সর্বশেষ সংবাদ-

নলতা স্কুলের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

22222সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকাল ১০ টায় বেলুন উড়িয়ে ও জাতীয় সঙ্গিতের মধ্য দিয়ে দিনটির শুভ সূচনা করেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি। এরপর বিদ্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়। র‌্যালিটি নলতা এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয় চত্বরে এসে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সোসাইটির আয়োজনে এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপ-সচিব আবু মাসুদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা ৪ আসনের এমপি জগলুল হায়দার, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, দেশবরেণ্য অভিনেতা-নির্মাতা আফজাল হোসেন প্রমুখ।44554
প্রধান অতিথি এ সময় ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাদক ও সন্ত্রাস থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, “আগামী দিনের সু-নাগরিক হিসেবে তোমাদেরকে গড়ে উঠতে হবে এবং এ দেশের জন্য কাজ করতে হবে।”
উল্লেখ্য, ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। সেই থেকে আজ পর্যন্ত যারা এই স্কুলে লেখা পড়া করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে এই শতবর্ষ উদযাপন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

xfull_845230454_1491552184-jpg-pagespeed-ic-cgoatkscmচারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘বোয়িং ৭৭৭ আকাশ প্রদীপ’ পালাম বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছায়।

সেখানে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর কথা থাকলেও স্বয়ং নরেন্দ্র মোদীই বিমানবন্দরে হাজির হন। যাকে বিরল সম্মাননা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিমানের সিঁড়িতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা।

মোদী সরকারের বাঙালি প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীও বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

সাত বছর পর এই সফরে ভারতের সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, পরমাণু বিদ্যুৎ, বিজ্ঞান ও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৩৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন।

তৃতীয় দফায় বাংলাদেশের সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই ভারতে শেখ হাসিনার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ভারতীয় রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন। এ সফরকালে তিনি সেখাই থাকবেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির বিশেষ আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকবেন শেখ হাসিনা।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। একই দিন বিকালে তিনি দিল্লির চাণক্যপুরীতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন পরিদর্শনে যাবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানানো হবে। বাংলাদেশ হাউসে তার সম্মানে নৈশভোজের আয়োজনও থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সফরের দ্বিতীয় দিনে শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও উপস্থিত থাকবেন।

তারপর শেখ হাসিনা রাজঘাটে অবস্থিত গান্ধী স্মৃতি সৌধে যাবেন। সেখানে পরিদর্শন বইয়ে সই করবেন। তারপর হায়দরাবাদ হাউসে প্রথমেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসবেন। তারপর শুরু হবে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এবার প্রতিনিধি দলে সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হক এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর হায়দরাবাদ হাউসেই দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি, সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও দলিল সই হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথ বিবৃতি দেবেন। সেখানেই সংক্ষিপ্ত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের হিন্দি অনুবাদ হস্তান্তর করা হবে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বইটির হিন্দি অনুবাদ করা হয়।

এ অনুষ্ঠানের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করবেন। একই দিনে বিকাল সাড়ে ৩টায় মানেকশ সেন্টারে সম্মাননা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সম্মাননা জানাতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধে ১৬৬১ জন ভারতীয় সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন।

তাদের মধ্যে সাতজনের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এ সম্মাননা তুলে দেবেন শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দানকারী অবশিষ্ট ভারতীয় সৈন্যদের পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে সম্মাননা দেয়া হবে।

মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগী যে সাতজন ভারতীয় সৈন্য এবার সম্মাননা পাচ্ছেন তারা হলেন ল্যান্স নায়েক আলবার্ট এক্কা, মেজর অনুপ সিং, মালকায়েত সিং, আনসুরিয়া প্রসাদ, লেফটেন্যান্ট জেনালে সমীর দাস, স্কোয়াড্রন লিডার এবি সামান্ত এবং ল্যান্স নায়েক মোহিনী রঞ্জন চক্রবর্তী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের সফরে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারীর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

এছাড়া হোটেল তাজ প্যালেসে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা।

এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেবে। প্রধানমন্ত্রী আজমির শরীফে গিয়ে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহ.) মাজার জিয়ারত করবেন। আগামী সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে নয়াদিল্লি। দেশটির রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোয় বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে।

সফর ঘিরে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এরই মধ্যে ঘোষণা করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের সফরকালে দু’দেশের মধ্যে ৩৩টি চুক্তি, এমওইউ ও দলিল সই হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাশরাফির ফেসবুক থেকে

মাশরাফির ফেসবুক থেকে

সাইফউদ্দিনের বলে সাঞ্জায়ার ক্যাচটা যখন বাতাসে ভাসল, তখনই সব শেষ! শেষ ম্যাচের, শেষ সিরিজের, শেষ মাশরাফির! টি-টুয়েন্টিতে সাইফুদ্দিনের প্রথম উইকেট হতে লঙ্কান ব্যাটসম্যানের ক্যাচ তখন মাহমুদউল্লাহর তালুতে, এই প্রথমের আড়ালেই শেষ মাশরাফির টি-টুয়েন্টি অধ্যায়ের। ৪৫ রানের জয়ে ছোট ফরম্যাট থেকে বিদায় টাইগার ক্রিকেটের মহানায়কের।

প্রথমে ছুঁটে এলেন মিরাজ। হাতটা ছোঁয়ার পর মাশরাফি এ ম্যাচেই অভিষিক্তকে বুকে টেনে নিলেন। মিরাজ যেন ছাড়তে চাইছিলেন না। ছাড়তে হলো। ততক্ষণে সকলে কাছাকাছি চলে এসেছে। আজ যে সবাইকে মাশরাফির বুকে জড়িয়ে যেতেই হবে। মিরাজ কয়েক সেকেন্ড পর আবারো ফিরে এলেন মাশরাফির কাছে। আবার জড়িয়ে গেলেন বুকে। এই বুকের ছায়া যে টি-টুয়েন্টির ময়দানে অন্তত আর মিলবে না, সেটি ততক্ষণে বোঝা হযে গেছে মিরাজের।

এরপর একে একে সকলকে বুকের স্পর্শ দিলেন মাশরাফি। এই বুক যে বাংলার বুক। যেখানে ধারণ করা আছে লাল-সবুজের পুরো মানচিত্রটা। এই মানচিত্রটা যারা এঁকেছেন, সেই মহান মুক্তিযোদ্ধারাই তার কাছে আসল নায়ক। গৌরবের সেই নায়কদের কাছে পেয়েছেন গর্জে ওঠার রসদটা। সেটাই ছড়িয়ে গেলেন লাল-সবুজের জার্সিতে। ধারণ করে গেলেন বুকে। সেই বুকের স্পর্শ তো আরাধ্য হবেই।

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে নিরীহ হরিণও ঘুরে দাঁড়ায়। লড়াইয়ের প্রাণান্ত চেষ্টা করে। আর মাশরাফি তো টাইগার। যার গর্জে ওঠার রেণু রক্তেই। মহানায়কদের রক্তে যেমন থাকে। তাদের গল্প শুধু ফিরে আসার। সেই ফিরে আসাটা শেখানোর দরকার ছিল একদল টাইগারকে, রেণুটা সবার রক্তে ছিলই; শুধু প্রাঞ্জল করে তোলার কোন জিয়ন কাঠির দরকার ছিল। মাশরাফি এলেন সেই জিয়ন কাঠি হয়ে। জাগিয়ে গেলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটকেই।

বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়ে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। পাওয়া-না পাওয়ার মধ্য দিয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন ১৬টি বছর। টেস্টে ফেরার আশাটা ঠিক ছেড়ে দেননি। চোটের প্রভাব আর বর্তমানে বয়সটাই দুর্বার এই পথে সবচেয়ে অপ্রিয় ও কঠিন প্রতিপক্ষ  মাশরাফির! সেটার স্বপ্ন জিইয়ে রেখেই ছেড়ে দিলেন টি-টুয়েন্টির ময়দান। এখন সামনে রইল কেবল ওয়ানডের যাত্রা।

কেবল হাঁটুতেই ছয়বার অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে দীর্ঘ ক্যারিয়ারের উজ্জ্বল সম্ভাবনা। শল্যবিদের ছুরির নিচে থেকে তবুও বারবার ফিরে এসেছেন অদম্য প্রত্যয়ী এ ক্রিকেটার। এখনো নিয়মিত ব্যথানাশকের আশ্রয় নিতে হয় মাশরাফিকে। হাঁটুতে লাগানো আছে কৃত্রিম একটা বাটি। যার তলায় জমতে থাকে অযাচিত রসকণিকা।

কিন্তু মাশরাফি দমে যাননি। স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে ফারাক তৈরি করতে চাওয়া সেই অযাচিত জমাট রসাল পদার্থগুলো সিরিঞ্জে নিংড়ে আবারো মাঠে নেমে পড়েছেন। দলকে আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছেন বিশ্বসেরা হওয়ার। নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। তার নেতৃত্বে পরশপাথর হয়ে তেঁতে উঠেছেন প্রবল সম্ভাবনার পরও মুষড়ে যাওয়া একদল সহযোদ্ধা।

টি-টুয়েন্টিতে সেই পরশ পাথরকে আর মাঠে দেখা যাবে না। তবে তিনি থাকবেন। যতদিন ক্রিকেট থাকবে, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে। কেননা তিনি মাশরাফি। মহাকালই ঠিক করে রেখেছে তার স্থান। তাইতো মহাকাল তার বিদায়ের বিষাদের মলাটে তিলক এঁকে দিলো জয়োৎসবের প্রলেপে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

indexভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জের বসন্তপুর ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় ভূমি কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে মারধর ও মোটর সাইকেল ভাংচুর করায় দুই নারীসহ তিন জনকে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারদ- প্রাপ্তরা হলেন দেবাড়িয়া গ্রামের সাহাজুদ্দীন গাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর গাজী (৩৫), তার স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৩০) এবং ভাই কাদের গাজীর স্ত্রী রিজিয়া খাতুন (৩০)।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দেবাড়িয়া চাঁদকাটি মৌজায় ১৯৭৪ সালে ১২ দশমিক ৫০ একর জমি ডিসিআর নিয়ে ভোগদখল করছিলেন দেবাড়িয়া গ্রামের মইজুদ্দীন গাজীর ছেলে দৌলত গাজী। প্রতিবছর ডিসিআর নবায়নের নিয়ম থাকলেও তিনি ওই নিয়মের তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক সরকারি সম্পত্তি ভোগদখল করছিলেন। রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার মুন্সীপাড়া এলাকার কওছার আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে নতুন করে ওই জমির ডিসিআর প্রদান করা হয়। নতুন ডিসিআর প্রাপ্ত ব্যক্তিকে জমি বুঝিয়ে না দিয়ে দৌলত গাজী প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক সরকারি জমি ভোগদখল করে আসছিল। বিষয়টি নিরসনের জন্য বসন্তপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বাশারাত হোসেন, উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জিএম ফয়েজ আহম্মেদ, অফিস সহায়ক কাজী আলমগীর হোসেন ও ইমরান হোসাইন বৃহস্পতিবার ১২ টার দিকে দেবাড়িয়া চাঁদকাটি খালের উপরে নির্মিত সেতুর কাছাকাছি স্থানে পৌছালে   জাহাঙ্গীর গাজী, মাহফুজা বেগম, রিজিয়া খাতুন সহ তাদের সহযোগীরা ভূমি কর্মকর্তা ও অফিস সহায়কদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় জিএম ফয়েজ আহম্মেদ আহত হন। এসময় দুর্বৃত্তরা তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এই সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহম্দ মাছুম, সার্ভেয়ার হাওলাদার শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লস্কর জায়দুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে এলাকাবাসীর সহায়তায় দুই নারীসহ তিন জনকে আটক করতে সক্ষম হয় কিন্তু অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান হামলা ও ভাংচুরের অপরাধে জাহাঙ্গীর গাজীকে ২ বছর এবং মাহফুজা বেগম ও রিজিয়া খাতুনকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

303650f7431720c9518cb685cb2387e9-58e67239e2990মাশরাফি বিন মুর্তজার বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখতে আগেই প্রতিজ্ঞার কথা জানিয়েছিলেন সাকিব-মুস্তাফিজরা।  বৃহস্পতিবার ২২ গজে শেষ টি-টোয়েন্টিতে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞার প্রমাণ দিয়ে রাখলেন তারা।  কলম্বোতে ব্যাট-বলে অসাধারণ নৈপুণ্যে দেখিয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি ৪৫ রানে জিতেছে সফরকারীরা। ফলে পুরো সফরে বাকি ফরম্যাটের মতো এই সিরিজও ১-১ সমতায় শেষ করলো টিম বাংলাদেশ। ৪ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ।

১৭৭ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে আশানুরূপ কিছু করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। সাকিব আল হাসানের শুরুর ওভারে দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আগের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা কুশল পেরেরা (৪)।তৃতীয় ওভারে ফেরেন মুনাবিরা (৪)।  এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে বাংলাদেশের বোলিং তোপে উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা।যদিও মাঝে রানের গতি বাড়িয়ে খেলার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা। ব্যক্তিগত ২৩ রানে তাকেও মিরাজের তালুবন্দী করান মাহমুদউল্লাহ। ষষ্ঠ ওভারে মুস্তাফিজের বলেই পর পর দুই হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। বিদায় নেন গুনারত্নে ও সিরিবর্ধনে।  তবে এই জুটিতে ষষ্ঠ উইকেটে ৫৮ রান যোগ করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন থিসারা পেরেরা ও কাপুগেদেরা।  দলীয় ‍৯৮ রানে পেরেরাকে স্টাম্পড করে সেই শুরুর মতোই লঙ্কান ভিতকে ফের নাড়িয়ে দেন সাকিব আল হাসান।  পেরেরা ফেরেন ২৭ রানে।  মাঝে কিছু বিরতি দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন মাশারাফি।  ফিল্ডিংয়ে কিছু সুযোগ মিস করলে বল দিয়ে তা পুষিয়ে দিয়েছেন।  বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সেকুগে প্রসন্নকে (১১)।  পরের ওভারে মুস্তাফিজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হুমকি হয়ে দাঁড়ানো কাপুগেদেরা। ৩৫ বলে ৫০ রানে মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এই উইকেটের মধ্য দিয়েই প্রতিরোধের দেয়াল ভাঙে শ্রীলঙ্কার।  এই ওভারেই ফেরেন লাসিথ মালিঙ্গা।  শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা থামে  ১৩১ রানে।

এর আগে শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছিলেন দুই ওপেনার ইমরুল ও সৌম্য।  কিন্তু শেষ দিকে লাসিথ মালিঙ্গার হ্যাটট্রিকে বড় সংগ্রহ পায়নি সফরকারীরা। বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৯ উইকেটে ১৭৬ রান।

টস জিতে খেলতে নেমে শুরুতেই আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। তামিমের চোটে দলে ঢুকেন ইমরুল। আর খেলতে নেমেই তেরে ফুড়ে মারতে থাকেন। সঙ্গী হিসেবে সৌম্য সরকার তো ছিলেনই। তবে শুরুর দিকে স্বাচ্ছেন্দ্যে ছিলেন না তেমন একটা। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে ৫ ওভারেই ৫০-এর কোটা ছাড়ায় সফরকারীরা। পাওয়ার প্লের পুরো ফায়দাটাই নিয়ে নেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তবে সপ্তম ওভারে সেই ধারা ধরে রাখতে পারেননি সৌম্য। গুনারত্নের বলে সরাসরি তার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ততক্ষণে সৌম্যর স্কোর ছিল ১৭ বলে ৩৪ রান। যাতে ছিল ৪ চার ও ২ ছয়। পরের ওভারে ফিরে যান ইমরুল কায়েসও। প্রসন্নর বলে দ্রুতগতিতে রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফিরে যান ইমরুল। ২৫ বলে ৩৬ রান করেই বিদায় নেন তিনি। যাতে ছিল ৪ চার ও একটি ছয়।

দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা ছন্দ হারালেও সেই ছন্দে বাড়তি গতি আনেন সাকিব ও সাব্বির। তাদের ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারেই ১০০ রান ছাড়ায় সফরকারীরা। সাকিব এবার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের নেতৃত্ব দিলেও সাব্বিরও ব্যাট চালিয়েছেন সমান তালে। তবে ১৩.১ ওভারে সঞ্জয়ার বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন সাব্বির (১৯)। এরপরেই রান রেট কমে যায় সফরকারীদের। আর তাতেই ১৬তম ওভারে কুলাসেকারার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। ততক্ষণে তার স্কোর ছিল ‍৩১ বলে ৩৮ রান। এক ওভার বিরতি দিয়ে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। এরপরেই রং হারায় বাংলাদেশের ইনিংস। শুরুর সেই রং শেষ দিকে হয় বিবর্ণ। মালিঙ্গার হ্যাটট্রিকে একে একে ফেরেন মুশফিকুর, মাশরাফি ও মিরাজ।  নিজের বিদায়ী টি-টোয়েন্টিতে শূন্য রানে ফেরেন মাশরাফি।  আর লাসিথ মালিঙ্গা অর্জন করেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের আরেকটি হ্যাটট্রিক।  এর আগে ১৮তম ওভারে এবার পেরেরার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ১৭ রানে ব্যাট করতে থাকা মোসাদ্দেক।  শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৭৬ রান।  শেষ ৩০ বলে আসে ৪০ রান।
ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বৃহস্পতিবার কলম্বোতে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলছেন বাংলাদেশের সীমিত ওভারের অধিনায়ক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

74475নলতা প্রতিনিধি : জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দুই দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী নলতা হাইস্কুলে শতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠান শুরু। “অতীত স্বরণে হোক আগামীর উম্মেষ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে উপজেলার নলতা হযরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (রঃ) আর্শীবাদ ধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৬-৭ এপ্রিল ২০১৭ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ২ দিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করেছে।
শতবর্ষ পূর্তি বিদ্যালয়কে  সু-সজ্জিত আলোক সজ্জায় সাজানো হয়। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মাঠে বিশাল মঞ্চ, প্যান্ডেল ও গেট নির্মান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে দূরদূরান্ত থেকে আগত স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানে স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সাবেক সফল স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম এমপি, নলতা হাইস্কুলে প্রাক্তন ছাত্র সোসাইটির সভাপতি প্রকৌশলী আবুল কাশেম, উপ- সচিব ও নলতা হাইস্কুলের সভাপতি আবু মাসুদ, বিশিষ্ট নাট্য অভিনেতা আফজাল হোসেন, সাহিত্যক ও প্রবান্ধিক গাজী আজিজুর রহমানসহ স্কুলের অনেক জ্ঞাণী-গুণী ছাত্ররা আড্ডায় মিলিত হয়।
এসময় রেজিস্ট্রেশনকৃত প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের কিটস্ ব্যাগ, ক্যাপ, স্মরণিকা, ক্রেষ্ট ও শুভেচ্ছা কার্ড প্রদান করা হয়। সন্ধ্যা ৭টায় শতবর্ষ উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান ও পরে আকর্ষণীয় আতষবাজি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৯টায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ৭ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ৮টায় নলতা স্কুল প্রাঙ্গণে শতবর্ষ অনুষ্ঠানের ১ম পর্বে উদ্বোধন, র‌্যালি, অতিথিদের বক্তব্য, স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন, অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান ও বৃক্ষরোপণ করা হবে।
২য় পর্বে বিকালে খেলাধুলা, ভিডিও প্রদর্শনী, পুরস্কার প্রদান, আলোক উৎসব ও রাত্রে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সংঙ্গীত শিল্পী এস ডি রুবেল গান পরিবেশন করবেন। নলতা হাইস্কুল শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির আহবায় নলতা শরীফ এর খাদেম আলহাজ্ব আনছার উদ্দিন আহমদসহ কমিটির নেতৃবৃন্দ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
এদিকে  বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি নলতা আহ্ছানিয়া রেসিডেন্সিযাল কলেজে চলমান উচ্চ মাধ্যমিক (এইচ,এস,সি) ও সম্মানের পরিক্ষা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সার্বিক বিষয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দায়িত্বরত পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক, শিক্ষক ও পরিক্ষার্থীদের সাথে কথাও বলেন তিনি।
পরে নলতার ঐতিহ্যবাহী কে বি আহ্ছানুল্লাহ জুনিয়র স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং স্কুলের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। এসময় তিনি নলতা হাইস্কুলের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে কিট্স বিতরণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

unnamedনিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পুরষ্কার বিতরণী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার বিকেলে কয়লা হাইস্কুল চত্বরে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-১ (কলারোয়া ও তালা) আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুলাহ। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক স্কুলকে জাতীয়করণ করেছেন। কয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, আগামী জুন মাসে উপজেলার ২৬টি স্কুলকে তিনি সংস্কার করার ব্যবস্থা করে দেবেন। বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তাঘাট উন্নয়নের জন্য সরকার ২১ কোটি টাকা ইতিমধ্যে বরাদ্দ দিয়েছে যার টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুতের আলো পৌছে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের মহসড়কে উন্নীত ঠিক তখন ৭১’র পরাজিত শক্তির দোসররা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া বাধাগস্ত করতে জামায়াত জঙ্গিবাদকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উস্কানি দিয়ে চলেছে।
জঙ্গিবাদ রোধে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সামাজিক আন্দোলন জোরদার করার জন্য সকলকে আহবান জানান এমপি মুস্তফা লুৎফুলাহ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন ও ভাইস চেয়ারম্যান আরাফাত হোসেন।
হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
স্থানীয় কয়লা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন, কেঁড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল, যুগিখালী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কলারোয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মনিরুজ্জামান বুলবুল অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা ও তত্বাবধায়ন করেন। কয়লা হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি এড. মুস্তফা লুুৎফুলাহ এমপিকে হাইস্কুলের পক্ষ থেকে মানপত্র ও অতিথিদের উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সেখানে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

yzlbxq_17522990_729363427233617_4873786940527413670_nজয়ের প্রতিজ্ঞা নিয়ে আজ মাঠে নেমেছিল মাশরাফির সতীর্থরা। কাপ্তানের বিদায় ম্যাচ জয় উপহার দিবে, এমনটাই সংকল্প তাদের । সে লক্ষ্যে প্রথমে ব্যাট করে লঙ্কানদেন ১৭৭ রানের বিশাল টার্গেট দেয় বাংলাদেশ দল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ইনিংসের প্রথম বলে চার মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন কুশল পেরেরা। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। সাকিবের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হন বাঁহাতি এ ওপেনার। আর নিজের দ্বিতীয় ওভারে তুলে নেন দ্বিতীয় উইকেট। এরপরই মাহমুদউল্লাহর একটি মোস্তাফিজের এক ওভারে জোড়া উইকেট শিকারে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লঙ্কানদের সংগ্রহ ৮ উভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান।

ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের কাপ্তান মাশরাফি বিন মতুর্জা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে সফরকারিরা। টাইগারদের পক্ষে ইমরুল ৩৬, সৌম্য ৩৪, সাব্বির ১৯, সাকিব ৩৮, মোসাদ্দেক ১৭ ও মুশফিক করেন ১৫ রান।

এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাঠে নামে দুই দল। খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বিটিভি, চ্যানেল নাইন ও স্টার স্পোর্টস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest