সর্বশেষ সংবাদ-
তালায় ধানের ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত : আহত ১০শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগের র‌্যালিসাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু।সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতসাতক্ষীরার রাজ্জাক পার্কে সাশ্রয়ী মূল্যে মাসব্যাপী বসুন্ধরা পন্য বিক্রি শুরুসাতক্ষীরায় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ৫ দিন পার না হতেই একই এলাকায় আবারো ডাকাতিএস এস সি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম আহনাফ তাহসিনকারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি সমমান মর্যাদা ঘোষনার উদ্যোগে বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনসাতক্ষীরায় ১২০ লিটার ভেজাল দুধ জব্দ: দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাটকেলঘাটার কুমিরা ইউনিয়নের দাঁদপুর গ্রামের মৃত রহিম বস্ক সানার পুত্র কানা শফিকুল (৫০) ও তার ছেলে মেহেদী হাসান (২১) এর হাত থেকে বাঁচতে চায় এলাকাবাসী। একের পর এক এই কানা শফিকুলের হয়রানীর শিকার হচ্ছে এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষ। এই কানা শফিকুল একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকার খেটে খাওয়া শান্তি প্রিয় মানুষকে হয়রানী কারাচ্ছে। শুধু তাই নয় সে এবং তার ছেলে মেহেদী হাসান রাতের অন্ধকারে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের ফসল নষ্ট, পুকুরে বিষ প্রয়োগ এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাতের আধারে বহিরাগত লোক নিয়ে এলাকার লোককে রাস্তায় ধরে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া জোর দখল পূর্বক এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষের জমি জোর দখল কারার পায়তারা একের পর এক চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ভয়ে গ্রামের অনেকেরই রাতের অন্ধকারে চলাচল কারা বিপদজনক হয়ে পড়েছে। শুধু রাত নয় দিনের বেলায়ও তিনি সামান্য কিছু নিয়ে অপরের সাথে গোলযোগ সৃষ্টি করে এবং পরিবারসহ তিনি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। কানা শফিকুল বিষয়ে জানতে চাইলে অত্র এলাকার বিশিষ্ঠ পল্ট্রি ব্যবসায়ী মো : আব্দুল্লাহ বলেন, শফিকুলের জন্য আমরা এলাকায় স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারি না। অত্র এলাকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, কানা শফিকুল রাতের আধারে গ্রামের শান্তিপ্রিয় মানুষের ফসল নষ্ট করে। অত্র এলাকার মো: আব্দুল হাকিম সানা বলেন কানা শফিকুলের পক্ষে মিথ্যা মামলার স্বাক্ষী দিতে না চাইলে আসামী বানানোর হুমকি দেয়। মো: আশরাফুল ইসলাম বলেন, কানা শফিকুল এলাকার মানুষের নামে একের পর এক মিথ্যা দেয়। আনোয়ারা বেগম বলেন, কানা শফিকুল রাতের বেলায় বহিরাগত লোক নিয়ে এলাকার লোক রাস্তায় ধরে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। কানা শফিকুল বিষয়ে অত্র এলাকার মেম্বার মো: লালমিয়া চৌধুরীর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শফিকুল একটি বাজে লোক আমরা তার সাথে একাধিকবার সালিশে বসেছি কিন্তু আজও পর্যন্ত কোন সমাধান করতে পারেনি। সে কারো কথা মানেনা।
এবিষয়ে কুমিরা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কানা শফিকুল খুব বাজে লোক। শুধু আমাদের দল করে বলে কিছু বলতে পারি না। সে যেখানে বসবাস করে তার উৎপাতে ওই এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দেশের প্রশাসন মরিচা ধরা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনের অবকাঠামোগত কিছু দুর্বলতা রয়েছে। এসব দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। কিন্তু আমাদের প্রশাসন মরিচা ধরা। আমি এসব কথা অনেকদিন ধরে বলছি। কিন্তু তাতে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা একটু অখুশি হন।’
শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকালে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত মানুষের কাছে টাকা থাকলেও তারা শান্তিতে থাকতে পারবেন না। এসব বিষয় নিয়ে আমি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা পরিস্থিতির উন্নয়নে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইজারার চুক্তি ভঙ্গ করে কালিগঞ্জের কুলতলী খেয়াঘাটে বাঁশের স্যাঁকো নির্মাণের অপচেষ্টার প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের গোবিন্দকাটি বেড়িবাঁধের পাশে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দক্ষিণশ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রিয়াজউদ্দিন, মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী, আনন্দ গাইন, পঙ্কজ সরকার, দীলিপ সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কাকশিয়ালী নদীর তীরে গোবিন্দকাটি, টোনা বাঁশদহা, ঘোজাসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চিংড়ি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। নদীর তলদেশে বাঁশ পুতে স্যাঁকো নির্মাণের ফলে পলি জমে তলদেশ উঁচু হয়ে নদী ভরাট হয়ে যাবে। বন্ধ হবে জোঁয়ার ভাটা। ফলে মাছ চাষ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই যে কোন মূল্যে নদীর নাব্যতা বজায় রাখা প্রয়োজন। অথচ ৩০ ফুট গভীর খরস্রোতা ওই নদী মজা(মৃত) দেখিয়ে কুলতলী খেয়াঘাটের ইজারা গ্রহীতা জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো: আব্দুল মান্নান সেখানে বাঁশের স্যাঁকো তৈরি করার চেষ্টা করছেন। নিয়ম নীতি উপক্ষো করে তাকে স্যাঁকো নির্মাণে সহায়তার জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আনম মঈনুল ইসলাম।
তারা আরো বলেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গোবিন্দকাটিসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ প্রায় শতভাগ শিক্ষিত। এখানে দীর্ঘদিন ধরে চোর ডাকাতের উপদ্রব নেই। কুলতলীতে স্যাঁকো বা সেতু নির্মাণ করা হলে তারালীর পার থেকে চোর, ডাকাতসহ বিভিন্ন অপরাধীরা সহজে এ এলাকায় ঢুকতে পারবে। ফলে পরিবেশ নষ্ট হবে। তারা কুলতলীতে স্যাঁকো নির্মাণ না করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার খাজরা ও আনুলিয়া ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একটি বাল্য বিবাহ বন্ধ এবং নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এভিডেভিট বিয়ে ধৈধ্য প্রচার দেওয়ার অপরাধে একজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছটে মোস্তাক মোল্যার কন্যা সদ্য এসএসসি পাশ করা শবনম মুস্তারী লিজার বিয়ের আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুষমা সুলতানা ভ্রাম্যমান আদলত পরিচালনা করে বিয়ে বন্ধ করে দেন। এসময় বিয়ে অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করার দায়ে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ফজর আলীর পুত্র মোস্তাক আহমেদ ও প্রতাপনগর গ্রামের লতিফ গাজীর পুত্র আকরামকে ৫০০০ টাকা করে ১০সহাজার টাকা জরিমানা করে। পরে খাজরা ইউনিয়নের তুয়ারডাঙ্গা গ্রামে মুজিবরের কন্যা সখিনাকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে বৈধ্য বিয়ে করনো হয়েছে প্রচার দেওয়ায় সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এফিডেভিট কোন বিয়ের বৈধতা দেয়না ঘোষণা দিয়ে বর কাকবাসিয়া গ্রামের মুজিবরের পুত্র আঃ আহাদকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যের হাতে তাদেরকে জিম্মায় দিয়ে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ঘর সংসার না করতে পারে সেব্যাপারে দায়িত্ব অর্পন করা হয়।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

অপ্রতিম রহমান : মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনার প্রতি আস্থাশীল সাতক্ষীরা জেলার প্রত্যেকটি মানুষ উদ্বিগ্ন ছিল সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনোত্তর আ ’লীগের উপদলীয় কোন্দল নিয়ে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতিতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে পড়ছিল বিরূপ প্রভাব। গতকাল দ্বিতীয় দফার একটি বৈঠক শেষে তার অবসান ঘটেছে। মধুর মিলন ঘটেছে জেলা আ ’লীগের শীর্ষ নেতাদের। আর এর ফলে তৃণমূলে আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করেছে।
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পত্রিকা অফিসে ফোন করে আনন্দ প্রকাশ করছেন দলটির অসংখ্য নেতা-কর্মী। জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় ২ জন সংসদ সদস্য এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে এ মিলন ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের ৪র্থ তলায় এ বিশেষ ঘটনাটি ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন সেখানে উপস্থিত একাধিক শীর্ষ নেতা।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে ঢাকায় দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সম্প্রতি পরষ্পরকে আলিঙ্গন করে সাতক্ষীরায় ফেরেন। কিন্তু এরপরও যেন হচ্ছিল না কাক্সিক্ষত মিলন। অবশেষে দিন তিনেক আগে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলার উপস্থিত ৩ শীর্ষ নেতা আগামী ৯জুলাই খুলনায় অনুষ্ঠিতব্য দলের বিভাগীয় সম্মেলনের পূর্বে অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য জেলা আ ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমদ, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম একটি ‘এক্সক্লুসিভ’ বৈঠক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সন্ধ্যায় তারা বৃহত্তর পরিসরে নিজেদের মধ্যের মনোমালিন্যের পরিসমাপ্তি ঘটান। নেতৃবৃন্দ ৯ জুলাইয়ের সম্মেলন সফল করতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাংসদ এস এম জগলুল হায়দার, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক আবু আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন অর রশিদ, জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এস এম শহীদুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকাত হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আবু সায়ীদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাদাৎ হোসেন, শ্যামনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন, সাতক্ষীরা পৌর আ.লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো: রাশেদুজ্জামান রাশি, জেলা যুব মহিলালীগের সভানেত্রী ফারহা দিবা খান সাথী, সাধারণ সম্পাদিকা মোছাঃ সাবিহা হোসেন, নাসিমা বেগম, রুনা বেগম, শরিফা খাতুন প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ যুবমহিলা লীগের ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনাসভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টায় সাতক্ষীরা জেলা যুব মহিলালীগের আয়োজনে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা সদর সংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাংসদ এস এম জগলুল হায়দার, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক শেখ হুরুন অর রশিদ, জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এস এম শহীদুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকাত হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আবু সায়ীদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাদাৎ হোসেন, শ্যামনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন, সাতক্ষীরা পৌর আ.লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো: রাশেদুজ্জামান রাশি, জেলা যুব মহিলালীগের সভানেত্রী ফারহা দিবা খান সাথী, সাধারণ সম্পাদিকা মোছাঃ সাবিহা হোসেন, নাসিমা বেগম, রুনা বেগম, শরিফা খাতুন প্রমুখ। এসময় কেক কেটে বাংলাদেশ যুব মহিলালীগের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেন অতিথিবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর লিয়াকত পারভেজের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে সদর উপজেলার চাঁদপুর আদর্শ কলেজে বিএনপি নেতা মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতিকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত বুধবার (৫ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি কলেজ শাখা-১ এর সিনিয়র সহকারী সচিব নাছিমা খানম স্বাক্ষরিত (স্মারক নং: ৩৭.০০০.০০০.৭০.০৬.০০৫.২০১৪-২৪৭) এক পত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালককে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এতে প্রধানমন্ত্রীর ০৩.০৭৯.০১৬.০৪.০০.০২৭.২০১৬ নং স্মারকের সূত্র ধরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালককে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চাঁদপুর আদর্শ কলেজের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতির নিয়োগ প্রক্রিয়া ও এমপিওভুক্তির আবেদনের বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে ১০ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের আদেশে সূত্র হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর স্মারক নং উল্লেখ থাকার এটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর বিবেচনা করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের আদেশটিতে বিষয় হিসেবে বলা হয়েছে, “সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও সদ্য অবসরপ্রাপ্ত লিয়াকত পারভেজের যোগসাজসে সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলাধীন ভালুকা চাঁদপুর কলেজ এর অধ্যক্ষ হিসেবে বি.এন.পি নেতাকে নিয়োগ প্রদান।”

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, “কলেজ এর সভাপতি হিসেবে আমি শুধুমাত্র পরীক্ষায় যিনি প্রথম হয়েছেন তাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছি মাত্র। ডিজি এবং বোর্ডের প্রতিনিধিরা যাকে প্রথম করেছেন তাকে নিয়োগ দিয়ে আমি বরং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থেকেছি। এখানে যোগসাজসের কোন প্রশ্নই ওঠে না। আর জ্যোতির কোন রাজনৈতিক পরিচয়ও আমার জানা নেই।”

অন্যদিকে লিয়াকত পারভেজ বলেন, ‍”যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতিকে অধ্যক্ষ নিয়ো দেয়া হয়েছে। তদন্ত হলে হোক, কোন সমস্যা নেই।”

উল্লেখ্য, জ্যোতি গত ১ এপ্রিল ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ ডিগ্রী কলেজ এর অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। ৩১ মে পর্যন্ত তিনি তিনি সাতক্ষীরা ছফুরন্নেছা মহিলা কলেজ এ সমাজবিজ্ঞানের  প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ভালুকা চাঁদপুর কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদানের সময় ছফুরন্নেছা কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুন নাহার স্বপ্না তার স্বামী ডাঃ রফিকুল ইসলামের চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থান করছিলেন। তখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন প্রদীপ কুমার দাশ। জ্যোতি কিভাবে ছফুরন্নছো কলেজ থেকে ছাত্রপত্র পেলেন তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।

এদিকে, একাধিক সূত্র জানায়, ২০ লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতিকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার ব্যবস্থা করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ এর বহুললোচিত তৎকালীন অধ্যক্ষ প্রফেসর রিয়াকত পারভেজ। উল্লেখ্য, প্রফেসর লিয়াকত সাতক্ষীরা সিটি কলেজে থাকাকালীন লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা তছরুপের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে দুর্নীতি ও চারিত্রিক ক্রটির কারণে অভিযুক্ত এই সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। লিয়াকত পারভেজ যশোর শিক্ষাবোর্ডে প্রেষণে চারকিকালীন ঘূষ গ্রহণের দায়ে অভিযুক্ত হন। ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ ডিগ্রী কলেজ এর অধ্যক্ষ নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি আর্থিক সুবিধা নিয়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বলে জানা গেছে। এমনকি মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতিকে আ. লীগপন্থী শিক্ষক সংগঠনের নেতা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করেন তিনি। যা আদৌ সত্য নয়, বাকশিস, সাতক্ষীরা এধরনের কোন রাজনৈতিক উপদল বা গ্রুপ নেই বলে নিশ্চিত করেছেন সংগটনটির সাবেক ও বর্তমানএকাধিক নেতা। মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি ১৯৯১ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রার্থী হিসেবে ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করেন, যা সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ নথিতে এখনও সংরক্ষিত রয়েছে।তিনি একই সময়ে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ হোস্টেল শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।তিনি ১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের মানবিক শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরে তার আপন ভাই ধূলিহরের সাবেক চেয়ারম্যান মোদাচ্ছেরুল হক হুদার নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী যুবদল সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এরপর জ্যোতি এড. আমজাদ হোসেন ও প্রভাষক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন জিয়া পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা কমিটির একজন শীর্ষ নেতাও ছিলেন।

তার ভাই হুদার প্রতিটি ইউপি নির্বাচনে জ্যোতি প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্বও পালন করেন। সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সরাসরি দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে তার ভাই বর্তমানে জেলা বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতা হুদা নির্বাচন করেন। সেখানেও জ্যোতি তার ভাইয়ের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি বলেন, ”কে বা কারা এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছে আমি জানি না। আমি অনলাইনের মাধ্যমে দেখেছি। আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে কখনও যুক্ত নই। আমি বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের সাথে যুক্ত। আমি বরং আ. লীগপন্থী শিক্ষক সংগঠনের সেক্রটারির দায়িত্ব পালন করে আসছি।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

চিকুনগুনিয়া থেকে মুক্তি কামনা করে রাজধানীর মসজিদে-মসজিদে জুমার নামাজ শেষে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা। এ জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবার্তা অনুসরণ করার আহ্বান জানান মোনাজাত পরিচালনাকারী খতিব ও ঈমামরা।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মিনার মসজিদের ইমাম মাওলানা আসাদ বলেন, ‘চিকুনগুনিয়া মহামারি আকারে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে। চিকুনগুনিয়াসহ সব রোগ থেকে মুক্তি পেতে স্বাস্থ্যবার্তা অনুসরণ করে চলতে হবে। সুস্থতা আল্লাহর বড় নিয়ামত।’

ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের লিখিত অনুরোধে শুক্রবার (৭ জুলাই) এডিস মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধের জন্য রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মসজিদের খুতবায় সচেতনতামূলকবার্তা পড়ে শোনান খতিবরা। নামাজ শেষে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে চিকুনগুনিয়া থেকে মুক্তি কামনা করেন তারা। খতিবরা বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখলে আর মশা জন্মাতে পারবে না।’

সতর্কতামূলক বার্তায় বলা হয়, চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। মশা যেন কামড়াতে না পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। দিনে বা রাতে যেকোনও সময় ঘুমাতে মশারি ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত রোগীকে আলাদাভাবে মশারির ভেতর রাখতে হবে। শরীরের অনাবৃত অংশে মশা প্রতিরোধক লোশন ব্যবহার ও জানালায় নেট লাগানো ছাড়াও প্রয়োজনে দরজা-জানালা বন্ধ রাখার জন্যও বলা হয়।

এতে আরও বলা হয়েছে, মশার বংশবিস্তারের স্থানগুলো ধ্বংস করতে হবে। বাসা-বাড়ির আশপাশে মাটির পাত্র, কলসি, খোসা, বালতি, ড্রামসহ যেসব জায়গায় পানি জমতে পারে, সেসব স্থান নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। এসির পানি যেন জমে না থাকে, সে দিকে নজর রাখতে হবে। কোথাও যেন পানি জমতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মসজিদে মসজিদে দোয়া ও বার্তা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘এটা মহামারি নয়। তবে এডিশ মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া থেকে যেন মানুষ রেহাই পায়, সে জন্য যা-যা করা দরকার, সবই করছি। মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে যেন এ সচেতনতামূলক বার্তা মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়াসহ দফায়-দফায় ওষুধ দেওয়া ছিটানো হচ্ছে।’

এডিস মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে জরুরি চিকিৎসা ও পরামর্শ-কেন্দ্র চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। দক্ষিণ নগর ভবনে অবস্থিত এ তথ্য কেন্দ্রের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবেন ডিএসসিসি সচিব মো. শাহাবুদ্দিন। এছাড়া করপোরেশনের ৫টি অঞ্চলে এরোগ থেকে মুক্তি পেতে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচিও গ্রহণ করা হয়।

বিগত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজধানীতে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ চলছে। চিকৎসকরা জানিয়েছেন, জ্বরাক্রান্ত প্রতি তিন জনের মধ্যে একজন আক্রান্ত হচ্ছেন এই রোগে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গোটা রাজধানীই এডিস মশার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এ রোগ থেকে সহসা মুক্তি মিলছে না মানুষের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর কেবল রাজধানীতে থাকলেও সচেতন না হলে ভবিষ্যতে হয়তো পুরো দেশেই এ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেহেতু চিকুনগুনিয়া রোগের কোনও প্রতিষেধক নেই, তাই সচেতনতাই একমাত্র প্রতিষেধক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest