সর্বশেষ সংবাদ-

g2bxpb_3সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি আব্দুল হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে প্রস্তুত কারা কর্তৃপক্ষ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল মুফতি হান্নানের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারের প্রধান ফটকে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত এবং আনোয়ার চৌধুরীসহ ৭০ জন আহত হন।

এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুল, দেলওয়ার ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন সিলেট দ্রুত বিচার আদালত।

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ওই রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। পরে আসামিদের আপিল গত ৭ ডিসেম্বর খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আসামিরা রিভিউ আবেদন করেন। ১৯ মার্চ সে আবেদন খারিজ হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুলিশ ও সন্ত্রাসী হামলায় আহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ।

পুলিশ ও সন্ত্রাসী হামলায় আহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ।

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাতক্ষীরায় আব্দুর রশিদ (৭৫) নামের এক মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্যাতনে আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশ। রোববার দুপুরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে শনিবার গভীর রাতে সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামে এ মারপিটের ঘটনাটি ঘটে।
আহত মুক্তিযোদ্ধা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের রসুলপুর গ্রামের মৃত মোজাহার হোসেনের ছেলে।  তার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং ২০৩০।

আহত মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে রউফুনেচ্ছা জানান, রসুলপুর এলাকায় তাদের ১৫ শতক জমির উপর বাড়িঘর আছে। উক্ত জমির প্রতি কু-নজর পড়ে কুশখালি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মুন্না ও আব্দুল মজিদের ছেলে মিলন হোসেনের। তার জমিটি জবর দখল করার জন্য বিভিন্ন সময় তাদের হয়রানি করে আসছিল তারা। সম্প্রতি মুন্না থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিলে পুলিশ শনিবার বিকালে তার ভাই (মুক্তিযোদ্ধার ছেলে) তরিকুলকে ধরে নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় আবার তাকে ছেড়েও দেয়। এরপর রাত ১২ টার দিকে সদর থানার এস আই রমজান আলি ও সন্ত্রাসী মুন্না ও মিলন তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা তার বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা পিতাসহ পরিবারের লোকজনের বেধড়ক মারপিট করে আহত করে এবং ঘরের ভিতর থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করে।

মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধু আসমা খাতুন তাদের নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, সম্প্রতি আদালত এই জমি নিয়ে তাদের পক্ষে রায় ও ডিক্রি দিয়েছেন।

রোববার দুপুরে আহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদকে সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিটের সামনে নিয়ে আসেন। এরপর তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই রমজান আলি বলেন, ভ্যান থেকে পড়ে গিয়ে রশিদ মোল্যা আহত হয়েছেন। সেখানে কোন মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। তিনি রাতে গোলযোগপূর্ণ গেটের তালা খুলে নিয়ে এসেছেন।

 

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

channel_i_barcelonaদুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে শিরোপার দৌড় চলছে। এগিয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদই। তবে শীর্ষে ওঠার সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনাও। লুইস এনরিকের দল সেটি হাতছাড়া করেছে মালাগার বিপক্ষে হেরে। শনিবার রাতে মালাগার মাঠ থেকে ২-০ গোলে হেরে ফিরেছে কাতালান ক্লাবটি।

মাদ্রিদ ডার্বিতে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে আগের ম্যাচে ড্র করে দুই পয়েন্ট হারিয়েছে রিয়াল। তাতে জিনেদিন জিদানের দলের হাসি মিইয়ে এসেছিল নিশ্চিত। পরের ম্যাচে বার্সা হেরে সেই হাসি কেবল ফিরিয়েই দিল না, বার্নাব্যুর দলটির মুখে এখন আরো চওড়া হাসি। তাদের শনিবারের সকালটা হয়েছিল দুই পয়েন্ট এগিয়ে থাকার মধ্য দিয়ে। এখন রাত হচ্ছে বার্সার থেকে তিন পয়েন্ট এগিয়ে থাকার হিসাবে। তার ওপর কাতালানদের থেকে এক ম্যাচ কম খেলেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। আবার মৌসুমের দ্বিতীয় এল ক্ল্যাসিকোও বাকি।

বার্সাকে পেলে অন্যরকম হয়ে যায় মালাগা। শক্তির বিচারে যোজন ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বার্সাকে লিগের প্রথম পর্বে ন্যু ক্যাম্পে গোলশূন্য ড্র করতে বাধ্য করেছিল দলটি। দুদলের মুখোমুখি লড়াইয়ের গত কয়েক ম্যাচের ফলেও আছে সেটার প্রভাব। এনরিকে ২০১৫ সালে কাতালান ক্লাবটির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ছয়বারের দেখায় মালাগার বিপক্ষে জিততে পারলেন মাত্র দুটি ম্যাচে।

চলতি লিগে এখন পর্যন্ত ৩১ রাউন্ড খেলেছে বার্সা। যার মাত্র দুটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে নিতে ব্যর্থ মেসি-নেইমাররা। দুটিই আবার মালাগার বিপক্ষে। তার ওপর শেষ তিনটি অ্যাওয়ে ম্যাচের দুটিতেই হারল এনরিকের শিষ্যরা। গত মাসে দেপোর্তিভো লা করুনার মাঠ থেকে ২-১ গোলে হারার তিক্ত স্বাদ নিয়ে ফিরেছিল।

লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়ে নেমেছিল মালাগা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে জর্ডি আলবার বাড়ানো বলটি যদি বক্সে ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জাল খুঁজে নিতে পারতেন সুয়ারেজ, তাতে হিসাব অন্যরকমই হতে পারত। সেটি হয়নি স্বাগতিক গোলরক্ষক কামেনি দেয়াল হয়ে দাঁড়ানোয়।

দুজনকে কাটিয়ে মেসি ম্যাচের ৩০ মিনিটের সময় যে আক্রমণটি শানিয়েছিলেন, আন্দ্রে গোমেজ তাতে শেষ আঁচড় দিতে পারলেও এগিয়ে যেত অতিথিরা। সেটি তো হয়ইনি, উল্টো পাল্টা আক্রমণে ৩২ মিনিটে এগিয়ে যায় মালাগাই। হুয়ান কার্লোসের বাড়ানো বলে জাল খুঁজে নেন বার্সারই সাবেক প্রোডাক্ট সান্দ্রো।

মধ্যবিরতির পরপরই রক্ষণাত্মক মালাগার আরেকটি পাল্টা আক্রমণে মিডফিল্ডার হুয়ানপি জালে শট নিতে পারলে বিপদ বাড়ত অতিথিদের। অবশ্য ৬৬ মিনিটে গোলের থেকেও বড় ধাক্কা খায় বার্সা। এসময় ডিয়েগো লরেন্তেকে অকারণে বাজেভাবে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা নেইমার।

সেই ধাক্কা সামলে নিতে পারেনি বার্সা। তার ওপর ৭৮ মিনিটে সার্জিও রবের্তো ফাউলের শিকার হলেও নিশ্চিত একটি পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি রেফারি। বার্সা তারপরের সময়টুকু আরো মরিয়া হয়ে খেলেছে। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে সুয়ারেজের আরেকটি প্রচেষ্টায় দেয়াল হয়ে দাঁড়ান সেই গোলরক্ষক কামেনি। তবে যোগ করা সময়ে জোনাথন রদ্রিগেজ আরেকবার জালে বল জড়ালে বার্সেলোনার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে যায়।

এই হারে বার্সেলোনা ৩১ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকল। অ্যাটলেটিকোর সঙ্গে ড্র করে ৩০ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রিয়াল। আর ৩১ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অ্যাটলেটিকো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

hasina-mamata‘উত্তরবঙ্গে তোর্সা, জলঢাকাসহ চারটি নদী আছে। সেখানে পানি আছে। ফলে তিস্তার বিকল্প হিসেবে এই চারটি নদীর পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।’ রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বহুল আলোচিত তিস্তা নদীর পানিবন্টন বিষয়ে এমন সমাধান দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনিবার সন্ধ্যায় এই বৈঠক শেষে তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের বাড়ির লনে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানান মমতা। তিনি বলেন, তিস্তার সমস্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে বলেছি। তিস্তায় কোনো পানি নেই। পানির অভাবে এনটিপিসির বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। সেচের জন্য পানি পেতে সমস্যা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কলকাতা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলেও জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর নামে ভবন হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার হতে পারে। তাঁদের আলোচনায় দুই বাংলায় দুই দিন পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপনের বিষয়টি উঠে আসে।

দিল্লি পৌঁছনোর পর শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী তিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, শনিবার রাতেই মমতার সঙ্গে কথা বলবেন। একান্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথায় তিস্তা পানিবন্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এ দিন সারা দিন ধরেই ভারত, বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। তখনও এই নিয়ে বেশ কিছু কথা হয়েছে বলে জানা যায়।

শনিবার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পর্যায়ের শীর্ষ বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষা, ঋণ, মহাকাশ, পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতের মোট ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দুপুরে ভারতের নয়া দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের (৭ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল) সরকারি সফরে নয়াদিল্লী পৌঁছান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দু’দেশের বন্ধুত্বকে নতুন মাত্রা দেয়ার প্রত্যাশায় এ সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pm2-1প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের তৃতীয় দিনে রোববার আজমীর শরীফ যাবেন। তিনি সেখানে দরগাহ শরীফ জিয়ারত করবেন।

রোববার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা করবেন। পরে তিনি রাষ্ট্রপতির দেয়া এক নৈশভোজে অংশ নেবেন।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী।

শুক্রবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের (৭ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল) সরকারি সফরে নয়াদিল্লী গেছের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দু’দেশের বন্ধুত্বকে নতুন মাত্রা দেয়ার প্রত্যাশায় এ সফরে গেছেন শেখ হাসিনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

001কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউপি’র রায়টা বাজার টু কলাটুপি বাজার সড়ক (কালীবাড়ি মোড়) কলাটুপি নতুন বাজার ভায়া রায়টা বাজার সড়কের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকালে কুশোডাঙ্গা কালীবাড়ি হাইস্কুল মোড়ে এক আলোচনা সভায় মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এড মোস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি রাস্তার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তখনই জামায়াত বিএনপি’র দোসররা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। রাস্তা ঘাটসহ দেশর উন্নয়নের ছোড়া দেখে তারা পাগল হয়ে গেছে। এজন্য তারা দেশকে  অরাজকতার দিকে ঠেলে দিতে চাই। জঙ্গিবাদকে সৃষ্টি করে নিরিহ মানুষকে হত্যার মত জঘন্য কাজে লিপ্ত থাকেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিএনপি জামায়াত জোট জঙ্গি বাহিনীকে মদদ দিচ্ছেন। তাই জঙ্গিবাদ রোধে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে বিজয়ী করে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখার আহবান জানান। কুশোডাঙ্গা ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি শ্রী রাম প্রসাদ দত্তর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ভাইস চেয়ারম্যান আরাফাত হোসেন, কয়লা ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ ইমরান হোসেন, যুগিখালি ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান রবিউল হাসান, কুশোডাঙ্গা ইউপি আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান আসলামুল আলম খান আসলাম, সাবেক প্রকৌশলী আবেদুুর রহমান, উপজেলা  যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আশিকুর রহমান মুন্না, ইউপি সদস্য মফিজ উদ্দিন, ইউপি সদস্য অনান্ত, মহিলা ইউপি সদস্য শেখ হাসিনা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মারুফ আহম্মেদ জনি, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এম ইলিয়াস হোসাইন, আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাশেম, হাফিজুর রহমান, ইউপি ছাত্রলীগ নেতা মিঠুন রাজ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সভাপতি ও কুশোডাঙ্গা ইউপি আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন খান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় যুদ্ধাপরাধী পরিবারের প্রতি গভীর প্রেম! সাময়িক বরখাস্ত হয়েও পূর্ণাঙ্গ বেতন পাচ্ছেন খালেক মন্ডল পুত্র !

121212আমির হোসেন খান চৌধুরী: সাতক্ষীরা জেলা জামাতের আমির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মন্ডল। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিচার চলছে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনের দায়ে। তার দ্বিতীয় পুত্র শামীম হাসান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজের ইসলামের ইতহাসের প্রভাষক। এই শামীম বর্তমানে সাময়িকভাবে বরখাস্ত। বিধি অনুযায়ী তার প্রতিমাসে বেতনের অর্ধেক অর্থ পাওয়ার কথা থাকলেও সর্বশেষ উত্তোলিত মাস পর্যন্ত তাকে পূর্ণাঙ্গ বেতন-ভাতা দিয়ে আসছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সুবিধা নিয়েই যে সরকারের অবস্থান, প্রচলিত আইন, সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করা হয়েছেÑ তা বুঝতে কারও বাকি থাকার কথা নয়।
উল্লেখ্য, কলেজটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি। আমাদের হাতে আসা ভালুকা চাঁদপুর কলেজের ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মান্থলি পে অর্ডার(কলেজ কর্তৃক ব্যাংকে পাঠানো)-এর অনুলিপিতে দেখা যাচ্ছে- ১২ নং সিরিয়ালের ৪২৪৯৩৩ নং ইনডেস্কধারী সহকারী অধ্যাপক এস এম সহিদুর রহমানকে তার বেতন, ঘরভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাবদ প্রাপ্য ৩৭০০০ টাকার বিপরীতে ওয়েল ফেয়ার ও অবসর কর্তনের পর ৩৪,৮৭০টাকা, ২৫নং সিরিয়ালের ৩০০০১৯০ ইনডেস্কধারী প্রভাষক শামীম হাসান(যুদ্ধাপরাধী খালেক মন্ডলের পুত্র)-কে তার বেতন, ঘরভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাবদ প্রাপ্য ৩০,৫০০টাকার বিপরীতে ওয়েল ফেয়ার ও অবসর কর্তনের পর ২৮৭৬০টাকা এবং ৩২ নং সিরিয়ালের ৪২৭৩৮৩ নং ইনডেস্কধারী সহকারী লাইব্রেরিয়ান এস এম মহিবুল্লাহকে তার বেতন, ঘরভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাবদ প্রাপ্য ২৩৫০০টাকার বিপরীতে ওয়েল ফেয়ার ও অবসর কর্তনের পর ২২১৮০ টাকা বিল করে ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। দুই পৃষ্ঠার ওই বিলের প্রতি পৃষ্ঠায় কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিজন কুমার মিত্রের সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে। ইতিপূর্বে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্তই রয়েছে তাদেরকে শুধুমাত্র খোরাকি ভাতা বাবদ বেতনের অংশ প্রদানের। জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় নিয়মিত আলোচনান্তে সিদ্ধান্ত হয় নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলা যেসকল শিক্ষকের বিরুদ্ধে আছে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করার  জন্য।
এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কলেজ প্রশাসন তড়িঘড়ি খালেক মন্ডল পুত্রকে এত দিনে উত্তোলিত অর্থের অর্ধেক কলেজ ফান্ডে জমা দেয়ার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেয়। প্রভাষক শামীম হাসান একই দিনে গত বুধবার প্রায় ৪৪২৫০৫টাকা কলেজের কোন একটি হিসাবে জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজে সদ্য যোগদানকারী অধ্যক্ষ মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি। এখনও কলেজের সব কাগজপত্র বুঝে না পাওয়ায় শামীম হাসান কত মাসের অতিরিক্ত অর্থ জমা দিয়েছেন তা বলতে পারছেন না বলে জানান।
অন্যদিকে, শামীম হাসানকে কিভাবে তিনি পূর্ণাঙ্গ বেতন তুলছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কলেজ পরিচালনা পরিষদ যেভাবে বলেছে আমি তেমনটিই করেছি। এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই।”
চাঁদপুর কলেজের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা জামাত নেতা মুরাদুল হকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কলেজ সংক্রান্ত কোন প্রশ্নের উত্তর দেবেন না বলে জানিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
অন্যদিকে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত চাঁদপুর কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে বিজন কুমার মিত্রের নিকট শামীম হাসানসহ কলেজের আরও একজন শিক্ষক ও সহকারী লাইব্রেরিয়ান নাশকতা মামলায় আটক হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে বহিস্কার হলেও কিভাবে পূর্ণাঙ্গ বেতন তুলছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি খেয়াল করেননি।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা থানার নাশকতার মামলা নং-৭৮, তাং ২৭/০৮/২০১৩ এর আসামি হয়ে জেল হাজতে আটক থাকায় মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ২৮ অগাস্ট ২০১৩ সাল থেকে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভায় তাকে খোরাকি ভাতা প্রদান সাপেক্ষে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একইভাবে ওই কলেজের সহকারী লাইব্রেরিয়ান এস এম মহিবুল্লাহকে আশাশুনি থানার নাশকতা মামলা নং-০২, তাং-০৫/১২/২০১৩ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্তÍ খোরাকি ভাতা প্রদান সাপেক্ষে সাময়িক বরখাস্ত করে কলেক পরিচালনা পরিষদ। পরিচালনা পরিষদের এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয় ৭মার্চ ২০১৬ তারিখে। একই সভায় কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এসএম সহিদুর রহমানকেও সাতক্ষীরা সদর থানার একটি বিস্ফোরক মামলা যার নং-২৩, তাং-১৯/১১/২০১৫ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত খোরাকি ভাতা প্রদান সাপেক্ষে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই তিন সাময়িকভাবে বহিস্কার হওয়া নাশকতা মামলায় আটক হয়ে জেলখাটা আসামিরা যথারীতি পূর্ণাঙ্গ বেতন পেয়ে এসেছেন মাসের পর মাস। এদের মধ্যে যুদ্ধাপরাধী খালেক মন্ডলের পুত্র শামীম হাসান এই বেতন পেয়ে আসছেন বছরের পর বছর!
একদিকে, বর্তমান সরকার যখন দৃঢ়তার সাথে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে, সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতা বিরোধী ও নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে ইষ্পাত কঠিন দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন তখনই তার দলের একটি অংশ সাতক্ষীরাতে এভাবে কখনও গোপনে কখনও প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধীদের পরিবার, তাদের প্রতিষ্ঠান, এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের কাউকে কাউকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করছেন! এঘটনায় রীতিমত বিস্মিত সবাই। সচেতন মহল মনে করে বিপুল অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে এভাবে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান ও নাশকতাকারীদের পক্ষে সরকারের যে বা যারা গোপনে কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরকে চিহ্ণিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

04কে এম রেজাউল করিম : দেবহাটায় নতুন জাতের ফল ড্রাগন চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার চকমোহাম্মাদালীপুর গ্রামের সৈয়দ রিয়াসাদ আলীর পুত্র আকবর আলী। মাত্র ১ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষে তার খরচ হচ্ছে ১ লক্ষ টাকা। তার বাগান থেকে ড্রাগন ফল বিক্রি করে ব্যাপক টাকা লাভের আশা করছেন তিনি। এচাষে চারা লাগানোর পর শুধু জৈব সার ব্যবহার করে অনেকটা বিনা খরচে ফলন পাবেন মনে করছেন তিনি। তার এ চাষ এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলার পাশাপাশি ভাগ্য বদল হতে শুরু করার কথা শুনে অনেকই ড্রাগন চাষে অগ্রহী হয়েছেন। প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ আসেন তার ড্রাগন বাগান দেখতে। সৈয়দ আকবর আলী জানান, আগে তিনি ধান, পাট, সরিষা, মুসুরের মতো গতানুগতিক চাষাবাদ করতেন। কিন্তু তাতে তেমন লাভ হতো না। এক পর্যায়ে পেঁপে-পেয়ারা চাষ শুরু করেন। তাতেও খরচের তুলনায় লাভ কম। তারপর পোকামাকড় ও রোগ বালাইয়ের কারণে এসব ফসল চাষ নিয়ে যখন বিপাকে ছিলেন সেই সময়ে কুমিল্লা অঞ্চলের ভালুকা থেকে ড্রাগন ফলের চারা সংগ্রহ করেন তিনি। বিভিন্ন কৃষিবীদদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ১বিঘা জমি নির্বাচন করে ড্রাগন বাগান গড়ার পরিকল্পনা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে ১শত টাকা মূল্যে শতাধিক ড্রাগন চারা এবং সিমেন্টের পিলার নিয়ে বাগান তৈরি করেন। ক্ষেত তৈরি, গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করতে তার মাত্র ৬৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আগামী বছর থেকেই গাছে ড্রাগন ফল অসতে শুরু করবে আশাকরেন তিনি। বর্তমান বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকার বেপারীরা বাগান থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় বাজারেও ড্রাগন ফলের বেশি চাহিদা সৃষ্টি না হলেও বাইরে এর ব্যপক চাহিদা রয়েছে। ফল পাওয়ার পর্যন্ত সর্বমোট ১ লক্ষাধক টাকা খরচ হবে জানান। তিনি আরো জানান, নতুন ফলে লাভ বেশি হওয়ার কথা শুনে অনেকে আসেন তার বাগান দেখতে। দেবহাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিমউদ্দীন বলেন, মেক্সিকান এ ফল বর্তমানে এশিয়ার চায়না, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কা ব্যাপক চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া ড্রাগন ফল চাষ উপযোগি। প্রচ- খরায় সেচ ও জৈব সার দেয়া ছাড়া ড্রাগন চাষে কোনো বাড়তি খরচ নেই। রোগবালাই মুক্ত ড্রাগন গাছ একবার লাগালে শুধু পরিচর্যা করলে ৩০ থেকে ৪০ বছর একনাগাড়ে ফল দেয়। এ ফল চাষ অত্যন্ত লাভজনক। ড্রাগন ফল মিষ্টি ও হালকা টক জাতীয় স্বাদের হয়ে থাকে। এ ফলে নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে। বিশেষ করে এ ফল ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্ত চাপ, কোলেস্টেরল ও শরীরের চর্বি কমায়। যে কারণে বাজারে ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest