সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণসাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভাসাতক্ষীরায় কায়পুত্র সম্প্রদায়ের ভ‚মি সংক্রান্ত বিষয়ে এ্যাডভোকেসি সভাবিএনপির কানাডা পশ্চিম শাখা শাখার সাধারণ সম্পাদক হলেন সাতক্ষীরার মুজিবর রহমান

4563458তোষিকে কাইফু : শনিবার সকাল ১০ টায় গণহত্যা দিবসে কালিগঞ্জে ডাকবাংলা মোড়ে স্থাপিত বধ্যভূমি স্মৃতি স্তম্ভ উদ্বোধন ও শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক।
সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রীতে ঢাকায় পাকিস্তান হানাদার বাহিনী কর্তৃক বর্বরোচিত হামলার সেই বিয়োগান্তক ঘটনার স্মরণে এবারই প্রথমবারের মত জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে।২৫ মার্চের সেই দিন শেষে নেমেছিল সন্ধ্যা। গভীর হতে শুরু করেছিল রাত। তখনো কেউ জানে না- কী ভয়ঙ্কর, নৃশংস ও বিভীষিকাময় রাত আসছে বাঙালির জীবনে। ব্যস্ত শহর ঢাকা প্রস্তুতি নিচ্ছে ঘুমের। ঘরে ঘরে অনেকে তখন ঘুমিয়েও পড়েছে। রাত সাড়ে ১১টায় ক্যান্টনমেন্ট থেকে জীপ,  ট্রাক বোঝাই করে নরঘাতক কাপুরুষ পাকিস্তানের সৈন্যরা ট্যাঙ্কসহ আধুনিক সমরাস্ত্র নিয়ে ছড়িয়ে পড়লো শহরজুড়ে। আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে গর্জে উঠলো আধুনিক রাইফেল, মেশিনগান ও মর্টার। মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণের মাধ্যমে পাক জল্লাদ বাহিনী নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। শুরু হলো বর্বরোচিত নিধনযজ্ঞ আর ধ্বংসের উন্মত্ত তান্ডব। হকচকিত বাঙালি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঢলে পড়লো মৃত্যুর কোলে। মানুষের কান্না ও আর্তচিত্কারে ভারি হয়ে ওঠে শহরের আকাশ। মধ্যরাতে ঢাকা পরিণত হলো লাশের শহরে। ঢাকা শহরের রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর সদর দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে তারা বাঙালি নিধন শুরু করে। ঢাকাসহ দেশের অনেক স্থানে মাত্র এক রাতেই হানাদাররা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল অর্ধ লক্ষাধিক বাঙালিকে। আর এর মানব ইতিহাসের পাতায় রচিত হলো কালিমালিপ্ত আরেকটি অধ্যায়। নিরস্ত্র, ঘুমন্ত মানুষকে বর্বরোচিতভাবে হত্যার ঘটনায় স্তম্ভিত হলো বিশ্ববিবেক। শুধু নিষ্ঠুর ও বীভংস হত্যাকান্ডই নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে থাকা গণমাধ্যমও সেদিন রেহাই পায়নি জল্লাদ ইয়াহিয়ার পরিকল্পনা থেকে।

কালিগঞ্জ অডিটরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানের সভাপত্বিতে এবং সাংবদিক সুকুমার দাস বাচ্চুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ওহেদুজ্জামান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা সুফি আলহাজ্ব শেখ আতাউর রহমান, কালিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক, জেলা পরিষদ সদস্য ও নলতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান সেলিম, কুশলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সুমন।
এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শিমুল,আহম্মদ উল্ল্যাহ বাচ্চু, তরিকুল ইসলাম লাভলু, হাফিজুর রহমান, সাজেদুল হক সাজুসহ শিক্ষক-শিক্ষাথী ও আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পযায়ের নেতা-কমীবৃন্দ।
এর আগে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কালিগঞ্জ বধ্যভূমিতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি,কা লিগঞ্জ উপজেলা প্রশাশন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাব,কালিগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সংগঠন।
পরে অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি দুপুর সাড়ে ১২ টায় কালিগঞ্জের চারটি ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সাথে এক মতবিনিময় করেন। এসময় স্কুলের শিক্ষার মান ও সার্বিক বিষয়ে তিনি খোঁজ খবর নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

212123নিজস্ব প্রতিবেদক : আজাদী সংঘের ৪৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুলতানপুর আজাদী সংঘের কার্যালয়ে আজাদী সংঘের সভাপতি মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সাংবাদিক অধ্য আনিছুর রহিম, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ প্রমূখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আজাদী সংঘের ও পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি। এসময় উপস্থিত ছিলেন আজাদী সংঘের নব নির্বাচিত সহ সভাপতি সৈয়দ মহিউদ্দিন হাশেমী তপু, সম্পাদক মো, মাছুম বিল্লাহ, সহ সম্পাদক মো. শরিফুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক সুকেশ চক্রবর্তী, সমাজসেবা সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. শাহেদুজ্জামান, সাংস্কৃতি সম্পাদক গোবিন্দ সাহা, নির্বাহী সদস্য শেখ আনোয়ার হোসেন মিলন, সঞ্জীব কুমার পাল, মো. জিয়াউল হক প্রমূখ। উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ আজাদী সংঘের ২০১৭-২০১৮ সালের জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আজাদী সংঘের নব নির্বাচিত সহ সভাপতি সৈয়দ মহিউদ্দিন হাশেমী তপু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

90-1সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানার ‘আতিয়া মহলে’ চলছে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভবনটির চারতলা থেকে ২০ বাসিন্দাকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে শিশুসহ সাত নারীসহ ২০ জনকে উদ্ধার করে আনে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যরা।

এর আগে সাড়ে ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে অভিযান শুরু হয়। সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেনের নেতৃত্ব দেন। জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলে’ অপরেশন ‘স্প্রিং রেইন’ নামে অভিযান শুরুর কথা বলা হলেও পরে সেনাবাহিনী এ নাম পরিবর্তন করে অপারেশন ‘টোয়ালাইট’ রেখেছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রোকন উদ্দীর এ ব্যাপারে জানান, এই মুহূর্তে আতিয়া মহল সেনা কমান্ডোদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা অভিযান শুরু করেছেন। অভিযান শুরুর আগে সেখানে আনা হয় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, পুলিশের সাঁজোয়া যান ও কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স।

সকাল ৭টার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা শুরু করে। পরে মাইকিং করে স্থানীয় অধিবাসী এবং উপস্থিত জনসাধারণকে অন্তত কিলোমিটার দূরে চলে যাওয়ার দিচ্ছে পুলিশ। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদেরও এই দুরত্বে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

পুলিশের আহ্বানের পরও আত্মসমর্পণে সাড়া না দেওয়ায় সোয়াট টিমের সঙ্গে অভিযানে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিট।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে আতিয়া মহল ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাঁচতলা ওই ভবনের নীচতলার একটি ফ্ল্যাটে নারীসহ একাধিক ‘জঙ্গি’ রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। ওই ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে নারী ও পুরুষ ‘জঙ্গি’ শুক্রবার দুপুরের পর দ্রুত সোয়াত ফোর্স পাঠাতে বলেছিল । তারা বলেছিল, ‘তোমরা (পুলিশ) শয়তানের পথে, আমরা আল্লাহর পথে। দেরি কেন, দ্রুত সোয়াত ফোর্স পাঠাও।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

05a530edf4c215142cdd18804d60c088-58d5e4961b8c6তেতে থাকা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শততম টেস্ট জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় বেলা তিনটায় রানগিরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দল ২২ গজের ময়দানী যুদ্ধে মুখোমুখি হবে। ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে চ্যানেল নাইন ও টেন থ্রি চ্যানেলে।

অতীত পরিসংখ্যান বাংলাদেশের বিপক্ষে হলেও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে শ্রীলঙ্কার চেয়ে এগিয়ে অতিথিরা। ডাম্বুলাতে বাংলাদেশের কোনও সুখস্মৃতি না থাকলেও সমস্যা নেই। সর্বশেষ তিন ম্যাচের সবকটিই লঙ্কানরা হেরেছে ডাম্বুলাতে। যদিও শততম ম্যাচটি হেরে খানিকটা তেতে আছে লঙ্কান ক্রিকেটাররা। তাই শনিবার কে ভাগ্য বদলাবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বাংলাদেশের জন্য বড় প্রাপ্তি মানসিক ভাবেও অনেকখানি এগিয়ে থেকে মাঠে নামার সুযোগ পাবে মাশরাফিরা। কেননা বাংলাদেশের বিপক্ষে কলম্বোতে শততম টেস্ট ম্যাচটি হেরে যাওয়ার পর এমনিতেই লঙ্কান সংবাদ মাধ্যম তাদের ক্রিকেটকে মৃত ঘোষণা করেছে! এর মধ্যে সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা ওয়ানডে সিরিজের পাঁচটি ম্যাচই বড় ব্যবধানে হেরেছে লঙ্কানরা। সবকিছু মিলিয়ে অনেক চাপ নিয়েই মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা।

যদিও ডাম্বুলাতে বাংলাদেশের হয়ে পরিসংখ্যান কথা বলছে না। কেননা তিনটি ম্যাচের সবগুলোতেই বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে লাল-সবুজদের। শুধু তাই নয়, তিন ম্যাচের দুটিতে ডাম্বুলা স্টেডিয়ামের রেকর্ডবুকে বেশ কয়েকটা রেকর্ড তালিকাভুক্ত রয়েছে।

বাংলাদেশের জন্য আশার কথা- স্কোয়াডের ৬ জন খেলোয়াড়ের এই ভেন্যুতে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১০ এশিয়া কাপে মাশরাফির নেতৃত্বে সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ, ইমরুল, তামিম খেলেছেন। ৭ বছর পর এদের অভিজ্ঞতা আরও বেড়েছে। সেই সঙ্গে দলে আছেন বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান তরুণ ক্রিকেটার।

এত কিছু যখন বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হয়ে আসছে। তখন ডাম্বুলার ইতিহাসটা এবারই পাল্টানোর সবচেয়ে বড় সুযোগ। মাশরাফিও তাই মনে করছেন, ‘আমরা এখানে এশিয়া কাপ খেলেছিলাম। তখন বাজে ক্রিকেট খেলেছি। যদিও সবসময় আমরা সেরাটাই খেলতে চাই। এবার প্রথম থেকেই আমরা নিজেদের সেরাটা খেলার চেষ্টা করব।’

বাংলাদেশ চাইলে ২০১৩ সাল থেকেও প্রেরণা নিতে পারে। সেবার বর্তমান দলের চাইতে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ১-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ ড্র করেছিল। লঙ্কান এবারের দলটি গতবারের চেয়ে খানিকটা খর্বশক্তির। মাশরাফি অবশ্য শ্রীলঙ্কান ওয়ানডে দলকেই এগিয়ে রাখছেন। তার মতে, ‘শ্রীলঙ্কারে ওয়ানডে দলটা টেস্টের চেয়ে ভালো। দলটাতে এক ঝাঁক উদীয়মান তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে। তাদের বিপক্ষে জিততে গেলে আমাদের তিন বিভাগে সেরা ক্রিকেট খেলা লাগবে।’

লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের একাদশটা কেমন হবে-বিষয়টি নিয়ে মধুর সমস্যায় রয়েছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর কলম্বো ছেড়েছিলেন মিরাজ। প্রায় ২৪ ঘণ্টা টানা জার্নি শেষে শুক্রবার একটি সেশন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। বিকল্প হিসেবেই মূলত মিরাজকে স্কোয়াডে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যদিও শুক্রবার সবার আগে নেটে গিয়েছেন মেহেদি হাসান।

মাশরাফি অবশ্য একাদশ নিয়ে কিছু বললেন না, ‘ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তে একাদশ নির্বাচন করা হবে। তবে স্কোয়াডে মিরাজ এসে যোগ দেওয়াতে বৈচিত্র্য আছে স্কোয়াডে। আমরা সম্ভাব্য সেরা দলটা বেছে নেবো।’

কোনও কারণে মিরাজকে না খেলালে তার জায়গায় খেলবেন শুভাগত হোম। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। অন্যদিকে তিনজন পেসার নিয়ে খেললে সানজামুলকে বসে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে মুস্তাফিজ ও মাশরাফির সঙ্গে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা শুভাশিষ রায়ের। তবে দুই পেসার খেললে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে দেখা যাবে মাশরাফি ও মুস্তাফিজকে। তৃতীয় স্পিনার হিসেবে তখন দেখা যাবে সানজামুল ইসলামকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1490379304একের ওপর অপরের আধিপত্যবাদ কায়েমের জন্য মানুষের নিষ্ঠুরতার ইতিহাস বহু প্রাচীন। বিরুদ্ধমতের মানুষের প্রতি মানবতাবিরোধী পাশবিক আচরণটা মানুষের আদিমতম অভ্যাস। আধুনিক কালে ভয়াল সেই অভ্যাস রহিত তো হয়নি বরং তার ব্যাপ্তি বেড়েছে বহুমাত্রায় বহুগুণে। মানবীয় ক্ষমতা বা সক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী জেনেও মানুষ হাজার বছর ধরে নিজের অস্তিত্বকে পাকাপোক্ত করতে ভয়ানক যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত হয়ে আসছে। মানুষ তার বেশির ভাগ জ্ঞান, উদ্ভাবন, শক্তি বা সম্পদ খরচ করে চলেছে তার প্রতিপক্ষকে হারাতে। প্রাগৈতিহাসিক পাথুরে যুদ্ধ থেকে হালের পরমাণু যুদ্ধের ধরন সবক্ষেত্রে একই : মানুষকে মেরে নিশ্চিহ্ন করে দাও। ঘটাও গণহত্যা আর শিশু বৃদ্ধা নির্বিশেষে নারীর সম্ভ্রম লুটে মায়ের জাতিকে দাও চরম অসম্মান। একাত্তরে ইতিহাসের নিরিখে ফেলে আসা সেইসব নিপীড়কের যথার্থ প্রতিভূ হয়ে ওঠেছিল পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী। একাত্তরে যাদের নোংরা রূপ দেখেছে সারাবিশ্ব।

আদিম গণহত্যা হতো অসচেতনভাবে। দাবি করা হয়, এসময়ের মানুষেরা খুব সচেতন। তারপরও একালে বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোন্ডের হাতে আফ্রিকান কঙ্গোর এক কোটি মানুষ নৃশংসভাবে প্রাণ দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকাময় হলোকাস্ট; পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ানক ও জঘন্যতম গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত। যেখানে একনায়ক এডলফ হিটলারে নেতৃত্বে সোভিয়েত যুদ্ধবন্দি, কমিউনিস্ট এবং ভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মতাদর্শীসহ প্রায় অর্ধকোটি ইহুদি প্রাণ হারান। ত্রিশের দশকে জাপানি সৈন্য কর্তৃক চীনা নানকিং ট্র্যাজেডি; যেখানে চারলাখ নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া আর্মেনীয়া, কম্বোডিয়ার খেমাররুজ, রুয়ান্ডা ও বসনিয়ার গণহত্যা ইতিহাস স্বীকৃত।

সবকিছু ছাড়িয়ে বাঙালির কাছে স্মরণকালের সবচে বড় লোমহর্ষক ট্র্যাজেডি হলো একাত্তরের গণহত্যা। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন দমাতে যার শুরুটা হয়েছিল ২৫ মার্চ। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর এই ২৫ মার্চ সরকারি সিদ্ধান্তে এবার থেকে গণহত্যা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় পালিত হচ্ছে।

একাত্তরের সেই ভয়াল কালরাতে বাঙালি জাতির ওপর নিষ্ঠুর, নির্মম ও নৃশংসতম গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বাংলাভূমিতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল বীভৎস অভিশাপ।  অকাতরে প্রাণ হারিয়েছিলেন বিভিন্ন পেশাজীবীসহ বিপুল সাধারণ বীরজনতা। দিনটি মানবসভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। বেদনাদায়ক সেই দিনটিকে বাঙালি মাত্রই মুষড়ে পড়া হৃদয় নিয়ে চোখের জলে স্মরণ করে থাকে।

স্বাধীনতা ঘোষণার প্রাক্কালে অসভ্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ওই রাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর নামে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই হামলার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা প্রারম্ভেই বিনষ্ট করা আর দেশের নেতৃস্থানীয় শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া।

সেই সময়কার মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চের রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সে রাতে সাত হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হয় আরো তিন হাজার লোককে। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চলল মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করল ঘরবাড়ি, দোকানপাট লুট আর ধ্বংস তাদের নেশায় পরিণত হলো যেন। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শিয়ালের খাবারে পরিণত হলো। সরা বাংলাদেশ হয়ে উঠল শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।’

অথচ ১৬ ডিসেম্বর নাকে খত দিয়ে আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা সে হানাদার পাকিস্তান স্বাধীনতার ৪৫ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর তাদের ঘৃণ্যতম অপকর্মকে ঢেকে দিয়ে বিশ্বস্বীকৃত গণহত্যাকে অস্বীকার করবার প্রয়াস পাচ্ছে। তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা দূরে থাকুক উপরন্তু সম্প্রতি তাদের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জুনায়েদ আহমেদ নামের এক লেখক ‘ক্রিয়েশন অব বাংলাদেশ, মিথস এক্সপ্লোডেড’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন। সে বই আবার বাংলাদেশ সরকারের কাছে পৌঁছেও দেওয়া হয়েছে। বইটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, ৩০ লাখ শহীদ, লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমহানি, সবকিছুর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। একে পাকিস্তানি হানাদার কর্তৃক একাত্তরের গণহত্যাকে ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়ার সচেতন প্রয়াস বলেই ধারণা করা যায়।

একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো গ্রন্থ এখনো রচনা করতে পারেননি বাংলাদেশি কোনো গবেষক। যদিও গণহত্যার বিষয়টি যে ধ্রুবসত্য তা প্রমাণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক এবং প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের অধ্যাপক গ্যারি জে ব্যাস। ‘দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম : নিক্সন, কিসিঞ্জার অ্যান্ড আ ফরগটেন জেনোসাইড’ শিরোনামের বইটিতে লেখক হোয়াইট হাউজের নানা গোপন দলিল হাতড়ে বের করে এনেছেন আমেরিকা ও পাকিস্তানের যৌথ প্রযোজনায় মঞ্চস্থ গণহত্যার আসল ইতিহাস।

এই বইয়েই প্রথম কোনো পশ্চিমা গবেষক ১৯৭১-এ সংঘটিত বাংলাদেশের গণহত্যাকে ‘প্রমাণিত গণহত্যা’ হিসেবে বিশ্বের সামনে দাঁড় করানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। গ্যারি জে ব্যাস তাঁর বইয়ে স্পষ্টতই দাবি করছেন যে, ১৯৭১-এ বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছে, পাকিস্তানি সেনাদের চালানো সেই গণহত্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, আর গণহত্যাকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন নিক্সন-কিসিঞ্জার জুটি। বইটি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতবার পাশাপাশি পশ্চিমা চিন্তাশীলদের মাঝে বাংলাদেশের একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে নতুন করে ভাবনা ও গবেষণার দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে।

এমন এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে পালনের জন্য জাতিসংঘেও প্রস্তাবনা পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। গেল ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে গণহত্যা দিবস পালনের এই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয় এবং সচিবালয়ে ১৩ মার্চ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার বিষয়টি সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করা হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালনের জন্য ২৫ মার্চকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত একটি দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও মন্ত্রিসভার অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ায় এখন থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হবে। একাত্তরে লাখো প্রাণ আর সম্ভ্রমের দামে পাওয়া বাংলাদেশের কারুণ্যের ইতিহাসকে মানুষের মনে চির জাগরুক রাখতে সরকারের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। পাকিস্তানকে স্বীকার করতেই হবে যে, তারা একাত্তরে বাংলাদেশে চরম নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতা চালিয়েছে। নিজেদের দোষ না ঢেকে পাকিস্তানকে তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হতেই হবে।

আজ গণহত্যা দিবসে স্মরণ করি, ৩০ লাখ শহীদ ও জীবনের সর্বস্ব হারানো মা-বোনদের যাদের অমূল্য প্রাণ ও সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি লাল সবুজ পতাকা; পেয়েছি বাংলা নামের দেশমাতৃকা। পাকিস্তানিদের মতো বর্বরতার সাক্ষী না হোক আর কোনো মানবজাতি। আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস পালনের মূল প্রতিপাদ্যই হোক- আর নয় গণহত্যা, মানুষের ভালোবাসায় সমুন্নত থাকুক বিশ্বমানুষের অধিকার।

লেখক : সংবাদকর্মী

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

755577575দেবহাটা ব্যুরো : বাংলাদেশ সরকারের স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের ছোঁয়া বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। যার উদাহরণস্বরূপ সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার অবহেলিত এলাকা আটশতবিঘা, কালাবাড়িয়া, ঢেপুখালি, পাইকপাড়া, কামকাটিয়া, চালতেতলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুতায়ন পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমানে সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডা.আ ফ ম রুহুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বাবু রবিন্দ্রনাথ দাস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কালিগঞ্জ জোনাল ম্যানেজার বাবু তুষার কান্তি মন্ডল, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, এলাকা পরিচালক-৯ আকসাদ হোসেন মন্টু।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাবু মনোরঞ্জন মুখার্জি মনিবাবু, নাজমুস সাহাদাত নফর বিশ^াস, মীর খায়রুল আলম, আসাদুর রহমান সেলিম, বিজয় ঘোষ, আকবর আলী, নুরুজ্জামান প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক আনারুল হক। অনুষ্ঠানে ৯ কিলোমিটার বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করেন এমপি।
এদিকে, দেবহাটার ঈদগাহ বাজার মসজিদ, কমিউনিটি কিনিকের রাস্তা উদ্বোধন করেন অধ্যাপক ডা.আফম রুহুল হক এমপি। বিদ্যুৎ উদ্বোধনকালে রুহুল হক এমপি বলেন, শেখ মুজিবর ছিল বলে আজ আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আর শেখ হাসিনা আছে বলে দেশের সাধারণ মানুষের উন্নয়ন হচ্ছে। শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে আজ যখন দেশ এগিয়ে চলেছে ঠিক সেই সময়ে উগ্র, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ করে স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙ্গালী যেভাবে অংশ গ্রহণ করেছিল সেভাবে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কোন রকম অপচেষ্টায় শেখ হাসিনার উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না। আমি জানি এবং বিশ^াস করি শেখ হাসিনা মুখে যা বলেন বাস্তবে তা রূপান্তিত করেন। কেননা তিনি পদ্মাসেতু দেশের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে। তাই শেখ হাসিনাকে রাখতে হবে বাংলাদের উন্নয়নের কান্ডারি হিসাবে। বক্তব্যে আরো বলেন, আমি নানা কাজে ঢাকায় ও দেশের বাইরে থাকলেও আমার মন প্রাণ থাকে সাতক্ষীরার মানুষের প্রতি। তাই আসুন সবাই একসাথে কাজ করে সরকারের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

65656কালিগঞ্জ ব্যুরো : মহামান্য রাষ্ট্রপতি এড. আব্দুল হামিদ এর ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক শুক্রবার সকাল ১০ টায় কালিগঞ্জের নলতা মাজার শরিফ জিয়ারত করেছেন।
তিনি শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনের অদূরে পূর্ব নির্ধারিত একটি মিটিং এ অংশগ্রহণের জন্য এই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মাজার শরিফ জিয়ারত করেন। মাজার জিয়ারত ও দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রওজা শরিফের খাদেম আলহাজ্ব মৌলভী আনছারউদ্দীন আহমদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক (এমপি) সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা: তৌহিদুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য এস এম আসাদুর রহমান সেলিম প্রমুখ। জিয়ারত শেষে নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে এমপি রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিককে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রঃ) জীবনী ও তার রচিত বেশ কিছু বই উপহার দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

17440060_1272607116158322_286341063_nরাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে পুলিশের চেকপোস্টে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তার পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। হামলাকারী নিহত হয়েছে। তবে এখনও তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (ডিসিডিবি-নর্থ) শেখ নাজমুল আলম জানিয়েছেন, ‘বিমানবন্দরের সমানে গোলচত্বরে থাকা পুলিশ বক্সের সামনে বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।’

পুলিশের উত্তরা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, বিমানবন্দরে গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়ে একজন নিহত হওয়ার খবরে পেয়েছি। এখনও বিস্তারিত জানি না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest