সর্বশেষ সংবাদ-
ঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৯০ দশক ছাত্রদলের দোয়াশ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

রোহিঙ্গা নিপীড়ন; কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ইউরোপ

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিষয়ে ঘোষিত কঠোর পদক্ষেপের বিষয়ে প্রস্তাব পাস করতে আজ বৈঠকে বসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ইইউ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলের এ বৈঠকে বসবেন ইউরোপের ২৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বৈঠকে রোহিঙ্গা নিপীড়নে দায়ী মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে একটি প্রস্তাব আসতে পারে। যাদের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, তাদের নামের একটি তালিকা করতে ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধানকে অনুরোধ জানানো হবে এ বৈঠকে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়, অবিলম্বে সেই প্রস্তাব সামনে আনতে ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ফেদারিকো মঘেরিনিকে বলবেন জোটের মন্ত্রীরা। মিয়ানমারের ওপর নব্বইয়ের দশক থেকে আরোপিত ইইউর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা কীভাবে আরও জোরদার করা যায়, তা খুঁজে দেখতে বলা হবে তাকে। আজ ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর এ বিষয়ে একটি বিবৃতি আসতে পারে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ১২ ডিসেম্বর থেকে গ্রেফতার রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হতে পারে ইইউর ওই বিবৃতিতে।

গত বছর ২৫ আগস্ট রাখাইনে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনাঘাঁটিতে হামলার পর সেখানে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়। রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ মানুষ পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সেনাবাহিনীর চরম নিপীড়নের বর্ণনা দিয়েছেন। জাতিসংঘ ওই সেনা অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে। ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া মিয়ানমারের মেজর জেনারেল মাউং মাউং সোয়েসহ ৫২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ডিসেম্বরে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিন নারী নোবেলজয়ী : মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তিন নারী। এর মধ্যে শনিবার ঢাকায় আসা ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান ও যুক্তরাজ্যের মেরেইড ম্যাগুয়ার গতকাল সকালে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে বিকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান। গতকাল ঢাকা এসে পৌঁছানো ইরানের শিরিন এবাদি আজ ক্যাম্পে যাচ্ছেন। নোবেলজয়ী এ তিনজন নোবেল ওমেন্স ইনিশিয়েটিভের সদস্য। তারা শান্তি, ন্যায্যতা ও সমতার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ সফরে আসা এ তিন মহীয়সী নারী দুই দিন কক্সবাজারে নিজেদের মতো করে সময় কাটাচ্ছেন।

জানা যায়, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে তাওয়াক্কুল কারমান ও মেরেইড ম্যাগুয়ার ক্যাম্পটির ইনচার্জের কার্যালয়ে মিয়ানমারে নির্যাতিত কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেন। ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে নোবেলজয়ী নারীরা কুতুপালং মধুরছড়া এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান। সেখানেও মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেন। দুই ক্যাম্পেই তারা মিয়ানমারে ধর্ষণের শিকার কয়েকজন রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে ঘটা বীভৎসতার বর্ণনা শোনেন। এ সময় নারী সংস্থা ‘নারীপক্ষ’, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ (আইওএম) বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রাপ্ত সূচি অনুসারে, কক্সবাজার ঘুরে এসে নোবেলজয়ীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তাদের। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে নারীপক্ষ আয়োজিত রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তারা। সেখানে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে নিজ নিজ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন। সফর শেষ করে আগামী ১ মার্চ তারা নিজ নিজ দেশের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রূপগঞ্জের সেই বিতর্কিত ওসি ইসমাইল বদলি

বদলি করা হয়েছে রূপগঞ্জ থানার সেই বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেনকে। গতকাল রাতে তাকে রূপগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়। তার স্থলে নতুন ওসি হিসেবে যোগদান করেছেন মনিরুজ্জামান। তিনি ময়মনসিংহ জেলা থেকে এসেছেন।

রাত ১২টায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মঈনউদ্দিন এ বদলির কথা স্বীকার করেছেন। তবে বেশ কয়েক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে বদলি করা হয়েছে। বিশেষ করে সম্প্রতি ওসি ইসমাইল হোসেনের নানা অপকর্মের খবর ফাঁস হয়ে যায়। ছাত্রদলের নেতা পরিচয়ে ইসমাইল হোসেন পুলিশে যোগ দেন।

বেশ কয়েকটি সূত্রে প্রকাশ, ইসমাইল ১৯৯৩ সালে পুলিশে যোগ দেন এসআই পদে। তখন চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন কাঞ্চন পৌর এলাকার বিএনপি নেতা ও তার ভগ্নিপতি করমউদ্দিন। চাকরির জন্য সুপারিশপত্রে স্পষ্ট পরিচয় উল্লেখ ছিল ইসমাইল নরসিংদী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক।

বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরীর মাধ্যমে তিনি চাকরিতে যোগ দেন। সম্প্রতি ওসি ইসমাইল একটি বিলাসবহুল গাড়ি নিয়েছেন আবাসন কোম্পানি প্রাইম রিভারভিউ থেকে। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর শিলমন্দিতে। সেখানে ইতিমধ্যে নামে-বেনামে ৫৬ বিঘা জমি কিনেছেন। উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের সুবাস্তু টাওয়ারে রয়েছে তার কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে রূপগঞ্জ এলাকায় ১৮টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রূপগঞ্জ জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এম এ হাসান, কাঞ্চন পৌর যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান ও ভুলতা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন হত্যাকাণ্ড অন্যতম। এ ছাড়া এলাকায় বেড়েছে ডাকাতের উপদ্রব। দিনদুপুরে ডাকাতি হলেও নীরব ভূমিকায় পুলিশ। জঙ্গি তৎপরতা রোধেও ব্যর্থ রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। কার্যত ইসমাইল হোসেনের কর্মে ব্যর্থতা ছাড়া সফলতা কম।

সূত্রমতে, ওসি ইসমাইল বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক। নিয়মিত বখরা পেতেন উপজেলার দেড় শতাধিক অবৈধ ইটভাটা আর শীতলক্ষ্যায় চলাচলরত বালুবাহী ট্রলারের কাছ থেকে। থানা এলাকায় বিভিন্ন আবাসন কোম্পানিকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে হলে নিয়মিত চাঁদা দিতে হতো ওসিকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রামপালে নতুন সুন্দরবন

বাগেরহাটের রামপালে এক হাজার ৮৩৪ একর জমির ওপর গড়ে উঠছে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর মধ্যে ৪২০ একর জমির ওপর সুন্দরবন তৈরি করছে বন বিভাগ। রোপণ করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই সবুজ বেষ্টনী ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি ঢাকার আগারগাঁওয়ে বন ভবনে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ কোল পাওয়ার কম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে বন বিভাগের চুক্তি হয়েছে। চুক্তিতে বাগেরহাট সামাজিক বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম এবং বিদ্যুৎ প্রকল্পের মুখ্য আহরণ (প্রকিউরমেন্ট) কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম স্বাক্ষর করেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধান বন সংরক্ষক মো. সফিউল আলম চৌধুরী, উপপ্রধান বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহম্মেদ, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ কোল পাওয়ার কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নরেশ আনান ও উপমহাব্যবস্থাপক প্রাতিক শিবাস্ত উপস্থিত ছিলেন।

ডিএফও মো. সাইদুল ইসলাম জানান, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ কোল পাওয়ার কম্পানি তাঁদের কাছে ৪২০ একর জমি হস্তান্তর করেছে। এসব জমির নিচু অংশে অর্থাৎ জোয়ার-ভাটা প্রবহমান নদী-খালের চরে সুন্দরবনের গরান, গেওয়া, কেওয়া, বাইন, গোলপাতা এবং সুন্দরীসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হবে। একই সঙ্গে উঁচু জমিতে বট, তমাল, নারিকেল, সুপারি, হিজল, জারুল, সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, নাগেশ্বর, দেবদারু, কড়ই, মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি গাছ রোপণ করা হবে, যা উপকূলের ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের বেগ কমিয়ে দেবে। এই বন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করবে। পশু-পাখিসহ বন্য প্রাণীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে। পাশের নদী-খালে মাছের খাবার বৃদ্ধি পাবে।

সাইদুল ইসলাম আরো জানান, সাত কোটি ৯৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ব্যয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। চলতি বছর থেকে শুরু করে ২০২০ সাল পর্যন্ত বৃক্ষ রোপণ করা হবে। দুটি মিনি নার্সারি এবং ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট থাকবে। সুন্দরবন প্রজাতির প্রতিটি গাছ তিন ফুট দূরত্বে এবং দেশি প্রজাতির গাছ ছয় থেকে ২০ ফুট দূরত্বে রোপণ করা হবে। ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে সামাজিক বন বিভাগ। তিনি বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ। এর মাধ্যমে পর্যটনের সম্ভাবনা তৈরি হবে।’

সমালোচনা

এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষিজমি রক্ষা ও সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক সুশান্ত কুমার দাস বলেন, ‘মানুষকে বোকা বানাতে ওই এলাকায় সুন্দরবন গড়ে তোলার কথা বলা হচ্ছে।’

সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘গাছ রোপণ করে বনায়ন করা সম্ভব; কিন্তু সুন্দরবন তৈরি করা সম্ভব নয়। দুই দেশের সরকার যত কথাই বলুক না কেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে ক্ষতির প্রভাব কমাতে পারবে না।’

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘প্রাকৃতিকভাবে হাজার বছর ধরে নিজে নিজেই সুন্দরবন গড়ে উঠেছে। মানুষ ইচ্ছা করলেই তা গড়ে তুলতে পারে না। গড়ে তোলার যে কথা বলা হচ্ছে, তা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা।’

রয়েছে সম্ভাবনা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও কাঠ প্রযুক্তি অনুষদের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘ওই এলাকায় সুন্দরবন গড়ে তোলা সম্ভব। সুন্দরবন প্রজাতির গাছ জন্মানোর জন্য ওই মাটি ও পানি উপযোগী। সে ক্ষেত্রে সঠিক প্রজাতির গাছ নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। দক্ষতার সঙ্গে গরানজাতীয় গাছ রোপণ করতে হবে।’

ড. মাহমুদ জানান, জোয়ার-ভাটা প্রবহমান নদী-খালের চরে প্রথম পর্যায়ে গরান, গেওয়া, কাঁকড়া, বাইন ও কেওড়া প্রজাতির গাছ রোপণ করতে হবে। পরে ধাপে ধাপে সুন্দরবনের অন্য প্রজাতির গাছ রোপণ করতে হবে। সুন্দরবন গড়ে তোলা হলে গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘উপকূলে মানবসৃষ্ট সুন্দরবন গড়ে তোলার সক্ষমতা বন বিভাগের রয়েছে।’

রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে কি না—প্রশ্ন করা হলে মাহমুদ বলেন, ‘যেকোনো স্থানে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। তবে ওই উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কী অর্জন হবে, কী ক্ষতি হবে, তা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।’

উল্লেখ্য, এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে বালু ভরাট করা হয়েছে। প্রকল্পের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। ২০২১ সালে কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সকালে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা ছোলার গুণ সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি। ছোলায় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ছোলা। কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে, কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে একই সঙ্গে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক গঠন হয়। জেনে নিন ছোলার কিছু স্বাস্থ্যগুণের কথা-

১. ডায়াবেটিসে উপকারী: ১০০ গ্রাম ছোলায় আছে ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল। ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভাল। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়া আছে ভিটামিন বি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম। এর সবই শরীরের উপকারে আসে।

২. যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে: যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। শ্বাসনালীতে জমে থাকা পুরনো কাশি বা কফ ভালো হওয়ার জন্য কাজ করে শুকনা ছোলা ভাজা। ছোলা বা বুটের শাকও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ রয়েছে এই ছোলায় ও ছোলার শাকে। ডায়াটারি ফাইবার খাবারে অবস্থিত পাতলা আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই শুধু রমজান মাস নয়, ১২ মাসেই ছোলা হোক আপনার সঙ্গী।

৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখানো হয়, যে সকল অল্পবয়সী নারী বেশি পরিমাণে ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার খান, তাদের হাইপারটেনশনের প্রবণতা কমে যায়। যেহেতু ছোলায় বেশ ভাল পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড থাকে সেহেতু ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এছাড়া ছোলা বয়সসন্ধি পরবর্তীকালে মেয়েদের হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে।

৪. মেরুদণ্ডের ব্যথা দূর করে: এছাড়াও এতে ভিটামিন ‘বি’ও আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ভিটামিন ‘বি’ কমায় মেরুদণ্ডের ব্যথা, স্নায়ুর দুর্বলতা।

৫.ক্যান্সার রোধে: কোরিয়ান গবেষকরা তাদের গবেষণায় প্রমাণ করেছেন, বেশি পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড খাবারের সাথে গ্রহণের মাধ্যমে নারীরা কোলন ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সার এর ঝুঁকি থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারেন। এছাড়া ফলিক অ্যাসিড রক্তের অ্যালার্জির পরিমাণ কমিয়ে অ্যাজমার প্রকোপও কমিয়ে দেয়। আর তা্ই নিয়মিত ছোলা খান এবং সুস্থ থাকুন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্রীদেবীর অকাল মৃত্যুর কারণ কি ‘সৌন্দর্য’ ধরে রাখার ওষুধ?

সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবী। শ্রীদেবীর আকস্মিক মৃত্যু সাধারণ মহলে এক ধরনের বিস্ময় তৈরি করেছে।

কেননা, হঠাৎ করেই প্রিয় অভিনেত্রীর মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না।

আমরা সাধারণত সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষ হঠাৎ করে মারা গেলে তাকে আকস্মিক মৃত্যু বলে থাকি বা সাডেন আনএক্সপ্লেনড ডেথ ইন অ্যাডাল্টস। অনেকেই আবার একে সাডেন অ্যডাল্ট ডেথ সিনড্রোম বলে থাকেন।

সাধারণত হার্টের অসুখকে এ ধরনের মৃত্যুর কারণ ভাবা হয়ে থাকলেও, সবক্ষেত্রে এমনটি নাও হতে পারে।

ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী ইংল্যান্ডে প্রতি বছর প্রায় ৩ হাজার ৫০০ জন এ ধরনের আকস্মিক মৃত্যুর শিকার হন, যারা কিনা আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যবান। নিহতের পোস্টমর্টেমের পরেও এদের মধ্যে ৪ শতাংশের মৃত্যুর কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে এদের অনেকেরই আপাত স্বাস্থ্যবান অবস্থায় গভীর হার্টের অসুখের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায়।

অনেকেই ভাবছেন, সাডেন আনএক্সপ্লেন্ড ডেথ ইন অ্যডাল্টস (Sudden unexplained death in Adults ) এর সংজ্ঞা কী?

আসুন জেনে নেই, সাডেন আনএক্সপ্লেন্ড ডেথ ইন অ্যডাল্টস হলো- এমন এক ধরনের আকস্মিক মৃত্যু, যেখানে রোগীর উপসর্গ শুরু থেকে মৃত্যু এত দ্রুততায় ঘটে যায় যে, চিকিৎসকের পক্ষেও রোগীর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করে বলা সম্ভব হয় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই সময়সীমা ২৪ ঘন্টা ধার্য করলেও বেশিরভাগ চিকিৎসক এবং প্যাথলজিস্ট এই সময়সীমা কমানোর পক্ষে। কেউ কেউ একে এক ঘণ্টার মধ্যে সীমিত রাখতে চান।

তবে এর আগে এ ধরনের রোগীদের মধ্যে অনেকেরই কিছু কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন: বুক ধড়ফড়, হৃদপিন্ডের ছন্দের অনিয়মিততা, হাঁফ ধরা, ক্লান্তি, বুকে ব্যথা। রোগীরা সাধারণত এগুলোকে গুরুত্ব দেন না। এদের অনেকের আকস্মিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে হার্টের কিছু রোগ যেমন- হার্টের ধমনীর অসুখ, হার্টের পেশীর অসুখ, হার্টের পেশীর প্রদাহ এইগুলি দায়ী থাকে। পোস্টমর্টেমে এগুলোই ধরা পড়ে।

হার্টের রোগ ছাড়াও স্নায়ুরোগ, জটিল এপিলেপ্সি, মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ ও টিউমার জনিত অসুখের কারণে আকস্মিক মৃত্যু হতে পারে। এ ধরনের মৃত্যু খেলোয়াড় এবং অ্যাথলিটদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। আপাত-সুস্থ খেলোয়াড়দের মধ্যে ম্যরাথন দৌড় দেওয়ার পরে কিংবা বাইচ দৌড়ের পরে আকস্মিক মৃত্যুর বহু ঘটনা রয়েছে। এ ধরনের আকস্মিক মৃত্যু সম্পর্কে প্রাচীন যুগের বিশিষ্ট চিকিৎসক হিপোক্রেটিস এবং গ্যালেন বলে গিয়েছেন।

কিছু ওষুধ থেকেও আকস্মিক মৃত্যু ঘটতে পারে। যেমন বোটক্স। এই ওষুধ মুখের মাংসপেশির কোঁচকানো ভাব দূর করতে ব্যবহার করা হয়। বোটক্স ব্যবহার করলে বিশেষ করে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের নারীদের আকস্মিক মৃত্যু হওয়ার রিপোর্ট রয়েছে। এছাড়া মানসিক অবসাদের কিছু ওষুধ যেমন সিটালোপ্রাম বেশি মাত্রায় খেলে হার্টের ব্লক ঘটতে পারে।

এগুলোর পরও এ ধরনের বহু মৃত্যুর ক্ষেত্রে সঠিক কারণ জানা যায় না।

বিশিষ্ট চিকিৎসক-গবেষকরা মত প্রকাশ করেছেন, এ ধরনের মৃত্যু নিয়ে আরো বিস্তর গবেষণার জন্য ওই সমস্ত পরিবারের জীবিত সদস্যদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিশেষ প্রয়োজন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধের চিন্তা

দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া ১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের চিন্তা-ভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আরো ২০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার কার্যক্রম সন্তোষজনক না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোট ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে শিগগিরই কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হবে।

গতকাল রবিবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।

সভা সূত্রে জানা যায়, মোট ৫১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময়সীমা পার হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ১৯টি স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু করেছে। বাকি ৩২টির মধ্যে ১২টি ন্যূনতম কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ওই সব প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের চিন্তা-ভাবনা চলছে। আর বাকি ২০টি যাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়, সেগুলোকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে আলোচনা হয়েছে। তবে ৩২টির সবটিকেই প্রথমে শোকজ দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভা শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ অবস্থা আমাদের কাছে আছে। আমরা তা পর্যালোচনা করছি। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু সবাইকে আইনের অধীনে আসতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্যই কিছু বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথমে আমরা তাগিদ দেব। তাতে কাজ না হলে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গত বছর জানুয়ারিতে সময়সীমা দেওয়ার পর ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র সাতটি স্থায়ী ক্যাম্পাসে গেছে। বাকি ৩২টির কোনোটি জমি কিনেছে, কোনোটি আংশিক কার্যক্রম শুরু করেছে স্থায়ী ক্যাম্পাসে। আবার এমন বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যারা স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বললেও কার্যক্রম ভাড়া বাড়িতে চালিয়েই যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার ব্যাপারে ২০১০ সাল থেকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে এখন পর্যন্ত ছয়বার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১২, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালেও সময় বেঁধে দেওয়া হয়। সর্বশেষ দেওয়া সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ ডিসেম্বর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাকায় ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর ও আল শামসদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে একটি ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি সংসদে বেগম নাসিমা ফেরদৌসীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে স্থাপত্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে এ স্তম্ভের স্থাপত্য নকশার খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই নকশাটি চূড়ান্ত করা হবে।

তিনি বলেন, নকশা চূড়ান্ত করার পর ডিপিপি তৈরি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।

মন্ত্রী বলেন, তবে সকল উপজেলায়, ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাওয়া গেলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুবলীগ নেতার স্ত্রীকে যৌননির্যাতন করতেন ছাত্রলীগ নেতা !

দুপুরে কুষ্টিয়ার একটি রেষ্টুরেন্টে নিজের দশ বছরের পুত্রসন্তান নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের প্রতারণা শিকার হওয়ার কাহিনী তুলে ধরেন এক নারী। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

কুষ্টিয়ার খোকসায় যুবলীগ নেতার স্ত্রীর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতার অপকর্মের কাহিনী তুলে ধরলেন ঘটনার শিকার সেই নারী। এ সময় আত্মপরিচয় নিশ্চিত এবং অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার বিচারও চান তিনি।

এর আগে ওই নারী বিয়ের দাবিতে দুই দিন অবস্থান করেন ওই ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই নারী বলেন, তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের মেয়ে। ২০০৭ সালে তার সঙ্গে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবু উবায়দা সাফির বিয়ে হয়। ২০১৭ সালে একটি মামলায় সাফি জেলে গেলে খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সায়েম হোসেন সুজন খোঁজখবর করতে তাদের বাড়িতে যান। একদিন বাড়ির লোকজনদের অনুপস্থিতিতে জোরপূর্বক যৌননির্যাতন চালান সুজন এবং ওই ঘটনা মোবাইলে ধারণ করেন।

পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেবার হুমকি ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। স্বামী জেল থেকে বের হয়ে এসে বিষয়টি টের পেয়ে তাকে তালাক দিলে তিনি ঢাকায় বাবার বাড়িতে চলে যান। সম্প্রতি সুজন অন্যত্র বিয়ে করবে বলে তাদের অন্তরঙ্গ ছবি বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে দিলে ওই নারী বিয়ের দাবিতে ঢাকা থেকে গত ২ ফেব্রুয়ারি তারিখে সুজনের বাড়িতে চলে যান।

সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বলেন, সুজন বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এরপর তালা ভেঙ্গে তিনি সুজনের বাড়ির বারান্দায় অবস্থান শুরু করেন। দু’দিনের মাথায় পুলিশ তাকে সুজনের বাড়ি থেকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। এ সময় তিনি মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা নেয়নি। পরদিন সকালে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।

পরবর্তীতে সুজনের লোকজনদের হামলা ও গণধর্ষণের হুমকিতে তিনি খোকসায় এক বান্ধবীর বাড়ীতে পালিয়ে থাকেন।

ওই নারী জানান, সুজন ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো তাকে হুমকি ধামকি দিয়েছে।

এ বিষয়ে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, ‘নিরাপত্তার সার্থে ওই নারীকে সুজনের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।’

ওই নারী কোনো ‘মামলা করেননি’ বলে দাবি করেন ওসি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest