সর্বশেষ সংবাদ-
নানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপনজাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন: সাতক্ষীরায় নবাগত এসপিআশাশুনির আনুলিয়া ও কাপসন্ডায় সড়ক নির্মান কাজে দুর্নীতির অভিযোগবাঁশদহে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়াকেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার’: সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের নিন্দাসাতক্ষীরার আপন প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেমুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা দেবহাটা মুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভাআশাশুনি বকচরে মানবতার আলোর শীতবস্ত্র বিতরণসাতক্ষীরায় ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালনসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দোয়া

সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের দোয়া অনুষ্ঠান

মো: বশির আহমেদ : সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং ভবনের ২য় তলায় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। পবিত্র কুরআন তিলায়াত, গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা ল’ কলেজের অধ্যক্ষ এস. এম হায়দার আলী। অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বের শুরুতে সভাপতি বিশেষ অতিথিদের নিয়ে ১৫ অগাস্ট এর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. এম. শাহ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’ লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. অনিত মূখার্জী, জেলা আ’ লীগের অন্যতম সদস্য এ্যাড. আব্দুল লতিফ, এ্যাড. অরুণ ব্যানার্জী, এ্যাড. মোস্তফা নুরুল আলম, এ্যাড. নিজাম উদ্দীন, এ্যাড. অজয় কুমার সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী, এ্যাড. আঃ জলিল, এ্যাড. নাজমুন নাহার ঝুমুর, এ্যাড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান, এ্যাড. আব্দুর রহমান, এ্যাড. স. ম গোলাম মোস্তফা, এ্যাড. তৌহিদুর রহমান শাহিন, এ্যাড. সাহেদুজ্জামান সাহেদ, এ্যড.আল মাহমুদ পলাশ, এ্যাড. সাইদুজ্জামান জিকু, এ্যাড. নাদিরা পারভীন, এ্যাড. ফারুক হোসেন, এ্যাড. ফুয়াদ হাবিব টিটন।

আরো উপস্থিত ছিলেন এ্যাড. শাহনেয়াজ, এ্যাড. শম্ভুনাথ সিংহ, এ্যাড. আলী হোসেন, এ্যাড. আমিনুর রহমানসহ আরো অনেকে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বিজ্ঞ পিপি এ্যাড. ওসমান গণি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রহস্যময় প্রশাসনের অন্দরমহল

টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রশাসনে হঠাৎ করেই বেড়েছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত কর্মকর্তাদের দাপট। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মন্ত্রণালয়ের বিশেষ পদগুলোয় বহাল এসব কর্মকর্তার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই কোণঠাসা সরকার সমর্থকরা।

শুধু তাই নয়, সরকারের প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদও পাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত-সম্পৃক্তরাই। নানান কৌশলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও বাগিয়ে নিচ্ছেন তারাই। অনেক ক্ষেত্রে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বর্ণচোরা এসব কর্মকর্তা সৃষ্টি করছেন সমন্বয়হীনতার। এ নিয়ে জনপ্রশাসনে এখন চলছে নীরব অসন্তোষ।

প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও আসলে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছেন কারা? জানা যায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন চলমান উন্নয়নকাজের প্রকল্প পরিচালকদের রহস্যজনক আচরণে থমকে গেছে কাজের স্বাভাবিক গতি। জাতীয় নির্বাচন যখন আসন্ন তখন প্রশাসনের এসব কর্মকর্তা সরকারকে নানাভাবে বিব্রত করতে চাইছেন বলেও নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রের আভাস। এসব কর্মকর্তাকে দ্রুত চিহ্নিত করতে না পারলে প্রশাসনে সরকারবিরোধী মহলের শক্ত অবস্থান তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। সূত্রমতে, প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু খোদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েই ঘাপটি মেরে আছেন সরকারবিরোধী একাধিক কর্মকর্তা। অভিযোগ রয়েছে, জনপ্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের শতাধিক কর্মকর্তা ভিন্ন মেরুর সমর্থক হলেও বর্তমান সরকারের আমলে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন। এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপসচিব পর্যায়ের দুই কর্মকর্তা ছাত্রজীবনে ছিলেন বিএনপি সমর্থক। তাদের একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটিতে ছিলেন বলেও নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। বিএনপিপন্থি এ দুই কর্মকর্তা বর্তমান সরকারের আমলে সব সময়ই আছেন সুবিধাজনক অবস্থানে। তারা ধারাবাহিকভাবে কাজ করেছেন প্রশাসনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর কর্মকর্তাদের আশীর্বাদে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, শেরেবাংলানগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের শিবির নেতা বর্তমানে যুগ্ম-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে। বিতর্কিত এই কর্মকর্তার বাড়ি বাগেরহাটে। কৃষক লীগের সাবেক এক সাধারণ সম্পাদকের আপন ভায়রা হওয়ার সুবাদে প্রভাবশালী এই কর্মকর্তা নিজের পরিচয় লুকিয়ে সব ধরনের সুবিধা নিচ্ছেন প্রশাসন থেকে।

প্রশাসনের এক দাপুটে কর্মকর্তা যশোরের সাবেক জেলা প্রশাসক। অভিযোগ রয়েছে, এই কর্মকর্তা ছাত্রজীবনে সরাসরি জড়িত ছিলেন বিএনপি সমর্থিত ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে। যশোরে তাকে জেলা প্রশাসক বানাতে নেপথ্যে সহযোগিতা করেছেন তৎকালীন জনপ্রশাসনের দুই প্রভাবশালী কর্মকর্তা। এর মধ্যে একজন নিজেও একসময় শিবির ক্যাডার ছিলেন বলে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আলোচনা আছে। প্রশাসনে সরকার সমর্থিত কর্মকর্তাদের মধ্যে জোর গুঞ্জন রয়েছে, যশোরের সাবেক সেই জেলা প্রশাসককে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারক পদ এপিডি হিসেবেও নিয়োগের চেষ্টা চলছে। সে ক্ষেত্রে একটি মহল জোর লবিং চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ। প্রশাসনের যুগ্ম-সচিব পদবির আরেক কর্মকর্তা একসময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।

গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে তিনি ছিলেন সাবেক ভূমি উপমন্ত্রীর আস্থাভাজন। এই কর্মকর্তা এখনো দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন। প্রশাসনের অষ্টম ব্যাচের অন্য এক কর্মকর্তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল বিএনপি সরকার আমলে। এক হুইপের পিএসের দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ মুহূর্তে চলে আসেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। এ বিভাগে থাকাবস্থায়ই তিনি পরপর দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদোন্নতি পেয়ে এখন দায়িত্ব পালন করছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নবম ব্যাচের এক কর্মকর্তা বিএনপি সরকার আমলে ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে প্রশাসনের অভ্যন্তরে রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি।

২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত জোট সরকারের আমলে প্রশাসনে তার ছিল যথেষ্ট প্রভাব। বিতর্কিত এই কর্মকর্তা কয়েকবার উপসচিবের তালিকা থেকে বাদ পড়লেও বর্তমানে তিনি আবার দাপুটে কর্মকর্তা। প্রশাসনের ১৯৮৪ ব্যাচের এক কর্মকর্তা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ছিলেন সিলেট ও রাঙামাটির জেলা প্রশাসক। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১১ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নের প্রধান ভূমিকায় তিনিই রয়েছেন। প্রশাসনে ’৮৫ ব্যাচের এক কর্মকর্তা বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ে।

বিএনপি সমর্থিত এই কর্মকর্তাকে ঘিরে প্রশাসনের অভ্যন্তরে রয়েছে নানামুখী গুঞ্জন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকাবস্থায় স্থানীয় আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর নির্মাণে কৌশলে অসহযোগিতা করেছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ এক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে বর্তমানে কর্মরত এক কর্মকর্তা ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকীর পিএস। প্রশাসনে ছিল তার অভাবনীয় প্রভাব। বর্তমান সরকার আমলেও তার প্রভাব বেড়েছে। সূত্রমতে, যুগ্ম-সচিবের সম্ভাব্য পদোন্নতির তালিকায় নিজের নাম নিশ্চিত করতে জোর লবিং চালাচ্ছেন তিনি।

৮২ ব্যাচের এক কর্মকর্তা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ছিলেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক। বর্তমানে তিনি ব্যাপক প্রভাবশালী। ৮২ ব্যাচের অন্য এক কর্মকর্তা বর্তমানে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব। বিএনপি সমর্থিত কমকর্তা হিসেবে তৎকালীন জোট সরকারের আমলে তার ছিল ব্যাপক ক্ষমতা। ছিলেন পর্যায়ক্রমে কুড়িগ্রাম ও ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক। বিএনপি আমলে যেভাবে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সেই প্রভাব এখনো বহাল।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন ’৮৫ ব্যাচের এক কর্মকর্তা, এ ছাড়া জোট আমলে কক্সবাজারের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক বর্তমান সরকারের আমলেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে। এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের সুবিধাভোগী কর্মকর্তারা। তাদের নিয়ে প্রশাসনে সরকার সমর্থিত কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ-অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৬০ কেজি ওজনের পা নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে এক নারী

প্রতিবেশী আর সব কৃষক পরিবারের স্ত্রীদের মতই অত্যন্ত পরিশ্রমী ছিলেন সিলেটের রেজিয়া বেগম (৪০)। কৃষক পরিবারের হওয়ায় স্বামীর কাজে উদয়াস্ত তাকেই সাহায্য করতে হত। কিন্তু ১৮ বছর আগে দ্বিতীয় মেয়ের জন্মের পর তিনি প্রথম বুঝতে পারেন কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছে।

এই ‘সমস্যা’ গত প্রায় দুই দশকে তার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। হাঁসমুরগি বা গবাদি পশু লালনপালন থেকে ঘরদোরের কাজে সেই অক্লান্ত রেজিয়া বেগম এখন বলতে গেলে কোনও কাজই করতে পারেন না। নিজের ছোটখাটো প্রয়োজনেও অন্যের সাহায্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। গরীব পরিবারটির জন্য এখন অনেকটাই বোঝা হয়ে গেছেন তিনি।

রেজিয়া তার সমস্যার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, দ্বিতীয় মেয়ের জন্মের সময় খেয়াল করি আমার পা ফুলে যাচ্ছে। অল্প চিকিৎসাতে সমস্যাটা সেরেও গিয়েছিল। কিন্তু বছর যেতে না যেতেই এটা আবার ফিরে আসে।

তার ডান পা ফুলতে ফুলতে এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তার আত্মীয়রা বলেন, রেজিয়ার পায়ের ওজন প্রায় দুই মণ। তাকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিতে অন্তত তিন জন লোকের সাহায্য প্রয়োজন হয়।

রেজিয়ার দেবর আনা মিয়া বলেন, সে পরিবারের জন্য বোঝায় পরিণত হয়েছে। বাসার কোনও কাজ তাকে দিয়ে হয় না।

রেজিয়া বেগমের পায়ের চিকিৎসা করতে কম চেষ্টা করেননি তার স্বামী আব্দুল মালেক। সিলেটের ওসমানি নগর থানার ইয়োলা তেল গ্রামের এই দরিদ্র কৃষক গত ১৮ বছর ধরে বহু ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছেন। কিন্তু কেউ তাকে আশার আলো দেখাতে পারেনি।

সম্প্রতি তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুক্তামণির চিকিৎসার কথা জানতে পারেন। খবর শোনার পর শেষ আশা হিসেবে গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ত্রীকে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ব্লু ইউনিটে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।

বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ড সামন্ত লাল সেন প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন রেজিয়া বেগমের এলিফেন্টিসিস হয়েছে। সার্জারি ও পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে তার রোগের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ড সামন্ত লাল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পিএন স্কুলের বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক মাজেদ আবারও দায়িত্ব গ্রহণের পায়তারা চালাচ্ছে!

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী পিএন স্কুল এন্ড কলেজের বহুল আলোচিত সাময়িক বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুত সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদ আবারও দায়িত্ব গ্রহণের জন্য জোর পায়তারা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা না থাকা, ভুয়া কাগজপত্র জমা ও অর্থ আতœসাতের অভিযোগে ২০১২ সালে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে স্কুলের ৫৫ হাজার অর্থ আতœসাতের অভিযোগে চিফজুডিশিয়াল আদালতে চলমান একটি মামলা রয়েছে। জুডিশিয়াল আদালতে মামলা থাকা অবস্থায় একজন বরখাস্তস্কৃত শিক্ষক কিভাবে আবার স্বপদে বহাল হবেন তা নিয়ে শহরব্যাপী আলোচনান ঝড় বইছে।
এ বিষয়ে পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালযের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য ও বহিস্কৃত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদের বিরুদ্ধে চিফজুডিশিয়াল আদালতে দায়ের করা মামলার বাদী শেখ আলাউদ্দীন জানান, দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অর্থ আতœসাতের মামলা ইতিমধ্যে জেলা শিক্ষা অফিসার একাধিকবার তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছেন। তিনি এ মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন। তার বিরুদ্ধে পি,এন স্কুলে বসে জামায়াতের গোপন বৈঠকসহ জঙ্গি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্তার অভিযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আক্ষেপ করে আরো জানান, দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদ জামিন পাওয়ার পর কিছু রাজনৈতিক ও প্রশাসনের লোকের সহায়তায় স্বপদে বহাল হওয়ার জন্য জোর পায়তারা চালাচ্ছেন।
ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য মইনুর রশিদ জানান, অর্থ আতœসাতের এই মামলার পরবর্তি স্বাক্ষীর দিন চলতি মাসের ২৭ তারিখ ধার্য রয়েছে। এরই মধ্যে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদ স্বপদে বহাল থাকার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। তিনি আরো জানান, যেহেতু তার বিরুদ্ধে একটি জুডিশিয়াল মামলা রয়েছে। সে কারণে তিনি আইনগতভাবে ওই পদে আর বহাল হতে পারবেননা। আমি ইতিমধ্যে বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহাদয়কে অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে জানার জন্য সাময়িক বহিস্কৃত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার ব্যবহৃত ০১৭১৮-৫০২৮২৮ নাম্বারের মোবাইলে ফোনে বার বার ফোন দিলেও ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় চেয়ারম্যান রবিউলের নেতৃত্বে জমি দখল ও মারপিটের অভিযোগ

আসাদুজ্জামান : রামদা ও বল্লমের মুখে নারী পুরুষসহ পরিবারের দশজনকে বাড়ির মধ্যে আটকে রেখে মারপিট করে সাতক্ষীরার কলারোয়ার আবদুল খালেকের পৈতৃক জমি দখল করে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আর লাইসেন্স করা অস্ত্র উঁচিয়ে এ ঘটনার প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিয়েছেন কলারোয়ার যুগিখালি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান।
দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার বাকিবিল্লাহ, আলতাফ হোসেন এবং জামায়াত ও শিবির থেকে হঠাৎ আওয়ামী লীগে যোগদানকারী লাঠিয়ালদের নিয়ে বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে এই দখলী তা-ব। তারা খালেকের জমিতে জোর করে প্রাচীর নির্মান করে। এ সময় আবদুল খালেক ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ির মধ্যে আহত অবস্থায় অবরুদ্ধ হয়েছিলেন।
তবে যুগিখালি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান বলেন, আমি কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্ব দেইনি। গোলমালের খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। সাথে পুলিশ ছিল। আমাদের সামনে কোনো মারপিটও হয়নি। এ ঘটনা নিয়ে আমরা আগে কয়েকবার সালিশ করেছি। মোকাররম আলি তার পৈতৃক জমিতে প্রাচীর দিচ্ছিলেন’।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কামারালি গ্রামের বাবর আলির ছেলে মোকাররম আলি ও তার ভাই আবদুস সোবহানের ছেলে আবদুল খালেকের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধ শেষ পর্যন্ত দেওয়ানি মামলায় ঠেকেছে। এরই মধ্যে নাশকতার একটি মামলায় কিছুদিন আগে আবদুল খালেক জেলে গেলে সেই সুযোগে চেয়ারম্যান রবিউল হাসানের নির্দেশে প্রতিপক্ষের মোকাররম আলি সেখানে ইটের প্রাচীর তৈরির উদ্যোগ নেয়। আবদুল খালেক বলেন, মঙ্গলবার চেয়ারম্যান কয়েক গ্রামে খবর দিয়ে তার সহযোগী জামায়াত ও শিবির থেকে হঠাৎ আওয়ামী লীগে নাম লেখানো শতাধিক ক্যডার ভাড়া করে আনেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের জড়ো করা হয়। বুধবার ভোরে তারা শুরু করে প্রাচীর নির্মান।
আবদুল খালেক অভিযোগ করে বলেন এতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে রবিউল বাহিনীর সিরাজুল, মাসুদ, আলতাফ , আরশাদ, মোকাররম, বাকিবিল্লাহ, যুবলীগের রেজাউলসহ ৫০ জনের বেশি লাঠিয়াল রামদা, ড্যাগার বল্লম ও ইটপাটকেল নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় চেয়ারম্যান রবিউল হাসান ঘটনাস্থলে বসে থেকে তার লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দিয়ে হুমকি প্রদর্শন করেন। তিনি খালেক ও তার সমর্থকদের মাথা ইট দিয়ে থেতলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে ক্যাডাররা খালেকের বাড়ির ভেতর ঢুকে গিয়ে শুরু করে মারপিট ও তান্ডব। এতে গুরুতর আহত হন আবদুল খালেক, আবদুল আলিম, সুজন, আজিজুল, আবু তালেব, আকলিমা খাতুন, রওশনারা খাতুন, মঞ্জুয়ারা বেগম, বিলকিস বেগমসহ অনেকেই। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান বাহিনীর সন্ত্রাসীদের মহড়ার মুখে তারা চিকিৎসা নেওয়ার জন্য কলারোয়া হাসপাতালে যেতে পারেন নি। সকাল থেকে বিকাল অবধি তারা সবাই নিজেদের ঘরে অবরুদ্ধ ছিলেন।
জানতে চাইলে প্রতিপক্ষের মোকাররম আলি বলেন, আবদুল হামিদ তার অংশের দেড় শতক জমি বিক্রি করেছিলেন মোকাররমের বাবা বাবর আলির কাছে। কিন্তু ওই জমি দখল নেওয়া যাচ্ছিল না। তিনি বলেন, আজ চেয়ারম্যান রবিউল হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ৪০ জন লোক এনে আমার জমি দখল করিয়ে দিয়েছেন। চেয়ারম্যানকে দিতে হয়েছে দুই লাখ টাকা।
তবে চেয়ারম্যান এসব কথা অস্বীকার করলেও দখলে নেতৃত্ব দেওয়া চেয়ারম্যান সহযোগী সোহাগ বলেন, দখল দিতে চেয়ারম্যান মোকাররমের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়েছেন। অথচ আমাদের ৪০ জনের প্রত্যেককে দিয়েছেন ৫০০ টাকা করে। দুপুরে তারা সবাই ঘটনাস্থলে বসে খাবার খেয়ে আবার কাজ শুরু করেন।
জোর করে জমি দখল এবং প্রাচীর তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, বিষযটি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করেন নি। তিনি বলেন এখানে আওয়ামী লীগের দুই নেতা দুই পক্ষ নিয়ে আমাদের চাপের মধ্যে রেখেছেন। এখন দেখছি শাঁখের করাত। আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে ৮ টি নাশকতার মামলা রয়েছে।
কলারোয়ার সরসকাঠি পুলিশ ক্যাম্প ইন চার্জ উপপরিদর্শক ( এসআই) তারেক বলেন খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। জমি মোকাররমের প্রাপ্য জানিয়ে তিনি বলেন, আমার সামনে কোনো সন্ত্রাসী কাজ করে নি কেউ।
আবদুল খালেক সাংবাদিকদের জানান, তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতংকের মধ্যে রয়েছেন। চেয়ারম্যান পুরো ঘটনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার বাহিনী নিয়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ২দিন ব্যাপী তথ্য মেলার উদ্বোধন

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় ২দিন ব্যাপি তথ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সাতক্ষীরা’র যৌথ আয়োজনে এ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। আলোচনা সভায় সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সাতক্ষীরা’র সভাপতি ও সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার একি মিত্র চাকমা, সনাক সদস্য প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. দিলারা বেগম, সাবেক ফিফা রেফারী তৈয়েব হাসান বাবু প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন টিআইবি’র সাতক্ষীরা এরিয়া ম্যানেজার আবুল ফজল মো. আহাদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে বিদ্যালয়ের হলরুমে নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আমিনুর রহমান উল্লাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মহিউদ্দিন। এসময় তিনি বলেন, ‘মেয়েরা হচ্ছে মায়ের জাত। একটি নারী শিক্ষিত হলে একটি পরিবার শিক্ষত হয়। তাই নারীদেরকে যুগপোযোগি শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে। একজন শিশুর প্রথম শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা দেয় তার মা। তিনি আরো বলেন, নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এস.এস.সি, জে.এস.সি ও পি.এস.সিতে সদর উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ফলাফলে প্রথম হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান এবং ভাল ফলাফল অব্যাহত রাখতে শিক্ষকদের আরো মনোযোগি হওয়ার আহবান জানান।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার একি মিত্র চাকমা। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. সেলিমুল ইসলাম, শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম, আফসারুজ্জামান বাবু, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রহমত সরদার, শিক্ষক তৈবুর রহমান, জাহিদ হাসান, সিরাজুল ইসলাম, শামীম পারভেজ, নওরোজ, কবির আহম্মেদ, দেবব্রত কুমার, রাবেয়া খাতুন, শাহীনা পারভীন, লিপিকা রাণী, সাবিনা শারমিন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নাজমুল লায়লা বিথি ও ফারুক হোসেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আক্তারুজ্জামান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুধের সাথে ডিম খেলে কী হয়?

দুধ
দুধ থেকে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন পাওয়া যায়। ল্যাকটোজে (দুধের একটি উপাদান) অস্বস্তি না থাকলে দুধ পানে কোনো অসুবিধা নেই।

ডিম
ডিমকে বলা হয়, ‘পাওয়ার হাউস অব নিউট্রিশন’। অর্থাৎ পুষ্টির শক্তির ঘর। প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে ডিম হলো আদর্শ প্রোটিন। এখানে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি শরীরের অনেক উপকারে আসে। ডিম শুধু আদর্শ প্রোটিনই নয়, বরং অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এতে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। এটি হৃদরোগের বিরুদ্ধে অনেক কার্যকরী।

দুধের পর ডিম খাওয়া নিয়ে সমাজে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক প্রবাদ চালু রয়েছে। অনেকেই বলে থাকেন দুধের পর নাকি মাংস বা ডিম জাতীয় প্রোটিন খাওয়া ভালো নয়। এতে নাকি শরীর খারাপ হতে পারে।

তবে গবেষকরা বলছেন, দুধের পরে বা সঙ্গে ডিম খাওয়া মোটেই খারাপ নয়। বরং ডিমের প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাট এবং দুধের প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম একসঙ্গে খাওয়া হলে শরীরের পক্ষে উপকার অনেক বেশি। তবে কাঁচা দুধ বা কাঁচা ডিম খেলে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, এতে ফুড পয়েজিনের সম্ভাবনা থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest