সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণসাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভাসাতক্ষীরায় কায়পুত্র সম্প্রদায়ের ভ‚মি সংক্রান্ত বিষয়ে এ্যাডভোকেসি সভাবিএনপির কানাডা পশ্চিম শাখা শাখার সাধারণ সম্পাদক হলেন সাতক্ষীরার মুজিবর রহমান

4545454এস এম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্চু : একদিনের ব্যবধানে কালিগঞ্জ শ্যামনগর মহা-সড়কে পাউখালী তালতলা নামক স্থানে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মিনি ট্রাকের ধাক্কায় বাই-সাইকেল আরোহী আমেনা খাতুন (৪৫) ঘটনা স্থলে ও তার স্বামী আবেদ আলী (৫৫) সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত আসাদুজ্জামান নুরকে (৮) আশঙ্কা জনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ও আহতরা উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের ভদ্রখালী গ্রামের বাসিন্দা বলে জানাগেছে। স্থানীয়রা জানায়, সাইকেল আরোহী কালিগঞ্জ-শ্যামনগর মহাসড়কের পাউখালী তালতলা নামক স্থানে পৌঁছানো মাত্র পেছন দিক থেকে দুরুত্বগামী একটি মিনি ট্রাক ঢাকা মেট্রো-ন (১৪-২২৩৬) ধাক্কা মারলে বাইসাইকেল থেকে তারা রাস্তায় ছিটকে পড়ে। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফায়ার সাভির্সের কর্মীরা ছুটে এসে তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্ত্তি করে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আল-ইমরান মাহমুদ আমেনা খাতুনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত আমেনা খাতুনের স্বামী আবেদ আলী ও নাতি আসাদুজ্জমানের অবস্থা মুমুর্ষ হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে দুপুর ২টার দিকে আবেদ আলী মারা যায়। দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে ও স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করলেও ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে যায়। সড়ক দূর্ঘটনায় আবেদ আলী ও স্ত্রী আমেনা খাতুনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ রিপোট লেখা পযর্ন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি বলে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1490351556‘পুলিশের ভুঁড়ি কেন? পুলিশের ভুঁড়ি থাকা মোটেই ভালো নয়।’ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুলিশকর্মীদের ভুঁড়ি নিয়ে এভাবেই অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্ট।

আজ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে এ নিয়ে মন্তব্য করেন।

নিশীথা মাত্রে বলেন, ‘পুলিশকর্মীদের ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা মোটেই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। পুলিশকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হয়। তাই তাদের সব সময়ই শারীরিক সক্ষমতা প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে শরীরে ভুঁড়ি বেড়ে গেলে তা যথেষ্ট অসুবিধার কারণ। পুলিশকর্মীদের বছরে মাত্র একবার শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা দিলে লাভ হবে না।’

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এ ব্যাপারে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট।

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুলিশকর্মীদের অতিরিক্ত ভুঁড়ি ও শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন জনৈক কমল দে নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই শুক্রবার এই মন্তব্য করেন কলকাতা হাইকোর্ট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

999আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার তালার ইউএনওর নির্দেশে ভাংচুর করা হয়েছে কৃষক আমিনুর পরিবারের বাড়ি ঘর। শুধু ভাংচুর করে ক্ষ্যান্ত হননি, হামলাকারীদের হাতে মার খেলেন বাড়ির নারী পুরুষ সবাই। সাথে সাথে তাদের পৈত্রিক মামলাধীন জমিতে তৈরি হলো মাটির রাস্তা। আর নির্বাহী অফিসারের এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে বাহবা আদায় করলেন তালার ধান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আরিফুল আমিন মিলন।
শুক্রবার দুপুরে তালার কাটাখালি গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমানসহ তার শরীক পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সাতক্ষীরায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাদের কোন কথা শুনতেই চাননি। উল্টো বলেছেনÑ “আমি কোর্টফোর্ট মানি না”। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আরিফুল আমিন মিলনকে তার মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
তবে ইউএনও ফরিদ হোসেন বলেন, আইনের উর্ধে কেউ নন। আমি কোর্ট না মানার কোনো কথা বলিনি। তারা আদালতের মামলার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, তালার ধান্দিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর মৌজার এসএ ৬৬৬ খতিয়ানে ৩৫৪ দাগে ৮৪ শতাংশ জমির মধ্যে ৫ শতক পৈত্রিক রেকর্ডীয় জমিতে তার ঘরবাড়ি ও গাছগাছালি রয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই জমিতে নিজের স্বার্থে রাস্তা তৈরির জন্য প্রতিবেশী রাজ্জাক মল্লিক চেষ্টা করে আসছিলো। আমিনুর রহমান বলেন, এই বিষয়ে তিনি সাতক্ষীরা সহকারী জজ আদালতে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুটি মামলা দাখিল করেছেন। তা এখন বিচারাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে রাজ্জাক মল্লিক তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেনকে ম্যানেজ করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিয়ে আসেন। গত ২১ মার্চ দুপুর ১২টায় তার পুকুরপাড়ে এসে নির্বাহী অফিসার ইউপি সদস্য আরিফুল আমিন মিলনকে তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে রাস্তা নির্মানের হুকুম দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আমিনুর বলেন, তাদের কোন কথাই নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন শুনতে রাজি হননি। এমনকি জমির কাগজপত্র দেখার চেষ্টাও করেননি। পরদিন সকালে ইউপি সদস্য আরিফুল আমিন মিলনের নেতৃত্বে মান্নান মল্লিক, মিঠু মল্লিক, রফিকুল মল্লিক, মোজাফফর মল্লিক, সাত্তার মল্লিক, সবুর মল্লিক ও বজলু বিশ্বাস সহ চৌকিদার রাজ্জাক ও চৌকিদার সুনীল তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে দেয়। এসময় গাছপালা কেটে সাবাড় করে জোর করে রাস্তা নির্মাণ করতে থাকে। বাধা দেওয়ায় তারা আব্দুর রহিমকে বেদমভাবে মারপিট করে। তাকে রক্ষা করতে যেয়ে তার মা জোসনা বেগম ও প্রতিবেশি মঞ্জিলা বেগমও হামলাকারীদের হাতে আহত হন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘটনার প্রতিকার দাবি করেন এবং তালার ইউএনও ফরিদ হোসেন, ইউপি সদস্য আরিফুল আমিন মিলন এবং রাজ্জাক মল্লিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আমিনুর রহমান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হোসেন, বিউটি খাতুন, আব্দুর রহিম, মঞ্জিলা বেগম ও জোসনা বেগম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2_61নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় হয়রানির শিকার হওয়া একজন নারায়ণগঞ্জ জেলার ভূইগড়ের শেখ খায়রুল আলম। একদিনের জন্যও ঘরে বউ তুলতে না পারলেও সেই বউয়ের করা মামলায় হাজতে থাকতে হয়েছে ৭৭ দিন। খায়রুল আলমের দাবি, কোন প্রকার দোষ না করেও থাকতে হয়েছে হাজতে। মামলার সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত ঝুলে আছে ২০১৪ সালের মামলা। প্রতি ২-৩ মাস পর পর দিতে হয় হাজিরা।

খায়রুল আলম জানান, ২০১৩ সালের ১৮ অক্টোবর একই এলাকার মেয়ে রিমিকে (ছদ্ধনাম) এক লক্ষ টাকা মোহরানায় কাবিন করে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন খায়রুল। মেয়ের বাবার ইচ্ছায় বিয়ে হয় ঢাকার মানিকনগরে। কথা ছিলো মেয়ের বাবা দুইমাস পর মেয়েকে তুলে দিবেন। কিন্তু এরই মধ্যে খায়রুল জানতে পারে তার বউয়ের অন্যের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে খায়রুলের বিরুদ্ধে করা হয় যৌতুকের মামলা। তবে তদন্তে মামলার সত্যতা প্রমাণ পায়নি সিনিয়র সহকারী জজ হুমায়রা তাসনিম।

পরে তার বিরুদ্ধে করা হয় নারী নির্যাতন মামলা। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে গ্রেপ্তার হন তিনি। ৭৭ দিন পর তাকে জামিনে মুক্তি দেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ কোর্ট। তবে এখন পর্যন্ত মামলা থেকে অব্যাহতি পাননি খায়রুল। সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসে এ মামলায় হাজিরা দিয়েছেন তিনি। এছাড়া চলতি মাসের নয় তারিখ ছিলো নারী নির্যাতন মামলার শুনানি।

খায়রুল আলম আক্ষেপ করে বলেন, ‘মেয়েরা যা বলে আদালত তাই বিশ্বাস করে। বাদীপক্ষ সাক্ষী হাজির করতে না পারায় ২০১৪ সালের মামলা এখন পর্যন্ত ঝুলে আছে। তারা সাক্ষী হাজির করার জন্য শুধু সময় চায়, আর মেয়ে বলে আদালতও তাদের সময় দেয়।’ ৭৭ দিন কারাবাস ও আজ পর্যন্ত মামলা ঝুলে থাকায় শেষ হয়ে গেছে খায়রুলের ব্যবসা বাণিজ্যসহ আয়ের সকল উৎস। মামলার পেছনে দৌড়ে শেষ করেছেন যৌবনও। মানুষের যাতে জীবন যৌবন নষ্ট না হয় তাই সরকারের কাছে এ ধরনের মামলা দ্রুত শেষ করার দাবি জানান খায়রুল।

নারী নির্যাতন মামলা হলেই আসামিকে জেলে পাঠানোর বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে খায়রুল বলেন, ‘ নারী নির্যাতন মামলা হলেই আগে জেলে। আগে মামলার তদন্ত হোক, তারপর শাস্তি হোক। কিন্তু নারী নির্যাতন মামলা হলেই আগে হাজত, তারপর তদন্ত।”

হয়রানি বন্ধে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ভূমিকার কথা জানতে চাইলে খায়রুল জানান, বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য স্থানীয় মেম্বর ও চেয়ারম্যান কয়েকবার মেয়েপক্ষকে ডেকেছেন, কিন্তু তারা আসেনি। পরে খায়রুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় স্থানীয়দের কাছে ঘৃনীত মেয়ের পরিবার ঢাকায় চলে আসে। পূর্বে ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ও বাসা পরিবর্তন করায় মেয়ের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। শুধুমাত্র মামলার শুনানির সময়ে আদালতে আসে তারা।

৭৭ দিন কারাবাসের পর খায়রুল উপলব্ধি করেন দেশের বহু পুরুষ মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলার শিকার হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে অনুভব করেন সমন্বিতভাবে সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজনীয়তা। তাই আর কোন পুরুষকে যেন তার মতো হয়রানির শিকার হতে না হয় তাই “পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ আইন” বাস্তবায়নের লক্ষে রাস্তায় নেমেছেন খায়রুল। নিজ বাসায় প্রধান কার্যালয় করে গঠন করেছেন “পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ (পুনিপ্রআবিডি)” নামের একটি সংগঠন। প্রথম দিকে একা আন্দোলন চালিয়ে আসলেও বর্তমানে তার সাথে যুক্ত হয়েছেন আরো অনেক নির্যাতিত পুরুষ। ইতিমধ্যে ১৫টি জেলায় ‘পুনিপ্রআবিডি’র কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

touba-tv_42871_1490255569নিউজ ডেস্ক: একটি ইসলামিক টেলিভিশন চ্যানেলের নিয়মিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের স্থলে ২০ মিনিট পর্ন ছবি দেখানো হয়েছে।

সেনেগালের তওবা টিভিতে সোমবার এ ঘটনা ঘটেছে। তবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ত্রুটিপূর্ণ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার জন্যই এমনটা হয়েছে।

ইসলামিক টেলিভিশন চ্যানেলটিতে সোমবার যখন একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হবে, ঠিক তখনি টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেল পর্ন দৃশ্য। ২০ মিনিট ধরে চলার পর তা বন্ধ হয়।

তবে এ ঘটনার পর টেলিভিশন চ্যানেলের কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ষড়যন্ত্রমূলক কাজের জন্য দায়ি ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে তারা পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসে অভিযোগ জানিয়েছেন।

সাধারণত এই চ্যানেলটিতে ইসলামী উপদেশমূলক এবং তাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। সেখানে এই ধরনের পর্ন প্রচারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন দর্শকরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

79আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে অভিবাসীবাহী দুটি নৌকাডুবিতে ২৪০ জন মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার হলেও বাকিরা এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

ইতালির কোস্ট গার্ডের এক মুখপাত্রও ৫টি মরদেহ উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করেছে। তবে প্রোঅ্যাকটিভা যে সংখ্যক অভিবাসীর মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তা ‌ইতালির কোস্ট গার্ড নিশ্চিত করতে পারেনি।

প্রোঅ্যাকটিভা বলছে লিবিয়া উপকূলে ডুবে যাওয়া দুটি নৌকার প্রত্যেকটিরই শতাধিক মানুষকে ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে। নৌকাগুলো ডুবে যাওয়ার পর এর আশেপাশে ভাসমান থাকা পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। বাকিদের উদ্ধারে কাজ চলছে। উদ্ধার অভিযানে ইতালির কোস্ট গার্ডও অংশ নিয়েছে।

প্রোঅ্যাকটিভার সদস্য লরা লানুজা জানান, ওই দুই নৌডুবির ঘটনায় অন্তত ২৪০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো তরুণ বয়সী বলেও জানান তিনি।

প্রোঅ্যাকটিভার ফেসবুক পাতায় এ নৌডুবি নিয়ে লেখা হয়েছে-আমরা সাগর থেকে ৫টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। কিন্তু কাউকে জীবিত উদ্ধার করা যায়নি।

এদিকে ইতালির কোস্ট গার্ডের এক মুখপাত্র বলেন, তারা নৌকাগুলো থেকে কোনও বিপদ সংকেত পাননি। আর তাই এ নৌডুবিতে কতজনের প্রাণহানি হতে পারে সে ব্যাপারে তাদের ধারণা নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

10বিশ্বে প্রায় ৮২ শতাংশ বয়স্ক নারী-পুরুষ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খেয়ে থাকেন। কিন্তু ভিটামিন বেশি খেলে কি কোনো ক্ষতির ঝুঁকি থাকে?

সত্যি বলতে কি, প্রায় সব ভিটামিনেরই একটি টক্সিক মাত্রা আছে। এই মাত্রার ওপর ভিটামিন সেবন অবশ্যই ক্ষতিকর। যদিও দুর্ঘটনা ছাড়া এত বেশি মাত্রার ভিটামিন সেবন করা সাধারণত হয়ে ওঠে না। শিশুদের মধ্যে অতিরিক্ত ভিটামিন খেয়ে ফেলাটা একেবারে বিরল নয়। সব ধরনের ওষুধ অবশ্যই শিশুদের নাগালের বাইরে থাকতে হবে। এ ছাড়া বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের স্মৃতিভ্রম বা মানসিক রোগ আছে, তাঁরাও অনেক সময় ভুল করে অনেক বেশি মাত্রায় ভিটামিন বড়ি খেয়ে ফেলতে পারেন। দীর্ঘদিন ধরে অকারণে উচ্চমাত্রার ভিটামিন খাওয়া থেকেও বিপদ হতে পারে।

ক্যালসিয়াম: বেশি পরিমানে ক্যালসিয়াম খেলে রক্তে এর মাত্রা বেড়ে গিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য, কিডনিতে পাথরসহ আরও কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি একসঙ্গে উচ্চমাত্রায় সেবন করলে অনেক সময় এ সমস্যা দেখা দেয়।

ভিটামিন এ: উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ সেবন গর্ভবতী নারীদের জন্য বিপজ্জনক। কেননা টক্সিক মাত্রায় ভিটামিন এ অনাগত শিশুর নানা ধরনের জন্মগত ত্রুটির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ যকৃৎ, হাড় ও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। দুর্ঘটনাবশত হঠাৎ বেশি ভিটামিন এ খেয়ে ফেললে বমি, মাথাব্যথা, ত্বকের সমস্যা হতে পারে।

ভিটামিন সি: এক গ্রামের বেশি ভিটামিন সি একসঙ্গে খেয়ে ফেললে ডায়রিয়া হতে পারে। শিশুরা চুষে খাবার ভিটামিন সি লজেন্স বেশি খেয়ে বিপদ ঘটাতে পারে।

লৌহ: আয়রন বা লৌহজাতীয় বড়ি গ্যাস্ট্রিকের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, কোষ্ঠকাঠিন্য করতে পারে। থ্যালাসেমিয়া ও জন্মগত হিমোগ্লোবিন ত্রুটি আছে, এমন রোগী আয়রন খেলে যকৃৎ, মস্তিষ্ক ও বিভিন্ন গ্রন্থিতে অতিরিক্ত আয়রন জমে অকার্যকারিতা দেখা দিতে পারে। এদের আয়রন বড়ি খাওয়া নিষেধ। তা ছাড়া বেশি মাত্রায় আয়রন যেকোনো মানুষের পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা করতে পারে। শিশুরা বেশি আয়রন খেয়ে ফেললে বিষক্রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।

জিংক: মাল্টি ভিটামিন বড়িতে জিংক উপাদান থাকে। জিংক একটি প্রয়োজনীয় ও উপকারী উপাদান। কিন্তু অতিরিক্ত জিংক দেহে স্বাভাবিক লৌহ ও কপারের শোষণ কমিয়ে দিয়ে রক্তশূন্যতার সৃষ্টি করতে পারে।

ভিটামিন বি: ভিটামিন বি কমপ্লেক্স স্নায়ু ভালো রাখে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ভিটামিন বি৬ নিজেই স্নায়ুর ক্ষতি করতে সক্ষম।

ভিটামিন ডি: মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন ডি, বিশেষ করে কোলেক্যালসিফেরল রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

ফ্লোরাইড: অনেক সময় পানিতে বা টুথপেস্টে অতিরিক্ত ফ্লুরাইড যোগ করা হয়। ফ্লুরাইড দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় হলেও অতিরিক্ত ফ্লুরাইড দাঁতের এনামেলের ক্ষয় করে ও দাঁতকে হলুদ করে। সূত্র: বিবিসি হেলথ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

5444-642x336আসাদুজ্জামান : মুক্তিপণের দাবিতে সুন্দবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বৈকারীর খাল থেকে দুই জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যু রবিউল বাহিনীর সদস্যরা। এক লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে শুক্রবার ভোরে তাদের অপহরণ করা হয়।
অপহৃত জেলেরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার রমজান নগর ইউনিয়নের ভেটখালী গ্রামের তারা মন্ডলের ছেলে ফনি মন্ডল ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মৃত আব্দুল সরদারের ছেলে কালাম সরদার।
ফিরে আসা জেলে পাশ্বেখালী গ্রামের মোনতেজ মোল্যার ছেলে করিম মোল্যা জানান, কৈখালী বন অফিস হতে অনুমতি নিয়ে সুন্দবনের ভিতরে মাছ ধরতে যান তারা। ভোরে তারা বৈকারীর খালে মাছ ধরার সময় এক লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে বনদস্যু রবিউল বাহিনীর সদস্যরা উক্ত দুই জেলেকে অপহরন করে।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অপহৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও পর্যন্ত কেউ কিছু জানাননি। জানালে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest