এবং সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন সদস্যদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভাশ্যামনগরের কৈখালী পোলের খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধনশ্যামনগরে সালাতুল ইস্তেকার নামাজ আদায়তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা, তাপমাত্রা আজ সর্বোচ্চ ৩৯.৩ ডিগ্রিদেবহাটায় উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মতবিনিময়

মানুষের কাছে বিজ্ঞান যখন পরাজিত!

জন্মানোর পর থেকে আমরা অনেকে অনেক রকম আচরণ করি। তার কিছুটা অদ্ভুত আবার কিছুটা একেবারে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই। এইসকল আচরণের অনেকগুলিই আমাদের কেউ শিখিয়ে দেয় না। একেবারে সহজাতভাবেই এগুলি আমাদের মধ্যে দেখা যায়। গবেষকেরা বলেন মানুষের শরীর পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় বস্তু। কারণ আমরা কেন স্বপ্ন দেখি, হাসি, লজ্জা পাই এসবের কোনওটারই সঠিক কারণ এখনও বের করা যায়নি।

তেমনই আমাদের মনের উদারতার ধারণা কোথা থেকে আসে, অন্যকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যাই কেন সে বিষয়েও কোনও সঠিক ধারণা গবেষকেরা দিতে পারেননি। মানুষের এমনই কয়েকটি আচরণ যার রহস্য সমাধান করা যায়নি এখনও।

১। লাজুক হওয়াঃ লাজুক হওয়ার বিষয়টি জিনগত হতে পারে। কোন পরিবেশে আমরা রয়েছি তা এক্ষেত্রে বিবেচ্য হয়। অনেক সময়ে পরিবেশ-পরিস্থিতি উপযুক্ত মনে না হলে আমরা কিছুটা গুটিয়ে থাকি। অপরিচিতের সঙ্গে কথা বলতে ইতস্তত করি বা অনেক লোকের সামনে কথা বলার সময়ে লাজুক হয়ে যাই।

২। চুমু খাওয়াঃ ভালোবাসার খুব অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দুজন মানুষ একে অপরকে আলিঙ্গন করেন, চুমু খান। এই সময়ে শরীরের স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়, দুজনের মধ্যে একাত্মতা বাড়ে। তবে কেন মানুষ এমন করে তার কোনও ব্যাখ্যা বের করা যায়নি।

৩। হাসিঃ জীবনের নানা মুহূর্তে আমরা হেসে উঠি। কোনও মজার জিনিস দেখলে অথবা কোনও মজার কথা শুনলে। হাসলে মানুষের আয়ু বাড়ে, ক্লান্তি ও অবসাদ কমে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। তবে আমরা কেন হাসি তার রহস্য এখনও অধরা।

৪। লজ্জা পাওয়াঃ কোনও ঘটনায় ইতস্তত হয়ে আমরা লজ্জা পাই। রোমান্সের সময়ে বা মিথ্যা কথা বলার সময়ে আমরা কিছুটা অন্যরকম হয়ে যাই। এটা মানুষের এক অনন্য গুণ। আর কোনও প্রাণীর মধ্যে লজ্জা পাওয়ার বিষয়টি নেই। তবে কেন এমন হয় তা এখনও অজানা।

৫। স্বপ্ন দেখাঃ ঘুমের মধ্যে আমরা স্বপ্ন দেখি। অনেকে যা ভাবেন বা যা নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাই অনেক সময়ে স্বপ্নে দেখে থাকেন। তবে রিয়েল লাইফের চেয়ে তা কিছুটা ভিন্ন হয়। তবে স্বপ্ন দেখার কোনও উপযুক্ত কারণ এখনও বের করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।

৬। নাক খোঁটাঃ অনেকেরই এই অভ্যাস রয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি চারজনে একজন মানুষের এই অভ্যাস রয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে আমরা এই অভ্যাসে আসক্ত হই তা সঠিকভাবে বের করে ওঠা যায়নি।

৭। কুসংস্কারঃ বহু মানুষ কুসংস্কারে বিশ্বাস করেন যার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। বহু মানুষ রয়েছেন যারা কুসংস্কারের নিজের পাশাপাশি অন্যের জীবনকেও দুর্বিষহ করে তোলেন। মানুষ কেন কুসংস্কারী হয়ে ওঠে, তার কোনও ব্যাখ্যা বিজ্ঞানে নেই।

৮। পরোপকারঃ অন্যের জন্য কিছু করা বা উদারতা দেখানো মানুষের খুব স্বাভাবিক স্বভাব। বহু মানুষ নিজের জীবনের বাজি রেখে অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়ান। মানুষ কোনও কিছু পাওয়ার আশা না করে কেন অন্যকে সাহায্য করে তার কোনও ব্যাখ্যা বিজ্ঞানে নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বৃষ্টি কমবে সোমবার, রাতে বাড়বে শীতের প্রকোপ

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) থেকে সমুদ্রবন্দরের তিন সতর্কতা সংকেতও নামিয়ে ফেলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। নিম্নচাপের প্রভাব কেটে যাওয়ায় সোমবার থেকে বৃষ্টির দাপটও কমবে। এরপর মেঘমুক্ত আকাশ থাকলে ধীরে ধীরে রাতের তাপমাত্রাও কমতে থাকবে। মাসের শেষার্ধে গিয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচেও নামবে অনেক এলাকায়। এসময় বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।

নিম্নচাপের প্রভাবে গত দুই দিন ধরে (শনি ও রোববার) রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে এখন সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসাবে অবস্থান করছে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায়।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। এসময় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চাঁদপুরে ৬২ মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে যেতে পারে। সুস্পষ্ট লঘুচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ সময় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সোমবার এ সতর্কতা সংকেতও নামিয়ে ফেলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, নিম্নচাপ কেটে গেছে, মেঘাচ্ছন্ন আকাশও পরিষ্কার হবে সোমবার থেকে। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর ছাড়া সর্বত্র মেঘমুক্ত আবহাওয়া থাকতে পারে; বৃষ্টির প্রবণতাও কমবে। জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় শীতের অনুভূত ছিল দুইদিন। তবে কয়েকদিন পর থেকে রাতে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। তিনি জানান, তাপমাত্রা কমতে থাকায় মাসের দ্বিতীয়ার্ধে কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহও বিরাজ করবে।

সোমবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে ।

দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসের বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এ মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়সাস) শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা তীব্র (৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় অন্যান্য জায়গায় এক থেকে দুটি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে সার্বিকভাবে জানুয়ারি মাসের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়সি বেশি থাকতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আলোচনায় একাদশ সংসদ নির্বাচন

ন্যাশনাল ডেস্ক : একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছর ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ। এ হিসাবে নির্বাচনের বাকি এখনও পুরো একবছর। তবেই ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুরু হয়ে গেছে আলোচনা ও নির্বাচনি প্রচারণা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটসহ রাজনৈতিক দলগুলো প্রাকাশ্যে শুরু করেছে নির্বাচনি প্রস্তুতি। কোনও কোনও দল প্রার্থীর নামও ঘোষণা দিতে শুরু করেছে। দলগুলোর সম্ভাব্য ও প্রত্যাশিত প্রার্থীরাও চষে বেড়াচ্ছেন নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকা। নিয়মিত চালাচ্ছেন গণসংযোগ। অংশ নিচ্ছেন সামাজিক-রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। অবশ্য রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে তাদের আলাদা কোনও প্রস্তুতি এই মুহূর্তে নেই। তবে, রাজনৈতিক দল হিসেবে সব সময়ই নির্বাচনমুখী প্রস্তুতি থাকে।
আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি
আওয়ামী লীগের আলোচনায় এখন জাতীয় নির্বাচন। সরকার গঠনে হ্যাট্রিকের রেকর্ড করতে একাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রস্তুতি আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি দলটিতে। ক্ষমতাসীন দলটি আগামী নির্বাচন মাথায় রেখে সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেষ করার ওপর গুরুত্বারোপ করছে। দলের পক্ষ থেকে জনগণের সঙ্গে সম্পর্কে উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। নেতাকর্মী ও এমপিদের জনসম্পৃক্ত হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। জনপ্রতিনিধিদের স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকা-গুলো দেখভাল করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলছে প্রার্থী যাচাই-বাছায়ের কাজ। নির্দিষ্ট সময়ের বিরতিতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ওপর জরিপ কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান এমপি ও মনোনয়ন-প্রত্যাশীরা নির্বাচনি এলাকায় বেশি বেশি সময় দিচ্ছেন। দলের শীর্ষপর্যায় থেকে বাড়ি-গ্রাম-গঞ্জ, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলায় উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমান এমপিসহ মনোনয়ন-প্রত্যাশীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এতে নির্বাচনি প্রচারণা উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের সর্বস্তরে চলছে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আর বেশি সময় বাকি নেই। রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রস্তুতি নিতেই হবে। তাই নির্বাচনের প্রস্তুতি আমাদের দলে চলছে।’
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগে সব সময়ই নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়েই রাখে।’ তিনি বলেন, ‘একটি নির্বাচন গেলেই আরেকটি নির্বাচনের প্রস্তুতি মাথায় নিয়েই এগিয়ে যায় আওয়ামী লীগ। এটাই এই দলের বৈশিষ্ট্য।’
নির্বাচন নিয়ে ভাবনা বিএনপির
বিএনপির সূত্রগুলো জানায়, আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা আলোচনা, পর্যালোচনা শুরু হলেও মূলত আগাম আলোচনার মূল উদ্দেশ্য নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা। নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতেই বিদেশি সংস্থা বা বিদেশি রাষ্ট্রগুলো সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হবে।
এদিকে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ও আন্দোলনÑ দুই প্রস্তুতিই শুরু করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা জানান, বিগত ২০১৪ সালের আগে নির্বাচনি লিস্টে যাদের নাম ছিল, এর মধ্যে ১০০টি আসন পরিবর্তন হবে। বর্তমানে ভেতরে-ভেতরে নির্বাচনি প্রস্তুতি চলছে দলটিতে। যোগাযোগ বাড়ানো হচ্ছে নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে। মনোনয়ন-প্রত্যাশীরা ঘন ঘন যাতায়াত করছেন গুলশানে।
জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘নির্বাচনের আর মাত্র একবছর বাকি। এখনই নির্বাচনি আলোচনা শুরু হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, নির্বাচনি প্রস্তুতি তো সারা বছরই থাকে। আর বড় দল হিসেবে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশে বা বিদেশে যে বা যারাই কথা বলুক, এটা হচ্ছে সরকারের প্রতি আহ্বান যে গণতান্ত্রিক নিয়মেই নির্বাচন করতে হবে।’
সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, ‘যেকোনও দেশেই নির্বাচনের একবছর আগে থেকেই আলোচনা শুরু হয়। এটা তেমন ব্যতিক্রম নয়। আলোচনা হবে। আগামী দিনে আরও দেশে-বিদেশি সংস্থা, রাষ্ট্র কথা বলবে।’
সাখাওয়াত হাসান জীবন আরও বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি বিএনপিতে শুরু হয়েছে। এটা আলাদা করে দেখার কিছু নেই। রাজনৈতিক দল হিসেবে সবাই নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।’
জাতীয় পার্টির প্রস্তুতি
নির্বাচনি প্রস্তুতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তুলনায় এক ধাপ এগিয়ে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। এর আগে নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ‘সমাঝোতার মাধ্যমে’ নির্দিষ্ট-সংখ্যক আসনে নির্বাচন করলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা এককভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচন করার টার্গেট নিয়ে এগুচ্ছে। দলটি ইতোমধ্যেই ৩০০ আসনের নির্বাচন করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়েছে। বেশ কয়েকটি নির্বাচনি এলাকায় দলটির প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের মাঠের প্রার্থীরা যেন নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে পারেন, সে জন্যই তারা আগেভাগে প্রার্থী ঘোষণা করছে। পর্যায়-ক্রমে তারা অন্যান্য আসনগুলোয়ও প্রার্থিতা ঘোষণা অব্যাহত রাখবে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান সংসদের এমপি কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনি প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। কিছু কিছু আসনে প্রার্থিতাও ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে।’
আগেভাগে প্রার্থিতা ঘোষণার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘এর পেছনে অন্য কোনও কারণ নেই। আগে থেকে প্রার্থী ঘোষণা করলে ওই প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় মাঠ গোছানোর কাজ সহজ হয়।’
প্রধান এই তিনটি দল ছাড়াও অন্য দলগুলোরও ভেতরে ভেতরে নির্বাচনি প্রস্তুতি চলছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শরিকরা আগামী নির্বাচনে ‘আসন ভাগাভাগি’র ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। শরিকরা যেসব এলাকায় নির্বাচন করতে চায়, সেগুলোর প্রাথমিক তালিকাও প্রধান শরিকদের কাছে দিয়ে সেগুলো নিয়ে দর কষাকষি শুরু করেছে।
এদিকে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নতুন নতুন জোট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সম্প্রতি সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্প ধারা, কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য ও সাবেক মন্ত্রী আসম রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) যুক্তফ্রন্ট নামে নতুন জোট গঠন করেছে। এছাড়া কিছু দিন আগে ইসলামি ঘরানার দলগুলোকে নিয়ে ৫০ দলীয় জোট ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বে বিএনএ নামে নতুন জোট গঠন হয়। এই জোটটি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সমঝোতার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে সরব বিশ্ব ; বিক্ষোভের কেন্দ্রে মার্কিন দূতাবাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রবিবার বিভিন্ন দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে খোদ যুক্তরাষ্ট্রেও। দেশে দেশে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সামিল হয়েছে বিভিন্ন জাতি-ধর্ম-বর্ণের মানুষ। কোথাও রাজনৈতিক দল, কোথাও আবার স্থানীয় চার্চ, কোথাও মানবাধিকার সংগঠনের উদ্যোগে এইসব বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোথাও সেই বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠেছে বলেও খবর মিলেছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ পর্যবেক্ষণকারী ব্রিটিশ ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট মনিটর জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের মানুষ জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসেন। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন শত শত মানুষ। অনেকে আবার ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জায়নবাদবিরোধী ইহুদিরাও ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মিসিসিপিতে সিভিল রাইটস মিউজিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা শুনে অনেকে তা বর্জন করার ঘোষণা দেন। তারা ট্রাম্পকে বর্ণবাদী আখ্যা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংগঠন দ্য ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট ফর কালারড পিপল (এনএএসিপি) ট্রাম্পকে ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিনিদের জন্য কিছু করেননি।
ব্রিটেনে হাজার হাজার মানুষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। লন্ডন, ম্যানচেস্টার ও বার্মিংহামসহ দেশটির প্রায় ১০টি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। লন্ডনে মার্কিন দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়।
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রার্থনার আয়োজন করে দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি গির্জা। এ উদ্যোগ গ্রহণকারী গির্জার নেতাদের একজন রেভেরেন্ড নোতুথুকু নোকোসি। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার খ্রিস্ট ধর্মীয় গুরু হিসেবে আমরা আশা করছি ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তার অবশ্যই নিরসন হতে হবে। আমরা ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের দুর্ভোগের কথা বললেও আমরা জানি একজন ফিলিস্তিনি যে ধর্মেরই হোক না কেন তাকে ইসরায়েলের দমন-পীড়নের শিকার হতে হয়।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মিসরের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভের একটি অনুষ্ঠিত হয়েছে কায়রোতে জার্নালিস্ট সিন্ডিকেটের সামনে। সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হামদীন সাবাহি, মানবাধিকারকর্মী তারিক আল-আওয়াধি এবং কেফায়া আন্দোলনের প্রতিনিধিরাসহ উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা এ বিক্ষোভে অংশ নেন। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সরব ভূমিকা না থাকায় নিন্দা জানিয়েছেন তারা। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোবকারীরা বলেন, ‘দুঃখিত ফিলিস্তিন, আমরা এক জায়নবাদী সরকারের শাসনাধীন আছি।’
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে লেবানন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে রবিবার বিক্ষোভকারীরা দেশটির রাজধানী বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দিয়েছে পুলিশ। এসময় বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ওপর জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে।
জেরুজালেম ইস্যুতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রবিবার ইন্দোনেশিয়ায়ও ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা দেশটির রাজধানী জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে গিয়ে ট্রাম্পের এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। ইন্দোনশিয়ার ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল পিকেএস এর আয়োজন করে।
শেহাব.পিএস এর প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার চেচেন প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট রমজান কাদিরভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জেরুজালেমকে জায়নবাদী রাষ্ট্রের রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে ‘রক্তাক্ত সংঘাতের প্রান্তে’ ঠেলে দিচ্ছেন। কাদিরভের আশঙ্কা, এর মধ্য দিয়ে আরও শক্তিশালী ও সংগঠিত ইন্তিফাদা শুরু হবে এবং তা বিস্তৃত হয়ে যুদ্ধে রূপ নেবে।
চলতি মাসের শেষের দিকে বৈঠক করার জন্য মিসরের কপটিক চার্চকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তবে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়ে সেই অনুরোধ নাকচ করে দিয়েছে কপটিক চার্চ। মিসরে প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টানদের নেতৃত্বের পক্ষ থেকেও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রোটেস্ট্যান্ট কমিউনিটি অব ইজিপ্ট এর প্রেসিডেন্ট রেবেরেন্ড আন্দ্রিয়া জাকি শুক্রবার দৃঢ়ভাবে জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের শহর হিসেবে উল্লেখ করেন। এ প্রশ্নে সোচ্চার হওয়ার জন্য বিশ্বের দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার সিরিয়ার ইয়ারমুকের শরণার্থী শিবিরেও বিক্ষোভ হয়েছে। তারা ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একইদিন তুরস্কের ৩৯টি এলাকায় ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।ট্রাম্পের ওই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে পুরো বিশ্বে। প্রতিবাদ বিক্ষোভের মুখে তিউনিসিয়ায় মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার সঙ্গে মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্ক ছিন্নের প্রস্তাব দিয়েছে আফগানিস্তানের পার্লামেন্ট। ট্রাম্পের ওই ঘোষণার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে রাশিয়া, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, লেবাননসহ বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। শুধু প্রতিবাদে সীমাবদ্ধ না থেকে জেরুজালেম ইস্যুতে মুসলিম দেশগুলোকে গঠনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কাতার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সোমবার আবারও মাঠে নামবে রংপুর-কুমিল্লা

বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যায় আবারও মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স। বৃষ্টির কারণে রবিবার দীর্ঘ সময় খেলা বন্ধ থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কমিটি। তবে আজ যেখান থেকে খেলা বন্ধ হয়েছে, ঠিক সেখান থেকে আবারও খেলা শুরু হবে।

এর আগে, রবিবার সন্ধ্যায় টস জিতে রংপুর রাইডার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুমিল্লা। তবে খেলা শুরুর ৭ ওভারের মাথায় বৃষ্টি বাগড়া দিলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এই সময়ে জনসন জনসন চার্লসের ৪৬ রানের ওপর ভর করে এক উইকেট হারিয়ে রংপুর রাইডার্স তুলতে সক্ষম হয় ৫৫ রান। তবে ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইলকে হারাতে হয়েছে রংপুরকে। ফলে রংপুরের হয়ে আগামীকাল ব্যাটিংয়ে নামবেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস ও ব্রান্ডন ম্যাককালাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আদার অজানা গুণাগুণ!

নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাসে মারাত্মক বেশ কিছু রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আদার গুণাগুণ এবং শারীরিক সমস্যা নিরাময়ে আদার ব্যবহার সকলেরই জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। জেনে নিন আদার অজানা গুণাগুণ-

১. বমিভাব বা বমি হচ্ছে অনেক? আদা কুচি করে চিবিয়ে খান অথবা আদার রসের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করুন। তাৎক্ষণিক সমাধান পেয়ে যাবেন।

২. উল্টাপাল্টা এবং বেশি ভাজাপোড়া খাবারের কারণে বুকজ্বলার সমস্যা হুট করেই শুরু হতে পারে। এক কাজ করুন, ২ কাপ পানিতে ২ ইঞ্চি আদা ছেঁচে জ্বাল দিয়ে চায়ের মতো তৈরি করে পান করুন। বুকজ্বলা কমে যাবে।

৩. আদার রস ব্যথানাশক ঔষধের মতো কাজ করে। সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন আদার রস অথবা পান করে নিতে পারেন, দুভাবেই ভালো উপকার পাবেন।

৪. নতুন আদার সাথে আধা সেদ্ধ ডিম খাওয়ার অভ্যাস পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করে।

৫. আদা হজমে সমস্যা সমাধান করে এবং পেটে ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে।
প্রতিদিন সকালে ১ কাপ আদা চা পান করলে পুরোদিন পেট ফাঁপা বা বদহজম থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বিভিন্ন আয়োজনে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অফ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর জেলা শাখার উদ্যোগে এক মানববন্ধন, বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের পুরাতন কোর্ট আইনজীবী ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্ত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার চেয়ারম্যান মো: সাকিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাডভোকেট শাহনওয়াজ পারভীন মিলি, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হোসেন, জেলা সৈনিক লীগের সভাপতি মাহমুদ আলী সুমন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বরসা এনজিও এর সহকারী পরিচালক নাজমুল আলম মুন্না, মানবাধিকার সংস্থা হেড এর নির্বাহী পরিচালক লুইস রানা গাঈন, সাংবাদিক ইফরাদ হোসেন ইমন, চুপড়িয়া মহিলা সংস্থার সভানেত্রী মরিয়ম মান্নান, শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বিশিষ্ট সমাজসেবিকা সালমা বেগম। এ সময় প্রধান অতিথিসহ সকল অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় প্রধান অতিথি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মানবাধিকার রক্ষা করতে হলে সবার আগে নিজের অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে এবং সচেতন হতে হবে। বক্তব্য, সেমিনার, অনুষ্ঠান করে মানবাধিকার রক্ষা করা যাবে না এর জন্য চাই নিজ নিজ অবস্থান বজায় রেখে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
এ সময় জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সমাজ আজ দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ। আমরা এমন এক সমাজে বাস করছি যেখানে দুর্নীতিতে প্রতিরোধ করার লোকসংখ্যা খুবই নগণ্য। নিজ নিজ অবস্থান থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধ না করলে সমাজ পরিবর্তন হবে না। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ছেলে মেয়েরা পড়াশুনার নামে কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, একটু খবর নেন, তাদের চলাফেরায় লক্ষ রাখুন।
উক্ত আলোচনা সভায় এ্যাডভোকেট সরদার সাইফ এর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান বিপুল, শোভাযাত্রার নেতৃত্বে ছিলেন জি. এম নাজমুল আরিফ সাহেদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেষ রক্ষা হলো না জেলা পরিষদের মাহাবুবের! বদলি ঠেকাতে করা রিট খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের বহুল আলোচিত প্রভাবশালী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস.এম মাহাবুবর রহমান বদলি ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট করেও তার শেষ রক্ষা হলো না। মহামান্য হাইকোর্ট ডিভশনের বেঞ্চ তার রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে তাকে পূর্বের বদলির অর্ডার বহাল থাকছে এবং তাকে বদলিকৃত কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে।
এদিকে, রবিবার বিকালে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের নোটিশ জারিকারক নোটিশটি নিয়ে জেলা পরিষদে গেলে নোটিশ জারীকারককে আটকে রেখে নোটিশটি ভূয়া বলে আখ্যায়িত করেন বিতর্কিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুব। এসময় মাহবুবুর রহমান জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলামকে বলেন, স্যার দেখেন নোটিশটি ভূয়া। এতে হাইকোর্ট বেঞ্চের সিলসহি নেই। এব্যাপারে জেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, জেলা পরিষদের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহরে মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান স. ম আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমাখানা। জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত এসএম মাহবুবুর রহমান একই স্থানে ২৭ বছর কাজ করার সুবাদে পেশি শক্তিকে ব্যবহার করে তিনি তার বাবার নামে এ প্রতিষ্ঠান তৈরি করে জেলা পরিষদ থেকে নেওয়া ও প্রকল্প বরাদ্দ বাবদ কয়েক কোটি টাকা শিক্ষক- কর্মচারিদের বেতন, শিক্ষার্থীদের বোর্ডিং খরচ ও অবকাঠামো উন্নয়নের নামে বেআইনিভাবে এসব টাকা অপচয় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা ইন্টারমিডেট হয়েও তিনি ষাটলিপিকার থেকে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এখানেই শেষ নয় চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে একটানা ২৭ বছর চাকরি করছেন। তার এ খুটির জোর কোথায়? সচেতন মহলের দাবি ঐ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে আইনের আনতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক মামলা হওয়া উচিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest