সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

সাতক্ষীরায় পুলিশের সংবাদ সম্মেলন; আনসার উল্যাহ বাংলা টিমের ২ সদস্য আটক ও গুলি উদ্ধার

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরায় পুলিশের অভিযানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জেএমবি আনসার উল্যাহ বাংলা টিমের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ৫০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি।
সোমবার রাতে আটক আনসার উল্যাহ বাংলা টিমের দুই সদস্যকে সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
আটককৃত বাংলাটিমের দুই সদস্যরা হলেন, সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের মৃত হামিদুন্নবীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বাবলু (৪০) ওরফে আক্তার ওরফে সাদ এবং একই এলাকার আবুল খায়ের ঢালীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম ঢালী (২৫)। তারা পেশায় কৃষক।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজাদ্দুর রহমান দুপুর ১২ টায় এক প্রেস ব্রিফিং এ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ হেডকোযাটার্স ঢাকার এল আই সি শাখার একটি টিম, বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি টিম ও সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তারের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম নাশকতা ও জঙ্গি তৎপরতার তথ্যের ভিত্তিতে সদর উপজেলার ভাদড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় আশরাফুলের বাড়ির রান্নাঘরের পাশ হতে ৫০ রাউন্ড পিস্তলের গুলিসহ আশরাফুলকে তার বাড়ি হতে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বাবলুকেও তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, তারা উভয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জঙ্গি। আনসার উল্যাহ বাংলা টিমের সাথে তাদের কার্যক্রম। দুই বছর আগেই ঢাকার মীরপুর এলাকার গোপন আস্তানা থেকে তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। সাতক্ষীরায় নানাবিধ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও নাশকতার পরিকল্পনা করার জন্য অস্ত্র ও গুলি মজুদ করে রেখেছিল এবং তারা একটি স্বার্থান্বেষী অপশক্তির দ্বারা মদদ পুষ্ট।
প্রেস ব্রিফিং এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে দেশ ব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরায় ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা বিএনপি। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহরের জজ কোর্টের সামনে থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল হাসানের নেতৃত্বে উক্ত ঝটিকা মিছিলটি বের হয়। বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ সময় বিএনপি চেয়াপর্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবী জানানো হয়। পরে মিছিলটি খুলনা রোডে মোড়ে যাওয়ার আগেই পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে নেতা-কর্মীরা ছত্র ভঙ্গ হয়ে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২১ গুণীকে একুশে পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১ গুণীকে একুশে পদক প্রদান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সমাজসেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পদক প্রদান করা হয়েছে।

চলতি বছরের একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন: অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অভিনেতা হুমায়ূন ফরিদী (মরণোত্তর), ইলিয়াস কাঞ্চন, আ. জা. ম. তকীয়ুল্লাহ (মরণোত্তর), অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম, শেখ সাদী খান, সুজেয় শ্যাম, ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, মো. খুরশীদ আলম, মতিউল হক খান, বেগম মীনু হক (মীনু বিল্লাহ), হুমায়ুন ফরিদী (হুমায়ুন কামরুল ইসলাম), নিখিল সেন (নিখিল কুমার সেনগুপ্ত), কালিদাস কর্মকার, গোলাম মুস্তাফা।

সাংবাদিকতায় একুশে পদক পেয়েছে হয়েছেন রণেশ মৈত্র। গবেষণায় ভাষা সৈনিক প্রফেসর জুলেখা হক। অর্থনীতিতে ড. মইনুল ইসলাম, সমাজসেবায় ইলিয়াস কাঞ্চন। ভাষা ও সাহিত্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম খান (কবি হায়াৎ সাইফ), সুব্রত বড়ুয়া, রবিউল হুসাইন ও মরহুম খালেকদাদ চৌধুরী।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হচ্ছে একুশে পদক। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত বছরের ৮ আগস্ট সংশোধিত ‘জাতীয় পুরস্কার/পদক সংক্রান্ত নির্দেশাবলী’তে স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের অর্থ বৃদ্ধি করে।এর আগে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্রের সঙ্গে এক লাখ টাকা দেওয়া হত। অর্থ বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আফগানিস্তানের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

জিম্বাবুয়েকে ১৪৬ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজ ৪-১ এ জিতে নিয়েছে আফগানিস্তান। যেন আফগানিস্তানের কাছে দাঁড়াতেই পারলো না এক সময়ের শক্তিশালী দল জিম্বাবুয়ে।

দুবাইর শারজাহতে সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেয় মোহাম্মদ শাহজাদ। দ্বিতীয় উইকেটে ১২৯ রানের জুটি গড়েন জাভেদ আহমাদি (৭৬) ও রহমত শাহ (৫৯)। দুইজনেই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।

কিন্তু এরপরই ঘটে ছন্দপতন। ১ উইকেটে ১৪২ থেকে হঠাৎ ধসে আফগানিস্তানের স্কোর পরিণত হয় ১৭৭/৭। সেখান থেকে দলকে আড়াই শ রানের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব রশিদ খান ও শরাফউদ্দিন আশরাফের। শেষমেষ ২৪১ রান করে তারা।

আফগানদের দেওয়া ২৪২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। দলটি ৩২.১ ওভারে মাত্র ৯৫ রানে অলআউট হয়। সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন ক্রেইগ আরভিন। ২৭ রান করেন টেইলর।

১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের সেরা বোলার লেগ স্পিনার রশিদ। দুটি করে উইকেট নেন আশরাফ ও মোহাম্মদ নবি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আব্দুল জলিল: যশোর র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় অভিযান চালিয়ে দুটি পিক-আপ ভর্তি বিপুল পরিমান ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গা আটক করেছে। এ সময় পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে পাটকেলঘাটা থানার কুটিঘাটা বাজার এলাকা থেকে মালামাল গুলো আটক করা হয়।
র‌্যাব ৬ এর অপারেশন অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা তার নেতৃত্বে পাটকেলঘাটর কুটিঘাটা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে ভারত থেকে নিয়ে আসা দুটি পিকআপ ভর্তি ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গা আটক করা হয়। চোরাকারবারিরা ভারত থেকে মালামালগুলো এনে ঢাকায় পাচার করছিল। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত মালামালের মুল্য প্রায় এক কোটি টাকা বলে তিনি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুর্নীতি বন্ধে কঠোর আইজিপি; আতঙ্কে দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ কর্মকর্তারা

অনলাইন ডেস্ক: দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ তাদের কড়া নজরদারিতে রেখেছেন নবনিযুক্ত আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। পাশাপাশি নিয়োগ, বদলি এবং পদোন্নতিতে কোনো ধরনের তদবির গ্রহণ করা হবে না বলেও হুশিয়ারি করে দিয়েছেন পুলিশপ্রধান।

তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর হবে। ইতিমধ্যে পুলিশ ইন্টারনাল ওভারসাইডের (পিআইও) মাধ্যমে খোঁজখবর নেয়া শুরু হয়েছে। রোববার থেকে তৎপরতা বেড়ে গেছে পিআইও দফতরের।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি আবদুল্লাহ হীল বাকী এবং ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে কাজ শরু করেছেন এ দফতরের কর্মকর্তারা। প্রায় দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তার প্রোফাইল নিয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র মতে, পুলিশ সদর দফতর মনে করে ঘুষ, দুর্নীতি ও মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে হলে সংশ্লিষ্ট ডিআইজি, কমিশনার ও এসপিদের সৎ থাকা জরুরি। কিন্তু দায়িত্বশীল অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর স্পষ্ট হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, কেউ কেউ ঘুষ-দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এছাড়া তারা নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ায় মাদক ব্যবসা বন্ধ করা যাচ্ছে না।

কারণ যেসব ওসি বা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি বা পোস্টিং নেন তারা কর্মস্থলে যোগদান করেই ওই টাকা উঠাতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। এজন্য মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজশ করেন। পুলিশের কয়েকজন ডিআইজি, কমিশনার এবং এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অবৈধ লেনদেনের বিস্তর অভিযোগ জমা হয়েছে।
এ তালিকায় রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, ভোলা, যশোর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রংপুর, মুন্সীগঞ্জ, শেরপুর এবং ঝিনাইদহসহ কয়েকটি এলাকার পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে।

এদিকে রোববার পুলিশ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়েছেন পুলিশের নবনিযুক্ত আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। ওই ক্রাইম কনফারেন্সের বরাত দিয়ে সূত্র জানায়, পুলিশের ঘুষ ও দুর্নীতির কারণে দেশে মাদক ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না।

পুলিশ বাহিনীতে লোকবল নিয়োগ, পদায়ন ও বদলিতেও ঘুষ লেনদেন হচ্ছে। এই ঘুষের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতারাও জড়িত। সভায় পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, কোনো কোনো থানায় নতুন ওসি যোগদান করতে হলে তাকে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়।

শুধু ওসি নন, এসআই ও এএসআই বদলি করতেও লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এত টাকা ঘুষ দেয়ার পর ওই কর্মকর্তা মাদকের সঙ্গে যুক্ত হবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া ঘুষের এই অর্থ তিনি তুলবেন কী করে? ডিসি বিপ্লব কুমার আরও বলেন, জেলার এসপিরা যদি ওসির কাছ থেকে টাকা নেন, তাহলে ওসিকে মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে বলবেন কীভাবে?
মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও ডিআইজিরা টাকার বিনিময়ে পুলিশ সদস্য নিয়োগ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের যোগসাজশের কারণে মাদক বন্ধ হচ্ছে না।

ক্রাইম কনফারেন্সে অভিযোগ করা হয়, বেশির ভাগ ডিআইজি এক থানা থেকে আরেক থানায় ওসিদের পোস্টিং দেন টাকার বিনিময়ে। এসআই বদলি করতে লাখ লাখ টাকা নেন। কনস্টেবল থেকে এএসআই পদে পদোন্নতি দিতেও লাখ লাখ টাকা ঘুষ নেন। বলা হয়, কনস্টেবল নিয়োগে এসপির ঘুষ নেয়া বন্ধ করতে পারলে অনেক দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়। এ সময় দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তার মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যায়। কনফারেন্স শেষে বিক্ষুব্ধদের অনেকে বলতে থাকেন, এভাবে ওপেন মিটিংয়ে যে ধরনের আলোচনা হলো তা শুভ লক্ষণ নয়।

সভায় পুলিশের আইজি জাবেদ পাটোয়ারী কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কোনো পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের দায়ভার প্রতিষ্ঠান বহন করবে না। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সামনে ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগে কোনো রাজনীতিবিদদের কথা না শোনার আহ্বান জানিয়ে এসপিদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, এ নিয়োগ নিয়ে কোনো পুুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অবৈধ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেলে বিন্দুমাত্র ছাড়া দেয়া হবে না। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে প্রত্যেক জেলায় পুলিশ সদর দফতর থেকে এসপি এবং অতিরিক্ত এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা পাঠানো হবে বলেও আইজি জানান।

তিনি বলেন, যেসব পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কনস্টেবল নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখাকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন। রোববারের ক্রাইম কনফারেন্স ও এর পরবর্তী করণীয় বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স) মনিরুজ্জামান বলেন, ঘুষ-দুর্নীতির বিষয়ে যে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে পারব না। তবে এটুকু নিশ্চিত যে, মাদক বন্ধে পুলিশ সদর দফতর সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। এর সঙ্গে কোনো আপস নেই। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
সূত্র: যুগান্তর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অক্সফোর্ড ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা

‘বাংলাদেশে আমার প্রথম সপ্তাহে দেশটির একজন নাগরিক আমাকে বলেছিলেন যে আমি অনেক বাংলাদেশির চেয়ে ভালো লিখি। এ মূল্যায়ন নিঃসন্দেহে অবাস্তব। তবে হয়তো তিনি বুঝিয়েছিলেন যে আমার লেখা বাংলা বেশি খারাপ না। এটুকুই যে পারি, তার কৃতিত্ব ড. উইলিয়াম রাদিচের।’ আমাজন ডটকমে রাদিচের লেখা বই ‘টিচ ইওরসেলফ বেঙ্গলি বুক’ গ্রন্থের মূল্যায়ন করতে কথাগুলো লিখেছেন একজন ক্রেতা। বাংলা ভাষার গুণমুগ্ধ এই বিদেশি নাগরিক আরো একজন ভিনভাষী বাংলা লেখকের লেখা বই পড়তে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলা শেখায় আগ্রহী অন্য ভাষাভাষীদের। ডক্টর হানা রুথ থমসন। আমাজনে ড. হানা রুথের লেখা বেশ কয়েকটি বাংলা শিক্ষার বই বিক্রি হতেও দেখা যায়। উইলিয়াম রাদিচে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে বাংলার অধ্যাপক। ডক্টর হানা রুথ থমসন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক।

পেশা সূত্রে বাংলাদেশ বা বাংলা ভাষার সঙ্গে সম্পর্কিত বিদেশিরা ইংরেজিতে লেখা বিভিন্ন বই পড়ে বাংলা ভাষা যেমন রপ্ত করছেন, বিদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও রয়েছে স্বল্প থেকে দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে বাংলা শেখার সুযোগ; যার মধ্যে আছে অক্সফোর্ড, ইয়েল, হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে নিউজিল্যান্ডের ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির মতো খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ‘লার্নিং ইলিমেন্টারি বেঙ্গলি’ ও ‘মডার্ন বেঙ্গলি লিটারেরি টেক্সটস’ নামের দুটি কোর্স। ফ্যাকালটি অব ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের অধীন অক্সফোর্ডে বাংলা শেখানো হচ্ছে। অক্সফোর্ড বলছে, মূলত মাস্টার অব স্টাডিজ অথবা এমফিলের শিক্ষার্থীদের জন্য এলিমেন্টারি বেঙ্গলি কোর্সটি পরিচালিত হয়। বাংলা শিক্ষার হাতেখড়ি হয় রাদিচে লিখিত ‘টিচ ইওরসেলফ বেঙ্গলি বুক’ বইটি দিয়ে। অক্সফোর্ডের সাইটে দেওয়া (http://intranet.orinst.ox.ac.uk/isa/bengali_language.html) প্রসপেক্টাসে লেখা হয়েছে তাদের ‘আধুনিক বাংলা সাহিত্য পাঠ’ কোর্সে ‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ চট্টোপাধ্যায় প্রভৃতিসহ কম পরিচিত লেখকদেরও রচনাও পড়ানো হচ্ছে।’

অক্সফোর্ড শিক্ষার্থীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সংসদ বাংলা-ইরেজি অভিধান, সংসদ ইংরেজি-বাংলা অভিধান, জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের ‘বাংলা ভাষার অভিধান’ (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড), সুকুমার সেনের ‘অ্যান এটিমোলজিক্যাল ডিকশনারি অব বেঙ্গলি ১০০০-১৮০০ এ.ডি.’ পড়ার পরামর্শ দিয়েছে। নেই বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘বাংলা বানান অভিধান’।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বার্কলে) প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চতর—তিন স্তরে বাংলা কোর্স পরিচালনা করছে ‘ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়া স্টাডিজ’-এর আওতায়। তাদের সাইটে (https://southasia.berkeley.edu/berkeley-bangla-initiative) বলা হয়, আমেরিকার উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ই বাংলা শিক্ষাদানে এগিয়ে রয়েছে। তাদের বাংলার সংস্কৃতি ও সাহিত্য কোর্সে উনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৪৭-এর উপমহাদেশ ভাগ এবং ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস পড়ানো হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের প্রকাশনায় জানাচ্ছে। এদিকে নিউ ইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলের প্রি-কে ক্লাস পর্যায়ে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে অতি সম্প্রতি বাংলা অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। জ্যামাইকার একটি স্কুলে নতুন শিক্ষাবর্ষে এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খৎনা করলে ৬ বছরের কারাদণ্ড, তীব্র ক্ষোভ

প্রথম কোনো ইউরোপীয় দেশ হিসেবে খৎনা নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করছে আইসল্যান্ড। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংসদে একটি বিল আনার পর তা নিয়ে দেশটির ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

আইসল্যান্ড সরকার মূলত পরিকল্পনা করছে চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো কারণে যেন খৎনা না করা হয়।

এরআগে ২০০৫ সালে আইসল্যান্ড এফজিএম (ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন) বা মেয়েদের যৌনাঙ্গ ছেদ নিষিদ্ধ করেছে।

সংসদে যে খসড়া বিলটি আনা হয়েছে সেখানে চিকিৎসা বাদে অন্য কোনো কারণে খৎনার জন্য শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে। সে শাস্তি হলো ছয় বছর কারাদণ্ড।

বিলে বলা হয়েছে, খৎনার মাধ্যমে শিশুদের অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। অন্যদিকে এটি নিষিদ্ধ করা ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব করার সামিল বলে অভিযোগ করছে মুসলিম ও ইহুদি সংগঠনগুলো।

আইসল্যান্ডের প্রগ্রেসিভ পার্টির সাংসদ সিলজা ডগ গানারসডটির বলছেন, এটি কারও ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতার বিষয় নয়, বরং এটি শিশুদের অধিকারের বিষয়। প্রত্যেকেরই অধিকার আছে তিনি কি বিশ্বাস করবেন বা করবেন না। কিন্তু শিশুদের অধিকারকে সবার ওপরে স্থান দিতে হবে।

আইসল্যান্ডের ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের ইমাম আহমাদ সিদ্দিক এ বিলের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এটি আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের অংশ। এটাতো আমাদের ধর্মে হাত দেয়ার সামিল। আমি মনে করি এটি ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন।’

নরডিক ইহুদি কমিউনিটিজ এক বিবৃতি দিয়ে বিলটির নিন্দায় বলছে, ইহুদি ধর্মবিশ্বাসের সবচেয়ে কেন্দ্রীয় একটি রীতিকে এতে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। আপনারা ইহুদী ধর্মকে এমনভাবে আক্রমণ করতে যাচ্ছেন যা সারা বিশ্বের ইহুদিদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকাভিকের বিশপ অ্যাগনেস এম সিগুরোয়ারডটির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে এরকম বিল পাস হলে আইসল্যান্ডের মুসলিম এবং ইহুদিদের মনে এমন ধারণা তৈরি হতে পারে এই দেশটিতে তাদের আর জায়গা হবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest