সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়া

তালায় ৬টি গাঁজা গাছসহ মাদক দম্পতি আটক

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার তালায় ছয়টি গাঁজা গাছসহ মাদক ব্যবসাযী দম্পতিকে (স্বামী-স্ত্রী) আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তালা উপজেলার জেঠুয়া গ্রাম থেকে পুলিশ এই দম্পতিকে আটক করে। আটককৃতরা দম্পতিরা হলেন, উপজেলার জেঠুয়া গ্রামের মো. আনিচুজ্জামান সরদার ওরফে গোসাই আনিচ (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী রানু বেগম (৩০)।
পুলিশ জানায়, তালা উপজেলার জেঠুয়া গ্রামের মো. আনিচুজ্জামান সরদার ওরফে গোসাই আনিচ তার বাড়ির পাশে নিজ জমিতে গাঁজার চাষ করেছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে তালা থানার ওসি (তদন্ত) মনঞ্জুরুল হাসান মাসুদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় গোসাই আনিচের বাড়ি পাশে লাগানো ছয়টি গাঁজা গাছসহ তাকে ও তাঁর স্ত্রী রানু বেগমকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে তালা থানায় ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য আইনে এশটি নিয়মিত মামলা হয়েছে।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মনঞ্জুরুল হাসান মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
টয়লেট না বানানোয় স্বামীকে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

শ্বশুরবাড়িতে ঘর অনেকগুলোই, কিন্তু একটাও টয়লেট ছিল না। বাধ্য হয়েই তাই তৃষ্ণা উপেক্ষা করে পানি কম খেতেন সদ্যবিবাহিতা, পরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
একটা একটা করে মিনিট গুনে অপেক্ষা করতেন সূর্যাস্তের। অন্ধকার নামলেই ছুটতেন মাঠের দিকে। বিয়ের পর টানা চারটে বছর এ ভাবেই কেটেছে তার। কিন্তু আর পেরে উঠছিলেন না। টয়লেট না বানানোর জন্য মাস কয়েক আগে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন তিনি।

শুক্রবার রাজস্থানের ভিলওয়ারার পারিবারিক আদালত স্বামীর এই আচরণকে ‘নিষ্ঠুরতার পরিচয়’ এবং ‘নারী জাতির অপমান’ বলে মন্তব্য করে স্ত্রী-র বিবাহবিচ্ছেদের ইচ্ছায় সিলমোহর দেয়। এই ধরনের ঘটনায় দেশে এই প্রথম বিবাহবিচ্ছেদ হল।

২০১১ সালে ভিলওয়ারার বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। প্রথম থেকেই শ্বশুরবাড়িতে কোন টয়লেট ছিল না। পরিবারের সকলকেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মাঠে যেতে হত। প্রথম প্রথম পরিবারের অন্য নারিদের মতো তিনিও তাই করতেন। কিন্তু তা আর সহ্য হচ্ছিল না। এতে তিনি চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করছিলেন। ফাঁকা স্থানে শৌচকর্ম করতে আত্মমর্যাদায় বিঁধছিল তার। তাই বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্বামীকে বাড়িতে টয়লেট বানিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু হাজার আকুতি-মিনতি করেও কাজ হয়নি। স্বামী তার কথা শোনেননি। উপরন্তু এটাই এই গ্রামের রীতি এবং তাতে অপমানিত বোধ করার মতো কিছু নেই বলেও জানান। গ্রামের অন্যান্য ণঅলিদের মতো তাকেও ফাঁকা স্থানে শৌচকর্ম করার জন্য জোর দিতে থাকেন। ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল চার বছর ধরে স্বামীকে টয়লেট তৈরির জন্য অনুরোধ করে যাচ্ছিলেন তিনি। উপায়ান্তর না দেখে সিদ্ধান্ত নেন বিবাহবিচ্ছেদের। ২০১৫ সালে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। টানা দু’বছর ধরে সেই মামলা চলে। সেই মামলারই রায় বের হল শুক্রবার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘রূপালী’ রূপে পূর্ণিমা

‘রূপালী’ শিরোনামের একটি ছয় পর্বের ধারাবাহিক নাটকের কাজ করছেন পূর্ণিমা। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি।
নাটকটি নির্মাণ করছেন সাখাওয়াত মানিক। গল্পটি লিখেছেন শফিকুর রহমান শান্তনু।

যেকোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে রূপালী ইতিবাচকভাবে দেখার চেষ্টা করে। একসময় শ্বশুরবাড়িতে এক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেয়। সেই ব্যক্তি পরে বাসার সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যায়। রূপালীর উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুব বিরক্ত হয়। এগিয়ে যায় গল্প।

পূর্ণিমা বলেন, গল্প ভাবনায় নতুনত্ব আছে। যে কারণে চিত্রনাট্য পড়ে ভালো লাগায় কাজটি করছি। তাছাড়া সাখাওয়াত মানিকের নির্দেশনায় এবারই প্রথম কোনো নাটকে কাজ করছি। একটি দারুণ টিমওয়ার্কের মধ্য দিয়েই আমরা গল্পটি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। আশা করছি, দর্শকের কাছে নাটকটি বেশ উপভোগ্য হবে।

কোরবানির ঈদের দিন থেকে ষষ্ঠ দিন পর্যন্ত একুশে টিভির পর্দায় ‘রূপালী’ রূপে দেখা যাবে পূর্ণিমাকে। নাটকে আরও অভিনয় করছেন জিয়াউল হাসান কিসলু, মিলি বাশার, মনিরা মিঠু, এফ এস নাঈম, নাদিয়া খানসহ অনেকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২০ মাসে অক্ষয়ের ৫টি সেঞ্চুরি!

হিট ছবি উপহার দেওয়ার যদি কোনও ফর্মূলা থাকে, তো অক্ষয় কুমারের কাছেই হয়তো আছে সেটার টেক্কা! কারণ, এবার বলিউড বক্স অফিসে ১০০ কোটি রুপি আয়ের মাইলফলক স্পর্শ করলো তার ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’। যার মাধ্যমে গত ২০ মাসে তার টানা পাঁচটি ছবি ব্যবসায়িক সাফল্য পেলো।
ভারতে খোলা আকাশের নিচে মলমূত্র ত্যাগ করার সামাজিক সমস্যা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই ছবি। এটি মুক্তি পায় গত ১১ আগস্ট। গেল আট দিনে ১০০ কোটি রুপি আয়ের ক্লাবে ঢুকেছে শ্রী নারায়ণ সিং পরিচালিত ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’। অবশ্য মুক্তির প্রথম দিনে মাত্র ১৩ কোটি ১ লাখ রুপি আয় করায় কেউ ভাবেনি এত দ্রুত ১০০ কোটির ক্লাবে ঢুকে পড়বে ছবিটি।
বাণিজ্য বিশ্লেষক রমেশ বালা শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে টুইটারে জানান, মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ৯৬ কোটি ৫ লাখ রুপি এবং শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ৪ কোটি ২৫ লাখ রুপি আয় করেছে ছবিটি। সব মিলিয়ে লাভের অঙ্কটা ১০০ কোটি ৩০ লাখ রুপি।
‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’র আগে অক্ষয় কুমারের ‘এয়ারলিফট’, ‘হাউসফুল থ্রি’, ‘রুস্তম’ ও ‘জলি এলএলবি টু’ ১০০ কোটি রুপি করে আয়ের ঘর পেরিয়েছে। এসব ছবির প্রায় সবই অল্প বাজেটে বানানো হলেও নির্মাতাদের এনে দিয়েছে ভুরি ভুরি মুনাফা। যেমন ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’র বাজেট মাত্র ২৪ কোটি রুপি!
আরেক বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শ মনে করেন, মুক্তির দ্বিতীয় সপ্তাহেও রাজত্ব করবে ছবিটি। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকালেই তিনি এ ভবিষ্যদ্বাণী করেন। কারণ এদিন মুক্তি পেয়েছে ‘বেরিলি কি বরফি’ (আয়ুষ্মান খুরানা, রাজকুমার রাও ও কৃতি স্যানন) ও গুরিন্দর চাধার “ভিসেরয়’স হাউস” (হুমা কুরেশি)।
এদিকে অক্ষয়ের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি ‘রাউডি রাঠোর’কে (১৩৩ কোটি রুপি) ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রথমবারের মতো তার কোনও ছবি দেড়শ কোটি রুপির মুখ দেখবে বলে মনে করছেন বাণিজ্য বিশ্লেষকরা।

নিজের নতুন ছবির সাফল্য ও এর কারণ প্রসঙ্গে অক্ষয় সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সমাজঘনিষ্ঠ ছবিতে কখনও অতিরঞ্জিত বাণিজ্যিক কিছু রাখতে দেই না আমি। আমার চাওয়া, সেখানে প্রেমের গল্প থাকতে হবে। সত্যি বলতে নতুন ছবিতেও প্রেমের গল্পটাই আমার মনে পড়ছে বেশি।’
শুধু টাকা আয়ই নয়, সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়িয়েছে ছবিটি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সাজানো হয়েছে ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’র চিত্রনাট্য। কয়েকটি রাজ্যে এ ছবিকে করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছবিটি সরকারিভাবে বিনামূল্যে প্রদর্শন করা হয়েছে বলে জানান অক্ষয় কুমার। দূরদর্শনও ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’ প্রচারের ইচ্ছা দেখিয়েছে।
বহুযুগ ধরে প্রচলিত একটি সামাজিক অভ্যাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোই এই ছবির মূল বিষয়বস্তু। খোলা আকাশের নিচে মলত্যাগ এবং এ নিয়ে গ্রামবাসীদের কুসংস্কার নিয়েই ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’। ২০১২ সালে ভারতে ১৯ বছরের তরুণী প্রিয়াঙ্কা ভারতী বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি গিয়ে দেখেন টয়লেট নেই। তখন আর এক মুহূর্তও দেরি করেননি, দৌড়ে বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। ছবিটির গল্পে এই ঘটনার সাদৃশ্য আছে।

শ্রী নারায়ণ সিং পরিচালিত ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’র গল্পে তুলে ধরা হয়েছে মাথুরার পাশাপাশি দুটি গ্রামের তরুণ-তরুণী কেশব ও জয়ার প্রেম। একসময় তারা বিয়ে করে। কিন্তু তাদের দাম্পত্য জীবনে ভিলেন হয়ে দাঁড়ায় টয়লেট! ছবিটিতে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে প্রথমবার জুটি বেঁধেছেন ভূমি পেড়নেকর। এছাড়া আছেন অনুপম খের, সানা খান, দিবেন্দ্যু শর্মা, সুধীর পান্ডে, শচীন খেড়েকর, রাজেশ শর্মা। ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ব্যাপ্তির ছবিটি মুক্তি দিয়েছে ভায়াকম এনটিন মোশন পিকচার্স।
এদিকে সামনে মুক্তি পাবে অক্ষয় কুমারের ‘২.০’ (রজনীকান্ত, অ্যামি জ্যাকসন)। এছাড়া তার হাতে আছে আর. বালকির ‘প্যাডম্যান’ (সোনম কাপুর) এবং রিমা কাগতির ‘গোল্ড’ (মৌনি রায়)।

১০০ কোটির ক্লাবে অক্ষয় কুমারের ছবিগুলো-

১. টয়লেট: এক প্রেম কথা (প্রত্যাশিত অঙ্ক ১৫০ কোটি রুপি)
২. রাউডি রাঠোর (১৩৩ কোটি রুপি)
৩. এয়ারলিফট (১২৯ কোটি রুপি)
৪. রুস্তম (১২৮ কোটি রুপি)
৫. জলি এলএলবি টু (১১৭ কোটি রুপি)
৬. হাউসফুল টু (১১৬ কোটি রুপি)
৭. হলিডে (১১৩ কোটি রুপি)
৮. হাউসফুল থ্রি (১০৯ কোটি রুপি)
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, বলিউড হাঙ্গামা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঋতুপর্ণা-ফেরদৌস দুই বন্ধুর প্রাণোচ্ছল ক্যাটওয়াক…

ফেরদৌস এবং ঋতুপর্ণা। দুই বাংলার অন্যতম দুই চলচ্চিত্রমুখ। আবার দুই বাংলার একমাত্র সফল জুটি হিসেবেও আখ্যা দেওয়া যায় তাদের। তবে এর সবটাই ছাপিয়ে গেছে- দু’জনের মধ্যে দীর্ঘ অন্তমিল কিংবা বন্ধুত্বের যোগসাজশে। কারণ, বাংলার গ্ল্যামার ভুবনে এমন নজির নেই আর একটিও।

সেই ২০০২ সালে টলিউডের সুভাষ সেন পরিচালিত ‘ওস্তাদ’ ছবি দিয়ে তাদের পরিচয় কিংবা পথচলা শুরু। চলছে এখনও, বিরামহীন ছন্দময়। ঠিক তারই প্রতিধ্বনি এবং প্রতিচ্ছবি মিলেছে ১৮ আগস্ট সন্ধ্যার খানিক পরে ঢাকার একটি ক্যাটওয়াক মঞ্চে। মডেল হয়ে মঞ্চে হেঁটেছেন ফ্যাশন হাউজ প্রেম’স কালেকশন্স-এর ‘এক্সিবিশন অব ট্র্যাডিশনাল শাড়িজ অ্যান্ড ঈদ ফেস্টিভ্যাল’-এ।

এই রাতে ক্যাটওয়াকের গ্রামার মেপে প্রাণোচ্ছল বন্ধুত্বের ছাপ তারা রেখে গেছেন স্থিরচিত্রের নানা ফ্রেমে-বাঁকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিচার বিভাগ যথেষ্ট ধৈর্য ধরছে, ঝড় তো আপনারাই ওঠাচ্ছেন: অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‘আমরা বিচার বিভাগ ধৈর্য ধরছি। যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি।’

অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আজ রোববার রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বিষয়টির ওপর পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৮ অক্টোবর তারিখ রেখেছেন।

সবশেষ ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি চূড়ান্ত করতে আপিল বিভাগ ২০ আগস্ট (আজ) পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি আপিল বিভাগে ওঠে।

শুরুতেই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সময়ের আবেদন দাখিল করেন।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, গত তারিখে কী করা হবে, বলা হয়েছিল। আলাপ-আলোচনার কথা বলা হয়েছিল। কার সঙ্গে, কে কে থাকবেন?

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আইনমন্ত্রী।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিয়া বলেন, আপিল বিভাগের সব বিচারপতির সঙ্গে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আলাপ-আলোচনার কথা। আপনারা আলাপ-আলোচনা পর্যন্ত করলেন না।’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘নীতিনির্ধারণী বিষয়ে আমার কী করার আছে।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা মিডিয়াতে অনেক কথা বলবেন, কোর্টে এসে অন্য কথা বলবেন। আপনাকে বলছি না, আপনাদের কথা বলছি।’

অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনি বলেন, কবে রাখব (পরবর্তী তারিখ)। সবাই বসবেন।’

একপর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সব বিষয় নিয়ে ঝড় উঠে গেছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা তো কোনো মন্তব্য করছি না। সব তো আপনারাই করছেন। পরবর্তী (তারিখ) কবে চান?’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বন্ধের এক সপ্তাহ পর।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনার মতোই আমরা রাখলাম। ৮ অক্টোবর তারিখ রাখলাম।’

এ পর্যায়ে অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রণয়নের প্রক্রিয়ার বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য দাঁড়ান মাসদার হোসেন মামলার অন্যতম কৌঁসুলি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনার আবেদনটি আছে। আমরা বিচার বিভাগ ধৈর্য ধরছি। যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি। পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট…করেছেন। শুধু বলব, আমাদের আরও কিছু পরিপক্বতার দরকার আছে।’

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর ২০১৫ সালের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় বিধিমালার একটি খসড়া তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। ওই বিধিমালা সংশোধন করে দেন আপিল বিভাগ। ওই খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেই বিধিমালা গেজেট আকারে জারি করে তা দাখিল করতে গত বছরের ২৮ আগস্ট আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এরপর থেকে রাষ্ট্রপক্ষ দফায় দফায় সময় নিয়েছে। সবশেষ সংশোধিত খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে জমা দেয় আইন মন্ত্রণালয়। এই খসড়া সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ অনুসারে হয়নি বলে জানিয়ে দেন আপিল বিভাগ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২০০০ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেছেন, আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা হাইকোর্টের অনুমোদন সাপক্ষে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে।

রবিবার বেলা ১১টার দিকে এ রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম।

এছাড়া কোটালীপাড়ার ওই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা অপর মামলায় ১০ আসামিকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড ও এক জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য,  ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ স্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল আট জনকে আসামি করে মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে ২০০৯ সালের ২৯ জুন আরও নয় জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হয়। এরপর ২০১০ সালে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা-২ ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়। শেখ হাসিনাকে এ পর্যন্ত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ঢাকার আদালতেই এ ধরনের পাঁচটি মামলা বিচারাধীন। আজ রায় ঘোষণা হলে, এটাই হবে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রথম রায়। এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্রিটিশ হাইকোর্টে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি

প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিককে। ৫০ বছর বয়সী আখলাকুর রহমান চৌধুরী ১৯৯২ সালে ব্যারিস্টারি পাস করে আইন পেশায় যোগ দেন। এ পেশায় থাকা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুইজন কুইনস কাউন্সেলের (কিউসি) মধ্যে তিনি একজন। অন্যজন হলেন- ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) যুক্তরাজ্যের বিচার বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে আখলাকুর রহমান চৌধুরী কিউসির নিয়োগ রানী এলিজাবেথ অনুমোদন করেছেন। আগামী ২ অক্টোবর থেকে নিয়োগ কার্যকর হবে।

আখলাকুর এর আগে হাই কোর্টের ডেপুটি বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে স্ত্রী সফিনা ও তিন সন্তানকে নিয়ে তিনি লন্ডনে বসবাস করছেন।

এর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সপ্নারা খাতুন যুক্তরাজ্যের ক্রাউন কোর্ট ও ফ্যামিলি কোর্ট বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেলেও আখলাকুর রহমানই ব্রিটিশ হাই কোর্টের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest