প্রস্তুতি শেষ৷ শুধু রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উনের নির্দেশের অপেক্ষা৷ তারপরেই ষষ্ঠবার পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটাতে চলেছে উত্তর কোরিয়া৷ ধারণা করা হচ্ছে, আগামী শনিবার ফের পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটাবে এই দেশ৷ ঘটনাচক্রে শনিবার (১৫ এপ্রিল) কিম উনের পিতামহ অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার প্রথম একনায়ক শাসক কিম ইল সুং জন্মেছিলেন৷ তাঁর ১০৫ তম জন্মদিনটি সে দেশে ‘সূর্য দিবস’ হিসেবে পালিত হবে৷
কিম পরিবারের হাতের মুঠোয় থাকা উত্তর কোরিয়ায় এখন সাজো সাজো রব৷ উত্তর কোরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানাচ্ছে, সূর্য দিবস উপলক্ষে রাজধানী পিয়ং ইয়ং শহরে দুশো বিদেশি সাংবাদিক এসেছেন। সরকারের তরফে তাঁদের ‘বড় ধরণের ঘটনা’ ঘটবে বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে৷
এরপরই বিশ্বজুড়ে আলোড়ন৷ যুদ্ধংদেহী শাসক কিম জং উনের কাছে থেকে বড় ধরণের বার্তা মানেই সামরিক হুমকি৷ ফলে পরমাণু বিস্ফোরণের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠছে৷ সম্প্রতি পরমাণু হামলার ইঙ্গিত দিয়েছেন একনায়ক কিম জং উন৷
কোরীয় উপসাগরে মার্কিন রণতরীর প্রবেশ করার খবর পেয়েই ভয়ঙ্কর যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক শাসক৷ বলেছিলেন, আমেরিকা যেমন চায় সেরকম যুদ্ধ করা হবে৷ সেই বার্তায় দুনিয়া জুড়ে হই হই পড়েছে ৷
রাষ্ট্র সংঘ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আগে পাঁচ দফা পরমাণু বোমা পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার মামলায় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ তার দুই সহযোগী শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আজ (বুধবার) রাত ১০টায় মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুলকে এবং সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে দেলোয়ার হোসেন রিপনকে একই সময়ে ফাঁসি দেওয়া হয়। কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, গাজীপুর কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ছগির মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষনেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তাঁর সহযোগী বিপুলের ফাঁসির রায় আজ বুধবার রাতে যে কোনো সময় কার্যকর করা হতে পারে। তাঁদের ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কারাগারে জল্লাদ রাজু, তাঁর সহযোগী ইকবাল ও শফিক এবং ফাঁসির মঞ্চ সবকিছুই প্রস্তুত আছে। এরই মধ্যে ফাঁসির মহড়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল কবিরকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে শহরের শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে যুবলীগের আয়োজনে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিউমার্কেটস্থ শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, সাতক্ষীরার মানুষ শান্তি প্রিয়। আর কোন অশান্তি দেখতে চাইনা। জামাত-শিবির যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সাতক্ষীরাকে অশান্ত করার পায়তারা চালাচ্ছে। একটি পরিবারের উপরে বারবার হামলা হচ্ছে। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী তার পিতাকে বোমা মেরে হত্যা করেছে। তাকেও গুলি করে হত্যা করেছে। এখন দলীয় নেতা কর্মীদের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। পুলিশ এখনও প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। পুলিশ ইচ্ছা করলে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীদের গ্রেফতার করতে পারে। অনতিবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করা হলে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি গ্রহন করা হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, বন ও পরিবশে বিষয়ক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস. এম শওকাত হোসেন, সধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক অব্দুর রশিদ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সাংঘঠনিক সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ,পৌর যুবলীগের আহবায়ক মনোয়ার হোসনে অনু, যুগ্ম সম্পাদক তুহিনুর রহমান তুহন, সদর উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বাবু, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম মাসুম ও ইউসুফ সুলতান মিলন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রভাষক মইনুল ইসলাম।
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু।
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে তাজ সুলতানা চম্পা নামে এক নববধূ আত্মহত্যা করেছে। চম্পা শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রি কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রী এবং দুই মাস আগে তার বিয়ে হয়। বুধবার ভোর ৬টার দিকে বাদঘাটা গ্রামে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত তাজ সুলতানা চম্পা ওই গ্রামের মিজানুর রহমান মিনুর মেয়ে। তার পিতা জানান, রাতে খাওয়া দাওয়া নিয়ে চম্পার মা বকাবকি করে। এতে অভিমান করে সবার অজান্তে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুইমাস পূর্বে তার বিয়ে হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে।