সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়া

যশোরের সাবেক এমপি খান টিপু সুলতান আর নেই

যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতান আর নেই। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে গত বুধবার থেকে রাজধানীর ধানমণ্ডির সেন্ট্রাল হাসপাতালে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিআই) রাখা হয়েছিল। চিকিৎসকরা আজ শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন ও তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

খান টিপু সুলতানের ছেলে সাদাব হুমায়ুন সুলতান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সাদাব জানান, রোববার বেলা ১১টায় খান টিপু সুলতানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ প্লাজায়। এরপর মরদেহ নেওয়া হবে সুপ্রিম কোর্টি প্রাঙ্গণে। সেখানে বাদ জোহর জানাজা শেষে তাঁকে যশোর নেওয়া হবে। বাদ আসর যশোর শহরে জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হবে মরহুমের সংসদীয় এলাকা মনিরামপুরে। সেখানে বাদ মাগরিব জানাজা শেষে লাশ নেওয়া হবে তাঁর জন্মস্থান খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায়। বাদ এশা ডুমুরিয়ায় জানাজা শেষে সেখানে তাঁকে দাফন করা হবে।

১৯৫০ সালে জন্ম নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা খান টিপু সুলতান ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডুবছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ; রেল বিমান বিটিসিএল শিক্ষা সব খাতে একই চিত্র

অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় ডুবছে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ বিমান, রেলওয়ে, বিটিসিএল, ডাক বিভাগ, টেলিটক, বিআরটিসি, সরকারি হাসপাতাল, শিক্ষা খাত থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন, বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) এখন সমস্যায় ভারাক্রান্ত প্রতিষ্ঠান।
সরকার যায় সরকার আসে, কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা উন্নত হয় না। বরং দিনের পর দিন প্রতিষ্ঠানগুলো ভয়াবহভাবে পথে বসতে শুরু করেছে।

দেশে বেসরকারি উড়োজাহাজগুলো যখন ইতিবাচক অবস্থান তৈরি করছে, তখনই বিমানের অবস্থা বেহাল। ইউএস বাংলা, রিজেন্ট এয়ার, নভোএয়ার এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও প্রশংসা অর্জন করছে। অন্যদিকে বিমান এখন ডানাভাঙা প্রতিষ্ঠান। নিজেদের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অবহেলায় একের পর এক আন্তর্জাতিক রুট তারা গুটিয়ে নিচ্ছে। বিমানের সার্ভিস নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। বিমান আজ পর্যন্ত রুটগুলোর সময়সীমাই ঠিক করতে পারেনি। গতকালও লন্ডন ফ্লাইট পাঁচ ঘণ্টা পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আকাশে উড্ডয়ন করে। এভাবে নয়টার বিমান কয়টায় যাবে কেউ জানে না। অথচ সামান্য পরিকল্পনা নিলেই বিমানের এ চিত্র বদলানো সম্ভব। পুরনো বিমান লিজে এনে প্রতিষ্ঠানটিকে লোকসানি খাতে পরিণত করা হয়েছে। যে দামে বিমান লিজে আনা হয়েছে, একই দামে নতুনই কেনা সম্ভব। বিমান নিয়ে খামখেয়ালিপনা চলছেই। বিমানের মতোই রেলওয়ের অবস্থাও বেহাল। যেভাবে সামনের দিকে পথ চলার কথা, তা চলছে না। রেলকে পৃথক মন্ত্রণালয় করার পর এ খাতে সরকার গত পাঁঁচ বছর ধরে পৃথক বরাদ্দ দিচ্ছে। কিন্তু যেভাবে রেলের উন্নয়ন হওয়ার কথা, তা বাস্তবে হচ্ছে না। শুধু কাগজে-কলমে বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করেই দেখানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের চিত্র। বাস্তবে রেলে অনিয়মের শেষ নেই। রেলে জমি লিজ থেকে শুরু করে ঘাটে ঘাটে অভিযোগের শেষ নেই। তবে একটা জায়গায় রেলের উন্নতি ঘটেছে। আগে যেখানে ট্রেনের সময়সীমা সঠিক ছিল না, সেখানে গত দুই বছরে সময়সীমার দিক দিয়ে রেল অনেক এগিয়েছে। এখন অধিকাংশ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চলাচল করছে। সরকারের আরেক প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল। এই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে অপার বিস্ময় বিভিন্ন মহলে। বেসরকারি ফোন কোম্পানিগুলো লাভ করলেও সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি দিনের পর দিন শুধুই লোকসান গুনছে। বেসরকারি সব মোবাইল অপারেটরের চেয়ে নেটওয়ার্কে কয়েক গুণ শক্তিশালী হচ্ছে টেলিটক। অথচ এটিই এখন দুর্বল প্রতিষ্ঠান। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গেলেই টেলিটকের দুর্বলতা ফুটে ওঠে। অথচ সব জেলায়-উপজেলায় টেলিটকের নেটওয়ার্ক রয়েছে। একইভাবে লোকসান বাড়ছে বিটিসিএলে। বছর বছর এখন যেভাবে যাচ্ছে, একসময় প্রয়োজনীতা ফুরিয়ে যাবে বিটিসিএলের। অথচ ল্যান্ডফোনের ডিমান্ড এখনো গ্রাহকের মধ্যে ব্যাপক। দুর্নীতির কারণে প্রতিনিয়ত ডুবতে থাকা সরকারের বৃহৎ এই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক-ক্ষমতা ছিল প্রায় ১৩ লাখ। কিন্তু দুর্নীতির কারণে গত কয়েক বছরে এই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক কমতে কমতে অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত বছরও এর গ্রাহকসংখ্যা ছিল সাত লাখের ওপরে। আর চলতি বছর সেটি ছয় লাখের কিছু বেশি। প্রতিদিনই গ্রাহকরা সারেন্ডার করছেন শুধু অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির কারণে। স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি হাসপাতালগুলোর অবস্থা খুবই করুণ। উন্নমানের সেবা না পাওয়া, হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসক-কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারের কারণে সরকারি হাসপাতালগুলোর প্রতি মানুষের অনাগ্রহ দিনে দিনে বাড়ছে। ঢাকার নামীদামি বেসরকারি হাসপাতালে ঢুকে পরিবেশ দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। চিকিৎসায় গলাকাটা দাম থাকলেও চকচকে-ঝকঝকে পরিবেশ রাখেন তারা। ঠিক এর বিপরীত চিত্র হচ্ছে সরকারি হাসপাতালের। নোংরা পরিবেশ, চিকিৎসায় অবহেলা, উন্নত মানের খাবার না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ, পঙ্গু হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, হূদরোগ, মিটফোর্ড, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর প্রায় সব কটি সরকারি হাসপাতালের অবস্থা এক। কাগজে-কলমে এসব হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীর অভাব নেই। অভাব শুধু চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে। রোগীরা সরকারি হাসপাতালে ছুটে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকতে হয় হাসপাতালের বারান্দায় বা মেঝেতে। চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। ফলে ভোগান্তির শেষ নেই সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া রোগীদের। সর্বোপরি হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির শেষ নেই। চিকিৎসাসেবার বাইরে কেনাকাটা নিয়েও রয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে এসব অভিযোগ থাকলেও এগুলোর বিরুদ্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের ব্যবস্থা নেওয়ার নজির খুব কমই দেখা যায়। একই অবস্থা বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের। এখানে চলছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি। ফলে ডুবতে বসেছে সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটিও। সর্বশেষ নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। কোনো রকম নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এবং চাকরিবিধি অমান্য করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২৯ জন কর্মচারীকে। বিএসইসির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লোকসান গুনছে বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি)। সংস্থাটির ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টিতে গত অর্থবছরে ৩৩৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। আর বাকি চারটি প্রতিষ্ঠানের লাভ হিসাব করলেও সব মিলিয়ে লোকসান প্রায় ৭৮ কোটি টাকা। অথচ এর আগের বছরও প্রতিষ্ঠানটি ৯৩ কোটি টাকা লাভ করেছিল। বিসিআইসির কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের অদক্ষতা, গাফিলতি ও অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই ডুবতে বসেছে বিসিআইসি এবং এর অধীন ১৩টি প্রতিষ্ঠান। এর ফলে হতাশায় আছেন এখানকার আট হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। অভিযোগ উঠেছে, বিসিআইসি লোকসান করলেও অতিরিক্ত গাড়ি ব্যবহারসহ চেয়ারম্যান নানা ধরনের অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন। বিসিআইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২১৭ কোটি টাকা লাভ করেছিল বিসিআইসি। কিন্তু ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর মোহাম্মদ ইকবাল যোগ দেওয়ার পরই দুর্নীতি, অনিয়ম ও একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে লাভ কমে নেমে আসে ৯৩ কোটি ৪৪ লাখে। আর পরের বছরই লোকসান হয় ৭৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ লোকসান আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের বিরুদ্ধেও। ফলে গ্রামীণ রাস্তাঘাটের উন্নয়নে সরকারের যে বরাদ্দ রয়েছে, সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। এলজিইডির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত কর্মকর্তারা ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার কারণে অধিকাংশ রাস্তাঘাটই দ্রুততম সময়ে নষ্ট হয়ে যায়। ডাক বিভাগে তো চিঠির সংখ্যা কমেই গেছে। মানুষ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতি। সরকারের এই প্রতিষ্ঠান প্রতিবছরই লোকসান গুনছে। যদিও এটিকে টেনে তোলার জন্য নানামুখী চেষ্টা করছে সরকার। বিআরটিসির করুণ অবস্থা দেখা যায় রাস্তায় নামলেই। সরকার নগরবাসীর যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে দফায় দফায় সরকারি অর্থায়নে বিআরটিসির অধীনে যানবাহন নামালেও সেগুলো কিছুদিন চলার পর মুখ থুবড়ে পড়ে। যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলেই ফেলে রাখা হয় বিআরটিসির কোটি কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি। সেখান থেকে ধীরে ধীরে সেসব গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে বিআরটিসির একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী। ফলে লাভের মুখ আর দেখা হয় না এই প্রতিষ্ঠানটির। শিক্ষা খাতের দুর্নীতি-অনিয়মের কারণে অনেক প্রকল্পই সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে শেষ হয় না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন দৈন্যদশা সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবার মান কমার অন্যতম কারণ হচ্ছে অনিয়ম-দুর্নীতি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে জবাবদিহির ভয় না থাকা। বিশেষ করে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের বড় কর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি বা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠলে তা আমলে না নিয়ে বরং তাদের পুরস্কৃত করা হয়। এতে দুর্নীতিবাজরা আরও উৎসাহিত হয়। অথচ একই সঙ্গে বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থাকে সেবার মান বাড়িয়ে মুনাফা অর্জনের লক্ষ্য। ফলে সেটা তারা করতেও পারে। কেননা বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম-দুর্নীতি করলে শাস্তির বিধান কঠোরভাবে মেনে চলা হয়, যা সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে হয় না। ফলে যে কোনো ধরনের সরকারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সেবার মান বাড়াতে হলে সবার আগে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবার মান বাড়াতে হলে সে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মকর্তাদের মধ্যে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্যাংক-বিমার কর্মীদের কাজ করতে হবে সেবার মানসিকতা নিয়ে। যদি কারও বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠে, এর সঠিক তদন্ত হবে। কর্মীদের মধ্যে এই মানসিকতা সৃষ্টি করাতে হবে যে, ভালো কাজ করলে যেমন পুরস্কার পাওয়া যাবে, খারাপ কাজ করলে বা অনিয়ম-দুর্নীতি করলে বা দায়িত্বে অবহেলা করলে তিরস্কারের মুখোমুখি হতে হবে। এমনকি কঠোর শাস্তির বিধানগুলোকে কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবার মানের সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠান সব সময়ই হেরে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুমিনুলের বাদ পড়া নিয়ে হাজারো প্রশ্ন?

২০১৩ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া মুমিনুল হক এই প্রথমবারের মতো দল থেকে বাদ পড়লেন। আর তার বাদ পড়ার বিষয়টি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ক্রিকেট ভক্তরা।
অবশ্য না মেনে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে ভক্তদের। কারণ এই লিটল মাস্টারের ব্যাট থেকে ক্যারিয়ারের ২২ টেস্টে গড় রান এসেছে ৪৬.৮৮ করে। এসেছে ১১টি হাফ সেঞ্চুরি ও ৪টি সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের শুরুতে কেউ কেউ তাকে ডন ব্র্যাডম্যানের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন। আর এই মুমিনুলই বাদ পড়লেন পারফরম্যান্সের অজুহাতে!

‘সৌম্য সরকার কোনো যুক্তিতে মুমিনুল হক কিংবা মাহমুদুল্লাহর চেয়ে টেস্টে ভালো ব্যাটসম্যান কেউ কী বুঝাতে পারবেন?’ ফেসবুকে এভাবেই মন্তব্য প্রকাশ করছেন নয়ন নামের এক ক্রিকেট প্রেমী।

মেহেদি হাসান নামে একজন স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমাদের ডন ব্র্যাডম্যান মমিনুল হক। টেস্টে এই লিটল মাস্টারের ব্যাটিং গড় ছিলো প্রায় ৬৩। আর তাকেই স্কোয়াডে রাখলেন না নির্বাচকরা। ‘

ইশতিয়াক নামের একজন লিখেছেন,’মুমিনুল হক এর মতন খেলোয়াড় ১৪ জনের স্কোয়াডেই নেই… ভাবতে খুব খারাপ লাগতেছে যে এখন বাংলাদেশের সবচে বেশি গড় কিন্তু তার। ‘

এরকম হাজারো সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সবই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের স্কোয়াড থেকে মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহর বাদ পড়া নিয়ে।

এদিকে, টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকের বাদ পড়ায় দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। ক্রিকেটপ্রেমীদের পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের কাছেও মুমিনুলের বাদ পড়া ছিল প্রধান একটি প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের জবাব দিতে সংবাদ সম্মেলনে হিমশিম খেত হল প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিনকে। বলা বাহুল্য যে, নির্বাচক হিসেবে প্রথমবার এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়লেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।

মুমিনুল বাদ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক বলেন, পারফর্মেন্সের জন্যই বাদ পড়েছেন মুমিনুল। তার ভাষায়, ‘মুমিনুলের সামগ্রিক যে ফর্ম, আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যান আছে… জানুয়ারি থেকে শ্রীলঙ্কা সিরিজ পর্যন্ত, ছয় ইনিংসে ওর একটি মাত্র ফিফটি। এ পারফরম্যান্সের জন্যই ওকে রাখা হয়নি। তারপরও আমাদের পরিকল্পনায় আছে, প্রস্তুতির মধ্যেই আছে। যখন-যাকে দরকার, তখন ব্যবহার করা হবে। ‘

এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের বাদ পড়ার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেই প্রশ্নও ওঠে সংবাদ সম্মেলনে। কিন্তু মিনহাজুল আবেদিন তা সরাসরি নাকচ করে দেন।

তিনি বলেন, একমাত্র কারণ হলো পারফর্মেন্স। কিন্তু ঘরের মাঠে ইংল্যন্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ইনিংস ছিল মুমিনুলের। আর অজিরাও খেলতে এসেছে বাংলাদেশেই। এটা মনে করিয়ে দিতেই প্রধান নির্বাচক বললেন, ‘সেটা এক বছর আগে, এরপর আমরা বেশ কিছু টেস্ট খেলেছি। সামগ্রিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘
এমন সময় প্রশ্ন আসে, মুমিনুলকে বাদ দেওয়া আসলে কার সিদ্ধান্ত? নির্বাচকমন্ডলী নাকি টিম ম্যানেজম্যান্টের? এই প্রশ্নটির উত্তর বেশ সাবধানেই দিলেন তিনি। বললেন, ‘আমাদের প্রধান কোচ কিন্তু নির্বাচক প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলেই পারবে না। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘

প্রশ্নোত্তর পর্বের এক পর্যায়ে কিছুটা রেগে গিয়ে মিনহাজুল আবেদিন বলেন, আপনারা মুমিনুলকে নিয়ে যদি এভাবে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে কিন্তু উত্তর দিতে পারব না। কারণ অনেক কিছু আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একজনকে নিয়ে এভাবে জিজ্ঞেস করতে পারেন না।

এক পর্যায়ে তাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় ১৯৯৯ বিশ্বকাপের কথা। ওই বিশ্বকাপের দল থেকে প্রথমে বাদ পড়েছিলেন তখনকার জাতীয় দলের ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদিন। শেষ পর্যন্ত জনতার দাবি আর সংবাদমাধ্যমের চাপে তাকে বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। সেই ঘটনা যদি সমালোচনার জন্ম দিয়ে থাকে তাহলে আজ মুমিনুলের বাদ পড়া সমালোচনার জন্ম দেবেনা কেন?

মিনহাজুল সরাসরি প্রশ্নটির কোনো উত্তর না দিয়ে অনেকটা অধৈর্য্য হয়ে বললেন, এভাবে আমাকে বললে সেটা ঠিক হবে না। আমাদের প্রধান কোচ এখানে আছেন, উনাকেও ব্যাপারটি জিজ্ঞেস করতে পারেন।

কিন্তু সাংবাদিকদের তোপ থামল না। সর্বশেষ দুই টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি মুমিনুল। কিন্তু তার আগের ১১ টেস্টে টানা পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস আছে তার। যেটা একটা রেকর্ডও বটে। এছাড়া তার জায়গায় যে দুজনকে ভাবা হচ্ছে, সোম্য আর সাব্বির, তারাও তো দীর্ঘদিন ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন। তাদের ফর্মে ফেরানোর জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাহলে মাত্র দুটি ম্যাচের জন্য বাদ পড়বেন মুমিনুল?

জবাবে আবারও পরিসংখ্যানের আশ্রয় নিলেন প্রধান নির্বাচক। বললেন, ‘মুমিনুলের প্রসঙ্গে আপনারা ওর পরিসংখ্যানের দিকে যাচ্ছেন না। গত এক বছরে ওর গড় ২৮-এ নেমে এসেছে। ও যেভাবে ওর ক্যারিয়ার শুরু করেছিল, সেই মাত্রায় কিন্তু নেই। একজন ক্রিকেটারকে নিয়ে এরকম আলোচনা আসলে ঠিক নয়। ওকে নিয়ে কিন্তু আমাদের সামনে অনেক চিন্তা ভাবনা আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ওকে যেন নিতে পারি সেজন্য আলোচনা করছি। এমন নয় যে ওর ক্যারিয়ার আমরা এখানেই শেষ করে দিচ্ছি। ‘

শেষের দিকে মিনহাজুল আরও বললেন, তারা মুমিনুলের ফর্ম ফিরিয়ে আনতে খুব চেষ্টা করছেন। দেশের মাটিতে মুমিনুল দুর্দান্ত খেলেছে সেটাও মেনে নিলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, মুমিনুলকে কিন্তু মোরালি আমরা সব সময় সাপোর্ট করেছি। আমি, হাবিবুল বাশার সুমন সব সময় ওকে সাপোর্ট করি, আলোচনা করি। ওর ব্যাটিং দেখি। যথেষ্ট আলোচনা করি। শ্রীলঙ্কা থেকে ওকে ফিরিয়ে আনি ওকে আমরা ইমার্জিং কাপে খেলার সুযোগ তৈরি করে দেই। বিকল্প হিসেবে সবসময় ওকে চিন্তা ভাবনা করেছি। সামনে দেখবেন আমরা ওকে নিয়ে কী করি। হয়ত পরের সিরিজেই ওকে দেখতে পারেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার গরুর উপর নিষ্ঠুরতার অভিযোগে বিজেপি নেতা গ্রেফতার!

গরুর উপর নিষ্ঠুরতার অভিযোগ এনে ভারতে বন্ধ করা হয়েছে গরু জবাই। এমনকি এর জন্য ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও কট্টরপন্থী হিন্দু মৌলবাদী সংগঠনের তথাকথিত গো-রক্ষক বাহিনীর হাতে বহু নিরপরাধ মানুষ হতাহত হয়েছেন।
সামান্য অজুহাতে মুসলিম এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে তারা।

কিন্তু এবার ছত্তিশগড় রাজ্যের খোদ এক বিজেপি নেতাকেই পুলিশ গরুর উপর নিষ্ঠুরতার দায়ে গ্রেফতার করেছে। খবর বিবিসির

হরিশ ভার্মা নামের ওই নেতা একদিকে যেমন একটি পৌর এলাকার সহ-সভাপতি, তেমনই সরকারি অনুদান নিয়ে গোশালাও চালাতেন। সরকারি অনুদানের টাকার সম্পূর্ণ সদ্বব্যহারও তিনি করেননি বলেও অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের কাছে।

ছত্তিশগড়ের পুলিশ বলছে, রাজ্য গো সেবা কমিশনই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল যে -ভার্মা দুর্গ জেলায় যে গোশালাটি পরিচালনা করেন সেখানে গত কয়েকদিনে অন্তত ত্রিশটি গরু মারা গেছে।

সেই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরেই পশু নির্যাতন রোধ আইন, গবাদি পশু রক্ষা আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারা অনুযায়ী হরিশ ভার্মাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

গো হত্যার অভিযোগ ছাড়াও ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে গো সেবা কমিশন এটাও বলেছে, গোশালায় থাকা প্রায় ৫০০ গরু দেখভালের জন্য যে সরকারি অনুদান দেয়া হয়েছিল ভার্মাকে, সে অর্থও নয়ছয় করেছেন তিনি।

ভারতে এখন প্রায় ২৫ হাজার গোশালা রয়েছে, যার একটা খুব ছোট অংশই সরকারি অনুদান পায়। বাকি প্রায় ৯৫ ভাগ গোশালা হয় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা স্থানীয় কৃষকরা পরিচালনা করেন।

এগুলিতে যেমন নানা ধরণের গরু প্রজনন ও বিক্রির ব্যবস্থা থাকে, তেমনই বয়স হয়ে যাওয়া যেসব গরুকে পালন করতে অপারগ হন কৃষকরা- সেগুলো ওই গোশালাগুলিতে রেখে আসা হয়।

ভারতীয় গোরক্ষা দলের প্রধান পওয়ন পন্ডিত বলছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে গত তিন চার বছরে প্রায় ৫ হাজার নতুন গোশালা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে।

তবে ছত্তিশগড়ের গোশালায় গরু-মৃত্যু নিয়ে পন্ডিত বলছেন- দেশের হাজার হাজার গোশালার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটিতেই এরকম ঘটনা ঘটলেও এটা ব্যতিক্রম সার্বিক চিত্র নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধান বিচারপতিও রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পেয়েছিলেন : খাদ্যমন্ত্রী

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ১৯৯৯ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম।

বিচারপতিদের রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া উচিত নয়, প্রধান বিচারপতির দেওয়া এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (প্রধান বিচারপতি) যে কথাগুলো বলছেন, বিশেষ করে বিচার বিভাগে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে আইন হওয়া উচিত, এই হওয়া উচিত, সেই হওয়া উচিত, ইমপারশিয়াল হওয়া উচিত, রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ না হওয়া উচিত। তিনিও কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় ১৯৯৯ সালে নিয়োগ পেয়েছিলেন।’

‘তিনি রাজাকার না বলেই, বা মুক্তিযুদ্ধে বিরোধী শক্তির প্রতিনিধিত্ব করেন না বলেই কিন্তু আমরা বিচারপতি নিয়োগ করেছিলাম এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছিলাম।’

কামরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘এই পাঁচ মাস, সাত মাস তিনি আরো প্রধান বিচারপতি হিসেবে আসীন আছেন, তিনি একটি গ্রুপের ১/১১-এর কুশীলবদের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছেন, এটা বহুল প্রচলিত। আজকের বাজারে এ কথাটা আছে এবং এ কথাটা যদি সত্যি হয়, তাহলে তাঁর কাছ থেকে আরো বড় আঘাত সামনে আসতে পারে।’

সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘জানি না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শ করে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু একটা বিহিত, ব্যবস্থা করা উচিত।’

শনিবারের আলোচনা সভায় সাবেক বিচারপতি বর্তমানে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক বলেন, ‘যে জজ সাহেব অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে, যদি এটা অনুরাগ বা বিরাগ বলে মনে করেন আপনারা, যে কথাগুলো আমি বললাম যে, পার্লামেন্ট ইজ ইমম্যাচিওর, ডেমোক্রেসি ইজ ইমম্যাচিওর, পার্লামেন্ট আমাদের ডাইরেকশন শোনেনি… এ কথাগুলো যদি অনুরাগ-বিরাগের মধ্যে চলে আসে, তাহলে সেই জজ সাহেবের পজিশনটাই বা কী হবে। তিনি কি আর ওর্থ বাউন্ড থাকছেন কি না। সেটাও আপনারা বিচার বিবেচনা করে দেখুন।’

সাবেক এই বিচারপতি আরো বলেন, প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতিরা রাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কিছু করবেন না বলে যে শপথ গ্রহণ করে থাকেন, সেই শপথ ভঙ্গ করলে তারা ওই পদে আর বহাল থাকতে পারেন না। ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের মধ্য নিয়ে সে রকমই একটি পরিস্থিতি প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতির বেলায় হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে ট্রেনের বগির উপরে বগি, নিহত ২৩

ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলায় যাত্রীবাহী একটি ট্রেনের বগি উল্টে অন্তত ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে আরো অন্তত ৪০ জন। ১৪টি বগি উল্টে অপর বগির উপর উঠে যাওয়ায় ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে সংবাদসংস্থা এএনআই।

শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে রাজ্যের মুজাফফরনগর জেলায় এ দুর্ঘট্না ঘটে। হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, উত্তরপ্রদেশের পুরী-হরিদ্বার-কলিঙ্গগামী উৎকল এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেনের ১৪টি বগি উল্টে গেছে। মুজাফফরনগরের খাওতলি স্টেশনে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এক বিবৃতিতে প্রথমে ট্রেনের বগি উল্টে ২৩ জন নিহত ও ৪০০ জনের আহতের তথ্য জানায়। পরে টাইপিংয়ের ভূলেই আহত ৪০ জনের স্থলে ৪০০ লেখা হয়েছে বলে দু:খ প্রকাশ করে সংশোধনী দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

ট্রেন লাইনচ্যুতে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুর্ঘটনার কারণ শনাক্তে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির রেলওয়ে মন্ত্রী সুরেশ প্রভু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক টুইটে তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের গাফিলতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দুর্ঘটনাস্থলে দুই মন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন। ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ট্রেনের এ দুর্ঘটনায় ১১ জনের প্রাণহানি ও ৪০ জনের আহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেনের বগির নিচে অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার পর ওই রেললাইনে চলাচলকারী ট্রেনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়েছে।

দেশটির বিরোধীদলীয় নেত্রী সোনিয়া গান্ধী দুর্ঘটনাস্থলের আশ-পাশের লোকজনকে উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে হতাহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা আ ’লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : মহান স্বাধীনতার স্থপতি, শতাব্দীর মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। আলোচনা সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করেন নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী দুস্কৃতিকারী সদস্যরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় সংযোজিত হয়েছিল। সেদিন ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, আরিফ, বেবি ও সুকান্ত, আবদুল নাঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণিকেও হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিলকেও সেদিন ঘাতকদের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। ১৫-ই আগস্টে এ জাতি যা হারিয়েছে সে ক্ষতি কখনও পুরণ হবার নয়। তবে সেই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বাঙালী জাতির ভাগ্যন্নোয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রুপকার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। সেদিনের শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।’ আলোচনা সভায় সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বাঙালি জাতি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এ দিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তার পরিবারের সদস্যদেরকে। ঐ দিন এ জাতি যা হারিয়েছে সে ক্ষতি কখনও পুরণ হবার নয়। সমগ্র জাতি আজ শোকাহত ও মর্মাহত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শাহাদাৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ১৫ আগষ্টের ষড়যন্ত্রকারীরা আজো সক্রিয়। বাঙালী জাতির অধিকার নিশ্চিত করতে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করে ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে কারণে তার জনপ্রিয়তা সহ্য হয়নি এদেশে ঘাপটি মেরে থাকা পাকিস্থানী এজেন্টদের। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার বাঙালির ভাগ্যন্নোয়নে নিরলসভাবে কাজ করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তাই এখনও ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’ এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক, এ্যাড. এস.এম হায়দার, যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাহিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ ফিরোজ আহমেদ স্বপন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, জেলা শ্রমিকলীগ নেতা শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, জেলা শ্রমিকলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ সরদার, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা ও পৌর কাউন্সিলর জ্যোন্সা আরা, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ ক্বারী শেখ ফিরোজ আহমেদ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পিপি এড. ওসমান গনি, সদস্য এ্যাড. আব্দুল লতিফ, এ্যাড. আজহারুল ইসলাম, আসাদুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এড. স.ম গোলাম মোস্তফা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি সংসদ জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জসি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদিকা লায়লা পারভীন সেজুতি, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য ওবায়দুর রহমান লাল্টু, শাহনওয়াজ পারভীন মিলি, সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু, জজকোর্টের এপিপি এ্যাড. তামিম আহমেদ সোহাগ, জেলা তরুণলীগের সভাপতি শেখ তৌহিদুর রহমান চপল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভির হুসাইন সুজন, সাধারণ সম্পাদক এহছান হাবিব অয়ন, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন, সাধারণ সম্পাদক শেখ তৌহিদ হাসান, পৌর যুবলীগের আহবায়ক মনোয়ার হোসেন অনু, যুগ্ন আহবায়ক তুহিনুর রহমান তুহিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেনসহ জেলা আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় নিটল মটরসের গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিটল মটরসের গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে তুফান কনভেনশনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির সাতক্ষীরা শাখার সি ই ও মোস্তাক আহম্মেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নিটল মটরস গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহম্মদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আবু আহমেদ, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি শেখ ছাইফুল করিম সাবু, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ট্রাক মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী প্রমুখ। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। বাংলাদেশ না হলে আমরা শিল্পপতি হতে পারতাম না আর আমরা শিল্পপতি না হলে নিটল মটরসের জন্ম হতো না। তার অবদান চিরস্মরণীয়। যা বাঙালি জাতী আজীবন মনে রাখবে। এছাড়া গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোম্পানি গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী স্লাপাই দিবে। সাতক্ষীরার গ্রাহকদের জন্য তিনি ৬টি ফ্রি সার্ভিস সেন্টার ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest